Blog

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতামান তাঁদের নেই বলে অভিযোগ। অথচ দিব্যি পড়াচ্ছিলেন কলেজে। তাও আবার সাধারণ কোনও কলেজে নন, সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অচিনা কুন্ডু নামের ওই দুই শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে। সুনন্দা ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। আর অধ্যাপক পদে ছিলেন অচিনা। বৃহস্পতিবার এই দুই শিক্ষককে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের নির্দেশ, শুক্রবার থেকেই আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না এঁরা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলাতে হবে। কোনওভাবে যাতে সমস্যা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে চারু মার্কেট থানাকে। 

    অধ্যক্ষ ছিলেন তৃণমূলের মানিকও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও ব্যক্তির ল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য তাঁর কমপক্ষে পনের বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। মানিকের তা ছিল না বলেই অভিযোগ। তার পরেও তিনি কীভাবে চাকরি করেছেন, সে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নেমে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও। মানিকের স্ত্রী জামিন পেলেও, গারদে রয়েছেন মানিক ও তাঁর ছেলে।

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মানিক যখন ওই আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, তখন উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনকে তিনি অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপকরা নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। তারা কলেজকে অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত করেছে। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    আরও পড়ুুন: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারও। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সুনন্দা ও অচিনা যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে। শুক্রবার ফের হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: খেলার মাঠেও প্রতারণা চিনের! নীরজদের ইচ্ছা করে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, অভিযোগ ভারতের

    Asian Games 2023: খেলার মাঠেও প্রতারণা চিনের! নীরজদের ইচ্ছা করে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, অভিযোগ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি এশিয়ান গেমসের আয়োজক চিন ভারতীয় অ্যাথলিটদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অভিযোগ, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সহ-সভাপতি অঞ্জু ববি জর্জের। প্রাক্তন ভারতীয় লং জাম্পার সরাসরি তোপ দেগেছেন এশিয়ান গেমসের অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ‘আমাদের হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওরা (অফিসিয়ালরা)। ভারতীয় অ্যাথলিটদের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রতিদিন চক্রান্ত করা হচ্ছে। নীরজের সঙ্গে যেটা হয়েছে, এক ঘটনা তো আগের দিন অন্নু রানির সঙ্গেও হয়েছে! অন্নুর প্রথম থ্রো মাপা হয়নি ইচ্ছাকৃতভাবে। সেটাও খুব ভাল থ্রো ছিল। জ্যোতির সঙ্গে অসদাচরণ করেছিল ওরা। এত কিছুর পরেও জ্যাভলিনে সোনা, রুপো দুটোই জিতেছি আমরা। তবে অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ জানাবই।’

    কী বলছেন অঞ্জু

    অঞ্জুর অভিযোগ, ‘‘আমার মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই এ সব করা হচ্ছে। ওরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নীরজ অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। ও সেরা পারফরম্যান্স করে দেখিয়ে দিয়েছে। জানতাম চিনে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। কারণ, ওরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই থাকে।’’ অ্যাথলেটিক্সের সব ইভেন্টে  স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জু। এশিয়ান গেমসে এদিনও সেপাকটাকরো খেলাতেও ভারতের প্রতিযোগীদের পয়েন্ট না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে। রেগে যান ভারতের কোচ।

    নীরজের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত বুধবার মোট ৭বার জ্যাভলিন ছুঁড়তে হয়েছে নীরজকে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য নীরজের থ্রো বাতিল করা হয়, যা এশিয়ান গেমসের মতো এতবড় প্রতিযোগিতার মঞ্চে লজ্জাজনক সন্দেহ নেই। এশিয়ান গেমসে পরপর দুবার সোনা জয়ের পর নীরজ জানিয়েছেন, “সাধারণত একটি প্রতিযোগিতায় ছ’বার জ্যাভলিন ছুঁড়তে হয়। কিন্তু এইদিন আমাকে ৭ বার ছুঁড়তে হল। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আগে কখনও হতে হয়নি আমাকে। কিছু একটা গন্ডগোল তো অবশ্যই ছিল। আমার থ্রোটা ওরা মাপেনি। কী কারণে মাপেনি সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

