Blog

  • Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) আরজেডির (RJD) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তাই দুর্নীতির কালি যাতে গায়ে না লাগে, সেজন্য প্রথম থেকেই দলের মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। বেঁধে দিলেন নির্দিষ্ট আচরণ বিধি। কী করবেন আর কী করবেন না সম্বলিত ছ দফা নির্দেশিকাও ধরিয়ে দিলেন মন্ত্রীদের হাতে।

    শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) মহাজোট সরকারের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এঁরা দুজনেই আরজেডির। এহেন আবহে তেজস্বীর এই নির্দেশিকা জারি দলকে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করতেই বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তেজস্বীর নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, আরজেডির কোনও মন্ত্রী নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের জন্য নতুন করে গাড়ি কিনতে পারবেন না। সমর্থক, সমাজকর্মী, শুভাকাঙ্খী বয়স যাই হোক না কেন, কাউকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেওয়া যাবে না। তার বদলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে হাতজোড় করেন নমস্কার কিংবা সেলাম করতে হবে। সকলের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন তেজস্বী। জনসংযোগ বাড়াতে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে হবে। উপহার দেওয়া নেওয়ার প্রথায়ও বদল আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেজস্বীর নির্দেশ, উপহার বা ফুলের তোড়ার বদলে বই দেওয়া নেওয়ায় জোর দিতে হবে। সকলকে তাতে উৎসাহিতও করতে হবে। দলের কোনও মন্ত্রী যাতে কলঙ্কের ভাগীদার না হন, সেজন্য তেজস্বীর ফরমান, কাজের ক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সকলকে দ্রুত নীতি রূয়াপণ ও কাজ শেষ করতে হবে। সব মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বিহার সরকার ও তাদের সব দফতর কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩৩। এর মধ্যে তেজস্বী ছাড়া আরজেডির মন্ত্রী রয়েছেন ১৬ জন। তেজস্বী উপমুখ্যমন্ত্রী। স্বদলের এই ১৬ মন্ত্রীর জন্যই নয়া ফরমান ঘোষণা করেছেন তেজস্বী।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

     

  • FIFA suspends AIFF: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    FIFA suspends AIFF: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশার ফানুস উড়িয়ে উজবেকিস্তানে পৌঁছেছিল গোকুলাম কেরল এফসি মহিলা ফুটবল (Gokulam Kerala Women’s Team) দল। তাদের লক্ষ্য ছিল তাসখন্দ আয়োজিত এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরা। কিন্তু ফিফার (FIFA) নির্বাসনের জেরে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে গোকুলামের মহিলা দলটিকে। স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। সোমবার ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নির্বাসিত করছে ফিফা। তার ফলে ফিফা কিংবা অন্য কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না ভারত। শুধু তাই নয়, ভারতের কোনও ক্লাব দেশের বাইরে খেলতে পারবে না। তাই তাসখন্দ পৌঁছেও এএফসি (AFC) টুর্নামেন্টে না খেলেই ফিরতে হচ্ছে গোকুলামের মহিলা দলটিকে। স্বভাবতই হতাশ তারা।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ?

    কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) হস্তক্ষেপ দাবি করেছে গোকুলাম এফসি। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে পিএমও কে ট্যাগ করে একটি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে গোকুলাম লিখেছে, “দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন যাতে আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারি।” গোকুলাম কেরল এএফসির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অশোক কুমার জানিয়েছেন, “গত ১৬ অগাস্ট কোঝিকর থেকে আমরা তাসখন্দ পৌঁছাই। পরে জানতে পারি, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাসিত করেছে ফিফা। নির্বাসনের জেরে ভারতীয় কোনও ক্লাব বিদেশে কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। যা আমাদের কাছে খুব হতাশার। আমরা টুর্নামেন্টে খেলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিতে লিখে আমরা আবেদন জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    গোকুলামের ২৩ জন মহিলা ফুটবলার এখন উজবেকিস্তানের রাজধানীতে রয়েছেন। আগামী ২৬ অগাস্ট টুর্নামেন্টে শুরু হওয়ার কথা। সেখানে ইরানের ক্লাব বাম খাতুন এফসি ছিল গোকুলামের প্রতিপক্ষ। কিন্তু ফিফার নির্দেশ পাওয়ার পরেই এএফসি জানিয়ে দেয়, ভারতীয় ক্লাবটি খেলতে পারবে না। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হয়নি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রশাসক কমিটি নিযুক্ত হয়েছিল। ফেডারেশনের নির্বাচন করার দায়িত্ব তাদের হাতেই। কিন্তু ফিফার বক্তব্য, কোনও দেশের ফুটবল সংসস্থার উপর তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে সেটা মানা হবে না। সেই মতোই ব্যাবস্থা নিয়েছে ফিফা। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।

