Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লিভারের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ১২ জুন গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার ডে (Global Fatty Liver Day)! আর সেই উপলক্ষে দেশ জুড়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন।

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া। তার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে এর গভীর প্রভাব পড়ে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন মুশকিল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ বেড়ে যাওয়া, যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর আগেও মূলত নিয়মিত মদ্যপান করলে, তবেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। নিয়মিত মদ্যপানে আসক্ত নন, এমন বহু মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) বলা হচ্ছে। এই রোগের কবল থেকে বাদ নেই শিশুরাও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই রোগের মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র সচেতনতা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে একটি সমীক্ষা চালায়। আর তাতেই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পাওয়া যায়। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন‌। প্রায় ৬৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় (Urban Indians) নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) সমস্যায় আক্রান্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এমনকি আক্রান্তের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

    কেন প্রকোপ বাড়াচ্ছে ফ্যাটি লিভার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের এই সমস্যা দেখা যায়। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো সমস্যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাবার খাওয়া, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এই দুই সমস্যা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) অন্যতম কারণ। আর এই দুই সমস্যার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস সরাসরি ভাবে যুক্ত। অতিরিক্ত ওজন‌ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। ফ্যাটি লিভারেরও কারণ স্থুলতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। অনিয়মিত খাদ্যাভাস শরীরে প্রভাব ফেলে। আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ, যেসব খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিক দেওয়া মাংস ব্যবহার হয়, সেই ধরনের খাবার নিয়মিত খান। যার ফলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, পরিবারের কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে, পরবর্তী প্রজন্মের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি থাকে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো রোগের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করা চলবে না। তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ রুখতে শরীরের ওজন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। স্থুলতা যাতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দিনের অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা কিংবা আধ ঘণ্টা যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকি কমে। হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। আবার দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায়। ফলে, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ফ্যাটি লিভারের রুখতে ‘ওষুধ’-এর মতো কাজ করবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার রুখতেও বিশেষত নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো রোগ মোকাবিলা করবে খাবার। নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ রুখতে সাহায্য করবে। তাঁদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কম তেল মশলার সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে লিভার সুস্থ থাকে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয়। নিয়মিত ডাব, লাউ, পেঁপে, কাঁচকলা, আপেল, পালং শাকের মতো ফল এবং সব্জি খাওয়া দরকার। এতে লিভার সুস্থ থাকে। অতিরিক্ত মেদ জমে না। মাছ, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার, ঠিকমতো রান্না হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত তেল মশলা যাতে ব্যবহার না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।‌ প্রানীজ প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই প্রোটিন পায়। সেই প্রোটিন যাতে ঠিকমতো শরীরে কাজে লাগে, তাই রান্না নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চটজলদি প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি, পিৎজা, হটডগ‌, বার্গার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) মোকাবিলা সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সৌজন্য তামাম বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। এবার, আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) বা আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শীঘ্রই ভারতের হাতে আসছে আরও একটি নতুন ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার পোশকি নাম কুইক রিয়্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে ‘কিউআরস্যাম’ (QRSAM)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ৩০ হাজার কোটি টাকার কিউআরস্যাম

    ভবিষ্যতে পাকিস্তান, চিনের বিরুদ্ধে সংঘাতের মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩০,০০০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন স্বদেশীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (QRSAM) কিনতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিনস্থ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, দেশের পশ্চিম এবং উত্তর সীমান্তে মোতায়েনের জন্য দেশীয় এই নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (Air Defence System) তিনটি রেজিমেন্ট কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি যৌথভাবে উৎপাদন করবে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ভারত ডিনামিক্স লিমিটেড।

    প্রতিক্রিয়ার সময় মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড!