    হেনস্থার শিকার ইয়ারাজ্জিও

    এর আগে হেনস্থার শিকার হন ইয়ারাজ্জি। মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলসে নির্দিষ্ট সময়ের আগে দৌড় শুরু করার অভিযোগে প্রথমে ইয়ারাজ্জিকে বাতিল করে দেওয়া হয়। ইয়ারাজ্জিকে জানানো হয়, তাঁর সময় মাপা হবে না। ভারতীয় দলের প্রতিবাদে রিপ্লে দেখা হয়। তাতে দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগে দৌড় শুরু করেছিলেন আসলে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা চিনের প্রতিযোগীই। দু’জনে পাশাপাশি লেনে থাকায় গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চিনের প্রতিযোগীকে বাতিল বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হন আয়োজকেরা। রুপো পান ইয়ারাজ্জি।

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে মিক্সড ডাবলসে সোনা ভারতের! রুপো জিতলেন বাংলার ছেলে সৌরভ

    শুরু থেকেই ভারতকে গেমসের আসরে বেকায়দায় ফেলতে বদ্ধ পরিকর চিন। অরুণাচলের বাসিন্দা হওয়ায় ভারতের তিন অ্যাথলিটকে ভিসাই দেয়নি বেজিং। ভারত প্রতিবাদ করলেও দেশের অ্যাথলিট ও খেলাধূলার মর্যাদা রাখতে গেমসে অংশ নেয়। ক্রীড়াঙ্গনেও শত্রুতার বাতাবরণ টেনে আনায় চিনের সমালোচনা করেছে ভারত-সহ নানা দেশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: স্কোয়াশে মিক্সড ডাবলসে সোনা ভারতের! রুপো জিতলেন বাংলার ছেলে সৌরভ

    Asian Games 2023: স্কোয়াশে মিক্সড ডাবলসে সোনা ভারতের! রুপো জিতলেন বাংলার ছেলে সৌরভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসে স্কোয়াশ থেকেও এল সোনা। পদক এল স্কোয়াশে মিক্সড ডাবলসে। সোনা জিতলেন দীপিকা পাল্লিকাল এবং হরিন্দর পাল সিং সান্ধু। ফাইনালে তাঁরা মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষকে হারালেন। খেলার ফল ভারতীয় জুটির পক্ষে ১১-১০, ১১-১০। অন্যদিকে, টানা পাঁচটা এশিয়াডে স্কোয়াশের সিঙ্গলসে পদক জিতে নজির গড়লেন কলকাতার ছেলে সৌরভ ঘোষাল। স্কোয়াশের সিঙ্গলসের ইভেন্টে ২০০৬ দোহা, ২০১০ গোয়াংঝো এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সৌরভ। এরপর ২০১৪ ইনচেওন গেমসে জেতেন রুপো। গতবার, ২০১৮ জাকার্তা এশিয়াডে ফের ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সৌরভ। এবারও রুপোতেই খুশি থাকতে হল তাঁকে।

    সোনার লড়াই দীপিকাদের

    সোনার জন্য কঠিন লড়াই করতে হল দীপিকাদের। মালয়েশিয়ার আজ়মান আইফা এবং মহম্মদ কামাল জুটি শেষ পর্যন্ত লড়াই করল। ফাইনালের শুরুতে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন দীপিকারা একটা সময় ২-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে যান। তবু চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বের করে নিলেন দীপিকা এবং হরিন্দর। স্কোয়াশ থেকে এ বারের গেমসের দ্বিতীয় সোনা জিতল ভারত। মোট চারটি পদক দিলেন তাঁরা। 

    বঙ্গতনয় সৌরভের নজির

    বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! এশিয়াডের মঞ্চে এই প্রবাদ বাক্যটিকে আরও একবার বাস্তবে পরিণত করলেন সৌরভ ঘোষাল। দলগত ইভেন্টে সোনা আগেই জিতেছেন। এবার ব্যক্তিগত ইভেন্টে রুপো পেলেন ভারতীয় এই স্কোয়াশ তারকা। বয়সকে হেলায় হারিয়ে নতুন নজির তৈরি করলেন সৌরভ। শুধু সোনা জেতা হল না তাঁর। মালয়েশিয়ার এমজি ইয়েন ইয়োর কাছে হেরে সৌরভের এবারও এশিয়াডে ব্য়ক্তিগত দক্ষতায় সোনা জেতা হল না। কমনওয়েলথে গেমসে স্কোয়াশে সোনা জেতা প্রথম ভারতীয় সৌরভ। চেয়েছিলেন এদিন অধরা এশিয়াড সোনার পদক গলায় ঝোলাতে। কিন্তু লড়াই করেও পারলেন না সৌরভ।

