Tag: বাংলা খবর

  • Down Syndrome: অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, ডাউন সিনড্রোম মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক অসচেতনতা!

    Down Syndrome: অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, ডাউন সিনড্রোম মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক অসচেতনতা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    অতিরিক্ত ক্রোমোজোম নয়, বরং সামাজিক অসচেতনতাই হয়ে উঠছে চ্যালেঞ্জ! ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত নিয়ে নয়া পাঠ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার! সচেতনতা মাসে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শরীরের জিনগত গঠনে ত্রুটি বাড়ায় জটিলতা। কিন্তু সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতাই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক করে তোলে। তাই বিশেষজ্ঞ মহল ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সামাজিক সচেতনতাকেই মূল হাতিয়ার করতে চাইছেন। অক্টোবর মাস ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আলাদা ব্যবস্থা নয়। বরং একসঙ্গে সকলে মিলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই মানুষদের নিয়ে চলাই এ বছরের সচেতনতা কর্মসূচি।

    ডাউন সিনড্রোম কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় শিশুদের জিনগত ত্রুটির কারণে ডাউন সিনড্রোম হয়। মানুষের শরীরে ৪৬ ক্রোমোজোম থাকে। কিন্তু ত্রুটির কারণে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের শরীরে ৪৭ ক্রোমোজোম থাকে। এর ফলে কোষের গঠন ঠিকমতো হয় না। তাই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হয় না। বয়সের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা বাড়ে না। ফলে, নিজের কাজ ঠিকমতো করা কিংবা সাধারণ জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত জিনঘটিত কারণেই ডাউন সিনড্রোম হয়। বংশানুক্রমিক এই রোগ। তবে অন্যান্য কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় মায়ের অতিরিক্ত বয়স সন্তানের ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।

    ভারতে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার শিশু ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়। প্রতি ৮০০ জন শিশুর মধ্যে ১ জন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের আগে বংশানুক্রমিকভাবে কেউ ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলো কিনা, সে সম্পর্কে হবু মা ও বাবার ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তাছাড়া, আধুনিক শহুরে জীবনে বহু মেয়েই ৩৫ বছরের পরে মাতৃত্বের পরিকল্পনা করছেন। যা সন্তানের ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    কীভাবে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত চিহ্নিত হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত কিনা তা জানা যায়। এর পাশপাশি শিশুর জন্মের দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর শারীরিক গঠন দেখে বোঝা যায়, শিশুটি এই জিনঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত কিনা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের মুখের গঠন চ্যাপ্টা হয়। জিভ বড় হয়। কান তুলনামূলকভাবে ছোটো হয়। পাশপাশি হাত-পা সহ শরীরের একাধিক অঙ্গের গঠনে ত্রুটি দেখা যায়। আঙুলে বাড়তি ফাঁক থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না।‌ মস্তিষ্কের বিকাশও ঠিকমতো হয় না। তাই বুদ্ধির বিকাশ ও বয়সের অনুপাতে সমান হয় না।

    ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন পথের হদিশ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো‌ হয়েছে, সচেতনার অভাব ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সচেতনতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি দিকে বিশেষ খেয়াল রাখলেই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের জীবন তুলনামূলক ভাবে সহজ হবে।

    পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হলে তাকে একা রাখা উচিত নয়। বরং পরিবারের অন্য সদস্যদের তার প্রতি বাড়তি যত্নবান হওয়া দরকার। তাঁদের পরামর্শ, শিশু ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত হলে তাকে একা ঘরে রেখে দেওয়া কিংবা অন্যদের সঙ্গে মিশতে না দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে জটিলতা বাড়ে। বরং পারিবারিক অনুষ্ঠানে সবসময় তাদের নিয়ে যাওয়া দরকার। যাতে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করা ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের পক্ষে সহজ‌ হয়। অনেক সময়েই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে সকলের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না। আবার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এমনকি শিশুরাও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে না। আর এক্ষেত্রেই সচেতনতা জরুরি। আলাদা রকম হলেই তাকে বাদ দেওয়া নয়। বরং একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার পারিবারিক মূল্যবোধ ও শিক্ষা প্রয়োজন।

    সময় মতো লাগাতার থেরাপি!

    ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের কথা বলার ক্ষমতা বাড়াতে এবং সাধারণ কাজ করার মতো শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে লাগাতার থেরাপি চালিয়ে যাওয়া জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিনঘটিত জটিলতার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়। তাই তাদের শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতি করতে দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীদের কর্মশালা জরুরি। তাই ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুর নিয়মিত স্পিচ থেরাপি এবং অন্যান্য থেরাপি প্রয়োজন।

    স্কুলে লাগাতার সচেতনতা কর্মসূচি!

