Blog

  • Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি (Judges) নিয়োগের নয়া ব্যবস্থা তৈরি না হলে উচ্চ আদালতে (High Court) শূন্য পদের সমস্যা মিটবে না। পুরানো মামলার পাহাড়ও কমানো যাবে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এই কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। মাসখানেক আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের যে কলেজিয়াম ব্যবস্থা রয়েছে, তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এদিনও কলেজিয়ামকেই ফের একবার নিশানা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবারও তিনি বলেছিলেন, এত মামলা যখন ঝুলে রয়েছে, তখন জামিনের আর্জি শোনা উচিত নয় সুপ্রিম কোর্টের।

    শূন্যপদের সংখ্যা…

    এদিন রাজ্যসভায় মোদি (PM Modi) সরকারের আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে বকেয়া মামলার সমস্যা মিটছে না। শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আদালতে ছুটির তালিকা যে দীর্ঘ, এদিন তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বছরে ১৪১ দিন, হাইকোর্টগুলিতে বছরে ১৫৫ দিন ছুটি থাকে। অনেক দিন ছুটি থাকায় মানুষের বিচার পেতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু আইনমন্ত্রী নন, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও বিঁধেছিলেন বিচার বিভাগকে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সংসদে পাশ হওয়ার পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন খারিজ করে দেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মামলার সংখ্যা পাঁচ কোটির কাছাকাছি। তিনি বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। তবে তার মধ্যে প্রধান কারণটি হল, বিচারপতি নিয়োগ এবং শূন্যপদ পূরণ। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, ডিস্ট্রক্ট এবং লোয়ার কোর্টগুলিতে বিচারপতি ও বিচারক মিলিয়ে রয়েছেন ১৯ হাজার ১৯২ জন। যদিও পদ রয়েছে ২৫ হাজার ১১টি। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে পিটিশন জমা পড়ে রয়েছে ৫৯.৫৬ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা…

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    Bilawal Bhutto Zardari: প্রধানমন্ত্রীকে ‘বেনজির’ আক্রমণ, বিলাওয়ালের কুশপুতুল পোড়াবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বেনজির-পুত্র, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। পাক বিদেশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে পথে নামছে বিজেপি। আজ, শনিবার দেশজুড়ে জানানো হবে প্রতিবাদ। পোড়ানো হবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কুশপুতুলও। প্রসঙ্গত, বিলাওয়াল প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে।

    বিজেপির কর্মসূচি…

    এদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির তরফে জারি করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লি সহ দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, বিজেপির কার্যকর্তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করবেন। এভাবেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। শুক্রবার দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। সেখানেই তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবস। এমন একটি দিনে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিলাওয়ালের ওই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে হয় সমালোচনা। এদিনই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বিলাওয়ালের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাকিস্তানে ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাক সেনা।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য তাদের দেশের মানের তুলনায় বেশ নিচু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

  • Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক লড়াইয়ে উত্তর দিতে না পেরে অবশেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ব্যক্তিগতভাবে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের তুলনা করে বসলেন তিনি। আর এর ফলে তাঁকেও ভারত থেকে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়া হল। বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। অন্যদিকে দিল্লিতে বিজেপির দলীয় কর্মীরাও এই মন্তব্যের জেরে ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো?

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। বিশ্বজুড়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান, তা একেবারে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ফলে বিশ্বের মঞ্চে সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে জয়শঙ্করের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে না পেরে মোদির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যক্তিগত আক্রমণে নামেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন, কিন্তু গুজরাটের কসাই বেঁচে আছেন এবং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাক মন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ বলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও তাঁর মন্তব্যের তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। মীনাক্ষি লেখি বলেছেন, “তিনি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং তিনি নিজেই ব্যর্থ, তাই পাকিস্তানও ব্যর্থ। যাদের সন্ত্রাসী মানসিকতা আছে, তাদের কাছ থেকে আপনি কী আশা করতে পারেন?” অনুরাগ ঠাকুর এই মন্তব্যকে “জঘন্য ও লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেছেন।  আবার নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত নিম্নমানের। এটি পাকিস্তানের জন্য়ও নিম্নমানের।’ এই মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতীয় সেনার সামনে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনা যেভাবে হিন্দু এবং বাংলাদেশিদের উপর অত্যাচার শুরু করে, আজকের দিনে তার পরিসমাপ্তি হয়। সেই সব কথা পাকিস্তান ভুলে গিয়েছে বলেও বিলাওয়াল ভুট্টোকে কড়া আক্রমণ করে দিল্লি।

    বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

    গুজরাটের কসাই (Narendra Modi) মন্তব্যকে তীব্র নিন্দা করে দিল্লিতে বিজেপির কর্মীরা পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁরা ‘পাকিস্তান হায় হায়’ ও ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দিল্লি পুলিশ বিজেপি কর্মীদের পাক দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে ব্যারিকেড দিয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা প্রথম দফা ব্যারিকেড ভেঙ্গে দূতাবাসের দিকে মিছিল করতে থাকে।

  • J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    J & K: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা হাসপাতালের সামনে গুলি, হত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরিতে (Rajouri) সেনা হাসপাতালের (Military hospital) সামনেই অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিদের (unidentified terrorists) গুলিতে মৃত্যু (death) হল দুই ব্যক্তির। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকেরা।

    কী হয়েছিল

    এপ্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পসের (White Knight Corps) তরফ থেকে ট্যুইট বার্তায় জানান হয়, “শুক্রবার ভোরে রাজৌরির সেনা হাসপাতালের কাছে অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। এর ফলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ (Police), নিরাপত্তা বাহিনী (security forces) ও স্থানীয় প্রশাসনের (civil administration) আধিকারিকরা (officials) রয়েছেন।” এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও এক যুবক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মৃতদের নাম শালিন্দর কুমার ও কমল কিশোর। দুজনেই রাজৌরির বাসিন্দা। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ভেতরে ক্য়ান্টিন রয়েছে। সম্ভবত সেদিকেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই গুলি চালান হয়।

    আরও পড়ুন: আজ না হয় কাল, জম্মু ও কাশ্মীর ফের রাজ্যের তকমা পাবে! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    স্থানীয়দের বিক্ষোভ

    এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনজন রোজই ভোর সাড়ে ৫টা-৬টা নাগাদ ক্যান্টিনে যেত। এদিনও সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ তারা আলফা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সেনা সূত্রে খবর, মৃত দুই যুবক সেনা ছাউনিতে পোর্টারের কাজ করতেন। জখম সিভিলিয়ানের অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনার পরই  এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে থাকে। জম্মু-পুঞ্চ হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে গুলি চালানোর সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। গোটা এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জম্মু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে রাজৌরি সেক্টরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pathaan: সোশ্যাল মিডিয়ায় সংকীর্ণ মানসিকতা প্রকাশ পায়! ‘পাঠান’ বিতর্কে মুখ খুললেন শাহরুখ খান

    Pathaan: সোশ্যাল মিডিয়ায় সংকীর্ণ মানসিকতা প্রকাশ পায়! ‘পাঠান’ বিতর্কে মুখ খুললেন শাহরুখ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেট দুনিয়ায় পাঠান বয়কটের ডাক। গত কয়েকদিন ধরেই ‘পাঠান’ সিনেমার ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল বয়কট ট্রেন্ড। এরই মধ্যে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন শাখরুখ খান। তিনি বলেন, “আধুনিক সময়ে অন্যতম জোরাল মাধ্যম সিনেমা…সোশ্যাল মিডিয়া সিনেমাকে নেগেটিভভাবে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয়। এই সময় সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় সংকীর্ণ মানসিকতার প্রকাশ করা হয়।” 

    আর যা বললেন শাহরুখ

    বৃহস্পতিবার ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে শহরে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় তিনি সিনেমার উপর সমাজমাধ্যমের কুপ্রভাবের প্রসঙ্গ তুললেন। শাহরুখ বললেন, ‘‘সমাজমাধ্যম থাকায় এখন অনেকেরই চিন্তাভাবনার পরিসরটা ছোট হয়ে আসছে। তবে আমার বিশ্বাস সিনেমা এর চেয়ে অনেক বড়। এবং সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে সে নিজের মতো টিকে থাকবে।’’ সুকৌশলে স্পষ্টভাবে পাঠান প্রসঙ্গ না তুলে  সিনেমা বয়কটের সমালোচনা করলেন কিং খান। তিনি আরও বলেন, “যাই হয়ে যাক আমার মতো মানুষরা সবসময় পজিটিভ থাকবে।” বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতির মানুষদের মিলিয়ে দেয় সিনেমা। এক্ষেত্রে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কলকাতা থেকে এই উৎসবের মাধ্যমে ‘মুক্তমনা’ দুনিয়া গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। বাদশার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্যের শেষে। বক্তৃতার শেষে ‘পাঠান’ ছবির সংলাপ ধার করে তিনি বলেন, ‘‘ম্যাঁয়, আপ অওর সব পজিটিভ লোক অভি জিন্দা হ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্ক! পাঠান সিনেমা বন্ধের হুমকি