  • Durga Puja 2022: কলকাতা পুরসভার আপত্তিতে বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2022: কলকাতা পুরসভার আপত্তিতে বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার নির্দেশে বন্ধের মুখে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো। পার্কের নীচে ওয়াটার রিজার্ভারের কাজ হচ্ছিল। তা এখনও শেষ হয়নি। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে মাটির নীচে জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই পার্কের পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। 

    পুজোর প্যান্ডেল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ আগস্ট পুজো কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি। নোটিসে লেখা মোস্ট আর্জেন্ট। সেখানে জানানো হয়েছে, পার্কের কিছুটা নীচে পুরনো যে জলাধার আছে, তার উপর পুজো প্যান্ডেল তৈরি করা মোটেই সমীচিন নয়। ১১ আগস্ট পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক ইঞ্জিনিয়র ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সেখানে পুজো প্যান্ডেলে আপত্তির কথা জানিয়ে আসেন। এরপর ১৩ আগস্ট কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান সহ পুরসভার আধিকারিকরা পার্কে গিয়ে পুজো প্যান্ডেল পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ডিজি পার্কের ওই স্থানে পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পুরসভার বক্তব্য, দুর্গাপুজোর সময় দর্শনার্থীদের ভিড়ে ওই জায়গার ক্ষতি হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে তার দায় নিতে হবে পুজো কমিটিকেই। 

    আরও পড়ুন: https:জন্মাষ্টমীর ভোরে খুঁটি পুজো ও কাঠামো পুজো বেলুড় মঠে, দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ

    পুরসভার চিঠির পরই মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের। পার্কে পুজোর জন্য খুঁটি পুজো হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। তার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। খুঁটি পুজোর সময় হাজির ছিলেন বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর। এতদিন পর কেন এই পুজো বন্ধের নোটিস পাঠানো হল, তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না মহম্মদ আলি পার্কের ইউথ অ্যাসোসিয়েশন। পুজো কমিটির দাবি, পুলিশের তরফেও প্যান্ডেলের কাজ খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তখন প্যান্ডেল বন্ধের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু এক মাস পর হঠাৎ কেন এই চিঠি, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। এখন পুজো সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কোথায় করবেন, তা নিয়েও দ্বিধান্বিত তাঁরা। তাই মধ্য কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই মহম্মদ আলি পার্কের পুজো এবছর হবে কিনা তা নিয়েই চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। 

     

     

     

  • Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। পরেরটা ক্রমশ প্রকাশ্য। অনুব্রতের চালকল, তার ভিতর বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পাওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কটাক্ষ, “অনুব্রত মণ্ডল অনেক বড় নেতা। সুতরাং ওনার ওয়েব সিরিজ অনেক লম্বা হবে। এখনও পর্যন্ত যেটা আপনারা দেখেছেন সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। এরকম প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে।”

    শনিবার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) রঘুদেবপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুকান্ত। পদযাত্রাতেও সামিল হন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে যে সব গল্প শুনেছি তাতে তোলাবাজি হয় তা জানতাম। কোটিতে তোলাবাজি হয়, দামী দামী গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাদক কেসের ভয় দেখিয়ে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বাংলার কী অবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক একজন নেতা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূলকে বিষাক্ত দল অ্যাখ্যা দিয়ে সুকান্ত আরও বলেন, “এইভাবে এই দলের নেতারা মানুষকে দিনের পর দিন শোষণ করে গেছেন। সমাজের বিষ তাঁরা। তাঁদের থেকে সমাজকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তৃণমূল দলটাই আমাদের সমাজে পলিটিক্যাল পয়জন হয়ে গেছে। এই বিষকে পলিটিক্যাল সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য কোনওটাই বাঁচবে না।”

    আরও পড়ুন: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    অনুব্রতকে এদিন ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।  তিনি সিবিআইকে (CBI) তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন এমনটাই আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ প্রসঙ্গে অনুব্রতকে ‘চোর’ কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোর কোনও দিন নিজে বলে নাকি যে আমি চুরি করেছি। চোর তো ভালো কথাই বলবে। এইরকম আরও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে। উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তা হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে ঘি ওঠানোর জন্য। তবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।” 

    মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “বাংলার মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে আমি যখন বোলপুরে ছিলাম সেখানকার সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস বারবার প্রমাণ করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন চোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ সেটাকে ভালোভাবে নেয়নি।”

  • Weather Forecast: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    Weather Forecast: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে নিম্নচাপ, অন্যদিকে আবার ঘূর্ণাবর্ত। দুয়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের (Heavy Rainfall) সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast) জানিয়েছে শুক্রবার শহরের আকাশ দিনভর মেঘলা থাকবে। জেলায় বাড়বে বৃষ্টিপাত। ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।  

