Blog

  • Mukesh Ambani: নিরাপত্তা বাড়ল মুকেশ আম্বানির, পেলেন ‘জেড প্লাস’ সিকিউরিটি

    Mukesh Ambani: নিরাপত্তা বাড়ল মুকেশ আম্বানির, পেলেন ‘জেড প্লাস’ সিকিউরিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নিরাপত্তা বৃদ্ধি করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। গোয়েন্দা সূত্র মারফত তথ্যের ভিত্তিতে জেড ক্যাটাগরির সিকিউরিটি থেকে একবারে জেড প্লাস সিকিউরিটি (Z plus Security) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry)। মূলত তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিকিউরিটি বাড়ানো হয়েছে ভারতের প্রথম সারির এই শিল্পপতির।

    রিলায়েন্স (Reliance) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান (CMD) হলেন মুকেশ আম্বানি। বিশ্বের ধনীতম প্রথম ১০ শিল্পপতির তালিকায় তিনি অষ্টম স্থানে রয়েছেন। গত বছর মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলার (Antilia) বাইরে থাকা এক গাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল। এরপরেই আম্বানির নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারপর থেকেই রিলায়েন্স কর্তার সূরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: প্রার্থী হচ্ছেন খাড়গেও! কংগ্রেসের রাশ থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    সূত্রের খবর, অন্তত ৫৮ জন কমান্ডো (Commando) ঘিরে থাকবেন মুকেশ আম্বানিকে। একেবারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে তাঁর বাসভবনকে। তবে জেড প্লাস সিকিউরিটির সমস্ত ব্যয় ভার বহন করতে হবে আম্বানিকেই।

    ভারতে সাধারণত বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সিকিউরিটি কভারেজ দেওয়া হয়ে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাড়ানো কমানো হয়ে থাকে। স্পেশাল সিকিউরিটিতে এক্স, ওয়াই, জেড, জেড প্লাস ছাড়াও আরও বিভিন্ন মানের সিকিউরিটি দেখা যায়।

    বর্তমানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই জেড প্লাস সিকিউরিটি দেওয়া হয়। জেড প্লাস সিকিউরিটির আওতায় ১০ জন এনএসজি (NSG) কমান্ডো এবং ৪৫ জন পুলিশ অফিসারকে রাখা হয়। প্রত্যেক কমান্ডো মার্শাল আর্টে পারদর্শী এবং নিরস্ত্র অবস্থায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi in Gujarat: সপ্তাহান্তে গুজরাটে নতুন বন্দে ভারত ট্রেন-রুটের সূচনা মোদির

    Modi in Gujarat: সপ্তাহান্তে গুজরাটে নতুন বন্দে ভারত ট্রেন-রুটের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! চলতি বছরে, ভারতীয় রেলের অন্যতম বড় আকর্ষণ হল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ট্রেন (Vande Bharat Express)। আর এই বন্দে ভারত ট্রেনের জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বসেছিলেন পুরো দেশবাসী। কবে এই ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে সেই আশায় দিন গুনছিলেন তাঁরা। তবে আর অপেক্ষা নয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ট্রেন তার পথ চলা শুরু করবে। আর এই ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। গুজরাটে (Gujarat) প্রথম বারের জন্য চালু হতে চলেছে বন্দে ভারত ট্রেন। আগামীকাল অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদি দুদিনের জন্য গুজরাট সফরে যাবেন আর তখনই তিনি এই ট্রেনের সূচনা করবেন।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গুজরাট সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গান্ধীনগর-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু করার জন্য ফ্ল্যাগ অফ করবেন। একই সঙ্গে এদিন মোদিজি আহমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পেরও সূচনা করবেন। এর পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্প গুলোতে মোট খরচ হয়েছে ২৯০০০ কোটি টাকা। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ বিশিষ্ট নেতা-মন্ত্রীরা।

    আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাগ অফ করার পর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস করে কালুপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন এবং এরপর আহমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পের ফ্ল্যাগ অফ করার পরে, কালুপুর স্টেশন থেকে দূরদর্শন কেন্দ্র স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোতে যাত্রা করবেন। এই প্রকল্পগুলি চালু করার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহমেদাবাদে নবরাত্রি উৎসব উদযাপনেও যোগ দেবেন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    উল্লেখ্য, চলতি বছরেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ১৯৯৫ সাল থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবার তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ আপ। ফলে অনুমান করা হয়েছে, আসন্ন গুজরাট নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীকে একগুচ্ছ নতুন উপহার দিতেই মোদির এই দু’দিনের সফর।

    এছাড়াও এই সফরেই তিনি মোদি ভাবনগরে বিশ্বের প্রথম সিএনজি টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং ৩৬ তম ন্যাশানাল গেমসের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এটি প্রথমবার গুজরাটে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আসন্ন গুজরাট সফরে ড্রিম সিটিরও সূচনা করবেন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, সুরাটে হীরার ব্যবসা আরও বেশি বৃদ্ধি করা। সুরাটে উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মোট ব্যয় ৩,৪০০ কোটিরও বেশি। ভাবনগরে  ৫,২০০ কোটির বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও তীর্থযাত্রীদের আম্বাজি মন্দির যাওয়ার সুবিধার্থে একটি ব্রডগেজ রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর নিজেও তিনি আম্বাজি মন্দিরে যাবেন এবং সেখানে প্রার্থনা অনুষ্ঠান ও মহা আরতিতেও যোগ দেবেন।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পর বছর পঁয়তাল্লিশের রোগীকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁকে বাঁচাতে স্টেন্টিং করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই রোগী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকেও কম। কিন্তু আসল সত্যটা হল কোলেস্টেরলের মাত্রা সব সময় হার্টের বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরে না। কারণ রক্তে প্রবাহিত কোলেস্টেরল যে কোনও সময়ই জমাট বেঁধে যেতে পারে ধমনীতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রার হার কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপদ, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মূলত যে ভুলটি করে, তা হল কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা দিয়ে হার্টের ভালো বা মন্দ বিচার করে। কিন্তু হার্টের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে রোগীকে অন্যান্য লক্ষণগুলির ওপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয়দের শরীরে এইচডিএল যেহেতু কম, সেহেতু ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও (LDL) এদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা কখনওই ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার  অতিক্রম করা উচিত নয়। এজন্য আমাদের শুধুমাত্র ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। 

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন!

    আন্তর্জাতিক (International) মাপকাঠি অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক রোগীর আছেন যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক, অথচ তাঁদেরও হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জিনগত কারণও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। যদি রোগী মনে করেন যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাববেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু অত্যধিক ধূমপান (Smoking) ও মদ্যপান করেন, তাঁদের প্রতি ছ মাস পর পর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। যাঁরা স্থুলকায়, তাঁদের দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ তাঁদেরও হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ঐক্যের লক্ষ্যে! মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে বৈঠক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টায় খামতি নেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। দিন দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এই প্রধান বৈঠক করেছিলেন মুসলমান (Muslims) সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। এবার তিনি পরিদর্শন করলেন দিল্লির একটি মসজিদ। সেখানে বৈঠক করেন ইমামের সঙ্গে। ঘটনায় যারপরনাই খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও।

    মুসলমান সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত যান দিল্লির একটি মসজিদে। সেখানে তিনি অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমের আহমেদ ইলিয়াসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন তিনি দিল্লির যে মসজিদে গিয়েছিলেন, সেটি সরকারি ও রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, ভাগবতের সঙ্গে উমের আহমেদ ইলিয়াসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে ঘণ্টাখানেক ধরে। ইলিয়াসির ছেলে সুহাইব ইলিয়াসি বলেন, এটা দেশের পক্ষে একটি ভাল বার্তা দেবে। একটি পারিবারিক আবহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এটা আনন্দের খবর যে তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন।  

    জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। সুপ্রিম কোর্টে চলছে হিজাব বিতর্ক নিরসনের চেষ্টাও। এহেন আবহে ঐক্যের বার্তা দিতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তপোক্ত করতে দিন দুই আগে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। এই দুই বিতর্কের মাঝেই হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। সেই আবহেই সংঘ প্রধানের মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা জেনারেল সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ইলিয়াস সাহেব (ইমাম) তাঁকে (মোহন ভাগবতকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আরএসএস সরসংঘচালক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটা সম্বাদ পদ্ধতির একটি অংশ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ফাইল খোঁজা হবে আরও সহজ! শেয়ার করার সময় লেখা যাবে ‘ক্যাপশন’

