Blog

  • Tollygunj Fire: টলিপাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৮ ইঞ্জিন

    Tollygunj Fire: টলিপাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৮ ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার কলকাতা। বৃহস্পতিবার সকালে কুদঘাটের (Tollygunj Fire) ২৭ নম্বর বাবুরাম ঘোষ রোডে এক প্রযোজনা সংস্থার গুদামে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রায় ১৮টি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন৷     

    আগুন লাগার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতে খবর না থাকলেও, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ গুদামে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারীরা। তবে আগুন লাগার সময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না বলে খবর। ফলে গোডাউনের ভিতর কারও আটকে পড়ার সম্ভাবনা কম।  

    দমকলের ৮টি ইঞ্জিন প্রথমে গিয়েছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫টি। জোরকদমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। গোডাউনের পাশেই প্রচুর আবাসন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে গোডাউনে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেখে দমকলে খবর দেন। অল্প সময়েই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড শব্দে টিনের শেড ফেটে ভেঙে পড়ে। গোডাউনের ভিতর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।   

    মুভি সংস্থার গোডাউনে প্রচুর অত্যাধুনিক ও মূল্যবান যন্ত্র, সরঞ্জাম, ক্যামেরা এবং ইলেক্ট্রনিক জিনিস ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুনের তাপে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।  

    এদিকে, গতকাল রাতেই ক্যানিংয়ের (Canning Fire) মাতলা ব্রিজের কাছে ভয়াবহ আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ১০-১২টি দোকান। কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল গভীর রাতে মাতলা ব্রিজের কাছে একটি দোকান থেকে পরপর কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Manik Bhattacharya: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    Manik Bhattacharya: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মোবাইলে সেভ করা দুটি নম্বর নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির কল লিস্টে মিলেছে ‘RK’ এবং ‘DD’ নামে দুই ব্যক্তির নম্বর। নিয়োগের তালিকা নিয়ে একাধিকবার ‘RK’-কে নামক ব্যক্তিকে ফোন করেছেন মানিকবাবু। জানিয়েছেন ‘DD’-র অনুমোদনের কথাও। কে এই ‘RK’ ও ‘DD’?

    আরও পড়ুন: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির
     
    এই নামের খোঁজ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের ঘাম ছুটলেও, এক নিমেষে রহস্য উন্মোচন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু রহস্য ভেদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদাকে। 

     

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন ফেলুদাকে (সত্যজিৎ রায়ের ঋণ স্বীকার করেছেন) নিয়ে কাল্পনিক সংলাপের একটি কমিক স্ট্রিপ পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যের সমাধান করেছেন ফেলুদা। কমিক স্ট্রিপে দেখা যাচ্ছে, ‘ডিডি’ এবং ‘আরকে’-ধাঁধার রহস্য ভেদ করতে ফেলুদার শরণাপন্ন হয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    প্রদোষ মিত্রর বাড়িতে হাজির হয়েছেন এক ইডি আধিকারিক। ‘RK’ এবং ‘DD’-র সন্ধানে ফেলুদার সহায়তা চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। ‘RK’ ও ‘DD’র সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক, তাঁদের কথোপকথন ফেলুদাকে বিস্তারিত জানান ইডি আধিকারিক।গোয়েন্দাদের ফেলুদা বোঝাচ্ছেন, “‘আরকে’ মানে ধরে নিন আর কে? অর্থাৎ গৌণ। তালিকায় সম্মতি দিচ্ছেন ‘ডিডি’। তিনিই মুখ্য।”


    ফেলুদার আরও প্রশ্ন, “আপনি বাংলার দিদি শব্দটি যদি ইংরেজিতে লিখে মোবাইলে সেভ করেন, তা হলে কী বানান লিখবেন? ডিডি, তা-ই তো!” এই কমিক স্ট্রিপ তুলে ধরে শুভেন্দুর মন্তব্য, “এ ভাবে যদি রহস্যের জাল কেটে সত্য খুঁজে নেওয়া যেত, তা হলে তদন্ত দ্রুত শেষ করে প্রকৃত দোষীদের সাজা দেওয়া যেত।”          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Railway Recruitment: সাদার্ন রেলে চাকরির সুযোগ, শূন্যপদ ৩ হাজারেরও বেশি

    Railway Recruitment: সাদার্ন রেলে চাকরির সুযোগ, শূন্যপদ ৩ হাজারেরও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাদার্ন রেলওয়ে। বিভিন্ন পদে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। বিশদে জানতে সাদার্ন রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে HTTPS://SR.INDIANRAILWAYS.GOV.IN/  গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। আবেদন শুরু হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। চাকরিপ্রার্থীদের এই পদের জন্য ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। এই সংক্রান্ত সময়সীমায় কোনও বদল আনা হলে তা নোটিশের মাধ্যমে প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ, কী যোগ্যতা প্রয়োজন?

