Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Israel: ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর ফোন জয়শঙ্করকে, ইরানের সঙ্গেও কথা দিল্লির

    Israel: ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর ফোন জয়শঙ্করকে, ইরানের সঙ্গেও কথা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান ও ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধের আবহে দুই দেশের প্রতিনিধির সঙ্গেই কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবারই তিনি দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে দুটি পোস্ট করেন জয়শঙ্কর। নিজের পোস্টে তিনি জানান, ইজরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার তাঁকে ফোন করেন। পরে আরেকটি পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন যে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী সৈয়াদ আব্বাস আরাগচির সঙ্গেও তাঁর ফোনে কথা হয়েছে।

    নয়া দিল্লি জানিয়েছে, গোটা ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল (Israel) ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের সামরিক অভিযান চালায়। এর জেরে পশ্চিম এশিয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই হামলায় ইরানের বহু সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা গোটা ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দিল্লি দুই দেশকেই যেকোনও রকম উত্তেজনামূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছে। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।

    ইরানে (Iran) ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ

    অন্যদিকে, ইরান-ইজরায়েলের (Israel) এই উত্তেজনার আবহে ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে নয়াদিল্লি। তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানকার ভারতীয়দের যেন ভারতীয় দূতাবাসের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল ফলো করার অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সব আপডেট পেতে পারেন। যাঁরা বর্তমানে ইরান সফরের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদেরও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে, তেহরানে (Iran) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দুটি ফোন নম্বর ও একটি ইমেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে।

    Phone: +98 9128109115 / +98 9128109109

    Email: consular@indianembassytehran.com

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সুরক্ষা পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এই প্রেক্ষাপটে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ সিরিজের সমস্ত বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। আগামী ১৫ জুন রবিবার থেকে এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, জ্বালানি ব্যবস্থা, ইঞ্জিন ও হাইড্রলিক সিস্টেম সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণ (Boeing Dreamliners) করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

    ডিজিসিএ-র নির্দেশে কী কী বলা হল (Air India)?

    ফুয়েল প্যারামিটার মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা যাচাই

    কেবিন এয়ার কম্প্রেসার ও তার সহযোগী ব্যবস্থার পরিদর্শন

    ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা

    ইঞ্জিনের ফুয়েল-চালিত অ্যাকচুয়েটরের কার্যকারিতা ও অয়েল সিস্টেমের পরীক্ষা

    হাইড্রলিক সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা যাচাই (Boeing Dreamliners)

    টেকঅফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার বিশ্লেষণ

    ১৪ দিনের মধ্যে পাওয়ার অ্যাসুরেন্স পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং ‘ফ্লাইট কন্ট্রোল ইন্সপেকশন’ চালু করতে হবে

    ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (Air India)

    ডিজিসিএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে বোয়িং ড্রিমলাইনারে যে ত্রুটিগুলি দেখা গিয়েছে, সেই সমস্ত ত্রুটিও দ্রুত পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। এই মডেলের বিমানে এই প্রথম বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। যদিও ২০২৪ সালে বোয়িং সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার এই মডেল নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তদন্তে যেকোনওভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Air India)।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

  • JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে কাউন্সেলিং। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি (JoSAA 2025) তাদের রেজিস্ট্রেশন ও চয়েস ফিলিং উইন্ডো আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, ১২ জুন বিকেল ৫টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, JoSAA এবার অর্থাৎ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ছয়টি রাউন্ডে কাউন্সেলিং পরিচালনা করবে। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডের ফল প্রকাশিত হবে শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায়। অন্যদিকে IIT-র ভর্তি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৬ জুলাই এবং সম্পূর্ণ কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে ২২ জুলাই (JoSAA 2025)।

    ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা

    JoSAA কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দেশের মোট ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা। এর মধ্যে রয়েছে ২৩টি IIT, IIEST শিবপুর, ২৬টি IIIT এবং ৪৬টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। যে সকল ছাত্রছাত্রী কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দ করে ভর্তি নিশ্চিত করবেন, তাঁরা পঞ্চম রাউন্ডের আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সুযোগ পাবেন (JoSAA 2025)।

    লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য

    JEE Main 2025 পরীক্ষার্থীদের লগইন করার জন্য নিজেদের আবেদন নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বিদেশি নাগরিক এবং OCI/PIO প্রার্থীরা যাঁরা JEE Main পরীক্ষায় অংশ নেননি, তাঁদের JEE Advanced 2025-এর শংসাপত্র ব্যবহার করে লগইন করতে হবে (Top Engineering Colleges)।

    JoSAA 2025 কাউন্সেলিং-এর মূল তারিখসমূহ

    ১৪ জুন: প্রথম রাউন্ড আসন বরাদ্দ (সকাল ১০টা)

    ২১ জুন: দ্বিতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ২৮ জুন: তৃতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ৪ জুলাই: চতুর্থ রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১০ জুলাই: পঞ্চম রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১৬ জুলাই: IIT-এর চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল (বিকাল ৫টা)

  • Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন দুর্ঘটনার শিকার হল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171? কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য (Air India Crash)। জানা যাচ্ছে, বোয়িং সংস্থার প্রাক্তন কোয়ালিটি ম্যানেজার জন বার্নেট আগেই এই বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি ২০১০ সালে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার নর্থ চার্লসটনে অবস্থিত বোয়িং কারখানায় যোগ দেন, যেখানে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের উৎপাদন হত। এই মডেলই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

    বিস্ফোরক অভিযোগ (Air India Crash)

    ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে বার্নেট বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি ছিল, বোয়িং সংস্থা গুণমানের তোয়াক্কা না করে কর্মীদের নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে বাধ্য করত। হুইসেল ব্লোয়ারের মতো কাজ করেন বার্নেট। এরকম একাধিক বিষয় সামনে আনেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৬২ বছর বয়সে বার্নেটের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, বিমানে ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবস্থায় মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, জরুরি অবস্থায় চারটি মাস্কের মধ্যে একটি কাজই করে না। অতিরিক্ত উচ্চতায় এমনটা হলে ২০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা অজ্ঞান মৃত্যুমুখেও পড়তে পারেন (Air India Crash)।

    উপেক্ষিত নিরাপত্তা

    দক্ষিণ ক্যারোলিনায় কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই বার্নেট দেখেন, উৎপাদনের নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ করতে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। সেসময় তিনি (John Barnett) জানিয়েছিলেন, স্ক্র্যাপ বিন থেকে তুলে নেওয়া নিম্নমানের যন্ত্রাংশ পর্যন্ত বিমানে লাগানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর অভিযোগ ছিল।বার্নেট আরও দাবি করেন, বোয়িং ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক সময় সমস্যা রিপোর্ট না করার জন্য চাপ দেওয়া হত, যাতে নির্ধারিত সময়ে বিমান হস্তান্তর সম্ভব হয়।

    বার্নেটের পরিবারের অভিযোগ (Air India Crash)

    এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বার্নেট অবসর নেন। এরপর তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সংস্থার সঙ্গে বিরোধের জেরে তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বারবার। এরফলে তাঁর পেশাগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২১ সালে তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বার্নেটের মৃত্যু ঘটে ২০২৪ সালে। পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বোয়িংয়ের মানসিক চাপ ও হেনস্থার ফলেই বার্নেটের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে নতুন মামলাও দায়ের করা হয়।

  • Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বোয়িং ড্রিমলাইনার ঠিক কতটা নিরাপদ (Plane Crash)? আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার চার মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, যা ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল ছিল। এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় সরকার ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের বিমানগুলিকে গ্রাউন্ড করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তদন্ত হতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও (Plane Crash)

    সূত্রের খবর, সেফটি রিভিউয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা চলছে। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণে (Central Government) কোনও গাফিলতি থাকলে টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত এই বিমান সংস্থার (Plane Crash) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

    বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে এবং প্রায় ৪৪,০০০ বার ওড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। দুর্ঘটনার ঠিক আগে ‘মেডে’ সংকেত পাঠান পাইলট, তবে তার আগে কোনও কার্যকর সহায়তা পৌঁছনোর আগেই বিমানটি ধ্বংস হয়। বিমানটির একটি ডানা বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর আছড়ে পড়ে (Central Government)। এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ফ্লাইট ১৭১-এর বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Plane Crash)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার যেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ে, শুক্রবার সকালে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন আমেদাবাদের কমান্ড হাসপাতালে, এখানেই বিমান দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যেই রয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই অভিশপ্ত বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী। শুক্রবারই সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় আমরা সকলে বিপর্যস্ত। এই ভাবে হঠাৎ এত মানুষের প্রাণহানি হৃদয়বিদারক এবং ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।”

    সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশও সেখানেই চিকিৎসাধীন (Ahmedabad Plane Crash Site)। শুক্রবারই আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই দুর্ঘটনায় মৃত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজে পোস্ট করে জানান, প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট এবং এই অপূরণীয় ক্ষতি বহু বছর ধরে তাঁরা অনুভব করবে সে কথা বুঝতে পারছি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পরিদর্শন

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরেই আমেদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শুক্রবার সকালেই আমেদাবাদ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে আনতে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিল এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধার ও ত্রাণ পরিস্থিতির বিষয়েও বিশদে খোঁজ খবর নেন (Ahmedabad Plane Crash Site)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    সুশান্ত দাস

    দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগনোর সিদ্ধান্ত নিলেও পাশাপাশি আপৎকালীন ভিত্তিতে কম সংখ্যায় বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) কেনার ব্যাপারে অত্যন্ত গভীর ভাবনাচিন্তা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই ক্ষেত্রেও ‘বন্ধু’ রাশিয়াকেই ভরসা ভারতের। যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব ফিরিয়ে রাশিয়ার তৈরি সুখোই ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত। অন্তত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

    অ্যামকা হাতে পেতে আরও এক দশক!

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, এটা নিশ্চিত। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, মাত্র গত বছরই ‘অ্যামকা’-য় সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্র। আর এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য।

    পাকিস্তানকে পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ দিচ্ছে চিন

    কিন্তু, এই দশ বছরে বদলে যাবে অনেক কিছুই। ভারতীয় বায়ুসেনার বর্তমানে মাত্র ৩১টা স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে থাকার কথা ৪২। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমবে। কারণ, মিগ-২১বি, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০ সহ বহু যুদ্ধবিমান অবসর নেবে। অবিলম্বে এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে ভারতকে। এমআরএফএ-র আওতায় ১১৪টি  যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টিও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। আবার, তেজসের কাজও অনেক বিলম্ব হচ্ছে। ইঞ্জিন আমদানি সমস্যায় জেরবার নির্মাণকারী সংস্থা হ্যাল। যে কারণে, ডেডলাইনের অনেক পেছনে চলছে মার্ক-১এ এবং মার্ক-২ সংস্করণের কাজ। অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেই চিন, যারা পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। ইতিমধ্যেই, ইসলামাবাদকে নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তাও আবার অর্ধেক দামে! ফলে, এটা ভারতের কাছে বড় সমস্যা হতে পারে, যদি ভারতের কাছেও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) না থাকে। সব মিলিয়ে, ভারতের হাতে সময় বেশি নেই।

    ভারতের পাশে দাঁড়াল বন্ধু রাশিয়া

    এই সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫এ’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সেই একই সময়ে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘সু-৫৭ই’ (সু-৫৭-এর এক্সপোর্ট ভেরিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব দেয় রাশিয়াও। মস্কোর প্রস্তাব আরও ভালো ছিল, কারণ তারা ভারতকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করতেও রাজি হয়। মস্কো জানায়, চাইলে ভারত নিজেদের দেশেই যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করতে পারে। এমনকি, ভারতের কাবেরি ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা করতেও রাজি বলে জানায় মস্কো।  এখানেই শেষ নয়। চলতি মাসের গোড়ায় নিজেদের প্রস্তাবকে আরও আকর্ষণীয় করে রাশিয়া। পুতিনের দেশ জানিয়ে দেয়, তারা ভারতকে ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) ফাইটার জেটের বহুমূল্য সোর্স কোড দিতেও রাজি।

    রাশিয়ার অভাবনীয় প্রস্তাবে ঘুরেছে খেলা!

