Blog

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় (Kolkata Police)। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। তার আগেই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি (Bengal govt)। ডিলিট করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টও। তার পরেও কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় আইনের এক ছাত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা নামের ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলে অভিহিত করেন।

    দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার (Kolkata Police)

    সেই তিনিই একটি পাকিস্তানি ট্রোলকে উদ্দেশ করে ভিডিও বানানো এক দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করলেন। শর্মিষ্ঠার একমাত্র ‘অপরাধ’, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যা জেহাদিদের সমর্থন করে। তারা অমুসলিম ‘কাফের’দের হত্যা করে — এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। যদিও তার ভিডিওতে গালিগালাজ ও উত্তেজিত ভাষা ছিল, তা ছিল মূলত পাকিস্তানি ট্রোলদের বিরুদ্ধে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল এবং পহেলগাঁও হামলার ধর্মীয় উদ্দেশ্য অস্বীকার করছিল। শর্মিষ্ঠা ওই পাকিস্তানি ট্রোলকে কটাক্ষ করেন এবং ইসলামিক ৭২ হুর ও তাদের নবীকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামপন্থীদের একটা বড় অংশ।

    শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া ছিল তারই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি এক ট্রোলের প্রতি এই প্রতিক্রিয়াই ভারতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক নয় (Kolkata Police)। কারণ মমতা সরকার ইসলামপন্থীদের খুশি করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে। বর্তমান ঘটনাটি মমতা সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার আর একটি উদাহরণ, যেখানে তারা নিজেদের রাজ্যেই ইসলামপন্থী দাঙ্গাবাজদের দ্বারা নিপীড়িত হিন্দুদের দুরবস্থার প্রতি চোখ বুজে থাকে। তাঁদের মতে, গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের অধীনে মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালিতে হিন্দুদের ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অত্যাচার একেবারে সরকারের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে। মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ই এপ্রিল ‘ওয়াক্‌ফ (সংশোধন) আইন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    জলের ট্যাংকে বিষ

    বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়েছে। তাদের জলের ট্যাংকে বিষ মেশানো হয়েছে, এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষা করে (Bengal govt)। ইসলামপন্থীরা হিন্দু নারীদের বলেছিল, নিজেদের ধর্ষিত হতে দাও, তবেই পরিবার বাঁচবে। তাদের সিঁদুর মুছে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। গত বছর সন্দেশখালিতেও হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মূলত নারীরা। এই মহিলারা তৃণমূল নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মী — শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    নিপীড়নের প্রতিবাদ

    সেদিন সন্দেশখালির শত শত মহিলা ঝাঁটা, লাঠি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাতে পথে নামেন। অবরোধ করেন সড়ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের বিবাহিত হিন্দু নারীদের বয়স ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া হত। রাতে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এই মহিলাদের স্বামীদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, তাদের স্ত্রীর ওপর তাদের কোনও ‘অধিকার’ নেই। যদি তারা মহিলাদের ওপর হওয়া এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের (Bengal govt) নির্মমভাবে মারধর করা হয় (Kolkata Police)।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে দ্রুততায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, সেই তৎপরতা একেবারেই দেখা যায়নি যখন রাজ্যের হিন্দু জনগণ ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাতে নির্মম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিল। মুসলিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেও একজন মহিলা, হিন্দু নারীদের ওপর হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে (Bengal govt) তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (Kolkata Police)।

     

  • Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে পহেলগাঁওয়ে। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে ভারত সরকার। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত যেমন এক নতুন স্থান দখল করেছে একইভাবে অসামরিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে এই অভিযানের।

    ঐক্যবদ্ধ ভারত দেখা গিয়েছে মোদি জমানায় (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর, এই আবহে সারাদেশে এক অভূতপূর্ব ঐক্য এবং সংহতি তৈরি করতে পেরেছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র দেশের ভৌগলিক সীমানাতেই নয়, দেশের বাইরেও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা ভারত এক এই বার্তা পৌঁছানো গিয়েছে। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা তেরঙ্গা পতাকা হাতে পদযাত্রা করেছেন। পাকিস্তান ও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন।

    চুপ থাকত কংগ্রেস সরকার, আঘাত হানল মোদি সরকার (Modi Government)

