Blog

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat r Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আবার তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) সুজয়কৃষ্ণকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে, বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

    কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা 

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঘনিষ্টতা’র প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সোমবার সুজয়কে তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গত বুধবার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার শুধু সুজয় নন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম সুজয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেন। পরে তাঁর নাম উঠে এসেছিল গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তেও বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সুজয় জানিয়েছিলেন তিনি তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চেনেন না। কিন্তু কুন্তলকে চেনেন। সিবিআই-এর দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির লেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে সিবিআই-এর দাবি। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং গোপাল দলপতির বক্তব্যের সঙ্গে সুজয়ের বয়ানের ক্রস ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। এরপরই ফের কালীঘাটের কাকুকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে এসে তিনিও বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ইডির তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকায় ওই সব সম্পত্তি মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) কিনে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের বিভিন্ন এলাকায় মণীশের নামে ১৫ বিঘে জমির খোঁজ মিলেছে। ওই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইডির দাবি, অনুব্রতর গরু পাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কেনা হয়েছে।

    ইডির তলব…

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি তলব করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সেভাবেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। মঙ্গলবার টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। জানিয়েছেন অনেক তথ্য।

    অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাজ করার পাশাপাশি তাঁকে বুদ্ধিও জোগাতেন মণীশ (Manish Kothari)। কোন সম্পত্তিতে কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে, কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে, সেসব পরামর্শ অনুব্রতকে দিতেন মণীশই। এই মণীশেরই পরামর্শে মেয়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থা বানিয়েছেন অনুব্রত। ইডির দাবি, রূপপুর, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দ্বারকানাথপুর, সুরুল সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে। রূপপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে ওই সব জমি দখল করেছেন মণীশ। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির প্রভাব। ইডির দাবি, গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি হিসেবে অনুব্রত যে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাই মণীশের নামে জমি কেনায় কাজে লাগানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    এদিকে, গত বুধবার দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত, মণীশ (Manish Kothari) এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবি চলছে আন্দোলন। শহিদ মিনার চত্বরে গত ৫১ দিন ধরে ধর্না-অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তাঁদের অনশন আন্দোলন চলছে ৩৭ দিন ধরে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে এবার ডিজিটাল নন কো-অপারেশনের (Digital Non Cooperation) পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়ার মেইল মারফত জানাতে হবে। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজও তাঁরা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

    ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের বক্তব্য…

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না আন্দোলনকারীরা। মিড-ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। আজ, শনিবার থেকে সে সবও বন্ধ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (DA) তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও, পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা।

    এদিকে, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এদিন শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন নৌশাদ। তখনই তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন ধর্নামঞ্চে গিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন। তার পরেও ডিএ-র দাবি মেনে নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Covid New Variant: ফের করোনা আতঙ্ক! ইজরায়েলে সন্ধান মিলল নতুন ভ্যারিয়েন্টের

    Covid New Variant: ফের করোনা আতঙ্ক! ইজরায়েলে সন্ধান মিলল নতুন ভ্যারিয়েন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্ক। এবার ইজরায়েল থেকে এল উদ্বেগ বার্তা। জানা গিয়েছে বিদেশ সফর সেরে ইজরায়েলে ফিরেছিলেন এক দম্পতি, তখনই দেখা যায়, দুজনের শরীরেই ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (covid new variant)। এই নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দেখা যাচ্ছে, এই নতুন প্রজাতিটি বিএ.১ বা ওমিক্রন এবং বিএ.২ (ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট)-এর মিশ্রণ। প্রসঙ্গত কয়েকমাস আগে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ ৭ ব্যাপক সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল সমগ্র চিনে।

