Blog

  • BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের প্রতিবাদ আন্দোলনে উত্তাল গোটা রাজ্য। শনিবার অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।  

    অখিলের বেফাঁস মন্তব্য…

    নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির (BJP) দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অখিল বলেন, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। পথে নামে বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে তামাম রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছে পদ্ম শিবির। নন্দীগ্রাম থানায় অখিলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    এদিকে, অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য গণতন্ত্রের অপমান। ১৪০ কোটি জনগণকে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। এই জঘন্য মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বিধায়ক পদ থেকে অপসারিত করতে সুপারিশ করুন। অখিলের গ্রেফতারির দাবিও জানান তিনি।

    অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। অখিলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন সে কারণে মন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে গ্রেফতার করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাজ না করেন, তাহলে মন্ত্রী অখিল গিরিকে গ্রেফতার করাবে বিজেপি। তিনি বলেন, জেলায় জেলায় প্রতিবাদ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছি। আদিবাসীরাও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। এফআইআর করবে। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশ কিছু নেতা পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। যতদিন এই তৃণমূল সরকারে থাকবে, ততদিন পচা ডিমের দুর্গন্ধ ছড়াবে। মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, কিন্তু তৃণমূল তা করে না। এদিকে, অখিলকে অপসারণ এবং সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। যাঁকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যিনি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিলেন কুকথার ছররা, তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় বেজায় চটেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সিংহভাগ অংশ। তৃণমূল নেতার বেফাঁস মন্তব্যে হতবাক রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আর কাঁথির এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।   

    জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অখিল গিরি, সৌমেন মহাপাত্র সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।

    কী বললেন অখিল?

    এদিনের সভা মঞ্চে উঠেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিজেপির দাবি, রূপ নিয়ে কটাক্ষ করে দেশের প্রথম নাগরিককে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

    রাজ্য বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অখিল (Akhil Giri) রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সামনে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী। এখান থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আদিবাসী বিরোধী। তাঁর মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সেটাই প্রমাণ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেন মমতার মন্ত্রী। কেন তিনি এবং তাঁর সরকার আদিবাসীদের এত ঘৃণা করেন?

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠির পরই রাতারাতি জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ রাজ্যের ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করল রাজ্য সরকার। শুভেন্দুর অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকায় রাজ্যে তৈরি হওয়া ছয়টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে একাই করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা সম্পূর্ণ একতরফা সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের টাকায় তৈরি রাজ্যে ৬টি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট বার্তায় সে কথা জানান তিনি। চিঠিতে নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি মূলত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া অর্থে তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার ‘চক্রান্ত’ করে আগে সেগুলির উদ্বোধন করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো সৌজন্যবোধও দেখাননি মুখ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি তাঁর কোনও সম্মান নেই।” ট্যুইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রচার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি

    রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ১৪ নভেম্বর বেলা ১টায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের ছ’টি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পঠনপাঠনের শুভারম্ভ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছিল, এই ছ’টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটিতে ১০০ জন ছাত্রছাত্রী এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রাজ্যে আরও ৬০০টি এমবিবিএস আসন বাড়বে। এই প্রকল্পের নির্মাণে খরচ হয়েছিল  ১৫৫৬.৫৭ কোটি টাকা। মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন-সহ তাতে মোট তিনটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করারও উল্লেখ ছিল। অন্য দু’টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টেলি মেন্টাল হেল্‌থ পরিষেবা ও পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনের উদ্বোধন। তবে এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি কলেজ-কর্তৃপক্ষের।  কিন্তু আচমকাই ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। তবে কর্মসূচি বাতিল হল কেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলি উদ্বোধন করবেন বলে আগে থেকেই কর্মসূচি নির্দিষ্ট আছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কড়া জবাব দিল ভারত। জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। সেখানে আলোচনায় উঠেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  (CAA Issue in United Nation Human Right Council Meeting) এবং ঘৃণা ভাষণ প্রসঙ্গ।

    ভারত যা বলল

    জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। ওই অধিবেশনে কয়েকটি দেশ ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর উত্তরে সলিসিটার জেনারেল বলেন, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। ওই আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে (India) বসবাসের সুযোগ দেওয়া। সেই উদ্দেশে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। আর বাক স্বাধীনতা নিয়ে তিনি জানান,  ভারতের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তিই হল কথা বলার অধিকার। কিন্তু অধিকার প্রয়োগে নাগরিকদেরও কিছু কর্তব্যসাধন জরুরি। ঘৃণা ভাষণ প্রতিরোধে ভারতে আইনি বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সরব হয়। সাম্প্রতিককালে ঘৃণা ভাষণের বেশ কিছু ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায় দেশ জুড়ে।