    প্রসঙ্গত, ‘পাঠান’-এর প্রথম গানের ভিডিয়ো মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক বেড়েছে। ‘বেশরম রং’-গানে গেরুয়া রঙের পোশাক পরে খোলামেলা দীপিকা পাড়ুকোনকে শাহরুখ খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র দাবি করেছেন, এই গানের দৃশ্যগুলি কুরুচিকর, অশ্লীল। সেগুলি সংশোধন না করলে মধ্যপ্রদেশে এই ছবির প্রদর্শন হবে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Argentina: মেসি জ্বরে কাবু বাংলার এই চা-বিক্রেতা, বাড়ি থেকে দোকান সবই নীল-সাদা রঙে রাঙানো

    Argentina: মেসি জ্বরে কাবু বাংলার এই চা-বিক্রেতা, বাড়ি থেকে দোকান সবই নীল-সাদা রঙে রাঙানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা, বিশেষ করে ফুটবল বললেই বাঙালির মনে হইচই শুরু হয়ে যায়। ফিফা শুরুর আগে থেকেই বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বাঙালির আবেগে সেজে উঠেছিল বিভিন্ন দলের পতাকা সহ পাড়ার অলিগলি। তবে এক মেসি ভক্তের কাণ্ড নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। তাঁর নাম শিবা পাত্র ও তিনি পেশায় চা-বিক্রেতা। চা বিক্রির উপার্জিত টাকায় বানিয়ে ফেললেন মেসির মূর্তি। তিনি মেসিকে ‘ভাই’ বলে মনে করেন। বিশ্বকাপের শুরুতেই উন্মোচন করেন ‘ভাই’ মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি, দোকান সব নীল-সাদা রঙে রাঙানো। ফুটবল, আজের্ন্টিনা ও মেসিকে কতটা ভালোবাসলে ও তাঁর কত বড় ভক্ত হলে এমন কাণ্ড করা যায়, তারই উদাহরণ এই ব্যক্তি।

    মেসি ভক্ত…

    ইছাপুরের নবাবগঞ্জের চা বিক্রেতা শিবা পাত্র। আর্জেন্টিনার এত বড় ভক্ত তিনি, যে উদ্যোগ নিয়ে আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবই তৈরি করে ফেলেছেন। প্রতিবারই ফুটবল বিশ্বকাপের আগে নিজের বাড়িতে সাদা-নীল রঙে রাঙিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এমনকী তাঁর বাড়ির ভিতরটাও নীল-সাদা। আলমারি ও সিলিং-এও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ করা হয়েছে। আর এবারে তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তাঁর নিজের টাকায় মূর্তিও বানিয়ে ফেললেন শিবা পাত্র।

    তাঁর স্বপ্ন ছিল ‘ভাই’ মেসির খেলা কাতারে গিয়ে দেখার, কিন্তু তা সম্ভব না হলে এখানেই বানিয়ে ফেলেন মেসির মূর্তি। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ির পাশাপাশি চায়ের দোকানও আজের্ন্টিনার পতাকার নীল-সাদা রঙে ভরা। তিনি তাঁর উপার্জন করা টাকা জমিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা, ফেস্টুন, মেসি এবং মারাদোনার ছবি দিয়ে তাঁর এলাকা সাজিয়েছেন।

    শিবা পাত্র কী বললেন?

