Blog

  • Delhi: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    Delhi: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। স্কুলের দোতলা থেকে পঞ্চম শ্রেণির খুদে পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লির নগর নিগম বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিল্লির করোলবাগে ওই ঘটনা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। দিল্লির করোলবাগ এলাকার একটি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলার পর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি কার হয় হিন্দুরাও হাসপাতালে। তবে চিকিৎসার পর ওই পড়ুয়ার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে পুলিশ আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম গীতা দেশওয়াল।

    স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা জানায়, গীতা দেশওয়াল নামে ওই শিক্ষিকা ক্লাস চলাকালীন রাগের বশে বন্দনা নামের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলের বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। এই ঘটনা ঘটার আগে ওই শিক্ষিকা কাঁচি নিয়ে ওই শিশুটিকে তাড়া করেন। ঘটনাটি ওই স্কুলের আর এক শিক্ষিকা রিয়ার নজরে আসলে, তিনি গীতাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সওয়া ১১টা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন (Delhi) হঠাৎ করেই গীতা রাগের বসে বন্দনাকে একেবারে স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর কবে হবে জেইই মেইন, নীট? সময়সূচী প্রকাশ করল এনটিএ

    শিশুটিকে যখন ওই শিক্ষিকা বারান্দা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে দেন, তখন অনেকেই ঘটনাস্থলে (Delhi) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। শিশুটি দিল্লির বড়া হিন্দুরা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। কেন ওইভাবে শিশুটিকে মারধর করা হচ্ছিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে আহত ছাত্রী? 

    পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ছাত্রী নিজের বয়ানে জানিয়েছে শুক্রবার স্কুলে (Delhi) ওই শিক্ষিকা তাকে কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করে, মারধরও করেন। এরপর তাঁকে স্কুলের দোতলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,আহত পড়ুয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আঘাত গুরুতর হলেও পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া আপাতত বিপদমুক্ত।

    অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেকর্ড ভারতীয় রেলওয়ের! জম্মু-কাশ্মীরে তৈরি করা হল ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘এসকেপ টানেল’ (Escape Tunnel)। এটি ভারতের দীর্ঘতম এসকেপ টানেল। এটি তৈরি করে দেশের মুকুটে নয়া পালক যুক্ত করল ভারতীয় রেলওয়ে। উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনে বানিহাল-কাটরা সেকশনে এই ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হল।

    ভারতের দীর্ঘতম  সুরঙ্গ

    এর আগেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল টি-৪৯  তৈরি করা হয়েছিল। আর এর পরে এটি বানিহাল-কাটরা লাইনের চতুর্থ টানেল। গতকাল, বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বানিহাল থেকে কাটরা অবধি ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কোনও জরুরি অবস্থা বা বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

    দীর্ঘতম এসকেপ টানেল সম্পর্কে কিছু তথ্য

    ১) কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এটি বানিহাল-কাটরা রুটের চতুর্থ টানেল (Escape Tunnel)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, টি-৪৯ নামক ১২.৭৫ কিমির টানেলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    ২) ১১১ কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি ভারতের সবথেকে বড় এসকেপ টানেল (Escape Tunnel), যা বিপর্যয়ের সময়ে নিরাপদভাবে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যেতে সাহায্য করবে।

    ৩) এর আগে উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনেই রিয়াসি জেলার কৌরি অঞ্চলে চেনাব নদীর উপর বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ও কাশ্মীরের যোগাযোগের ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছে ভারতীয় রেল।

    ৪) এই সুরঙ্গ বা টানেলটি (Escape Tunnel) ঘোড়ার নালের আকারের মত, যা দক্ষিণ দিকে সাম্বার স্টেশন ইয়ার্ডের সঙ্গে খোদা গ্রামের খোদা নল্লার ৪ নম্বর সেতু অতিক্রম করার পরে উত্তর দিকে টি-৫০ টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সাম্বারের দক্ষিণ প্রান্তটি প্রায় ১৪০০.৫ মিটার উঁচু, যখন উত্তর প্রান্তটি ১৫৫৮.৮৪ মিটার উঁচু।

    ৫) হিমালয়ের রামবান অঞ্চলের উপর দিয়ে এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। সুড়ঙ্গের পাশ দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে খরস্রোতা চেনাব নদী।

