Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই প্রেক্ষাপটে, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, “কেউ কেউ নিজেকে সকলের বস ভাবেন এবং তাঁরা ভারতের উত্থান মেনে নিতে পারেন না।”একইসঙ্গে রাজনাথ সিং অভিযোগ করেন, “ভারতীয় পণ্য বিদেশে যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য একাংশ মানুষ  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

    কী বললেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)?

    রবিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ভারতের দ্রুত উন্নতি দেখে খুশি হতে পারছেন না। তাঁরা এটি পছন্দ করছেন না। (তাঁরা ভাবেন), সকলের ‘বস্‌’ তো আমি, তা হলে ভারত কী ভাবে এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে? অনেকেই চেষ্টা করছেন যাতে, ভারতীয়দের হাতে তৈরি জিনিস সেই সব দেশের তৈরি জিনিসপত্রের চেয়ে বেশি দামি হয়ে যায়। ওই জিনিসগুলির দাম বেড়ে গেলে, সেগুলি আর বিশ্ববাসী কিনতে চাইবেন না। এই চেষ্টাই চলছে। কিন্তু আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, কেউই ভারতকে বিশ্বের একটি বড় শক্তি হয়ে ওঠা থেকে আটকাতে পারবে না।” রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, “আপনারা জেনে খুশি হবেন, প্রতিরক্ষা খাতে এখন আমরা ২৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করছি। এটা ভারতের শক্তি, এটা ভারতের নতুন প্রতিরক্ষা খাত। এবং এর রফতানি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    অর্থনীতিতে এগোচ্ছে দেশ, মন্তব্য মোদির

    একই দিনে বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উত্থান নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই গতি এসেছে আমাদের কাছে সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের ভাবনা থেকে। আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং সৎ প্রচেষ্টা থেকে এই গতি এসেছে।”

    দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েই ট্রাম্প সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ভারতের দেওয়া টাকাই ইউক্রেন যুদ্ধ চালানোর কাজে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তিনি ভারত এবং রাশিয়া—দুই দেশের অর্থনীতিকেই ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। এই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ট্রাম্প (Donald Trump) যে দাবি করেছেন তা “অন্যায্য ও অযৌক্তিক”। বিদেশ মন্ত্রক আরও জানায়, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, প্যালাডিয়াম এবং অন্যান্য রাসায়নিক কিনে থাকে।

  • Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় ঘটে গেল একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে, একটি দ্রুতগামী এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন দু’জন (Delhi)। ১০ অগাস্ট রবিবার সকালে হওয়া এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। রিপোর্ট বলছে যে, ওই মৃতদেহটি অনেকক্ষণ ধরেই সেখানে পড়েছিল, যতক্ষণ না তা সরানো হয়। এর পাশাপাশি, ওই গাড়িটি থেকে খালি মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। দুর্ঘটনার পরেই ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, গাড়িচালকের বয়স ২৬ বছর। ইতিমধ্যে চালক সহ গাড়ি আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া চালকের নাম আশিস। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ১১ মূর্তি রোড, দিল্লির চাণক্যপুরীর এই এলাকা যথেষ্ট অভিজাত এবং হাই-প্রোফাইল এলাকা বলেই পরিচিত।

    গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের বলে জানিয়েছে পুলিশ (Chanakyapuri)

    বিকট শব্দ শুনে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে। চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন, অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের। চালককে আটক করা হয়েছে এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ও ফরেনসিক টিম এসে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Chanakyapuri)।

    গত বছরের তুলনায় দিল্লিতে কমেছে দুর্ঘটনা (Delhi)

    এদিকে দিল্লি পুলিশের (Delhi) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে রাজধানীতে ঘটেছে ২,২৩৫টিরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন মোট ২,১৮৭ জন। এর মধ্যে ৫৫৬টি দুর্ঘটনা ছিল অতিশয় ভয়াবহ, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৭ জন। শুধু মার্চ মাসেই ঘটেছে ১৩৭টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তবে পুলিশ দাবি করেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের একই সময়কালে দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল ১৩.৪ শতাংশ বেশি।

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ভারতীয় বিমানগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করায়, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তানি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত দুই মাসে এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১,২৪০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই আর্থিক ক্ষতির কথা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংসদে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের সংসদে তিনি এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন

    ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ এপ্রিল ভারত ‘সিন্ধু জল চুক্তি’ স্থগিত করে, আর তার পরদিন, ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় (Indian Flights)। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই পরে “বুমেরাং” হয়ে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের জন্য। কারণ, এতে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    কী বলছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    পাকিস্তানি (Pakistan) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় ১০০ থেকে ১৫০টি বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকাশসীমা বন্ধ থাকায় একটিও যেতে পারেনি, যার ফলে এই বিপুল লোকসান হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা অর্থনৈতিক লাভের চেয়েও অনেক বড় বিষয়।

    পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের প্রকাশিত ডেটা

    তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করত। অথচ ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতি দিনে। অর্থাৎ, কয়েক বছরে পাকিস্তানের বিমান চলাচল সংক্রান্ত রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে পাকিস্তানের জন্য এক বিপুল আর্থিক ধাক্কা হয়ে এসেছে, তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আকাশসীমা বন্ধ করাটা স্বার্থরক্ষার বার্তা দিলেও, আর্থিক দিক থেকে তা পাকিস্তানের জন্য একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই বিশ্লেষকদের মত।

  • Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুরে (Operaton Sindoor) আমরা যেন দাবা খেলছিলাম, কারণ আমরা জানতাম না শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে,”—এমনটাই বললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার তিনি উপস্থিত ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনীর নতুন গবেষণা প্রকল্প ‘অগ্নি’-এর উদ্বোধন করেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্যগুলি করেন।

    কী বললেন সেনাপ্রধান (Operaton Sindoor)?

    তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর (Operaton Sindoor) একটি ধূসর যুদ্ধ। অর্থাৎ, এটি কোনো প্রথাগত সামরিক অভিযান ছিল না। ঠিক দাবা খেলার মতো, কখনও কখনও আমরা শত্রুকে ‘চেকমেট’ দিচ্ছিলাম, আবার অনেক সময় আমাদেরও মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এটাই জীবন।”

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশ

    অপারেশন (Operaton Sindoor) নিয়ে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “২২ এপ্রিল, পেহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছিল, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল, আমরা সবাই একসঙ্গে বসি। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে।’ তিন বাহিনীর প্রধানরাও বুঝে যান, এবার বড় কিছু হতে চলেছে। এরপর সরকার আমাদের সম্পূর্ণ ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়—নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস, স্পষ্ট দিশা ও স্বচ্ছতা—যা আমরা প্রথমবারের মতো অনুভব করি।”

    ২৯ এপ্রিল বৈঠক করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi)বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা নর্দান কমান্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে আমরা পরিকল্পনা করি এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিই কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি আমাদের লক্ষ্য হবে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির মধ্যে সাতটি আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম এবং অসংখ্য জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২৯ এপ্রিল আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করি। সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। কীভাবে একটি ছোট্ট নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operaton Sindoor)—সারা দেশকে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছিল, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।”

  • ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইসরো (ISRO) ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম কঠিন জ্বালানির রকেট কালাম-১২০০ এর (KALAM 1200) সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা করতে পেরেছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই  স্ট্যাটিক পরীক্ষা, সম্পন্ন হয়েছে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কালাম-১২০০ যে ইঞ্জিন, তা ১১ মিটার লম্বা এবং এটি ৩০ টন কঠিন প্রোপেলান্ট বহন করতে সক্ষম।  ইসরো এটিকে একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করেছে এবং নিজেদের এক্স (X) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, স্কাইরুট এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা বিক্রম-অ্যাক্স ভেহিকল এর প্রথম পর্যায়ে কালাম-১২০০ সলিড মোটরের সকল স্ট্যাটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হল, যা একটি বড় মাইলফলক।

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের নামেই এই ইঞ্জিন (ISRO)

    দেশের রকেট প্রযুক্তি গবেষণা, যুদ্ধবিমান নির্মাণ ও পরমাণু পরীক্ষায় অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও, শ্রীহরিকোটা উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নামকরণও করেছে আবদুল কালামের নামে। এবার একটি কঠিন জ্বালানি চালিত রকেট ইঞ্জিন তৈরি করে তার সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষাও করল ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা (KALAM 1200)।

    ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি স্টার্টআপ সংস্থা, তার নাম স্কাইরুট এ্যারোস্পেস। তারাই সম্প্রতি সফলভাবে তৈরি করেছে কালাম-১২০০ নামের ওই রকেট ইঞ্জিনটি। চলতি বছরের শেষে এই স্কাইরুট এ্যারোস্পেস তাদের এই নতুন রকেট বিক্রম-১ কে মহাকাশে পাঠাতে পারে বলে খবর, এবং তাতেই ব্যবহৃত হবে আবদুল কালামের নামে নামাঙ্কিত এই ইঞ্জিনটি (ISRO)। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস — এরও নির্মাতা ছিল স্কাইরুট এ্যারোস্পেস (২০২২ সালের নভেম্বর)। প্রসঙ্গত, ১ দশক আগেই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার (ISRO) নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACe)।

  • Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন “রুদ্রাস্ত্র”-এর (Rudrastra)। ৪.৫ কিলোমিটার (সাড়ে চার কিলোমিটার) দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ৩৫৪টি বগি এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, যা এই বিশাল মালবাহী ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে চলে। উত্তরপ্রদেশের গঞ্জ খোয়াজা স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গড়ুয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘণ্টা, যার গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ ট্রেন চালুর (Indian Railways) ফলে রেলের সময় ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ভিডিও পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)

