Blog

  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ! কালীঘাটের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল বিধায়ক, মুষল পর্ব বলে কটাক্ষ বিজেপির

    TMC: দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ! কালীঘাটের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল বিধায়ক, মুষল পর্ব বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আজ কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ইসলামপুরের বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের কথা শুনতে হয়। বলার কোনও জায়গা নেই। তাই এই বৈঠকে তিনি যোগ দিচ্ছেন না। এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক ব্যাকফুটে। তারপর আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি রাজ্য বিজেপি। উত্তরবঙ্গের বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন ‘মাধ্যম’-কে বলেন, মুষল পর্ব শুরু হয়েছে তৃণমূলে (TMC)। পিসি ভাইপো কোম্পানিতে আর কেউ চাকরি করতে চাইছে না। যতদিন যাবে এই ফাটল তত চওড়া হবে।

    কী বললেন আব্দুল করিম চৌধুরী? 

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের দিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের বিধায়কের অনুযোগ, আজকের বৈঠকে দলের তরফ থেকে কোনও পরিচিত নেতা তাঁকে ফোন করেননি। একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে শুক্রবারের বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি সেই ফোন ধরেননি। করিম চৌধুরীর আরও আক্ষেপ, দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর বিধায়ক থাকার পর সুব্রত বক্সীর কাছে তাঁকে শুনতে হয় ব্যক্তি নয় দল বড়। তিনি এও জানিয়েছেন, ইসলামপুরের তাঁর বিরোধী লোকজনদের দলের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। তাদের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিলে সুব্রত বক্সী তাঁকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে এদিন বেলাগাম লোক বলে তোপও দাগেন তিনি। করিম চোধুরীর আরও অভিযোগ দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর যাবদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোনও রকম কুশল বিনিময়ও করেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • CV Ananda Bose: শাহি দরবারে বাংলার রাজ্যপাল, কী আলোচনা হল?  

    CV Ananda Bose: শাহি দরবারে বাংলার রাজ্যপাল, কী আলোচনা হল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam), ডিএ (DA) ইস্যু নিয়ে আন্দোলন দুইয়ের জেরে উত্তার রাজ্য রাজনীতি। প্রধান সচিব নিয়েও নবান্ন রাজভবন সংঘাত চলছে। এহেন আবহে শুক্রবার অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিন সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছান রাজ্যপাল। সেখানেই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যপালের কাছেও এই দাবি জানানো হয়েছে। শাহি দরবারে সেই বিষয়টিও উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)…

    নবান্ন রাজভবন সংঘাতের বিষয়টিও বৈঠকে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন প্রধান সচিব পদে ছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। নয়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তাঁকে সরিয়ে দেন। তার পর থেকে রাজভবনে প্রধান সচিবের পদটি খালি পড়ে রয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের যোগাযোগের প্রধান কাজটিই করে থাকেন প্রধান সচিব। এই নন্দিনীকে সরানোর দিনই একবার দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় তাঁর সঙ্গে শাহের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। সেবার বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই রাজ্যে ফিরেছিলেন আনন্দ বোস। চলতি সফরে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    গত ১২ মার্চ ডিএর দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ট্যুইট করে সরকারি কর্মীদের অনশন ভাঙার আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই আবহেই শাহি দরবারে রাজ্যপাল। এদিন শাহ-রাজ্যপাল বৈঠকের পর তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কী আলোচনা হয়েছে, তা তো কেউ সঠিক জানে না। তবে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা তো হতেই পারে। তেমনই পরিস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (রাজ্যপাল) তিনি আলোচনা করতেই পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bhangar: ভাঙড়ে তৃণমূলের মিছিলের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের! কেন জানেন?