    ৬) কর্তৃপক্ষের মতে, টানেল টি-৪৯ হল একটি টুইন টিউব টানেল, যার একটি মূল টানেল (১২.৭৫ কিমি) এবং এসকেপ টানেলের (১২.৮৯৫ কিমি) অন্তর্গত ও ৩৩টি ক্রস-প্যাসেজ দ্বারা সংযুক্ত।

    ৭)ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সুরঙ্গের নির্মাণের সময় বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। তবে শেষপর্যন্ত এই টানেল তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়েছে।

  • Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বুধবার আসানসোলের (Asansol) ওই দুর্ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আসানসোল উত্তর থানায়। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করা হয়েছে। ই অভিযোগের ভিত্তিতে কম্বলদান কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি সহ বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে মামলা। এদিকে, কম্বলদানের কর্মসূচিতে বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম বলেন, কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে।

    অভিযোগ…

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি সহ একাধিক নেতার নামে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রের কোথাও নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। জিতেন্দ্র, চৈতালি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিতেন্দ্রও বলেন, তৃণমূল তাড়াহুড়ো করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    আসানসোলের ওই দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। কেন দশ দিন আগে অনুমতির আবেদনের চিঠি পেয়েও তারা কোনও উত্তর দেয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন আয়োজকরা। দুর্ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তিনি ঘটনাস্থল ছাড়ার পর সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় নিরাপত্তা। তার পরেই ঘটেছে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। এত জমায়েত নজরে আসা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, কেনই বা সরিয়ে নেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের অনেকেই। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দান করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোট জায়গায় প্রচুর লোক জড়ো হয়ে যাওয়ার বিপর্যয় ঘটে বলে অনুমান। ওই ঘটনায় বিজেপির নাম জড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) জেরে বিপাকে পড়েছে নীতিশের গটবন্ধন সরকার। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এখনও অনেকেই অসুস্থ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এরই মাঝে এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। তাঁর দাবি, বিষ মদ কাণ্ডে (Hooch Tragedy) মৃতের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করছে বিহার সরকার। তিনি আরও দাবি করেন, অসুস্থদের মধ্যে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আনেনি নীতিশ প্রশাসন। সুশীল মোদি বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়ে মৃত দেহ লুকিয়ে রাখছে সরকার। এটাই প্রথম না। এই ঘটনার কিছুদিন আগে আরও এক জায়গায় বিষ মদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।” 

    এর আগে ১৫ ডিসেম্বর নীতিশ প্রশাসনকে এক হাত নেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “মদ (Hooch Tragedy) অনেকটা ঈশ্বরের মতো। চোখে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে।” আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দাবি করেন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অপারক নীতিশ প্রশাসন।

    এদিকে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) তদন্ত এবং মৃতের পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ শুক্রবার, রাজ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। 

    ২০১৬ সালেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে। তবুও মদ বিভীষিকা পিছু ছাড়ছে না নীতিশ কুমারের। নিয়মিতহারে বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে রাজ্যের যত্রতত্র। এই মৃত্যু কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনও কেউই বলতে পারছেন না।

    এই ঘটনায় (Hooch Tragedy) নীতিশ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা নীতিশের পদত্যাগের দাবি করেছেন। এমনকী বিধানসভায় নীতীশ কুমার তাঁর আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, এমন দাবিও তোলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার নীতীশ বিষ মদ কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “মদ অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস। মদ খেলে মরতেই হবে। সাম্প্রতিক ঘটনা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।” নীতিশের এই ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্যের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার বিধানসভা।

    আরও পড়ুন: সুপারম্যান চরিত্রে আর ফিরবেন না, নিজেই জানালেন হেনরি ক্যাভিল

    ছাপরার বিষ মদ কাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে স্টেশন হাউস অফিসার রীতেশ মিশ্র, কনস্টেবল বিকেশ তিওয়ারীকে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। মরহৌরা সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার যোগেন্দ্র কুমারের সুপারিশে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর কারা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

    ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী বললেন নীতিশ? 

