Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Buddha Purnima: ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার তিনি! আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ জয়ন্তী

    Buddha Purnima: ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার তিনি! আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ জয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) বৌদ্ধ ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্রতম উৎসব। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, এই পবিত্র দিনেই গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এই দিনেই বোধিবৃক্ষের নীচে তিনি জ্ঞান লাভ করেছিলেন, যাকে বলা হয় বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি। গৌতম বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার মানা হয়।

    এবছরের বুদ্ধপূর্ণিমার শুভ তিথি (Buddha Purnima 2025)

    রবিবার ১১ মে সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে। আর তিথি শেষ হবে সোমবার ১২ মে সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিটে। অনেকেই এই দিনটিকে বুদ্ধ জয়ন্তী হিসাবে পালন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালকে হিন্দুশাস্ত্রমতে বিশেষ কিছু আচারপালনের মাধ্যমে পালন করা হয়।

    নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ

    হিন্দু ধর্মের মতে অবশ্য গৌতম বুদ্ধ হলেন শ্রী বিষ্ণুর নবম অবতার। এই বিশেষ তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী পালন করা হয় সারা বিশ্ব জুড়ে। এই দিনে ভারতে সরকারিভাবে ছুটি থাকে। সারাদেশ জুড়ে উৎসব পালিত হয় বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরে। ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, তাইল্যান্ড, মায়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় উৎসব পালিত হয়। এই দিন (Buddha Purnima 2025) গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা ও বাণী স্মরণ করেন বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ভগবান বুদ্ধকে পূজা করা ছাড়াও অধিকাংশ বৌদ্ধ ভিক্ষুক ধ্যানে লিপ্ত থাকেন। পঞ্চাঙ্গ (বা পাঁজি) অনুসারে, কবে বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) পালিত হয় এবং এই দিনের শুভ সময়, তাৎপর্য ও পুজোর নিয়ম জানেন না অনেকেই। অবশ্য অনেক হিন্দু ও বাঙালির বাড়িতে লক্ষ্মী নারায়ণ পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে।

    কীভাবে দিনটি পালন করা হয়

    বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সব জায়গা পরিষ্কার করে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হবে। এরপর স্নান সেরে পরিষ্কার বা নতুন পোশাক পরতে পারেন। এদিন গঙ্গা স্নান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এরপর একটি মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির সর্বত্র ঘুরিয়ে আনতে পারেন। বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে হলুদ, লাল সিঁদুর বা রঙ ব্যবহার করে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন। বোধি গাছের কাছে দুধ ঢেলে বুদ্ধের বাণী ও শিক্ষাকে স্মরণ করতে পারেন। দানকর্মেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এদিন। বস্ত্র ও খাদ্য বিলি করলে পূণ্যলাভ করতে পারেন আপনি (Buddha Purnima)।

    ইতিহাস

    ভগবান বুদ্ধ বা গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম রাজা শুদ্ধোধন এবং মাতা ছিলেন মায়াদেবী। জন্মের পর তাঁর নাম ছিল সিদ্ধার্থ গৌতম। তাঁর জন্মের পরে একজন সাধু তাঁকে দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন। রাজকুমার নিজেকে পার্থিব বাসনা এবং বস্তুবাদী বন্ধন থেকে দূরে রাখবেন।

    কথিত আছে, উনত্রিশ বছর বয়সে রাজকুমার সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে কয়েকবার ভ্রমণে বেরোলে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, একজন অসুস্থ মানুষ, একজন মৃত মানুষ ও একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। এই দৃশ্যগুলি দেখে সিদ্ধার্থ তাঁর রাজজীবন ত্যাগ করে একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধার্থ এক রাত্রে তাঁর পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে রাজ প্রাসাদ ত্যাগ করেন। এরপর তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটেন এবং শীঘ্রই তিনি বিহারের বুদ্ধগয়াতে বোধি গাছের নীচে সত্য জ্ঞান অর্জন করেন।

    বুদ্ধ পূর্ণিমা কী ?

