Blog

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • Ropeway in Amarnath: রোপওয়ে চড়ে অমরনাথে! ভারতের ১৮টি তীর্থস্থান নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের

    Ropeway in Amarnath: রোপওয়ে চড়ে অমরনাথে! ভারতের ১৮টি তীর্থস্থান নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় ভারতবাসী সারাবছরই ভিড় জমান কাশী থেকে কন্যাকুমারী। ভিড় জমে আজমের শরীফ থেকে শিরডির মন্দিরেও । ধর্মীয় পর্যটন ভারতবাসীর কাছে বরাবরই জনপ্রিয়। কেন্দ্রে মোদি সরকার ভারতবাসীর সেই চাহিদাও পূরণ করে চলেছে নিরন্তর। তীর্থস্থানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নানান ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার ভারতের জনপ্রিয় তীর্থস্থানগুলিতে (Ropeway in Amarnath) শীঘ্রই অত্যাধুনিক রোপওয়ে ব্যবস্থাপনা চালু হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওইসব তীর্থস্থানে বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে পুণ্যার্থী, সকলেই উপকৃত হবেন।

    অমরনাথে রোপওয়ে

    কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের মোট ১৮টি জনপ্রিয় তীর্থস্থানে রোপওয়ে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যোগাযোগের এক নয়া মাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল অমরনাথ মন্দির। যেসমস্ত নির্মাণ সংস্থা এই কাজের বরাত নিতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে সরকারের তরফে ইতিমধ্যে ‘ডিটেল্ড প্রোজেক্ট রিপোর্ট’ (ডিপিআর) চাওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, এই উদ্যোগ সফল হলে ধর্মস্থান নির্ভর পর্যটন আরও উন্নত ও আকর্ষণীয় হবে। তথ্য বলছে, যে রোপওয়ে প্রজেক্টগুলি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে অমরনাথের প্রকল্পটি সবথেকে বড়। এক্ষেত্রে অমরনাথের (Ropeway in Amarnath) তীর্থস্থল থেকে সরাসরি বালতাল পর্যন্ত এলাকাকে রোপওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হবে। এই দুই স্থানের মধ্যেকার দূরত্ব ১১.৬ কিলোমিটারেরও বেশি। বর্তমানে এই দূরত্ব হেঁটেই অতিক্রম করেন অধিকাংশ তীর্থযাত্রী ও পর্যটক। যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছেন, তাঁরা ভাড়া করেন হেলিকপ্টার। কিন্তু, রোপওয়ে চালু হলে তা হেঁটে যাতায়াতের থেকে আরামদায়ক ও দ্রুত হবে। আবার এই ব্যবস্থাপনা হেলিকপ্টার পরিষেবার মতো অতটা দামিও নয়। ফলে তীর্থযাত্রীরা ভীষণভাবে লাভবান হবেন।

    অন্য়ান্য রোপওয়ে প্রকল্প

    এছাড়াও অন্য রোপওয়ে প্রকল্প প্রস্তাবগুলির মধ্যে অন্যতম হল – কেরলের সবরীমালা মন্দির। এই রোপওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২.৬২ কিলোমিটার। এই পথে রোপওয়ে চালু হলে তীর্থযাত্রীদের আর পাম্বা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টার একটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য পথ অতিক্রম করে মন্দিরে যেতে হবে না। দক্ষিণ ভারতের আরও একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থানে রোপওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেটি হল তামিলনাড়ুর পর্বতামালাই মন্দির। এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩.২১ কিলোমিটার। এখানে রোপওয়ে চালু হলে পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এই স্থানটি রামায়ণে সঞ্জীবনী পর্বতের একটি ভগ্নাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে।

    ধর্মীয় পর্যটনে জোর

    ২০২৪ সালে অর্থাৎ আগের বছর চারজনের মধ্যে একজন ভারতীয় ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণ করেছেন, এমনটাই বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। অযোধ্যা, বারাণসী, হরিদ্বারে ভিড় করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। এবার মহাকুম্ভেও পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। দুর্গমতা উপেক্ষা করে প্রতিবছরই অমরনাথ দর্শনেও যান হাজার হাজার ভক্ত। ২০২৪ সালে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভারতীয় হরিদ্বারে ভ্রমণ করেছেন। ভক্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ তিরুপতিতে ভ্রমণ করেছেন। বালাজির মন্দিরে প্রায় সব সময়েই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। শিরডিতে সাইবাবার দর্শনেও আসেন বহু ভক্ত। ধর্মীয় পর্যটন নিয়ে ভারতবাসীর আগ্রহ প্রাচীনকাল থেকেই। কেন্দ্রের মোদি সরকার ভারতবাসীর শিকড়ের টান অনুভব করেই ধর্মীয় পর্যটনে গুরুত্ব দিয়েছে। বাজেটে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। ফলে জোয়ার এসেছে উন্নয়নে।