    বিরোধীরা মৃতের পরিবারকে (Hooch Tragedy) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুললে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, “শেষবার যখন বিষমদ কাণ্ডে কারোর মৃত্যু হয়েছিল সেই সময় তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন কয়েকজন। কেউ মদ্যপান করেন তাঁরা মারা যাবেন। এবং তার উদাহরণ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। সমবেদনা জানাই। এতে সরকারের কিছু করার নেই।” তিনি এদিন আরও বলেন, “আমি পুলিশ অফিসারদের বলেছি, তাঁরা যেন দরিদ্রদের না গ্রেফতার করেন। যারা রাজ্যে মদ তৈরি করছে এবং এর ব্যবসা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা উচিত। তারা এই কাজ ছেড়ে নতুন করে অন্য কোনও কাজ শুরু করতে চাইলে বিহার সরকার তাদের নতুন কাজ শুরু করার জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তুত। দরকার পড়লে আমরা এই টাকার পরিমাণও বাড়িয়ে দেব। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফল উৎক্ষেপণ! চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারেই অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ফলে ভারতীয় সেনার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। ৫০০০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ

    কয়েকদিন আগে থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্ত। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। ফলে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) পরই এই উৎক্ষেপণকে (Agni 5) তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৫০০০ কিলোমিটার দূরের কোনও টার্গেটেও আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৫ (Agni 5)। অর্থাৎ প্রায় গোটা চিনের বেজিং সহ যে কোনও জায়গায় গিয়ে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম যাচাই করার জন্য গতকাল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল, যা সাফল্য এনে দিয়েছে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    অগ্নি-৫-এর বিষয়ে কিছু তথ্য

    ১) অগ্নি ৫-এর সিরিজে সব থেকে এগিয়ে থাকা মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম ‘অগ্নি ৫’ (Agni 5)। ৫০০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল। অগ্নি ১ ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিমি, অগ্নি ২ মিসাইল ২০০০ কিমি, অগ্নি ৩ এবং ৪  আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ২) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৭ মিটার। পরিধি ২ মিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম, যেটি ৫০০০ কিমির দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে সক্ষম। এটি সমগ্র এশিয়া, ইউরোপের কিছু এলাকাকেও তার লক্ষ্যের আওতায় আনতে সক্ষম।

    ৩) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) মাধ্যমে পরমাণু হামলাও চালানো যাবে। ১,৫০০ কেজি পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এই অগ্নি-৫।

    ৪) অগ্নি-৫ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হল চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

    ৫) এই নিয়ে টানা নবমবারের জন্য অগ্নি -৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। আবার এ বছর ১৫ ডিসেম্বর ওড়িশা উপকূলে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়। প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১২ সালে।

    ৬) এই সফল পরীক্ষার মাধ্যমে, অগ্নি ৫ (Agni 5) ভারতের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে।

    উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার হাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র (Agni 5) চলে আসায় চিন ও পাকিস্তান অনেকটাই উদ্বিগ্ন থাকবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ এছাড়াও ৯ ডিসেম্বরের ভারত-চিন সীমান্তের সংঘর্ষের পর নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। আবার এরই মধ্যে মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ স্বাভাবিকভাবেই চাপে ফেলল শত্রু দেশগুলোকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।

    স্মারকলিপিতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে বা গোপনে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে থাকা শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে এও দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১তম গ্রেনেড হামলা এবং ৭১- এর নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান 

    কী বলল মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ? 

    স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, “যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান এবং দু লক্ষ মহিলা ধর্ষিতা হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের প্রতিশোধ নিতে, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। জিয়া-মোশতাকের সহায়তায় পাকিস্তান সেনা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু (Bangladesh) কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান বিরোধী দলকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে মানব সুরক্ষা তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতার মৃত্যু হয়।  

    বাংলাদেশ (Bangladesh) মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আরও বলে, “এসব হত্যাকাণ্ডের দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে। আমরা জাতিসংঘের কাছে দাবি করছি যে, ১৯৭১ সালে গণহত্যা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার হোক। সাজা দেওয়া হোক অপরাধীদের।” 

    সম্প্রতি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাঙালি (Bangladesh) এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের “গণহত্যা” অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ হোয়াইট হাউস ইসলামাবাদের এই কাণ্ডের নিন্দা করেছে কিছুদিন আগেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষকে ‘চোর’ ও ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন জায়াগায় পোস্টার,ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নীল রংয়ের এই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, কল্যাণ ঘোষ সবসে বড়া চিটিংবাজ, ধান্দাবাজ, তোলাবাজ আর চোর হ্যায়।’ এরপরেই লেখা রয়েছে, ‘হাওড়ার মানুষ ডাক দিচ্ছে কল্যাণ ঘোষ নিপাত যাক।’ ব্যানারের একেবারে নিচে লেখা রয়েছে, তৃণমূল কর্মীবৃন্দের তরফে এই ব্যানার প্রচার করা হচ্ছে। ফেস্টুন-পোস্টারের নীচে ‘তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ লেখা থাকায় চাপানউতোর শুরু হয় শাসকদলের অন্দরেও।