    আরও পড়ুন: কম্পাউন্ড আর্চারিতে সোনা জিতল ছেলেরাও! দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

    সোনা না পেলেও, এদিন ইতিহাস লিখেছেন সৌরভ। পরিসংখ্যান বলছে বাঙালি ছেলে লাগাতার পাঁচ এশিয়াডেই পদক জিতেছেন। যা নিঃসন্দেহে বিরাট কৃতিত্বের। কারণ এর আগে দেশের কোনও স্কোয়াশ প্লেয়ার এই নজির গড়তে পারেননি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইডি যা যা নথি চেয়েছিল, তা তাঁকে জমা দিতে হবে। ওই নথি জমা দিতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যেই। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ইডিকে আদালত বলে, নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তারা ফের অভিষেককে ডেকে পাঠাতে পারবে। তবে তলব করার আগে তাঁকে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি দিতে হবে অভিষেককে। কোনও নথি জমা দিতে না পারলে ইডির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু আদালত অভিষেককে এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত সময় দেবে না। অভিষেকের জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে হাজিরা দিতে বলতে পারে ইডি। তবে সমন পাঠাতে হলে ১৯ অক্টোবরের আগে বা ২৬ অক্টোবরের পরে তা পাঠাতে হবে।”

    ‘ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান’

    বুধবারই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।” ইডির আইনজীবীকে বিচারপতির প্রস্তাব, যা যা নথি চাওয়া হয়েছে, তা দেওয়া হবে। তাতে সন্তুষ্ট না হলে তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেককে তলব করতে পারবে ইডি। ১২ অক্টোবর অভিষেক ইডিকে নথি দেবেন। সব নথি খতিয়ে দেখে পুজোর পরে নয় নতুন করে সমন পাঠাবে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এই কোম্পানির সিইও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর মা লতা এবং বাবা অমিত এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থার এক অধিকর্তা। অভিষেক, লতা, অমিত এবং রুজিরাকে তলব করে ইডি। ৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাই হাজিরা দিতে পারেননি সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডির দফতরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Virat Kohli: শুরু বিশ্বকাপ! সামনে শুধুই সচিন, বাড়তি নেট সেশনে মন বিরাট কোহলির

    Virat Kohli: শুরু বিশ্বকাপ! সামনে শুধুই সচিন, বাড়তি নেট সেশনে মন বিরাট কোহলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওডিআই বিশ্বকাপের (ICC World Cup) ঢাকে কাঠি পড়ল। দুর্গাপুজোর ঢাকের তালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোবে বিশ্বকাপ। আগামী দেড় মাস ধরে চলবে ক্রিকেট উৎসব। এবারের বিশ্বকাপে মাঠে নেমে অন্তত একজোড়া করে ব্যক্তিগত নজির গড়তে পারেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। কোহলির সামনে হাতছানি রয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চেই সচিন তেন্ডুলকরের সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ভাঙার।

    কঠোর অনুশীলন কোহলির

    ১২ বছর পর দেশের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ। আজ থেকে ১৯ নভেম্বর অবধি ১০ দলের মহারণে বিশেষ নজর থাকবে ক্রিকেট প্রেমীদের। কাপযুদ্ধে নামার আগে এবার বাড়তি নেট সেশনে মন দিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এবারের বিশ্বকাপের আগে ভারতের যে দু’টি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলার কথা ছিল তা বৃষ্টির কারণে হয়নি। ফলে ভারতের ক্রিকেটাররা শেষ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে। রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইতে বিরাট ৬১ বলে ৫৬ রান করেছিলেন। ফর্মে থাকলেও কোনওরকম অলসতা নয়। পরীক্ষায় নামার আগে কড়া অনুশীলন করলেন কোহলি। চেন্নাইয়ে তাঁকে দেখা গেল নেট সেশনে বেশি সময় কাটাতে। ভারতীয় টিমের ২ ঘণ্টার ট্রেনিং সেশন ছিল। কোহলি অবশ্য আরও ৪৫ মিনিট বেশি অনুশীলন করেন।