    যা জানা যাচ্ছে, ‘কিউআরস্যাম’-কে (QRSAM) বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেনার ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অ্যাসেটগুলিকে লক্ষ্য করে হওয়া শত্রুর ফাইটার, হেলিকপ্টার, ড্রোন, সার্ফেস-টু-সার্ফেস এবং এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল সহ আকাশপথে যে কোনও হানা প্রতিহত করার জন্যে। কিউআরস্যাম সিস্টেমটি একটি ট্রাকে চাপিয়ে সেনা কনভয়ের সঙ্গেও চলতে পারে। সিস্টেমটি কুইক রিয়্যাকশন-এর জন্যে তৈরি। অর্থাৎ, একটি টার্গেট চিহ্নিত ও লক থেকে লঞ্চ হতে সময় নেয় মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড। দিন হোক বা রাত– যে কোনও সময়ই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (Air Defence System) সমান কার্যকর। প্রতিটি লঞ্চারে ৬টি মিসাইল থাকে। একটি ব্যাটারিতে ৪টি লঞ্চার, একটি ব্যাটারি সার্ভিলেন্স রেডার, এবং ব্যাটারি মাল্টি ফাংশন রেডার আর কমান্ড সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ প্রতি ব্যাটারিতে ২৪টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, সঙ্গে রিলোড মিসাইল থাকে। ৩টি ব্যাটারি থাকে একটি রেজিমেন্টে। অর্থাৎ ২৪×৩=৭২টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল। ভারত ৩টি রেজিমেন্ট নিচ্ছে। অর্থাৎ ৭২×৩=২১৬টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, এর সঙ্গে আলাদা রিলোড মিসাইল। সেনাবাহিনীর আখেরে ১১টি কিউআরস্যাম (QRSAM) রেজিমেন্টের প্রয়োজন হবে।

    ভারতে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা (Air Defence System)

    ভারত বর্তমানে বিভিন্ন পাল্লার জন্য বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছে, যাদের সমন্বয় ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আকাশতীর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। দূরপাল্লার জন্য রয়েছে রাশিয়া থেকে কেনা ৩৮০ কিমি পাল্লার ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, যা ভারতে ‘সুদর্শন চক্র’ হিসেবে পরিচিত। মাঝারি পাল্লার জন্য রয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ৭০ কিমি পাল্লার ‘বারাক-৮’ ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া রয়েছে ২৫ কিমি পাল্লার স্বদেশীয় ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা সিস্টেম এবং ৬ কিমি পাল্লার ‘ভিশোরাড’ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রায় ৩০ কিমি পাল্লার কিউআরস্যাম (QRSAM) সিস্টেমটি স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার বিদ্যমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের (Air Defence System) আওতায় এগুলো ছাড়াও রয়েছে এল-৭০, জডইউ-২৩ এবং শিলকা বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, যেগুলি অপারেশন সিঁদুর-এর সময় নিজেদের জাত চিনিয়েছিল। এর বাইরে, ভারত বর্তমানে ‘প্রোজেক্ট কুশ’ নিয়ে গবেষণা করছে। এটি অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষা শুরু হবে। ভারতের লক্ষ্য, ২০২৯ ২০২৯ সালের মধ্যে ৩৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা।

  • Snan Yatra 2025: আজ দেবস্নান পূর্ণিমা, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    Snan Yatra 2025: আজ দেবস্নান পূর্ণিমা, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার ১১ জুন, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2025)। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাত্রা হয়। যে কারণে, এই পূর্ণিমাকে দেবস্নান পূর্ণিমা বা স্নান পূর্ণিমা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এদিন বাংলা, ওড়িশা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহাসমারোহে পালিত হয়। তবে, সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় পুরী জগন্নাথধামে (Puri Jagannath Dham)। ফলে, সারা বিশ্বের চোখ এখন পুরীতে। এছাড়া, এ রাজ্যের মাহেশেও বড় করে হয় এই উৎসব। এই দিন হল শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের জন্মতিথি। স্নানযাত্রা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র একটি উৎসব।এদিনের এই শুভ তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ বা পুণ্য কাজ সারেন। এবছর এই দেবস্নান পূর্ণিমার তিথি শুরু হয়েছে ১০ জুন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে এবং এই তিথি শেষ হচ্ছে, বুধবার দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে। তাই উদয় তিথি অনুসারে দেব স্নান পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে বুধবার।

    রথযাত্রার (Puri Jagannath Rath Yatra) ঢাকে কাঠি…

    জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2025) থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল রথযাত্রার। প্রস্তুতি-পর্ব যদিও আরও সপ্তাহ তিনেক আগে প্রভুর চন্দন-যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দীর্ঘগরমে ভক্তদের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষার আগমনে হয় স্নানযাত্রা। যা থেকেই কার্যত রথযাত্রার কাউন্টডাউন শুরু হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এদিন জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে (Snan Yatra 2025) রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসে সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানোর পালা চলে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা ত্রয়ীকে। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য৷ অনুষ্ঠানের পর গজবেশে সজ্জিত হন প্রভু জগন্নাথ। স্কন্দপুরাণ মতে, পুরীর মন্দির প্রতিষ্ঠার পর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠান প্রচলন করেন।