    এই বিষয়ে এই তথ্যগুলি জেনে রাখুন, 

    • পদের নাম: অ্যাপ্রেন্টিস
    • শূন্যপদের সংখ্যা: ৩১৫৪ (ক্যারেজ/ওয়াগনর ওয়ার্কশপ- ১৩৪৩, সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপ- ৫২৭, ট্রিচি ওয়ার্কশপ- ১২৮৭) 
    • কাজের স্থান: ভারতের দক্ষিণাঞ্চল
    • শিক্ষাগত যোগ্যতা: রেলের এই পদে আবেদনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের দশম শ্রেণি পাশ ছাড়াও নির্দিষ্ট ট্রেড অনুযায়ী আইটিআই যোগ্যতা থাকতে হবে। সেই ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ এবং বিজ্ঞানের বিষয়ও থাকতে হবে আবেদনকারীর। 
    • আবেদন পদ্ধতি: অনলাইন
    • আবেদনের শেষ তারিখ: ৩১.১০.২০২২ 
    • আবেদনের যোগ্যতা: যে সকল প্রার্থীরা সাদার্ন রেলওয়ের অধীনস্থ ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে বসবাস করেন তাঁরাই এই ঘোষিত শূন্য পদগুলির জন্য আবেদন করার যোগ্য।
    • বয়সসীমা: অ্যাপ্রেন্টিস পদে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ১৫ বছরের বেশি হতে হবে এবং ফ্রেশার/এক্স-আইটিআই, এমএলটি ইত্যাদি পদের জন্য প্রার্থীদের বয়সসীমা ২২-২৪ বছরের মধ্যে হতে হবে।
    • নির্বাচন পদ্ধতি: বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জমা দেওয়া সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের মেধা তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে দুই জন প্রার্থীর একই নম্বর থাকলে যে আবেদনকারীর বয়স বেশি তাঁকে বেছে নেওয়া হবে। জন্ম তারিখ একই হলে, যে প্রার্থী ইতিমধ্যেই ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাকেই যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কখনওই তেমন ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, কঠিন সময় ছিল আড়াই বছর। মঙ্গলবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। তবে প্রতিবেশীদের যেহেতু মিলেমিশে থাকতেই হয়, তাই চিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর। ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও কোয়াড সদস্য হিসেবে সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা প্রসঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশের প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঝরেছে রক্তও। চল্লিশ বছর পর সীমান্তে রক্ত ঝরেছে। আমাদের ২০ জন সৈন্যকে হারাতে হয়েছে।

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে ভারত-চিনের (India China)। সেই সূত্র ধরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তার পরেও আমাদের দেশের তরফে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পরের দিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে ফোন করি। চিনের দিক থেকে আর যেন কোনও সামরিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আবেদনও করি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি হচ্ছে দুই দেশের কথা চালাচালি। এটা কেবল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রশ্ন, যদি কূটনীতিকরা পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা না বলেন, তা কী ধরণের কূটনীতি তাঁরা করবেন? তাঁর মতে, দিনের শেষে প্রতিবেশী দেশগুলির মিলেমিশে থাকাই শ্রেয়।

    আরও পড়ুন : মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আগেও একবার বলেছিলেন জয়শঙ্কর। অগাস্টে ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই কঠিন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, বেজিং সীমান্তে যা করেছে, তার পর। তিনি এও বলেছিলেন, যদি দুটি প্রতিবেশী দেশ হাত না মেলায় তাহলে এশিয়ান সেঞ্চুরি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cartoon Network:আমাদের শৈশবের দিন শেষ! কার্টুন নেটওয়ার্ক নিয়ে কেন বলছেন নেটিজেনরা?

