Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas 2025)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কার্গিল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বিজয়’ এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে হটিয়ে কার্গিল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল। প্রতি বছর এই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ (1999 India Pakistan War) জয়। এবছর কার্গিল জয়ের ২৬তম বর্ষপূর্তি পালন করছে দেশ।

    ২৬ জুলাই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কার্গিল বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের বীর সেনার বলিদান স্মরণ করার দিন (India Salutes War Heroes)।

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’ (Operation Vijay)। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

    লাহোর ঘোষণাপত্রে সই সত্ত্বেও শান্তি স্থায়ী হয়নি

    কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

    অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও

    ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

    আমেরিকার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান

    কার্গিলের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

    ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন এই যুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

    কীভাবে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস

    কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

  • PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। টানা প্রধানমন্ত্রী থাকার হিসেবে ভাঙলেন ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড (Indira Gandhi)। তিনিই হলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা ১১ বছর ২ মাস ধরে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। তাঁর সামনে বর্তমানে রয়েছেন কেবল জওহরলাল নেহরু। এর আগে পর্যন্ত একটানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর কন্যা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্র। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬ বছর ২৮৬ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে আসেন। ২৫ জুলাই, ২০২৫-এ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১১ বছর ৬০ দিন পূর্ণ হল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল, কারণ ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও একক রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জনতা পার্টি—দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছিল।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, তিন তালাক প্রথার অবসান, রাম মন্দির নির্মাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা বা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও ঘটনার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’—সবই ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত (Indira Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সরকারের মূলনীতি —“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”।

  • Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হবে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে, নিবিড় সমীক্ষা বা SIR রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে (SIR) এবং বহু ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে (Election Commission)।

    বিএলওদের ভাতা দ্বিগুণ করল কমিশন

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন।  দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, নবীন ভোটার যুক্তকরণ এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনার জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার বিএলও, সুপারভাইজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতেই এই আর্থিক সংস্কার।

    বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কার্ড সংশোধনের হিড়িক

    বিহারে SIR-এর সময় দেখা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট সংখ্যা ৫২ লাখ বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছে এমন বহু ভোটার, যাঁরা এখন আর বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা নন কিংবা যাঁদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে—এদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারের তালিকা সংশোধনের আবহে পশ্চিমবঙ্গে গত এক সপ্তাহে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Election Commission) জন্য আবেদন করেছেন। কেউ নাম সংশোধনের জন্য, কেউ ঠিকানা বদলের জন্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই আবেদন বেশি।

    বিরোধীদের আপত্তি, কমিশনের জবাব (Election Commission)

    বিহারে নিবিড় সমীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের প্রশ্ন ছিল—এটার দরকার কী ছিল? এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত ভোটার অথবা বিদেশি নাগরিকদের কোন যুক্তিতে ভোটার তালিকায় রাখা যেতে পারে? SIR বা নিবিড় সমীক্ষা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।” এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনকে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে— মুখ্যমন্ত্রী কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন? নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কেন তিনি সরব হচ্ছেন (Election Commission)? বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন, রাজ্যে কত ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই নামগুলি কাটা গেলে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই কমে যাবে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল?

  • West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে, রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি। যার জেরে জলমগ্ন কলকাতা তো বটেই বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ভেজা জল জমে, আবার কোথাও হাঁটু সমান। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। এমনকি, শুক্রবারও নিস্তার নেই বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টির তেজ কমলেও আকাশ মেঘলা। আগামী কয়েকদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rainfall Alert) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও শহরতলিতেও।

    কোথায় দাঁড়িয়ে নিম্নচাপ?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়ায় নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গের সব জায়গায় (West Bengal Weather Update)৷ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে ১৭০ কিমি দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ১৫০ কিমি। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও পশ্চিম-উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে সরবে৷ যার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূলের দিকে। তারপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এদিন দুপুরে বাংলা হয়েই স্থলভাগে ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরবে নিম্নচাপটি। সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    এর প্রভাবে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওায়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় চরম ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও ৪ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather Update)। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও অঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। রবিবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (West Bengal Weather Update)। সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে।

    কী পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে?

    দক্ষিণের পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। বাকি জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। শুধু বাঁকুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন বজ্রাঘাতে। শুক্রবারও, একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে থাকার আবেদন জানানো হয়।

  • SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষা (SSC Recruitment)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। একইসঙ্গে পরীক্ষার দিনক্ষণ ও সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, একদিন নবম-দশম ও আর একদিন একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা হবে। ৭ তারিখে নবম-দশম ও ১৪ তারিখে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হবে। ওই দু’দিনই দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা চলবে। দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। পরীক্ষার বাকি নিয়ম পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসএসসি-র নতুন (SSC Recruitment) বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ১৪ জুলাই আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল। সেটাই এবার বেড়ে হয় ২১ জুলাই। কমিশন জানিয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ–দ্বাদশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য মোট ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। মোট আবেদনকারীর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থী, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৬ নিয়োগের তুলনায় ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবারের নিয়োগে।

    পরীক্ষার (SSC Recruitment) প্রশ্নপত্র কেমন হবে? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা মাল্টি চয়েস কোয়েশ্চেন বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। মোট ৬০টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১ নম্বর। তবে কোনওরকম নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যাপার থাকবে না। অর্থাৎ যতগুলি প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেবেন, তত নম্বরই পাবেন। আর কোনও যোগ-বিয়োগের ব্যাপার থাকবে না। তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য কবে থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আপাতত কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, লিখিত পরীক্ষার (SSC Recruitment) দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ফল প্রকাশ করা হতে পারে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে নাকি বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চলছে। এমনই মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে শাসক নেতাদের। বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাফ বললেন, ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সামনে ভোট, তাই তৃণমূল এটাকে ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে।’’ অন্যদিকে ভোটার তালিকা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর দাবি, ‘‘ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।’’