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ফাইল খোঁজা হবে আরও সহজ! শেয়ার করার সময় লেখা যাবে ‘ক্যাপশন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছে। এই অ্যাপটি অ্যনড্রয়েড ও আইওএস উভয়েই ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপকে বেশি ব্যবহার করা হলেও প্রতিযোগিতায় টেলিগ্রাম, সিগনালের মত অ্যাপগুলোও রয়েছে। তাই গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে ও তাঁদের সুবিধার্থে একের পর এক ফিচার এনে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে আবারও একটি জরুরী ফিচার নিয়ে এসেছে, যার ফলে ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে আরও সুবিধা হবে। এবারে কোনও ফাইল শেয়ার করার সময় তাতে ক্যাপশনের দেওয়ার ফিচারটি আনা হবে।

    ক্যাপশন দেওয়ার ফলে এরপর থেকে কোনও ফাইল খুঁজতে আর বেশি খাটনি করতে হবে না। কারণ তখন শুধু ক্যাপশনে লেখা শব্দটি ব্যবহার করলেই এক নিমেষে পেয়ে যাবেন ফাইলটি। বর্তমানে আপনারা যে পিডিএফ বা ছবি শেয়ার করেন সেগুলির নাম থাকে না। তাই ভবিষ্যতে ক্যাপশন ফিচার রোলআউট করা হলে, ব্যবহারকারীদের কেবল ক্য়াপশনের একটি শব্দ মনে রাখতে হবে এবং পুরানো নথি, ফাইলগুলি সহজে এবং দ্রুত খুঁজে পেতে উপরের দিকে সার্চ বারে সার্চ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ভুল মেসেজ ‘এডিট’ করা যাবে! শীঘ্রই আসছে নয়া ফিচার

    WABetaInfo-এর রিপোর্ট অনুসারে, এই ফিচারটি প্রথমে বিটা টেস্টারদের জন্য উপলব্ধ করা হবে। পরে হোয়াটসঅ্যাপ বিটা v2.22.21.2 আপডেটে ফিচারটি দেখা যাবে। যেখানে ব্যবহারকারীরা কাউকে মেসেজ করার সময় বা কোনও তথ্য শেয়ার করার সময় ক্যাপশন অপশনটি দেখা যাবে। তবে এখনও জানানো হয়নি যে, কবে এই ফিচারটি সবার জন্য আসতে চলেছে।

    এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ একাধিক ফিচারে কাজ করে চলেছে, যেমন- ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ, ফটো এডিটিং টুল, গ্রুপ থেকে কোনও নোটিফিকেশন ছাড়াই বেরিয়ে যাওয়ার অপশন, অনলাইন স্ট্যাটাস না দেখানোর জন্য ফিচার ইত্যাদি। এছাড়াও ‘এডিট মেসেজ’ (Edit Message) নামে ফিচারটিও খুব শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    Virat Kohli: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup) মঞ্চে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টি-২০ ম্যাচে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে না পারায় ফের তিনি সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। কিন্তু চাপের মুখে জ্বলে ওঠাই নেশা কোহলির। হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি বিরাট। ৪৮ বলে করলেন অনবদ্য ৬৩। সূর্যকুমার যাদরে সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ১০৪ রান। যার সুবাদে ১৮৬ রান করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ভারত। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় ঝুলনের