    পর পর ২ দফায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ভিজেছে জেলা, শহর। ফের আবারও নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে মায়ানমার থেকে আসছে ঘূর্ণাবর্ত। দুয়ের প্রভাবে আগামী ২ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বাড়বে। শুক্রবার থেকেই আকাশের মুখ ভার। শনিবার থেকে বর্ষার দাপট আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়েছে। তারপরেই রাতের দিকে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। মাঝে মধ্যেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও শহর কলকাতায় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। শহরের আকাশ মূলত  মেঘলা থাকবে। মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গরম থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকার জন্য বাড়বে অস্বস্তিও। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। 

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। শনিবার বৃষ্টিপাত হবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ঝোড়ো হাওয়ার বইবে উপকূলের জেলাগুলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায়।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপের সেভাবে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। তাপমাত্রাতেও খুব বেশি হেরফের হবে না। দিনের দিকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও এবার বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। 

    এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই ওড়িশার কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ সাতটি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে কটক, জগৎসিংপুর, সম্বলপুরসহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।  

     

  • Covid Update: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    Covid Update: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা (Covid-19) সংক্রমণ। করোনা ভাইরাস যেন ছেড়ে যেতেই চাইছে না। একদিকে যেমন বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি অন্যদিকে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। গত দু’দিনে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ দশ হাজারের নীচে নেমেছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৬০৮। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ০৬২। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪,৪২,৯৮,৮৬৪। তবে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১,০১,৩৪৩। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭২ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.২৩ শতাংশ হারে কমেছে। আর ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার হারও ৯৮.৫৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.৪৮ শতাংশ ও সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট ৪.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এর মধ্যে কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া দিল্লিতে আট জন, মহারাষ্ট্রে ছয় জন, হরিয়ানায় পাঁচ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে চার জন এবং কর্নাটকে তিন জন মারা গিয়েছেন। রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে দু’জন এবং চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৬৯ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

     

  • Salman Rushdie: ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম’, বিস্ফোরক মন্তব্য হামলাকারী হাদি মাতারের

    Salman Rushdie: ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনে অবাক হয়েছিলাম’, বিস্ফোরক মন্তব্য হামলাকারী হাদি মাতারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সলমন রুশদির (Salman Rushdie) ভয়াবহ হামলার পরও কীভাবে এখনও বেঁচে আছেন তিনি? এমনটাই প্রশ্ন করতে শোনা গেল তাঁর হামলাকারী হাদি মাতারকে (Hadi Matar)। নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন,  ‘রুশদি বেঁচে আছে শুনেই আশ্চর্য হয়েছিলাম’।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের (New York) শতকা ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিলেন সলমন রুশদি। সেখানে  আচমকাই এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে। সোজা রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি ১০-১২ বার ছুরি দিয়ে কোপ মারে লেখককে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন লেখক। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। জানা গিয়েছিল, অভিযুক্তের নাম হাদি মাতার (Hadi Matar)। বয়স ২৪ বছর। হাদির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    এরপরই জেলবন্দি হাদি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য় করে। শুধু তাই নয়, মাতার যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদিকে পছন্দ করেন না, সে বিষয়েও বলে। মাতার বলে, ‘‘আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে, তিনি খুব একটা ভাল মানুষ।“ মাতার রুশদির লেখা উপন্যাসের কথা এনে জানিয়েছেন, তিনি এই উপন্যাসের কিছু পাতা পড়েছেন, এরপরই তার ভালো লাগেনি। উনি এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করেছেন ও ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।   

    প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ (‘The Satanic Verses’)। এর জন্যে বহুদিন ধরেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করার জন্য তাঁর নামে ফতোয়া জারি করেন ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতোল্লাহ রুহোল্লা খোমেইনি (Ayatollah Ruhollah Khomeini)। মাতার এদিন এও জানিয়েছে যে সে খোমেইনির ফতোয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজটি করেনি। তবে সে বলে, “আমি আয়াতোল্লাহকে সম্মান করি। আমার মতে, উনি একজন অসাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে আমি এতটাই বলতে পারি।” শুক্রবার হাদি মাতারকে আদালতে হাজির করা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।

    সলমন রুশদির অবস্থা স্থিতিশীল। তবে একটি চোখ হারাতে পারেন এই বুকারজয়ী সাহিত্যিক। এছাড়া তাঁর স্নায়ু এবং লিভার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন৷

  • FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    FIFA ban: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের হস্তক্ষেপে উঠতে পারে ফিফার নির্বাসন! জানুন কী বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর অনিশ্চয়তায় ভারতীয় ফুটবল (Indian Football)। ফিফার (FIFA) নির্বাসন নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার রাতে ফিফার পক্ষ থেকে নির্বাচনের নোটিশ পাওয়ার পর শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। এই মামলা দ্রুত শুনানির আবেদন জানায় কেন্দ্র সরকারও।

    বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এ এস বোপান্না এবং জেবি পাড্রি ওয়ালার বেঞ্চে ফিফার নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, “সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। আলোচনার ফল কি দাঁড়াচ্ছে তা জানার জন্য আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করা উচিত। তাই সোমবার পর্যন্ত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া উচিত।” তুষার মেহতার আবেদনে সারা দিয়ে শীর্ষ আদালত ২২ শে অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায়।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ?