    রোপওয়ে-তে গুরুত্ব

    ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্থির করা হয়েছে, দেশজুড়ে পর্যটনে জোয়ার আনতে শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থানগুলিই নয়, সেইসঙ্গে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও প্রয়োজন মাফিক রোপওয়ে নির্মাণ করা হবে। যাতে আমজনতা বেড়াতে এসে এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারে এবং নির্ঝঞ্ঝাট সফর করতে পারে। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় এবং পর্যটন গন্তব্যে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের যাত্রা আরও সহজ করতে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৮টি প্রধান রোপওয়ে প্রকল্প উন্নয়ন করতে একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় স্থানগুলির পাশাপাশি,আরও নানা জায়গায় রোপওয়ে চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।

    কোন কোন জায়গায় রোপওয়ে

    জম্মু ও কাশ্মীরের সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার রোপওয়ে প্রকল্প পর্যটন শিল্পকে শক্তিশালী করবে। রাজস্থানের জয়পুরে ৬.৪৫ কিলোমিটার রোপওয়ে আমের দুর্গ এবং নাহাড়গড় দুর্গের মধ্যে একটি আকাশপথ তৈরি করবে। এর ফলে রাজ্যের দুটি ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সহজ হবে। মুসৌরির পাহাড়ি স্টেশনেও ৩.২১ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান কেম্পটি ফলসের কাছে নিয়ে যাবে। মহারাষ্ট্রের শিবনেড়ি দুর্গে ১.৪১ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে চতুর্থ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জন্মস্থলে যাওয়া সহজ হবে। এছাড়া, কর্নাটকের সর্বোচ্চ শিখর মুল্লায়ান গিরিতে ২.৩৮ কিলোমিটার রোপওয়ের মাধ্যমে পর্যটনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দিরগুলিতে রোপওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেমন: চামুন্ডা দেবী মন্দির (হিমাচলপ্রদেশ), কুণজাপুরি মন্দির (উত্তরাখণ্ড), জ্বালা নরসিংস্বামী মন্দির (অন্ধ্রপ্রদেশ), শ্রী বয়াকোন্ডা গঙ্গাম্মা মন্দির (অন্ধ্রপ্রদেশ), সালকানপুর ওয়ালি মাতা মন্দির (মধ্যপ্রদেশ), এবং ভুবন পাহ মাহাদেব মন্দির (অসম)। এই প্রকল্পটি ‘পর্বতমালা পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত, যা ন্যাশনাল হাইওয়েজ লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এনএইচএলএমএল) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে কেদারনাথ (উত্তরাখণ্ড), মাতা বৈষ্ণো দেবী (জম্মু ও কাশ্মীর), এবং শঙ্করাচার্য মন্দির (শ্রীনগর) এর জন্য কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

  • Mahakumbh 2025: কুম্ভমেলার ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুখে, কী বললেন জানেন?

    Mahakumbh 2025: কুম্ভমেলার ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুখে, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025)। এই মহা মিলন মেলায় শামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পুণ্যার্থী। বিশ্বের এই বৃহত্তম মেলায় এসেছেন লন্ডনের বিখ্যাত স্নায়ুবিজ্ঞানী ইটিয়েল ড্রর। লন্ডন থেকে তিনি এসেছেন কুম্ভমেলা দর্শনে। তিনি জানান, তাঁর মহাকুম্ভ মেলা সফর কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব প্রত্যক্ষ করার (Indias Heritage) জন্য নয়, বরং এই মহৎ সমাবেশের অন্তর্নিহিত আবেগ ও আধ্যাত্মিক শক্তি উপলব্ধি করার একটি চেষ্টাও।

     

    মহাকুম্ভে ব্যাপক ভিড় (Mahakumbh 2025)

     