    আরও পড়ুন: তিনটি মহাদেশে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০৩০! ছ’টি দেশের কাঁধে আয়োজনের দায়িত্ব

    ভারতীয় দলের অনুশীলন

    বিরাট কোহলির পাশাপাশি ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদবকেও দেখা যায় নেটে অনেকক্ষণ সময় কাটাতে। বোলিং প্র্যাক্টিস দিয়ে শুরু করে জাডেজা ব্যাটিংও ঝাঁলিয়ে নেন। কুলদীপ ও হার্দিক জোরকদমে বোলিং অনুশীলন করেন। সংক্ষিপ্ত হলেও ব্যাটিং অনুশীলনও করেন হার্দিক। দলের বাকি ক্রিকেটাররা অবশ্য অনুশীলন করেননি।

    কোহলির সামনে শুধুই সচিন

    বিরাট কোহলি ২৬৯টি ওয়ান ডে ইনিংসে ৪৭টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিশ্বকাপের আসরে ৩টি সেঞ্চুরি করলে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলস্টোন ছোঁবেন তিনি। বিশ্বকাপে অন্তত ২টি শতরান করলে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯টি ওয়ান ডে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন কোহলি।

    ছক্কা হাঁকানোর মাইলস্টোনের সামনে রো-হিট

    ছক্কা হাঁকানোর নিরিখে হিটম্যান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বসে পড়তে পারেন শাহিদ আফ্রিদি ও ক্রিস গেইলের পাশে। রোহিত শর্মা ২৪৩টি ওয়ান ডে ইনিংসে মোট ২৯২টি ছক্কা মেরেছেন। বিশ্বকাপের আসরে ৮টি ছক্কা হাঁকালেই শাহিদ আফ্রিদি (৩৫১টি) ও ক্রিস গেইলের (৩৩১টি) পরে বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০টি ছক্কা হাঁকানোর মাইলস্টোন ছোঁবেন হিটম্যান। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তার হড়পা বানের (Flash Flood) জেরে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। তাই সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিমের। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একটা বড় অংশের। তবে সিংহভাগ বিজ্ঞানীর দাবি, সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে নেপালের মঙ্গলবারের ভূমিকম্প।

    পাড় ভাঙল লোনকের

    বিষয়টি তবে খুলেই বলা যাক। বুধবার কাকভোরে ফেটে যায় উত্তর সিকিমের পাহাড়ি হ্রদ লোনকের পাড়। হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বিশাল জলরাশি। পড়ে তিস্তায়। একলপ্তে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। হড়পা বান চলে আসায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও ভেঙে গিয়েছে সেতু, কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সড়ক। বাড়িঘরের পাশাপাশি ভেসে গিয়েছে মানুষ ও তাঁদের পোষ্যরা। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। নিখোঁজ শতাধিক।

    নেপালে ভূমিকম্প

    সিকিমের এই বিপর্যয়ের কারণ কেবল হড়পা বান (Flash Flood) নয়। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নেপালের ভূমিকম্প। গত মঙ্গলবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। এদিন ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে পরপর চারবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেই কম্পনের আঁচ পেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশের বাসিন্দারা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভূকম্পনের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টির জল এসে পড়ায় জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি দুর্বল বাঁধ। যার জেরে দেখা দেয় বিপর্যয়।

    আরও পড়ুুন: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম, চারদিকে ধ্বংসলীলার ছবি, আটকে ৩ হাজার পর্যটক

    সম্প্রতি লোনকের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হ্রদের যা বিস্তৃতি ছিল, তা কমে গিয়েছে। ১৬৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে লোনক হ্রদ। তা কমে গিয়ে বর্তমানে হ্রদের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬০ হেক্টরে। যার অর্থ, জল ডাঙায় উঠে এসেছে। জলস্তরের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।

    এর আগে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, লোনক হ্রদের আয়তন ক্রমেই বাড়ছিল। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গলে সেই জল জমছিল হ্রদে। বুধবার যখন এই এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি লোনক। বিশাল জলরাশি হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে তিস্তায় (Flash Flood)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • India Canada Relationship: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    India Canada Relationship: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে ঠেলার নাম মধুসূদন! খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ভারতের সঙ্গে কানাডার (India Canada Relationship) সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। বিশ্বরাজনীতিতেও ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই কারণেই দিন কয়েক আগে সুর নরম করে ট্রুডো সরকার। তার পরেও কানাডাকে চাপে রাখে ভারত।

    ভারতের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক চায় কানাডা!