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার পরে কংগ্রেস সরকার যখন চুপ ছিল, তখন ঠিক তার বিপরীতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও চলে হামলা। এর পরবর্তীকালে পাকিস্তান পাল্টা হামলার প্রচেষ্টা করলে ভারতের উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা রুখে দেয়। জানা যায় যে ভারতবর্ষে ২৬টি শহরকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। যার মধ্যে দিল্লিও ছিল। তারা চিন এবং তুরস্ক সহ আমেরিকার নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম যা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা যায় রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদ পর্যন্ত। কোনও রকমের উপায় না দেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুদ্ধ বিরোধীর দাবি জানায় পাকিস্তান। সেই মতো ১০ মে তারা ফোন করে ভারতের কাছে। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে কথাবার্তা হয়। তারপরে যুদ্ধ বিরোধী হয়। কিন্তু ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। কখনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি।

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য

    অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য রয়েছে। প্রথমটি হল মোদি সরকার ক্ষমতা আসার পর বিগত ১১ বছর ধরে দেশের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির ভাবনা জেগেছে। সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে, এই আত্মবিশ্বাস ভারতবাসীর মনে জায়গা করতে পেরেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। সমস্ত সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে। তারা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন সরকারের অপারেশন সিঁদুরকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত সরকার লড়াই চালিয়েছে সেটাকেও তাঁরা কুর্নিশ জানিয়েছেন। যেটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা এবং সত্যি কথা বলতে এই ঘটনা প্রথম মোদি জমানাতেই (Operation Sindoor) দেখা গেল।

    অন্যদিকে দ্বিতীয় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল অপারেশন সিঁদুরের আবহে বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো, যারা সর্বদাই ভারতের নিন্দা এবং বদনাম করত, তারাই ভারতবর্ষের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়াতে ভারত যে উত্তর দিয়েছে সেটিকেও তারা স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী, তাদের মুখপাত্র এবং কূটনীতিকরা পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন জবাবই দিতে পারেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন জিজ্ঞেস করে যে কীভাবে তাঁরা বলছেন, ভারতের যুদ্ধবিমান নষ্ট করেছেন? তখন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছে এমনটা। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলও শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করেছে।

    অন্যদিকে, তৃতীয় সব থেকে বড় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পেরেছে, এই দেশ এখন বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে আসছে। এই বার্তা তারা দিতে পেরেছে আমেরিকা, চিন, তুরস্ক এবং অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিকে। ভারতের প্রত্যাঘাতে এখন পাকিস্তান কাঁপছে এবং উন্নত আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের কোনও ক্ষতি পাকিস্তান করতে পারেনি। এই বার্তাও পৌঁছেছে বিশ্বের দরবারে। বিগত ১১ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) দূরদর্শি নেতৃত্বের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই আবহে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বার্তা দিতে সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের নানা দেশে ভ্রমণ করছে। তাঁরা তুলে ধরছেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য। কেন প্রয়োজন হল অপারেশন সিঁদুর তাও জানাচ্ছেন তাঁরা বিদেশে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে জানাচ্ছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান ঠিক কী।

  • Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ মে গাজার খান ইউনিস হাসপাতালের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন হামাস প্রধান মহম্মদ সিনোয়ার ও মহম্মদ সাবানেহ। সমেত ২৮ জন জঙ্গি (Hamas Chief)। ইজরায়েলের হানায় তারা প্রত্যেকেই নিহত হয়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (Israel News) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং যেখানে তারা জানিয়েছে, কীভাবে নির্ভুলভাবে হামলা চালানো হয়েছিল।

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি (Israel News)

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি। হাসপাতালকে ওপরে রেখে রোগীদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ওই ভূ-গর্ভস্ত ঘাঁটি ছিল খুবই জটিল এবং এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র তাদের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। গোয়েন্দারা এক্ষেত্রে খুব ভালো সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, ইজরায়েলের সেনা আরও বলেছে, হামলায় হাসপাতালে যে কার্যকারিতা তা কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধুমাত্র মহম্মদ সিনওয়ার (Hamas Chief) ও মহম্মদ সাবানেহকে খতম করা হয়। এই দুজনকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। ইজরায়েলের সেনা (Israel News) আরও জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করার জন্যই হামাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা গাজার অসামরিক নাগরিকদের নিষ্ঠুরভাবে (Israel News) ব্যবহার করে চলেছে।