    জ্বর আসবে জগন্নাথদেবের…

    সাধারণত, বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ (Lord Jagannath) তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন (Snan Yatra 2025)।স্নানযাত্রার পর শুরু হয় ‘অনসর’, এই অনসর কালে জগন্নাথদেব অসুস্থতার কারণে ভক্তগণের অন্তরালে গোপন স্থানে চিকিৎসাধীন থাকেন। কথিত আছে, স্নানের পর এদিন থেকে ধুম জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। ফলে, ১৫ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এই সময়ে শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। ভক্তরা প্রভুর দর্শন করতে পারেন না। অন্তরালেই রাখা হয়ে এই তিন দেবদেবীকে। বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথদেব। চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলা হয়। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথদেব নতুন বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে দর্শন দেন। তখন জগন্নাথধামে পালিত হয় নেত্রোৎসব বা নবযৌবন উৎসব। এরপর, তিন ভাই-বোন মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন। রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা (Puri Jagannath Rath Yatra)। এই বছর আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়া অর্থাৎ রথযাত্রার তিথি শুরু হচ্ছে ২৬ জুন দুপুরে ১টা ২৫ মিনিটে, দ্বিতীয়া থাকবে পরের দিন ২৭ জুন সকাল ১১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। উদয়া তিথি অনুসারে তাই ২৭ তারিখে রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু হবে। উল্টো রথের অনুষ্ঠান হবে ৫ জুলাই।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

  • Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিঙ্ক। গত ৬ জুন টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারবে সংস্থাটি। এর পর থেকেই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা পেতে কত খরচ হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। অবশেষে, সোমবার, প্রকাশ্যে এল সেই অঙ্ক।

    সেট-আপ করলেই প্রথম মাস ফ্রি!

    সংবাদসংস্থা এএনআই-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বাড়িতে স্টারলিঙ্কের বিশেষ যন্ত্র বসাতে খরচ পড়বে ৩৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। তবে, গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলনের সংস্থা। অর্থাৎ, সেটআপ করার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিলেই প্রথম এক মাস নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয় মাস থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

    খরচ বনাম সুবিধে!

    বর্তমান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে যত খরচ করতে হয়, স্টারলিঙ্কে সেই পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এত টাকা দিয়ে ইন্টারনেট বসানো অনেকের কাছে বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ফলে, স্টারলিঙ্ক কতটা সাফল্য পাবে তা সময়ই বলবে। তবে, স্টারলিঙ্ক আশাবাদী। সংস্থার দাবি, যেহেতু তাদের পরিষেবা সরাসরি উপগ্রহ-মারফৎ হবে, তাই ইন্টারনেটের স্পিড (যা গ্রাহককূল মূল বিচার করে থাকে) অন্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। উপরন্তু, একবারে প্রত্যন্ত জায়গাতেও এই পরিষেবা অনায়াসেই মিলবে। ফলে, আখেরে লাভবান হবেন ব্যবহারকারীরাই। এক নজরে দেখে নেওয় যাক, স্টারলিঙ্ক কী এবং তা কীভাবে কাজ করে।

    স্টারলিঙ্ক কী?

    স্টারলিঙ্ক প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা নয়। এটি হল সরাসরি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ-ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। অনেকটা ডিটিএইচ (ডায়রেক্ট-টু-হোম) পরিষেবার মতো। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

    কীভাবে কাজ করবে স্টারলিঙ্ক?

    এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মোডেম বা রাউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়। উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্টারলঙ্ক ব্যবস্থায় একজন উপভোক্তা ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।

    স্টারলিঙ্কের কেন্দ্রে উপগ্রহ-পুঞ্জ

    স্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায়) প্রদক্ষিণকারী ছোট উপগ্রহের একটি সমষ্টি থেকে সরাসরি ইন্টারনেট বিম করে ফাইবার অপটিক্স এবং সেলুলার টাওয়ারের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারকারীর বাড়িতে বা অফিসে স্থাপিত একটি কমপ্যাক্ট ডিশ অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা পরে রাউটারের বা মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিলে করে। বর্তমানে, ৬ হাজারেরও বেশি উপগ্রহ ইতিমধ্যেই কক্ষপথে রয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ৪২ হাজার উপগ্রহপুঞ্জ তৈরি করা হবে। এই সম্প্রসারণের জন্য একটি রোডম্যাপও রয়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।

    ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট-ইন্টারনেট?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। স্টারলিঙ্ক মূলত ভারতের এমন সব এলাকায় পরিষেবা দিতে চায়, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইবার অপটিক কভারেজ নেই বা খুবই দুর্বল। তবে, খরচের বিষয়টাই যা বাধা হতে পারে। কারণ, ভারত যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের দেশ, তা কারও অজানা নয়। ফলে, স্টারলিঙ্ক নিলে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যদিও, স্টারলিঙ্কের ভরসা হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা।

    কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?

