Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ভারতীয় বিমানগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করায়, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তানি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত দুই মাসে এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১,২৪০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই আর্থিক ক্ষতির কথা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংসদে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের সংসদে তিনি এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন

    ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ এপ্রিল ভারত ‘সিন্ধু জল চুক্তি’ স্থগিত করে, আর তার পরদিন, ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় (Indian Flights)। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই পরে “বুমেরাং” হয়ে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের জন্য। কারণ, এতে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    কী বলছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    পাকিস্তানি (Pakistan) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় ১০০ থেকে ১৫০টি বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকাশসীমা বন্ধ থাকায় একটিও যেতে পারেনি, যার ফলে এই বিপুল লোকসান হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা অর্থনৈতিক লাভের চেয়েও অনেক বড় বিষয়।

    পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের প্রকাশিত ডেটা

    তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করত। অথচ ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতি দিনে। অর্থাৎ, কয়েক বছরে পাকিস্তানের বিমান চলাচল সংক্রান্ত রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে পাকিস্তানের জন্য এক বিপুল আর্থিক ধাক্কা হয়ে এসেছে, তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আকাশসীমা বন্ধ করাটা স্বার্থরক্ষার বার্তা দিলেও, আর্থিক দিক থেকে তা পাকিস্তানের জন্য একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই বিশ্লেষকদের মত।

  • Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুরে (Operaton Sindoor) আমরা যেন দাবা খেলছিলাম, কারণ আমরা জানতাম না শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে,”—এমনটাই বললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার তিনি উপস্থিত ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনীর নতুন গবেষণা প্রকল্প ‘অগ্নি’-এর উদ্বোধন করেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্যগুলি করেন।

    কী বললেন সেনাপ্রধান (Operaton Sindoor)?

    তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর (Operaton Sindoor) একটি ধূসর যুদ্ধ। অর্থাৎ, এটি কোনো প্রথাগত সামরিক অভিযান ছিল না। ঠিক দাবা খেলার মতো, কখনও কখনও আমরা শত্রুকে ‘চেকমেট’ দিচ্ছিলাম, আবার অনেক সময় আমাদেরও মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এটাই জীবন।”

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশ

    অপারেশন (Operaton Sindoor) নিয়ে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “২২ এপ্রিল, পেহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছিল, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল, আমরা সবাই একসঙ্গে বসি। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে।’ তিন বাহিনীর প্রধানরাও বুঝে যান, এবার বড় কিছু হতে চলেছে। এরপর সরকার আমাদের সম্পূর্ণ ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়—নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস, স্পষ্ট দিশা ও স্বচ্ছতা—যা আমরা প্রথমবারের মতো অনুভব করি।”

    ২৯ এপ্রিল বৈঠক করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi)বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা নর্দান কমান্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে আমরা পরিকল্পনা করি এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিই কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি আমাদের লক্ষ্য হবে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির মধ্যে সাতটি আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম এবং অসংখ্য জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২৯ এপ্রিল আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করি। সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। কীভাবে একটি ছোট্ট নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operaton Sindoor)—সারা দেশকে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছিল, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।”

  • ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইসরো (ISRO) ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম কঠিন জ্বালানির রকেট কালাম-১২০০ এর (KALAM 1200) সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা করতে পেরেছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই  স্ট্যাটিক পরীক্ষা, সম্পন্ন হয়েছে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কালাম-১২০০ যে ইঞ্জিন, তা ১১ মিটার লম্বা এবং এটি ৩০ টন কঠিন প্রোপেলান্ট বহন করতে সক্ষম।  ইসরো এটিকে একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করেছে এবং নিজেদের এক্স (X) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, স্কাইরুট এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা বিক্রম-অ্যাক্স ভেহিকল এর প্রথম পর্যায়ে কালাম-১২০০ সলিড মোটরের সকল স্ট্যাটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হল, যা একটি বড় মাইলফলক।

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের নামেই এই ইঞ্জিন (ISRO)

    দেশের রকেট প্রযুক্তি গবেষণা, যুদ্ধবিমান নির্মাণ ও পরমাণু পরীক্ষায় অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও, শ্রীহরিকোটা উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নামকরণও করেছে আবদুল কালামের নামে। এবার একটি কঠিন জ্বালানি চালিত রকেট ইঞ্জিন তৈরি করে তার সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষাও করল ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা (KALAM 1200)।

    ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি স্টার্টআপ সংস্থা, তার নাম স্কাইরুট এ্যারোস্পেস। তারাই সম্প্রতি সফলভাবে তৈরি করেছে কালাম-১২০০ নামের ওই রকেট ইঞ্জিনটি। চলতি বছরের শেষে এই স্কাইরুট এ্যারোস্পেস তাদের এই নতুন রকেট বিক্রম-১ কে মহাকাশে পাঠাতে পারে বলে খবর, এবং তাতেই ব্যবহৃত হবে আবদুল কালামের নামে নামাঙ্কিত এই ইঞ্জিনটি (ISRO)। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস — এরও নির্মাতা ছিল স্কাইরুট এ্যারোস্পেস (২০২২ সালের নভেম্বর)। প্রসঙ্গত, ১ দশক আগেই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার (ISRO) নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACe)।

  • Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: সাড়ে চার কিমি লম্বা, চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন রুদাস্ত্রের, ভিডিও পোস্ট রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকা গড়াল এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন “রুদ্রাস্ত্র”-এর (Rudrastra)। ৪.৫ কিলোমিটার (সাড়ে চার কিলোমিটার) দীর্ঘ এই ট্রেনে রয়েছে ৩৫৪টি বগি এবং ৭টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, যা এই বিশাল মালবাহী ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে চলে। উত্তরপ্রদেশের গঞ্জ খোয়াজা স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গড়ুয়া রোড স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নিয়েছে প্রায় ৫ ঘণ্টা, যার গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ ট্রেন চালুর (Indian Railways) ফলে রেলের সময় ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ভিডিও পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)

    এই রেকর্ডগড়া ট্রেনের ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন, “রুদ্রাস্ত্র” — ভারতের দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Rudrastra)।

    বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে

    যদিও “রুদ্রাস্ত্র” ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম পণ্যবাহী ট্রেন (Indian Railways), তবে বিশ্ব রেকর্ড এখনও রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ কোম্পানি BHP-এর দখলে। সেই ট্রেনটির দৈর্ঘ্য ৭.৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ রুদ্রাস্ত্রের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেশি। BHP-র ট্রেনটিতে রয়েছে ৬৮২টি ওয়াগন — যা রুদ্রাস্ত্রের তুলনায় প্রায় ৩২৮টি বেশি।

    রূদ্রাস্ত্র কেন বিশেষ, কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রুদ্রাস্ত্র (Indian Railways) আমাদের ভবিষ্যতের রেল লজিস্টিকস নীতির রূপরেখা দিচ্ছে। পরিবহন খরচ কমানো, সময় বাঁচানো এবং অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকল্প গড়ে তোলার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।” এই ধরনের দীর্ঘ মালবাহী ট্রেন ভবিষ্যতে ভারতে আরও চালু হলে, সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমবে। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। ভারতীয় রেলওয়ে “রুদ্রাস্ত্র” প্রকল্পকে শুধুমাত্র একটি ট্রেন পরিচালনার ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং একে দেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছে।

  • Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    Bangladesh Crisis: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট বাংলাদেশে, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি ইউনূস প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)! অন্তত এমনই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। দিন কয়েক আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে (Muhammad Yunus)।” তিনি ভোটের আয়োজন করার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করতে চিঠি পাঠালেন নির্বাচন কমিশনকে।

    কমিশনকে চিঠি

    ইউনূসের দফতরের মুখ্যসচিব এম সিরাজউদ্দিন মিঞা অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে কমিশনকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে (রমজান মাস শুরুর আগে) প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে ইউনূসের দফতর।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি

    গত বছরের জুলাই মাসের গোড়ায় শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় ইউনূসের হাতে। পালাবদলের এই বর্ষপূর্তির দিনেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা – নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠাব যাতে আসন্ন রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অনুরোধ করা হয়।” প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে রমজান মাস। তার আগেই সে দেশে হবে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Crisis)।

    উল্লেখ্য, পালাবদলের ওই দিনই অন্যত্র একটি অনুষ্ঠানে ইউনূস জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান পাবে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি। প্রসঙ্গত, গত ছ’মাস ধরে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল অন্তর্বর্তী সরকারের। পরে যখন সরকারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়, তখন ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপকে (Muhammad Yunus) স্বাগত জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি (Bangladesh Crisis)।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • PM Modi: মোদির সম্ভাব্য চিন সফরে গুরুত্ব বেজিংয়ের, ড্রাগনের দেশের সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    PM Modi: মোদির সম্ভাব্য চিন সফরে গুরুত্ব বেজিংয়ের, ড্রাগনের দেশের সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমার ভাইয়ের নৌকোকে নদী পার করিয়ে দাও, তাতে তোমার নিজের নৌকোও তীরে পৌঁছে যাবে।” হিন্দুদের এই প্রবাদ (Hindu Proverb) বাক্যটি গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে। সেখানে এও লেখা হয়েছে, ভারত-চিন (PM Modi) সম্পর্কের এই ঘনিষ্ঠতা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আমেরিকা ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতিকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না। তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমের আশঙ্কাই ঠিক? আমেরিকাকে রুখতে জোটবদ্ধ হচ্ছে রাশিয়া-ভারত-চিন, সংক্ষেপে ‘রিচ’ (RICH)!

    এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে মোদি (PM Modi)

    এবার এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলন হতে চলেছে চিনের তিয়ানজিনে। এসসিওর এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিন সফরে যাবেন তিনি। গত সাত বছরের মধ্যে এটাই হবে মোদির প্রথম চিন সফর। প্রধানমন্ত্রী যে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে প্রধানমন্ত্রী ড্রাগনের দেশে যাচ্ছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী যদি ওই দিন সত্যিই চিনে যান এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে, তাহলে ২০২০ সালের গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কে সৃষ্টি হওয়া তিক্ততার সম্পর্ক ফের মধুর হতে পারে।

    ভারত-চিনের সম্পর্কের উন্নতি

    সাম্প্রতিক কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে। বহু বছরের টানাপোড়েনের পর এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। গিয়েছিলেন শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্তাও। তাঁদের ধারাবাহিক সফর কূটনৈতিক অচলাবস্থার বরফ গলানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে পার্শ্ববৈঠকে জট খুলতে শুরু করে ভারত-চিন সম্পর্কের। উভয় পক্ষই এ বিষয়ে একমত যে, ভারত ও চিন উন্নয়নের অংশীদার, হুমকি বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। এরপর থেকে ফের শুরু হয়েছে ভারত চিনের নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা ইস্যু করা। কৈলাশ-মানস সরোবর তীর্থযাত্রার পথ আবারও খুলে দিয়েছে চিন (PM Modi)।

    চিনা সংবাদপত্রে হিন্দু প্রবাদ

    চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস মোদির সম্ভাব্য সফরের খবরে বেশ আশাবাদী। পত্রিকাটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক গতি স্বীকার করলেও ভারতের তৈরি কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, চিনা বিনিয়োগের ওপর ভারতের পর্যালোচনা ও সীমাবদ্ধতা, চিনা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ভিসা প্রদানে সীমাবদ্ধতা এবং সরাসরি ফ্লাইট ফের চালুর দেরি। গ্লোবাল টাইমস সতর্ক করেছে যে, এসব প্রতিবন্ধকতার সমাধান না হলে আস্থা ফেরানো কঠিন হবে (Hindu Proverb)। এর পরেই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দু প্রবাদটি: “তোমার ভাইয়ের নৌকোকে নদী পার করিয়ে দাও, তাতে তোমার নিজের নৌকোও তীরে পৌঁছে যাবে।”

    মোদির সফরকে গুরুত্ব

    সম্পাদকীয়তে জোর দেওয়া হয়েছে যে, যদি প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে, তবে এটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির সম্ভাব্য চিন সফরের সময়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ঘটতে চলেছে এমন একটা সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই। এই পদক্ষেপটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ভারতের রাশিয়া থেকে অব্যাহত তেল আমদানিকে, ওয়াশিংটনের মতে যা সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ (PM Modi)।

    মার্কিন হুমকির জবাবে দৃঢ় অবস্থান মোদির

    মার্কিন হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত তার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। চিনা গণমাধ্যম মোদির কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনকে ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির অংশ হিসেবেই দেখেছে (Hindu Proverb)। পশ্চিমী মহলের জল্পনা, মোদির চিন সফর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার পদক্ষেপ। যদিও গ্লোবাল টাইমস জানিয়ে দিয়েছে, চিন-ভারত সম্পর্ক অভিন্ন স্বার্থ ও দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক যুক্তির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, তৃতীয় পক্ষের বিরোধিতার ওপর নয় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম দুটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে যৌথ স্বার্থ রয়েছে। উভয় দেশই গ্লোবাল সাউথের শীর্ষ কণ্ঠ এবং এসসিওর মতো বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এই ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি সহযোগিতার অনুঘটক হতে পারে, সূচনা করতে পারে চিন-ভারত সম্পর্কের একটি নয়া অধ্যায়ের। বিশ্ববাসী দেখতে পারেন (Hindu Proverb) ‘ড্রাগন’ ও ‘হাতি’র যৌথ নৃত্য (PM Modi)।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

  • Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করেনি নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই কথা মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন (Election Commission of India) সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি। সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

    চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

    ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার এইআরও তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission of India) ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই আবহে চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

LinkedIn
Share