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    বিজেপি নেতার (Mithun Chakraborty) বক্তব্য, ‘‘কোথাও কোনও বাঙালির ওপর অত্যাচার বা কোনও সত্যিকারের নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে তাঁদেরই বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন।’’ তৃণমূলের আক্রমণের সামনে যাতে মাথা নত না করে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কমিশনকে যোগ্য সাহায্য করতে বাংলার সমস্ত নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’এজন্য বৃহস্পতিবার নিজের দুটি ফোন নম্বরও দিতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি এদিন তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিন রাজ্যে কোথাও কোনও রকমভাবে বাঙালিকে হেনস্থা করা হচ্ছে না। যে দল বলছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের দল না, সেই দল আদৌ বাংলার দল তো? নাকি অন্য কোন দেশের দল?’’

    বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন নিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    প্রসঙ্গত, বিহারে চালু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR। এখানেই দেখা গেছে, ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়ে গেছেন। এমনকি অনেক মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, এবং কারও কারও নাম দুই জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরাও বিহারের ভোটার তালিকায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে দেখা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তিনি তৃণমূল ও মমতা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি নেতা মিঠুন বলেন, ‘‘যারা বেছে বেছে এখানে এসেছেন, তাদের বেছে বেছে ফেলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশি সমস্যা, তাই এত চেঁচামেচি হচ্ছে। ওরা জানে, যদি বেছে বেছে যাদের তোলা দরকার, তাদের তোলা হয়—তাহলে এই সরকার ৭০টা আসনও পাবে না।’’

    মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    তৃণমূলকে (Tmc) হুঁশিয়ারি দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে যা ঘটে গেছে তেমন ঘটনা আর ঘটলে আমরা আর চুপ করে থাকব না। ২৬-এর বিধান সভা ভোটে তৃণমূলের বিসর্জন অনিবার্য।’’ নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এদিন তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগকে নস্যাৎ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘বেছে বেছে ইলেকশন কমিশন কেন নাম বাদ দেবে? তাদেরই বেছে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেছে বেছে এদেশে অবৈধভাবে এসেছেন। বাংলায় এরকম ঘটনা অনেক বেশি, তাই তৃণমূল চেঁচামেচি করছে।’’

    তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’

    বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’ বলেও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছি, যেখানে বেশিরভাগই বাঙালি পরিযায়ী। তবে সেখানে কোনও বাংলাদেশি নেই। যদি বাংলাদেশি কেউ থাকেন তাঁকে অবশ্যই বাংলাদেশি বলেই চিহ্নিত করা হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপের রয়েছে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, মুর্শিদাবাদ হিংসায় রাজ্যজুড়ে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেই যাচ্ছে শাসক দলের। এই আবহে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা একেবারেই নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে সামনে বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে, রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ‘বাইরের রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতন’ বলে একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব সামনে এনে প্রচার চালাতে শুরু করেছে তৃণমূল, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    অনেকেই বলছেন, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার—এই মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে তৃণমূল, যাতে রাজ্যের প্রকৃত দুরবস্থা ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবচিত্র অন্য কথা বলছে। কোথাও কোনও বাঙালি নির্যাতিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘ব্যাকফুটে’ এবং রাজনৈতিকভাবে সেই অবস্থান থেকে বেরোতে নানা কৌশল নিচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হল—বাঙালিদের সঙ্গে ‘বৈষম্য’র মিথ্যা তত্ত্ব।

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাক্ষরিত হল ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল এ বার তা বাস্তবায়িত হল লন্ডনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হয়েছিল। এবার মোদির সফরের সময়েই তা বাস্তব রূপ পেল। চুক্তি স্বাক্ষরের পর, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫’ নামে একটি নতুন কৌশলগত রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা আগামী দিনে ভারত-ব্রিটেন অংশীদারিত্বের দিকনির্দেশ ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন

    ভারতের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই চুক্তিকে ভারত ও ব্রিটেনের ‘যৌথ উন্নয়নের নীলনকশা’ হিসেবে অভিহিত করেন। চুক্তির আওতায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    চুক্তির ফলে কী লাভ হবে

    এই চুক্তির ফলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য ব্রিটেনের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই চুক্তির ফলে ভারতের তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।

    ব্রিটেনে কাজের সুযোগ বাড়বে

    চুক্তি অনুযায়ী, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডাল ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন ভারতের মৎস্যজীবীরাও—চিংড়ি, টুনা-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য এখন ব্রিটেনে শুল্কছাড়াই রফতানি করা যাবে। চুক্তির আওতায় শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনেরও কিছু পণ্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। আইটি, আইন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ইত্যাদি পেশাজীবীরা সহজেই ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এই চুক্তির মাধ্যমে।

    কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ আমাদের দুই দেশ একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    কী বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    এই ঐতিহাসিক চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।”

    ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে

    ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। এর ফলে ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য সফট ড্রিংকস, প্রসাধনী, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো পণ্য ভারতে রফতানি করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লাভবান হবেন হুইস্কি নির্মাতারা। আগে যে হুইস্কির ওপর ভারতীয় শুল্ক ছিল ১৫০ শতাংশ, তা প্রথম ধাপে কমে ৭৫ শতাংশে নামবে, এবং আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এর ফলে ব্রিটেনের জন্য ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

LinkedIn
Share