    Bhangar: ভাঙড়ে তৃণমূলের মিছিলের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় না প্রশাসন। অভিযোগ, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar) মৌন মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মিছিল করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিশ।

    ভাঙড়ের (Bhangar) মিছিল নিয়ে পুলিশের বক্তব্য…

    পুলিশের বক্তব্য, নামেই মৌন মিছিল, মিছিল থেকে মাঝে মধ্যেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন দীর্ঘক্ষণ বাসন্তী হাইওয়ের মতো ব্যস্ত সড়ক অবরুদ্ধ করে মিছিল করা হয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের। ভাঙড় (Bhangar) আইএসএফের (ISF) শক্ত ঘাঁটি। এখানকার বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার পরিবারের সদস্য। রবিবার এই ফুরফুরা শরিফে গিয়ে চোর চোর স্লোগান শুনতে হয় তৃণমূলের সওকত মোল্লাকে। অভিযোগ, তিনি যখন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করে ফুরফুরা মাজার শরিফ এলাকায় ঘুরছিলেন, তখন একদল লোক তাঁকে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকেন। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে মৌন মিছিলের ডাক দেন সওকত।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    এর প্রতিবাদ করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তাঁর প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে এই মিছিলের অনুমতি দিল? পুলিশের বক্তব্য, ২১ জানুয়ারি হাতিশালায় (Bhangar) তৃণমূল-আইএসএফের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। তার জেরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই অনুমতি দেওয়া হয়নি তৃণমূলের কর্মসূচিতে। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙড়ের রড়ালি থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। তার পরেই ভাঙড় থানার পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয় পুলিশের তরফে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মিছিলের উদ্যোক্তা তৃণমূল নেতা সওকত বলেন, মিছিলের অনুমতি আমরা চেয়েছিলাম। পুলিশ তা দেয়নি। মৌন মিছিল করার কথা ছিল। সেটাই হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Banerjee: ‘প্রভাবশালী’দের কথায় কাজ করেছেন শান্তনু! ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    Shantanu Banerjee: ‘প্রভাবশালী’দের কথায় কাজ করেছেন শান্তনু! ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শান্তনু ব্যানার্জির (Shantanu Banerjee) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ফ্রিজ করা হয়েছে শান্তনুর মোট ২৫টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি শান্তনু, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও তাঁদের সংস্থার। আবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে, কয়েকজন ‘প্রভাবশালীর’ নির্দেশে কাজ করেছেন শান্তনু (Shantanu Banerjee) , এমনটাই দাবি তাঁর।

    শান্তনুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

    এর আগের দিন রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়েছিল যে কুন্তল ঘোষ বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকার খোঁজেই, শান্তনুর লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ায় ধৃত যুবনেতা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার নামে খোলা ২৫টির মত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে ইডি। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের গত পাঁচ বছরের লেনদেন ইডির নজরে রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সেগুলি ‘অ্যাটাচ’ করা হবে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে শান্তনুকে।

    আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    শান্তনুর মুখে ‘প্রভাবশালী’দের কথা

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু (Shantanu Banerjee) তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, কয়েক জন প্রভাবশালীর নির্দেশেই তিনি ‘সব কাজ’ করেছেন। হুগলিরই আর এক ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, যাঁকে নিয়োগকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু, তাঁর মাধ্যমে প্রভাবশালীদের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করানো হত বলেও তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বর্ণিত ‘প্রভাবশালী’ কারা, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই তথ্য কতটা সত্যি, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • Santanu Bandopadhyay: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    Santanu Bandopadhyay: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    মাধ্যম নিউজ: সামান্য মোবাইলের দোকান চালাতেন! শাসক দলের রাজনীতির সৌজন্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন তৃনমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Bandopadhyay)। নিয়োগ দুর্নীতিতে আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর মধ্যেই উঠে এল শান্তনুর (Santanu Bandopadhyay) লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কথা। তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পরে যুব তৃনমূলের সঙ্গে আরও একটি সংগঠন সমান্তরালভাবে কাজ শুরু করে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলা ওই সংগঠনের নাম ছিল তৃণমূল যুবা। বর্তমানে যা অস্ত্বিত্বহীন। এই তৃণমূল যুবার নেতা ছিলেন শান্তনু। সেখান থেকে হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। বছর পাঁচেক আগে তারকেশ্বর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতে জেলা পরিষদের আসন পাকা করেন শান্তনু। কিন্তু কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ভোটে জিতলেন! তবে কি কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি? নাকি কাউকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি?

