Blog

  • Ramakrishna 352: “তুমি আমার দেবতা, আমি অন্য দেবতার অর্চনা করিতে শিখিতেছিলাম, দেবতার স্থান অধিকার করিয়াছ”

    Ramakrishna 352: “তুমি আমার দেবতা, আমি অন্য দেবতার অর্চনা করিতে শিখিতেছিলাম, দেবতার স্থান অধিকার করিয়াছ”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    ঈশ্বরদর্শনের উপায়—শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত

    পাঠ চলিতে লাগিল। এইবার ঈশ্বরদর্শনের কথা। প্রফুল্ল এবার দেবী চৌধুরাণী হইয়াছেন। বৈশাখী শুক্লা সপ্তমী তিথী। দেবী বজরার উপর বসিয়া দিবার সহিত কথা কহিতেছেন। চাঁদ উঠিয়াছে। গঙ্গাবক্ষে বজরা নঙ্গর করিয়া আছে। বজরার ছাদে দেবী ও সখীদ্বয়। ঈশ্বর কি প্রত্যক্ষ হন, এই কথা হইতেছে। দেবী বললেন, যেমন ফুলের গন্ধ ঘ্রাণের প্রত্যক্ষ সেইরূপ ঈশ্বর মনের প্রত্যক্ষ হন। “ঈশ্বর মানস প্রত্যক্ষের বিষয় (Kathamrita)।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মনের প্রত্যক্ষ। সে এ-মনের নয়। সে শুদ্ধমনের। এ-মন থাকে না। বিষয়াসক্তি একটুও থাকলে হয় না। মন যখন শুদ্ধ হয়, শুদ্ধমনও বলতে পার, শুদ্ধ আত্মাও বলতে পার।

    যোগ দূরবীন—পাতিব্রত্যধর্ম ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    মাস্টার—মনের দ্বারা প্রত্যক্ষ যে সহজে হয় না, এ-কথা একটু পরে আছে। বলেছে প্রত্যক্ষ করতে দূরবীন চাই। ওই দূরবীনের নাম যোগ। তারপর যেমন গীতায় আছে, বলেছে, যোগ তিনরকম—জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, কর্মযোগ। এই যোগ-দূরবীন দিয়ে ঈশ্বরকে দেখা যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ খুব ভাল কথা। গীতার কথা।

    মাস্টার—শেষে দেবী চৌধুরানীর স্বামীর সঙ্গে দেখা হল। স্বামীর উপর খুব ভক্তি। স্বামীকে বললে, “তুমি আমার দেবতা। আমি অন্য দেবতার অর্চনা করিতে শিখিতেছিলাম, শিখিতে পারি নাই। তুমি সব দেবতার স্থান অধিকার করিয়াছ।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সহাস্যে—“শিখিতে পারি নাই!” এর নাম পতিব্রতার ধর্ম। এও আছে।

    পাঠ সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Kathamrita) হাসিতেছেন। ভক্তেরা চাহিয়া আছেন, ঠাকুর আবার কি বলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে, কেদার ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—এ একরকম মন্দ নয়। পতিব্রতাধর্ম। প্রতিমায় ঈশ্বরের পূজা হয় আর জীয়ন্ত মানুষে কি হয় না? তিনিই মানুষ হয়ে লীলা করছেন।

    “কি অবস্থা গেছে। হরগৌরীভাবে কতদিন ছিলুম। আবার কতদিন রাধাকৃষ্ণভাবে! কখন সীতারামের ভাবে! রাধার ভাবে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করতুম, সীতার ভাবে রাম রাম করতুম!

