Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ভারতীয় গণতন্ত্রের কাছে এক কালো দিন। আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, আচমকা মধ্যরাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। না, কোনও যুদ্ধ নয়। নিজের গদি বাঁচাতে দেশবাসীকে কার্যত বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করছে বিজেপি। কী ঘটেছিল সেই সময়ে? কেমন ছিল সেই অন্ধকারময় অধ্যায়?

    ইতিহাসের পাতা উল্টে ফেরা যাক ঠিক ৫০ বছর আগেকার একটি অস্থির সময়ে। সালটা ১৯৭৫। যে সময় দেশ এক কঠিন সময়ের চরম নজির দেখেছিল ভারতবাসী। এমন একটা সময় যখন ক্ষমতাবলে দেশের সংবিধানকে হত্যা করেছিল দেশেরই শাসক। কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতন্ত্রের সামনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র। বিরোধে ওঠা সব কণ্ঠকে নির্বিচারে করা হয়ছিল রোধ। বিরোধী হলেই ঠাঁই ছিল গারদ।

    ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা…

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এক ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁকে ৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা।

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা ইন্দিরা তখন দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৭৫ সালের ২৩ জুন মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে, ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।

    চুপিসারে মধ্যরাতে জারি এমার্জেন্সি

    ক্ষমতা হারানোর ভয় আরও তাড়া করতে শুরু করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ঠিক একদিন পরেই, ১৯৭৫ সালের ২৫ এবং ২৬ জুন মধ্যরাতে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন যাতে তাঁকে পদত্যাগ করতে না হয়। এই জরুরি অবস্থা চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত! এই গোটা সময় দেশ একটা চরম অন্ধকারময় অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না।

    প্রথম গ্রেফতারি ভোর আড়াইটেয়…

    ২৬ তারিখের ভোররাত, অর্থাৎ জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই করা হয় প্রথম গ্রেফতারি। সেই সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রভাবিত অর্গানাইজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এইচ আর মালকানিকে পান্ডারা রোডে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। কেন? কারণ, ইন্দিরা বিলক্ষণ জানতেন, তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র আরএসএস ও জন সংঘের। তাই, আগেভাগে এদের গারদে পাঠাতে উদ্যত হয়েছিলেন ইন্দিরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন ইন্দিরা-পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। সেসময় জনসংঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বন্ধ নির্বাচন

    শুধু তাই নয়। গণমাধ্যমগুলির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করে ইন্দিরা-সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যাতে আসে। তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন।

    ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়

    এমনকি, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে চলত অকথ্য পুলিশি অত্যাচার! যার জেরে অকালে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক শিঁথির সিঁদুর। এমনকি, দেহ লোপাটও করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তোষামোদের প্রতিদানে জোড়ে ‘সেকুলার’

    বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। আর এই একটাই পরিবারের হাতে বন্দি ছিল একটা গোটা দেশ! দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। কেন? কারণ, তাঁর এই স্বৈরচারে সঙ্গ দিয়েছিল কমিউনিস্ট ও মুসলিম লিগ! তার প্রতিদান স্বরূপ দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’। প্রায় পৌনে ২ বছর পর, ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে, তাতে বিপুল পরাজয় হয় ইন্দিরা এবং কংগ্রেসের। গণতন্ত্রের হাতিয়ারে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েছিল দেশবাসী।

    ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন

    সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করা শাসকদের আসল রূপ যাতে মানুষ মনে রাখে, দেশের এই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করে প্রতি-বছর ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করে আসছে বিজেপি। লক্ষ্য, তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ জানানো, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময়ে স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতনের ভুক্তভোগী ছিলেন। সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যাঁরা প্রাণ বিপন্ন করেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন যারা অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছিলেন, তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা। প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।

  • Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির আবহ তৈরি হয়, আর সেই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে সরাসরি সমর্থন জানায় তুরস্ক (Turkey)। শুধু রাজনৈতিক সমর্থনই নয়, পাকিস্তানকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেও সহায়তা করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দেশজুড়ে শুরু হয় তুরস্কের পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক।