    লাইসেন্স হাতে পেলেও স্টারলিঙ্কের পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এখনও স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশের অনুমোদন পায়নি। এটি অনুমোদিত হলেই পূর্ণমাত্রায় পরিষেবা চালু করতে পারবে স্টারলিঙ্ক। ফলে, পরিষেবা চালু হতে হতে আরও এক বছর লাগতে পারে। ইতিমধ্যে, এশিয়ার একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা—জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভুটান ও বাংলাদেশ। সেখানে মাসিক খরচ ২,৬০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

    স্টারলিঙ্কের প্রতিযোগী কারা?

    এই ময়দানে স্টারলিঙ্কের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল রিলায়েন্স জিও স্যাটেলাইট এবং ভারতী এয়ারটেল-এর ওয়ানওয়েব। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে এই দুই সংস্থাকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এই তিন সংস্থা নিজেদের পরিষেবা শুরু করলেও, একে অপরের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে। এর জন্য গতমাসে ভারতের টেলিকম অপারেটর সংস্থা রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে এই দুই সংস্থার ইতিমধ্যেই বিপুল বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই দুই সংস্থার অনলাইন ও অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে এবার থেকে স্টারলিঙ্ক ইকুইপমেন্ট বিক্রি করতে পারবে। উল্টোদিকে, এয়ারটেল পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়। রিলায়েন্স জিও সংস্থা তার ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে এই স্টারলিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের দুর্বলতা

    খরচ ছাড়াও স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের বেশ কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে, তা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট স্পিডকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলত, গতি কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইট নির্ভর, তাই পরিষ্কার আকাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। এদেশে, প্রায়ই ঝড়-জল-বৃষ্টি-মেঘ থাকে। তেমন হলে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডিশের যোগাযোগে বিঘ্ন হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ডিটিএইচ-এর ক্ষেত্রে। তৃতীয়ত, ডিশ চৌম্বকীয় হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    Vat Purnima Vrat 2025: আজ বট পূর্ণিমা, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় বিবাহিতারা করেন এই ব্রতপালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বটবৃক্ষের (Banyan Tree) অপার মহিমা বলা হয়েছে। এই গাছ ত্রিমূর্তি, বাকলের মধ্যে বিষ্ণু, মূলে ব্রহ্মা এবং শাখায় শিবের প্রতীক। এই গাছটি দীর্ঘকাল নবায়নযোগ্য থাকে, তাই একে ‘অক্ষয়বত’ও বলা হয়। সৌভাগ্যবতীর বর পাওয়ার পাশাপাশি এই বটগাছটি স্বাস্থ্যের জন্যও পুজো করা হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫ (Vat Purnima Vrat 2025) তিথি ও পুজোর সময়

    আজ, মঙ্গলবার ১০ জুন, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে বট পূর্ণিমা ব্রত। এদিন পূর্ণিমা (Vat Purnima) তিথি সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১১ জুন (বুধবার) দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১০ জুন উপবাস পালন করা হবে এবং ১১ জুন স্নান এবং দান করা হবে। উপবাসের দিনে পুজোর শুভ সময়: বট পুজো মুহূর্ত: সকাল ৮টা ৫২ মিনিট থেকে দুপুর ২টো ০৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নান ও দানের সময়: ভোর ৪টে ০২ মিনিট থেকে ৪টে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) তাৎপর্য

    এই উৎসবটি বিশেষ করে উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাটে ভক্তির সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা ষোলটি সাজের পর বটবৃক্ষের পুজো করেন। হিন্দু মতে, স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিবাহিত মহিলারা বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat) পালন করে থাকেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বহু ব্রত পালেনর উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে এই ব্রত অন্যতম। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমায় এই ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পালন করা হয়। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপবাস রাখার নিয়ম রয়েছে এবং পূর্ণিমা তিথিতেই চাঁদের পুজো করা হয়। যে মহিলা ৭ বার বটবৃক্ষ প্রদক্ষিণ করে মৌলি বাঁধেন, তিনি ৭ জন্মের পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। এই দিনে বিবাহিত মহিলাদের শৃঙ্গারের জিনিসপত্র দান করলেও পুণ্য ফল লাভ হয়।