    শুধুই আলাদা ক্লাসরুম নয়। বরং সকলের সঙ্গে বসে একসঙ্গে পড়াশোনা করা। অন্যান্য সহপাঠীদের থেকে সমান ভালোবাসা পাওয়া সহজ করে দেবে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তের জীবন। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুও আর পাঁচজন শিশুর সঙ্গে মিশতে চায়। স্বাভাবিক ভাবেই খেলাধুলা করতে চায়। তাদের একসঙ্গে নিয়ে চললে তবেই তাদের জীবনের জটিলতা কমবে। আলাদা রকম হলেও যে একসঙ্গে চলা যায় এই শিক্ষা বছরভর স্কুলে চালাতে হবে। সেটা শুধু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্য নয়, যেকোনও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা। তাই এ নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র আলাদা বিশেষ ক্লাসরুমে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুদের রাখলে, বাকিদের থেকে আইসোলেট থাকলে তাদের বিকাশে আরও জটিলতা তৈরি হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! তাই স্যর ক্রিকে (Sir Creek) ভারতের আসন্ন যুদ্ধমহড়া নিয়ে পাকিস্তান ভয়ে কাঁপছে। আতঙ্ক এমন গ্রাস করেছে যে, ওই এলাকায় নোটাম জারি করে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ করে দিয়েছে। জারি করেছে সতর্কতা।

    ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’

    ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাট-রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’ (Exercise Trishul)। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বাহু, তথা— স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস (India’s Tri-Service Military Drill) চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই মহড়া বাহিনীর মধ্যে ‘সমন্বয়’, ‘আত্মনির্ভরতা’ ও ‘উদ্ভাবন’ এই তিন স্তম্ভের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া

    এই মহড়াকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার ইতিমধ্যে একটি নোটাম (NOTAM বা Notice to Airmen) জারি করেছে। অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট সময়কালে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান চলাচলে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকবে। এই ১১ দিন মহড়া চলাকালীন রাজস্থান ও গুজরাট সীমান্তের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার জন্য সমস্ত বিমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, মহড়ার জন্য সংরক্ষিত আকাশসীমা ২৮,০০০ ফুট (প্রায় ৮.৫ কিলোমিটার বা ৮৫০০ মিটার উঁচু) পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। যে কারণে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক অনুশীলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই উচ্চতা বলে দিচ্ছে যে মহড়ায় কেবল স্থল বা সমুদ্র মহড়া নয়, যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সহ বড় বিমান অভিযানও জড়িত। এই বিরাট পরিধি এবং অবস্থানই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এতে বৃহৎ আকারের কমব্যাট সিমুলেশন এবং উন্নত অস্ত্র পরীক্ষাও জড়িত থাকবে।

    বার্তা একটাই— প্রস্তুত ভারত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, সাদার্ন কমান্ডের জওয়ানরা এই মহড়ায় অংশ নেবেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ডে যৌথ অভিযান চালানোর মহড়া দেবেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে খাল বা নালা এবং মরুভূমিতে আক্রমণ, সৌরাষ্ট্র উপকূলে ডাঙায় ও জলে অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি এবং অনুসন্ধান, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং সাইবার যুদ্ধের মতো বিভিন্ন ডোমেনের অভিযানের অনুশীলন।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ত্রিশূল’ অনুশীলন (Exercise Trishul) শুধু একটি মহড়াই নয়, বরং পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তিন বাহিনীর সমন্বিত শক্তি প্রদর্শনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এক্সারসাইজ ত্রিশূল শুধু এক সামরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা— ভারত যে কোনও সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজনাথ

    এই মহড়া আরও একটা দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য। তা হল, মহড়ার স্থান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) স্যর ক্রিক অঞ্চলের কাছে পাকিস্তানের সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করার কয়েকদিন পরেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নানা প্রান্তে মহড়া চালিয়েছে। কিন্তু, স্যর ক্রিক অঞ্চলে ভারতের আসন্ন সামরিক মহড়া (Exercise Trishul), পাকিস্তানের মধ্যে আতঙ্কের চোরাস্রোত বইয়ে দিয়েছে। স্যর ক্রিক হল গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাঝে সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাভূমি বা খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল। দশমীর দিন ভূজে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অস্ত্র পুজোর পর রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক সেক্টরে কিছু করার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে ইতিহাস-ভূগোল দুই-ই বদলে দেওয়া হবে।”

    ‘ত্রিশূল’-এর ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল, পাকিস্তান সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ বাড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই ভারতের এই বৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া (India’s Tri-Service Military Drill) ইসলামাবাদের উদ্দেশে এক স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারত নোটাম জারি করতেই হাঁটু কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তানের। অপারেশন সিঁদুর-এর সময় ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ও ১১টি সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছিল। ফলে, ত্রিশূল (Exercise Trishul) শুরুর আগেই থরহরিকম্প পাকিস্তান তড়িঘড়ি নিয়েছে পদক্ষেপ। একাধিক রুটে নোটাম জারি করেছে ইসলামাবাদ। মধ্য ও দক্ষিণ এয়ারস্পেসের একাধিক এয়ার ট্রাফিক রুটের জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এই নোটাম জারি থাকবে। যদিও নোটাম জারির কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেনি পাকিস্তান। তবে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন। ভারতের যুদ্ধমহড়ার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে ইসলামাবাদকে।

  • Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    Apple Benefits: সত্যিই এক আপেলে বাজিমাত হয়! রোজ একটি আপেল খেলে কোন রোগের দাপট কমে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একটা আপেলেই রয়েছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি! বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ নিছক কথার কথা নয়। ফের একবার এমন তথ্য প্রকাশ করলেন ইংল্যান্ডের একদল গবেষক-চিকিৎসক। এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে আপেলের (Apple Benefits) মতো ফলেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে নানান লাইফস্টাইল ডিজিসের দাপট বাড়ছে। আর তাদের কাবু করতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। তাই ডায়াবেটিস থেকে ওবেসিটি কিংবা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত অসুখে আপেল রাশ টানতে পারে (Health Tips)।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ বাড়ছে। অর্থাৎ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, চুল পড়া এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এগুলোকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত মেনুতে একটা আপেল (Apple Benefits) থাকলে, এই রোগ মোকাবিলা সহজ হয়‌। ব্রিটেনের ওই গবেষক-চিকিৎসকদের মতে, আপেল একাধিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপেল খেলে শরীরে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়‌।

    কোন রোগ মোকাবিলায় আপেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ওবেসিটি রুখতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে জেরবার। এই অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা এমনকি বন্ধ্যাত্বের কারণ হলো ওবেসিটি। এই বাড়তি ওজনের জেরে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। আপেল এই ওবেসিটি রুখতে বিশেষ সাহায্য (Apple Benefits) করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে ফাইবার। ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই আপেল খেলে পেট ভরে কিন্তু শরীরে বাড়তি মেদ জমে না। ওবেসিটি রুখতে এই ধরনের খাবার বিশেষ উপকারি।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারি!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগ স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনির অসুখের মতো নানান জটিল সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে সাহায্য করে আপেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা প্রি-ডায়াবেটিক পিরিয়ডে খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ (Apple Benefits)। কোন খাবার খেতে হবে আর কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, এই সচেতনতার উপরেই সুস্থ থাকা নির্ভর করে। তাই আপেল এক্ষেত্রে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফল‌ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও প্রি-ডায়াবেটিকদের বিশেষ উপকার হয়।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে‌। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে তিরিশের কম বয়সিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে স্ট্রোকের ঘটনা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল থাকা ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে‌।

    হজমের সমস্যা কমিয়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই কম বয়সি ছেলেমেয়ে। মদ্যপান না করলেও লিভারের বাড়তি মেদ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আপেল খেলে এই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমবে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আপেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে (Apple Benefits)। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে লিভার, অন্ত্র সুস্থ থাকে। কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে‌।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    পরিবেশে বদল হচ্ছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে নানান ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ছে। স্বাস্থ্যের উপরে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। সুস্থ থাকতে তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। আপেল এই কাজে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে (Apple Benefits)। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমে।

    কাদের আপেল এড়িয়ে চলা উচিত?

    শরীরের জন্য উপকারি হলেও দিনে দুটির বেশি আপেল খাওয়া উচিত নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা দিনে দুটোর বেশি আপেল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের আপেলের রস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গোটা আপেলের পরিবর্তে আপেলের রস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাছাড়া যদি কোনও রকম অ্যালার্জি থাকে, তাহলে আপেল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Health Tips)। পেটের গোলমাল হলেও আপেল না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই অতিরিক্ত আপেল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে‌। শরীর সুস্থ রাখতে দিনে দুটো আপেল যথেষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানীতে জঙ্গি হামলার একটি বড়সড় ছক বানচাল (Terror Plot Foiled) করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ল ২ সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট জঙ্গি (ISIS Operatives Arrested)। শুক্রবার সকালে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ওই দুই সন্দেহভাজন আইসিস বা আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এক সন্দেহভাজন জঙ্গি দিল্লির বাসিন্দা। অপরজনের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।

    অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির মশলা উদ্ধার

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অভিযানের সময় ধৃত দুই জঙ্গিরই নাম আদনান। এক জঙ্গিকে দিল্লির সাদিক নগর থেকে এবং অন্যজনকে ভোপাল থেকে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির কোনও একটি জনবহুল এলাকায় জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র (Terror Plot Foiled) করা হয়েছিল। যে অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল তারা, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে বিস্ফোরক উপকরণ, অ্যাসিড, সালফার পাউডার, বল বিয়ারিং এবং আইইডি সার্কিটের মতো বোমা তৈরির রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে।

    দিল্লিতেই আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল!

    ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা (Delhi Police) জানতে পেরেছেন, তাদের পরিকল্পনা বেশ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, আইইডি বিস্ফোরণের প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। এই দু’জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। দিল্লিতেই ফিদায়েঁ হামলার ছক ছিল তাদের। তারা আইসিসের সঙ্গে যুক্ত হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কে জড়িত, কোথায় হামলার পরিকল্পনা ছিল, কোথা থেকে হামলার নির্দেশ আসছে, যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই গ্রেফতারির ফলে দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক (Terror Plot Foiled) ভেস্তে গেল, আত্মবিশ্বাসী গোয়েন্দারা (Delhi Police)।

    নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত!

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গিদের নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেই অনুমান। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার হয়ে নাশকতা ছড়াতে ভারতে এসে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করেছে ধৃতরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে (Delhi Police)। আসল পরিচয় গোপন করতেই এই কৌশল। তবে দুই জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরেও অপারেশন চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নাশকতার ষড়যন্ত্রে (Terror Plot Foiled) আরও কয়েক জন আইএস জঙ্গি জড়িত থাকতে পারে।

  • Indian Armed Forces: ৭৯০০০ কোটি টাকার অস্ত্র, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সায় কেন্দ্রের, বিরাট বদলের পথে তিন বাহিনী

    Indian Armed Forces: ৭৯০০০ কোটি টাকার অস্ত্র, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সায় কেন্দ্রের, বিরাট বদলের পথে তিন বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের রণনীতি ও যুদ্ধকৌশলের সঙ্গে সেনাশক্তির সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Forces) তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) জন্য ৭৯ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম (Modern Weapon Systems) কেনার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে এই বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন সমরাস্ত্র ও আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আরও শক্তি বাড়ছে ভারতীয় সেনার। যার জেরে তিন বাহিনীতেই ঘটবে বিরাট বদল। নতুন রূপে সেজে উঠবে দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনী।

    স্থল সেনার ঝুলিতে যা যা আসছে…

    স্থল সেনার ঝুলিতে ঢুকতে চলেছে মোট তিনটি প্রতিরক্ষা সামগ্রী (Indian Armed Forces)। যথাক্রমে নাগ মিসাইল সিস্টেম মার্ক-২ (NAMIS Mk-II), গ্রাউন্ড-বেসড মোবাইল ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম (GBMES), ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং ক্রেন-সহ হাই মোবিলিটি ভেহিক্যল (HMVs)। এর মধ্যে নাগ মিসাইল সিস্টেম শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, বাঙ্কার ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়। গ্রাউন্ড-বেসড মোবাইল ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম কাজ করে রেডার সিগন্যাল ধরতে। শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ও রেডার সিগনেচার শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে সক্ষম এটি। সবশেষে হাই মোবিলিটি ভেহিক্যল মূলত সেনা লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। ভারী সরঞ্জাম পরিবহণে কাজে আসে।

    নৌবাহিনী যা পেতে চলেছে…

    ভারতীয় নৌসেনার জন্য আসছে ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPDs), ৩০ মিমি নেভাল সারফেস গান (NSG), অ্যাডভান্সড লাইট ওয়েট টর্পিডো (ALWT) ও ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রা-রেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম সঙ্গে স্মার্ট অ্যামুনিশন। ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক প্ল্যাটফর্মগুলি নৌসেনা ও বিমানবাহিনীর যৌথ অপারেশনে ব্যবহৃত হবে (Indian Armed Forces)। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এলপিডি। ৩০ মিমি নেভাল সারফেস গান মূলত নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে লো ইন্টেনসিটি মেরিটাইম অপারেশনস (LIMO) এবং জলদস্যুতা বিরোধী (Anti-piracy) অভিযানে আরও কার্যকর করে তুলবে। ডিআরডিও-র তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট ওয়েট টর্পিডো যে কোনও ধরনের সাবমেরিন— কনভেনশনাল হোক কিংবা পারমাণবিক— সবাইকেই টার্গেট করতে সক্ষম। এছাড়া, কোনও বস্তুকে টার্গেটে আনতে তৈরি হচ্ছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রা-রেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম।

    বায়ুসেনার ঘরে যা ঢুকছে…

    বায়ুসেনার (Indian Armed Forces) জন্য কোল্যাবরেটিভ লং রেঞ্জ টার্গেট স্যাচুরেশন/ডিস্ট্রাকশন সিস্টেম (CLRTS/DS) তৈরিতে অনুমোদন দিয়ে পরিষদ। এই ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন, অবতরণ, নেভিগেট করা, লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম। এটি মূলত দূর পাল্লার লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে আঘাত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ১০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই সোয়ার্ম ড্রোন এই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার সাহায্যে নিশানা চিহ্নিত করে হামলা চালাতে পারে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের অংশ

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর (Indian Armed Forces) জন্য উন্নত অস্ত্র, সহায়তা সরঞ্জাম কিনে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অনুমোদনগুলি কেবল সামরিক শক্তি বৃদ্ধিই করবে না বরং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও শক্তিশালী (Modern Weapon Systems) করবে। চলতি বছরের বাজেটে মোট ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, সামরিক খাতে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হতে পারে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সেই বাজেট পেশ করা হতে পারে।

  • Colon Cancer: ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যান্সার! দায়ী জীবন যাপনের ধারা, বলছেন চিকিৎসকরা

    Colon Cancer: ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যান্সার! দায়ী জীবন যাপনের ধারা, বলছেন চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের প্রকোপ।‌ ভারতে গত পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আক্রান্তের বয়স। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে কম বয়সি অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধারা কোলন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। কী ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়া হয়, সেটাই এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    কী বলছে পরিসংখ্যান?

    সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি সমীক্ষার তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, যে সব ক্যান্সারে ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়, সেই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোলন ক্যান্সার। কোলন ক্যান্সারে মৃত্যু হার ও বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব ক্যান্সারে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশি, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানেই রয়েছে কোলন ক্যান্সার। ভারতেও কোলন ক্যান্সারে মৃত্যু হার উদ্বেগজনক। ভারতে ৫০ হাজারের বেশি পুরুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। মহিলা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নতুন ভাবে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের ১০.৬ শতাংশ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই নতুন আক্রান্তদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের একাংশ রয়েছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন।

    মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ মদ্যপান, ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত। আর তার জেরেই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভার, অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোলনে যার প্রভাব পড়ে। তার ফলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মদ্যপান ও ধূমপানের মতো অভ্যাস শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। ধূমপান ফুসফুসের ক্ষতি করার পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এগুলো আবার ক‌্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    কম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। আর তার জেরেই কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত ফাইবার জাতীয় খাবার খাচ্ছেন না। কম বয়সিদের অনেকেই নিয়মিত গম, বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্যে তৈরি রুটি, ডাল, পালং শাক, নাশপাতির মতো‌ ফল খান না। বরং তারা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খান। নানান রকমের প্রক্রিয়াজাত খাবার খান। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে। নিয়মিত মলত্যাগ ঠিকমতো হয় না। অন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দেয়। তার থেকেই কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে!

    কোলন ক্যান্সারে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস কিংবা ওবেসিটির মতো রোগ একাধিক অন্য রোগের কারণ। তার মধ্যে কোলন ক্যান্সার ও রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজিস বাড়ছে। ওবেসিটি লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস একদিকে কিডনির কার্যকারিতা কমায়। আরেকদিকে হৃদযন্ত্রের কার্যশক্তি কমিয়ে দেয়। এগুলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরেও‌ গভীর প্রভাব ফেলে। তার জেরেই কোলন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কীভাবে এই রোগের ঝুঁকি কমবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন।‌ তাই প্রথম থেকেই খাদ্যাভাস ও জীবন যাপন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে শারীরিক কসরত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। আর তার জেরেই ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়। যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে হবে। যোগাভ্যাস থাকলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। আবার হজমের সমস্যাও কমবে। এর ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমবে।

    নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবু, তরমুজ, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন‌ সি এবং ফাইবার এই দুই উপাদান অন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিকমতো থাকলেই কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে। তাছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই এই ফল যেকোনও রোগ মোকাবিলায় বাড়তি সাহায্য করে।

    রোগ সম্পর্কে সচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এই রোগ অনেক দেরিতে নির্ণয় হয়।‌ অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্বে ওয়াকিবহাল থাকেন না। ফলে রোগ নির্ণয় করতেই অনেক সময় পেরিয়ে যায়। তাই চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয়। তাই পরিস্থিতিও জটিল হয়ে ওঠে। মলত্যাগের সময় বারবার রক্তপাত হলে, হজমের গোলমাল লাগাতার হতে থাকলে একেবারেই এই উপসর্গকে অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাদের বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bhai Phonta 2025: মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! ভাইফোঁটার ভুরিভোজের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা

    Bhai Phonta 2025: মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! ভাইফোঁটার ভুরিভোজের দিকে খেয়াল রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইফোঁটা! ভাই-বোনের সম্পর্কের উদযাপন।‌ বছরের এই দিনটা (Bhai Phonta 2025) প্রত্যেক ভাই-বোনের কাছেই বিশেষ। আর বিশেষ দিনে খাবারে বিশেষ পদ ছাড়া চলে না। বাঙালির যে কোনও উদযাপনেই খাওয়া-দাওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইফোঁটাও সেই তালিকা থেকে আলাদা নয়। বছরের এই বিশেষ দিনে বোনেরা নানান রকমারি পদ ভাইদের জন্য সাজিয়ে দেন। কিন্তু উদযাপনের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত কতখানি হয়? সতর্কতা বজায় না রাখলে সুস্থ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) খাওয়া-দাওয়াতেও দরকার বিশেষ নজরদারি। তবেই সুস্থভাবে জীবনযাপন (Health Digestion Tips) সম্ভব।

    কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি? (Bhai Phonta 2025)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্বাদু খাবার মানেই অতিরিক্ত তেল-মশলা দিয়ে তৈরি খাবার, এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাই রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা একেবারেই চলবে না। অতিরিক্ত তেল শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। খাবারের তালিকায় টাটকা সব্জি এবং প্রাণীজ প্রোটিন যেমন নানান ধরনের মাছ, মাংস থাকতে পারে। কিন্তু প্রসেসড প্রাণীজ প্রোটিন থাকলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রান্নার একাধিক মেনুতে নানান প্রসেসড মাংস রাখেন। এই ধরনের প্রসেসড মাংসে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। সেগুলো লিভার, কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এইসব খাবার একাধিক রোগের কারণ। তাই মেনু নির্বাচনের সময়ে প্রসেসড মাংস বাদ দেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    সব্জি রাখার পরামর্শ

    তবে খাবারের পদে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি সব্জি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু প্রাণীজ প্রোটিন একেবারেই স্বাস্থ্যকর মেনু নয়। তাই সব্জির পদ রাখাও দরকার। এতে ব্যালেন্স ডায়েট হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থুলতার সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta 2025) একাধিক প্রাণীজ প্রোটিন পদে রাখেন। মটন কষা থেকে দই কাতলা কিংবা ইলিশ পাতুরির মতো পদ থাকে। কিন্তু এই খাবারগুলোতে একদিকে শরীরে মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে, আবার এই খাবারে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই একসঙ্গে এই জাতীয় একাধিক পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

    মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ (Bhai Phonta 2025)

    বাঙালির উৎসব উদযাপনের অন্যতম অংশ মিষ্টি। ভাইফোঁটার উদযাপনেও মিষ্টি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিংবা স্থুলতার সমস্যায় ভুগলে এই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Health Digestion Tips)। একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যার জেরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মিষ্টির পরিবর্তে মেনুতে নানান রকমের ফল রাখা যেতে পারে। স্ট্রবেরি, লেবু, আপেলের মতো নানান রকমের ফল খাবারে বৈচিত্র্য আনবে। আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।‌ তাই ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) বিশেষ পদে এমন নানান ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bhai Phonta 2025: শুধু যম-যমুনার আখ্যান নয়, ভাইফোঁটা ঘিরে রয়েছে আরও পৌরাণিক কাহিনি, জানেন কি?

    Bhai Phonta 2025: শুধু যম-যমুনার আখ্যান নয়, ভাইফোঁটা ঘিরে রয়েছে আরও পৌরাণিক কাহিনি, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইফোঁটা (Bhai Phonta 2025) বাঙালিদের চিরকালীন সম্প্রীতির উত্‍সব। বাঙালির ঘরে ঘরে ভাই-বোনদের ভিতর এই মিষ্টি-মধুর মঙ্গলময় উৎসব, যার নাম ভাইফোঁটা, সেটিকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো পশ্চিম ভারতে বলা হয় ‘ভাই দুজ’। আবার কর্নাটক, গোয়ায় ভাইফোঁটাকে বলে ‘ভাই বিজ’। উত্তরবঙ্গেই ভাইফোঁটাকে বলে ‘ভাই টিকা’। হিন্দুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উত্‍সব ঘিরে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনী (Mythological Stories)।

    যম-যমুনার গল্প (Yama-Yamuna)

    কথিত, সূর্য ও তাঁর স্ত্রী সংজ্ঞার ছিল যমুনা নামে এক কন্যা ও যম নামে এক পুত্র। পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্মদানের পর সূর্যের উত্তাপ স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে প্রতিলিপি ছায়ার কাছে রেখে চলে যান। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ায় কেউ ছায়াকে চিনতে পারে না। ছায়ার কাছে ওই দুই সন্তান কখনও মায়ের মমতা, ভালবাসা পায়নি। দিনের পর দিন ধরে অত্যাচার করতে থাকে। অন্য দিকে, সংজ্ঞার প্রতিলিপি ছায়াকে বুঝতে না পেরে সূর্যদেবও কোনও দিন কিছু বলেননি। ছায়ার ছলে স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা। এক সময় যমুনার বিয়েও হয়। বিয়ে হয়ে যমের থেকে অনেক দূরে সংসার করতেন যমুনা। দীর্ঘ কাল ধরে দিদিকে দেখতে না পেয়ে মন কাঁদে যমের। মন শান্ত করতে এক দিন দিদির বাড়ি চলে যান যমরাজ। প্রিয় ভাইয়ের আগমনে হাসি ফোটে দিদির মুখেও। দিদির আতিথেয়তা ও স্নেহে মুগ্ধ হয়ে ফেরত যাওয়ার সময় যম একটি বর চাইতে বলেন যমুনাকে। তখন যমুনা বলেছিলেন, এই দিনটি ভাইদের মঙ্গল কামনা চেয়ে প্রত্যেক বোন যেন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া (Bhai Phonta 2025) হিসেবে পালন করে। সেই বর দান করে যম পিতৃগৃহে চলে যান। যমের মঙ্গল কামনায় এ দিনটি পালন করায় যমরাজ অমরত্ব লাভ করেন।