    নয়াদিল্লিতে থাকা সে দেশের রাষ্ট্রদূতের সংখ্যা কমাতে বলে মোদি সরকার। তার পরেই আরও টোন ডাউন করল কানাডা সরকার। জানিয়ে দিল, ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চালানোর কথা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত কূটনীতির কথা বলে প্রকৃতপক্ষে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে বসে সমস্যা মেটাতে চাইছে অটোয়া। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত স্তরে ভারতের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। কারণ আমরা মনে করি, কূটনৈতিক আলোচনা ব্যক্তিগত স্তরে হলে সেটা সব চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়।” মঙ্গলবারই নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কানাডার (India Canada Relationship) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বয়ং।

    কী বলেছিলেন ট্রুডো?

    তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কানাডা চায় তাদের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর আমাদের বৈঠকও হয়েছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে সংঘাত আর বাড়াতে চাই না আমরা। কানাডা দায়িত্ব সহকারে ও গঠনমূলকভাবে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারের সামনে ভারত থেকে পলাতক খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তার পরেই ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বয়ং ট্রুডো বলেন, “কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে।” ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নিজ্জরকে তিনি কলের মিস্ত্রি বলেও অভিহিত করেন। এর পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কানাডার মিথ্যে ও মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া জবাব দেয় ভারত। যার জেরে ক্রমেই সুর নরম করে চলেছে ট্রুডো সরকার (India Canada Relationship)। এদিকে, দিন কয়েক আগে অটোয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে হামলার ঘটনায় খালিস্তানপন্থী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কানাডা প্রশাসন। যদিও গোপন রাখা হয়েছে তার পরিচয়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Floods: সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ল পাহাড়ের পর্যটনেও! হু হু করে বাতিল হচ্ছে বুকিং

    Sikkim Flash Floods: সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ল পাহাড়ের পর্যটনেও! হু হু করে বাতিল হচ্ছে বুকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ফলে, যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম। কবে রাস্তা মেরামত হবে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির জেরে সিকিমের (Sikkim Flash Floods) পুজোর মুখে পর্যটন ব্যবসা বড়সড় ক্ষতির মুখে দাঁড়াতে চলেছে। বুধবার সকালে এই দুর্যোগের খবর জানার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। কারণ, সিকিমের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর পর্যটকরা আর কেউ দার্জিলিং যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বাতিল করা হচ্ছে বুকিংও। এতে ট্যুর অপারেটর, গাড়ি ও হোটেল ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

    ২০১১ সালের ভূমিকম্পের থেকেও বড় ধাক্কা! (Sikkim Flash Floods)

    ২০১১ সালে মঙ্গনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সিকিমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, এভাবে একাধিক রাস্তা বিলীন হয়ে যায়নি। ফলে সেই ধাক্কা কাটিয়ে পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার আনতে বেশি সময় লাগেনি। পর্যটনে ভর দিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সিকিম। কিন্তু, এবার সিকিমের এই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙে পড়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনেক কঠিন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

     কী বলছেন ট্যুর অপারেটররা?

    ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, সিকিমের (Sikkim Flash Floods) প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উত্তরবঙ্গের পর্যটনেও ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার সিকিমের এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। অনেকে বাগডোগরা পর্যন্ত এসে ভুটানে যাওয়ার জন্য বুকিং করছেন। করোনা সংক্রমণের সময় যে ক্ষতি হয়েছিল, তার থেকে বড় ধাক্কা। করোনাকালের ক্ষতি গত গ্রীষ্মের পর্যটন মরশুমে কাটিয়ে উঠেছিলাম। এবার পুজোয় যে ধরনের বুকিং ছিল, তাতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল হসপিটালিটি নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, সিকিমের এই দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে দিল। এখন দার্জিলিং আর কেউ যেতে চাইছেন না। ভুটান ও ডুয়ার্সে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু, তাতে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

    সিকিম পর্যটন দফতরের উপদেষ্টা কী বললেন?