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি

    মহম্মদ সিনওয়ার ছাড়াও হামাসের রাফা ব্রিগ্রেডের কম্যান্ডার মহম্মদ সাবানা ও দক্ষিণ খান ইউনূস ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার মাহদি কোয়ারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবারই সংসদ অধিবেশনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন  ‘আমরা মহম্মদ সিনওয়ারকে নিকেশ করে দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খতম হওয়া জঙ্গি নেতা মহম্মদ আসলে জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহা সিনওয়ারের ভাই ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলা চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল সেই ইয়াহা। ২০২৪ সালেই তাকে খতম করে দেয় ইজরায়েল। এরপর গাজায় হামাসের শীর্ষপদে বসেছিল তার ভাই মহম্মদ। আর এবার তাকেও খতম করে দিল ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী।

  • India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    India Pakistan Tension: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে মুখের মতো জবাব দিল ভারত, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি (India Pakistan Tension) উত্থাপন করে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শনিবার তার জবাব দিল ভারত (UN Meet)। রাষ্ট্রসংঘে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিল, ইসলামাবাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। তারা অযথা ভারতের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা বন্ধ করুক। কারণ পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদই এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের হিমবাহ বিষয়ক এক সম্মেলনের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তার জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান নিজেই। আমরা অবাক হয়েছি পাকিস্তানের এই চেষ্টায়, যেখানে তারা এই ফোরামকে অপব্যবহার করে এমন বিষয় উত্থাপন করেছে যেগুলি এই ফোরামের আওতার মধ্যে পড়ে না। আমরা এই ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করি।”

    ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত (India Pakistan Tension)

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদেকে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও সাহায্য করার অভিযোগ করে আসছে। হিমবাহ সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার এই সিদ্ধান্তকে জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং ইন্দাস নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিকে একতরফাভাবে ও অবৈধভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক (India Pakistan Tension)। তিনি বলেন, “কোটি কোটি মানুষের জীবনকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জল বন্ধ করে রাখা উচিত নয় এবং পাকিস্তান তা কখনওই তা হতে দেবে না।”

    কী বললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?

    এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “ইন্দাস জলচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পরিস্থিতির মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে, যা এই চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলোর পুনর্মূল্যায়নকে জরুরি করে তোলে – এটি এমন একটি সত্য যা অস্বীকারযোগ্য নয়। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চলমান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের হুমকি। তিনি বলেন, “তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবিরাম সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদ এই চুক্তির বিধান অনুযায়ী একে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করছে। পাকিস্তান নিজেই এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ভারতের ওপর এর দোষ চাপানো থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ফোরামকে অপব্যবহার করার এবং এমন বিষয় উত্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমরা স্তম্ভিত, যেগুলি এই ফোরামের আওতাভুক্ত (UN Meet) নয়। আমরা এই ধরনের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই (India Pakistan Tension)।”

  • BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। শনিবারই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের তরফে এই আসনে লড়বেন প্রার্থী আশিস ঘোষ। নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের আশিস ঘোষ বলেন, জয়ের বিষয়ে তিনি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।

    বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষের সংক্ষিপ্ত পরিচয় (BJP)

    জানা গিয়েছে,নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত দেবগ্রামে আশিস ঘোষের বাড়ি। তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয় রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আশিস ঘোষ। নিজের এলাকায় বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে কালীগঞ্জ বিধানসভার কনভেনারের দায়িত্বে (Assembly By Election) রয়েছেন এই বিজেপি নেতা (BJP)। জানা যাচ্ছে, আশিস বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ-মাধ্যমিক। কৃষক পরিবারের জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেই জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কী বলছেন এই বিজেপি নেতা?

    শনিবার দলের প্রার্থী হওয়ার পরই দলীয় কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমি জেতার ব্যাপার একশো শতাংশ আশাবাদী (Assembly By Election)। মূলত সনাতনী ভোটকে প্রাধান্য দিয়েই লড়াইয়ে নামতে চলেছি। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে দুর্নীতি করেছে। সেই দুর্নীতির বিপক্ষে মানুষ রায় দেবে।”

    কেন হচ্ছে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন?