    “তবে লীলাই শেষ নয়। এই সব ভাবের পর বললুম, মা এ-সব বিচ্ছেদ আছে। যার বিচ্ছেদ নাই, এমন অবস্থা করে দাও। তাই কতদিন অখণ্ড সচ্চিদানন্দ এই ভাবে রইলুম। ঠাকুরদের ছবি ঘর থেকে বার করে দিলুম।

  • Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে (Pakistan) সরাসরি সমর্থন করেছে তুরস্ক। এই আবহাওয়া এ দেশে তুরস্কের পণ্য বর্জনের দাবি জোরদার হয়েছে। এই আবহে তুরস্কের সঙ্গে ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ সালে তুরস্কে ভারতের রফতানির পরিমাণ ছিল ৫.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যা এদেশের মোট রফতানির দেড় শতাংশ। অন্যদিকে তুরস্ক থেকে ভারত আমদানি করেছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার যা মোট আমদানির ০.৫%।

    তুরস্কে আমদানি ও রফতানি কী কী হয়?

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তুরস্কে ভারতের (Operation Sindoor) রফতানি করে তেল, খনিজ জ্বালানি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, রাসায়নিক, ওষুধ, ট্যানিং এবং ডাইং আইটেম, প্লাস্টিক, রাবার, তুলা, কৃত্রিম তন্তু এবং ফিলামেন্ট, লোহা, ইস্পাত, অটো এবং এর উপাদান। অন্যদিকে ভারত তুরস্ক থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে রয়েছে মার্বেল, তাজা আপেল, সোনা, শাকসবজি, চুন, সিমেন্ট, খনিজ তেল, রাসায়নিক, প্রাকৃতিক মুক্তা, লোহা এবং ইস্পাত। তুরস্ক কোম্পানিগুলি মেট্রো রেল, টানেল নির্মাণ, বিমানবন্দর পরিষেবা, শিক্ষা, মিডিয়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    বুধবার জেএনইউ তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে

    কিন্তু এই পুরো চিত্রটি এবার বদলে যেতে পারে (Operation Sindoor) বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানকে যেভাবে তুরস্ক সেনা এবং ড্রোন সরবরাহ করেছে, তাতেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের একবার পুনর্বিবেচনার জায়গাতে চলে এসেছে। গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। ২০২৩ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ভারত সেখানে ত্রাণ সরবরাহ করে, অপারেশন দোস্ত নামে। তারই প্রতিদান স্বরূপ অকৃতজ্ঞ তুরস্ক পাকিস্তানকে সেনা ও ড্রোন সরবরাহ করল (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হয়েছিল মুজিব। এবার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য (Operation Sindoor) । ধরা পড়ল তার পাকিস্তানি যোগ। মুজিবের সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা একাধিক পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের সঙ্গে তার যোগ পেয়েছেন (Pak Extremist)। এই প্রোফাইলগুলিতে সর্বদাই ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয় বলে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, instagram-এর একাধিক পাকিস্তানি অ্যাকাউন্টকে মুজিব ফলো করে, যেগুলি পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা চালায়। এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সে মাদকাসক্তও বটে। তাকে ফের একবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পরবর্তী তদন্তের (Pak Extremist) জন্য।

    সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করে মুজিব (Operation Sindoor)

    পুলিশ জানিয়েছে যখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়, তখনই মুজিব অস্বীকার করে তার সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয় প্রশাসনের। এরপরেই তার সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক পাকিস্তানি উগ্রপন্থী প্রোফাইলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। বর্তমানে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন এই পাকিস্তানি উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সে কীভাবে যোগাযোগ রাখত।

    আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান 

    প্রসঙ্গত, কোচি হারবার পুলিশ স্টেশন মুজিবকে আগেই গ্রেফতার করে। কারণ সে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে কোচি নৌ ঘাঁটিতে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান ঠিক কোন জায়গায় সেটা জানতে চেয়েছিল। এক্ষেত্রে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল যে সে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে ফোন করছে এবং নিজের নাম বলেছিল রাঘবন। ফোন কল ভুয়ো জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এমন ফোন কল আসায় বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় প্রশাসন। মুজিবকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করে কোচি পুলিশ। এরপরেই মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান।

  • Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Eggs: ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে কোন কোন খাবার? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবারে নরম তুলতুলে ডিমের পোচ কিংবা ফ্রায়েড এগ অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। আবার অনেকে‌ই স্কুল-কলেজ যাওয়ার আগে ঘি-আলু সিদ্ধ ভাতের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ নিয়মিত খান। একদিকে পুষ্টি আরেকদিকে স্বাদ! ডিমের (Eggs) এই যুগলবন্দিতে শিশু থেকে বয়স্ক বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এই খাবার নিত্যসঙ্গী! তবে, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের ভোগান্তি বাড়তে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমের সঙ্গে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। তাহলে স্বাস্থ্য সমস্যা হবে না। দেখা যাক, কোন কোন খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চা কিংবা কফি খাওয়া উচিত নয় (Eggs)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে অনেকেই নিয়মিত ডিম খান। কখনও ফ্রায়েড, কখনও পোচ আবার কখনও সিদ্ধ। তবে তার সঙ্গে অনেকেই চা কিংবা কফি জাতীয় গরম পানীয় খেতে পছন্দ করেন। আর এতেই বিপদ বাড়ে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কফি কিংবা চা জাতীয় পানীয়তে ক্যাফিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে। এই উপাদান শরীরে অন্যান্য খাবারের পুষ্টিগুণ সহজে পৌঁছতে দেয় না। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে নানান ভিটামিন, প্রোটিন থাকে। এর সঙ্গে কফি বা চা খেলে সেই পুষ্টি শরীরে পৌঁছতে পারে না।

    দই খেলে বাড়বে বিপদ

    শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত টক দই এবং ডিম-এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই দুই পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই এবং ডিম (Eggs) এই দুই খাবারেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, সকালে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে, দুপুরের খাবারের পরে টক দই খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ এই দুই খাবার খাওয়ার সময়ের মধ্যে একটা ব্যবধান জরুরি।

    প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    যে কোনও প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত সসেজ কিংবা হ্যাম জাতীয় খাবার ডিমের সঙ্গে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন থাকে। সসেজ কিংবা হ্যাম হল নানান রকমের মাংসের পদ। এগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। একসঙ্গে এত বেশি পরিমাণ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ইংলিশ ব্রেকফাস্ট পছন্দের হলেও হজমের গোলমাল রুখতে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সসেজ সহ ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারেই নয়

    ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। ডিমে (Eggs) থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এই প্রোটিন ও ফ্যাট একসাথে শরীরে প্রবেশ করলে, পেট ব্যথা, হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া দরকার। এড়িয়ে চলতে হবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো পদ।

    চিনি এবং কলা একেবারেই এড়িয়ে চলা জরুরি (Eggs)

    ডিম সিদ্ধ, পাউরুটি এবং কলা, জলখাবারের এই পদ প্রায় প্রত্যেকের খুবই পরিচিতি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডিম সিদ্ধ এবং কলা একসঙ্গে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কলায় রয়েছে‌ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই বিষক্রিয়া হতে পারে। অর্থাৎ পেটের গোলমাল, পেট ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই কারণে ডিমের সাদা চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।

    চিজ এড়িয়ে চলা জরুরি

    চিজ অমলেট অনেকেই খুব পছন্দ করেন। কিন্তু নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ দেওয়া অমলেট একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিজ অমলেট নিয়মিত খেলে ক্লান্তিবোধ বাড়ে। শরীরে এনার্জির ঘাটতিও‌ দেখা দেয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • IPL 2025: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং কেন জানেন?