    দুনিয়াজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দুরা গৌতম বুদ্ধের জন্ম বুদ্ধ জয়ন্তী হিসাবে উদযাপন করে। ৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দে নেপালের লুম্বিনিতে পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধের রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম হিসাবে জন্ম হয়েছিল। সুতরাং, তাঁর জন্মবার্ষিকীর দিনটি বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধজয়ন্তী বা ভেসাক নামেও পরিচিত। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, জাভা, ইন্দোনেশিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়ায় উৎসবের মধ্য দিয়ে বুদ্ধজয়ন্তীর বিশেষ দিনটিকে ‘ভেসাক’ উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।

    বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব

    বৈশাখী পূর্ণিমার তিথিতে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে শ্রী শ্রী বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এদিন ধর্মরাজের পুজো করারও রীতি বেশ প্রচলিত আছে। সত্যবিনায়ক ব্রত করলে ধর্মরাজ প্রসন্ন হন। ধর্মরাজ যম হল মৃত্যুর দেবতা। তাই যমকে প্রসন্ন করলে অকাল মৃত্যুর যে ভয়, তার থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সাধারণত পূর্ণিমার দিনে তিল ও চিনির দান শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে অজান্তে হওয়া পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

  • Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, সময় এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয়। সেখানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘যতক্ষণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে দমন না করতে পারব, ততক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না। সময় এসে গিয়েছে। আমাদের একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে জোট হতে হবে। সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় তাদের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে কুকুরের লেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, এই লেজ কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে নামে মোদি সরকার। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এই আবহে রবিবার সকালেই অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে বলে জানিয়ে দেয় বায়ুসেনা। তারা জানিয়েছে, জাতীয় উদ্দেশ্যপূরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোপনীয়তার সঙ্গে অপারেশন চলছে। বেছে বেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।প্রসঙ্গত, শনিবার সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে লাগাতার হামলা চালায় পাক-বাহিনী। এর পরেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছে সেনা।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) যে থামেনি রবিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত।

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, গত ৭ মে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে নয় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই হামলার পরে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। পাকিস্তান গুলি চালালে (Operation Sindoor) ভারত পাল্টা আরও জোরালো হামলা চালাবে।

    অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি

    সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘‘এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।’’

    সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে

    এছাড়াও, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে, এই দুটো একসঙ্গে চলবে না। অর্থাৎ এটা একদম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনেই চলছে। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

  • India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) যুদ্ধ বিরতি ইস্যুতে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র এক প্রতিবেদন। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এক ‘উদ্বেগজনক ও গোপন তথ্য’ পায়। এর ভিত্তিতেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা শুক্রবারই আলোচনায় বসেন। তার ঠিক একদিন পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শুক্রবার দুপুরে সরাসরি ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)।

    সিএনএনের প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

    সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার সকালে ভারত-পাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশ সচিব ও অস্থায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুজি ওয়াইলস। সেখানেই গুরুতর গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করে আমেরিকা। সেই গোয়েন্দা তথ্য মোতাবেক, ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan War) মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ছিল।’’ সিএনএনের বক্তব্য অনুযায়ী সেই তথ্যের প্রকৃতি এখনও পর্যন্ত কেমন ছিল তারা তা জানতে পারেনি তারা। কারণ মার্কিন প্রশাসন গোপনীয়তার স্বার্থে তা জানায়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তারা সিএনএন-কে জানিয়েছে, এই গোপন তথ্যই ছিল হস্তক্ষেপের একেবারে ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

    কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত যুদ্ধ পরিস্থিতি

    প্রসঙ্গত, মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি ভ্যান্স ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এবং কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এরপরেই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মোদির সঙ্গে এই কথোপকথনের পরে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাতভর (India Pakistan War) কথা বলেন। রুবিও ফোন করেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে। তবে মার্কিন প্রশাসন সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেনি, শুধু আলোচনা শুরু করিয়ে দেওয়াটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, মোদি-ভ্যান্স ফোনালাপই ছিল পরিস্থিতি বদলের প্রধান মুহূর্ত।

  • Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এখনই যে আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং পাকিস্তান (India Pakistan War) তা যে বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যে ভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’’

    ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য

    এদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও লিখেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য আমেরিকা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’’ এর পরই তিনি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে তার জন্য ভারত-পাক দু‌’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। শেষে তিনি (Donald Trump) আবারও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’’

    ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে , শনিবারই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।’’  এরপর ফের রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সামনে এল।

  • India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরই ফের নিজেদের (India Pakistan War) আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ফিরে এল পাকিস্তান। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় লাগাতার গোলা-গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় অবশ্য পাকিস্তানকে সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য জবাবও দিতে শুরু করে বিএসএফ (BSF)। তবে বিএসএফ-এর জম্মু ডিভিশন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ আধিকারিকের। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে নির্বিচারে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান। সেই সময়ই সামনে থেকে আধা সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর এমডি ইমতিয়াজ। তখনই পাকিস্তানের (India Pakistan War) ছোড়া গুলিতে শহিদ হন তিনি।

    শনিবারও রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে

    অন্যদিকে শনিবারই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করা হয়েছে। আপাতত আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না বলে জানান বিক্রম মিস্রি। তবে এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল উধমপুর, আখনুর, নৌসেরা, পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, আরএসপুরা সহ একাধিক জায়াগায় গোলা-গুলি চালাতে (India Pakistan War) শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে। জয়সালমের, বারমের, পাঠানকোট সহ একাধিক জায়গা সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

    শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, পাক হামলায় শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের। নিহত হয়েছেন রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারও। পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজ কুমার থাপা নামের ওই আধিকারিকের। ওই হামলার ঘটনায় সেসময় আহত হয়েছিলেন তিনজন । পরে মৃত্যু হয় ওই আধিকারিকের।

  • Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন পাকিস্তানকে সবদিক থেকে সমর্থনের কথা বলছে, অন্যদিকে আবার ভারতের কাছে আবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দাও করছে। প্রসঙ্গত, শনিবার ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। এর ঠিক ঘণ্টা খানেক বাদেই পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করে। তারপরেই ময়দানে নামে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval) এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে (Ajit Doval) ফোন করে চিনা বিদেশমন্ত্রী পহেলগাঁও জঙ্গি হানার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা রয়েছেন বলেই ভরসা জোগানোর চেষ্টা করেন। এই আবহে চিনের দ্বিচারিতার সামনে কোনওভাবেই মাথা নত করেনি ভারত। অজিত দোভাল (Ajit Doval) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত কখনও যুদ্ধ করতে চায় না। যুদ্ধ কারও স্বার্থেই ভালো নয়। তবে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় অনেক ভারতীয়দের প্রাণহানি হয়েছিল। ভারতকে সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত।

    চিনের চিরমিত্র পাকিস্তান

    এদিকে চিন (China) তাদের চিরমিত্র পাকিস্তানকে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ইসলামাবাদের পাশে রয়েছে সবসময়। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই নিজের বিবৃতিতে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করতে চিন সবসময় পাশে আছে।” চিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, দুই দেশ অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নেয়। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার চেষ্টা করে।

    যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। শনিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। বারামুল্লা ও অনন্তনাগ এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) নামিয়ে ফেলা হয়। এই আবহে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স -এ লেখেন, “এ কেমন যুদ্ধবিরতি?” এরপরেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনওরকম অনুপ্রবেশ বা উস্কানি হলে কড়া জবাব দেওয়া হয়।”

  • India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ভারতের ২৬টি জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তান। মূলত, ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। শুক্রবার সন্ধে পেরিয়ে রাত গড়াতেই জম্মু-কাশ্মীর-সহ পঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাক সেনা। হামলা চালানো হয় জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে অবস্থিত এয়ার বেস সহ বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে। তবে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব হামলাকে প্রতিহত করে। পাশাপাশি, জনবসতি লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে নিহত হন কাশ্মীরের এক শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা। আহত হয় বেশ কয়েক জন ভারতীয় নাগরিকও।