    বিরাট শুধু হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় ভারতীয় হিসেবে তিনি উঠে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। পিছনে ফেললেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid)। কোহলির সামনে এখন শুধু মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। এখন দ্রাবিড়ের থেকে ১৪ রান বেশি বিরাট কোহলির। ৪৭১টি ম্যাচে ২৪০৭৮ রান করে ফেলেছেন কোহলি। গড় ৫৩.৬২। হাঁকিয়েছেন ৭১টি শতরানও। অন্যদিকে ৫০৪টি ম্যাচ খেলে রাহুল দ্রাবিড়ের ঝুলিতে ২৪০৬৪ রান। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৫.৫৭। আন্তর্জাতিক ক্রকেটে ৪৮টি শতরান রয়েছে দ্রাবিড়ের। তালিকায় সচিন তেন্ডুলকর অনেকটাই এগিয়ে। ৬৬৪টি ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টার করেছেন ৩৪৩৫৭ রান। ১০০টি শতরানের মালিক তিনি। ব্যাটিং গড় ৪৮.৫২। তালিকায় চতুর্থ স্থানে বিসিসিআই সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ৪২১টি ম্যাচে ৪১.৪২ গড়ে ১৮৪৩৩ রান করেছেন। ৩৮টি শতরানও রয়েছেন সৌরভের। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (Dhoni) রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। ৫৩৫টি ম্যাচ খেলে মাহির সংগ্রহ ১৭০৯২ রান। ব্যাটিং গড় ৪৪.৭৪। ১৫টি শতরানও তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি-মার্চেই দেশের মাটিতে মহিলাদের আইপিএল! ইঙ্গিত বিসিসিআই সভাপতির

    এখন প্রশ্ন হল, বিরাট কোহলি কি পারবেন সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে শীর্ষ স্থান দখল করতে? কথায় বলে, রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তবে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, সচিনকে টপকাতে হলে কোহলিকে আগামী কয়েক বছর জীবনের সেরা ফর্মে ব্যাট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maharashtra: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    Maharashtra: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই মর্মান্তিক ঘটনা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভিরার শহরে একটি গরবা অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভিরার পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার ও রবিবার মধ্যরাতে ভিরারের গ্লোবাল সিটি কমপ্লেক্সে একটি গরবা অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে মণীশ নারাপজি সোনিগ্রা হঠাৎ পড়ে যান। ওই ব্যক্তিতে তাঁর ৬৬ বর্ষীয় বাবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির বাবাও ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর নাম নরপত সোনিগ্রা। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। নরপত সোনিগ্রার ছেলে রাহুল এবং ভাই নাগরাজ হরকচাঁদ সোনিগ্রা বলেন, শোকাহত পরিবারটি রাজস্থানের মারুধর থেকে এসেছে এবং তারা গডওয়াদ ওসওয়াল জৈন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত রবিবার সন্ধ্যায় ভিরার শহরে মৃত পিতা-পুত্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ এই বিষয়ে একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    Durga Puja 2022: দশমীর দিন মা দুর্গাকে কেন বিসর্জন দেওয়া হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে মানুষের দেহ আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি এই পাঁচ উপাদান দিয়ে তৈরি। একই ভাবে পাঁচ উপাদান দিয়েই তৈরি হন প্রতিমাও। মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাকে প্রতিমা বলে। পুজো শেষে বিদায় বেলায় আমার সেই মূর্তি আবার প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আর সেই মূর্তিকে আবার পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই, বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিমা পুজোর শেষ ধাপ হল বিসর্জন (Durga Visarjan)। পুজো শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দিয়ে আবার প্রকৃতিতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মে শুরু থেকেই গঙ্গা জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মতে, আমাদের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বর রয়েছেন, উপাসনার জন্য মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে সাকার রূপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে পুনরায় সেই সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই কারণেই দুর্গা পূজার সময় যখন প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরের বছর আবার আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।          

    ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিদায় বেলার যন্ত্রণার। আরও এক বছরের অপেক্ষা। দুর্গা পুজোর আনন্দে তাল কাটে এই দশমীতেই। বাঙালিদের কাছে মা দুর্গা ঘরের মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ উপচে পড়ে, ঠিক সেভাবেই ফেরার সময় মন খারাপের সুর বাজে সানাইয়ে। বিজয়া দশমী সেই ভেজা চোখে বাঙালি বিদায় জানায় তার ঘরের মেয়ে উমাকে। ওই দিনই শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন উমা। এই দিন বনেদি বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোতেও বাড়ির মহিলারা একে একে বরণ করেন প্রতিমাকে। তার পর চলে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। কিছু বনেদী বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। করোনা কালে ঠাকুর দেখানোর রীতিতে কাঁটছাট করা হয়েছে।           

    দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনীতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাই তাকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়াকে দশমী বলা হয়। 

    উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে দশেরা উদযাপিত হয়। তবে তার তাৎপর্য সম্পূর্ণ আলাদা। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে। যার অর্থ দশানন রাবণের মৃত্যু। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে, আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা, ও লক্ষণ। রাবণ বধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যেই যথাক্রমে দশেরা ও দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের?