    উল্লেখ্য,  ওই কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) মৃত্যুর পরেই ওই বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শাসকদলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার ঠিক দু’দিন পর বিজেপি (BJP) আশিস ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল। কালীগঞ্জে লড়াই মূলত বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যেই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেস-সিপিএমকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।

  • Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসব গুলিতে আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর (Attacks on Hindus)। এমনটাই দাবি হিন্দু পোস্ট পত্রিকার। তাদের প্রতিবেদনে গত ২৫ মে থেকে ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

    হিন্দু পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এবং বাংলাদেশে যে হিন্দুদের উপর আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল-

    ভারতে ঘটা ঘটনা (Attacks on Hindus)

    অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হালিশহরে একটি হিন্দু মন্দিরের আক্রমণ চালায় এবং শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

    পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলাতে এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাপ্পা মিয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গুজরাটের জামনগর থেকে যৌন নির্যাতনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে আম-আদমি পার্টির সক্রিয় কর্মী মহম্মদ আক্রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে।

    শনিবার ২৪ মে অন্ধপ্রদেশের কাডাপা জেলায় রহমত উল্লাহ নামে এক ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিন বছর বয়সি এক দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।

    উত্তরপ্রদেশে জোর জবরদস্তি করে ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে বাধ্য করা হয় এক ব্যক্তিকে। এর পাশাপাশি তার হিন্দু পরিচয় (Attacks on Hindus) সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুলদীপ কুমার। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালেই তিনি আলফিয়া নামে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০২৫ সালেই তাঁর নাম রশিদ রাখতে বাধ্য করে তারা।

    মধ্যপ্রদেশের বালুদা নামের একটি গ্রামে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং হিন্দু মহিলাকে যৌন নির্যাতনের জন্য সে রাজ্যের পুলিশ মোবারক মন্ত্রী নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

    অন্যদিকে একই চিত্র ধরা পড়ছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও

    সম্প্রতি, মানিকগঞ্জ জেলায় একটি মন্দিরকে ভাঙচুর করে উগ্র মৌলবাদীরা। অভিযোগ দেবদেবীর মূর্তিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মানিকগঞ্জ জেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দিরটি। বাংলাদেশের গবেষক আবুল বারাকত জানাচ্ছেন, যে ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে, বাংলাদেশ আর কোনও হিন্দু থাকবে না (Hindu Dharma)।

  • Waste Workers: বাঁশি বাজিয়ে আসেন তাঁরা রোজ সকালে, সাফাই কর্মীদের কাজকে সহজ করবেন কীভাবে?

    Waste Workers: বাঁশি বাজিয়ে আসেন তাঁরা রোজ সকালে, সাফাই কর্মীদের কাজকে সহজ করবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজ সকালে বাঁশি বাজিয়ে সাফাই কর্মীরা আসেন আপনার বাড়ির সামনে (Waste Workers)। তাঁরা নিয়ে যান বর্জ্য পদার্থ। আমরা ঘরে বসেই এমন কিছু কাজ করতে পারি যা এই সাফাই কর্মীদের পরিচ্ছন্নতার কাজকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করে তুলতে পারে। মনে রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতাই পবিত্রতা। এনিয়েই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।

    ১. বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণ (Waste Workers)

    ভেজা বর্জ্য: সবজি এবং ফলের খোসা, অবশিষ্ট খাবার, চা পাতা, ডিমের খোসা এবং কফির গুঁড়ো এগুলোকে আলাদা প্যাকেটে রাখুন।

    শুকনো বর্জ্য: কাগজ, পিচবোর্ড, প্লাস্টিকের পাত্র এবং কাচের বোতল এগুলিকে আলাদা করুন।

    বিপজ্জনক বর্জ্য: এই ধরনের বর্জ্যের মধ্যে পড়ে স্যানিটারি প্যাড, ন্যাপি, মাস্ক, পুরানো ওষুধ, ব্যাটারি, ভাঙা কাচ এবং রাসায়নিক পাত্রের মতো জিনিসপত্র। এগুলোকে আলাদা রাখতে হবে। এগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়।

    ২. ধারালো বর্জ্যের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা বজায় রাখতে হবে