    শনিতে প্রত্যাঘাত ভারতের, স্বীকার পাকিস্তানের

    এর পরই, শনিবার ভোরে প্রত্যাঘাত করে ভারত। আকাশপথে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক পরিকাঠামো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে, ৬টি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (India Airstrike Pak Bases)। এই অভিযানের কথা ভারত সরকার জানিয়েছে। এদিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত পাকিস্তানের ঠিক কোন কোন সামরিক অবকাঠামোয় আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। এদিন সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন— যুদ্ধবিমান থেকে আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রফিকি, মুরিদ, চাকলালা (নূর খান) এবং রহিম ইয়ার খানে স্থিত পাক এয়ারবেসে ভারত অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর ও চুনিয়ায় পাক বায়ুঘাঁটি, পসরুর রেডার স্টেশন এবং শিয়ালকোটের ঘাঁটিতেও প্রত্যাঘাত হানা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই অভিযান সংগঠিত করা হয়েছে। ভারতের এই প্রত্যাঘাতের (India Airstrike Pak Bases) কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফেও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগ ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ চৌধুরি তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, নূর খান, মুরিদ ও রফিকি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে ভারত।

    পাকিস্তানের এয়ারবেসে ভারতের এই প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, এর অভিযানের ফলে পাকিস্তান আরও দিশেহারা হয়ে পড়বে। কারণ, ভারত যে জায়গাগুলিতে বেছে বেছে আক্রমণ শানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য সেগুলির সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই এয়ারবেসগুলিতে কী হয়? কেন ভারতের এই সামরিক অভিযান এত তাৎপর্যবহ।

    চাকলালা বা নূর খান এয়ারবেস (Chaklala/Noor Khan)

    ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাকলালা বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও উচ্চ-সুরক্ষিত সামরিক পরিকাঠামোগুলির মধ্যে একটি। পাক বায়ুসেনার বিভিন্ন অভিযান থেকে ভিআইপি পরিবহণ— উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাঁটি। এটি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সহ অতীতের ভারত-পাক সংঘাতগুলিতে (India Pakistan War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাঝ-আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা এবং সামরিক পরিবহণ মিশনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ঘাঁটিতে। একইসঙ্গে, এটি শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের ব্যবহৃত বিমান সহ পাঁচ থেকে ছয়টি শীর্ষ সামরিক পণ্যবাহী স্কোয়াড্রনের ঘাঁটিও। ভবিষ্যতের অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে পাক বায়ুসেনার কলেজও রয়েছে। চাকলালায় আক্রমণ (India Airstrike Pak Bases) করে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, পাকিস্তানের সবচেয়ে সুরক্ষিত সম্পদও নাগালের বাইরে নয়।

    মুরিদ (Murid) এয়ারবেস, চাকওয়াল

    গত দুই দিন ধরে ভারতকে লক্ষ্য করে ড্রোন অভিযানের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পাকিস্তানের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত মুরিদ বিমানঘাঁটি। এখানে পাক বায়ুসেনার একাধিক স্কোয়াড্রন রয়েছে, যারা ‘শাহপার-১’ এবং তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি২’-এর মতো উন্নত ইউএভি (নজরদারি ড্রোন) এবং ইউসিএভি (হামলাকারী ও আত্মঘাতী ড্রোন) পরিচালনা করে। পাকিস্তানের ড্রোন যুদ্ধ কর্মসূচিতে এই ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা থেকে শুরু করে হামলা— সব কিছুই সংগঠিত হয় এই এয়ারবস থেকে। ভারতের ওপর শয়ে শয়ে ড্রোন হামলাগুলি এখান থেকেই সংগঠিত করেছে পাকিস্তান। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত করে (India Airstrike Pak Bases) ভারত কড়া জবাব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রফিকি (Rafiqui) এয়ারবেস, শারকোট

    ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের (India Pakistan War) নায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সরফরাজ আহমেদ রফিকির নামে নামকরণ করা এই ঘাঁটিতে জেএফ-১৭ এবং মিরাজ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন এবং ইউটিলিটি হেলিকপ্টার রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণে ব্যবহৃত প্রধান জেটগুলির তালিকার মধ্যে একটি ছিল জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। মধ্য পাঞ্জাবে এই বায়ুঘাঁটির অবস্থানের ফলে পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে দ্রুত যুদ্ধবিমন মোতায়েন করতে পারে পাক বায়ুসেনা এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়েও এই ঘাঁটি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত বিরাট সাফল্যের।

    রহিম ইয়ার খান (Rahim Yaar Khan) এয়ারবেস, দক্ষিণ পাঞ্জাব

    রহিম ইয়ার খান ঘাঁটি দক্ষিণ পাক-পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে অবস্থিত একটি পাক বায়ুসেনার অন্যতম বড় সামরিক পরিকাঠামো। এটি শেখ জায়েদ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি ভারতের রাজস্থানের দিকে মুখ করে গড়ে ওঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড অপারেটিং ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ ও পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের এবং অভিযানের জন্য এই ঘাঁটির কৌশলগত মূল্য রয়েছে। পাকিস্তানের হামলার মুখ ভোঁতা করতে এখানে প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।

    সুক্কুর (Sukkur) এয়ারবেস / পিএএফ ঘাঁটি ভোলারি

    সিন্ধুর প্রদেশের জামশোরো জেলায় করাচি এবং পাক-হায়দরাবাদের মাঝামাঝি অবস্থিত সুক্কুর বায়ুঘাঁটি। এটি ভোলারি বেস নামেও পরিচিত। পাক বায়ুসেনার এই ঘাঁটি দক্ষিণ বায়ুসেনা কমান্ডের অধীনে পড়ে। এটি নতুন পরিকাঠামো, সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পাক বায়ুসেনার ১৮ এবং ১৯ স্কোয়াড্রন, যা যথাক্রমে জেএফ-১৭ এ/বি ব্লক-২ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এছাড়া, অপারেশনাল কনভার্সন ইউনিট (ওসিইউ) এর ঘাঁটিও হল সুক্কুর। এখানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যাঘাত (India Airstrike Pak Bases) করে পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ভারত।

    চুনিয়ান (Chunian) এয়ারবেস

    চুনিয়ান বায়ুঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রাথমিক অপারেশনাল ঘাঁটিগুলির মধ্যে একটি। পাঞ্জাবের চুনিয়ান শহরের কাছে অবস্থিত। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত (India Pakistan War)।

  • BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের (Indo Pak War) আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ (BSF)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭০০০ জওয়ান বাড়তে চলেছে সব মিলিয়ে। একইসঙ্গে দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার বা অপারেশনাল কমান্ড সেন্টারও তৈরি হচ্ছে। নতুন দুটি ফিল্ড হেডকোয়ার্টার গড়ে উঠবে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে জম্মুতে একটি সেক্টর তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে আরও ভালো নজরদারির জন্য দ্বিতীয় সেক্টরটি (BSF) মিজোরামে তৈরি হবে।

    অপেক্ষা কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদনের

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়নের অনুমতি মিলেছে, আপাতত অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের চূড়ান্ত সম্মতির। আরও জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর ধাপে ধাপে এভাবেই বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে, খবর বিএসএফ সূত্রে। এই নতুন ব্যাটেলিয়নগুলি বিএসএফ-কে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজে সহায়তা করবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিললেই এর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন

    একদিকে, পাকিস্তানের (Indo Pak War) সঙ্গে যুদ্ধের আবহ তো রয়েছে পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও বাড়ছে অনুপ্রবেশ। ২০২৪ সালে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ খুবই বেড়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি মডিউলগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বিএসএফে বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন। এক একটি ব্যাটেলিয়নে থাকে ১০০০ জনেরও বেশি আধাসেনা। এরপর ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়ন (BSF) পাওয়া গেলে আধাসেনার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share