    আরও পড়ুন: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    সিএএ কী

    ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব করতে পারে না। এই সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর CAA-র কোনও প্রভাব পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।  তবে, এর মানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মুসলিমরা কখনই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে না, তা নয়। এমন কোনও লক্ষ্যে CAA গঠন করা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ওই দেশগুলি থেকে শতাধিক মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যোগ্যতার বিচারে নাগরকিত্ব পাবেন তাঁরা। ধর্মের বিচারে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। 

     

  • Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট-বিক্ষোভের দিনে যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীকে কামড়েছেন, তাঁকে নবান্ন অভিযানের (Nabanna March) দিনও পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। চাকরি চেয়ে আন্দোলনে নেমে, প্রার্থীদের কারও কপালে জুটেছে পুলিশের কামড়। কেউ খেয়েছেন পুলিশের ঘুষি। বুধবার আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন তিনি। সে দিনের ছবি আর বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশের কামড়ের ছবি পাশাপাশি দিয়ে, বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, “নবান্ন অভিযানের দিন মমতা পুলিশের নতুন হিংস্র ও নিষ্ঠুর রেজিমেন্টের প্রমীলা বাহিনীকে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আজ বোঝা গেল।” শুভেন্দুর দাবি, “দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আকাশ মাঘারিয়া একটা মহিলা টিম করেছে। এই টিমটার আমি নাম দিয়েছি মহিলা পুলিশের হিংসাশ্রয়ী রেজিমেন্ট। এই রেজিমেন্টে আমি এর আগে একজনকে বলেছিলাম, মারিয়া বলে, তিনি নবান্ন অভিযানের দিন আমার এখানে কাঁধে তিনটে ব্লো মেরেছিলেন। সেদিনকে আমি ডোন্ট টাচ মাই বডি বলতে তো অনেকরকম ব্যঙ্গ তিরস্কার করেছেন ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি। সেদিন তো এই বেবি তামাংকে পাঠিয়েছিলেন আমার হাত কামড়াতে। আমি হাতটা কামড়ানোর সুযোগ দিইনি। কালকে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, কলেজের গেট থেকে তিনি উঠে এসেছেন, তাই সেদিনকার পরিস্থিতি তিনি আগে থেকেই আঁচ করে নিতে পেরেছিলেন। 

    নন্দীগ্রামের চটি-পুলিশ প্রসঙ্গ

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, গুণ্ডাদের দিয়ে রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে নন্দীগ্রামের চটি পুলিশের কথা বলেন। আর এরা কোন পুলিশ। জোঁড়াসাকোয় রবীন্দ্র ভারতীর ক্যাম্পাসে হেরিটেজ আইন ভেঙে ইউনিয়ন রুম করেছে তৃণমূলের কর্মী পরিষদ। এব্যাপারে সরকারকে জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেখানকার উপাচার্য। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। আর রবীন্দ্রনাথের ছবি সরিয়ে তাঁর এবং ভাইপোর ছবি বসানো হয়েছে, তাতে তো তিনি (মমতা) খুশি!” চলচ্চিত্র উৎসবে উত্তম কুমার কিংবা সত্যজিৎ রায়ের ছবি না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সেখানে থাকে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: কয়লা পাচার কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের কর্তাকে দীর্ঘ জেরা ইডি-র

    Coal Smuggling Case: কয়লা পাচার কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের কর্তাকে দীর্ঘ জেরা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার পাশাপাশি এবারে কয়লা পাচার কাণ্ড (Coal Smuggling Case) নিয়েও তৎপর ইডি। কয়লা দুর্নীতিতে এবার ইডির নজরে কলকাতা পুলিশের এসিপি শান্তনু সিনহা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মত বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে পৌঁছে যান ওই এসিপি। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র দিল্লি সদর দফতরে হাজির হন শান্তনু। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শান্তনু কালীঘাট থানার দায়িত্বে রয়েছেন। কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Smuggling Case) এসিপি শান্তনুর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়েই শান্তনুর নাম উঠে আসে। তারপরেই তথ্য যাচাই করতে গতকাল তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    কে এই শান্তনু সিনহা ও কেন ডাকা হয়েছিল তাঁকে?

