Tag: bangla news

bangla news

  • Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    Municipality Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আর্জি শুনল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলা শুনল না বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলা ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ায়, তা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। 

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সমস্যায় রাজ্য

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সমস্যায় পড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। 

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Municipality Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে কিন্তু তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বহাল রাখেন। তিনি জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ই। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। এদিন সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দফতরে চিঠি দিল রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ হাজার প্রাথমিক (Primary) শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চের এও নির্দেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই মেনে চলতে হবে। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালত অগাস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সেপ্টেম্বরে।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন চাকরিহারারা?

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা আপাতত চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের মতো। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকলেই অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।

    ইন্টারভিউ পাশ করতে হবে

    ২০১৬ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। এঁদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়ে প্রথম থেকেই কোনও বিতর্ক নেই। গত শুক্রবার বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন, না হলে খোয়াতে হবে চাকরি। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীর আসল সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮৫, ৩৬ হাজার নয়। লেখায় ভুল হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে মামলা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা নস্কর সহ ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে (Calcutta High Court) জানান, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অনেক প্রশিক্ষণহীনই। ইন্টারভিউ বির্তক প্রসঙ্গও ওঠে। তরুণজ্যোতি বলেন, “আমাদের বক্তব্য ছিল পক্ষপাত হয়েছে, ইন্টারভিউ অ্যাপ্টিটিউডের নম্বরে গোলমাল হয়েছে। রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, সবটা মেনে করতে হবে। সেই রায় বহাল থাকছে। তবে যাঁরা চাকরিহারা হন, যাঁদের মামলা প্যারাটিচারদের মতো হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ডিভিশন বেঞ্চ তাতে স্টে দিলেন ঠিকই, বোর্ডকে প্রসেসটা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বললেন। অর্থাৎ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ইন্টারফেয়ার করলেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি ফাঁক গলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব সিবিআইয়ের (CBI)। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে নোটিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শনিবার সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার রাতেই আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে নবজোয়ার যাত্রায় গিয়েছিলেন তিনি। নবজোয়ার যাত্রা বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরছেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২২ মে ফের বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক।

    সিবিআই তলবের আঁচ করেছিলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)!

    সিবিআই যে তাঁকে তলব করতে পারে, সে আঁচ বোধহয় আগেই পেয়েছিলেন অভিষেক। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হয়নি ওই বেঞ্চে। মেলেনি রক্ষাকবচও। অভিষেক চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে (Abhishek Banerjee)। এদিন অভিষেকের ওই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    রক্ষাকবচ মেলেনি কেন?

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবচ। মঞ্জুর হয়নি দ্রুত শুনানির আর্জিও।

    এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেও রক্ষাকবচ না মেলায় তৃণমূলের যুবরাজকে দ্রুত তলব করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, হতাশ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চেয়েছিলেন রক্ষাকবচ। মেলেনি। চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক তাঁর মামলার। সেখানেও হতাশ হতে হল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার অভিষেকের ওই মামলার শুনানিতে রাজি হলেন না কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাইকোর্টে পড়ছে গ্রীষ্মের ছুটি। তার আগে শনি এবং রবিবার এমনিতেই ছুটি।

    ‘এখনই মামলা শুনতে পারব না…’

    শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু মামলা রয়েছে ওই বেঞ্চে। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সেই কারণেই শুক্রবার শুনানি করা যাবে না অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনের। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেক এবং কুন্তল ঘোষের আবেদন ফেরত গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। এদিন বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, “পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ। এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে।” বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, “আমি মৌখিকভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূল নেতা অভিষেককে (Abhishek Banerjee) ইডি-সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। মূল তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় এই মামলা করা হয়েছিল বলেও সন্দেহ আদালতের। সেই কারণেই অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ করে টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বেঞ্চই জানিয়ে দিয়েছে, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়। আইনজীবীদের একাংশের মতে, আজ (শুক্রবার) মামলা না হলে ফের সমস্যায় পড়তে পারেন অভিষেক।

    অভিষেককে অবসরকালীন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতিরও

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কিছু না পেয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছোটেন অভিষেকের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়।  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আমরা তো মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘ওই বেঞ্চ জানিয়েছে আজকে মামলার খুব চাপ রয়েছে। তাই শুনতে পারবে না।’’

    বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “২২ তারিখ, সোমবার অবসরকালীন বেঞ্চের প্রথম দিন। দু’দিনে এমন কিছু হবে না।” অভিষেকের আইনজীবী তখন বলেন, ‘‘তা হলে আপনি এটা নিশ্চিত করে দিন এই আগামী দু’দিনে কিছু হবে না। এই মামলার অন্য পক্ষও এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা আমরা পারব না। কারণ, মামলাটি এই বেঞ্চের বিচার্য বিষয় নয়। আমি শুধু অনুমতি দিতে পারি মামলা দায়েরের। অনুমতি দিচ্ছি অবকাশকালীন বেঞ্চে যান।’’ এমনকী, নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জিও শুনতে চাননি প্রধান বিচারপতি। দেননি কোনও রক্ষাকবচও। তাই অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ব্যাপারে বহাল থাকছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নয়! জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলি নিয়ে ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) নিয়ে সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেয়, তাহলে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কমিশন। কারণ, মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    শিক্ষক বদলিতে প্রবল দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তার পরিপ্রক্ষিতেই বিচাপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে শিক্ষক বদলি নিয়ে গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যে গাইড লাইন তৈরি হয়েছে, সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ১০ (সি) রুল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষক। তাঁরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষক বদলির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

    বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন

    এই বদলি ইস্যুতে কিছু আবেদন নিয়ে বিচারপতি বসুর এজলাসে আবেদন করেছেন বদলি হওয়া কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ১৬ জুন। বদলি নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুনিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাতের বিচার করেই বদলি নীতি তৈরি, তা অবশ্য মেনে চলা আর তা না মানা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘অন্য কোনও চাকরিতে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকরাই কেন পছন্দের স্কুলে চাকরি করবেন?’ এই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বসুকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, বদলির পর নতুন স্কুলে যোগ না দিলে তা ‘সার্ভিস ব্রেক’ হিসাবেও গণ্য হতে পারে। এসব মাথায় রেখেই নাকি নতুন বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মামলা হতে থাকে। শিক্ষকদের অভিযোগ, একই জেলার দুটি বিপরীত প্রান্তে বদলি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষকদের, যাতে সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results 2023: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    Madhyamik Results 2023: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল (Madhyamik Results 2023)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬ শতাংশ। 

    মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা

    এদিন সকাল ১০টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা (Madhyamik Results 2023) করে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে— এবার মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা মাঝি। দেবদত্তা কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের ছাত্রী। সে পেয়েছে ৬৯৭ নম্বর। যুগ্ম দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদার রিফাত হাসান সরকার। ১৬ জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন। মালদা থেকে সব থেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া মেধাতালিকায় আছেন। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে, এ বছরের  মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী।

    এবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে ৪ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২ জন ছেলে ও ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী। মোট ২ হাজার ৮৬৭টি সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১২টা থেকে ওয়েবসাইটে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট (Madhyamik Results 2023) দেখতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আজ দুপুর থেকেই পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলগুলিকে মাধ্যমিকের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়

    কী করে ওয়েবসাইটে ফল জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা

    পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbse.wb.gov.in এবং wbresults.nic.in থেকে মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Results 2023) দেখা যাবে। পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট wbbse.wb.gov.in বা wbresults.nic.in-এ গিয়ে ‘West Bengal Board of Secondary Exam Results 2023’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে পড়ুয়াদের। এরপর একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। সেখানে যথা স্থানে রোল নম্বর, জন্মতারিখ এবং ক্যাপচা দিয়ে ‘সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ফুটে উঠবে স্ক্রিনে।

    এদিনই, আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেয় পর্ষদ। জানানো হয়েছে, আগামী বছর ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা ৪৫ থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। ২০২৪ মাধ্যমিকের সূচি এইরকম— ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা, ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা, ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি গণিত, ৯ ফেব্রুয়ারি জীবনবিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি ভৌতবিজ্ঞান, ১২ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়। ফিজিকাল এডুকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সার্ভিস ও ওয়ার্ক এডুকেশনের পরীক্ষার দিন পরে ঘোষণা করবে পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মিথ্যে নয়, ২৬ ‘শিকার’কে হাজির করে ‘প্রমাণ’ দিলেন নির্মাতারা