    গত ১২ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এ বছর যে মহাকুম্ভের যোগ এসেছে, তা আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই প্রয়াগরাজে ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেছেন। উদ্যোক্তাদের আশা, এবার অন্তত ৪০ কোটি মানুষ ডুব দেবেন প্রয়াগরাজের এই সঙ্গমে। কেবল পুণ্যার্থীরা নন, এবার কুম্ভমেলা দর্শনে এসেছেন বহু অনুসন্ধিৎসু মানুষও। এবার এই মহোৎসবটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ এটি এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যোগের সঙ্গে মিলে গেছে, যা প্রতি ১৪৪ বছরে একবার ঘটে। এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি বিজ্ঞানী, আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানী এবং পর্যটক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে প্রয়াগরাজে টেনে এনেছে। এঁদের মধ্যেই (Mahakumbh 2025) একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী ইটিয়েল ড্রর।

     

    ভারতীয় চায়ের প্রশংসা

     

    ড্ররের ভারত-মুগ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ঢের আগেই। যখন তিনি দেশের সবচেয়ে আইকনিক পানীয় — চা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতীয় চা সেরা।” তিনি এও বলেছিলেন, “বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ চা সংস্কৃতির জন্যই ভারত পরিচিত। ভারত চায়ের একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য ধারণ করে। এই চা মেলে শহরের ব্যস্ত বাজারে কিংবা সাধারণ মানুষের বাড়িতে।” মহাকুম্ভ মেলার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন ড্রর। তিনি একে “অদ্ভুত” বলে বর্ণনা করেছেন। মেলা আয়োজনের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং মানুষের শক্তির প্রতি তাঁর বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন। অমৃত কুম্ভের সন্ধানে এসে তিনি বলেন, “এখানে তরুণরা তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত এবং পূর্ণ শক্তিতে ভরপুর, যা প্রমাণ করে যে, আধুনিকতার মুখেও ভারতীয় যুবকরা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে।” তাঁর কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, মহাকুম্ভ কেবল একটি ধর্মীয় সমাবেশ (Indias Heritage) নয়, বরং ভারতের সমৃদ্ধ এবং চিরস্থায়ী সংস্কৃতির একটি প্রতীক।

     

    ব্রিটিশরা ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার করেছিল

     

    ড্ররের প্রশংসা ভারতীয় (Mahakumbh 2025) বর্তমান সময়ের প্রাণচাঞ্চল্যতার ওপরই থেমে থাকেনি। তিনি মন্তব্য করেছেন ইতিহাসের অন্ধকারময় দিকটি নিয়েও। এই অন্ধকারময় দিকটি হল প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসন। তিনি বলেন, “ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার করেছিল।” ভারতীয় উপনিবেশে ব্রিটিশ শাসনের শোষণমূলক প্রকৃতিকেও স্বীকার করেন তিনি। ড্রর কবুল করেন, “উপনিবেশকালের সময় ভারতের ধনসম্পদ লুঠ করা হয়েছিল। যে পরিকাঠামো নির্মিত হয়েছিল, তা মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লাভের জন্য সম্পদ আহরণের উদ্দেশ্যে।” একটি বিবৃতিতে তিনি ব্রিটিশদের নির্মিত কুখ্যাত ট্রেনগুলির কথারও উল্লেখ করেন। এই ট্রেনগুলি কেবল পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হত না, বরং ভারতীয় সম্পদ এবং ধনসম্পদ বহন করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। ব্রিটেনের ভারতীয়দের ওপর ঐতিহাসিক শোষণের এই সৎ স্বীকারোক্তি বহু ভারতীয়দের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে ঔপনিবেশিক আঘাতগুলি স্মরণ করে আসছেন। এই সময়ের প্রতি ড্ররের সততা, ভারত সম্পর্কে তাঁর প্রশংসায় একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করে।

     

    ভারতীয় সমাজের আত্মিক বন্ধন

     

    ভারতীয় সমাজের (Mahakumbh 2025) আত্মিক বন্ধনের কথাও স্বীকার করেছেন ড্রর। ভারতজুড়ে বহু মানুষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন এই খ্যাতনামা স্নায়ুবিজ্ঞানী। তিনি জানান, ৬০-৭০টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করার পরেও, তিনি ভারতের মানুষের সঙ্গে এক বিশেষ সম্পর্ক অনুভব করেছেন। তাঁর কথায় ধরা পড়েছে ভারতীয়দের আতিথেয়তা, উষ্ণতা এবং দৃঢ়তার কথা। তিনি বলেন, “ওঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি খুব ভালো অনুভব করেছি।”

