Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশ। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যদিও ওই জঙ্গিদের এখনও ধরা যায়নি। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাজে তারা সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ।

    কুলগামে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গির বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    জঙ্গিদের দুই সহযোগী কুলগামে লুকিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হামলায় অভিযুক্তদের সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কুলগামে শনিবার সকালে যার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নাম জাকির আহমেদ গনি। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি যোগ না-থাকলেও নেপথ্যে থেকে কাজ করেছিল এই জাকির। হামলার পরিকল্পনায় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়েছে।

    পুলওয়ামায় ভাঙা হল আহসান আল হক শেখের বাড়ি

    পুলওয়ামায় (Pahalgam Attack) আহসান আল হক শেখ নামের আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভাঙা হয়েছে শনিবার সকালে। জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার মুরান গ্রামে সে থাকত। বুলডোজার দিয়ে শুক্রবার রাতে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে।

    নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা পাকিস্তানের, রাতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, পাল্টা জবাব দিল ভারতও

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাতেও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলি চালাল পাকিস্তান (Pahalgam Attack)। বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে খবর। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। শনিবার সকালেই এনিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২৫ এবং ২৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। একই ভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরাও। কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।’’

  • Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন (Waqf Act), ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশন খারিজ করার জন্য শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রাথমিক হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। সরকার ওই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণভাবে বৈধ। আরও জানিয়েছে, এই আইনের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। এই আইন কখনও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করেনি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সপ্তাহের ভিতরে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকার হলফনামা জমা দেয়। সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে। ওয়াকফ আইন নিয়ে ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর বিবরণ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করে কেন্দ্র। মোদি সরকার আরও জানিয়েছে, সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য!

    কী জানাল কেন্দ্রীয় সরকার (Waqf Act)?

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বৈধ এবং দেশের সংসদে আইন মেনেই তা পাশ করানো হয়েছে।

    ● দেশের সংসদে তৈরি করা সংশোধনী আইন সংবিধান মেনেই পাশ করানো হয়েছে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২২ জনের ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ দুইজন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এটা এমন একটা সংখ্যা যা ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্তকেই প্রাভাবিত করতে পারবে না।

    ● দেশের সংসদ তার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করেছে, যাতে ওয়াকফ বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বেশ কিছু মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক অধিকারকে সংশোধন করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।

    ● কেন্দ্রের মতে, ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে যেভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা আসলে এদেশের বিচারবিভাগীয় মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যায়।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির একাধিক অপব্যবহার সামনে এসেছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তা না জেনে, একটা বিধানের (সংসদে পাশ করা আইন) ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা অনভিপ্রেত। যদি সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য (Waqf Act) নষ্ট করার সমতুল্য!

    ১৭ এপ্রিল মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিতে বলে কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিলই (Waqf Act) এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত রয়েছে এমন ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনওরকমের বদল ঘটানো যাবে না। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও। তখনই কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক হলফনামা জমা করল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শেরশা সি শেখ মহিউদ্দিন এই হলফনামা জমা দেন শীর্ষ আদালতে।

    ৩৬ বার যৌথ সংশোধনী কমিটির বৈঠক, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদারের পরামর্শ

    প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে যৌথ সংশোধনী কমিটির ৩৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদার তাঁরা নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। যৌথ সংসদীয় কমিটি দেশের দশটি বড় শহরে ঘুরে জনসাধারণের মতামত নিয়েই নয়া ওয়াকফ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত যেকোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। অতীতে বহুবার এদের বিরুদ্ধে গরিব মুসলমানদের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের (Waqf Act) ব্যক্তিগত সম্পত্তি হরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে নয়া সংশোধনীতে এই অধিকার একেবারে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন সম্পত্তি ওয়াকফ হবে এবং কোনটি ওয়াকফ নয় তা বিচার করা চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৯৫৪ সালে প্রথমবার ওয়াকফ আইন পাশ করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধন এনে ফের ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বাড়িয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গোপনে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে পাকিস্তান।’’ এমনই স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) খাজা আসিফ। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে এবং তাদেরকে অর্থায়ন করছে। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবি সিলমোহর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন কাজ করেছে পাকিস্তান, দাবি আসিফের