    আরও পড়ুন: আজ পাপমোচিনী একাদশী, জানেন এর তাৎপর্য? এক নজরে পুজো-বিধি

    কী জানাল ইজরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    ইজরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, গায়ে ব্যথা রয়েছে। তবে সেগুলি কিছুই খুব সাংঘাতিক মাত্রায় নয়। তাঁদের গুরুতর চিকিৎসারও দরকার পড়ছে না। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই তরুণ দম্পতি নিজেদের সন্তানের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। ইজরায়েলের এক কোভিড বিশেষজ্ঞের কথায় , এক্ষেত্রে দুটি করোনা প্রজাতির মিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। একে অন্যের সংস্পর্শে এলে ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলি (covid new variant) মিশে যাওয়ার চেষ্টাই করে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টগুলি (covid new variant) নিয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন করবে ‘হু’

    ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে মাস্ক পরার নিয়ম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তার পরেই দেশ জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, ওমিক্রনের ক্রমাগত জেনেটিক বিবর্তন সম্পর্কে তারা অবগত। বিষয়টিকে নজরে রাখা হচ্ছে। তাদের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, তারা অতিমারির বর্তমান পরিস্থিতি ও সক্রিয় ভ্যারিয়েন্টগুলি সম্পর্কে জানাতে থাকবে। হু-র বক্তব্য, ‘‘এতে গোটা বিশ্বের ভ্যারিয়েন্ট-চিত্র সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হবে।’’

     

    আরও পড়ুন: মার্কিন এয়ার ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত রবি চৌধুরী

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছেন, এখনও সুরক্ষিত আছে সংখ্যালঘু ভোট। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি থাবা বসিয়েছেন বিরোধীরা? মুসলিম ভোটাররা সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) পাশ থেকে? দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও। আর এই পরাজয়ের জেরেই ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে।

    সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত?

    শুক্রবার, কালীঘাটে (Kalighat) বসেছিল দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যদিও, এর পরেও সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত বলে বৈঠকে দাবি করেন মমতা। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি।’’ তবে দলীয় সূত্রের খবর, মুখে যাই বলুন না কেন তৃণমূলনেত্রী, মুসলিম ভোটের একাংশ যে শাসক দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তা ভালই টের পেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রমাণ স্বরূপ, সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে গতবারের তুলনায় অনেকটাই ভোট কমেছে তৃণমূলের (TMC)। ২ বছরে ভোটপ্রাপ্তির হার ৫০.৯৫ থেকে ৩৪.৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫০,২০৬ ভোটে তৃণমূল জিতেছিল সাগরদিঘিতে। সেখানে তারা এ বার হেরেছে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে।

    সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদল

    সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে হার যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অস্বস্তি ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের সিদ্ধান্তে। উপ-নির্বাচনের পরেই, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ জানতে পাঁচজনের কমিটি তৈরি করেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি, ফুরফুরা শরিফের দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের থেকে নিয়ে বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দেন। আর শুক্রবারের বৈঠকে একাধিক বদলের ঘোষণা করেন মমতা। দলে সংখ্যালঘু মুখদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। যেমন, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন এই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় মমতা নিয়ে এলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। মোশারফ উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সেলের চেয়ারম্যান পদের। সেই পদে এত দিন ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    তবে, গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লারও। তাঁকে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিকুল্লাকে সহযোগিতা করতে দলের আরও দুই সংখ্যালঘু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক। হাজি নুরুলকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি বসিরহাট জেলার তৃণমূলের (TMC) চেয়ারম্যানের পদে রাখা হয়েছে।

    মমতার শুক্রবারের ঘোষণাগুলো কার্যত প্রমাণ করে যে, সাগরদিঘির উপ-নির্বাচনের ফলে শাসক শিবির থরহরিকম্পমান। তাই এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল। এখন দেখার, এই রদবদলের কী প্রভাব পড়ে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়ে কি না!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    ED Raid: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam )  বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Banerjee ) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে শনিবার সকাল থেকেই আলাদা আলাদা দল করে হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির আধিকারিকরা (ED Raid)। তার মধ্যে রয়েছে, ব্যান্ডেলের বালির মোড় এবং ব্যান্ডেল চার্চের কাছের দু’টি বাড়িও। তালিকায় রয়েছে বলাগড়ের চাদরার একটি রিসর্ট। ইডি (ED Raid) সূত্রে খবর, এই দুই সম্পত্তির সঙ্গেই যোগ রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীর। 

