Blog

  • SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের পর বেআইনিভাবে সুপারিশ করা ৪০ জনের ওএমআর শিট (omr sheet) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। এসএসসি-এর সাইটে ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই বেরিয়ে আসল আসল সত্যিটা। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েই পেয়েছে অনেক নম্বর, আবার ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনেরও অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।

    ওএমআর শিট থেকে কী তথ্য পাওয়া গেল?

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র ফাঁকা। শুধু  রোল নম্বর, ভেনু কোড, বুকলেট সিরিয়াল নম্বর, সাবজেক্ট কোডের জায়গায় গোল করা আছে। গোল করা আছে পরীক্ষার্থী কোন ক্যাটাগরির, কোন জেন্ডার আর কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে উত্তরপত্র পুরোটাই ফাঁকা। কেউ সেখানে কোনও দাগ দেননি।

    ফলে এসএসসি নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কী ভাবে জালিয়াতি হয়েছিল ওএমআর  শিটে? কারা বদলেছিল নম্বর? এর পিছনে কার হাত রয়েছে? এ সব বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ১৫০-রও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। ফলে তারপরেই এমন ধরণের ওএমআর শিটের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়।

    এর আগেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এই মামলায় (SSC Scam) ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় সিবিআই। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি পাওয়া যায় গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। সিবিআই তখন জানিয়েছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এরপরেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’

    সূত্রের খবর, কার নির্দেশে, কারা, কী ভাবে নম্বর বদল করেছে তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব বিস্ফোরক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার নির্দেশে বাংলার শিক্ষায় এমন নৈরাজ্য নেমে এসেছে, তারই উত্তর চাইছে এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ (SSC Scam)।

  • Team India: আগামী তিন মাসে টানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ইডেনেও

    Team India: আগামী তিন মাসে টানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ইডেনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের শুরু থেকে তিন মাসের মধ্যে দেশের মাটিতে তিনটি দলের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলবে ভারত। প্রথম শ্রীলঙ্কা পরে নিউজিল্যান্ডের ও সব শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তিন দলের বিরুদ্ধে সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। আইপিএলের আগে ঠাসা ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু ভারত-শ্রীলঙ্কা টি ২০ ও একদিনের সিরিজ। এরপর তিনটি করে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলতে ভারতে আসবে নিউজিল্যান্ড। এরপর আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলবে টিম ইন্ডিয়া। আইপিএলের আগে রয়েছে ওডিআই সিরিজও। খেলা হবে ইডেনেও। আগামী ১২ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। 

    কবে কার সঙ্গে খেলা

    ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু হবে টি ২০ আন্তর্জাতিক দিয়ে। মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি ২০ হবে মুম্বইয়ে। বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি পুণেতে দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচ। ৭ জানুয়ারি, শনিবার সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি ম্যাচ হবে রাজকোটে। ১০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি প্রথম দুটি একদিনের আন্তর্জাতিক যথাক্রমে গুয়াহাটি ও কলকাতায়। তৃতীয় ওডিআই হবে রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ত্রিবান্দ্রমে।


    ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। বুধবার, ১৮ জানুয়ারি ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওডিআই হায়দ্রাবাদে। ২১ জানুয়ারি, শনিবার রায়পুরে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক। মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ইন্দোরে ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক। জানুয়ারির ২৭ তারিখ, শুক্রবার রাঁচিতে ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিক। রবিবার, ২৯ জানুয়ারি লখনউয়ে দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিক। সিরিজের শেষ টি ২০ আন্তর্জাতিকটি হবে বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কাছে একদিনের সিরিজ হার ভারতের! কোচ-অধিনায়ককে তলব করল বিসিসিআই

