Tag: bangla news

bangla news

  • Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: টপকালেন আডবাণীকে, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) পদে থেকে রেকর্ড গড়লেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপিরই লালকৃষ্ণ আডবাণী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ২ হাজার ২৫৬ দিন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছেন শাহ। এ পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ২ হাজার ২৫৮ দিন। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ছিলেন ১ হাজার ২১৮ দিন।

    রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক (Amit Shah)

    শাহের এই কৃতিত্ব ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে শাহের এই অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আডবাণীর প্রকৃত উত্তরসূরি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন অমিত শাহ। তার আগে ওই কেন্দ্রে ছ’বার জিতেছিলেন বিজেপিরই এলকে আডবাণী। শাহ জেতার পর একে দেখা হয়েছিল একটি আদর্শগত দায়িত্বের প্রজন্মগত হস্তান্তর হিসেবে। বস্তুত, আজ সেই রূপান্তরটি প্রতীকে ও বাস্তবে সম্পূর্ণ হয়েছে। অমিত শাহ শুধু আডবাণীর দৃষ্টিভঙ্গির উত্তরাধিকারই নেননি, বরং তিনি তা বাস্তবায়ন করেছেন নিখুঁতভাবে। তিনি এমন এক কাজ করেছেন, যা বহুদিন ধরে বিজেপির ইডিওলজিক্যাল পূর্বসূরি – জনসংঘ, আএসএস এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতো মহাপুরুষরা দাবি করে আসছিলেন।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এটি ছিল সেই ভাষণ, যা ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ভাষণ হিসেবে উল্লিখিত হয়ে থাকবে। তিনি সংবিধানের ৩৭০(৩) অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এক আদেশ হাতে নিয়ে, “সংবিধান (জম্মু ও কাশ্মীরে প্রয়োগ) আদেশ, ২০১৯” উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমেই ১৯৫৪ সালের সেই আদেশ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দিত। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে ছিল। রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতা হাতে তুলে নিয়েছিল সংসদ। রাজ্যসভায় প্রস্তাবটি ১২৫ ভোটে গৃহীত হয়। পরে লোকসভায় প্রস্তাবটির পক্ষে পড়ে ৩৭০টি ভোট, বিপক্ষে মাত্রই ৭০টি। প্রত্যাশিতভাবেই পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। এরপর শাহের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুযায়ী রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয় —  জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভা-সহ) এবং লাদাখ (Amit Shah)।

    বদলেছে ভূস্বর্গ

    ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর (Home Minister) থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সন্ত্রাসের প্রতি শাহের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দৃঢ় সীমান্ত পারাপার অভিযানে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে এবং নজিরবিহীন পর্যটকের আগমনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।

    মাও দমনে শাহের অবদান

    দেশে মাওবাদী দমনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ হাজার ২২৫ জনের। অমিত শাহের নেতৃত্বে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে ‘লাল করিডর’ এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি জেলার মধ্যে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। শাহি জমানায়ই যেমন নিকেশ করা গিয়েছে বেশ কিছু মাওবাদী চাঁইকে, তেমনই অস্ত্র ছেড়ে (Home Minister) সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করেছেন (Amit Shah) বহু মাওবাদী।

    তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ

    শাহি জমানায় ২০২৩ সালে আরও তিনটি ঐতিহাসিক বিল পাশ হয় সংসদে। দেশের গা থেকে ঔপনিবেশিক যুগের কলঙ্ক মুছতে পুরানো আইনগুলি বাতিল করে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়া কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। যুগান্তকারী এই তিন আইন হল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর পরিবর্তে চালু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, এটি চালু হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির বদলে। ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের (Amit Shah)।

    পাশ সিএএ আইন

    অমিত শাহের জমানায়ই পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), ২০১৯। এই আইন ভারতের রাজনৈতিক (Home Minister) ইতিহাসে অন্যতম সাহসী এবং সামাজিকভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হয়, যদিও মুসলমানদের এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে দাঁড়িয়ে শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের সভ্যতাগত কর্তব্য।” সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এছাড়া, তাঁর জমানায় তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মুসলিম মহিলদের প্রতি হওয়া অন্যায় বন্ধ হয়।

  • Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস (Trinoomul Chhatra Parishad)। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা নেহাত কম নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে — শিক্ষক নিগ্রহ থেকে শুরু করে তোলাবাজি। টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি। হাল আমলে কসবা কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরই ছাত্র নেতার। ওই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পরীক্ষা নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তারপরে শুরু হয় এই সিদ্ধান্তের কারণে উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ। উপাচার্য ২৮ অগাস্ট তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা ঘোষণা করেছেন বলে এটাকে গভীর ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে যারা অনুপ্রাণিত এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যারা বিশ্বাসী, তাদেরকে আটকে দেওয়ার জন্য নাকি এক গভীর ষড়যন্ত্র করছেন উপাচার্য। কী আশ্চর্য যুক্তি। মমতার আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে পরীক্ষার দিন বদল করতে হবে! এসবের পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন উপাচার্য। উচ্চ শিক্ষা দফতরের দিন বদলের আবেদনও ফেরালেন।

    উপাচার্যের সাহসী পদক্ষেপ

    এনিয়ে শান্তা দত্ত দে বলছেন, ‘‘শাসক দলের তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) সরকারি ছুটির দিনে তো পরীক্ষা রাখেনি। শান্তা দত্ত দে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস দেখতে হয়, তাহলে সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে, এবং সেই বিচার করেই আমাকে পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলতে হবে।’’ ভয় না পেয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজ্য জুড়ে যে থ্রেট কালচার চালাচ্ছে শাসক দল, তার মাঝেও ব্যতিক্রমীভাবে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তিনি। এজন্য অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার দিন পিছনোতে সরকারের নাক গলানো নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি মন্তব্য করেন, “সরকারের এমন চিঠি বেনজির। শিব ঠাকুরের আপন দেশে, নিয়ম-কানুন সর্বনেশে।” এ কথাও বলেন শান্তা দত্ত দে। তিনি জানিয়েছেন যে, বিরোধীরা যখন ধর্মঘট ডাকে, তখন তো সরকার বলে সব ঠিক আছে, পরীক্ষা, পরীক্ষার মতোই হবে। হঠাৎ তৃণমূলের সংগঠনের অনুষ্ঠানে (Trinoomul Chhatra Parishad) পরীক্ষা কেন আপত্তি সরকারের, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। ২৮ অগাস্ট এইভাবেই পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে থাকল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যা সাম্প্রতিক কালে একটি সাহসী এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।

    উপাচার্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট

    ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University)। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হবে মেয়ো রোডে এবং উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। আর ওই দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিএ., বিএসসি., বিকম., বিএ এল.এল.বি.-র চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ রয়েছে।

    উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ (Calcutta University)

    এরপরেই ওই পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে লাগাতার আক্রমণ শুরু করে শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা। ছাত্র সংগঠনের তরফে উপাচার্যকেই বেলাগাম আক্রমণ করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী তো আবার উপাচার্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। শুধু তাই নয়, বেলাগাম আক্রমণ করে শান্তা দত্তকে বড় “অনুপ্রবেশকারী” আখ্যা দেন তৃণমূল ছাত্র নেতা। বলা হয়, ২৮ অগাস্ট দিনটাকেই নাকি টার্গেট করেছেন উপাচার্য, তাঁকে বিরোধীদের দালাল বলেও আক্রমণ করা হয়। এরপরেই অত্যন্ত নজিরবিহীনভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পরীক্ষার দিন বদলের আর্জি জানাতে দেখা যায় উচ্চশিক্ষা দফতরকে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার সরকারি চিঠি দিচ্ছে দিন বদলের আর্জি নিয়ে। সরকার এবং দল যে এক হয়ে গিয়েছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেও উপাচার্য যেভাবে অনড় থাকলেন, তাতে তাঁকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাজ্যের এক বড় অংশের মানুষ।

    রাজধর্ম পালনের কথা জানালেন উপাচার্য

    আবার এও তথ্য সামনে এসেছে যে সিন্ডিকেটের বৈঠকে উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন ওম প্রকাশ মিশ্র। তিনিও নাকি উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন — অন্তত সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। তার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন উপাচার্য। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনও ভাবেই বদলাবে না নির্ঘণ্ট, ২৮ অগাস্টেই পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দেবেন। নিজের বিবৃতিতে শান্তা দত্ত জানিয়েছেন যে, ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য সরকারি চিঠি বেনজির, আমাদের পরীক্ষা ২৮ তারিখেই হবে। একই সঙ্গে সরকারের কাছে তিনি অনুরোধও জানিয়েছেন, যাতে রাস্তাঘাট স্বাভাবিক থাকে, বাস ঠিকমতো চলে। উপাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সুস্থভাবে পরীক্ষার আয়োজন যাতে তারা করতে পারেন — এই কাজে যদি সরকার সহায়তা করে, সেটাই হবে প্রকৃত রাজধর্ম পালন।

