Blog

  • Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    Indo-Bangladesh Border: জমি দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ থমকে, রাজ্যসভায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকার জমি দিচ্ছে না বলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Indo-Bangladesh Border) ৪৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যসভায় এই বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। রাজ্যসভায় সংসদ সদস্য শম্ভু শরণ প্যাটেল ও নীরজ শেখর সীমান্ত বেড়া নির্মাণের অগ্রগতি, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বেড়ে চলা অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন তোলেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জবাব

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২,২১৬.৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ১,৬৪৭.৬৯৭ কিমি ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৬৯.০০৪ কিমির মধ্যে ১১২.৭৮০ কিমি “অসাধ্য” বলে চিহ্নিত হয়েছে, এবং ৪৫৬.২২৪ কিমি এলাকা “সাধ্য” এবং সেখানে বেড়া ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব। কিন্তু জমি-জটের কারণে সেই অঞ্চলে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের অভিযোগ, যখনই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তাণ্ডব করে, ধর্মীয় স্লোগান দেয়। এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য সরকার ক্ষমা করে দেয় বলে কাজ শেষ হচ্ছে না।

    ভূমি অধিগ্রহণে বড় প্রতিবন্ধকতা

    মন্ত্রী জানান, ৭৭.৯৩৫ কিমি অঞ্চলের জন্য ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর হয়েছে, কিন্তু বাকি ৩৭৮.২৮৯ কিমি এলাকার জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। এর মধ্যে ১৪৮.৯৭১ কিমির জন্য এখনও রাজ্য সরকার প্রক্রিয়া শুরুই করেনি। বাকি ২২৯.৩১৮ কিমির মধ্যে ৩১.০১৯ কিমি জমি রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৮১.৬৩৫ কিমির জন্য অর্থপ্রদান সম্পন্ন হলেও জমি এখনও হস্তান্তর হয়নি। ৭.০৮৫ কিমি জমির মূল্যায়ন এখনও রাজ্য সরকার করেনি। ৯.৫৭৯ কিমির জন্য অর্থপ্রদান মন্ত্রকের তরফে বাকি রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র নিয়মিতভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছে, পর্যালোচনামূলক সফর করছে এবং অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে।

    অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত অপরাধের পরিসংখ্যান

    মন্ত্রী রাই আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে ৩,৯৬৪ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। এই সময়কালে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১৩,৮৬৩ কেজি মাদকদ্রব্য, ২০,০০০-র বেশি গবাদি পশু, সোনা, জাল নোট-সহ আরও অনেক কিছু। অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে দ্রুত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Ramakrishna 447: শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    Ramakrishna 447: শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    মাস্টার: – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “তবে আর কী?”

    ঠাকুর চুপ করে থাকেন। মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

    মাস্টার: – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: – “কে?”

    মাস্টার: – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- আহা আহা

    ঠাকুর তাকিয়ায় হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। মাস্টারের সঙ্গে একটি দ্বাদশ বর্ষীয় বালক আশি আছে মাস্টারের স্কুলে পড়ে নাম ক্ষীরোদ।

    মাস্টার বলিতেছেন, এই ছেলেটি বেশ ঈশ্বরের কথায় খুব আনন্দ
    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে- চোখ দুটি যেন হরিণের মতো

    ছেলেটি ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল ও অতি ভক্তিভাবে ঠাকুরের পথ সেবা ঠাকুর ভক্তদের কথা কহিতেছেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- মাস্টার কি রাখালের বাড়িতে আছে। তারও শরীর ভালো নয়। ফোড়া হয়েছে একটি ছেলে বুঝি তার হবে শুনলাম

    পল্টু ও বিনোদ সম্মুখে বসে আছেন

    শ্রী রামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি):— তুই তোর বাবাকে কী বললি?

    (মাস্টারের প্রতি)— ও নাকি ওর বাবাকে জবাব দিয়েছে এখানে আসবার কথায়।

    (পল্টুর প্রতি)
    — তুই কী বললি, পল্টু?