    IPL 2025: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের ডাক উঠল আইপিএলে (IPL 2025)। আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #boycottdelhicapitals। আইপিএলে কোনও দলকে বর্জন করার ডাক উঠছে, এরকম ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। তাহলে এরকম ঘটার কারণ। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালস জানায়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-মার্গক বাকি আইপিএলে খেলতে না পারায় তার বদলি হিসেবে বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুরকে নেওয়া হয়েছে। ব্যাস চটে লাল ভক্তরা।

    দিল্লি ক্যাপিটালসকে বয়কটের কারণ

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। ১৭ মে থেকে ফের শুরু হতে চলেছে টুর্নামেন্ট। বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে। তবে আইপিএলের এই চূড়ান্ত পর্যায়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে সমস্যায় অনেক দলই । অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই আইপিএলের শেষ পর্বে খেলতে আসতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সেই আবহে কপাল খুলে গিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের। দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএলের শেষ পর্বে পাবে না অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে (Australian opener Jake Fraser-McGurk)। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে তারা ৬ কোটি টাকায় সই করিয়েছে বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে (Mustafizur Rahman)। যিনি এর আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালে।

    মুস্তাফিজুরের খেলা নিয়ে সংশয়

    আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়েই আগ্রহ দেখায়নি কোনও দল। অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। তবে আইপিএলের চূড়ান্ত পর্বে বিদেশি ক্রিকেটারদের না যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর দরজা খুলতে শুরু করল বাংলাদেশের। সুযোগ পেলেন মুস্তাফিজুর। যদিও বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন আর তারপর সে দেশে প্রবল ভারত বিদ্বেষী হাওয়ায় মুস্তাফিজুরকে আইপিএলে নেওয়ার দিল্লি ক্যাপিটালসের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেননি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিরক্ত হয়ে তাই দিল্লি ক্যাপিটালস বয়কটের ডাক উঠেছে। তবে মুস্তাফিজুরের আইপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলতে সে দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই দলে রয়েছেন মুস্তাফিজুরও।

  • Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    Rajnath Singh: পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র কি আদৌ নিরাপদ! কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা কি আদৌ নিরাপদ? শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যান তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর রাজনাথ এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

    পাকিস্তানের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন

    জওয়ানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আজ শ্রীনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বের কাছে একটা প্রশ্ন করতে চাই। দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্ত মানসিকতাসম্পন্ন কোনও দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকাটা কি আদৌ নিরাপদ? আমার মনে হয় আইএইএ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)র উচিত পাকিস্তানের সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্রের উপর নজর রাখা।” প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আর মোটেও মেনে নেবে না ভারত। উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনী ভেঙে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্রের অপব্যবহার হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা দুনিয়া। তাই রাজনাথের দাবি, পরমাণু ভাণ্ডারের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা বিশেষ করে সতর্ক হোক পাকিস্তানকে নিয়ে।

    সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা

    এদিন সেনাবাহিনীর সাহসিকতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ। সেনার উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আপনারা যা করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।” বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি ঘুরে দেখেন রাজনাথ। এই সেনাছাউনিতেই ধেয়ে এসেছিল পাকিস্তানের গোলা। সেই গোলার অংশ দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কাশ্মীরকে ভারতের মাথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের মাথায় মেরেছিল, আমরা ওদের ছাতি ফালাফালা করে দিয়েছি।”

    সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করাই লক্ষ্য

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিহত সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) একটা অঙ্গীকার। ওরা ধর্ম দেখে নিরীহ মানুষদের মেরেছে কিন্তু আমরা কর্ম দেখে জঙ্গিদের মেরেছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় অভিযান। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে আমরা যে কোনও সীমা পর্যন্ত যাব। পাকিস্তানকে অবিলম্বে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।” ইসলামাবাদের দাবি মোতাবেক, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ক‌োনও আলোচনা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন রাজনাথ। বলেন, “কথা হবে সন্ত্রাসবাদ আর পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে।”

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

  • India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পাহেলগাঁও হামলার পর ভারতের (India Turkey Relation) ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তুরস্কের সঙ্গে একাধিক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি এখন সঙ্কটে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তুরস্কের সঙ্গে সব প্রকল্পের ওপরই কঠোর নজরদারি করছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, টানেল নির্মাণ, মেট্রো রেল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিমান পরিবহণসহ বিভিন্ন খাতে চলমান তুরস্কের বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পর্যালোচনার পেছনে রয়েছে তুরস্কের ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান-প্রীতি বক্তব্য ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।