    শাহাবুদ্দিন ইয়াকুব কুরেশি: যেই না মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচজন সদস্য আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) সঙ্গে ২২ অগাস্ট সাক্ষাৎ করেছেন, তার পর থেকে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যে পাঁচজন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা হলেন দিল্লির প্রাক্তন লেফটেনেন্ট গভর্নর নাজীব জং, সাংবাদিক শাহিদ সিদ্দিকি, হোটেলিয়ার সঈদ শেরভানি, লেফটেনেন্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং এই লেখক। 

    আমাদের এই পাঁচজনের এহেন উদ্যোগের ব্যাখ্যা আমি দেব। আমরা এই পাঁচজন— আমাদের মধ্যে একটা উদ্বেগ রয়েছে। আর সেই উদ্বেগের কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা। একইসঙ্গে এই বিশ্বাস যে আলোচনার মাধ্যমেই একমাত্র সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেই না ভাগবতের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, আমরা অসংখ্য মেসেজ পেয়েছি। এঁদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। 

    আমরা অনেক সমালোচনা মূলক মন্তব্যও পেয়েছি। যেমন, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার কে আমাদের দিয়েছে। কেউ কেউ আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্য একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছি ভেবে। এতে আমাদের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হতে পারে। কেউ কেউ আবার ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি ভেবে সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে, কথপোকথনই যে একমাত্র পথ, তা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেননি। এঁদের প্রত্যেকের কণ্ঠেই শোনা গিয়েছে একই সুর। তা হল, কথপোকথনই একমাত্র এগিয়ে চলার পথ।

    আমাদের একাধিকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, যে এই কথোপকথন চালিয়ে কী হাসিল করলাম। এই বৈঠক করতে কে উৎসাহ জুগিয়েছিল? ইদানিং যেসব চলছে, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নানা ঘটনার জেরে বিশেষত উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিরীহদের গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া, এবং সমাজের প্রতিক্ষেত্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষজনে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়া। 

    বৈঠকটি কেমন সম্পন্ন হয়েছিল? প্রথমত, আরএসএস প্রধানের সারল্য ও বিনয়ীভাব দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। তারপর তাঁর সময়ানুবর্তিতা। তিনি ঘড়ি ধরে ১০টার সময় বৈঠকে এসেছিলেন। তাঁর ধৈর্যও ছিল। গভীর মনযোগ দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে তিনি আমাদের সমস্ত কথা শুনেছেন। এই সময় তিনি আমাদের একবারের জন্যও থামাননি। ভাগবতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণণ গোপাল। অবশ্যই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে ভাগবত একটি কর্তৃত্বের জায়গা থেকে কথা বলছিলেন। 

    ভাগবতের আচার আচরণ খারাপ লাগেনি। তাঁর আচরণে এমন কিছু ছিল না, যা অস্বস্তিকর বলে মনে হয়। তাঁর মন্তব্যে তিনি তিনটি জিনিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। হিন্দুত্ব একটি পূর্ণতার ধারণা, যাতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান জায়গা রয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশ এগোতে পারে কেবলমাত্র তখন, যখন বিভিন্ন সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়। একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় সংবিধান পবিত্র এবং গোটা দেশকে তা মেনে চলতে হবে। আরএসএস সংবিধান পরিত্যাগ করতে চাইছে এবং মুসলমানদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে, এই ভয় দূর করতে চেয়েছিলেন তিনি। 