    কৃষ্ণ-সুভদ্রার কাহিনী (Lord Krishna-Subhadra)

    আরও এক পৌরাণিক কাহিনিতে (Mythological Stories) বলা হয়েছে, একসময় বালির হাতে পাতালে বন্দি ছিলেন বিষ্ণু। সেইকারণে চরম বিপদের মুখে পড়লেন স্বর্গের সব দেবতারা। কোনও ভাবেই যখন বিষ্ণুকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, ঠিক সেই সময় লক্ষ্মীর উপর সকলে ভরসা করতে শুরু করেন। নারায়ণকে উদ্ধার করার জন্য় লক্ষ্মী বালিকে ভাই পাতিয়ে ফেলেন। তাকে ফোঁটাও দেন লক্ষ্মী। সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয় তিথি। ফোঁটা পেয়ে লক্ষ্মীকে উপহার দিতে চাইলে লক্ষ্মী তখন বিষ্ণুর মুক্তি চেয়ে উপহার চেয়ে নেন। ভাইফোঁটা নিয়ে কৃষ্ণ ও সুভদ্রার উপাখ্যানও শোনা যায়। কথিত রয়েছে, ধনত্রয়োদশীর পরের দিন চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করেন কৃষ্ণ। তারপর দ্বারকায় ফিরে আসলে বোন সুভদ্রার আনন্দের সীমা থাকে না। কৃষ্ণের আদরের বোন হল সুভদ্রা। কৃষ্ণকে অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে তার কপালে বিজয়তিলক পরিয়ে দেন। কপালে ফোঁটা দিয়ে দাদাকে মিষ্টিও খেতে দেন। সেই থেকে নাকি ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটা (Bhai Phonta 2025) উত্‍সব পালন করা হয়।

    জৈন ধর্মের কাহিনী

    চতুর্দশ শতাব্দীর পুঁথি অনুসারে, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক মহাবীর বর্ধমানের মহাপ্রয়াণের পরে তাঁর অন্যতম সঙ্গী রাজা নন্দীবর্ধন মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। সেই সময়ে তাঁর বোন অনসূয়া নন্দীবর্ধনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। সেখানে অনেক প্রার্থনার পরে নন্দীবর্ধন বোনের কাছে অনশন ভঙ্গ করেন। এই কাহিনি সত্যি হলে ভাইফোঁটা উৎসবের বয়স আড়াই হাজার বছরের বেশি। কারণ, মহাবীরের প্রয়াণে হয়েছিলেন ৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। ছোট-বড় এরকম নানা গল্প কহিনিকে মনে রেখে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপুজোর পরের পরের দিন ভাইফোঁটা (Bhai Phonta 2025) উৎসবটি পালিত হয়। এদিন বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় উপবাস রেখে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে।

  • Bhai Phonta 2025: ‘যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা…’, জেনে নিন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময়

    Bhai Phonta 2025: ‘যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা…’, জেনে নিন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিকের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটা (Bhai Phonta 2025) উৎসব। ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/ যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা/ আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।’-এই মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে ভাই-এর দীর্ঘাষু কামনা করে বোন। আর ভাই বোনকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করে বছর বছর। এর পর ভাইকে মিষ্টিমুখ করানো এবং প্রীতি উপহার বিনিময়, হাসি-ঠাট্টা, মজা করে কাটানোর উৎসব হল ভাইফোঁটা।

    ভাতৃদ্বিতীয়ার (Bhatri Dwitiya) গল্প

    ভাইবোনের ভালবাসার সম্পর্ক দৃঢ় করার উৎসব হল ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া । কথিত রয়েছে, এই বিশেষ তিথিতে যমরাজ তাঁর বোন যমুনার থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন। এই উৎসব তাই যমন দ্বিতীয়া নামে পরিচিত। হিন্দুশাস্ত্রের আরেকটি মতে নরকাসুরকে বধ করে ফেরার পর শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে ফোঁটা নেন এই দ্বিতীয়া তিথিতে। শ্রীকৃষ্ণের কপালে জয়টিকা পরিয়ে মিষ্টি খেতে দিয়েছিলেন সুভদ্রা। সেই থেকেই সম্ভবত ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) প্রচলন। ভারতের উত্তর ও পশ্চিমে একই উৎসবকে, ‘ভাই দুজ’ (Bhai Dooj) নামে চেনে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি—সব জায়গায় এই দিনটি ভাই-বোনের স্নেহবন্ধনের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। বাংলায় ‘ভাইফোঁটা’, ওড়িশায় ‘ভাইজুন্তিয়া’, দক্ষিণ ভারতে ‘যম দ্বিতীয়া’—নামে ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য একই—ভাই-বোনের স্নেহের বন্ধন।

    দ্বিতীয়া শুরু কখন? থাকবে ক’টা পর্যন্ত? শুভ তিলক মুহূর্ত থাকবে কতক্ষণ?