    ভারত-নিউজিল্যান্ড সীমিত ওভারের সিরিজের পর রয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চার টেস্টের সিরিজ। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চারটি টেস্ট হবে যথাক্রমে নাগপুর, দিল্লি, ধরমশালা ও আমেদাবাদে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম টেস্ট নাগপুরে। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্ট। মার্চের ১ তারিখ থেকে ধরমশালায় তৃতীয় টেস্ট। ৯ মার্চ থেকে আমেদাবাদে চতুর্থ টেস্ট। এই সিরিজের পর ভারতে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ১৭ মার্চ, শুক্রবার মুম্বইয়ে হবে প্রথম ওডিআই, রবিবার, ১৯ মার্চ বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় ওডিআই। সিরিজের শেষ ওডিআই ২২ মার্চ, বুধবার চেন্নাইয়ে। মার্চের শেষ দিন বা এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে আইপিএল শুরুর কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন শুধুমাত্র মেয়েরা এবং মহিলাদের রাতে “লক আপ” বা তালাবন্ধ করে রাখা হবে? রাজ্যের ছেলে বা পুরুষদের মত তাদের কেন স্বাধীনতা দেওয়া হবে না? এমনটাই প্রশ্ন করল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। ৭ ডিসেম্বর, বুধবার হস্টেলে কারফিউ জারির সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রীর করা আবেদন বিবেচনা করার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে কেরল হাইকোর্ট। হস্টেলে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য কারফিউ জারি করার কেরল সরকারের আদেশের উপর প্রশ্ন করলেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    ২০১৯ সালে কেরল সরকার, সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির হোস্টেলের ছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ সরকারি আদেশ জারি করেছিল। সেই আদেশে কোনও কারণ ছাড়াই রাত ৯.৩০টার পর হস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ এবং প্রস্থান নিষিদ্ধ করেছিল। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের পড়াশোনা করার এবং স্টাডি হল ব্যবহার করার নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। এই শর্তগুলি মানলে তবেই ছাত্রীরা হস্টেল পেতে পারেন, এমন শর্ত আরোপ করা হয়। আর কেরল সরকারের এই আদেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ওই পাঁচ ছাত্রী। তাঁদের দাবি, কেরল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস অ্যাক্টের ৪২ নম্বর ধারার অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আরোপ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    বিচারপতি কী বললেন?

    গতকাল এই মামলার শেষ শুনানিতে বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের একক-বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারি করে কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করা যাবে না। রাতকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। সরকারের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এমন কারফিউ জারি না করে, এটি নিশ্চিত করা উচিত যে, রাতে বাইরে বেরনো যাতে সবার জন্য নিরাপদ হয়। আবার তিনি প্রশ্ন করেন যে, কেন শুধুমাত্র মহিলা বা মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন এবং ছেলে বা পুরুষদের কেন নয়? কেন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে মহিলাদের জন্য রাত ৯:৩০ মিনিটের পর কারফিউ জারি করা হয়েছে?

    বিচারপতি রামচন্দ্রন আরও বলেন, “মেয়েদেরও এই সমাজে থাকতে হবে। রাত সাড়ে ন’টার পর মেয়েরা বেরলে কি পাহাড় কি ধসে পড়বে? ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে। পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখুন। কারণ তারাই ঝামেলা করে। রাত ৮টার পর পুরুষদের জন্য কারফিউ জারি করুন। মহিলাদের বের হতে দিন।”

    এরপর বিচারপতি এই কলেজের ছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, “সব বাবা-মাই যখন চান তাঁদের মেয়েদের বন্দি করে রাখা হোক, তখন সরকার কীভাবে তা না বলতে পারে? তবে রাজ্যের আর কোনও হস্টেলে তো কারফিউ জারি করা হয়নি, তবে সেখানে বসবাসকারী ছাত্রীদের কি বাবা-মা নেই?” তাই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিধি-নিষেধ আরোপ করায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাই নিয়ম করা হোক না কেন, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য যাতে সমান হয়। রাজ্য এবং সরকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মেয়েদের এবং মহিলাদের আটকে রাখার পরিবর্তে তাদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে।

  • NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন (NJAC) আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে মানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যসভা অধিবেশনের প্রথম দিন এমনটাই বললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    চলতি বছর অগাস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জগদীপ ধনখড়। এই শীতকালীন অধিবেশনেই প্রথমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করার পরেই ধনখড় তাঁর প্রথম ভাষণে বলেন, “শীর্ষ আদালতের এনজেএসি (NJAC) আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত, সংসদীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গুরুতর আপস এবং জনগণের আদেশ উপেক্ষার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এটাই আশ্চর্যের।” 