    বিজেপি-তৃণমূল তরজা

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পোস্টার ঘিরে সরগরম হাওড়ার রাজনীতি। বিজেপির পক্ষে উমেশ রাই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপক দূর্নীতি আছে। তাই এইধরনের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটা ঘটনার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের একটি অংশ কাজ করছে বলে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিল সেই লোকেরাই তৃণমূল কর্মীদের নাম করে এই ধরনের পোস্টার সাঁটাচ্ছে। তাঁর কথায়, এই লোকেদের ‘ধান্দাবাজি’ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই দল এবং দলের নামে বদনামের চেষ্টা করছে। 

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এই ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ডোমজুড়ে নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সব প্রায়ই হতো। কিন্তু রাজীব বর্তমানে তৃণমূলে। তার পরেও এই ঘটনা ফের ঘটায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সকালে নজরে আসার পরই পোস্টার ও ফেস্টুনগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গোল না পেলেও মন জিতে নিলেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। শুধু ম্যাচে নয়, ম্যাচের পরে বন্ধুত্বের বার্তায়। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই লড়াই ভুলে প্রতিপক্ষ দলের তারকা আশরাফ হাকিমিকে জড়িয়ে ধরলেন এমবাপে। বদলে ফেলেন জার্সি। আসল ঘটনা হলো, এমবাপে ও হাকিমি খেলেন একই ক্লাব পিএসজিতে। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের হয়ে তারা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়লেও, মাঠের বাইরের বন্ধুত্বে কোনো চির ধরেনি। তারই ছবি ধরা পড়লো বুধবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে।

    জার্সি বদল

    ম্যাচের শেষে দুই বন্ধু কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় এক ফ্রেমে। ফাইনালে ওঠার পর, ফ্রান্সের সকল ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের যখন দেখা গিয়েছিল সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে, সেই সময় হাকিমিকে খোঁজার জন্য মরক্কো শিবিরের কাছে দেখা যায় এমবাপেকে। এরপরই ক্লাব ফুটবলের দুই সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে, এবং জার্সি বদল করতে।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাশামতোই রবিবার মেসি বনাম এমবাপে! মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

    হাকিমির উদ্দেশে এমবাপের বার্তা

    ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মরক্কো শিবিরের দিকে ফিরে আসেন আশরাফ হাকিমি। দেশকে ফাইনালে তুলতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু বন্ধুর সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি হাকিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে হাকিমির জার্সি পরে এমবাপের জয়ের সেলিব্রেশন  ঝড় তুলেছে। একই সঙ্গে এমবাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাকিমির উদেশে লিখেছেন, ” মন খারাপ করো না ভাই। তোমরা যা করে দেখিয়েছো, তার জন্য সবাই গর্বিত।” তোমরা ইতিহাস লিখেছো ফাইনালে উঠতে না পারলেও মরক্কো এবারের বিশ্বকাপে দারুণ চমক দিয়েছে। অপরাজিত থেকে তারা উঠেছিল সেমি ফাইনালে। হাকিমিরা হারিয়েছে স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী দলকে। তাই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েও মরক্কো, বন্দিত হচ্ছে ফুটবল মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Weather: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    Kolkata Weather: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ফিরছে শীত। শুক্রবার থেকে কলকাতায় বইতে পারে উত্তুরে হাওয়া (Kolkata Weather)। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস। সপ্তাহের শেষে শনি ও রবিবার জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে শহর কলকাতায়। পারদ নামতে পারে ১৫ ডিগ্রির নিচে। দার্জিলিংয়ে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তুষারপাত অব্যহত থাকবে সিকিমে।   

    ঘূর্ণিঝড় মান্দৌসের জেরে গত কয়েকদিন শীত উধাও হয়েছিল রাজ্য থেকে। রাতের তাপমাত্রাও বেড়েছিল বেশ খানিকটা। কিন্তু বুধবার থেকে ফের শীতের (Kolkata Weather) আমেজ ফিরতে শুরু করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বড়দিনের আগেই শহরে জাঁকিয়ে ফিরতে চলছে শীত। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই উত্তরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ থাকবে।

    কী বলছে হাওয়া অফিস? 