    রিসর্টে তল্লাশি

    ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চাদরার এই রিসর্টে তালা। সেই তালা ভাঙতে না পেরে এদিন বড় বড় হাতুড়ি আনান গোয়েন্দারা। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সেখানে ঘরে ঘরে তল্লাশি (ED Raid) জারি রয়েছে। বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ এই রিসর্টে আসেন ইডির আধিকারিকরা। গেটের তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তাঁরা। এরপর ভিতরের ঘরগুলির একের পর এক তালা ভাঙেন তাঁরা। সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে এবং এই সংক্রান্ত অন্য নথির খোঁজে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি (ED Raid)।

    আরও পড়ুন: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    ব্যান্ডেলের বাড়িতে তল্লাশি

    ব্যান্ডেলের বালির মোড়ে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে কয়েক বছর আগে তিরিশ লক্ষ টাকায় একটি দোতলা বাড়ি কেনা হয়। শনিবার সকালে ইডি আধিকারিকরা (ED Raid) সেই বাড়িতেও হানা দেন। বালির মোড়ের দোতলা বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টার পর পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। শান্তনুর বেআইনি কাজকর্মের নথির খোঁজ পেতে এই বাড়িতেও জোরদার তল্লাশি (ED Raid) চলছে। এর মধ্যেই ইডির নজরে আসে চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় শান্তনুর একটি ফ্ল্যাট। সেই বাড়িতেও হানা দেয় ইডির একটি দল। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের চাবি না পাওয়ায় সরাসরি ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে হানা দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার হানা চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক অভিযুক্তকে। তবে সম্প্রতি ইডির নজরে হুগলি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু এবং কুন্তল ঘোষ। ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগও উঠে এসেছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ভারত সীমান্ত গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়েছে বারেবারে। হাতাহাতির ঘটনাতো নজর এড়ায়নি আমাদের, কয়েকমাস আগেই অরুণাচলের তাওয়াংয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছিল দুদেশের সেনা (Indian Army) মুখোমুখি চলে আসায়। কিন্তু এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রেখার পরিস্থিতি কী রকম? শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এলএসি বরাবর ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাওয়াংয়ে ঘটনার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা জওয়ানের মোতায়েন বাড়িয়েছিল ভারত। তাও কমানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

    কী বললেন সেনাপ্রধান? 

    এদিন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা পদক্ষেপ করছে সেনা (Indian Army)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যুদ্ধের ধরণও পাল্টে দিতে পারে।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন সেনাপ্রধান। তাঁর মতে, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধ বুঝিয়ে দিয়েছে জমি দখল এখনও লড়াইয়ের একটি মূল লক্ষ্য। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ে বিবাদ আছে। তাই আমাদের ক্ষেত্রে জমি দখলই হার-জিতের ফয়সালা করবে।’’ তাঁর দাবি, আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল। চিনের সব গতিবিধির উপরে নজর রাখছে ভারত।

    যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা মজুদ রয়েছে

    এদিন সেনাপ্রধান আরও বলেন এলএসি এবং তিনটি সেক্টরে আমাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা (Indian Army) মজুদ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে মিশে আমাদের সক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে সামনের এলাকার রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজ অনেক হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

  • JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস দলটা দেশবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীর দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছেন। শুক্রবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। লন্ডনে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও জানান নাড্ডা।

