Blog

  • Canada Swaminarayan Temple: কানাডার স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর, দেশ-বিরোধী স্লোগান! ক্ষুব্ধ ভারত

    Canada Swaminarayan Temple: কানাডার স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর, দেশ-বিরোধী স্লোগান! ক্ষুব্ধ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার স্বামী নারায়ণ মন্দিরে ভারত-বিরোধী মন্তব্য লিখল খালিস্তানপন্থীরা। অভিযোগ ওই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। মন্দিরে গায়ে নানান জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই কানাডায় থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারের কাছে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই এর নিন্দায় সরব হয় ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারও এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কয়েকজন খালিস্তানপন্থী টরেন্টোর ওই মন্দিরে ঢুকেন পড়েন। মন্দিরের গায়ে হলুদ কালি দিয়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখা হয়। স্লোগান লেখা হয়েছে মন্দিরের পিলারেও। পরে ওই খালিস্তানপন্থীদের মন্দির চত্বর থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশন ট্যুইট করে জনিয়েছে ‘আমরা টরন্টোতে অবস্থিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের ক্ষতি এবং মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কানাডা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি’। 

    আরও পড়ুন: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ সোনিয়া সিন্ধু। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন,’ কানাডা বহু সংস্কৃতির দেশ। বিভিন্ন বিশ্বাসের মানুষ এখানে নিরাপদে বসবাস করেন। এই ধরনের ঘটনায় সেই বিশ্বাস এবং নিরাপত্তায় ধাক্কা খেল’।

    এই বিষয় নিয়ে ট্যুইট করেছেন স্থানীয় মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন। ট্যুইটে তিনি জানান, ‘কানাডায় এই ধরনের ঘটনার কোনও স্থান নেই। আশা করছি, দ্রুত অভিযুক্তদের শাস্তি হবে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে,তাঁরা যেন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত করতে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব পাশ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের দলের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন, দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই গান্ধী পরিবারের এই উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: হিন্দি ভাষা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং বন্ধু, বললেন অমিত শাহ

    দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগেই প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নেতা নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও রাজ্যেই তা হয়নি। তাই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। শুক্রবার দেশে ফিরছেন কংগ্রেসের (Congress) কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। চিকিৎসার জন্য গত দিন পনেরো বিদেশে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দেশে ফিরেই দলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন তিনি। এরই আগে দলের ভিতরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। মনে করা হচ্ছে, দাবার বোর্ডে সৈন্য সাজতে চাইছেন সনিয়া।

    আরও পড়ুন : হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    তবে, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের যুক্তি,  সহমতের ভিত্তিতে নতুন সভাপতি বাছাই করতে চাইছেন সনিয়া। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতির দৌড়ে নেই এটা এখন স্পষ্ট। সনিয়া, রাহুলরা ওই পদে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চান। তবে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে চান সনিয়া। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ শশী তারুর। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের নেতা মনীশ তিওয়ারিও প্রার্থী হতে পারেন। ২৪ তারিখ থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা করা শুরু হবে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section ) জন্য সংরক্ষণ (Quota) সংবিধানের সাম্যের (Equality) অধিকার খর্ব করে। এই সাম্যের অধিকার সংবিধানের হৃদয় স্বরূপ। চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। সেই মামলা সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়ে এটা সংবিধানের হৃদয়কে নষ্ট করে দেয়।

    এদিন আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এই পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এসআর ভাট, বেলা ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। এই বেঞ্চেই শুনানির জন্য জমা পড়েছিল ৩৯টি আবেদন। এর মধ্যে আবেদন করছিলেন জনৈক জনহিত অভিয়ানও। সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সংবিধানের এই সংশোধনীতেই সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আগে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাই। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন সেখানেই হয় শুনানি।

    আরও পড়ুন : পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে অধ্যাপক মোহন গোপাল সংবিধানের সংশোধনীকে আক্রমণ করে বলেন, সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা সংবিধানের প্রতি প্রতারণা। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন সমাজের অগ্রসর শ্রেণিও। এর পরেই সওয়াল করতে ওঠেন প্রবীণ আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। তিনিও বলেন, এটা সমাজের একটি বিশেষ অংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এবং এভাবে সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখও বলেন, সংবিধানের এই সংশোধনী সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি তারকা নেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। ২৩ অগাস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় জানিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল গোয়া পুলিশ। তবে গোয়া পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করেছিল তাঁর পরিবার। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল তাঁরা। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবি মেনে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এর পরেই সোনালি খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    সোনালির মৃত্যুর প্রসঙ্গে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি গোয়া পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু হরিয়ানার মানুষ, সোনালির পরিবার বিশেষত, সোনালির মেয়ের ক্রমাগত দাবির ফলে তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইকে দিচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট খুনে নয়া মোড়, এ কী বললেন তাঁর সহকারী?