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) আসিফের আরও দাবি, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর দেশ এই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তিনি (Khawaja Asif) আরও বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ৯/১১-র পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম। তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করত।’’

    লস্করের নাকি অস্তিত্ব নেই তাদের দেশে (Pakistan Defence Minister)

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) ওই সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে তাদের দেশে নাকি লস্কর-ই-তৈবা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংগঠনের বেশ খানিকটা সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব আর নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও স্বীকারোক্তি, ‘‘পাকিস্তানের (Pakistan Defence Minister) সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যখন কোনও সম্পর্কই নেই, তখন আমরা কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করব?’’ এ সময় তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, লস্করের একটি শাখা সংগঠন নাকি পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে। তখন আসিফ (Khawaja Asif) উত্তর দেন, ‘‘যখন তাদের মূল সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, তখন ছায়া সংগঠন কোথা থেকে আসছে।’’

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হবে না। নদীগুলির অবস্থান ভারতে হওয়ার কারণে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এদেশের ওপরেই নির্ভর করতে হত পাকিস্তানকে। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। পাকিস্তান বর্তমানে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি রয়েছে যেমন সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোন বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়াতে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছু বন্ধ হল। এতে বেশ বিপাকে পড়বে পাকিস্তান (Indus Water Treaty)। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    জলশক্তি মন্ত্রকের উচ্চ আধিকারিক দিলেন ব্যাখ্যা

    এ নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Indus Water Treaty) একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে বন্ধ হল তথ্য আদান প্রদান। দৈনিক তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জলের নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিতই থাকছে। যেহেতু এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত, তাই এদেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানকে চলতে হত এবং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তির অধীনে ভারত রবি, বিপাশা এবং শতদ্রু- এই তিন নদীর সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির মধ্যে আছে চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলাম। সিন্ধু প্রণালীর প্রধান নদী- সিন্ধু এবং পাঁচটি উপনদী: রবি, বিপাশা, শতদ্রু, ঝিলাম এবং চেনাব। এই পাঁচটি উপনদীই বাঁদিক দিয়ে ভারত হয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে এই প্রণালীর ডান তীরের উপনদীগুলি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয় এবং চেনাব, ঝিলাম এবং সিন্ধুকে পশ্চিম নদী বলা হয়।

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় গতি পাবে এদেশে জল বিদ্যুতের কাজ

    পাকিস্তানের সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে তাদের আশি শতাংশ জল সরবরাহ হয় সিন্ধু ব্যবস্থার মাধ্যমে। জানা যায়, সিন্ধু প্রণালীর এই জল তাদের ৯৩ শতাংশ কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আরও গতি পেতে পারে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নালিশ করে। সেই রায়ের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আর সেইরকম বাধা কোনও রইল না।’’

    কোন কোন প্রকল্পের কাজে গতি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার ফলে কিষাণগঙ্গা এবং রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( ৩৩০ মেগাওয়াট) নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতি মঞ্চেও গিয়েছে। অন্যদিকে, রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধের কাজও এরফলে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, চেনাব অববাহিকায় কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট), কীরথাই I এবং II (১৩২০ মেগাওয়াট) এবং সাওয়ালকোট (১,৮৫৬ মেগাওয়াট) প্রকল্পগুলিও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করে ভারত আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কারণ, এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে কখনও এই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। এবারে মোদি সরকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে দিল।

    সিন্ধুর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে ভারত?

    অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বর্তমানে সিন্ধুর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের (Indus Water Treaty) কথাও বিবেচনা করতে পারে। ঠিক ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চিন যেমন বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি এবং কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও যাবে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরদার আওয়াইস ভারতের পদক্ষেপকে জল‌ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনার মতে, পাকিস্তান প্রায় ভারতের উন্নয়নকে থামানোর জন্য এই চুক্তিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

    প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার কী জানাচ্ছেন?

    ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এটি চুক্তি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কোনও সুস্পষ্ট বিধান নেই, তবে চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৬২-তে পর্যাপ্ত পরিসর দেওয়া আছে। যা বলে, পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।’’

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার আবহে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গুলিবর্ষণ পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তিনদিন পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে এসেছে। সূত্রের মারফত আরও জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি, যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণ করে (Pahalgam Attack)। এরপর ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পরে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল, তাতে এ কথা বলা যায় যে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তান জুড়েও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে পলাতক এক সন্ত্রাসী আহত হয়েছে এই গুলির লড়াইয়ে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় উচ্চ পদস্থ পুলিশকর্তা সহ দুই নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।

    বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে তল্লাশি, গুলির লড়াই (Pahalgam Attack)

    জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে, এমন খবর নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে পায়। এরপরেই তাঁরা সেই জঙ্গলকে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা উত্তর দেয় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই উধমপুর জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এক সেনা নিহত হন। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে নিরাপত্তা বাহিনী সেই জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার (Pakistan) পিছনে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে এমন তিন সন্দেহবাজনের ছবি ও প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ, আবু তালহার। এই সন্ত্রাসবাদীদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে কুড়ি লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

  • PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বৃহস্পতিবারই বিহারের মধুবনীতে সভামঞ্চে হাজির ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখানেই সন্ত্রাস হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ও নেপথ্যে যে সমস্ত ষড়যন্ত্রীরা রয়েছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েতরাজ দিবস উপলক্ষেই বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই পহেলগাঁও ইস্যুতে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সভা শুরুর আগে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন মোদি (PM Modi)

    নিজের বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্পষ্ট শব্দে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, ওই জঙ্গিদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তাদের ধারণার বাইরে। সাজা হবেই।’’ এদিন মধুবনীতে সভা শুরুর আগে পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) নিহতদের স্মরণে হাতজোড় করে ২ মিনিট নীরবতাও পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে

    নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখিত। পহেলগাঁওতে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। সরকার আহতদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে। কেউ সন্তান হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলা বলত, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠা। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলেই এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।’’ ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের তাড়া করব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন আরও বলেন, ‘‘আজ আমি বিহারের মাটি থেকে সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রত্যেকটি জঙ্গি এবং তাদের ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করবে। খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই জঙ্গিদের তাড়া করব। ভারতবর্ষের চেতনাকে কখনোই জঙ্গিরা শেষ করতে পারবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘পুরো দেশ বর্তমানে সংকল্পবদ্ধ। যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই আমাদের সঙ্গে আছেন। শাস্তি এতটাই কঠোর হবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কখনও তা ভাবতে পারেনি।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব

    জঙ্গিদের উদ্দেশে মোদির (PM Modi) হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব। সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করে ছাড়বে ভারত। বিহারের মাটি থেকে গোটা বিশ্বকে বলছি, ভারত জঙ্গিদের খুঁজে বের করে প্রত্যেককে সাজা দেবে। সন্ত্রাসবাদে ইতি টানবে ভারত। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সেই সমস্ত দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের এই বিপদে সমর্থন করেছেন।’’

    ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে, প্রতিজ্ঞা মোদির

    একইসঙ্গে ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে ভারতের মেরুদণ্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যা কিছু করার, সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, হামলার সময় দুদিনের সৌদি আরব সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালেই তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করেন এবং দিল্লিতে ফিরে আসেন। এরপর বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার

    এই আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যু ও জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্রের হয়ে জানাবেন জয়শঙ্কর। সর্বদলীয় বৈঠক ইস্যুতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে, সর্বদল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন রাজনাথ সিং।

LinkedIn
Share