    Cartoon Network:আমাদের শৈশবের দিন শেষ! কার্টুন নেটওয়ার্ক নিয়ে কেন বলছেন নেটিজেনরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের জন্য দুঃসংবাদ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৩০ বছরের পুরনো কার্টুন নেটওয়ার্ক (Cartoon Network)। ৯০’- স এর ছেলেমেয়েদের কাছে কার্টুন নেটওয়ার্ক মানে একটা নস্টালজিয়া। ড্রইং রুমে ধারাবাহিকের কচকচানি শোনার ফ্যান্টাসি ছিল না তাঁদের। অমোঘ আকর্ষণ ছিল কার্টুন নেটওয়ার্কের প্রতি। মা-বাবার হাজার বকুনি খেয়েও নয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখেই বেড়ে উঠেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছিল মঙ্গলবার। ৩০ বছর পর কার্টুন নেটওয়ার্ক বন্ধ হচ্ছে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নিচ্ছে চ্যানেল। এই খবর জানাজানি হতেই নেটদুনিয়া ছেয়ে গিয়েছিল হৃদয়বিদারক পোস্টে। যেন প্রিয় বন্ধুকে সমাধিস্থ করা হচ্ছে, এমন ভাবেই একটি চ্যানেলকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্ববাসী। তাঁরা বেশির ভাগই নব্বইয়ের দশকের শিশু। যাঁরা আজও কোন সময় কোন কার্টুন হত, মুখস্থ বলে দিতে পারবেন, গল্পসমেত।এত দিনের নস্টালজিয়া, ছোটবেলা জড়িয়ে যেখানে, তার হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

    [tw]


    [/tw]

    সেই পরিস্থতিতে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর তরফে টুইট করা হল শনিবার, “তোমাদের সবাইকে বলছি, আমরা মরিনি। আমরা শুধু ৩০ বছর পূর্ণ করলাম। অনুরাগীদের বলছি, আমরা কোথাও যাচ্ছি না। যেমন ছিলাম তেমনই তোমাদের বাড়িতে থাকব। তোমাদের ভালবাসায় আরও কিছু উদ্ভাবনী কার্টুন নিয়ে আসব।”

    [tw]


    [/tw]

    অন্য দিকে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স (Warner Bros) কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলটি অধিগ্রহণ করার পরই  ২৬ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। অধিগ্রহণ করার  বিশদ বিবরণ কিংবা, এটি কী ভাবে আগামী দিনে কার্টুন নেটওয়ার্ক-এর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করবে, তা এখনও জানা যায়নি।

    কার্টুন নেটওয়ার্কের (Cartoon Network)  তরফ থেকে ট্যুইট আসার পর ভক্তদের মনে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। একজন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন দয়া করে পুরোনো কার্টুন শো গুলি রাখবেন বাচ্চাদের ক্লাসিক শো গুলির দেখার সুযোগ করে দেবেন। আবার আরেকজন লিখেছেন, ক্লাসিকের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের নতুন শো থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত ১৯৯২ সালে টেড টার্নার কার্টুন নেটওয়ার্ক (Cartoon Network) চ্যানেলটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই চ্যানেলটির সবচেয়ে পুরনো কার্টুন শোয়ের নাম ছিল দ্যা মস্কি শো (The Moxy Show)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Priyanka – Malala: ইন্সটাগ্রাম বিতর্কে নোবেলজয়ীর সমর্থনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কী এমন ঘটল?

    Priyanka – Malala: ইন্সটাগ্রাম বিতর্কে নোবেলজয়ীর সমর্থনে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কী এমন ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড ও হলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে (Priyanka Chopra) তাঁর অভিনয়ের পাশাপাশি সাহসী চরিত্রের জন্যই সবাই তাঁকে চিনে থাকেন। ফলে তাঁর পরিচয় দেওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না। যে কোনও বিতর্কেই প্রিয়াঙ্কাকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। যেমন সম্প্রতি ইরানে চলা হিজাব বিরোধী আন্দোলনেও তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। যদিও তাঁকে এর জন্য অনেক কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে। তবে তাঁর কোনও তোয়াক্কা না করেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এবারে মালালা ইউসুফজাই-এর সমর্থনে (Priyanka-Malala) তাঁকে দেখা গেল। সম্প্রতি আমেরিকান কমেডিয়ান হাসান মিনহাজ তাঁর একটি শো-তে মালালা-কে খোঁচা দিয়ে ঠাট্টা করায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই বিতর্কেই প্রিয়াঙ্কা মালালাকে সমর্থন করেছেন।

    তবে কী এমন বলেছেন আমেরিকান কমেডিয়ান? ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, হাসান মিনহাজ তাঁর শো-তে মালালাকে উপহাস করে বলেছেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা তাঁকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করেছেন, কিন্তু হাসান তাঁকে ফলো করেননি। আর এই নিয়েই চলছিল ঠাট্টা-মশকরা। এরপরেই এই খবর মালালা জানতে পেরে তাঁকে ইন্সটাগ্রামে আনফলো করে দেন।

    আরও পড়ুন: বলিউডে এন্ট্রি শিখর ধাওয়ানের! কোন সিনেমায় হুমা কুরেশির সঙ্গে দেখা যাবে ভারতীয় ক্রিকেটারকে?