    তুরস্কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা (Turkey)

    তৎকালীন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারও তুরস্কের (Turkey) বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে। ভারতীয় পর্যটকদের (Indian Tourists) মধ্যেও তুরস্ক বর্জনের প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে তুরস্কে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা। যেখানে ২০২৪ সালের মে মাসে তুরস্কে গিয়েছিলেন ৪১,৫৫৪ জন ভারতীয়, সেখানে ২০২৫ সালের মে মাসে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১,৬৫৯ জনে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মে মাসেই তুরস্কে সর্বাধিক পর্যটক ভিড় করেন।

    ভ্রমণ সংস্থাগুলিও সামিল হয় বয়কট তুরস্ক আন্দোলনে (Turkey)

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পরে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, যা ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে রুখে দেয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ওই হামলার সময় পাকিস্তান তুরস্কের(Turkey) নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর দিল্লি থেকে তীব্র কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয় এবং একাধিক পদক্ষেপ করা শুরু হয়। MakeMyTrip, EaseMyTrip, ClearTrip-এর মতো প্রধান পর্যটন সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে তারা আর তুরস্কগামী কোনও ট্যুর প্যাকেজ প্রচার করবে না। এইভাবে দেশজুড়ে ‘বয়কট তুরস্ক’ আন্দোলন আরও তীব্রতর হয় (Indian Tourists)।

    মোদির সাইপ্রাস সফর

    এই কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেন তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাইপ্রাসে। এই সফরকে অত্যন্ত কৌশলগত এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্তোদুলিদেসের সঙ্গে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ১৯৭৪ সাল থেকে তুরস্কের দখলে থাকা উত্তর সাইপ্রাস অঞ্চল ঘুরে দেখান। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যেব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “তুরস্ক প্রমাণ করেছে, তারা পাকিস্তানের পাশে আছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অবস্থান নিতে প্রস্তুত।”

  • Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। সেদেশের প্রশাসনিক মহলেই শুরু হয়েছে এই গোপন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন এই অস্থির সময়ে ইরানের ভিতরে চলছে এই ষড়যন্ত্র, যেখানে সরাসরি লক্ষ্য করা হয়েছে খামেনিকে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইরানের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি খামেনির সময় ফুরিয়ে আসছে। তিনি যদি অফিসে থেকে যান, তবুও আর তাঁর হাতে প্রকৃত ক্ষমতা থাকবে না। কারণ ক্ষমতা তাঁর হাত থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছে।

    চলছে ষড়যন্ত্র (Iran)

    একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর বয়স (৮৫ বছর) এবং শারীরিক অসুস্থতাকেই এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকা ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে, তখন ইরানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের (Iran) সেনাবাহিনীর দক্ষতার অভাব আছে, যা ইজরায়েল ও আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের আধুনিক সামরিক আক্রমণ প্রতিহত করতে যথেষ্ট নয়।

    ইরানের পাশে রাশিয়া

    এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে প্রবেশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের পাশে থাকবে। পুতিন আমেরিকার সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দাও করেছেন। তিনি ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।” এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি (Iran) সম্প্রতি মস্কো সফর করেন এবং সেখানে পুতিনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।

    উত্তরসূরি বেছেছেন খামেইনি (Iran)

    গত বুধবার আয়াতুল্লাহ খামেনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলির দাবি, তিনি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড (Khamenei) অবস্থায় রয়েছেন এবং একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে খামেনি ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি বাছাই শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন তাঁর ৫৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা খামেনি।

  • Sardaar Ji 3: ছবিতে ভারত-বিরোধী পাক অভিনেত্রীকে নিয়োগ, অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

    Sardaar Ji 3: ছবিতে ভারত-বিরোধী পাক অভিনেত্রীকে নিয়োগ, অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সরদারজি ৩’ (Sardaar Ji 3) সিনেমায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে (Hania Aamir) নেওয়ার কারণে, সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িস। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হল।

    কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানানো হল প্রধানমন্ত্রীর কাছে (Sardaar Ji 3)

    সরদারজি ৩-তে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে (Hania Aamir) নিয়োগ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (FWICE)। এই সংস্থা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখে অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, প্রযোজক গুরবীর সিং সিধু এবং পরিচালক অমর হুন্ডালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। FWICE-এর দাবি, ওই তিনজনকে অবিলম্বে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প থেকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক। একইসঙ্গে তাঁদের পাসপোর্ট ও ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল করার আবেদনও জানানো হয়েছে। ফেডারেশন তাঁদের বিরুদ্ধে সব রকম সরকারি সুবিধা ও অধিকার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে (Sardaar Ji 3)।

    হানিয়া আমির ভারত বিরোধী অভিনেত্রী

    FWICE-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরদারজি ৩-এর (Sardaar Ji 3) জন্য পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে নেওয়া ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অপমানজনক। এর ফলে দেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, FWICE হানিয়া আমিরকে ভারতবিরোধী বলে অভিহিত করেছে। তাদের অভিযোগ, তিনি একাধিকবার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার FWICE কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন-এর কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে সরদারজি ৩ ছবিকে কোনওভাবে ভারতে মুক্তির সার্টিফিকেট (Sardaar Ji 3) না দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক আমূল বদলে গেছে। এই ঘটনার জেরে পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সমালোচনা করা কয়েকজন পাক শিল্পীকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতের সাংস্কৃতিক জগৎ থেকে। এই তালিকায় অন্যতম নাম হলেন অভিনেত্রী হানিয়া আমির।

  • Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি, এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনরায় বিবেচনা করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

    নয়া চুক্তি হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য

    দুই দেশের মধ্যে থাকা বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে (Bangladesh) জানিয়েছিল যে গঙ্গার জলের (Ganga Water Treaty) বড় অংশ ভারতের প্রয়োজন, কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। নতুন যে চুক্তি হতে পারে, তাতে এই দাবির প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই নতুন চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। মূল গঙ্গা জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দেশ গঙ্গার কতটা জল পাবে। মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সবকিছু বদলে গিয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে গঙ্গা জলচুক্তি ৩০ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করা হবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে পালটে গেছে, তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে এই বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবু ঢাকাকে জানানো হয়েছে ভারতের জল চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এই বাস্তবতার প্রতিফলন পড়বে নতুন চুক্তিতে।

    কত জল প্রয়োজন ভারতের?

    বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh) উভয় দেশ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক করে জল ব্যবহার করে। প্রতি ১০ দিন অন্তর জল ভাগাভাগির হিসেব নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমানে ভারতের আরও ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ কিউসেক অতিরিক্ত জলের (Ganga Water Treaty) প্রয়োজন পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবিষয়ে। দুই রাজ্যেই সেচ ও পানীয় জলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

  • Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Iran)। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’। ২৩ জুন এই মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। প্রসঙ্গত, এরমধ্যে কাতারের ‘আল উদিদ’ ঘাঁটি হল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি (US Bases in Qatar)।

    হামলার পরেই হোয়াইট হাউসে বসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    হামলার (Iran) পর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। ইরানের (Iran) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’ -এর খবরকে নিশ্চিত করে।

    মার্কিন নাগরিকদের জন্য উচ্চ সতর্কতা

    হামলার পরেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে সেদেশের আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে সে দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা (US Bases in Qatar)। নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই হামলার আগে অবশ্য ইজরায়েলের বিমান বাহিনী তেহরানে হামলা চালায়। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF)।

    মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার

    অন্যদিকে, ইরানের (Iran) মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, “এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “ঈশ্বরের কৃপায় এই হামলায় কোনও প্রাণহানি বা জখমের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সামরিক বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে এই হামলা প্রতিহত করেছে। কাতার নিরাপদ, এবং আমাদের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।”