    ২০১১ সালের ছায়া দেখা যাচ্ছে

    এ নিয়ে আবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনা উচিত ছিল উপাচার্যের। কোন কথা শুনতে হবে? শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে, তাই ওই দিন এক কথায় “অঘোষিত ছুটি” করে দিতে হবে! ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যায় সিপিএম। সিপিএম চলে যাওয়ার আগেও দেখা যেত, সরকারি আধিকারিকরা সিপিএম সরকারের কথা শুনতেন না। এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই একই রকমের ছায়া দেখা যাচ্ছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কেউ কেউ বলছেন — শাসক দলের পক্ষে এটা বড় অশনিসংকেত, যেখানে সরকারি কর্তাব্যক্তি এবং আমলারা আর আগের মতো কথা শুনছেন না।

  • Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে বইতে পারে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update)। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও উপকূলের দুই জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই গোটা সপ্তাহ ধরেই রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সতর্কতা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস (Weather Update)

    মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। এর পাশাপাশি এদিন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, বুধবার দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া এবং মুর্শিদাবাদে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই (Weather Update)। তবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টির ফলে রাজ্যের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই সঙ্গে শহরের এলাকাতে যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস (West Bengal)

    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে এই সপ্তাহজুড়ে অতিভারী বৃষ্টি হবে। বেশি বৃষ্টি হওয়ার জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। মঙ্গলবার থেকে এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ নামবে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    মৌসুমী অক্ষরেখা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অমৃতসর, দেরাদুন, শাহজাহানপুর, বাল্মিকীনগর, ছাপরা হয়ে কোচবিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উপর দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্জা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও সংলগ্ন জম্মু-কাশ্মীর এলাকায়। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

  • Mizoram: মিজোরামে বাজেয়াপ্ত ৩৫০ কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার গাড়িচালক

    Mizoram: মিজোরামে বাজেয়াপ্ত ৩৫০ কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার গাড়িচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে (Mizoram) আটক প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ এবং হেরোইন (Drug)। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। রবিবার এ খবর জানান সে রাজ্যের এক শীর্ষকর্তা। জানা গিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে রাজধানী আইজলের কাছাকাছি এলাকায় অভিযান চালায় অপরাধ দমন শাখা এবং স্পেশাল নারকোটিক্স থানার যৌথ দল।

    বাজেয়াপ্ত প্রচুর মাদক (Mizoram)

    তখনই বাজেয়াপ্ত হয় ২০.৩০৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ। এর বাজারমূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ১২৮টি সাবানের কেসে রাখা ১.৬৫২ কেজি হেরোইনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মূল্য প্রায় ৪৯.৫৬ লাখ টাকা। এই মাদকগুলি লুকোনো ছিল একটি গাড়ির গোপন চেম্বারে। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় গাড়িচালক, বছর পঁয়তাল্লিশের বি লালথাজুয়ালাকে। ১৯৮৫ সালের নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টান্সেস আইনের বিভিন্ন ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা।

    আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল পাচারকারীকে

    প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাইও জোখাওথার গ্রামে আর (Mizoram) একটি বড় মাদক চালানকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কুদামসেন কাইয়ের কাছে একটি পরিত্যক্ত নাইলনের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক। গ্রেফতার করা হয় বছর কুড়ির মায়ানমারের নাগরিক লালনুনতলুয়াঙ্গাকে। বর্তমানে সে থাকে জোখাওথারে। টানা জেরায় সে কবুল করে, এই মাদক ভর্তি ব্যাগটি সে মায়ানমারের খাওমাউই অঞ্চল থেকে নিয়ে এসেছিল। ব্যাগটির ভেতর থেকে পুলিশ ২০টি হেরোইনের ইট উদ্ধার করে। প্রতিটি ইট স্বচ্ছ পলিথিনে মোড়ানো এবং অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে সিল করা ছিল। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের মোট ওজন ছিল ৭.৪২২ কিলোগ্রাম, বাজার দর ২.২২ কোটিরও বেশি টাকা। তাকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে। এদের মধ্যে তিনজন জোখাওথার এবং একজন আইজলের বাসিন্দা।