    জানা গিয়েছে, গত রবিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করে সোনালির পরিবার। গোয়া পুলিশের (Goa Police) তদন্তে উপর অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁরা। পরিবারের সেই দাবি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়ে দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে খুশী সোনালির পরিবার।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৩ অগস্ট গোয়ায় হয় সোনালি ফোগাটের। হাসপাতাল থেকে প্রথমে জানা হয়েছিল যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ। কিন্তু সোনালির পরিবার এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করে। এরপরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সোনালির দুই সহকারী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। দুই ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দ্র ওয়াসির সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এবারে সিবিআই তদন্তে আসল দোষী ধরা পড়বে বলে আশা করেছে সোনালির পরিবার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা। সোমবারই চঞ্চলা কুমারী নামে এক তরুণীকে তার ভাইকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ চঞ্চলার সঙ্গে সোনু আনসারি, নামে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক চঞ্চলার ভাই রোহিত কুমার মেনে নেয়নি। এর ফলেই রোহিতকে খুন করে চঞ্চলা ও সোনু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। পাত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় রোহিতের দেহ। এরপরই সোমবার চঞ্চলা ও সোনুকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে যে কুমার অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার পুলিশ কুমারের বিকৃত দেহটি উদ্ধার করে। চঞ্চলা এই অপরাধে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চঞ্চলা ও রোহিতের বাবা নরেশ মাহাতোর পাত্রাতু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাঁচির ব্যবসায়ী নরেশ এফআইআরে জানিয়েছেন, চঞ্চলার সঙ্গে দেখা করতে রোহিত রাঁচি থেকে রামগড়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

     অন্যদিকে, রাঁচিরই একটি স্কুলে ঢুকে হিন্দু মেয়েদের বাধ্য করা হল মুসলিম যুবকদের বন্ধুত্ব মেনে নিতে। অভিযোগ, একদল মুসলিম যুবক ওই সরকারি স্কুলে ঢুকে ছুড়ি দেখিয়ে হিন্দু ছাত্রীদের ভয় দেখায়। হুমকি দেওয়া হয়, বন্ধুত্ব স্বীকার না করলে মেয়েদের অপহরণ করা হবে। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ওই মেয়েদের পাশে দাঁড়ালে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই নবম শ্রেণির কয়েকজন হিন্দু ছাত্রীকে বিরক্ত করছে একদল মুসলিম যুবক।

    এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের কথায়, ঘটনাটিকে অযথা সাম্প্রদায়িকতার রঙ দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের এবং স্কুলের ম্যানেজমেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনায় হেমন্ত সোরেন সরকারকে দায়ী করেছে। বিজেপির দাবি করেছে যে রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।

  • Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা  হলেই আপনারা সাধারণ জ্বরের ওষুধ খেয়ে নেন ও তখন জ্বর কমে গেলে আপনিও মনে করেন যে, হয়তো সব সমস্যা চলে গিয়েছে, কিন্তু অনেক সময় তা নাও হতে পারে। কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনি ডেঙ্গি আক্রান্ত। ফলে জ্বর হলেই ভাববেন না যে তা সাধারণ জ্বর। অনেকে সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গি জ্বরের মধ্যে অনেকেই তফাত করতে পারেন না, আবার দ্বিতীয়বারের জন্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া যায় কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকে অনেকের।

    কজন ব্যক্তি একবারের বেশি ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে?

    ডেঙ্গি (Dengue) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এ ক্ষেত্রে এডিস ইজিপ্টাই (Aedes Aegypti) মশা মানুষের শরীরে ভাইরাসের প্রবেশ ঘটিয়ে প্লেটলেট নষ্ট করে দেয়। ফলে যেহেতু এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ, ফলে একাধিকবার আপনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এবং একবারের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তা তুলনামূকভাবে বেশি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এই ধরণের মশা সাধারণত ভোরবেলা বা সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বর ‘ব্রেক-বোন ফিভার’ নামেও পরিচিত, কারণ এটির কারণে শরীরে ব্যথা ও তীব্র জ্বর হয়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    তবে একটু সতর্ক হলেই ভেক্টরের বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেতে পারে। সাধারণত জমা জলেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির লার্ভা। বিশেষত বর্ষাকালে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। ফলে আশেপাশে জল জমা হতে দেবেন না। মশা নিরোধক, মশারি, মশার প্রজনন স্থল নির্মূল করা; এবং কীটনাশক ব্যবহার সবই ডেঙ্গি প্রতিরোধে কার্যকর।

    ডেঙ্গির লক্ষণ ও কীভাবে বুঝবেন আপনি কোভিড নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত?