    ড্রর মহাকুম্ভের আয়োজনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এটি দেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উদযাপনের প্রতি প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেছেন (Indias Heritage)। তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি তার অন্তরের শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন এই স্নায়ুবিজ্ঞানী (Mahakumbh 2025)।

  • Daily Horoscope 31 January 2025: জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য শুভ দিন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 31 January 2025: জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য শুভ দিন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

     

     

     

     

     

     

     

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

     

     

     

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

     

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

     

     

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

     

     

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • BSF: মালদায় রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান, গুলি করতেই পালাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: মালদায় রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান, গুলি করতেই পালাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) ঠেকাতে রণংদেহী ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান (BSF)। মঙ্গলবার রাতে মালদার অনুরাধাপুর বর্ডার আউটপোস্টের কুটাদহ সীমান্তে ছ’জন অনুপ্রবেশকারীকে হাতে অস্ত্র নিয়ে এগোতে দেখেন বিএসএফের ২ মহিলা জওয়ান। জানা গিয়েছে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে সেই অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ফেলার চেষ্টাও করে। তখনই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ার করতে চিৎকার করে বাধা দেন দুই মহিলা জওয়ান। এরপর মহিলা জওয়ানদের ওপর ২ অনুপ্রবেশকারী ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃীতিদের লক্ষ্য করে ২ মহিলা বিএসএফ জওয়ান (BSF) গুলিও চালিয়েছিলেন বলে খবর। তবে এই ঘটনায় কোনও অনুপ্রবেশকারী জখম হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

    গতকাল বুধবারও ছড়ায় উত্তেজনা

    অপরদিকে, গতকাল বুধবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদার শুকদেবপুরে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতের জমি দখলের চেষ্টা চালায় বাংলাদেশিরা। এমনই অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে ভারতের জমিতে বড় বড় গর্তও খোঁড়ার অভিযোগও ওঠে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। এরপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেখেই ধাওয়া করেন ভারতের স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন ছুটে যায় বিএসএফ (BSF)।

    বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফ-কে

    বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা বিবাদ লেগেই রয়েছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি বা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি জানাচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়েও সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। মালদা সহ একাধিক জায়গায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএসএফ-কে (BSF)। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গাতেই ছড়িয়েছে উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ লিখিত আকারে ভারতকে জানিয়েছিল যে, সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে এসব কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

  • Airplane Crash: ওয়াশিংটনে মাঝ-আকাশে সেনা চপার-যাত্রী বিমানের সংঘর্ষ, বহু মৃত্যুর আশঙ্কা

    Airplane Crash: ওয়াশিংটনে মাঝ-আকাশে সেনা চপার-যাত্রী বিমানের সংঘর্ষ, বহু মৃত্যুর আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াশিংটন ডিসির (Washington National Airport) কাছে রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় মাঝ-আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫৩৪২-এর সংঘর্ষ হল মার্কিন সেনার একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে। এরপরেই বিমানটি (Airplane Crash) পোটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই শুরু করা হয় উদ্ধার অভিযান। ঘটনা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, সেদেশের স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি কানসাস থেকে উড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে হোয়াইট হাউজের দূরত্বও খুব বেশি নয়।

    মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজ কী বললেন?

    বিমান দুর্ঘটনা (Airplane Crash) নিয়ে মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এখনও জানি না যে বিমানের কতজন নিহত হয়েছেন, তবে আমরা জানি যে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।’’ এদিকে এই দুর্ঘটনা বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট।

    গত ২ জানুয়ারি ছোট বিমান দুর্ঘটনা

    এর আগে, চলতি মাসের ২ জানুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ফুলারটন মিউনিসিপ্যাল ​​বিমানবন্দরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি ছোট বিমান। এই দুর্ঘটনায় ২ জনের মত্যু হয়েছিল। আরও ১৮ জন যাত্রী এই বিমান দুর্ঘটনায় (Airplane Crash) আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় কাছে একটি ভবনে এই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল।

    দক্ষিণ কোরিয়া ও কাজাখস্তানের বিমান দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার (Airplane Crash) কবলে পড়ে বোয়িংয়ের বিমান। এই ঘটনায় মাত্র ২ জনকেই জীবিত বাঁচানো সম্ভব হয়। মৃত্যু হয়েছে বিমানের বাকি ১৭৯ জন যাত্রীর। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। জিসেম্বর মাসেই কাজাখস্তানের বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এই বিমান বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। এই দুর্ঘটনার ফলে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