    এই ঘটনাগুলি থেকেই স্পষ্ট, মায়ানমার এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচারের প্রধান প্রবেশদ্বারে পরিণত হয়েছে। মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমারের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ খোলা সীমান্ত রয়েছে। এই রুটেই পাচার হচ্ছে মাদক। রাষ্ট্রসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অ্যামফেটামিন-ধরনের উত্তেজক পদার্থ(ATS) বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরিমাণ ২০১৮ সালে ছিল ৪৩১ কেজি (Drug)। তার পরের বছরই আটক করা হয় ২.২ টনেরও বেশি মাদক (Mizoram)।

  • US: দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা, মুখোশ খুলে দিল ভারতীয় সেনা

    US: দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা, মুখোশ খুলে দিল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে সাঁটানো বন্ধুত্বের মুখোশ। অথচ আস্তিনে লুকোনো ‘বাঘনখ’। চুম্বকে এই হল আমেরিকার (US) স্বরূপ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৌজন্যেই জানা গেল ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় থেকেই আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। ১৯৭১ সালের ৫ অগাস্টের একটি পুরনো সংবাদপত্রের ক্লিপ শেয়ার করেছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড। ওই সংবাদপত্রের হেডলাইন ছিল, ‘‘১৯৫৪ সাল থেকে পাকিস্তানকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    ওই ক্লিপে তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিসি শুক্লার রাজ্যসভায় দেওয়া একটি উত্তরের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, অস্ত্র সরবরাহের জন্য পাকিস্তান সমস্ত নেটো শক্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কারণ তখন পাকিস্তান বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আগ্রাসন শুরু করেছিল। শুক্লা এও জানিয়েছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন (অধুনা রাশিয়া) পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। ফরাসি সরকার জানিয়ে দিয়েছে তারা পাকিস্তানের পুরোনো অর্ডারের ওপর ভিত্তি করেও কোনও অস্ত্র সরবরাহ করবে না। তবে, মার্কিন সরকার পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছিল (US)।

    পাকিস্তানকে সাহায্য আমেরিকা ও চিনের

    তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এও জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ও চিন দু’দেশই পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছিল নামমাত্র মূল্যে। এ থেকে স্পষ্ট, বাংলাদেশে পাক সেনার গণহত্যা এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলির বেশিরভাগই আমেরিকা ও চিনের দেওয়া সস্তার অস্ত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ান তেল কিনে ‘ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থ সহায়তা’ দেওয়ার জন্য ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকা। অথচ এই দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেরাই রাশিয়ার সঙ্গে দিব্যি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালায় পাকিস্তান। ওই বছরেরই ২৫ মার্চ বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। সেই সময় অধুনা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। প্রতিবেশী দেশের ওপর হওয়া নৃশংস অত্যাচার বন্ধ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাহিনীকে সাহায্য করতেই ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধে অংশ নেয় ৩ ডিসেম্বর। মাত্র ১৩ দিনেই পাকিস্তানকে পরাস্ত করে ভারত। আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ নামে এক নয়া রাষ্ট্র (US)।

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের মোদি সরকার সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ছয় বছর পর এমনই ভাবছে উপত্যকাবাসী। ৫ অগাস্ট— ২০১৯ সাল, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সঙ্গে রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ—তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকা এই পদক্ষেপকে “জাতীয় সংহতির পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ” বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। এই পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ করে তুলতে সাহায্য করেছে।

    ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরিবর্তনের ছবি

    ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর ব্যাপক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের হাত ধরে বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের চেহারা। নিত্যদিনের কার্ফিউ বা জঙ্গিদের সন্ত্রাস এখন নেই বললেই চলে। সেখানকার স্থানীয় মানুষই প্রতিহত করছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের যাবতীয় নাশকতার ছক। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা এখন রাজ্যে চাইছেন শান্তি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে হিংসাত্মক ঘটনা কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।

    সফল নির্বাচন ও ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীর প্রথমবারের মতো একাধিক সফল নির্বাচন দেখেছে। কয়েক দশক পর প্রথমবার, সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোটদান করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় উপত্যকায়। একইভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাদাতাদের উপস্থিতি ছিল ৬৩.৮৮ শতাংশ, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। নির্বাচনের সময় কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা বয়কটের ডাক দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে।