    সাধারণত, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশী ব্যথা, হাড়ের ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়। ত্বকে ক্ষত, এবং নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাতও দেখা যেতে পারে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর প্রস্রাব ও মলের সঙ্গেও রক্তপাত হতে পারে। ডেঙ্গির সংক্রমণ হলে রক্তে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে শুরু করে। আর এই কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে হেমারেজ অর্থাৎ রক্তক্ষরণ হয়। প্রায়শই ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণগুলি প্রতিটি রোগীর মধ্যে উপস্থিত নাও হতে পারে এবং এই লক্ষণগুলি হয় হালকা বা গুরুতর হতে পারে। জ্বর সাধারণত ২-৭ দিন স্থায়ী হয়। এই সময়ে ক্রমাগত বমি, পেটে ব্যথাও দেখা যায়। তাই কারোর জ্বর আসলেই এবং এই লক্ষণগুলি দেখা গেলেই তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গির কিছু উপসর্গ কোভিডের সঙ্গে মিলে গেলেও যদি হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়ে, তবে বোঝা যাবে ডেঙ্গির আশঙ্কা কম।

  • Raja Hari Singh: রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে

    Raja Hari Singh: রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোগরা সাম্রাজ্যের (Dogra dynasty) শেষ রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্র। ২৩ সেপ্টেম্বর ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর পর রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে ডোগরা জনগোষ্ঠী হরি সিংয়ের জন্মদিনে সরকারি ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    জন্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা জানান, কাশ্মীরের রাজার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের এই ঘোষণায় খুশি উপত্যকাবাসী। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। রাজ্যকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। জন্মু-কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিং ভারতের অন্যান্য দেশীয় রাজ্যের মতো কাশ্মীরকেও ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেন।

    আরও পড়ুন: কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে আসছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম’ প্রকল্প

    ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা লাভ করলে কাশ্মীরকে পাকিস্তান বা ভারত কোনওটির সঙ্গে যুক্ত না করে স্বতন্ত্র দেশীয় রাজ্য হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন হরি সিং। কিন্তু, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মুসলিম অধ্যুষিত এই রাজ্যটিকে দখল করতে এগিয়ে এলে হরি সিং ভারতের শরণাপন্ন হন। ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় কাশ্মীর।

    কিন্তু কাশ্মীরের স্বতন্ত্রতা ও বৈচিত্র্যতা নিয়ে রাজা উদ্বিগ্ন থাকায় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরেও ভারত সরকার হরি সিংহের পূর্বসূরি রণবীর সিংয়ের সম্মানে ‘রণবীর পেনাল কোড’ (Ranbir Penal Code) নামে একটি আইন প্রনয়ণ করে। এছাড়াও রাজ্যের নিজস্ব শাসন আইনে (State Subject law) অ-কাশ্মীরিরা কেউ জমি কিনতে পারতেন না। ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে সংসদে ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল করা হলে কাশ্মীর এই বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।

    এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। 

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • Shehbaz Sharif: পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল দেশদ্রোহিতার অভিযোগ! কেন জানেন?

    Shehbaz Sharif: পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল দেশদ্রোহিতার অভিযোগ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার (Treason) অভিযোগ! সম্প্রতি এই মর্মে পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিধানসভায় পাশ হয়েছে একটি রেজলিউশন। তাতে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (PM Shehbaz Sharif) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার জেরে ফের একবার তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশটির রাজনৈতিক আবহ।

    দিন কয়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁরই শেষকৃত্যে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছেন শেহবাজ। অভিযোগ, সেখানে তিনি দেখা করেছেন তাঁর পলাতক ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে। এই নওয়াজ তিন দফায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শেহবাজের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের নয়া সেনা প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

    পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ এবং সহযোগী পিএমএলকিউয়ের জোট সরকার। সম্প্রতি এই সরকারই একটি রেজিলিউশন পাশ করেছে। তাতেই দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুই তৃতীয়াংশ ভোটে সেই রেজলিউশান পাশও হয়েছে। পাঞ্জাবের সংসদীয় মন্ত্রী বাসারত রাজা শেহবাজের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ওই রেজলিউশন নিয়ে আসেন। সেখানে সংবিধানের ৬ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। রেজিলিউশনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দিন দুই আগে দেখা করেছিলেন। সেখানে নয়া সেনা প্রধান নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। এটা সংবিধান বিরোধী। শুধু তাই নয়, দেশের সেনা বাহিনীর পক্ষেও অপমানজনক।  

    আরও পড়ুন :মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডন চলে যান নওয়াজ শরিফ। সেই সময় লাহোর হাইকোর্ট মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে তাঁর আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছিল। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আল জাজিরা দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জামিন পেয়ে চলে যান লন্ডন।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরে অবসর নেবেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার জানিয়েছিল ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল শেহবাজের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share