    সপ্তাহের শেষে জেলাগুলিতে পারদ নামতে পারে ১২ ডিগ্রিতে। সকালের দিকে আকাশ থাকবে কুয়াশাচ্ছন্ন (Kolkata Weather)। তবে কলকাতায় এই মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে হাল্কা বৃষ্টিপাত হতে পারে। 
     
    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এই মুহূর্তে পূর্ব ভারত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। তার প্রভাবে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃষ্টি ও সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যেতেই তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে ৪ ডিগ্রি। একইভাবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও (Kolkata Weather) আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। তাপমাত্রা কমতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি। 

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকাল থেকেই ফের শীতের আমেজ শহরে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া আপডেট (Kolkata Weather) অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.২ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২৮ ডিগ্রিতে। ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপাতত বজায় থাকবে শীত। 

    এদিকে আন্দামান (Kolkata Weather) সমুদ্রের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ আন্দামান ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ ও পরে আরও শক্তিশালী হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ওই এলাকায় সমুদ্রে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Boycott Pathan: ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্ক! পাঠান সিনেমা বন্ধের হুমকি

    Boycott Pathan: ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্ক! পাঠান সিনেমা বন্ধের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাঠান’ সিনেমা নিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। এ বার তাতে নয়া উপাদান যোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। এই সিনেমার বেশরম রং গানটিতে দীপিকা পাড়ুকোনের পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে তাঁর পোশাকের রং নিয়েও। মঙ্গলবারই সোশ্যাল মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। গানের দৃশ্য শেয়ার করেই ছবিটি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং ‘বয়কট পাঠান’। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে পাঠানকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন অনেকে।

    যা নিয়ে বিতর্ক

    গানের একটি দৃশ্যে দীপিকাকে একটি গেরুয়া রঙের মনোকিনিতে দেখা গিয়েছে। আবার গানের নাম রাখা হয়েছে ‘বেশরম রং’ আর এইখানেই চটেছেন অনেকে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র তো সাফ জানিয়েছেন দীপিকা যেভাবে পোশাক পরে এই গানে অভিনয় করেছেন তা অত্যন্ত অভব্য। দীপিকা যে পোশাক পরে আছেন তার রং নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, গানে যেসব অভিব্যক্তি রয়েছে তা জঘন্য মানসিকতার পরিচয় বহন করছে। বলেছেন, শাহরুখ ও দীপিকা অভিনীত পাঠান সিনেমার বেশরম রঙ গানটিতে যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা খুবই কুরুচিকর এবং আপত্তিকর দৃশ্য। তিনি আরও জানান, যদি এই সিনেমা থেকে এই পোশাক পরিহিত দৃশ্য পরিবর্তন না করা হয় তাহলে পাঠান সিনেমাটিকে রাজ্যে মুক্তি দিতে দেবেন না তিনি। এই সিনেমার পোশাক ও দৃশ্যের পরিবর্তন করা দরকার বলে ট্যুইট বার্তায় জানান নরোত্তম। সেখানে তিনি দীপিকা পাড়ুকোনকে কটাক্ষ করে বলেছেন টুকরো টুকরো গ্যাংয়ের সমর্থক তিনি। তাই এই ধরনের কাজ করতে তাঁর আটাকাচ্ছে না। ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান এই দৃশ্য।

    আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র

    ছবি বন্ধের ডাক

    হিন্দু মহাসভার তরফে এই গানের বিরোধিতা করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজ একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন,’শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান ছবির ‘বেশরম রঙ’ গানটিতে গেরুয়া ও হিন্দু সংস্কৃতির অপমান করা হয়েছে। এখন কি সেন্সার বোর্ড ঘুমাচ্ছে? আমরা সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। হিন্দুসভা এই গানের বিরোধিতা করবে।’ পোশাক নিয়ে সুর চড়িয়েছে সংস্কৃতি বাঁচাও মঞ্চ। তাদের তরফেও দাবি করা হয়েছে, ওই গানে দীপিকার পোশাক সরাসরি গেরুয়া পোশাকের অবমাননা। আর তাদের মঞ্চ কিছুতেই এসব বরদাস্ত করবেনা। সাধ্বী প্রাচী গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে ‘পাঠান’-কে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share