  • Maha Kumbh 2025: ভিভিআইপি পাস বাতিল, গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা! মহাকুম্ভে একাধিক নিয়ম বদল

    Maha Kumbh 2025: ভিভিআইপি পাস বাতিল, গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা! মহাকুম্ভে একাধিক নিয়ম বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার পবিত্র সময় কোটি কোটি ভক্ত স্নান করতে প্রয়াগরাজ পৌঁছেছিলেন। পুণ্যলাভের আশায় সঙ্গমে ডুব দিতে যাচ্ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু জনসমুদ্রে হঠাতই সুনামি আছড়ে পড়ে। ভিড়ে তাল সামলাতে না পেরে ঘটে দুর্ঘটনা। মহাকুম্ভে মহা বিপর্যয় নেম আসে পুণ্যস্নান ঘিরে। পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৩০ জন, আহতের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। দ্রুত পদক্ষেপ করে প্রশাসন। তৎপরভাবে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একযোগে উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেন। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। গোটা ঘটনার তদন্তে গঠিত হয় তিন সদস্যের কমিটি।

    তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

    নিরাপত্তার বেষ্টনী সত্ত্বেও মহাকুম্ভে এত বড় ঘটনা ঘটল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যোগী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। যে বা যাঁর গাফিলতি ধরা পড়বে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষকুমার নেতৃত্বে প্রাক্তন ডিজিপি ভিকে গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ডিকে সিং-এর তদন্তকমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার। পাশাপাশি আরও একটি তদন্ত কমিটিও সমান্তরাল তদন্ত চালাবে। যোগী বলেন, “ঠিক কী ঘটেছিল,এত বড় বিপর্যয় ঘটল কী করে, তার নেপথ্য কারণ জানা জরুরি।” বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানান হয়েছে।

    আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

    মৌনী অমাবস্যার ভোররাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন যোগী। তিনি জানান, মেলাপ্রাঙ্গনে পদপিষ্ট হয়ে যত জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তাঁর সরকার। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে বুধবার রাতে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনই কর্নাটক, অসম, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের লোকজনও রয়েছেন।

    কোটি কোটি ভক্ত সমাগম

    উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত এই মহাকুম্ভে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ভক্ত এসেছেন। যোগী সরকারের ধারণা, আরও কোটি কোটি ভক্তের সমাগম হবে মহাকুম্ভে। কুম্ভের ডিআইজি বৈভব কুমার নিশ্চিত করেছেন যে, ভক্তরা একটি ব্যারিকেড ভেঙে ঘুমন্ত তীর্থযাত্রীদের উপর ছুটে গেলে ৩০ জন প্রাণ হারান। অনেকেই আহত হয়েছেন, এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অথচ এই পরিস্থিতির মধ্যেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত অমৃত স্নান সারেন ৬ কোটি ৯৯ লক্ষ ভক্ত। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই পুণ্য স্নান সারেন তাঁরা। বুধবার মৌনী অমাবস্যা ছিল। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ে রাত ১টা থেকে। মানুষের ভিড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না মেলাপ্রাঙ্গনে। পাশাপাশি, কোথা দিয়ে স্নান করতে যাওয়া হবে, স্নান করে উঠে কোথায় যাওয়া হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন মানুষজন। সেই সঙ্গে আগে স্নান করা নিয়ে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আর তাতেই বিপর্যয় নেমে আসে। আগামী কয়েকদিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

    একাধিক নিয়ম বদল

    আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে আরও একটি অমৃত স্নান রয়েছে মহাকুম্ভে। সেখানে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, এখন থেকেই তা সুনিশ্চিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। কুম্ভমেলা চত্বরে একাধিক বদল আনা হয়েছে। ভিভিআইপি পাস বাতিল থেকে শুরু করে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যোগী সরকার। পুলিশের তরফে মেলা চত্বরে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    কী কী নিয়ম বদল হল

    গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা – কুম্ভমেলা চত্বরে ছোট থেকে বড় যে কোনও গাড়ি চলাচল এবং প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ভিভিআইপি পাস বাতিল – জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা গাড়িকে ভিভিআইপি পাস দেখালেও ঢুকতে দেওয়া হবে না মেলা চত্বরে।

    ওয়ান ওয়ে রুট – ভক্তদের সুবিধার্থে ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।

    জেলা সীমানায় গাড়ি ঢোকা বন্ধ – পড়শি একাধিক জেলা থেকে যে সমস্ত গাড়ি প্রয়াগরাজে আসছে তাদের জেলা-সীমানাতেই আটকানো হবে। যাতে মেলা চত্বরে আর ভিড় না বাড়ে।

    শহরে চারচাকা গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ – আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে চার চাকা গাড়ি ঢোকাতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

  • RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    RSS: আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর যথার্থ উত্তরসূরি!

