Blog

  • Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই কম-বেশি বৃষ্টিতেই কেটেছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর (South Bengal)। শেষ দুদিন ফের সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছে বটে। কিন্তু বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না এখনই। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকেই ফের বদলাবে আবহাওয়া। নেপথ্যে নিম্নচাপ (Depression)। শনিবার বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। এরফলেই রবিবার থেকে দুই বঙ্গে বাড়বে বৃষ্টিপাত। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    এবছর এখন অবধি সেভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মুখ দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ। ফলে বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেই নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) হতে পারে বলে জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Department)। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে বৃষ্টিপাত থেকে বঞ্চিত হয় দক্ষিণবঙ্গ। তবে নতুন করে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শক্তি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের 
     
    প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উপকূলের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ বদল হবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ থাকবে মেঘলাই। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে কলকাতা। 

    সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিন মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ মেঘলাই থাকবে। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে শহর। 

  • IT Raid Maharashtra: ‘বরযাত্রী’ সেজে হানা আয়কর দফতরের, উদ্ধার ৫৮ কোটি নগদ, ৩২ কেজি সোনা!

    IT Raid Maharashtra: ‘বরযাত্রী’ সেজে হানা আয়কর দফতরের, উদ্ধার ৫৮ কোটি নগদ, ৩২ কেজি সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন একেবারে সিনেমা। বরযাত্রীর গাড়ি এসে নিয়ে গেল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে। ঠিক যেমন সিনেমায় দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পর এবার মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রের জালনা থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা।

    দেশের কালো টাকা উদ্ধারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পর এবার বড় জয় পেল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। গত ৩ অগাস্ট মহারাষ্ট্রের জালনা শহরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সেখানে থেকেই উদ্ধার হয় ৫৮ কোটি নগদ টাকা।

    তবে শুধু টাকাই নয়, তার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৪ কোটি মূল্যের ৩২ কেজি সোনা সহ ৩৯০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পদ। আয়কর দফতরকে প্রায়ই এমন অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করতে দেখা যায়, তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই আলাদা। কারণ এবারে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বরযাত্রী সেজে এই অভিযান চালায়।

    আরও পড়ুন: অতুলনীয় ভালোবাসা! চোখের জলে ‘রাজকীয়’ বিদায় প্রিয় পোষ্য কুকুর অঞ্জলির, ভিডিও ভাইরাল

    আইটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে মুম্বই এবং মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের তিনটি শহরে ৩০ টিরও বেশি স্থানে অভিযান চালায়। কারণ তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে, তার উপর ভিত্তি করেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় ২৫০ জন আয়কর দফরের আধিকারিক। আর এই অভিযান চলাকলীন তাঁরা অনেক বেআইনি নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে।

    কর্মকর্তারা আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীর রয়েছে ইস্পাতের ব্যবসা। তাঁর বাড়ি এবং সংস্থায় অভিযান চালিয়ে আয়কর দফতর নগদ টাকা, সোনা এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। অন্য এক কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই একটি গাড়িকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে, ‘দুলহন হাম লে জায়েঙ্গে’ স্টিকার সেঁটে নিয়ে বিয়ের গাড়িতে বরযাত্রীর ছদ্মবেশে অভিযান চালাচ্ছেন। গাড়ির উপরে আবার লেখা ছিল, ‘Rahul Weds Anjali’। এমনকি এতে স্থানীয় পুলিশদেরও কোনও খবর দেওয়া হয়নি। যাতে কেউ বিষয়টি জানতে না পারে।

    সূত্রের খবর, বেশিরভাগ টাকা জালনার ফার্ম হাইজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই টাকা গুনতে আয়কর কর্মকর্তাদের প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগেছে। সেখান থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কলকাতা ভিত্তিক সংস্থারও যোগ রয়েছে। আবার তল্লাশি চালানোর সময় বিভিন্ন লকারেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেই লকার থেকেও বিপুল পরিমাণ সোনা, অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

  • Anubrata Mondal: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    Anubrata Mondal: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই এ যে অন্য অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। উধাও পরিচিত দাপট। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার চোখে জল। উধাও একসময়ে পুলিশকে বোমা মারার নিদান দেওয়া ‘বাহুবলী’ নেতার পরিচিত বচন। এখন নেতার মুখে কুলুপ। যাকে বলে ‘স্পিক্-টি নট’। হঠাৎ কী হল কেষ্টর?

    বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচার মামলায় বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বোলপুরে তাঁর বাড়ির সামনে ‘গরুচোর’ বলে কটাক্ষ করেন অনেকেই। বীরভূমের এই ‘বেতাজ বাদশা’-কে যেখানে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানেই ‘চোর, চোর’ রব উঠেছে। তাঁকে যখন নিয়ে আসানসোল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রতর গাড়ি দেখে জনতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ওঠে ‘গরু চোর’ স্লোগান। এরপর অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হলে, সেখানেও জুতো হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। আসানসোল কোর্টের বাইরে বাম-বিজেপির একযোগে বিক্ষোভ। তাঁদের মুখেও ছিল ‘চোর, গরু চোর’ স্লোগান। 

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট?

    এরপর ১০ দিন হেফাজতে নেওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যেবেলা অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআইয়ের কনভয়। মাঝে পালসিটের একটি পেট্রল পাম্পে থেমেছিল অনুব্রতের গাড়ি। সেখানেই কনভয়ের পিছনে থাকা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েন কেষ্ট। সেই সময় তাঁকে দৃশ্যতই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। তাঁর চোখের কোণে জল দেখা যায়। বেশ কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দিকে। যদিও কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি। গাড়ির মধ্যই চুপ করে বসেছিলেন। কেষ্ট পুরো সময়টা কিন্তু নির্লিপ্ত ছিলেন।

    এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত বীরভূম দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি। বলা হতো, রাজ্যের নয়, বীরভূমে অনুব্রতর শাসন চলে। এতটাই ছিল তাঁর প্রতাপ, প্রতিপত্তি ও প্রভাব। লোকে বলত, কেষ্টর দাপটে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়। আজ, গরুচুরির দায়ে সিবিআই হাজতে কেষ্ট। সিবিআই হাজিরা এড়াতে আগামী ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বাড়িতে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন কেষ্ট। কিন্তু, তাঁর আগেই সিবিআই হেফাজতে গেলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    অনুব্রত সম্ভবত দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তৃণমূল ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনওদিনও তাঁকে এদিন দেখতে হবে। নিজের বাড়ির সামনে ‘চোর-চোর’ স্লোগান শুনতে হবে। তাই কি চোখে জল? তৃণমূলের অন্দরে খবর যে, বেশ কিছুদিন ধরেই কেষ্ট দিদিকে ফোনে ধরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, পারেননি। অনেকটা এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ধৃত দলের আরেক হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতো। তিনিও জানিয়েছিলেন, দিদিকে ফোন করে পাননি। তাঁর দুর্দিনে দল তাঁকে ঝেড়ে ফেলেছে, তা বুঝতে পেরে কেষ্টর এই আক্ষেপ? তাঁর চোখে জল? এত কিছু চেষ্টা করেও, শেষ রক্ষা হল না! কী ভাবছেন কেষ্ট?

  • Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ বাবদ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্র (Centre)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যগুলি। এ ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC) শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। তবে সেই অভিযোগ যে নিছকই অভিযোগ, কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণ হল ফের। ১০ অগাস্ট রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাতে খরচ করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে।

    অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দু কিস্তিতে রাজ্যগুলিকে মোট ১,১৬,৬৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করা হয়েছে। ১০ অগাস্ট ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে করের যে লভ্যাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়, তার এই খাতে তার পরিমাণ ছিল প্রতি মাসে ৫৮,৩৩২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি কেন্দ্র কর বাবদ আদায় করেছে ৪১ শতাংশ। একটি অর্থবর্ষে ১৪টি কিস্তিতে রাজ্যগুলি থেকে ওই ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। সেই টাকারই লভ্যাংশের একটি ভাগ দেওয়া হল রাজ্যগুলিকে।

    আরও পড়ুন : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করেছে এদিন। এই খাতে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাকে দেওয়া হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম এই খাতে পেয়েছে ৩৬৪৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। তৃণমূল শাসিত বাংলা পেয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। রাজ্যগুলির মূলধনের জোগান ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্র অঙ্গীকারবদ্ধ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানানো হয়েছে।

     

  • Milk Price Hike: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি 

    Milk Price Hike: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রোজ বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। এর আঁচ পড়েছে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরেও। এবার আরও খানিকটা বিপদে পড়ল মধ্যবিত্ত। অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার দুধের দাম বাড়াল আমুল ও মাদার ডেয়ারি (Monther Dairy)। লিটার পিছু দুধের দাম বাড়ছে ২ টাকা। আগামিকাল, ১৭ আগস্ট থেকেই এই নতুন দাম লাগু হবে। প্রসঙ্গত, ৬ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দুধের দাম বাড়াল দুই সংস্থাই। 

    আরও পড়ুন: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন, যেটি ‘Amul’ ব্র্যান্ড নামে দুধ এবং দুধের পণ্য বিক্রি করে। 

    মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) প্রসঙ্গে আমুলের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই, দিল্লি এনসিআর, গুজরাটের আহমেদাবাদ, সৌরাষ্ট্র এবং আরও যে সমস্ত রাজ্যে আমুলের দুধ বিক্রি হয় সর্বত্রই ১৭ আগস্ট থেকে দুধের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়বে।