    [insta]https://www.instagram.com/reel/Cjp9iUjA57l/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    তবে এই বিতর্ক এখানেই শেষ নয়, এরপরে কমেডিয়ান হাসান ফের এর উত্তর দিতে একটি ভিডিও বানিয়ে বলেছেন, “৪ অক্টোবর, আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালাকে নিয়ে একটি রসিকতা করেছি। আমি বলেছিলাম সে আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করে এবং আমি তাঁকে ফলো করি না। তারপর ৫ অক্টোবর, তিনি প্রতিশোধ নেন জিজ্ঞাসা করে এই লোকটি কে? সে আমাকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছে। আমি দুঃখিত মালালা, আমাকে অনুসরণ করুন। আমি জানি না আমি আপনাকে অনুসরণ করব কিনা।“

    [insta]https://www.instagram.com/reel/CjvKYpegPTX/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ফলে মালালা ও হাসানের বিতর্কের মাঝে প্রিয়াঙ্কা মালালার (Priyanka-Malala) পাশে দাঁড়িয়েছেন ও তিনি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে বলেন, যে তিনিও হাসান মিনহাজকে ফলো করেন না। ফলে এইভাবেই ইন্সটাগ্রামে ফলো আনফলো নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Multan Pakistan: পাকিস্তানের এক হাসপাতালের ছাদ থেকে উদ্ধার প্রায় ৫০০ পচাগলা মানবদেহ

    Multan Pakistan: পাকিস্তানের এক হাসপাতালের ছাদ থেকে উদ্ধার প্রায় ৫০০ পচাগলা মানবদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাকিস্তানের মুলতান (Multan Pakistan) শহরের এক হাসপাতালের (Nishtar Hospital) ছাদ থেকে উদ্ধার হল শত শত পচাগলা মৃত দেহ (Decomposed Dead Bodies)। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃত দেহের সংখ্যা ৫০০- ও ছাড়িয়ে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, মুলতানে নিশতার হাসপাতালের মর্গের ছাদ থেকে শত শত দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটতার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 

    বিষয়টি নিয়ে আপাতত উত্তাল সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মুলতানের নিশতার হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ছাদে পড়ে রয়েছে শত শত মৃতের দেহাংশ। 

     

    আরও পড়ুন: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    সূত্রের খবর, হাসপতালের ছাদে একটি নির্মিত ঘরেই দেহ গুলি পড়েছিল। মৃতের সংখ্যা নিয়ে সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, খবর আসে হাসপাতালের ছাদে রয়েছে পচা গলা দেহ। তারপরই তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তখনই তাঁকে এক ব্যক্তি মর্গে যেতে বলেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রথমে তাঁকে মর্গে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি হাসপাতালের কর্মীরা। জোর করে মর্গে ঢুকে ছাদ থেকে দেহগুলি উদ্ধার করেন। দেহগুলিকে চিল-শকুনে ছিড়ে খাচ্ছিল। বেশ কিছু দেহতে পোকাও লেগে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। সেখানে নারী ও পুরুষদের দেহ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। দেহগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল কিনা তাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ জানতে চান ওই সরকারি আধিকারিক। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, মেডিক্যাল ছাত্রদের কাজে লাগে দেহগুলি। 

    প্রসঙ্গত, মানুষ নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে পাকিস্তান। প্রতি বছরই গড়ে ২ হাজারের ওপর মানুষ নিখোঁজ হয় সেখানে। ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার মানুষ হারিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী ৬৫০০ বালোচ ও ৫ হাজার পাশতুন নিখোঁজ হয়েছে গত এক বছরে। মৃতদেহগুলি বালোচ বা পাশতুনদেরও হতে পারে বলে অনুমান। কারণ পাকিস্তান নিরাপত্তারক্ষীরা বালোচ এবং পাশতুনদের গুম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। জানা গিয়েছে, দেহগুলির গঠন অনেকটা পাহাড়ি মানুষের মত হওয়ায় সন্দেহ বেড়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করার আশ্বাস দিয়েছে পাক প্রশাসন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুর রক্তে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা (Terrorism)। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আবার খুন হলেন কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) পন্ডিত (Kashmiri Pandit)। মৃত ব্যক্তির নাম পুরণ কৃষাণ ভাট। এই ঘটনার পরই সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় উত্তাল জম্মু কাশ্মীর। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইটারে জানিয়েছে, “সোপিয়ানের চৌদারি গুণ্ড এলাকায় বাগিচায় যাচ্ছিলেন পুরাণকৃষাণ। তখন ওই সংখ্যালঘুকে নিশানা করে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু চলছে।”  