  • World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) ছয়টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, যার মধ্যে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও (World Record)। এই ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয় একেবারে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনেই।

    অন্ধ্রপ্রদেশে জোড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (World Record)

    ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত। আরকে সৈকতে ৩,০৩,৬৫৪ জন একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন। এখানেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যোগ অনুশীলনের সর্ববৃহৎ রেকর্ডের (World Record) স্বীকৃতি পায় এই সমাবেশ। একই সঙ্গে ২২,০০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

    মোহালির এইমস তৈরি করল এশিয়ার রেকর্ড

    মোহালির এইমস-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় যোগ দিবসে। একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। এই যোগ শিবিরের মাধ্যমে তাঁরা এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে (World Record) নাম তোলেন।

    গুজরাটে ভুজঙ্গাসনে গিনেস রেকর্ড

    গুজরাটের ভাটনগরে ২,১২১ জন একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day)। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হন তাঁরা।

    কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মসরোবর-এ রেকর্ড জমায়েত

    হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ এক লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রী। তারা বিভিন্ন আসন ও প্রাণায়াম অনুশীলন করে। এখানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল শিবির একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

    কৃষ্ণা নদীর উপর ভাসমান যোগাভ্যাস

    আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীতে একটি অভিনব রেকর্ড তৈরি হয়। সেখানে এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রায় ২০০টি জলযানে ভাসমান অবস্থায় যোগাভ্যাস করেন। এই উদ্যোগে সহায়তা করে এনটিআর জেলা প্রশাসন।

    লখনউয়ে সূর্য নমস্কার ভেঙে দিল পুরনো রেকর্ড

    উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে সূর্য নমস্কার অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় হয়। সরদার প্যাটেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগ শিবিরে প্রায় ১,২০০ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। এই আয়োজন অনেক আন্তর্জাতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় (World Record)।

  • RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক। সংঘ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বৈঠক শুরু হবে ৪ জুলাই এবং চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। সেখানে দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে

    বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর বিবিধ ক্ষেত্রের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদকরাও (Prant Pracharak Baithak) এই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজেদের রাজ্যের রিপোর্ট দেবেন, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে।

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। প্রান্ত প্রচারকদের এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত। সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও সমস্ত সহ-কার্যবাহরাও উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডঃ মোহন ভাগবত ২৮ জুন দিল্লিতে হাজির হবেন।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগ চলছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে কৃত্রিম মেধার বিষয়ে পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র সচেতনই নয়, তারা এটিকে প্রয়োগ করার ব্যাপারেও প্রস্তুত হতে পারে।

    ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স চালু হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। পড়ুয়াদের কেবল প্রযুক্তি সম্পর্কে নয় বরং চারপাশের সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কেও সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলাফল কী হতে পারে, তাও তাদের জানাতে হবে, সেটা চ্যাটজিপিটি হোক বা ভারতীয় মডেল ‘সর্বম’ হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স (Artificial Intelligence) চালু হচ্ছে, এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই বিষয়ে শিক্ষাদান করা হবে। এই কোর্সের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে AI for Everyone – AI for All.

    শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও জানিয়েছেন, এই কোর্সটি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে এবং ভারতবর্ষের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং এই কোর্সটির বিভিন্ন দিক দেখভাল করছে। শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৩০ হাজারেরও বেশি স্কুল ইতিমধ্যেই স্কিল হাব তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা চালাতে পারবে (Artificial Intelligence)।

    সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) ওপর চালু হয়েছে AI Readiness Program। এই প্রোগ্রাম শুরু হবে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে। প্রসঙ্গত, জওহর নবোদয় বিদ্যালয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আবাসিক স্কুল যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। সরকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে এনসিআইআরটি-র সঙ্গে কাজ করছে। একইসঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য ১০ হাজার ল্যাবরেটরির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫০,০০০ স্কুলে এই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তিনি (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও বলেন, Skill India Digital Hub, FutureSkills-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোর্স অফার করছে।

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

LinkedIn
Share