    পর্যটনে ব্যাপক উত্থান

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ২.১১ কোটির বেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। যদিও পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু কিছুটা ধাক্কা দেয় পর্যটনে, তবুও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং আবারও পর্যটকের ঢল নামে।

    পাথর ছোড়ার ঘটনা একেবারে বন্ধ

    অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়মিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটেনি। ২০১০ সালে যেখানে পাথর ছোঁড়ার সংখ্যা ছিল ২,৬৫৪টি, সেখানে আজ তা পুরোপুরি শূন্য বললেই চলে। পাশাপাশি, উপত্যকায় হরতালের ডাকও কার্যত নেই।

    পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ

    বড় ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ৪২ হাজার ৫০০ কোটির উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্প, যার অংশ হিসেবে চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু। এই রেল প্রকল্প কেবল জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করে না, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সংযোগেও গতি এসেছে।

    চেনাব সেতু: কাশ্মীরের পরিকাঠামো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরনই হল চেনাব সেতু। চেনাব নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আর্চ রেলসেতু। ইতিমধ্যেই চেনাব সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু কাশ্মীরের আর্থসামাজিক অবস্থাকেই বদলে দিচ্ছে। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি চেনাব আর্চ রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। চেনাব সেতু এখন কাশ্মীরিদের গর্ব। ভূমিকম্পেও অটল থাকবে এই সেতু।

    যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদল: রেল ছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিরাট বিরাট সড়ক। হাটবাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি গড়ে উঠছে অতি দ্রুত। ভারত স্বাধীনতার বহু যুগ কেটে গেলেও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ২০১৯ সালের আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে উপত্যকার সড়ক ব্যবস্থা। ভারত নেট প্রকল্পে মার্চেই ৭ হাজার ৭৮৯ ফাইবার-টু-দ্য-হোম সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিমানবন্দরেরও। ২০১৯ সালে যেখানে ৩৫টি বিমান প্রতিদিন যাতায়াত করতো এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৫।

    লগ্নি বেড়েছে উপত্যকায়: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়়ে উঠছে উপত্যকায়। বর্তমানে ৮৩৭টি নতুন শিল্প উদ্যোগ চালু আছে। এরমধ্যে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানই নারীদের দ্বারা পরিচালিত। শ্রীনগর শহর এখন স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ এ ফলে উপকৃত হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, এই ধারা রদের পর থেকে পরিসংখ্যান বলছে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার অংশগ্রহণ, পর্যটন, শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

  • Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল কেনা (Russian Oil) নিয়ে সোমবার রাতে ভারতকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কিনে তা খোলা বাজারে বিক্রি করছে ভারত, যা একটি ‘অপরাধ’। এই কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। আমেরিকার এই হুঁশিয়ারির জবাবে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত প্রয়োজনে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমেরিকার এমন বিবৃতিকে ভারত ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি (Russian Oil)

    সোমবার রাতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিশানা করছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে। আদতে সংঘাত শুরুর পর সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইউরোপে চলে যাচ্ছিল বলেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করে। সে সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উৎসাহও দিয়েছিল আমেরিকা।’’

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি হল-

    একই সঙ্গে, বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে—যারা ভারতের সমালোচনা করছে, তারাই আবার রাশিয়ার (Russian Oil) সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত। এই বিষয়ে তারা পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মধ্যে ৬৭,৫০০ কোটি ইউরো মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭,২০০ কোটি ইউরো। এই পরিসংখ্যান ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

    বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনতে শুরু করে, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। ভারতের এই সিদ্ধান্ত ছিল কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থে নেওয়া একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যখন ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করেছিল, সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই উদ্যোগকে ‘উৎসাহিত’ করেছিল। এমনকি তারা বলেছিল, এতে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী। বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    এছাড়াও, মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। বিশেষ করে, ওয়াশিংটন তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাতু প্যালেডিয়াম, সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং সার রাশিয়া থেকেই আমদানি করে। এসব তথ্য বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে তুলে ধরেছে।