    প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন

    তুরস্ক (India Turkey Relation) প্রাথমিকভাবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ” হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল, পরে তাদের অবস্থান ভারতীয় কূটনীতিক মহলে সন্দেহ সৃষ্টি করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে পাহেলগাঁও হামলার পরে সাক্ষাৎ করেন। নয়াদিল্লির মতে এই সাক্ষাত পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যে তুরস্কের সংহতির বার্তা বহন করে। তুরস্ক অপারেশন সিঁদুরকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর “অন্যায্য আঘাত” হিসেবে অভিহিত করে। এর পরপরই ৮–৯ মে রাতে পাকিস্তান তুরস্ক-নির্মিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। লেহ থেকে গুজরাটের স্যর ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি পরিবারের তিন সদস্য আহত হন। এই ঘটনার জেরে মোদি সরকার এখন ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত তুরস্কের কোম্পানিগুলোর ভূমিকা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা শুরু করেছে। প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

    অকৃতজ্ঞ তুরস্ক

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই তুরস্ক পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে।

    কোন কোন চুক্তিতে প্রশ্নচিহ্ন

    বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশনের (IBEF) ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে ২৪০.১৮ মিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগ মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, বিমান চলাচল, মেট্রো রেল এবং শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মতো জ্ঞানভিত্তিক খাতে কেন্দ্রীভূত। গত এক দশকে ভারত ও তুরস্কের মধ্যে বহু সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আফিম বীজের বাণিজ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কূটনৈতিক সহযোগিতা। তবে এখন এই সম্পর্কে চির ধরছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “তুরস্ক প্রতিষ্ঠান যুক্ত সব প্রকল্প এখন সরকারের বিশেষ পর্যালোচনার আওতায়। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব চুক্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” এই পর্যালোচনায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অটল টানেলের ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অংশে ২০২০ সালে যুক্ত তুরস্কের একটি কোম্পানি এবং ২০২৪ সালে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) সঙ্গে একটি মেট্রো প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    তুরস্কের (India Turkey Relation) কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার হস্তক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন আরও জোরালো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি – অন্তত পাঁচটি রাজ্যে তুরস্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এইসব রাজ্যে মেট্রো প্রকল্প, বিমানবন্দর পরিচালনা এবং উৎপাদন কেন্দ্রের মতো উচ্চ-প্রোফাইল প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভারত সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো এখন অনেকটাই অর্থহীন হয়ে উঠেছে। সরকারি সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত কোনও প্রকল্প বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, স্পষ্ট যে ভারত ধীরে ধীরে তুরস্কের অংশীদারিত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। “ভারত এখন বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করছে। যে কোনও অংশীদারিত্ব ভারতের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা আস্তে আস্তে বাতিলের পথে যেতে পারে” বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’-এ সংঘর্ষবিরতির চার দিন পর পাঞ্জাবের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, ‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা’, ‘সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য’ একসঙ্গে চলতে পারে না।

    তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল

    ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে সম্প্রতি তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সেনাবাহিনী ৷ পাকিস্তানের ছোড়া সশস্ত্র ড্রোন, ইউএভি-র বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করে ভারত জানতে পেরেছে, ওই ড্রোনগুলি পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে তুরস্ক ৷ তুরস্কের এই ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে পর্যটন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠন ৷ কার্যত একই পথে হেঁটেছে জেএনইউ ৷