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরএসএসের (RSS) নাম শুনলেই যাঁরা নাক সিঁটকান, তাঁরা জেনে রাখুন আরএসএস-ই মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) যথার্থ উত্তরসূরি! কারণ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আদর্শ ধরে রেখেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, যাঁরা আরএসএস নামেই পরিচিত।

    মহাত্মা গান্ধী (RSS)

    মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একনিষ্ঠ হিন্দু। হিন্দু ধর্ম, গো-সুরক্ষা, স্বদেশি ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ সম্পর্কে তাঁর ভাবনাগুলি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে আরএসএস। প্রকৃতপক্ষে, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন সংঘের অন্যতম বড় প্রশংসক। ১৯৩৪ সালে গান্ধী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় একটি আরএসএস প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। এটি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। কারণ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে সব বর্ণের যুবক ও বালকরা একসঙ্গে অবস্থান করছিল। তারা একই ছাদের নীচে খাচ্ছিল। সহ-স্বয়ংসেবকদের জাতি নিয়ে কোনও ভেদাভেদ ছিল না।

    গান্ধীর বক্তব্য

    স্বাধীনতার এক মাস পর, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে, দিল্লিতে এক ভাষণে আরএসএস কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গান্ধী স্মরণ করেছিলেন, “আমি বছর কয়েক আগে আরএসএস (RSS) শিবিরে গিয়েছিলাম। যখন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীর (কেশব বালিরাম) হেডগেওয়ার উপস্থিত ছিলেন। তোমাদের শৃঙ্খলা, অস্পৃশ্যতার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি এবং কঠোর সরলতা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছিল।” তিনি বলেছিলেন, “তখন থেকে সংঘ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যে কোনও সংগঠন, যা সেবার উচ্চ আদর্শ এবং আত্মত্যাগ দ্বারা অনুপ্রাণিত, তা অবশ্যই শক্তিশালী হয়ে উঠবে (Mahatma Gandhi)।”

    হেডগেওয়ারের বক্তব্য

    ১৯৩৯ সালে পুণেতে সংঘ শিক্ষা বর্গ (আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবির) পরিদর্শন করেছিলেন ভারতীয় সংবিধানের জনক ভীমরাও অম্বেডকরও। তিনি যখন আরএসএসের (RSS) প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে বি হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে শিবিরে কোনও অস্পৃশ্য ব্যক্তি রয়েছেন কিনা। তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা উত্তর দিয়েছিলেন যে এখানে স্পৃশ্য বা অস্পৃশ্য কেউ নেই, কেবল হিন্দুরাই রয়েছেন। অম্বেডকর বলেছিলেন, “আমি আশ্চর্য হয়েছি দেখে যে স্বয়ংসেবকরা সম্পূর্ণ সমতা ও ভ্রাতৃত্বের সঙ্গে চলাফেরা করছে। তারা এমনকি একে অন্যের জাতপাত সম্পর্কে জানার প্রয়োজনও অনুভব করছে না।”

    ওয়াল্টার অ্যান্ডারসন

    আরএসএসের উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন বিশ্বশ্রুত লেখক ওয়াল্টার অ্যান্ডারসনও। তিনি ছিলেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রধান। আরএসএসের ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন তিনি। ‘ইন্টিগ্রাল হিউম্যানিজম’ শীর্ষক একটি সংকলনে (দীনদয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রকাশ করেছে) তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ও চিন্তাবিদ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের তুলনা (RSS) করেছেন।