    এই রেকর্ডগড়া ট্রেনের ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “রুদ্রাস্ত্র” — ভারতের দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Rudrastra)।

    বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে

    যদিও “রুদ্রাস্ত্র” ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Indian Railways), তবে বিশ্ব রেকর্ড এখনও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ কোম্পানি BHP-এর দখলে। সেই ট্রেনটির দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ রুদ্রাস্ত্রের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেশি। BHP-র ট্রেনটিতে রয়েছে ৬৮২টি ওয়াগন — যা রুদ্রাস্ত্রের তুলনায় প্রায় ৩২৮টি বেশি।

    রূদ্রাস্ত্র কেন বিশেষ, কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রুদ্রাস্ত্র (Indian Railways) আমাদের ভবিষ্যতের রেল লজিস্টিকস নীতির রূপরেখা দিচ্ছে। পরিবহন খরচ কমানো, সময় বাঁচানো এবং অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।” এই ধরনের দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন ভবিষ্যতে ভারতে আরও চালু হলে, সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমবে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে “রুদ্রাস্ত্র” প্রকল্পকে শুধুমাত্র একটি ট্রেন পরিচালনার ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং একে দেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছে।

  • Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে সালিশি আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে ৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত যে বিষয়টি রয়েছে, তা কলকাতা হাই কোর্টেই শুনবে। চলতি মাসেই, আগামী ১২ অগাস্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে, সিঙ্গুর সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় সালিশি আদালত

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানা না হওয়ার জন্য ৩ সদস্যের একটি সালিশি আদালত টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ — অর্থাৎ প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩ সদস্যের এই আদালত ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সালিশি আদালতের সেই নির্দেশ সামনে আসতেই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি বিবৃতি দিয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। সেই বিবৃতিতে তারা বলেছিল, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের সালিশি আদালতে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মত ভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছে।”

    পর্যবেক্ষণে কী জানিয়েছিল হাইকোর্ট?

    পরবর্তীকালে এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার এবং সেই মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, সালিশি আদালতের সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস শ্রীপুরকর আসলে টাটা মোটরসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাজ্যের আরও দাবি ছিল, সালিশি আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া আসলে পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। কিন্তু গত ১৯ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন (Singur Tata Case)। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছে রাজ্য সরকার, আসলে তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। এরপরে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা খারিজও করে দেন তারা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টেই হবে।

    ২০০৬ সালে টাটাকে জমি দেয় রাজ্য সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেক্ষেত্রে টাটাকে এক হাজার একর জমি দেওয়া হয় (Singur Tata Case)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা করতে পারেনি টাটা। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই জমি টাটার কাছে ফেরত চায় তারা। টাটা গোষ্ঠী জমি ফেরাতে রাজি হয়। জমির দামের সঙ্গে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল টাটা, তাও যোগ করা হয়। কিন্তু টাটার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মমতা সরকার। তারপরেই লড়াই শুরু হয় আদালতে।

    ২০২৩ সালে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    ২০২৩ সালে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ও টাটা মোটরসের মধ্যে মামলায় সমস্যা মেটাতে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলে রাজ্য। পরে হাইকোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে টাটার তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সওয়াল-জবাব

    কপিল সিব্বল জানান যে, আর্বিট্রেটরের এক বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁকে নাকি টাটাদের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে। তীব্র আপত্তি জানান মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কিভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা যায়? এর পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানান যে এই মামলা খারিজ করে রাজ্যকে জরিমানা করা হোক। রাজ্যকে বড় জরিমানা করার দাবি ও করেন তিনি। এরপরই শীর্ষ আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায়, যদি কোনও ভাবে বোঝা যায় যে এই দাবি অনায্য, তবে রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হবে। মুকুল রোহতগি বলেন, সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। রাজ্যকে বড় জরিমানা হোক। এরপরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাদের হাতে তুলে দিতেই হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

  • Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় লোকসভা আসনে ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভুয়ো নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন যে, তালিকাভুক্ত ৮০ জন বাসিন্দা কখনও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তারা শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক, এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ওই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গ্রাউন্ড জিরো তদন্তেই উঠে এসেছে এই রিপোর্ট। সেখানেই রাহুলের দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা জানিয়েছেন আবাসনের মালিক জয়রাম রেড্ডি।

    কী জানালেন জয়রাম রেড্ডি?