    মার্বেল ব্য়বসায়ীরা মুখ ঘোরাচ্ছে

    জেএনইউ-এর এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করা মৌ চুক্তি বাতিল করেছি ৷ এই চুক্তির আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক আদান-প্রদানের পরিকল্পনা ছিল ৷ পাশাপাশি দুই দেশের পড়ুয়ারা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও পেতেন ৷ কিন্তু এখন আর তা হবে না ৷” চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি হয় ৷ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে ভারত-তুরস্কের এই চুক্তি হয়েছিল ৷ ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল জেএনইউ ৷ অন্যদিকে, রাজস্থানের মার্বেল ব্য়বসায়ীরা তুরস্কর থেকে মার্বেল পাথর আনতে চাইছেন না ৷ আপেল ও শুকনো ফলের ব্যবসায়ীরাও একই পথে হেঁটেছেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- তিন মাসে ভারত-তুরস্কের মধ্যে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ৷ কিন্ত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় তুরস্কের ভূমিকার জন্য এবার বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের ৷

  • Encounter in Pulwama: ‘জৈশ-ই-মহম্মদ’-এর ৩ জঙ্গি খতম, জম্মু-কাশ্মীরে আরও ৮ সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে অভিযান

    Encounter in Pulwama: ‘জৈশ-ই-মহম্মদ’-এর ৩ জঙ্গি খতম, জম্মু-কাশ্মীরে আরও ৮ সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর ভারত সরকার। মঙ্গলবারের পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফের বড় সাফল্য উপত্যকায়। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামা (Encounter in Pulwama) জেলার ত্রাল এলাকার নাদির গ্রামে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে খতম করল সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, এই তিনজনের নাম আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি এবং ইয়াওয়ার আহমদ ভাট। তারা প্রত্যেকেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিল বলে খবর।

    জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান

    সূত্রের খবর, আসিফ আহমেদ শেখের বয়স ২৮। জৈশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের হয়ে ২০২২ সাল থেকে অবন্তীপুরায় সক্রিয় ছিল। আমির নাজির ওয়ানির বয়স ২০। ইয়াওয়ার আহমেদ ভাটের বয়স ২৪ বছর। এরা জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদে ছিল ২০২৪ সাল থেকে। পুলওয়ামায় সক্রিয় ছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয় এনকাউন্টার হলো ভূস্বর্গে। মঙ্গলবার সকালেই কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার কেল্লারে তিন জঙ্গিকে খতম করেছিল বাহিনী। তারা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পরে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জঙ্গি নিকেশ করতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরে লস্করের ১৪ জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে (Encounter in Pulwama) সক্রিয় ছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জঙ্গি সেনাবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার নিহত হয় শাহিদ কুট্টে, আদনান সফি দার এবং আসান আহমেদ শেখ। সূত্রের খবর, এখনও হাই প্রোফাইল ৮ সন্ত্রাসবাদী জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাক জঙ্গিদের লজিস্টিক-সহ যাবতীয় সাপোর্ট জোগাচ্ছে তারা। তাদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উত্তর কাশ্মীরে এখনও ৪৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি লুকিয়ে আছে। স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ৬৬। দক্ষিণ কাশ্মীরে স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ১০৯। পাক জঙ্গির সংখ্যা মাত্র ৭। আর এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পহেলগাঁওয়ের নারকীয় হত্যালীলা চালানো পিশাচরা। তাঁদের চিহ্নিত করে নিকেশ না করা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলবে সেনা অপারেশেন।

    মণিপুরে হত ১০ জঙ্গি

    মণিপুরেও (Manipur) সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ১০ জঙ্গির। বুধবার সে রাজ্যের মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চান্দেল জেলায় জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পারে সেনা। তার পরেই ওই জেলার নিউ সামতাল গ্রামে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিদের তরফে গুলি ছোড়া শুরু হয়। পাল্টা গুলি চালিয়ে ১০ জঙ্গিকে নিকেশ করেন অসম রাইফেলসের সদস্যেরা। ওই জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে মণিপুরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় হানা দেন অসম রাইফেলসের স্পিয়ার কর্পসের সদস্যেরা। তল্লাশি এবং জঙ্গিদমন এখনও চলছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।

LinkedIn
Share