    বিরোধীরা বলছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলেও মাথায় বন্দুক ধরে তাঁদের মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করেন শান্তনু। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সমেত বাকি বিরোধী দলগুলির। এমনকি শাসক দলের লোকেরাও তাঁর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।

    কী বলছেন বিজেপি প্রার্থী সুনীল পাঁজা

    ২০১৮ সালে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া সুনীল পাঁজা জানিয়েছেন, ভোটের আগে শান্তনুর (Santanu Bandopadhyay) গুন্ডাবাহিনী তাঁর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। বাড়ির ভেতরে তাঁর দুই বাচ্চার সামনে মাথায় বন্দুক ধরে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য ভয় দেখায় শান্তনু ও তার গুন্ডা বাহিনী। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অবধি দেয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তারকেশ্বর ৩৪ নম্বর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শান্তনু। ওই বছরে সারা রাজ্য জুড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। এখন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার তিনি। শান্তনু গ্রেফতার হতেই একের পর এক বিতর্কিত তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) চিনা (China) আগ্রাসনের নিন্দা মার্কিন সেনেটে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই (India) অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমন দাবি ভারতের তরফে করা হয়েছে বারবার। এবার অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এমন প্রস্তাব পাশ হল মার্কিন (America) সেনেটেও। ভারত-চিন সীমান্তে ম্যাকমোহন লাইন নিয়ে চিন বারংবার আপত্তি জানালেও, এই প্রসঙ্গে আমেরিকার মত, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই সীমান্তরেখাকে মেনে নেওয়া উচিত চিনের।

    অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) আগ্রাসনের নিন্দা…

    সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে চিন। লাদাখ সীমান্তে চিনের সামরিক আগ্রাসন নিয়েও নিন্দা জানানো হয় এই প্রস্তাবে। কিছু দিন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টেও চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকার চিন সংক্রান্ত প্রস্তাবে শোনা গেল ভারতেই সুর। অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন ও টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    প্রস্তাবে বলা হয়, আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে। সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কেলের মতে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি জানান, এ নিয়ে আমেরিকার কোনও দ্বিধা নেই। মার্কেলে জানান, চিন যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন মার্কিন সেনেটর। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও বলেন তিনি।

    ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেজিংয়ের একাধিপত্য নিয়েও সরব হয়েছে ওয়াশিংটন। কৌশলগত সম্পর্কে থাকা যে কোনও দেশের পাশে আমেরিকা দাঁড়াবে বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে। প্রসঙ্গত, এমন একটা সময় সেনেটে ওই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যখন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘাত তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এহেন আবহে গত বছর অরুণাচল প্রদেশে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে চিন। সেই চেষ্টা রুখে দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে মিটিং-মিছিল নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বিধি দিলেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: রাজ্যে মিটিং-মিছিল নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বিধি দিলেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে  মিছিল, মিটিং, রাজনৈতিক কর্মসূচির (Political Rally) ব্যাপারে বিধি বেঁধে দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, এখন থেকে থানা নয় পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটদের কাছে আবেদন করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। একইসঙ্গে শাসকদলের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সভা, মিছিলের অনুমতির ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার বা কমিশনারেট সমান নীতি বজায় রাখবে এবং কোনও বাছবিচার করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    মিছিল-মিটিং নিরপেক্ষ থাকতে হবে পুলিশকে

    ভাঙড়ে মিছিল করার অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিল সিপিএম। সেই মামলার শুনানি শেষে শুক্রবার  এ ব্যাপারে একটি সার্বিক নীতি তৈরি করে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আশা করছি, রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে বাছবিচার বা পক্ষপাতিত্ব না করে কোনও কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।’’ কোন দল, কোন তারিখ কোথায় কর্মসূচি করার জন্য আবেদন করল তা নথিবদ্ধ করে রাখতে হবে পৃথক রেজিস্টারে। কে কখন আবেদন জমা দিচ্ছে তারও উল্লেখ থাকতে হবে। ক্রমিক সংখ্যা ধরে সেইসব আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেবে পুলিশ। কতজন যোগ দিতে পারে তার আনুমানিক সংখ্যা, কোথায় করতে চায় সেই জায়গা বা মিছিলের রুট জানতে হবে পুলিশকে। স্থানীয় থানা শান্তিশৃঙ্খলার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আবেদন অনলাইনে যাতে সবাই দেখতে পায় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসকে।

    আরও পড়ুন: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    রাজ্যে বিরোধী দলগুলি বরাবরের অভিযোগ মিটিং-মিছিলের অনুমতি মেলে না পুলিশের তরফে। সম্প্রতি ভাঙড়ে সিপিএমের সভার অনুমতি নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। শেষে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় সিপিএম। আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল সভা সংক্রান্ত জট। ২৮ মার্চ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মিছিলে অনুমতি দিতে পুলিশের আপত্তি নেই বলে এদিন আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Piyus Goyal: চলতি আর্থিক বছরে ভারতের রফতানি ৬১ লক্ষ কোটি টাকা ছোঁবে, বললেন পীযুষ গোয়েল