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মিথ্যে নয়, ২৬ ‘শিকার’কে হাজির করে ‘প্রমাণ’ দিলেন নির্মাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। বুধবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ছবির প্রডিউসার বিপুল শাহ ও ডিরেক্টর সুদীপ্ত সেন। এদিন মুসলিম মৌলবাদের শিকার হয়েছেন এমন ২৬ জন মহিলাকে হাজির করেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকটি হয় বান্দ্রার রং শারদা হলে। সেখানেই হাজির করা হয়েছিল কোচি থেকে নিয়ে আসা ওই মহিলাদের। আর্ষ বিদ্যা সমাজমের সদস্য শ্রুতি জানান, তাঁদের সংস্থা কেরালায় ৭ হাজার মহিলাকে সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। সিনেমাটিতে দাবি করা হয়েছে, ৩২ হাজার অমুসলিম মহিলাকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। শাহ জানান, এনিয়ে অনেকেই বলছেন, অযথা মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দর্শকরা জানুন, আসল সত্যটা কী।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story) ‘চরিত্র’রা

    ছবির (The Kerala Story) নির্মাতারা জানান, লভ জিহাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাঁরা শুধুই ছবি বানিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। বাস্তব জীবন থেকে তাঁরা তুলে এনেছেন ২৬ জন মহিলাকে। এঁরা সবাই যে কেরালার তা নয়, গোটা ভারতের। মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন অনঘা জয়গোপাল। তিনি বলেন, দু বছর আগে আমি সন্তানসম্ভবা ছিলাম। পর্দার শালিনীর (যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অদা শর্মা) মতো আমারও একই দশা হয়েছিল। পর্দার আশিফার মতো অনেক মেয়েই হস্টেলে ছিল, তাদেরও ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তারা প্রায়ই আমাদের কনফিউজ করত। ধর্মজ্ঞানের অভাবের কারণে আমি আমাদের দিকটা বুঝিয়ে বলতে পারতাম না।

    ‘আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম’

    তিনি বলেন, এই (মুসলিম) মহিলারা প্রায়ই বলত ঈশ্বর একজনই, তিনি আল্লা। তারা আমাকে কোরানের হিন্দি অনুবাদ দিয়েছিল। এটা পড়ার পর আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলাম। আমার পরিবার বাড়িতে ঈশ্বরের আরাধনা করতেন। আর আমি নমাজ আদায় করতাম। আমাকে নমাজ আদায় করতে না দেওয়ায় আমি আমার এক আত্মীয়ের মেয়ের ওপর খুব রেগে গিয়েছিলাম। তিনি (The Kerala Story) বলেন, এই ছবিটা আমার জীবনের গল্পের মতো। সিনেমাটা দেখার পর আমি হাউ হাউ করে কাঁদতে চেয়েছিলাম।

    মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন চিত্রাও। তিনি বলেন, কেবল মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও ধর্মান্তরিত হয়েছে। যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে, তারা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছে। ছবির নায়িকা অদা শর্মা বলেন, আমি ভিডিওয় দেখেছি মহিলাদের ট্যাঙ্কারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তারা মারা যাচ্ছে। মেয়েদের কেবল সন্তান জন্ম দেওয়ার যন্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হত। যে শিশুরা পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদী এবং সুইসাইড বম্বার হত, কেবল তাদের বাঁচিয়ে রাখা হত।

    আরও পড়ুুন: ‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: ‘‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বৃহস্পতিবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তার পরেই তৃণমূল নেতার দিকে ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Aadhikari)। তিনি লিখেছেন, ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া। এতদিন শোনা যেত বাপ নম্বরি তো বেটা দশ নম্বরি। এখন নতুন সংস্করণ, পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫! স্বভাব যেমন, তাই পাঁচ গুণ বেশি দিস!’   

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি।

    পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

    সুকান্তের কটাক্ষ-বাণ

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। এ প্রসঙ্গে অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির (Suvendu Aadhikari) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “উনি যেখানেই যান না কেন, ওঁর জেলযাত্রা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শুনলাম উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তা উনি যেতেই পারেন। আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন যাচ্ছেন? সুপ্রিম কোর্ট যেদিন এই মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাল, সেদিন উনি বলেছিলেন কোর্টের রায় স্বাগত। সিবিআই হোক বা ইডি যে যখনই ডাকবেন, উনি যাবেন তদন্তে সহযোগিতা করতে। তাহলে এখন অসুবিধার কী আছে?”সুকান্ত বলেন, মনে রাখতে হবে, সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি শুধু এজলাস বদলেছিলেন, বিচারপতি বদলেছিলেন, বিচারে হস্তক্ষেপ করেননি। তাই যেখানেই যান ওঁকে আজ নয় কাল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেই হবে। যদি কোনও অন্যায় করে থাকেন, বিচার হবে। ওঁর জেলযাত্রা সময়ের অপেক্ষা মাত্র”।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। তবে তদন্তের রিপোর্ট পাঠাতে হবে এনআইএকে (NIA)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিআইডির প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঠিক করবে, তারা তদন্ত করবে কি না। এই মামলায় এনআইএকে পার্টি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    এগরা (Egra) বিস্ফোরণে গ্রেফতার ভানু

    মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Egra) ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৯ জনের দেহ। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বাজি শ্রমিক। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি কারখানার আড়ালে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়িতে তৈরি হত বোমাও। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ভানু নিজেও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার কটক হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুটা সুস্থ হলেই ভানুকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

    এনআইএ-র দাবি শুভেন্দুর

    যদিও এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্ত জারি রাখতে বলে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আদালতের নির্দেশ, এনআইএ (Egra) আইনের ৬ নম্বর ধারার বিধানগুলি মেনে চলবে হবে। ওই বিধানে বলা হয়েছে, একটি নির্ধারিত অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র এনআইএকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এনআইএ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তদন্ত করবে কি না।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    এদিন শুনানির সময় খাদিকুলের ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ছবি দেখে শিউরে ওঠেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, “হে ভগবান, কী হয়েছে? দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে”। ঘটনার পরে রাজ্য সরকার যে এফআইআর করেছে, তাতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যদিও আদালত সেই ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। খাদিকুলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ঘটনার(Egra) পর বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এনআইএ তদন্ত করলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: আবার দেখানো যাবে রাজ্যে! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    The Kerala Story: আবার দেখানো যাবে রাজ্যে! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগে বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দেশের সব রাজ্যেই প্রদর্শিত হচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কোথাও কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। বাংলায়ও যে তিন দিন ছবিটি চলেছে, তাতেও তেমন কোনও অশান্তির নজির নেই। তাই রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শুনানির সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অসহিষ্ণু আখ্যা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “অসহিষ্ণুতা সহ্য করা যায় না। প্রকাশ্যে আবেগ প্রদর্শনের ভিত্তিতে বাক-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার নির্ধারণ করা যায় না। আবেগের প্রকাশ্য প্রদর্শন রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে”।

    ছবি (The Kerala Story) নির্মাতাদের তরফে আইনজীবী বলেন, “এই ছবি সিবিএফসির ছাড়পত্র পেয়েছে। এই ছবির বৈধ ছাড়পত্র রয়েছে। ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলে এই ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়”। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “ওটিটিতে দেখানো নিয়ে আমাদের কোনও বিরোধিতা নেই। কিন্তু জনসমক্ষে এই ছবির প্রদর্শন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। মোবাইলে এটা দেখা যেতে পারে”।

    অশান্তির খবর মেলেনি

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “জনসমাজের ভাবাবেগের ওপর মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার নির্ভর করতে পারে না। জনগণের ভাবাবেগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আপনার যদি ভাল না লাগে, আপনি দেখবেন না”। তিনি জানান, নির্দিষ্ট করে বাংলার কোথাও এই ছবিকে (The Kerala Story) ঘিরে অশান্তি হলে, সেখানে ছবিটি নিষিদ্ধ করা যেত। কিন্তু কোনও অশান্তি ছাড়াই গোটা রাজ্যে ছবি নিষিদ্ধ করার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পায়নি আদালত। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিনেমাটি নিষিদ্ধ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভাবনার ভিত্তিতে এভাবে মৌলিক অধিকার খর্ব করা যায় না।

    আরও পড়ুুন: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    প্রসঙ্গত, গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবির বিষয়বস্তু সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞায় এবার স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তাই এবার সিনেমা হলে গিয়েই দেখা যাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)।

    মমতাকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    এই নিয়ে ট্যুইটারে মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘আপনার দায়িত্ব হল পুলিশকে পরিচালনা করা, নীতি পুলিশের কাজ করা নয়। আপনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আগে পালন করুন। কিন্তু তাতে তো রোজ ব্যর্থ হচ্ছেন। মানুষ কাকে গ্রহণ করবেন সেটা বাংলার মানুষের উপরেই ছেড়ে দিন। কোন বিষয়কে মানুষ প্রত্যাখান করবেন সেটাও মানুষের উপর ছেড়ে দিন। বাংলার মহান মানুষরা যথেষ্ট সহনশীল। তাঁদেরকে অন্যভাবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share