    বিবৃতির একেবারে শেষে, বিদেশ মন্ত্রক ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ধরনের মন্তব্যকে “অযৌক্তিক এবং অন্যায্য” বলে আখ্যা দিয়েছে (Russian Oil)। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    কী লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ অগাস্ট ২০২৫ থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শিল্প শুল্ক আরোপ করেছেন। এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং ব্রিকস গোষ্ঠীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। ট্রাম্পের দাবি, ভারতের এই সিদ্ধান্তগুলি ‘আমেরিকা-বিরোধী’ এবং এরই ‘শাস্তি’ হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ভারতকে সরাসরি হুমকি দেন ট্রাম্প। সোমবার রাতে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত যে শুধু রাশিয়ার থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশ খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এ দিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করব।’’

  • IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কাজের সুযোগ। ১০ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন (IBPS)। এই মর্মে সম্প্রতি তাদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর জন্য আগ্রহীদের থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১ অগাস্ট থেকেই। আগামী ২১ অগাস্ট আবেদনের শেষ দিন। আইবিপিএস-এর তরফে ক্লার্ক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদের সংখ্যা ১০,২৭৭। চলতি বছরের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য কর্মী বাছাই করা হবে।

    দুটো ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা

    নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে দু’টি ধাপে— ১) প্রিলিমিনারি এবং ২) মেনস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে অক্টোবরে। নভেম্বরে মেনস পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণেরাই মেনস-এ অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া, পরীক্ষার্থীদের নথি যাচাই, স্থানীয় ভাষায় পারদর্শিতা যাচাই এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।

    কী কী যোগ্যতা লাগবে?

    সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে প্রার্থীদের যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে। বয়স হতে হবে ২০-২৮ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিতদের ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। এ ছাড়া, স্বচ্ছন্দ হতে হবে স্থানীয় ভাষায়। সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিতদের জন্য আবেদনমূল্য ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১৭৫ এবং ৮৫০ টাকা।

    কী ভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে আইবিপিএস-এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ‘সিআরপি ক্লার্ক ১৫’-তে ক্লিক করতে হবে।

    ২) এর পর রেজিস্ট্রেশন করে লগ ইন করতে হবে এবং নিজেদের বিষয়ে সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে।

    ৩) তথ্য পূরণের পর সমস্ত নথি সেখানে আপলোড করতে হবে।

    ৪) এর পর আবেদনমূল্য-সহ আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।

    ৫) স্ক্রিনে ‘কনফারমেশন পেজ’ দেখা গেলে সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্য প্রিন্ট নিয়ে রাখতে হবে।

    শূন্যপদ কোথায় কত

    রাজ্যভিত্তিক

    উত্তরপ্রদেশ – ১,৩১৫টি

    মহারাষ্ট্র – ১,১১৭টি

    কর্নাটক – ১,১৭০টি

    তামিলনাড়ু – ৮৯৪টি

    ব্যাঙ্কভিত্তিক

    কানারা ব্যাঙ্ক – ৩,০০০টি

    সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া – ২,০০০টি

    ব্যাঙ্ক অফ বরোদা – ১,৬৮৪টি

    পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক – ১,১৫০টি

    (ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও ইউকো ব্যাঙ্ক এখনও শূন্যপদ জানায়নি)

    পরীক্ষার কাঠামো

    প্রাথমিক পরীক্ষা (Prelims):

    ইংরেজি ভাষা: ৩০ প্রশ্ন – ৩০ নম্বর – ২০ মিনিট

    সংখ্যাত্মক দক্ষতা: ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    যুক্তি বিশ্লেষণ (Reasoning): ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    মোট সময় – ৬০ মিনিট | মোট নম্বর – ১০০

    মুখ্য পরীক্ষা (Mains):

    সাধারণ জ্ঞান: ৪০ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ২০ মিনিট

    ইংরেজি ভাষা: ৪০ প্রশ্ন – ৪০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    রিজিনিং: ৪০ প্রশ্ন – ৬০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    অঙ্ক: ৩৫ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ৩০ মিনিট

    মোট সময় – ১২০ মিনিট | মোট নম্বর – ২০০

  • Ramakrishna 431: যিনি ব্রহ্ম, তিনি কালী, কালী আদ্যাশক্তি

    Ramakrishna 431: যিনি ব্রহ্ম, তিনি কালী, কালী আদ্যাশক্তি

    প্রত্যক্ষ নরেন্দ্রকে শিক্ষা কালীই ব্রহ্ম

    চৈতন্য লাভ করলে তবে চৈতন্যকে জানতে পারা যায়। বিচারান্তে ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “দেখেছি, বিচার করে একরকম জানা যায় তাঁকে, ধ্যান করে একরকম জানা যায়। আবার তিনি যখন দেখিয়ে দেবেন—এর নাম অবতার। তিনি যদি তাঁর মানব-লীলা দেখিয়ে দেন, তাহলে আর বিচার করতে হয় না, কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয় না। কীরকম জানো? যেমন অন্ধকারের ভিতর দেশলাই ঘষতে ঘষতে দপ করে আলো হয়, সেইরকম দপ করে আলো যদি তিনি দেন, তাহলে সব সন্দেহ মিটে যায়। এরূপ বিচার করে কি তাঁকে জানা যায়?”