    এসিপি শান্তনু বেশ কয়েক বছর কালীঘাট থানার ওসির পদে ছিলেন। পরে তাঁর পদোন্নতি হয়েই তিনি এখন ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে নিযুক্ত হয়েছেন। এসিপি শান্তনুকে তলব করায় শাসকদলের মধ্যেও অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের (Coal Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং অন্যতম অভিযুক্ত শাসক দলের পলাতক নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশের বয়ানের ভিত্তিতেই গতকাল শান্তনুকে তলব করা হয়েছিল। ইডি সন্দেহ করেছে যে, কয়লা পাচারের একটা মোটা অংশের টাকা লালা, বিনয় ও বিকাশের থেকে বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছিল। তাই ইডির স্ক্যানারে এবারে কলকাতার পুলিশ কর্তারা। শান্তনুর গত ১০ বছরের আয়কর রিটার্ন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল।

    ইডি সূত্রের দাবি, এর আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case)  দুবার নোটিশ দিয়ে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেসময় এড়িয়ে যান ও সময় চেয়ে নেন। এরপর তিনবারের সময় তাঁকে নোটিশ দিয়ে আগামী শুক্রবার তলবের জন্যে ডাকা হয় ও নোটিশে বলা হয় যে, এবার তিনি তলব এড়িয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরেই মঙ্গলবার ফোন করে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন শান্তনু। ফলে গতকাল সময় মত পৌঁছে যান ইডির দিল্লি সদর দফতরে।

  • PNB Scam: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?

    PNB Scam: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কাটল আইনি জটিলতা। ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারি (PNB Scam) কাণ্ডে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ভারতে ফিরিয়ে আনার পথ আরও প্রশস্থ হল। ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নীরব মোদির করা আবেদন খারিজ করে দিল লন্ডন হাই কোর্ট। নিজের মানসিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে রেহাই চেয়েছিলেন ঋণখেলাপি হীরে ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল লণ্ডন আদালত। গত ফেব্রুয়ারিতেই ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জেলা জজ নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যার্পণের পক্ষে রায় দেন। নিজের মানসিক অবস্থার দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদি। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিল না। 

    আরও পড়ুন: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    নীরবের জন্যে আর কোন পথ খোলা থাকল?  

    সূত্রের খবর, লন্ডন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নীরব মোদি ১৪ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে পূরণ করতে হবে একাধিক শর্ত। সেই শর্ত পূরণে কতটা সফল হবেন নীরব, এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। এদিকে লন্ডনের আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরে নীরবের ভারতের হেফাজতে আসাটা অনেকটাই সহজতর হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

    কী অভিযোগ নীরবের বিরুদ্ধে?

    গুজরাটের বাসিন্দা নীরব মোদি পিএনবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে একাধিক দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে নীরব মোদীকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকারই। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Rajiv Kumar: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকে, জানালেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকে, জানালেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র (One Nation One Election) সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের আইনসভাকে। বুধবার একথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি এও জানান, আইনসভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে কমিশন প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত রূপায়ন করতে পারে।

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই ‘এক জাতি, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-মন্ত্রীও ‘এক জাতি, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করেন। ‘এক জাতি, এক ভোট’ নীতির কথা প্রথম বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে ল’ কমিশনকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, তিনি এই নীতির পক্ষে।

    প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, কয়েক মাস পর পর নির্বাচন চলে আসে। এর প্রভাব পড়ে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিতে। তাঁর প্রস্তাব ছিল, লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটিই ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হোক। আলাদা আলাদ তালিকা তৈরি করতে জনগণের টাকার অপচয় বলেও দাবি তাঁর।

    প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির এই প্রস্তাবের তুমুল বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এক কদম এগিয়ে বলেন, এত বড় দেশে একই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য দু জায়গায় নির্বাচন করা বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নয়। তিনি বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে খরচ কমানোর ব্যাপারে সহমত। ‘এক জাতি, এক  ভোট’ প্রক্রিয়াটি সমস্ত রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু যদি এটা হল, আর কেন্দ্রের সরকার পড়ে যায়, তাহলে কি আগামিকাল ফের একটা রাজ্য ও কেন্দ্রের নির্বাচন হবে?

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    তবে আইনসভা সিদ্ধান্ত নিলে রূপায়ণ করা যেতে পারে ‘এক জাতি, এক ভোট’ নীতি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার  রাজীব কুমার (Rajiv Kumar) বলেন, এই কর্মযজ্ঞ সামলাতে অনেক কিছুই প্রয়োজন। অনেক সমস্যাও আছে। তবে এখন দেশে চলছে আইনের শাসন। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকেই। আইনসভা সিদ্ধান্ত নিলে কমিশন তা রূপায়ণ করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। ভূতপূর্ব মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এক জাতি, এক ভোট’ উত্তম প্রস্তাব। তবে এজন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংসদে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • T20 World Cup: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    T20 World Cup: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি ম্যাচের অপেক্ষা। তারপরেই মেলবোর্নে হতে পারে মহারণ। নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে রোহিতরা হারাতে পারলেই ফের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এবার ফাইনাল। 

    ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের হাতছানি

    এক সময় সেমিফাইনালে ওঠাই অনিশ্চিত ছিল। সুপার ১২-এ নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ায় সেমিফাইনালের রাস্তা খুলে যায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারপর দাপটে জয় আর শেষ চারের ম্যাচে বুধবার নিউজিল্যান্ডকে এক কথায় উড়িয়ে দিল বাবর আজমের পাকিস্তান। এদিন একমাত্র টস ভাগ্য নিউজিল্যান্ডের সহায় ছিল। প্রথমে ব্যাট করে কেন উইলিয়ামসনের দল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে। ড্যারিল মিচেল অর্ধশতরান করেন। জবাবে মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের জোড়া অর্ধশতরানের ভর করে সাত উইকেট বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ৫৩ রান করেন বাবর। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন রিজওয়ান। শেষমেশ ম্যাচের সেরার পুরস্কার ওঠে রিজওয়ানের হাতে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসন। বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই কিউইদের ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির চতুর্থ বলেই ফিরে যান দলের ওপেনার ফিন অ্যালেন। আফ্রিদির সোজাসুজি নেমে আসা বল আড়াআড়ি ভাবে খেলতে গিয়েছিলেন অ্যালেন। লাইন ফস্কান এবং সোজা এলবিডব্লিউ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ডেভন কনওয়ে এবং কেন উইলিয়ামসন। সেখানেও বাধা পেতে হয়। শাদাব খানের দুর্দান্ত থ্রোয়ে ২১ রানেই ফিরে যান কনওয়ে। এরপরে একমাত্র ড্যারিল মিচেল দাঁড়াতে পেরছিলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান ঝড় তোলেন। আর পিছনফিরে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রিটিশ-রাজে নৈশভোজ টিম ইন্ডিয়ার! কেন জানেন?

    মেলবোর্নে মহারণের অপেক্ষা

    ২০০৭-এর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেল। ২০০৭ সালে যেমন পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে মেলবোর্নে,এখনই সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা। আবার ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইবে পাকিস্তান। সেই ফাইনালে ভারতকে দাঁড়াতেই দেননি মহম্মদ আমিররা। তবে কী হবে তা সময় বলবে? আপাতত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে ভারতকে! তবেই মহারণ।

     

  • Anti Terrorism: সন্ত্রাসের জন্য অর্থ নয়! দিল্লিতে আগামী সপ্তাহে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

    Anti Terrorism: সন্ত্রাসের জন্য অর্থ নয়! দিল্লিতে আগামী সপ্তাহে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসে অর্থের যোগান বন্ধ করতে সব সময় তৎপর থাকে ভারত। যে কোনও উপায়ে সন্ত্রাস দমনই (Anti Terrorism) লক্ষ্য দেশের। তাই এবার দুই দিনের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ‘নো মানি ফর টেররিজম’-এর আয়োজন করতে চলেছে দেশ। সরকারি সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে হতে চলেছে এই সম্মেলন।

    সম্মেলনের খুঁটিনাটি

    সন্ত্রাস দমনে (Anti Terrorism) এর আগে প্রথম ২০১৮ সালে প্যারিসে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় সম্মেলনটি হয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ২০১৯ সালে। প্রায় ৬৫টি দেশ মেলবোর্নে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল। ২০২০ সালে সম্মেলনের আয়োজন করার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু করোনার জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। তাই এবার ভারতেই বসতে চলেছে এই সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণ। ১৮ ও ১৯ নভেম্বর দিল্লিতে এই সভার আয়োজন করা হবে। এগমেন্ট গ্রুপের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মন্ত্রী, কূটনীতিক এবং সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    কী আলোচনা হতে পারে?

    ১৫০টি দেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিট (FIU) দ্বারা তৈরি এগমেন্ট গ্রুপ এই সম্মেলনের আয়োজক। ভারতে এফআইউই-য়ের এক শীর্ষকর্তা জানান, সন্ত্রাসে (Anti Terrorism)অর্থের যোগান রোধ করতে, ভার্চুয়াল কনটেন্টের অপব্যবহার আটকাতে, বিশেষ করে ক্রিপ্টো কারেন্সিগুলির অপব্যবহার রোধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়ে এখানে আলোচনা হতে পারে।

    “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    সন্ত্রাস রুখতে সক্রিয় ভারত:

    সন্ত্রাস রুখতে (Anti Terrorism) ভারত সরকার অনুসন্ধান, প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাজ পণ্ড করতে নিরন্তর চাপ তৈরি করেছে। দেশের নেতৃবৃন্দ অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যদের বিচার বিভাগের অধীনে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমেরিকা এবং সমমনষ্ক দেশগুলির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে দিল্লি। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী আল কায়দা, আইসিস, জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা ও ডি-কোম্পানির বিবিধ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share