    আরও পড়ুন: ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও

    তিনি বলেন, “রাজ্যসভা এবং লোকসভার একত্রিত হয়ে জনগণের আদেশ (NJAC) পালন করাই প্রধান দায়িত্ব। তারা এই সমস্যাটির সমাধান করতে বাধ্য এবং আমি নিশ্চিত যে দুই হাউজ তাই করবে।”

    তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে (NJAC) দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!” তাঁর প্রশ্ন, “সংসদে পাশের পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইনকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। তখনই কেন প্রশ্ন তুলল না আইনসভা?”

     

    আলোচনায় এনজেএসি 

    উল্লেখ্য,  কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহু দিন ধরেই। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ওই কলেজিয়ামই সম্ভাব্য বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করে। তার পরে সেই নামগুলি বিবেচনা করে সরকার। কলেজিয়ামের পুনর্বিবেচনার জন্য সরকার নাম ফেরত পাঠাতে পারে। কিন্তু কলেজিয়াম (NJAC) সেই নামগুলি ফেরত পাঠালে সরকার তা মানতে বাধ্য। 

    ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে নতুন আইন এনেছিল। কলেজিয়ামের বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (NJAC) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশে সংসদ ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাকেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু কলেজিয়াম (NJAC) পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, কলেজিয়ামের মধ্যে যে নিয়োগ হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। আর এরপরেই ফের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা দেখাই কাল হয়ে আসল দুই কিশোরের জীবনে। দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড! কিম জং উন-কে ঘিরে বিতর্ক থাকে তুঙ্গে। এবারে তাঁর বর্বতার পরিচয় ফের পাওয়া গেল। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এবার বিতর্কিত এক নির্দেশ দিলেন। দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিল কিম প্রশাসন। তাদের কী অপরাধ ছিল, তা জানলে আপনি চমকে উঠবেন। ওই দুই কিশোর কোরিয়ার ড্রামা শো দেখে ও তা অন্যদের কাছেও ছড়িয়ে দেয়। আর এতেই দেওয়া হল তাদের মৃত্যুদণ্ড। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এই কে-ড্রামা দেখা কিমের দেশে নিষিদ্ধ। তাই দেওয়া হল এই চরম শাস্তি।

    কে-ড্রামা দেখায় মৃত্যুদন্ডের শাস্তি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দুই কিশোরের বয়স ছিল ১৬ ও ১৭। এরা উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হেসন শহরের বাসিন্দা। চিনের সীমান্তে অবস্থিত রায়ানগ্যাং প্রদেশের এক হাই স্কুলে পড়ত ওই দুই কিশোর। গত অক্টোবরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বেশ কিছু ড্রামা শো দেখে তারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। একটি ফাঁকা প্রান্তরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে কিমের সেনা। কিমের দেশের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের আচরণ আসলে ‘পাপে’র শামিল। তাই কোনও রকম ছাড় নয়। আর এই ঘটনা দেখতে বাধ্য করা হয় শহরবাসীদের।

    আরও পড়ুন: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    এই ঘটনাটি অক্টোবরের। একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে এই খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে যে, “দুই কিশোরকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয় ও তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর অবিলম্বে গুলি করে হত্যা করা হয়।” আরও লেখা রয়েছে যে, “যারা দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ও নাটক দেখে বা বিতরণ করে এবং যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করে, তাদের ক্ষমা করা হবে না এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।”

    এই ঘটনাই নতুন নয়, (North Korea) কিম জন উনের অমানবিক মানসিকতার ব্যাপারে সবাই জানে। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনার ফলে উত্তর কোরিয়ানদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। যদিও ঘেরাও তুললেও তাঁরা কিন্তু আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হচ্ছে। যদি কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত আগামী ২২ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিধি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ঘোষণা না করেন তবে তাঁরা আমরণ অনশনে সামিল হবেন। 