    পল্টু: — বলেছিলাম, “হ্যাঁ, আমি তার (ঠাকুরের) কাছে যাই। এতে কোনো অন্যায় দেখি না।”

    (ঠাকুর ও মাস্টার হেসে ওঠেন)

    পল্টু (দৃঢ়ভাবে):— যদি দরকার হয়, আরও বেশি করে বলব।

  • Daily Horoscope 21 August 2025: আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 August 2025: আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত আশার জন্য বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি সাফল্য আসতে পারে।

    ২) বাড়িতে বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) কোনও বিবাদ মারামারি পর্যন্ত যেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না।

    ২) কর্মজগতে জনপ্রিয়তা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে।

    ২) নতুন কাজের সন্ধান করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) কাজের চাপে ক্লান্তি আসতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) উদ্বেগের জন্য কোনও কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের চিকিৎসার কাজে অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সঙ্গীতে নাম বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত লোভ আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) বন্ধুদের থেকে একটু সাবধান থাকুন, অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) কারও সমালোচনা করতে যাবেন না, সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধির যোগ আছে।

    ২) উপকারের বিনিময়ে অপমানিত হতে হবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) বিশেষ ব্যক্তির দ্বারা সংসারে উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ২) সন্তানদের পরীক্ষার ফল ভালো হবে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    Online Gaming Bill: সর্বনাশা অনলাইন গেম খেলে ফি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন দেশবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বনাশা অনলাইন গেম (Online Gaming Bill) খেলে ফি বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন এ দেশের ৪৫ কোটি মানুষ। এর মধ্যে জুয়া এবং বাজির মতো খেলাও রয়েছে। লোকসভায় ২০২৫ সালের অনলাইন গেমিং প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ বিল পাশ হওয়ার (Illegal Betting Apps) ঠিক আগেই প্রকাশ্যে এল এই তথ্য।

    অনলাইন গেমিং (Online Gaming Bill)

    সরকারি সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং, বিশেষ করে যেসব খেলায় অর্থ লাগে এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু সাংসদ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকার জানিয়েছে, অনলাইন গেমিং ওয়েবসাইট থেকে রাজস্ব আয় করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জনগণের আর্থিক ও মানসিক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, গেম আসক্তির সমস্যা, গেম অপারেটর ও ডেভেলপারদের জালিয়াতি, এবং রাজ্যভেদে জুয়ার আইন নিয়ে অসঙ্গতি। এছাড়াও বিলটিতে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর কড়া নজরদারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সেই সব গেম যেখানে আসল টাকার লেনদেন হয়, যেমন পোকার।

    অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার

    উদ্বেগের আরও কারণ রয়েছে। এই সব লেনদেন অর্থপাচার কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে। সূত্রের খবর, যাঁরা এই সব গেম খেলেন তাঁরা আসলে ভুক্তভোগী এবং তাঁদের শাস্তি হবে না। তবে যেসব ব্যক্তি প্রকৃত অর্থভিত্তিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম চালান, লেনদেনের ব্যবস্থা করেন ইত্যাদি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই অবৈধ বেটিং অ্যাপ নিয়ে ফেডারেল তদন্তের প্রসঙ্গে যেগুলি ‘দক্ষতার খেলা’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় যাতে সেগুলিকে জুয়াখেলা থেকে আলাদা মনে হয় – এই ‘বাজারে’র আকার ৮.৩ লক্ষ কোটি টাকা এবং এটি প্রতিবছর ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে (Online Gaming Bill)।

    কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থাপিত নয়া বিলে এই জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে জুয়ার অ্যাপ চালানোর জন্য জরিমানা আরোপের বিধানও রয়েছে (Illegal Betting Apps)। অনলাইনে অর্থভিত্তিক গেমিং সেবা আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হিসেবে রয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয়ই। আর যাঁরা এই ধরনের গেমের বিজ্ঞাপন করবেন, তাঁরা দু’বছরের জেল এবং /অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন (Online Gaming Bill)।

  • Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা (Criminal Ministers Bill)। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মধ্যে বাদানুবাদ তুঙ্গে ওঠে। প্রবীণ এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে বিলটির নৈতিকতা নিয়ে।

    বেণুগোপালের বক্তব্য (Criminal Ministers Bill)

    বুধবার বিলগুলি উপস্থাপনের পর বেণুগোপাল বলেন, “এই বিল দেশের ফেডারেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য আনা হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। বিজেপি নেতারা বলছেন এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনতে এসেছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? যখন তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নৈতিকতার পাঠ শেখালেন শাহ

    শাহ বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা বৃদ্ধি পাক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।”

    বুধবার দিনের শুরুতে শাহ তিনটি বিল (Criminal Ministers Bill) উপস্থাপন করেছিলেন। এগুলি হল, সংবিধান (একশ ত্রিশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৫, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।

    এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি এমন কোনও অপরাধে গ্রেফতার হন এবং ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, যার জন্য অন্তত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তাহলে ৩১তম দিনে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা পদ থেকে তাঁরা অপসারিত হবেন।

    জানা গিয়েছে, বিলগুলি পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। শাহ (Amit Shah) বলেন, বিরোধী দলগুলি এই কমিটির সামনে তাদের আপত্তি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে (Criminal Ministers Bill)।

  • PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের নিয়ে সংসদে নতুন বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দোষী সাব্যস্ত না হলেও, গুরুতর অপরাধ মামলায় গ্রেফতার বা আটক হলেই তাঁদের অপসারণের কথা বলা রয়েছে বিলে (PM-CM Removal Bill)। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন। কেন্দ্রের দাবি, অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই বিল।

    বিলে কী বলা হয়েছে?

    কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন এবং একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ৩১তম দিনে তাঁকে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়ত পদ থেকে সরানো হবে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। (PM-CM Removal Bill) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস জেলে থাকলেও ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই দায়িত্ব সামলেছিলেন। কিন্তু এই আইন পাশ হলে ৩১তম দিনেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হবে বন্দি মন্ত্রীকে।

    লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ

    বুধবার লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ করেন শাহ। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন তিনি। তিনটি বিল পেশ হতেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন লোকসভায়। ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিলের প্রতিলিপি (কপি) ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, কেসি বেণুগোপাল, মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ অন্য সাংসদেরা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হন লোকসভায়। তাঁদের দাবি, এই বিল সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলে স্রেফ সাধারণ মানুষের চোখে পট্টি পরানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যতে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও মামলা করা যেতে পারে। তিনি দোষী সাব্যস্ত না হলেও তাঁকে ৩০ দিন হেফাজতে রেখে দেওয়া হতে পারে। তার পরে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিলের বিরোধিতা করছেন।

    বিল পাঠানো হল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে 

    বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে সংসদের উভয় কক্ষের শাসক-বিরোধী সাংসদেরা থাকবেন। তবে এর পরেও বিরোধীদের হট্টগোল বন্ধ হয়নি। শেষে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে দুপুর তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বিল পাঠানো হয়েছে কমিটিতে?

    ১. সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল
    ২. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫
    ৩. জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫

    এই বিলগুলিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন অমিত শাহ। তবে বিরোধীরা বলছে, “অভিযোগ প্রমাণিত না হয়েই পদচ্যুতির বিধান গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”

    কী করবে যৌথ সংসদীয় কমিটি?

    এই কমিটি লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩১ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে — ২১ জন লোকসভা থেকে এবং ১০ জন রাজ্যসভা থেকে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এতে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংস্থা কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের ডেকে মতামত নিতে পারবে। এই কমিটিকে আগামী অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে — অর্থাৎ প্রায় তিন মাস সময় পাচ্ছে তারা। সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। এরপর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বসবে পরবর্তী অধিবেশন। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৭৫ অনুচ্ছেদে নতুন ৫(এ) ধারা যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে। গ্রেফতার কিংবা আটকের পর যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, তবে ৩১ তম দিনে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।

  • Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের প্রথম বিমানবন্দর সংযোগকারী মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। নয়া রুটে মেট্রোয় সওয়ারি হবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট কলকাতায় এসে তিনটি নতুন মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি রুটে সফর করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মাঝে মেট্রো চলাচলের সূচনা করে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেড় বছর পর ফের একবার কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন তিনি। আগামী ২২ তারিখে তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সারবেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা।

    এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস

    বিমানবন্দর স্টেশনে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। স্টেশনটি ৫৫০ মিটার লম্বা ও ৪১.৬ মিটার চওড়া। এই স্টেশন নির্মাণের সময় ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ বিশেষ কারণে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, সেই সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনটি হওয়ার কথা ছিল মাটির উপর। তাছাড়া, বিমানবন্দরের এত কাছে স্টেশনের বিশাল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মাটির নীচেই মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমোদন মেলে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে ১৫০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে দেশের গভীরতম এই অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। এই পথ সাবওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’র মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন। ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছিল সেই বছর ১৫ মার্চ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি…

    শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি তিনটি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রথম ট্রেনটিতে করে নিজেই যশোর রোড স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা জয়হিন্দ স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। তারপরে জয়হিন্দ স্টেশন থেকে আবার মেট্রোয় করেই যশোর রোড স্টেশনে ফিরবেন। সেখান থেকে সড়কপথে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে যাবেন। ওই মাঠেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা।

    ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে, রাজ্যের জমি-নীতিকে দুষলেন শমীক

    অন্যদিকে, রাজ্যে ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’

  • India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) ধুয়ে দিল ভারত (India)। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে মহিলাদের যৌন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। এর পরেই ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে তাদের নিজেদেরই মহিলাদের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় অপরাধের রেকর্ড স্মরণ করিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের অন্যদের নীতি শেখানোর কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) লাখ লাখ নারীর ওপর পাক সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ যৌন হিংসা চালিয়েছিল, তা এক লজ্জাজনক ইতিহাস।” রাষ্ট্রসংঘে ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পুন্নোস বলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা আজও অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিচারব্যবস্থাও এই নারীর প্রতি অপরাধগুলিকে বৈধতা দেয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি কতটা বিদ্রূপাত্মক যে যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই এখন ন্যায়বিচারের রক্ষক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামি নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।”

    পুন্নুসের বক্তব্য (India)

    ২০২৪ সালে সাসটেনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে পাকিস্তানে ২৪,০০০-রও বেশি অপহরণ ও কিডন্যাপের ঘটনা, ৫,০০০টি ধর্ষণের ঘটনা এবং ৫০০টি “অপমানজনক” হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু ভুক্তভোগী ছিলেন হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরী, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুন্নুস (India) বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আইনি সহায়তা পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার নৃশংস কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের (Pakistan) কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক হিংসার মোকাবিলায় ভারত দেশীয় পর্যায়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সাহায্যে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অবদান রাখা প্রথম দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে (India) রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপে যৌন শোষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের সার্কেলে যুক্ত হয়েছে ভারত। পুন্নোস মনে করিয়ে দেন, ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম সর্বমহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল এবং এখনও রাষ্ট্রসংঘের মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট পাঠিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই দলগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল বিষয়গুলির (Pakistan) সমাধান করতে অসাধারণভাবে সফল হয়েছে” (India)।

  • Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বিরুদ্ধে আদালতে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার আদালতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মন্ত্রীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডি আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সংবিধানের নিয়ম (Chandranath Sinha)

    প্রসঙ্গত, চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় আদালতে তা গৃহীত হয়নি। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যপালের সম্মতি জরুরি। এই প্রক্রিয়ার অভাবেই ঝুলে ছিল মামলাটি। শেষমেশ রাজভবনের অনুমোদন মেলায় বুধবার কাটল জট। রাজ্যপালের অনুমোদন মানেই রাজ্যের কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু-সহ বেশ কয়েকজনকে। তাই তাঁদেরও এই চার্জশিটের কপি পাঠাতে হবে। কারণ তাঁরাও বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। এবার সেই তালিকায়ই যুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

    প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা

    ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে বলাগড়ের তৃণমূলের যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে উঠে আসে চন্দ্রনাথের নাম। তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিল ইডি। এই অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি (Chandranath Sinha) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি মন্ত্রিমশাই। এদিকে, তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা সম্পর্কে ইডির অনুমান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছিল। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা থাকা এই টাকার উৎস কী, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। তাতেই রাজ্যপালের সিলমোহর পড়ায় মন্ত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।

    দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ

    প্রসঙ্গত, এর (Recruitment Corruption) আগে দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। দিন কয়েক আগে ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন তিনি। এবার এল আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ। মূলত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরুর পর থেকেই নানা স্তরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন, বেআইনি নিয়োগ, সুপারিশ এবং ক্ষমতার (Chandranath Sinha) অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসে। তদন্তে ইডি এবং সিবিআই নানা সময় বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল অর্থ নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয় জনমানসে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই ছিল দুর্নীতিতে ভরা এবং রাজ্যের শাসক দলের একাংশের সক্রিয় মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না (Recruitment Corruption)।

    প্রশ্ন হল, পার্থর মতো কারামন্ত্রীরও (Chandranath Sinha) কি ঠাঁই হতে চলেছে গারদের ছোট্ট কুঠুরিতে?