    অ্যান্ডারসনের বক্তব্য

    এই উপাধ্যায়ই ছিলেন ভারতীয় জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ববর্তী রূপ এই ভারতীয় জনসংঘ (Mahatma Gandhi)। “অখণ্ড মানবতাবাদ”-ই হল বিজেপির সরকারি মতাদর্শ। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘গান্ধী এবং দীনদয়াল: দুই ঋষি’ শীর্ষক প্রবন্ধে অ্যান্ডারসন গান্ধী ও উপাধ্যায়ের মধ্যে তুলনা করেছিলেন। তিনি তাঁদের দুজনের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। অ্যান্ডারসন লেখেন, “গান্ধী ও উপাধ্যায় মূলত সংগঠক ছিলেন। দার্শনিক জল্পনার চেয়ে সংগঠন গঠনে বেশি আগ্রহী ছিলেন। উভয়ই ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।” তিনি আরও লেখেন, “গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে রূপান্তরিত করেছিলেন। ‘মহাত্মা’ হিসেবে তার ক্যারিশমাটিক আবেদন কংগ্রেসকে স্বাধীনতা আন্দোলনের কার্যকর বাহিনীতে পরিণত করেছিল। উপাধ্যায়ও সাধুসুলভ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। জনসংঘের কর্মীদের ওপর তাঁরও একই রকম প্রভাব ছিল।”

    গান্ধী ও উপাধ্যায়

    গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়েই সরাসরি ক্ষমতার রাজনীতির বৃত্ত থেকে দূরে ছিলেন। দুজনেই তীক্ষ্ণ কিন্তু বাস্তববাদী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাঁদের তাত্ত্বিক কাঠামো গড়ে উঠেছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। গান্ধী ছিলেন ‘স্বরাজ’ ও ‘স্বদেশী’র প্রবল সমর্থক। উপাধ্যায়ও ‘অখণ্ড মানবতাবাদে’র আলোচনায় একই দর্শনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিমি উন্নয়ন মডেলের প্রত্যাখ্যানই ছিল গান্ধী ও উপাধ্যায় উভয়ের চিন্তার মূল ভিত্তি। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত, উভয়েই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি সন্দিহান ছিলেন। এটি কীভাবে জননেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন। কেউই কখনও কোনও রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত হননি, এমনকি তা চাওয়ারও চেষ্টা করেননি”। তিনি লিখেছেন, “ভারত স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাস পর গান্ধী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বলেছিলেন— ক্ষমতা পরিত্যাগ করে এবং ভোটারদের প্রতি বিশুদ্ধ ও নিঃস্বার্থ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে, আমরা তাঁদের পরিচালিত ও প্রভাবিত করতে পারি। এটি আমাদের প্রকৃত ক্ষমতা দেবে, যা আমরা সরকারে গিয়ে অর্জন করতে পারব না। আজ রাজনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। যে কেউ এতে প্রবেশ করে, সে কলুষিত হয়। আসুন আমরা একেবারেই এর বাইরে থাকি। এর ফলে আমাদের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে।”

    গান্ধী এবং উপাধ্যায় উভয়েই একই (RSS) সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে সমাজে পুরুষ ও নারীর গুণগত মানই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আরএসএস মনে করে যে এমন পুরুষ ও নারীদের প্রস্তুত করার কাজই গত ৯৩ বছর ধরে দেশে কেবলমাত্র একটি সংগঠন— আরএসএসই নিরবচ্ছিন্নভাবে করে আসছে (Mahatma Gandhi)।

     

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবারই শাহের বাসভবনে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্যালাইনকাণ্ড, আরজি কর কাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। আলোচনায় উঠে এসেছে নদিয়ার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার প্রসঙ্গও। প্রসঙ্গত, বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে দিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার করছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গতকাল বুধবার তিনি সিআর পার্কে প্রচার করেন। বুধবার বিকেলে তিনি করোলবাগে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন। এরপর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুভেন্দুর কথা শোনার পরে অমিত শাহ দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা

    এক্স হ্যান্ডলে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্ককে শাহকে জানিয়েছেন। মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। বুধবার মূলত সেই নিয়েই শাহি দরবারে পৌঁছন শুভেন্দু। এই সমস্ত কিছু আলোচনার পাশাপাশি ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও। বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও তাই কথা বলেন শুভেন্দু।

    পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই!

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী ডিজি নিয়োগ করতে হলে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনটি নাম পাঠাতে হয় রাজ্যকে। তারপর সেখান থেকে একজনকে নির্বাচন করা হয়। রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। রাজীব কুমারকে তাই স্থায়ী ডিজি বলতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। জানা গিয়েছে, সমস্ত কিছু শোনার দেখে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ভারত সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।

LinkedIn
Share