    তারপর ভাগবত বলেছিলেন, হিন্দুরা দুটি বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল। প্রথমটি হল, গরু। আমরা বলেছিলাম মুসলিমরা এটা ভাল মতোই বোঝেন। ভারতের অধিকাংশ জায়গায় গোহত্যা বন্ধ হয়েছে। আইনভঙ্গকারীদের ইতিমধ্যেই আইন মেনে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। যে সব রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়নি, সেখানে মুসলমানদের স্বেচ্ছায় গোমাংস পরিত্যাগ করা উচিত। এটা যদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তবে এটা করা উচিত। 

    আর একটি সংবেদনশীল বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি। সেটা হল হিন্দুদের (Hindu) ‘কাফের’ বলা হয়। আমরা বলেছিলাম আরবি শব্দ কাফের-এর আক্ষরিক অর্থ হল অ-বিশ্বাসী। যদি এটা অপমানজনক হয়, তবে মুসলমানদের এটা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। খুব সহজ। খুব সম্ভব। কোরানে বলা হয়েছে, আল্লাহ হলেন রাব্বুল আলামিন, রাব্বুল মুসলিমীন নন। বিশ্বজগতের ঈশ্বর, কেবল মুসলমানদের নন। কোরান বলে, তোমার কাছে তোমার ধর্ম, আমার কাছে আমার।

    আমরা তাঁকে বলেছিলাম, একই ভাবে প্রতিটি মুসলমানের কাছে জেহাদি এবং পাকিস্তানি শব্দদুটিও অপমানজনক। এগুলি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে তিনি সম্মত হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁর কোনও সহযোগীর নাম বলুন যাঁর সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। তিনি চারজনের নাম বলেছিলেন। প্রয়োজনে তাঁকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি আমার সহকর্মীদের সম্মতিতে ভাগবতকে আমার বই ‘দ্য পপুলেশন মিথ: ইসলাম, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড পলিটিক্স অফ ইন্ডিয়া’ উপহার দিই। 

    বৈঠকে আমি চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছি। এক, মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি বলে যা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। তিরিশ বছর আগে হিন্দু এবং মুসলমানের জন্মহারের অনুপাত ছিল ১:১। এখন তা নেমে হয়েছে ০.৩, যেহেতু মুসলমানরা এখন হিন্দুদের চেয়েও দ্রুত ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছে। দুই, সাধারণ ধারণার বিপরীতে গিয়ে বলি, মুসলিমদের মধ্যে বহু বিবাহের ঘটনা খুবই কম অন্তত ভারত সরকারের রিপোর্ট এবং সেনসাস অনুযায়ী। তিন, বহুল প্রচলিত বহুবিবাহ ভারতে সম্ভবও নয়। নারী-পুরুষের অনুপাতের কারণেই তা সম্ভব নয়। প্রতি হাজার পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৪০ জন। যার অর্থ ৬০ জন পুরুষ বউই পাবেন না। এটা শুনে ভাগবত প্রাণখোলা হাসি হেসেছেন। চার, অঙ্কের মডেলেই দেখা যাচ্ছে গত হাজার বছরে মুসলিমরা হিন্দুদের ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। আমার অনুরোধে এই মডেল তৈরি করেছিলেন অঙ্কের অধ্যাপক দীনেশ সিং এবং অজয় কুমার। 

    এই বৈঠক নিয়ে মিডিয়া অক্সিজেন পেয়েছে। তাই খবর করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিক্রিয়া? দারুণভাবে পজিটিভ। সংরক্ষণ? আরএসএস বদলাবে না। হতে পারে, নাও হতে পারে। সমালোচনা: আমরা তাদের বৈধতা দিচ্ছি। যদিও, বৈধতাদানের প্রয়োজন ওদের নেই। তারা ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে বৃহত্তম ও সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হয়ে উঠেছে। আর আমরা? এক ঝাঁক অবসরপ্রাপ্ত লোক যাঁরা কর্মজীবনে সফল ছিলাম এবং এখন সমাজ এবং দেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