    বট পূর্ণিমা ব্রতর (Vat Purnima Vrat 2025) পৌরাণিক আখ্যান

    হিন্দু পুরাণ যেমন ভবিষ্যপুরাণ, স্কন্দপুরাণ এবং মহাভারতে বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নরকের অধিপতি যম যখন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে যমকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু অপারগ যম সাবিত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, কঠিন ব্রত ও উপবাসের মধ্যে দিয়ে স্বামীর প্রতি নিষ্ঠা পরিবেশন করলে তিনি সত্যবানের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। সাবিত্রীর ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সত্যবানকে সঙ্গে না নিয়ে ফিরে যান মৃত্যুর দেবতা যম। এই দিন, মহিলারা বটবৃক্ষ গাছকে (Banyan Tree) উপাসনা করেন। তার কারণ হিন্দু মতে, বটবৃক্ষ আদতে ত্রিমূর্তি-ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের প্রতীক। তাই সারাদিন উপবাস রেখে বটবৃক্ষকে পুজো করে স্বামীর জীবনরক্ষার জন্য ব্রত পালন করে থাকেন মহিলারা।

    বট পূর্ণিমা ব্রত (Vat Purnima Vrat 2025) পুজো বিধি

    – সূর্যোদয়ের আগে মহিলারা জলের মধ্যে তিল ও আমলা দিয়ে স্নান সেরে নতুন পোশাক, চুরি, টিপ, সিঁদুর পরেন।

    – এইদিন মহিলারা উপবাস রাখেন। খাবার হিসেবে ফলের শিকড়, সবজির মূল খেয়ে থাকেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima) দিন বটগাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে বট গাছ না পাওয়া যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে বটগাছের একটি ডালকেও পুজো করা হয়ে থাকে। যদি তাও না পাওয়া যায় তাহলে একটি কাঠের প্রতিকৃতিতে হলুদ ও চন্দন দিয়ে সাজিয়ে পুজো করার নিয়ম রয়েছে।

    -পুজোর সময় জল, ফুল, চাল, ছোলা বীজ, সুতো এবং বাড়িতে তৈরি বিশেষ খাবার বটগাছের তলায় রেখে দেবতাদের অর্পণ করা হয়।

    – মহিলারা এদিন বটগাছে চারপাশে ৭ বার হলুদ ও লাল সুতো দিয়ে জড়িয়ে পরিক্রমা করেন।

    – বট পূর্ণিমার (Vat Purnima Vrat 2025) দিন সাবিত্রী সত্যবানের ব্রতকথা পাঠ করেন বিবাহিত মহিলারা।

    – এই দিন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কিছু খাবার, টাকা-পয়সা, বস্ত্র দুঃস্থদের দান করা হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ৩

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বার বার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে। সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়েছে। বেছে বেছে হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। তছনচ করে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। গত মে মাসেও সেই ধারা অব্যহত।

    জমি দখল ও হিন্দুদের উপর আক্রমণ

    গত ১৬ মে বাংলাদেশের (Bangladeshi Hindus) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পশ্চিম আশ্বথলা গ্রামে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হিন্দু পরিবারের চা দোকান ও পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, নজরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া আখতার ওই পরিবারের জমি দখলের জন্য হুমকি দেয়। বাধা দিলে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ধর্মীয় অবমাননা ও গ্রেফতার

    গত ১৭ মে মৌলবী বাজারের বাসিন্দা বিকাশ ধর দীপ্ত নামে ২৩ বছর বয়সি এক যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফেসবুকে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ, বরিশালের বাসিন্দা সৌরভ দত্ত নামে ২৪ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই যুবকের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ওই দিনই ফিরোজপুরে কৌশিক সাহা নামে ১৭ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    মন্দিরে আক্রমণ ও ক্ষতি