  • India: ট্রাম্পকে ‘কাঁচকলা’ দেখিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়াল ভারত

    India: ট্রাম্পকে ‘কাঁচকলা’ দেখিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব আপাতত শিকেয়। ভারতকে (India) নতি স্বীকার করাতে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump Tariff Threats)। তবে তার কোনও প্রভাব যে নয়াদিল্লির ওপর পড়েনি, তা বলাই বাহুল্য। কারণ ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ভারত বাড়িয়ে গিয়েছে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ। প্রসঙ্গত, এই রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েই ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়। গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প রাশিয়ান তেল কেনা ও মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা করার কারণে ভারতের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

    অর্থনৈতিক সুবিধাকেই অগ্রাধিকার (India)

    জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে এখনও পর্যন্ত ভারত প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল রাশিয়া থেকে কিনছে। অপরিশোধিত তেল কেনার সময় ভারতীয় রিফাইনারিগুলির অর্থনৈতিক সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত। গ্লোবাল ডেটা ও অ্যানালিটিক্স সংস্থা কেপলার (Kpler) জানিয়েছে, অগাস্টের প্রথমার্ধে ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫২ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যার মধ্যে ৩৮ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। এই সময়ে ভারত প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল রাশিয়া থেকে কিনেছে। জুলাই মাসে এই সংখ্যাটাই ছিল ১৬ লাখ।

    তেল আমদানি কমেছে ইরাক-আমেরিকা থেকে

    একই সময়ে ইরাক থেকে তেল আমদানি কমে এসে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন ৭.৩ লাখ ব্যারেল এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি ৭ লাখ ব্যারেল থেকে কমে ৫.২৬ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিদিন ২.৬৪ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। এর ফলে আমেরিকা পরিণত হয়েছে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম তেল সরবরাহকারীর দেশে। কেপলারের  প্রধান গবেষণা বিশ্লেষক সুমিত ঋতোলিয়া বলেন, “ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতের রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অগাস্ট মাসেও স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের জুলাই মাসের শেষে শুল্ক ঘোষণা করার পরেও আমদানিতে ভাঁটা পড়েনি।” ঋতোলিয়া বলেন, “পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হলে তা সম্ভবত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছানো জাহাজগুলির মাধ্যমেই স্পষ্ট হবে।”

    ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে চায়

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় (India) পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য করছে এবং এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে সাহায্য করছে। ট্রাম্পের এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে (Trump Tariff Threats)। ভারতের সর্ববৃহৎ তেল বিপণন সংস্থা (ওএমসি) ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এএস সাহনি জানান, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এই কেনাকাটা বন্ধ হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কোনও বিরতি নেই। সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে আমরা কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ যদি দাম ও অপরিশোধিত তেলের গুণাগুণ আমাদের প্রক্রিয়াকরণের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে আমরা কিনি। আমদানি বাড়ানো বা কমানোর জন্য কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক বিবেচনার ওপর ভিত্তি করেই অপরিশোধিত তেল কিনছি (India)।”

    ভারতের অভিপ্রায় অপরিবর্তিতই

    তিনি ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ান তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারতের অভিপ্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে। সাহনি বলেন, “রাশিয়ান তেল কেনা কখনওই নিষিদ্ধ ছিল না এবং ভারতের কেনার সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক কারণে।” তিনি বলেন, “এ ধরনের কেনা চলতেই থাকবে যতক্ষণ না নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আমাদের কাছে (সরকারের পক্ষ থেকে) কেনা বাড়ানো বা কমানোর কোনও নির্দেশ আসেনি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমাদের না বেশি কেনার জন্য (Trump Tariff Threats) বলা হচ্ছে, না কম কেনার জন্য, সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক বা অন্য কোনও দেশ। আমাদের কার্যক্রম অর্থনৈতিক বিবেচনাই নির্ধারণ করে (India)।”

    রাশিয়ান তেলের অংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ান তেলের অংশ ছিল এক শতাংশেরও কম। তবে, পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার পর ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে আমদানি বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বর্তমানে ভারতের মোট তেলের চাহিদার ৩০ শতাংশই রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল দিয়ে পূরণ করা হয়। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে (Trump Tariff Threats) বলা হয়েছে, এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে আইওসি রিফাইনারিগুলিতে প্রক্রিয়াজাত হওয়া মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ২২-২৩ শতাংশই ছিল রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত (India)।

LinkedIn
Share