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    আমুলের ঘোষণার কিছু পরেই মাদার ডেয়ারির তরফেও ঘোষণা করে জানানো হয়, লিটার প্রতি ২ টাকা করে দুধের দাম বাড়াচ্ছে তারাও। আর সেই নতুন দাম ধার্য হবে বুধবার, ১৭ আগস্ট থেকেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “গত পাঁচ মাস ধরেই আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ছিল। তাই বাধ্যত এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।” বর্ধিত মূল্যের হিসেবে এবার প্রতি লিটার মাদার ডেয়ারির ফুল ক্রিম মিল্কের দাম হল ৬১ টাকা , টোনড দুধের দাম ৫১ টাকা, ডাবল টোন্ড দুধ ৪৫ টাকা।

    একই কথা জানিয়েছে আমুল। সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুধের উৎপাদন ও বিপণনের খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে গত কয়েক মাসে। আর সেই কারণেই বাড়ানো হচ্ছে দুধের দাম। এর ফলে ৫০০ মিলিলিটার আমুল গোল্ডের দাম হবে ৩১ টাকা, প্রতি লিটার আমুল তাজা ২৫ টাকা, আমুল শক্তি ২৮ টাকা। 

    আমুল বিবৃতিতে বলেছে যে, ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের সদস্য ইউনিয়নগুলি কৃষকদের জন্য দাম বাড়িয়েছে। এর একটি অংশ এখন গ্রাহকদের কাছে বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়ান-ইউক্রেন সংকটের কারণে পশু খাদ্য সহ বিশ্বব্যাপী পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বে এর দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যা দেশে সরবরাহ ও দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং দুধ উৎপাদনে নিয়োজিত কৃষকদের খরচ বেড়েছে।

  • Rakesh Jhunjhunwala: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    Rakesh Jhunjhunwala: রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ, কী হবে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার স্টকের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিখ্যাত বিনিয়োগকারী এবং স্টক মার্কেটের বিগ বুল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার (Rakesh Jhunjhunwala) অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সারা দেশ। বিশেষত বিনিয়োগকারীরা। ৬২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান বিগ বুল। রবিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফোর্বস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এত পরিমাণ সম্পত্তি পুরোটাই করেছেন শুধুই বিনিয়োগের মাধ্যমে। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত শেয়ার বাজারের ‘বিগ বুল’ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা 

    বাজারে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের স্টক রয়েছে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার নামে। এখন স্টকের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।  

    বিশ্বের মধ্যে ৪৩৮তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৩৬ নম্বরে। । শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের পাশাপাশি তিনি বিমান পরিবহণেও ক্ষেত্রেও পথ চলা শুরু করেন তিনি। গত সপ্তাহেই প্রথমবার মুম্বই থেকে আমেদাবাদ উড়ে যায় তাঁর আকাশা এয়ারের প্রথম বিমান। 

    আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, উড়ান শুরু আকাসা এয়ারের 

    পাঁচ হাজার টাকা হাতে নিয়ে তিনি শেয়ার বাজারে পথ চলা শুরু করেন। সেই সময় সেনসেক্স ছিল ১৫০ পয়েন্ট। এক বছরের মধ্য়ে মাত্র ৪৩ টাকায় ‘টাটা টি’-র পাঁচ হাজার শেয়ার কিনে নেন। তিন মাসে স্টকের দাম ১৪৩ টাকায় পৌঁছে যায়। তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি।       

    গত মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার ‘টাইটান’ এবং ‘স্টার হেলথ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্স্যুরেন্স’ সহ তাঁর পোর্টফোলিওতে এতটাই দুর্দান্ত উত্থান হয়েছিল যে তিনি একদিনে এক হাজার কোটিরও বেশি আয় করেছিলেন। এই বছরের ২১ জুন, তিনি টাটা মোটরস এবং টাইটানের স্টক থেকে ৫৯০ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে, মাত্র দু দিনে, তিনি টাইটানের শেয়ারের মাধ্যমে ৬১৮ কোটি টাকা আয় করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতেই মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে, তিনি দুটি কোম্পানির শেয়ারের ভিত্তিতে ১৮৬ কোটি টাকা  আয় করেছিলেন।  

    রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এমনই ব্যতিক্রমী এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে শেয়ার বাজারে কখনই লোকশনের মুখ দেখতে হয়নি। যখন সবাইকে বাজারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, তখনও লাভের মুখ দেখেছেন রাকেশ। আর এ কারণেই তাঁকে ‘শেয়ার বাজারের জাদুকর’ বলা হত। শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল তাঁর।  

    রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার সব থেকে লাভজনক বিনিয়োগ ছিল টাটা কোং। রাকেশ এবং তাঁর স্ত্রী রেখা ঝুনঝুনওয়ালা দুজনেই এই কোম্পানির অংশীদার ছিলেন। এছাড়াও তাঁর বড় বিনিয়োগগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, টাটা মোটরস, মেট্রো ফুটওয়্যার, অ্যাপটেক, স্টার হেলথ। এরমধ্যে স্টার হেলথে তাঁর শেয়ার ছিল ১০%। এছাড়া হাঙ্গামা মিডিয়া, অ্যাপটেকের চেয়ারম্যান ছিলেন ঝুনঝুনওয়ালা। ভাইসরয় হোটেল, কনকর্ড বায়োটেক, প্রভোগ ইন্ডিয়া, জিওজিত ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। 

    বিগ বুলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিও স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার মৃত্যুতে গভীর প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারে। 

     

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

  • Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে রাশিয়া। মস্কোয় বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এভাবেই মিত্র দেশগুলিকে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর কথায়, রাশিয়া সবসময় সার্বভৌম ও স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। এরপরই তিনি জানান, কামান, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা সহ সকল অত্যাধুনিক অস্ত্রকে (Advanced Weapons) মিত্র দেশ ও অংশিদারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন, রাশিয়া (Russia) বিশ্বব্যাপী আধুনিক অস্ত্র রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর ক্রমশ এই প্রভাব আরও বাড়ছে। সোমবার পিয়ংইয়ংয়ের মুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে চিঠি লিখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন   

    গত ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ অব্যহত। এই যুদ্ধে পাশে থাকার জন্যে বন্ধু দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন, মিত্র দেশগুলিকে সব রকম সামরিক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া।  

    সোমবার ছিল রাশিয়ার বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান। রাজধানী মস্কোয় সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন জানান, বিশ্বজুড়ে অস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ক্রমশ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ছে। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে নিজের দেশের সামরিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মিত্র দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের সমর্থনের জন্য মিত্র দেশগুলিকে ধন্যবাদ।” যদিও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে পশ্চিমের দেশগুলির ব্যাপক রোষানলের মুখে পড়ে রাশিয়া। কিন্তু তারপরেও যুদ্ধ চালিয়ে যায় তারা।

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের     

    এ নিয়ে পুতিন বলেন,  “আমাদের অনেক প্রতিবেশী এবং মিত্র দেশ রয়েছে। তারা আমাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।” তিনি আরও বলেন, “মস্কো একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করে এসেছে।”    

  • ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরো গুপ্তচর মামলায় (ISRO Spy Case) কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে (Kochi international airport) এক প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে (Former IB Officer) আটকাল বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার, ১৩ অগাস্ট স্ত্রীর সঙ্গে  লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল কেভি থমাসের (KV Thomas)। সেই মতো ব্যাগ চেক-ইন করাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লন্ডন যাওয়া আর হল না। কারণ তার আগেই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় তাঁর নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছে সিবিআই (CBI)। প্রায় চার দশক আইবিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব সামলেছেন কেভি থমাস। অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান ওই প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক। বলেন, ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আইনি সহয়তা নেবেন বলেও জানান তিনি। 

    তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করব যাতে আমার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতেও যাতে নজর দেওয়া হয়। আমরা আমাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। ও এখন লন্ডনে আছে। আমরা প্রতি টিকিটের জন্যে ৩ লক্ষ টাকা করে খরচ করেছি। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে এই উপহার পেলাম আমি।”

    ১৯৯৪ সালের ইসরো গুপ্তচর মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কেভি থমাস। এই মামলাতেই বিজ্ঞানী এস নাম্বিনারায়ণন (S Nambinarayanan) গ্রেফতার হন। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অর্থের বিনিময়ে অন্য দেশে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১৯৯৫ সালে সিবিআই এই মামলা থেকে মুক্তি দেয় বিজ্ঞানীকে। তারপর থেকে নাম্বিনারায়ণন, যারা তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করতে থাকেন। গত বছর শীর্ষ আদালত তিন জনের একটি কমিটি গঠন করে। ইসরোর এই প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে কারা ফাঁসিয়েছিলেন, কোন সরকারি আধিকারিকরা জড়িত আছেন, সেই বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার জন্যে। কমিটিটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে জৈনের নেতৃত্বে গঠিত হয়।   

    জাস্টিস ডিকে জৈনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শীর্ষ আদালত মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। ১৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছেন কেরলেন দুজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তা। ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে। ১৯৯৪ সালে কেভি থমাস আইবি আধিকারিকের পদে মালাপ্পুরমে কর্মরত ছিলেন। আর এই মামলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।  

LinkedIn
Share