    আমরা কি গোটা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছি? আমাদের কেউই নির্বাচিত কিংবা মনোনীত নন। কিন্তু আমরাও এই সম্প্রাদায়ের অংশ। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমরা কি এলিটিস্ট? সম্ভবত। কিন্তু আমাদের অভিযোগকারী যাঁরা, তাঁরা রাজপ্রাসাদে বসবাস করেন, যাঁদের বাড়িঘর আমাদের বাড়িঘরের চেয়ে ১০-১৫ গুণ বড়। 
    আমরা অশিক্ষিত নই। আমরা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন: গণধোলাই, গণহত্যা, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক বয়কট, ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন, বাড়িঘর এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য। আমাদের দ্বন্দ্ব: আমরা মিডিয়ার কাছে কতটা এক্সপোজ করব? আমরা প্রথমে তাদের কাছে যেতে চাইনি। কিন্তু যখন তারা অ্যাপ্রোচ করেছিল, তখন আর আমরা তাদের কাছ থেকে নিজেদের লুকিয়ে রাখিনি। 

    সর্বোপরি, আমরা এক মাস ধরে মিডিয়ার কাছে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলাম। যখন আমরা ডজন ডজন বন্ধুদের কাছে মুক্তভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। এটা সেই নিন্দুকদের জবাব দেবে, যারা বলেছিল আমরা প্রচার পাওয়ার জন্য এটা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু লাভ করার জন্য সব কিছু আছে। আমরা আমাদের ফিলিংসের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।

    লেখক দেশের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রবন্ধটি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।

  • Mumbai Murder: মুম্বাইয়ে বোর্খা পরতে অস্বীকার করায় হিন্দু স্ত্রীকে খুন মুসলিম স্বামীর

    Mumbai Murder: মুম্বাইয়ে বোর্খা পরতে অস্বীকার করায় হিন্দু স্ত্রীকে খুন মুসলিম স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্খা (Burkha) পরতে চাননি। অপরাধ শুধু এইটুকুই। আর এই ‘অপরাধ’- এই নিজের স্ত্রীকে খুন (Murder) করলেন ট্যাক্সিচালক স্বামী। অভিযোগ, ইসলামিক রীতিনীতি পালন নিয়ে বিয়ের পর থেকেই ঝামেলা চলত হিন্দু স্ত্রী এবং মুসলিম স্বামীর মধ্যে। দু’জনে আলাদাও থাকছিল। তারইমধ্যে ওই ব্যক্তি স্ত্রী’কে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মুম্বইয়ের (Mumbai)।     

    এক পুলিশ আধিকারিক এ বিষয়ে জানান, বছরতিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল ইকবাল শেখ (৩৬) এবং রুপালি চন্দদানশিবের (২০)। পরে রুপালি নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন। নতুন নাম হয়েছিল জারা। তবে বিয়ের পর থেকেই ইসলামিক রীতিনীতি পালন নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী’র মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। দম্পতির দুই বছরের ছেলেও আছে। মাসছয়েক আগে থেকে ইকবাল এবং জারা আলাদাও থাকতে শুরু করেছিলেন।           

    আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদে নবরাত্রি প্যান্ডেলে দুই বোর্খা পরিহিতার তাণ্ডব, ভাঙা হল মূর্তি 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। কার কাছে ছেলে থাকবে, তা নিয়েও অশান্তি হয়। তারপর রাত ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ ইকবাল জারার গলার নলি কেটে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেন ইকবাল। পরে তাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে জারার। ইকবালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে সেক্স ট্র্যাপ, ভিডিও কলের ফাঁদে ৫.২৮ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মুম্বইবাসী  

    জারার পরিবারের জানায়, প্রেম করে বিয়ে করেন ওই যুগল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তরুণীকে বোরখা পরা এবং ইসলামিক রীতিনীতি পালনের জন্য জোর করা হত। কিন্তু তাতে রাজি হননি রুপালি। তা নিয়ে হামেশাই ইকবাল এবং রুপালির মধ্যে ঝামেলা হত। আলাদাও থাকছিলেন গত কয়েক মাস। তবে দু’জনের ফোনে কথা হত। সোমবার রাতে ইকবালকে ডিভোর্সের কথা বলেন তরুণী। কিন্তু বিবাহ-বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না ওই ব্যক্তি। তারপর ছেলেকে নিজের কাছে রাখার দাবি করেন। তা নিয়ে রুপালির সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। তারপরই ইকবাল রুপালির গলার নলি কেটে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share