    তাঁর আর্জেন্টিনার প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আর্জেন্টিনার মেসি আমার ভাইয়ের মত। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে আর্জেন্টিনার খেলা পছন্দ করি। আমি নিজে ফুটবল খেলতাম। আমি মারাদোনা কেও পছন্দ করতাম। কিন্তু মেসি আমার ভাই। ভারত যদি কখনও বিশ্বকাপ খেলতে পারে তাহলে আমি ভারতের সমর্থক হব কিন্তু মেসি আমার ভাইয়ের মত।”  তিনি আরও বলেন, “আমি সত্যি ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যেতে চেয়েছিলাম এবং অর্থ সঞ্চয় করেছিলাম। কিন্তু আমি তার পরিবর্তে সেই টাকা দিয়ে একটি মেসির মূর্তি তৈরি করে দোকানের পাশে রেখেছি।  

    শিবা পাত্রর স্ত্রী বলেছেন, “আমরা তাঁর অনুভূতিকে সম্মান করি। তিনি যা করেন তাতে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমরা গর্বিত। রাস্তায় সবাই আমাদের আর্জেন্টিনা বলে চেনে। আমার মেয়ের বিয়ের মন্ডপ থেকে প্যান্ডেল, বিয়ের পোশাক, খাবারেও নীল-সাদার ছোঁয়া ছিল।”

    মেসির বিশ্বকাপ জয়ের প্রার্থনা

    শিবা পাত্র জানিয়েছেন, বিশ্বের সমস্ত ট্রফি হাতে তুলেছেন মেসি। শুধু বাকি রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। তাঁর আশা এ বছর মেসির হাতে উঠবে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা। ফলে প্রিয় ফুটবলার ‘ভাই’ মেসির বিশ্বজয়ের আশায় দিনরাত প্রার্থনা করে চলেছেন তিনি।

  • NTA: আগামী বছর কবে হবে জেইই মেইন, নীট? সময়সূচী প্রকাশ করল এনটিএ

    NTA: আগামী বছর কবে হবে জেইই মেইন, নীট? সময়সূচী প্রকাশ করল এনটিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের একাধিক প্রবেশিকা পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। আগামী বছর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রবেশিকা নীট ৭ মে হতে চলেছে।

    এনটিএয়ের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ‘কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রাস টেস্ট’ -র পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষাগুলির আয়োজক সংস্থা (NTA) আরও জানিয়েছে, আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেইই-মেন পরীক্ষা হবে। শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পরীক্ষায় বিরতি থাকবে। দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষা হবে আগামী এপ্রিল মাসে।  

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) এক আধিকারিক এ বিষয়ে বলেছেন, “চলতি বছর অনেকটাই আগে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির আগে যাতে পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত সময় পান, সেজন্যই আগেভাগে পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?  

    আশা করা হচ্ছে আগামী জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে পারে আবেদন গ্রহন প্রক্রিয়া। ২০২২ সালে, ১৭ জুলাই নীট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নীট ২০২৩- এর পরীক্ষা দু মাস এগিয়ে এসেছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে, প্রার্থীরা নীট-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, neet.nta.nic.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। 

    ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট আয়োজন করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। নীট ছাড়াও, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষার জেইই মেইন এবং কুয়েট-এর আয়োজক সংস্থাও এনটিএ।

    ২০২৩-এর জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করল এনটিএ (NTA)। পরীক্ষার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছে এনটিএ। বৃহস্পতিবার রাতেই পরীক্ষা সংক্রান্ত ঘোষণাগুলি করা হয় সংস্থার তরফে। পরীক্ষার জানুয়ারি সেশনের জন্য পরীক্ষার্থীরা আগামী ১২ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এর পর আবার এপ্রিল সেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে। যাঁরা পরের বছর পরীক্ষাটি দিতে চান, তাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট-https://nta.ac.in/-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন জানাতে পারবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এটি নিয়েই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, প্রশ্ন রাজ্যবাসীর। কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না। অনুমতি নিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে। গতকাল, বৃহস্পতিবার একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলাটি কী?

    কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আর সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরণের বিজ্ঞপ্তি জারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি হলফনামা দিতে হবে। তারপর মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী পৃথক একটি হলফনামা দেবেন। দুটি হলফনামা পাওয়ার পর মামলার শুনানি হবে।   

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারী মামলা করার সময়ে দুটি প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। ২০১৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। ফলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

    বিজ্ঞপ্তি জারিতে স্থগিতাদেশ

    গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল শুভেন্দুর করা মামলাটি। তখন শুভেন্দুর মামলার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল যে, এতে যেন কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কথার তোয়াক্কা না করে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী দল। দুই দল প্রচারেও নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বোমা, গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আবার হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা, তা নিয়েও কৌতুহলের শেষ নেই।

LinkedIn
Share