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী:

    দ্বিতীয়া (Bhai Phonta 2025)  তিথি শুরু: ২২ অক্টোবর (বাংলা ৫ কার্তিক, বুধবার) রাত ৮টা ১৮ মিনিটে।

    দ্বিতীয়া তিথি শেষ: ২৩ অক্টোবর (বাংলা ৬ কার্তিক, বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা ৪৭ মিনিটে।

    অর্থাৎ, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে ভাইফোঁটার মূল পালন ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী:

    দ্বিতীয়া (Bhai Phonta 2025) তিথি শুরু: ২২ অক্টোবর (বাংলা ৫ কার্তিক, বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডে।

    দ্বিতীয়া তিথি শেষ: ২৩ অক্টোবর (বাংলা ৬ কার্তিক, বৃহস্পতিবার) রাত ৮টা ১৯ মিনিট ৪ সেকেন্ডে।

    অর্থাৎ, ভাইফোঁটা পালন করা হবে ২২ অক্টোবর, বুধবার সন্ধ্যার পর বা ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ২৩ অক্টোবরকেই শুভ দিন হিসেবে ধরা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদিনই দ্বিতীয়া (Bhatri Dwitiya)। সুর্যোদয় হিসেবে তিথি ধরলেও অসুবিধা নেই, কেন না, সে ক্ষেত্রেও সকাল থেকেই চলবে ফোঁটা।

    ভাইফোঁটার তিলক মুহূর্ত

    সাধারণ ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2025) একটি তিলক মুহূর্ত থাকে। আর সেটা সচরাচর পড়ে অপরাহ্নে। ভাইফোঁটার অপরাহ্ন মুহূর্ত এবার পড়ছে– ২৩ অক্টোবর বেলা ১২টা ৪০ থেকে দুপুর ২টো ৫৯ মিনিট। আর তিলক মুহূর্ত– বেলা ১টা ১৩ মিনিট থেকে ৩টে ২৮ মিনিট।

  • S-400 Missiles: হতে পারে ১০০০০ কোটির চুক্তি! রাশিয়া থেকে বড় সংখ্যায় এস-৪০০ মিসাইল কেনার পথে ভারত?

    S-400 Missiles: হতে পারে ১০০০০ কোটির চুক্তি! রাশিয়া থেকে বড় সংখ্যায় এস-৪০০ মিসাইল কেনার পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশসীমাকে আরও দুর্ভেদ্য করতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার। খবরে প্রকাশ, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে রাশিয়া থেকে বিপুল সংখ্যায় এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মিসাইল (S-400 Missiles) কিনতে উদ্যোগী ভারত। প্রায় ১০০০০ কোটি টাকার মূল্যের বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি করতে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা (India Russia Talk) ইতিমধ্যেই শুরু করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ শক্তি-প্রদর্শন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময়ই এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কার্যকারিতা ও শক্তি প্রত্যক্ষ করেছিল গোটা বিশ্ব। ‘সুদর্শন চক্র’-র (ভারতে এই নামেই পরিচিত এস-৪০০) সামনে ফালাফালা হয়েছিল পাক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে যুদ্ধবিমান। ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেঞ্জে ৫ থেকে ৬টি পাক যুদ্ধবিমান এবং একটি গোয়েন্দা বিমান ধ্বংস করে এই মিসাইল। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missiles) ব্যবস্থাকে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে বর্ণনা করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যে কারণে, এয়ারফোর্স তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বড় সংখ্যায় এস-৪০০ কিনতে চাইছে।

    ২টি স্কোয়াড্রন আসছে ২০২৬-এ

    প্রসঙ্গত, ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) স্কোয়াড্রন কেনার চুক্তি সাক্ষর করেছিল। এর মধ্যে তিনটি যথাসময়ে সরবরাহ করা হয়েছে, তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চতুর্থ ইউনিটের সরবরাহ বিলম্বিত হয়েছে। বাকি ২ স্কোয়াড্রনের জন্য ভারত জোর তদ্বির শুরু করে এবং সেই সময় মস্কোকে জানানো হয় যে, ভবিষ্যতে অতিরিক্ত স্কোয়াড্রনও কেনার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া জানায়, প্রথম বরাতের বাকি দুটি ইউনিট ২০২৬ সালেই ভারতে পৌঁছে যাবে।

    পুতিনের সফরে চুক্তি সই?

    জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition Council) বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানেই, বায়ুসেনার এই প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। হতে পারে, সেই সময় এই অতিরিক্ত স্কোয়াড্রন এবং বেশি করে ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missiles) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পাশাপাশি, ভারত ও রাশিয়া নতুন এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কেনার বিষয়েও আলোচনা করছে, যা ভারতের ‘বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ’ সক্ষমতা বাড়াবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ডিসেম্বরে ভারত সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

LinkedIn
Share