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জে শ্রী শ্রী মা কালী দুর্গা মন্দিরের জানালার পর্দা পুড়িয়ে দেয় একদল অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতী। দানবাক্সে থাকা ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা চুরি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার  তদন্ত শুরু করছে। খুলনায় প্রাক্তন মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানি দাসের বাড়িতে গত ১৭ মে ৩০০-৪০০ জনের একটি দল হামলা চালায়। পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। ডেইলি অবজারভারে প্রকাশিত খবরে, জানা যায়, বিরামপুরে ১৮ মে মোস্তফিজুর রহমান নামে এক স্থানীয় নেতা একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে দেওয়াল নির্মাণ করে তাদের বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি। সোনার দেশের খবর অনুযায়ী, নাটোরে ১৮ মে কাপুরিয়াপাড়ি এলাকায় শতবর্ষী শিব মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ওই মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের বাসভবনও দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মন্দির ও পরিবারের সম্পত্তি রক্ষা করে।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ফরিদগঞ্জের চাঁদপুর গত ১৮ মে শ্রী গুরু জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বজিৎ দাসের দোকানে চুরি হয়। চোরেরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। সোনা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে যায়। পুলিশ দোষীদের খুঁজছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ মে বাওম সম্প্রদায়ের সদস্য লাল ত্লেং কিম বাওমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। তারা বাওম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের মুক্তি ও বিচারের দাবি জানান। বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) প্রতিদিন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও, বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। হবিগঞ্জে ২১ মে বুল্লা ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এই চেষ্টা রুখে দেয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পুলিশ তদন্ত করছে। ২১ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে ইজি ফ্যাশনের তিন মালিক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

     

    (চলবে)

  • Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    Birsa Munda Death Anniversary: আজ ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’র ১২৫তম তিরোধান দিবস, দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পুণ্যতিথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৯ জুন বিরসা মুন্ডার তিরোধান দিবস (Birsa Munda Death Anniversary)। প্রতিবছর এই দিনটিকে বিরসা মুন্ডা পুণ্যতিথি (Birsa Munda Punyatithi 2025) হিসেবে উদযাপন করা হয় দেশে। ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন বিরসা মুন্ডা। তিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার, সংস্কৃতি এবং ভূমি রক্ষায়, বিশেষ করে বর্তমান ঝাড়খণ্ডে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ১৮৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা, মুখস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত

    ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর এক গরীব পরিবারে জন্ম হয় বিরসা মুন্ডার। পার্থিব জীবন মাত্র ২৫ বছরের ছিল (Birsa Munda Death Anniversary)। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে রয়েছেন শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে। জীবিত অবস্থাতেই তিনি ‘ভগবান বিরসা মুন্ডা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে তিনি আসীন। ভারতের জনজাতি এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু রয়েছে। ছোট্ট প্রত্যন্ত গ্রামে বিরসা মুন্ডাকে খ্রিস্টান ধর্মের উপাসনা করার জন্য জোর করা হলে, তিনি গ্রামের খ্রিস্টান স্কুল ত্যাগ করেন। বিরসা মুন্ডা হিন্দুধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নিজগৃহের বিভিন্ন দেবতার প্রতি তাঁর পরম ভক্তি ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে দীক্ষা নেন। খাদ্যাভাসে ছিলেন নিরামিষাশী। কণ্ঠস্থ ছিল রামায়ণ-মহাভারত।

    অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনাবাহিনী গঠন

    ১৮৯৪ সালে ভয়াবহ খরা দেখা দিল। নির্দয় ব্রিটিশ সরকার তবুও কর সংগ্রহ করছিল সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। ওই বছরেই ব্রিটিশ সরকার অরণ্য আইন বলবৎ করে। অরণ্যের উপর জনজাতিদের অধিকার খর্ব হয়। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন তরুণ বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)। স্থানীয় মানুষজনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন। ১৮৯৫ সালেই ‘কর মুক্ত’ আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। দুই বছর জেলে থাকার পরে ১৮৯৭ সালে তিনি মুক্তি পান। পুনরায় শুরু হয় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক আন্দোলন। ছোটনাগপুরে শুরু হয় তীর ধনুক নিয়ে আন্দোলন।

    ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    ১৮৯৮ সালে টাঙ্গা নদীর তীরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজিত করতে সমর্থ হন তিনি। যুদ্ধজয়ের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব শত শত মানুষ ভোগ করেছে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। এত নির্যাতনের পরেও থামেনি মানুষের সংগ্রাম।’’ ১৯০০ সালে ডোবাড়ি পাহাড়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সংঘর্ষে অনেক নারী ও শিশু নিহত হন (Birsa Munda Punyatithi 2025)। বিরসা মুন্ডাকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্রিটিশ সরকার। নিরস্ত্র বিরসাকে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। কথিত আছে, কারাগারে থাকাকালীন খাবারে বিষ মিশিয়ে বিরসা মুন্ডাকে হত্যা করা হয়‌। ১৯০০ সালের ৯ জুন স্বর্গযাত্রা করেন ভগবান বিরসা মুন্ডা (Birsa Munda Death Anniversary)।

LinkedIn
Share