    রাহুলের বক্তব্য…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়েছে সংসদও। টুলকিট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের মতামত বা পরিকল্পনাকে লিখিত ও ভিডিও-র মাধ্যমে সহজে শেয়ার করা যায়। যা এক ধরনের মাইক্রো ওয়েবসাইট যেখানে কোনও একটি বিষয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, রাহুলের মন্তব্য দেশের নির্বাচিত সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসীকে অপমান করেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাহুলের মন্তব্য দেশদ্রোহীদের হাত শক্ত করেনি? বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলছেন ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ইউরোপ ও আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! ভারত যে ক্রমেই শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে এ দেশে। আর রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশ ও সংসদের অপমান করছেন। পাকিস্তান ও গান্ধী পরিবার কেন এক সুরে কথা বলছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা। জর্জ সোরেস (মার্কিন ধনকুবের) এবং রাহুল গান্ধী কেন একই ভাষায় কথা বলেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

    Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই তৃণমূলের পতাকা গাড়িতে রেখে গরু পাচার (Smuggling) করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সোদপুরে বিটি রোডে ট্রাফিক মোড়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ট্রাকে বিশ্ব বাংলা লোগোর কুপন  ব্যবহার করে দেদার বালি পাচার (Smuggling)  করছে বালি মাফিয়ারা। বিরোধীদের বক্তব্য, গরু পাচারকারী, বালি মাফিয়ারা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা, বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করলে পুলিশ তাদের ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বালি বোঝাই গাড়়ি আটকাতেই আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বালি গাড়ির চালকের কাছে থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি।

    কীভাবে এই জালিয়াতি ধরল প্রশাসন? Smuggling

     গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার (Smuggling)  রুখতে সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওভারলোড আটকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় অভিযান চালানোর সময় সন্দেহ হওয়ায়  শক্তিগড়ে একটি  বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাককে আটকানো হয়। তাতে গাড়ির চালক আধিকারিকদের সামনে রীতিমতো মেজাজ দেখায় বলে অভিযোগ। তার কাছে সরকারি অনুমতি আছে বলে সে দাবি করে। কারণ, বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন থাকলে কেউ ধরবে না, তা আগেই জানত ওই চালক। তাই, সে প্রশাসনের আধিকারিকদের কিছুটা মেজাজও দেখিয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ওই কুপন দেখায়।  আধিকারিকরা বুঝতে পারে, সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো। গাড়িটি তারা আটক করে। আর বালি বোঝাই ট্রাকটি বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। ফলে, আশপাশের জেলাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো বিশ্ববাংলা লোগো বসানো প্যাড বানানোর মূল পান্ডাকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বসিরহাটের এক ব্যক্তি এই ভুয়ো প্যাড তৈরি করেছিল। সে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা এক বালি মাফিয়ার হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি বালি মাফিয়াকে জানায়, যে এই  বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন দেখালে কোন জায়গায় পরিবহণ দপ্তর বা পুলিশ তাদের গাড়ি আটকাবে না।

    এই বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।  বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই (Smuggling)  তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  দেবু টুডু বলেন, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে।  বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ ইডি। চিটফান্ড মামলায় কলকাতার আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পরে তাঁকে ইডি দফতরে তলবও করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয় বসু। তাঁর আবেদন মেনে তাঁকে রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হল, এবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আবেদন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ইডি? 

    পিনকন নামে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। তাঁর বাড়ি, অফিসে ইডি তল্লাশি চালায় কিছুদিন আগে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সঞ্জয় বসু আদালতে জানান, তাঁকে রীতিমতো হয়রান হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সঞ্জয়কে ইডি নোটিস পাঠানোর পরে ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেছিলেন ‘‘ও আমার আইনজীবী। তাই ওকে হেনস্থা করছে।’’ এরপর গত বুধবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আগেভাগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয়। সেই মামলায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাঁকে নোটিস দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি, কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না তারা।

    আরও পড়ুন: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    ইডি সূত্রের দাবি, ১ মার্চ প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরই তাঁকে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়। হাজিরা এড়াতেই নয়া কৌশল নেন সঞ্জয়। তাই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share