     


          
    দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধরি গুন্ড এলাকায় পুরন ভাটের বাড়ির সামনেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সোপিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুটি সন্তান রয়েছে ভাটের। একজন সপ্তম শ্রেণি ও অন্যজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বাইরে যেত না পুরণ। ঘরেই থাকত। সন্ত্রস্ত পরিবারের সবাই। 

    পন্ডিত খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার’। ডিআইজি সুজিত কুমার বলেন, ” কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সেই মুহূর্তে সেখানে এক নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষী ওই এলাকায় একজনকেই দেখেছেন। অন্য কেউ লুকিয়ে থাকলে তাঁকে দেখা যায়নি। স্কুটারে করে এসেছিল খুনিরা। দুজন ছিল। নিরাপত্তারক্ষীর সামনে ঘটনাটি ঘটলে নিরাপত্তারক্ষীসহ ওই এলাকার কর্মরত সব আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 
     
    প্রসঙ্গত, এ বছর এর আগে একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে। মে মাসেই বুদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই শয়ে শয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায়। গত বছর অক্টোবর থেকেই কাশ্মীরে এইরকম একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে আসছে। ফের সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ গেল আরেক কাশ্মীরি পণ্ডিতের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসছে বিশ্বব্যাপী মন্দা (Global Recession)। এ খবর আমরা আগেই জেনেছি। তবে সে মন্দার ধাক্কা তামাম বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে প্রভাব ফেলবে, ভারতে সেরকম কিছু ঘটবে না। শুক্রবার একথা জানালেন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) চেয়ারম্যান দীনেশ খাড়া। তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মন্দার বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়লেও, ভারতে তার ধাক্কা হবে মৃদু। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারতের (India) অবস্থান ক্রমেই যে ভালর দিকে যাচ্ছে, তা আগেও  জানিয়েছিলেন তিনি। এদিনও জানান, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভাল করছে ভারত। বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের বাৎসরিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন দীনেশ। ওই বৈঠকের  ফাঁকেই তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। দীনেশ বলেন, ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.৮। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তিপূর্ণভাবেই ভাল করছে ভারত। তিনি বলেন, চাহিদার নিরিখে ভারতের অর্থনীতি অন্তর্মুখী। কারণ এখানকার জিডিপি দেশীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই গোটা বিশ্বে মন্দা থাবা বসালেও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়লেও, আমার মনে হয়, ভারতে তেমন প্রভাব পড়বে না।

    তিনি বলেন, আমরা যদি বেটা ফ্যাক্টরের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখব বিশ্বের বৃহত্তর অর্থনীতির যেসব দেশ রয়েছে, যারা প্রচুর পরিমাণে রফতানি করে, তাদের বেটা ফ্যাক্টরের তুলনায় ভারতের বেটা ফ্যাক্টর খুবই কম। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রাথমিক কারণ চাহিদা ভিত্তিক নয়, এটি অবশ্যই জোগান ভিত্তিক। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দীনেশ বলেন, আমরা যদি জোগানের দৃষ্টিতে মুদ্রাস্ফীতিকে দেখি, তাহলে দেখব আমাদের ইউটিলাইজেশন ক্যাপাসিটি প্রায় ৭১ শতাংশ। যার অর্থ হল, আমাদের এই ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সামান্যতম হলেও জায়গা রয়েছে। তাই জোগান চেইনে কোনও বিঘ্ন ঘটলে, যেটা ইদানিং বিশ্বের নানা ঘটনার জেরে ঘটছে, যার প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রেও, তাহলে তার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বেই।

     

     

  • Sai Baba: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

    Sai Baba: সাইবাবার জীবন জুড়ে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী! তাঁর তিরোধান দিবসে জানুন সেই গল্প