    সিকিম পর্যটন দফতরের উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, সিকিমের দুর্ঘটনার (Sikkim Flash Floods) পর যা অবস্থা, তাতে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং রাস্তা আগের জায়গায় ফিরে আসবে , তা বলা যাচ্ছে না। এই অনিশ্চয়তার জায়গা থেকে এবার পুজোর ভ্রমণে বহু পর্যটক তাঁদের বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন।

     টয় ট্রেনেও ধাক্কা!

    সিকিমের দুর্ঘটনার জন্য পর্যটকরা দার্জিলিং থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেই ধাক্কা খাবে টয় ট্রেনের জয় রাইড পরিষেবাও। গত বছর পর্যটকের ঢল নামায় টয় ট্রেন সর্বকালীন রেকর্ড আয় করেছিল। এবার কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়ে রেল আধিকারিকরাও চিন্তায় রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান। সংগঠনের কাজে এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন আরএসএসের দফতর কেশব ভবনে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে রাত ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশব ভবনের সামনে। এখানেই তখন ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে।

    কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ

    সোম ও মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানে অভিষেক সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জিনগর থানায়। তার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কেশব ভবনের সামনেও। মোহন ভাগবত (যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না) যেখানে রয়েছেন, সেই কেশব ভবনে বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। দ্রুত রিপোর্ট তলব করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

    দ্রুত রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশে বলা হয়, ওই রাতেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে রাতেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন চলে যান কেশব ভবনে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। কেশব ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা যেমন কথা বলেন, তেমনি কথা বলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রাতেই দিল্লিতে পাঠানো হয় বিস্তারিত রিপোর্ট। উল্লেখ্য, হাতে গোণা য়ে কয়েকজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাঁদেরই একজন হলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই রাতে ভাগবতের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাতেই তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। 

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালকে ‘পর্যটক’ খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা খেললেন আনন্দ বোস, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন ভাগবত। তা সত্ত্বেও কীভাবে মধ্য রাতে কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ অথবা হামলা হলে আমরা প্রতিরোধ করব। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় তৃণমূলের। রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: ‘‘আমি পর্যটক হলে এখানে আসা মন্ত্রীরাও পর্যটক’’, উত্তরবঙ্গে পৌঁছে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের

    Flood: ‘‘আমি পর্যটক হলে এখানে আসা মন্ত্রীরাও পর্যটক’’, উত্তরবঙ্গে পৌঁছে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা (Flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দিল্লি অভিযান শেষে রাজ্যে ফিরতেই তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীদের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এবারও বৃষ্টির জেরে বানভাসি হওয়ার দশা তাঁদের। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যথারীতি তাঁকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ-বাণ ছুড়ল তৃণমূল। পাল্টা দিলেন রাজ্যপালও। তিনি বলেন, “আমি পর্যটক হলে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীরাও পর্যটক।”

    উত্তরবঙ্গে রাজ্যপাল 

    ফি বছর সামান্য বৃষ্টি কিংবা প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানের প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গে। তা সত্ত্বেও বন্যা (Flood)  মোকাবিলার কোনও ব্যবস্থা তৃণমূল সরকারের আমলে করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবারও বৃষ্টি এবং সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানের জেরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তরে। সেই পরিস্থিতিই খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তারপরেই তৃণমূলের তরফে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ-বাণ।

    রাজ্যপালের তির্যক বাণ

    জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় অতিপ্রবল বৃষ্টি হতে পারে। তাই এই তিন জেলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কোনও কোনও জায়গায়। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের ‘পর্যটক’ খোঁচার জবাবে রাজ্যপাল বলেন, “হ্যাঁ, আমি পর্যটক। বিপদগ্রস্ত মানুষদের দেখতে এসেছি। জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি মন্ত্রীদেরও আমার সঙ্গে পর্যটকের মতো আসা উচিত ছিল।”

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে রাজ্যপাল ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীর সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে জেনে নেন রাজ্যের পরিস্থিতি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন তিনি। এদিন উত্তরবঙ্গে গিয়ে বেশ কয়েকজন দুর্গতের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। শোনেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। এদিকে, সিকিমের পরিস্থিতি (Flood) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share