    Piyus Goyal: চলতি আর্থিক বছরে ভারতের রফতানি ৬১ লক্ষ কোটি টাকা ছোঁবে, বললেন পীযুষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল (Piyus Goyal) মতে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের পণ্য ও পরিষেবা সংক্রান্ত রফতানি ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬১ লক্ষ কোটি টাকাতে পৌঁছাবে। তিনি আরও বলেন ২০২১-২২ সালে এটর পরিমান ছিল ৫৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রফতানির পরিমান কিছুটা কমেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানুয়ারি মাসে পণ্য রফতানি ৬.৫ শতাংশ কমেছে বলে জানান তিনি। চলতি আর্থিক বছরে মানে গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এই বছরের জানুয়ারি মাস অবধি মোটের ওপর রফতানি ৮.৫ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে লাগাতার চলছে হিন্দু মেয়েদের ওপর নির্যাতন ও ধর্মান্তকরণ

    তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে দেশ প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে আমরা একদিন নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করব। যে সামিটে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন সেখানে হাজির ছিলেন কানাডার বাণিজ্য মন্ত্রী মেরি এনজি। তিনি বলেন যে কানাডায় ভারতীয় সংস্থাগুলির বিনিয়োগ বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ হল দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করা।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বেড়েছিল ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বলেও জানান তিনি

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনও রাজনীতি করতে চাইনা। তবে পরিসংখ্যান বলছে চিন ও ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি বাণিজ্য বেড়েছিল ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে। এই সময়কালের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আদতে তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় এই সময়কালে বাণিজ্য ২৫ শতাংশ বেড়েছিল।

    আরও পড়ুন: কাল পাপমোচিনী একাদশী, কখন লাগছে তিথি? এক নজরে তাৎপর্য, পুজো-বিধি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কেষ্টর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অন্যদিকে কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে তলব করা হলেও এড়িয়ে যান তিনি। তবে তাঁকে আবার ২০ মার্চ তলব করেছে ইডি, সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মণীশ কোঠারি কেষ্ট-সুকন্যার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আবার জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক তথা রাঁধুনি বিজয় রজক। শুক্রবার বেলার দিকে লাভপুর কলেজের অস্থায়ী কর্মী বিজয়কে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়।

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে সরব মণীশ কোঠারি

    ইডির জেরার মুখে চাপে পড়েন মণীশ কোঠারি। প্রথমে তিনি মুখ না খুললেও পরে তিনি সরব হন কেষ্টর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই।

    ইডি সূত্রের খবর, মণীশ ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেশাদার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র এবং তাঁর কোনও কালো টাকা নেই। নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি। সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল এতদিন। এরপর মণীশের বয়ান থেকেই জানা গেল, কালো টাকাতেই এই ফিক্সড ডিপোজিট।

    সুকন্যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইডির

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এবারে কিছুদিনের সময় দিয়ে ফের ২০ মার্চ তলব করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২০ মার্চও তাঁর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল। অসুস্থতার কথা বলে সেইদিনও তিনি যদি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জেরা করতে পারার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। তারপর যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে কেষ্ট মণ্ডল যেতে পারেন তিহাড়ে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাবার (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে যাতে সুকন্যাকে জেরা করতে না পারে ইডি, তাই তাঁর এমন কৌশল? তবে, সুকন্যার বিরুদ্ধে এবারে নোটিশ জারি করল ইডি। আগামী সোমবারের মধ্যে দিল্লিতে ইডি অফিসে হাজিরা না দিলে সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যার আইনজীবী মারফত তাঁর কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর।

    হাজিরা দিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু সুকন্যা নন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ মোট ১২ জন সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রেরই দাবি, ওই ১২ জনের তালিকাতেই ছিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিজয়। বোলপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা বিজয় অনুব্রতের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে নানা সময় বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই সূত্রে বিজয়ের একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আজ তিনি ইডি দফতের হাজিরা দেন। এনাকেও জেরা করার পর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, এটাই এখন দেখার।

LinkedIn
Share