    তুষার মেহতা আরও জানান, ফিফা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি। এখনও পর্যন্ত দুদফা কথাবার্তা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সদর্থক ভূমিকায় আশা করা যায় সমস্যা দ্রুত মিটবে।

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। সংস্থার সভাপতি পদে বছরের পর বছর ছিলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। সম্প্রতি তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের প্রশাসক কমিটি ফেডারেশনের কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন। নতুন সংবিধান মেনে ২৮ অগাস্ট ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অজুহাত দেখিয়ে ফিফা যেভাবে ভারতকে কালো তালিকা ভুক্ত করেছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। 

  • Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই রোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সারাজীবন ছাড়ে না। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় বা শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা যতটা ইনসুলিন তৈরি হয় তা ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না। টাইপ ১ ও টাইপ ২ এই দুধরণের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। ঝাপসা দৃষ্টি, গ্লুকোমা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি, ক্লান্তি, ঘন ঘন মাথাব্যথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ। তবে আরও অনেক রকমের ডায়াবেটিসের ধরণ দেখা যায়। আর সেই ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় ও পায়ের এই লক্ষণগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    পায়ে ব্যথা, অসাড়তা- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে পা, পায়ের পাতায়, হাতে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ডায়াবেটিসে সাধারণত পায়ের নার্ভগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

    ফুট আলসার- ডায়াবেটিক আলসার হলে আক্রান্ত স্থানের চামড়া পুরু হয়ে লাল গর্তের মতো সৃষ্টি হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে এই গর্ত গভীর হয় ও হাড় পর্যন্ত ক্ষত পৌঁছে যায়। তখন যন্ত্রণার কারণে পা ফুলে যায় ও প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

    অ্যাথলেটস ফুট- এই ক্ষেত্রে পায়ে চুলকানি, পা লাল হয়ে যাওয়া, পা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায়।

    ফাঙ্গাল ইনফেকশন- ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রায়ই দেখা যায়। এর ফলে নখের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, নখ পাতলা হয়ে যায় ও সহজেই ভেঙে যায়।

    গ্যাংগ্রিন- গ্যাংগ্রিন বলতে বোঝায় আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে শরীরের কোনো অংশে টিস্যুর মৃত্যু। যেখানেই রক্ত সরবরাহ হতে পারে না সেখানেই গ্যাংগ্রিন হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? এই ভেষজ খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা 

     

     

  • Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ কন্যার পরে এবার কেষ্ট কন্যা। শুধু সম্পত্তি নয়, এবার অনুব্রত কন্যার চাকরি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সুকন্যা মণ্ডলের নিয়োগেও দুর্নীতি রয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। সেই মামলাতেই আজ হাইকোর্টে হাজিরা দেন সুকন্যা।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাজিরা দিতে কলকাতা হাইকোর্টে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পৌঁছন সুকন্যা মণ্ডল। জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে ভিতরে ঢোকায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি বিক্ষোভ। অনুব্রতর কন্যাকে দেখেই আদালত চত্বরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।

    আরও পড়ুন: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে রওনা দেন সুকন্যা। বেলা ১২টা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর চলে যান কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পুলিশি পাহারায় তাঁকে পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। তখনই তাঁকে ঘিরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।  

    আদালত চত্বরে হাজির মানুষজন ‘গরুচোর’ ও ‘গরুচোরেরে মেয়ে গরুচোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তারই মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন অনুব্রতর কন্যা। এদিন আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর

    সৌমেন নন্দী মামলায় সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে (Anubrata Mondal Daughter) সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) চাকরি পাওয়া নিয়ে জটিলতা। টেট পাশ না করেও বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই অভিযোগ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এমনকী এও দাবি করা হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর তিনি একদিনও স্কুলে যাননি। স্কুলের রেজিস্ট্রার নিয়ে অন্যেরা অনুব্রতর বাড়িতে এসে সুকন্যাকে দিয়ে সই করিয়ে নিতেন। পৌঁছে যেত বেতন।  

    হাইকোর্টে দাখিল করা তালিকা অনুযায়ী শুধু সুকন্যাই নয়, আরও পাঁচ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টেট পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সুকন্যা মণ্ডল সহ তালিকায় নাম থাকা বাকি ছয় আত্মীয়কে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল টেট পাশের সার্টিফিকেট সহ চাকরি পাওয়ার নথি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপে নেওয়া হবে বলেও আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। সেইমতোই হাজিরা দিতে এসেছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। 

LinkedIn
Share