    ছাত্রদের দাবি

    ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। পূর্ব নির্ধারিত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন চেয়ে পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করেন। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

    আরও পড়ুন: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    রোগী পরিষেবা

    ছাত্র বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজন। প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত ছিল অস্ত্রোপচারও বলে দাবি করেন বেশ কিছু রোগীর পরিজনেরা। তবে দেড় দিন পর ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় প্রধানরা রোগী দেখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা ফের অনশনে বসলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) নয়া আইনে বিয়ের আগে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি নতুন ফৌজদারি আইন পাশ হল ইন্দোনেশিয়ার আইনসভায়। এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের অধীনে থাকাকালীন আনা বিধিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷ তিন বছরের মধ্যে নতুন এই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে৷

    নয়া আইনে যা রয়েছে

     নয়া আইন অনুযায়ী,বিয়ের আগে সঙ্গম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হিসাবে এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নয়া এই আইন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রী ইয়াসোনা লাওলি এই আইনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন।  এই ধরনের আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তাতে কান দিতে নারাজ সরকার। এত দিন দেশে যে ফৌজদারি বিধি প্রচলিত ছিল, সেটিকে ঔপনিবেশিক বলেও কটাক্ষ করেন ইয়াসোনা লাওলি। নতুন আইনে অভিযুক্তের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। ইন্দোনেশিয়াতে সমকামী বিবাহ নিষিদ্ধ, তাই নতুন আইন আসার পর সমকামীরাও চরম সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    নয়া আইনের বিরোধিতা

    বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে শাস্তির বিধান পর্যটন শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বালিতে যাওয়া পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না৷ এই আইনের একটি খসড়া ২০১৯ সালে পাস হওয়ার সময় সে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে আজ মঙ্গলবার আইনটি পাস হয়। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন এ আইন এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনের বিধিবিধান তৈরি করতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে। আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে নতুন এ আইনের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এইমস-এর পর এবারে হ্যাকিং-এর চেষ্টা আইসিএমআর-এও (ICMR)। তবে শেষপর্যন্ত সফল হয়নি হ্যাকাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একদিনে ৬ হাজার বার আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চাইলেও ব্যর্থ হয় হ্যাকাররা। গত ৩০ নভেম্বর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার বারের বেশি আইসিএমআর-এর সাইটে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা। কিন্তু সাইট হ্যাক করতে কালঘাম ছুটল তাদের।

    আইসিএমআর-এর ওয়াবসাইটে হ্যাকারদের হানা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) সাইট এতবার হ্যাক করার চেষ্টা করা হলেও হ্যাকাররা ব্যর্থ হয়। কারণ ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য নিরাপদে রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যবেক্ষণে রাখে NIC Data Center। এইসব ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ফায়ারওয়াল দেওয়া হয় সেটাও নিয়মিত ভাবে আপডেট করে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। সুতরাং, ওয়েবসাইটের ফায়ারওয়াল ছিল আপডেটেড। এ ছাড়াও সমস্ত নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাও যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়েছিল। তাই হ্যাকারদের হাজার প্রচেষ্টা বিফলে যায়। ফলে স্বস্তির খবর এটিই যে এতবার হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার পরেও সবকিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, হংকংয়ের একটি কালো তালিকাভুক্ত আইপি ঠিকানা থেকে ওই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই দিল্লি এইমস-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। খোয়াতে হয়েছিল প্রচুর তথ্য। ব্যাপক প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, টানা ১০ দিন সার্ভার বন্ধ রেখে ম্যানুয়ালি কাজ করা হয়। ফলে এইমসের সার্ভারে বেশ বড়সড় হ্যাকার হানা হয়েছিল। আবার গত ৪ ডিসেম্বর, দিল্লির এইমসের মূল ভবনের উল্টো দিকের সফদরজং হাসপাতালের সার্ভারও হ্যাক করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠিক করে নেওয়া হয়।