    প্রসঙ্গত, ওই বাড়ির মালিক জয়রাম রেড্ডিকে বিজেপির সমর্থক বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে জয়রাম রেড্ডি রাহুল গান্ধীর সেই দাবিকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন কংগ্রেস সমর্থক এবং তাঁর বিজেপির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, যাঁরা এই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন, তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশ্য ভোট দেওয়া নয়, বরং ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড তৈরি করানো (Bengaluru)।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অসম্মানের অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা লোকসভার বিরোধী দলনেতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে হলফনামা-সহ তথ্যপ্রমাণ চান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাহুল অসম্মান করতে চাইছেন বলে কমিশনের আধিকারিকেরা অভিযোগ করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, পরপর তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী এখন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসলে ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কোনও শক্তিশালী ইস্যু নেই। ফলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার পরিবর্তে রাহুল গান্ধী নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলেছেন।

  • Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    Jammu And Kashmir: সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি’ সহ কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ২৫টি বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রশাসনের অধীনে রয়েছেন। এই মন্ত্রক ২৫টি বইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই বইগুলির মধ্যে একটি রয়েছে বামপন্থী লেখিকা অরুন্ধতী রায়-এর লেখা আজাদি (Anti India Propaganda)। এই বইগুলোর বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ উঠেছে ভারত-বিরোধী ন্যারেটিভ ছড়ানোর। অরুন্ধতী রায়ের একাধিক লেখা, বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে তিনি ভারতের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব ও সংহতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই কারণেই তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর লেখায় রয়েছে মিথ্যা তথ্য ও দেশদ্রোহিতার স্বরূপ। সরকার এই বইগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ করেছে। এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত কিছু সাহিত্যকর্মে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং তা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দিচ্ছে। সরকারের হাতে আসা গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে এমন প্রমাণ মিলেছে, যেখানে দেখা গেছে— ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গের আড়ালে কিছু লেখনী মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যুবসমাজকে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের পথে প্রলুব্ধ করছে। এইসব সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব ছড়ানো হচ্ছে বলেই মনে করছে সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিবের বিবৃতি

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বরাষ্ট্র সচিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আগে যথাযথ তদন্ত করা হয়েছে এবং বিশ্বস্ত সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এই বইগুলিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বইগুলির মধ্যে এমন বিষয় রয়েছে, যা বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহিত করছে এবং তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক (Anti India Propaganda)।

    হিংসা ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা

    এই কারণেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫২, ১০০ এবং ৯৭ নম্বর ধারার আওতায় এগুলো অপরাধ হিসাবে গণ্য হচ্ছে। তাই এই বইগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পেছনে প্রতিটি বই সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। সেইসঙ্গে এই লেখকরা রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে মিথ্যার মোড়কে উপস্থাপন করেছেন, হিংসা ও সন্ত্রাসকে উসকানি দিয়েছেন, এমনকি ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। সরকারের বক্তব্য, এই বইগুলো পড়ে দেশের যুবসমাজ বিভ্রান্ত হতে পারে (Jammu And Kashmir), তারা সন্ত্রাসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, এমনকি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে।

    নিষিদ্ধ হওয়া কয়েকটি বইয়ের নাম (Jammu And Kashmir)

    উল্লেখযোগ্য যে, এই ২৫টি বইয়ের লেখকরা মূলত বামপন্থী চিন্তাধারার সমর্থক এবং অনেকেই ইসলামিক মৌলবাদী মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে কিছু বিদেশি লেখকও রয়েছেন।
    নিষিদ্ধ ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের তালিকা:

    অরুন্ধতী রায় – Azadi

    এ.জি. নূরানী – The Kashmir Dispute: 1947–2012

    সুমন্ত্র বোস – Kashmir at the Crossroads, Contested Lands

    ডেভিড দেবদাস – In Search of Future: The Kashmir Story

    অনুরাধা ভাসিন – The Untold Story of Kashmir After 370

    হাফসা খানজুয়াল – Closing Kashmir

    নিষিদ্ধ ইসলামিক মৌলবাদী লেখকদের বই

    মৌলানা আবুল আ’লা মওদুদী – Al-Jihad fil Islam

    হাসান আল বান্না – Mujahid ki Azan

    প্রসঙ্গত, অরুন্ধতী রায় একজন বামপন্থী লেখিকা। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে UAPA (Unlawful Activities Prevention Act)-এর আওতায় প্রসিকিউশন চলছে।

    ২০২৪ সাল থেকে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে চলছে আইনি প্রক্রিয়া

    ২০২৪ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. সাকসেনা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মূলত তাঁর বিতর্কিত বক্তব্য, দেশবিরোধী মন্তব্য এবং “আজাদি” নিয়ে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির একটি অডিটোরিয়ামে “Azadi: The Only Way” শিরোনামে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন— কাশ্মীর কখনও ভারতের অংশ ছিল না, ভারতীয় সেনা জোর করে তা দখল করে রেখেছে, এবং কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) স্বাধীনতার পক্ষে তিনি জোরালো আওয়াজ তোলেন। এই বক্তব্যের রেকর্ডিং সামনে আসার পরই তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়।

LinkedIn
Share