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়ার এই প্রস্তাব এক কথায় বৈপ্লবিক, অভাবনীয়। কারণ, যে কোনও যুদ্ধবিমানের কেন্দ্রে থাকে ‘সোর্স কোড’। অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য। এক কথায়, যুদ্ধবিমানের মাথার ঘিলু। রাফাল যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে খিটমিট লেগেছে ভারতের। কেউই নিজেদের যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড (Source Code) হস্তান্তর করতে দিতে চায় না। এদিকে, সোর্স কোড না পাওয়ায় রাফাল যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস সহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ইন্টিগ্রেট বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছে না ভারত। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের মেলবন্ধন ঘটাতে সোর্স কোড খুলে তাতে মডিফাই করতে হয়। অন্যদিকে, আমেরিকা ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি দেওয়া তো দূরের কথা, পূর্ণ কর্তৃত্বও দিতে রাজি নয়। অর্থাৎ, বিমানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে পেন্টাগনের হাতে। ভারত শুধু ওড়াবে। সেখানে ভারতকে তাদের স্টেলথ পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ (Sukhoi Su-57)  ফাইটার জেটের সোর্স কোড সমেত গোটা প্রযুক্তি দিতে রাজি রাশিয়া।

    প্লেটে ‘সোর্স কোড’ সাজিয়ে পেশ ভারতকে

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) সোর্স কোড দিতে রাজি হওয়াটা কোনও ভাবেই ছোট বিষয় নয়। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান ‘সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। সেই থেকে ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার এত বছর পর, সেই পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের সোর্স কোড প্লেটে সাজিয়ে ভারতকে প্রস্তাব দিচ্ছে ক্রেমলিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সোর্স কোড পেলে রুশ যুদ্ধবিমানে ‘অস্ত্র’, ‘রুদ্রম’ সহ বিভিন্ন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অতি সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ভারত। অন্তর্ভুক্ত করা যাবে দেশীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালিয়াম নাইট্রাইড-বেসড্ আয়েসা রেডার  (GaN-based AESA radar) — পোশাকী নাম বীরূপাক্ষ ও সর্বাধুনিক এভিয়োনিক্সও। ফলে, এটিও হয়ে উঠবে সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের মতো সু-৫৭ আই। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্করণ, যা বিশ্বে আর কারও কাছে থাকবে না।

    মার্কিন ‘এফ-৩৫’! নৈব নৈব চ…

    রাশিয়ার থেকে সোর্স কোড সহ অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে সুখোই সু-৫৭ (Sukhoi Su-57) কেনা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বলা বাহুল্য, রাশিয়া তাদের স্পর্শকাতর প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে ভাগ করতে রাজি হওয়ার পর থেকেই বরাতের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, আমেরিকা কখনই তাদের এফ-৩৫ বিমানের সোর্স কোড ভাগ করা তো দূরে থাক, অন্য প্রযুক্তিও ভাগ করবে না। উপরন্তু, আমেরিকা থেকে কেনা একাধিক সামরিক সরঞ্জাম হাতে পেতে দেরি হচ্ছে ভারতের। মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ২ বছর পরেও, ভারত এখনও তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের জন্য জেনারেল ইলেক্ট্রিকের থেকে এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন হাতে পায়নি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা ছিল বোয়িংয়ের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার। একটাও এখনও হাতে আসেনি ভারতের। কেন্দ্রীয় কর্তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করছে মার্কিন প্রশাসন। এই সব নিয়ে আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ ভারত। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ভারত যে ‘এফ-৩৫’ নেবে না, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত এক প্রকার ‘এফ-৩৫’-কে ইতিমধ্যই খারিজ করে দিয়েছে। এখন শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা।

  • Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। দলের নেতার প্রয়াণে বিজেপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজয় রূপানি হলেন গুজরাটের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহত হলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন বলবন্ত রায় মেহতা বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোক প্রকাশ করে বলেন, “ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। বিমান দুর্ঘটনায় দেশ হারাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিজিকে (Vijay Rupani)। তিনি সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এমনদিনে তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা।”

    রাজনাথ সিংয়ের শোকবার্তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) শোকবার্তায় লেখেন, “বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani) সর্বদা স্মরণ করা হবে। তিনি একজন ভূমিস্তরের নেতা হিসেবে সারা জীবন রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করেছেন।”

    কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন রূপানির মৃত্যুর খবর

    প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন যে দুর্ঘটনার সময় বিমানে বিজয় রূপানী (Vijay Rupani) উপস্থিত ছিলেন। গতকালই তিনি বলেন, “ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কতজন নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিজেপি নেতা বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন।”

    পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্রের শোকবার্তা

    বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র লেখেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু শুধু রাজ্যের নয়, গোটা ভারতীয় রাজনীতিতে (Ahmedabad Plane Crash) এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। মহাপ্রভু জগন্নাথ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করা শক্তি দিন।”

    বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের শোকবার্তা

    লুধিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকেও রূপানীর (Vijay Rupani) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, “বিজয় রূপানিকে তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য চিরকাল মনে রাখা হবে।” উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পাঞ্জাব বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    এবিভিপি থেকে শুরু হয় সাংগঠনিক যাত্রা

    বিজয় রূপানির সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রচারক হন। পরে তিনি জনসংঘের সদস্য হন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম দিন থেকেই সদস্যতা গ্রহণ করেন।

    পেশাগত জীবনে আইনজীবী, জরুরি অবস্থায় কারারুদ্ধ

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কারারুদ্ধ হন বলে জানা যায়। পেশাগত জীবনে বিজয় রূপানি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জীবনে প্রথম তিনি রাজকোট পুরসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    জন্ম হয় মায়ানমারে, ছিলেন মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

    বিজয় রূপানির জন্ম একটি জৈন ব্যবসায়িক পরিবারে, মায়ানমারে। ১৯৬০ সালে তাঁর পরিবার ভারতে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিজয় রূপানি দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার রাজকোট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন বিজয় রূপানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে।

    ২০১৬ সালে হন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী

    পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রাজ্যের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। পরে তাকে দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় আনন্দীবেন প্যাটেলকে। ঠিক দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে বিজয় রূপানি আনন্দীবেন প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তার নাম প্রস্তাব করে।

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি

    ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি। পুনরায় গুজরাটে সরকার গঠন করে গেরুয়া শিবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহে জুড়ে গরমের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে পক্স! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ভাবে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (Pox in Summer)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস সক্রিয় হয়। কিন্তু চলতি বছরে গরমে পক্সের বাড়বাড়ন্ত বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। তাই সতর্কতা জরুরি।

    কেন গরমে পক্সের দাপট?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে পক্সের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। কিন্তু, এই গরমেও দেখা যাচ্ছে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার রকম ফেরে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। শীতের শেষ এবং গরম শুরু, এমন মরশুমে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তন হয়। তাই পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের দাপট বাড়ে। বসন্ত ঋতুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু চলতি মরশুমে বারবার তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাচ্ছে। তার জেরেই এই রোগের দাপট বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ, প্রায় দিন পনেরো কখনও বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রা একটু কমেছে। আবার কখনও তীব্র গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। কখনও গরম থেকে বাঁচতে এসি ঘরে, আবার তারপরেই তীব্র রোদে বাইরে যাওয়া। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনে ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই এই গরমেও বাড়ছে পক্সের (Pox in Summer) দাপট। তাপমাত্রার ঘনঘন রকমফেরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাদের নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে‌। দিনের মারাত্মক গরমে শরীরের ভিতর গরম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তার ফলেই যেকোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Pox in Summer)। তবে, শিশুদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম থাকে। তাই যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চলতি মরশুমে শিশুদের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    পক্স রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পক্স রুখতে (Precautions Against Pox) শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন খাবার মেনুতে রাখা জরুরি, যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য অনেকেই প্যাকেটজাত ঠান্ডা নরম পানীয় খান। কিন্তু সেটা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। বরং, নুন এবং পাতিলেবু মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার ভিটামিন সি-র চাহিদাও পূরণ হয়।

    কার্যকর ঘরোয়া টোটকা

    মেথি, মৌরির মতো পরিচিত মশলা শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মেথি, মৌরি ভেজানো সরবত লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই সরবত খেলে হজমের গোলমাল কম হয়। গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে। পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়।
    গরম থেকে রেহাই পেতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাব খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার ডাবের জল ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। পক্সের ভোগান্তি রুখতে ও ডাব সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌
    তবে বারবার আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ (Precautions Against Pox) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ‌পাশপাশি বারবার এসি ঘর থেকে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার বারবার তারতম্য হলে পক্সের ঝুঁকি বাড়বে (Pox in Summer)!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share