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুণের নামকরা ব্যক্তিত্ব, সম্ভ্রান্ত মানুষ ভীমাজী পেটেল টাঙা থেকে আশ্রমের গেটে নামলেন। দুরারোগ্য যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত তিনি। উপাসনা করে থাকেন তিনি , এমন সব ঠাকুরের কাছে মানত করেও কোনও ফল হয়নি। শীর্ণকায় শরীরে আশ্রমের দরজা  থেকে সন্ন্যাসীর  কাছ পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতাও তাঁর নেই। কঙ্কালসার দেহটিকে টানতে টানতে, ধুঁকতে থাকা ভীমা, হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সন্ন্যাসীর পায়ে গিয়ে পড়লেন। বললেন, ‘আমাকে তুমি কৃপা করো, রোগ থেকে মুক্ত করো’। একগাল হেসে সন্ন্যাসী হেসে বললেন, ‘তাঁর কৃপা হলে তুমি আবার দাঁড়িয়ে উঠবে, আবার আগের মতোই বাঁচবে’। এই কথা বলে ওই বাবাজী ধুনির পাশে জমে থাকা ভস্ম থেকে একমুঠো ভস্ম নিয়ে ভীমার মাথায় মাখিয়ে দিলেন। সামনে বসে থাকা ভক্তরা বিস্মিত হয়ে দেখলো, কঙ্কালসার হয়ে যাওয়া ভীমাজীর মৃতপ্রায় দেহটা ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। আগের থেকে তাঁর চোখমুখ অনেক উজ্জ্বল। হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই অলৌকিক ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে না পাওয়া গেলেও, ভীমাজী কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ভক্তরা স্তম্ভিত হয়ে জয়ধ্বনি দিয়ে উঠল বাবাজীর নামে। এমন প্রচলিত বহু গল্প রয়েছে এই বাবাজী সম্পর্কে।

    গল্প যাই থাকুক উনবিংশ শতকে তিনি ছিলেন এই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মগুরু। শিরডির সাইবাবা। আজ তাঁর তিরোধান দিবস। ১৯১৮ সালের ১৫ই অক্টোবর তাঁর প্রয়াণ হয়। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ব্রাহ্মণ ঘরে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেক ভক্তের মতে, তিনি ছিলেন সদ্গুরু, সুফি পির বা কুতুব। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়লেও, ভারতেই তিনি সর্বাধিক শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। সাই বাবার প্রকৃত নাম জানা যায় না শিরডিতে আগমনের পর তাকে “সাই” নাম দেওয়া হয়। তার জন্ম বা জন্মস্থান সংক্রান্ত কোনও প্রামাণিক তথ্য আজও জানা যায় না। সাই বাবা তাঁর পূর্বাশ্রমের কথা জানিয়ে যাননি। সাই শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। এই শব্দের অর্থ “সাক্ষাৎ ঈশ্বর” বা “দিব্য”। ভারতীয় ভাষাগুলিতে সাম্মানিক “বাবা” কথাটির অর্থ “পিতা”, অর্থাৎ, সাই বাবা নামের অর্থ “দিব্য পিতা” বা “পিতৃরূপী সন্ত”। তাঁর পিতামাতা, জন্মের বৃত্তান্ত এবং ষোলো বছর বয়সের পূর্বের কথা জানা যায় না।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    সাই বাবা পার্থিব বস্তুর প্রতি আগ্রহী ছিলেন না।  আত্ম-উপলব্ধি ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। তিনি সন্ত হিসেবে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বের নানা অংশের মানুষ তার পূজো করেন। ভালবাসা, ক্ষমা, পরস্পরকে সহায়তা, দান, সন্তুষ্টি, আন্তরিক শান্তি ও ঈশ্বর ও গুরুর প্রতি ভক্তির শিক্ষা দিতেন। আমেদাবাদের শিরডিতে পৌঁছে লোকমধ্য তাঁর বাণী দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। যে মসজিদে তিনি বাস করতেন, তার একটি হিন্দু নামও দিয়েছিলেন। এই নামটি হল “দ্বারকাময়ী”।  শিরডির একটি হিন্দু মন্দিরে তাকে সমাহিত করা হয়। তাঁকে ঘিরে বাংলাতেও পাঁচালী পাওয়া যায় ,  
    ভিক্ষা করি চাল আনি অন্ন রন্ধন করি।
    পশুপক্ষীকে দিয়ে তবে খেতেন পেট ভরি।।
    কখনো আশ্রিতদের কিছু অন্ন দিয়ে।
    অর্ধ পেট ভোজনেও থাকতেন তৃপ্ত হয়ে।।
    ভারতেই নয়, বিদেশেও হিন্দু, মুসলিম, শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাঁর পুজো করে থাকেন।

LinkedIn
Share