    ঠাকুর নরেন্দ্রকে কাছে ডাকিয়া বসাইলেন ও কুশল প্রশ্ন ও কত আদর করিতেছেন।
    নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি) কই, কালী-র ধ্যান তিন-চারদিন করলুম, কিছুই তো হল না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ — “ক্রমে হবে। কালী আর কেউ নয়। যিনি ব্রহ্ম, তিনি কালী। কালী আদ্যাশক্তি। যখন নিষ্ক্রিয়, তখন ব্রহ্ম বলি, যখন সৃষ্টি-প্রলয় করেন, তখন শক্তি বলি। যাকে তুমি ব্রহ্ম বলছ, তাকেই কালী বলছি। ব্রহ্ম আর কালী অভেদ। যেমন অগ্নি আর দাহিকাশক্তি—অগ্নি ভাবলেই দাহিকাশক্তি ভাবতে হয়। কালী মানলেই ব্রহ্ম মানতে হবে, আবার ব্রহ্ম মানলে কালী মানতে হবে। ব্রহ্ম ও শক্তি অভেদ—ওকেই শক্তি, ওকেই কালী আমি বলি।”

    এদিকে রাত হয়ে গেছে।
    গিরিশ হরিপদকে বলিতেছেন— “ভাই, একখানা গাড়ি যদি ডেকে দিস, থিয়েটারে যেতে হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ — “দেখিস যেন আনিস।”

    হরিপদ সহাস্যে — “আমি আনতে যাচ্ছি, আর আনবো না।”

  • Daily Horoscope 05 August 2025: সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 August 2025: সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজ ইতিবাচক পরিণাম পাবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আত্মীয়ের কাছ থেকে কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

    ২) বরিষ্ঠদের অনুমতি নিয়ে কোনও কাজ করলে সুফল লাভ সম্ভব।

    ৩) মা-কে ধর্মীয় স্থানে নিয়ে যেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) আজ কোনও কাজে অতি উৎসাহিত হয়ে পড়বেন না।

    ২) ব্যক্তিগত মামলা চলে থাকলে, তাতে আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসবে।

    ৩) সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত জাতকরা সতর্ক থাকুন।

    কর্কট

    ১) পরিবারের পরিবেশ আনন্দমুখর থাকবে।

    ২) পারিবারিক কাজকর্মে রুচি রাখবেন।

    ৩) চারদিকে আপনার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে।

    সিংহ

    ১) পরিবারে অতিথি আগমনের ফলে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) সন্তানকে নীতি শিক্ষা প্রদান করুন।

    ৩) সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে।

    কন্যা

    ১) আজ তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ২) আইনি মামলা আপনার পক্ষে থাকবে।

    ৩) বন্ধুদের মনোযোগ আকর্ষণ করবেন।

    তুলা

    ১) আজ কোনও নতুন কাজে অংশগ্রহণ করে নিজের সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) পারিবারিক সম্পর্কে মাধুর্য বজায় রাখুন।

    ৩) আপনার প্রভাব ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি ধন বৃদ্ধির সুসংবাদ নিয়ে আসবে।

    ২) পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) মনের মধ্যে প্রতিযোগিতার ইচ্ছা থাকবে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি ভাগ্যের দিক দিয়ে ভালো।

    ২) পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে, রায় আপনার পক্ষে আসতে পারে।

    ৩) সুখ-সুবিধা বাড়বে।

    মকর

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, তা না-হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ২) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ৩) ভুল করে কোনও কাজের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) দাম্পত্য জীবন আনন্দে কাটবে।

    ২) চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায়ীদের চেষ্টা সফল হবে।

    মীন

    ১) বরিষ্ঠ সদস্যদের পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন লাভ করবেন।

    ২) কাজে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share