    ভাঙা কাচ, পুরাতন রেজার, বা মরিচা পড়া লোহা এগুলিকে কাগজে মুড়িয়ে রাখুন।

    মোড়ানো প্যাকেজটি স্পষ্টভাবে লেবেল করতে হবে। সেখানে লেখা থাকবে সাবধান, ধারাল বস্তু আছে (Waste)।

    ৩. ই-বর্জ্য এবং ব্যাটারি আলাদা বাস্কে ভরে ফেলুন

    ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) এবং ব্যাটারিতে সীসা, পারদ এবং অ্যাসিডের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। এগুলির ক্ষেত্রে-

    বাড়িতে একটি ছোট বাক্স আলাদা করে রাখুন। সেখানে ই-বর্জ্য, পুরাতন চার্জার, ইয়ারফোন, ফোনের ব্যাটারি, ভাঙা খেলনা, রিমোট কন্ট্রোল এগুলিকে রাখুন।

    ৪. ফেলার আগে কিছু বর্জ্য জল গিয়ে ধুয়ে ফেলুন (Waste)

    পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র (Waste Workers) যেমন, প্লাস্টিকের পাত্র, দুধের কার্টন, টিনের ক্যান এবং কাচের বোতলে প্রায়শই অবশিষ্ট খাবার বা তরল থেকে যায়। এর ফলে এগুলো পুনর্ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

    আপনি যা করতে পারেন তা হল:

    জার, বোতল এবং পাত্রগুলিকে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।

    পরে এগুলি শুকাতে দিন এবং তারপর শুকনো বর্জ্য হিসেবে প্যাকেটে মুড়িয়ে দিন।

    ৫. বর্জ্য কমিয়ে দেওয়া (Waste Workers)

    বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হল বর্জ্য কমিয়ে দেওয়া।

    বর্জ্য কমানোর কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল:

    প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করুন।

    সাবান, শ্যাম্পু এবং পণ্যের জন্য রিফিলযোগ্য পাত্র বেছে নিতে হবে।

    খাবার অর্ডার করার সময় একবার ব্যবহারযোগ্য কাটলারি, স্ট্র বা প্যাকেজিংকে না নেওয়া।

    বাড়িতে কাচের জার, প্লাস্টিকের পাত্র এবং কাগজের ব্যাগ পুনঃব্যবহার করুন।

    সম্ভব হলে আপনার বাড়ির রান্নাঘরের বর্জ্য কম্পোস্ট করুন।

    ৬. এটিকে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা করুন (Waste Workers)

    বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি যৌথ প্রচেষ্টা। সবাইকে একই কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে।

    প্রতিবেশী, পরিবার বা হাউজিং সোসাইটিকে পৃথকীকরণের নিয়ম মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।

    স্থানীয় বর্জ্য কর্মী বা এনজিওগুলির সঙ্গে আলোচনা করুন।

    এনিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করতে পারেন।

    নিজেরাই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করুন।

  • Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পরে বঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁকে স্বাগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ (West Bengal)। আজ রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে রয়েছে তাঁর। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পরে প্রথম রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় কয়েক মিনিট থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত থেকে আবার ফের গাড়িতে ওঠেন শাহ। তার পরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় বাইপাসের ধারের এক হোটেলে।

    পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, রবিবার তিনটি কর্মসূচি রয়েছে শাহের। এরমধ্যে সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। ওই বৈঠকে বিধানসভার রণকৌশল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিশা দেখাবেন তিনি (Amit Shah)। বিজেপির পাখির চোখ যে পশ্চিমবঙ্গ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেই ইঙ্গিতই করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিউটাউনের বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটের (West Bengal) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিস্তারিতভাবেই।

    কলকাতার উদ্দেশে বিজেপি পদাধিকারীরা (Amit Shah)

    ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (Amit Shah)। তাঁরা প্রত্যেকেই নেতাজি ইন্ডোরে শাহি সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পদাধিকারীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কলকাতায়। এই সভায় বাংলার সাংসদ, বিধায়করাও হাজির থাকবেন। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি পদাধিকারীরা যাচ্ছেন কলকাতার উদ্দেশে।বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে কোনঠাসা শাসক দল।বিজেপি সূত্রে খবর, নেতাজি ইন্ডোরের কর্মসূচির আগে অবশ্য রাজাহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে সিএফএসএলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর সেখান থেকেই তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে। সাংগঠনিক সভা শেষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেটি আয়োজিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয়।

LinkedIn
Share