    তবে যাইহোক, আইসিএমআর-এর (ICMR) ওয়েবসাইট এতটাই সুরক্ষিত যে, হ্যাকাররা ৬ হাজার বারের বেশি চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। কোনও তথ্যই হাতিয়ে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় (West Bengal Weather)। শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের দেখা নেই কলকাতায়। আগামীকাল পর্যন্ত শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আজ কলকাতায় সামান্য নেমেছে পারদ। সকাল-সন্ধ্যা শীতের আমেজ বহাল থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ থেকে কমে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি থেকে সামান্য কমে ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ন্যূনতম ৪৮ শতাংশ, সর্বাধিক ৯১ শতাংশ। কলকাতায় আজ পরিস্কার আকাশ থাকবে। সঙ্গে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। শীতের আমেজ বেশি টের পাওয়া যাবে ভোর ও রাতের দিকে৷ উত্তুরে হাওয়ার আধিক্যও থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রায় পরিবর্তন হবে?

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস-এর লক্ষ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু উপকূলে হাজির হবে। ঝড়ের সরাসরি প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুধু কিছুটা শীতের প্রকোপ কমবে। তাপমাত্রা কয়েকদিন সামান্য বাড়বে। আগামী পাঁচদিন পশ্চিমবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিস্কার আকাশ থাকবে। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে (West Bengal Weather)।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাপমাত্রারও তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। আপাতত যেমন তাপমাত্রা আছে, তেমনই থাকবে। অর্থাৎ যেমন ঠান্ডা আছে, সেরকমই থাকবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আপাতত যা তাপমাত্রা আছে, সেটার থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে (West Bengal Weather)।

    সাধারণত কলকাতায় ঠান্ডা পড়ে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে। ফলে শীতের জন্য এখনও দেড় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আসার ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরী (West Bengal Weather)।

  • Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাছদের জালে তুলুন। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা কর্তাদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। আজ, মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিরাট পরিমাণে কোকেন আসছে দেশে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, এর অর্থ কি ভারতের (India) মধ্যে দিয়ে এখন আর চোরাচালান হচ্ছে না? ভারতেই কেবল কোকেন সেবন বেড়েছে?

    নির্মলা উবাচ…

    এদিন মন্ত্রী রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান যাতে করে  এই মাদক পাচারের (Drug Trafficking) নেপথ্যে কারা রয়েছে সেই বড় চাঁইদের নাগাল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মাদক পাচারকারী, যারা বিক্রি করছে, তাদের ধরছেন। কিন্তু পর্দার পিছনে থাকা বড় মাছদের ধরতে পারছেন কি?

    কেবল মাদকই পাচার হচ্ছে না, মাদকের সঙ্গে সঙ্গে সোনাও পাচার হচ্ছে। মাদক, সোনা পাচার রুখতে রাজস্ব গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, প্রতি বছর ৮০০ কেজি করে সোনা ধরা পড়ছে। সাধারণত বলা হয়, আমদানি শুল্ক বাড়লে সোনা পাচার বাড়ে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে আদৌ সম্পর্ক রয়েছে কিনা, নাকি সোনা পাচার নিজস্ব নিয়মে চলছে, তা দেখা দরকার।

    প্রসঙ্গত, রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৪০৫ কোটি টাকার সোনা আটক করা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়া থেকে এখন সোনা আসছে মায়ানমার থেকে, মণিপুর দিয়ে। জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩ হাজার ৪৬৩ কেজি হেরোইনও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৮৩৩ কেজি। আর কোকেন উদ্ধার হয়েছিল ৩২১ কেজি।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, অপরাধ চক্র দ্রুত বদলাচ্ছে। তারা সোনা, মাদক পাচারের নতুন নতুন পন্থা বের করছে। তিনি বলেন, আপনারা ছোট ছোট ব্যবসায়ী, পাচারকারীদের ধরছেন। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কী যথেষ্ট? সীতারামণ বলেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে এটা যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন পাচারের নেপথ্যে যেসব বড় বড় চাই রয়েছে, তাদের ধরা। তিনি বলেন, যতক্ষণ না আপনারা কয়েকটা বড় মাথাকে ধরতে পারছেন, ততক্ষণ মানুষের মনে প্রশ্নটা থেকেই যাবে, কারা করাচ্ছে এসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share