Tag: bangla news

bangla news

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতের আইনে তারা বিদেশি হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিদেশি আইন অনুযায়ী তাদের ডিপোর্টেশন অপরিহার্য (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ ৮ মে নির্ধারিত বহিষ্কার বন্ধে দায়ের করা জরুরি আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ জুলাই।

    আবেদন উত্থাপন (Supreme Court)

    প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেস এবং প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদনগুলি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গনসালভেস আদালতের এই অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে চরম সীমা অতিক্রম আখ্যা দেন। পূর্ববর্তী রায়ে আদালতের এই জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ভূমিকাকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ভূষণ এও উল্লেখ করেন, মণিপুরের পক্ষ থেকে দাখিল করা একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন।

    বিচারপতি দত্তের মন্তব্য

    আবেদনকারীদের ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর নির্ভরতার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, “আদালত এই বিষয়টি অস্বীকার করে না যে অভিবাসীরা শুধুমাত্র এই নথির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোনও স্বস্তি দাবি করতে পারেন না।” ভূষণ রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত গণহত্যা কনভেনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যা ভারত দ্বারা অনুমোদিত, এবং আদালতকে এর বিধানগুলি বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে বিচারপতি কান্ত সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের মাটিতে অভিবাসীদের থাকার অধিকার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি ভারতের আইনের অধীনে তাদের থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বহিষ্কার করা হবে।” বিচারপতি দত্তের গলায়ও এই মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। তিনিও বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় আসা বিদেশিদের মতো রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারের যুক্তি

    সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল আবেদনকারীদের যুক্তির বিরোধিতা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলির উল্লেখ করেন তাঁরা। ওই রায়গুলিতে অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া থামানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তারা ফের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের কথা বলেন, যে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ (Supreme Court)।সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্যও নয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী স্বীকৃতি প্রশ্নের মুখে।” তিনি বলেন, “বহিষ্কারের বিরুদ্ধে অধিকারটি মূলত বসবাসের মৌলিক অধিকারটির সঙ্গে যুক্ত, যা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই সংরক্ষিত।”

    সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ

    ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবনের অধিকার প্রযোজ্য বলে স্বীকার করলেও, বেঞ্চ তাদের বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফলে আদালত জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থা বিদেশি আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, আটক ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসন এবং বিদেশিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় আইনের প্রাধান্যকে তুলে ধরে (Supreme Court)। ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর আবেদনকারীদের নির্ভরতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকারীরা ত্রাণ দাবি করতে পারবেন না, এমন কোনও কিছুই অস্বীকার করা হয়নি।”

    গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত

    ভূষণের যুক্তি, ভারত কর্তৃক অনুমোদিত গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কান্ত একটি চূড়ান্ত রায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, “যদি তাদের (রোহিঙ্গাদের) এখানে থাকার অধিকার থাকে, তবে তা স্বীকার করা উচিত। এবং যদি তারা তা না করে, তারা পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং আইন অনুসারে নির্বাসন দেবে।” বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, তারা (রোহিঙ্গারা) সকলেই বিদেশি এবং যদি তারা বিদেশি আইনের আওতায় আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে বিদেশি আইন অনুসারেই। এদিন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় বসবাসের অধিকার কেবলমাত্র তার নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যা ইঙ্গিত দেয় যে অ-নাগরিকদের বিদেশি আইন অনুসারে পরিচালিত করা হবে (Supreme Court)।

  • Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সংকটজনক অবস্থা উঠে আসছে। তা সে আর্থিক সংকট হোক কিংবা সেদেশের অন্দরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু পাকিস্তান বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার মাদ্রাসা (Pakistans Madrasa) শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সে দেশে উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে মাদ্রাসাগুলি সদা ব্যস্ত। সাধারণভাবে মাদ্রাসাগুলিতে হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসাগুলিতেই জন্ম নেয় উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সেদেশের সংদসদে দাঁড়িয়ে জানান, সেনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তান রক্ষা করবে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত।

    জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর! পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সামনে আসে। এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে,পাকিস্তানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে। এই মাদ্রাসাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তকমা দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য সে দেশের দরিদ্র পড়ুয়াদের বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদেরকে খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। গরিব দেশ পাকিস্তানের বেশিরভাগ দরিদ্র পড়ুয়া তাই এভাবেই পাকিস্তানের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাগুলি একটি বিকল্প বিদ্যালয়ের আকার নিয়ে নিয়েছে সেখানে। এই ভাবেই যে সরকারি স্কুল ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। এখানেই গড়ে উঠছে জেহাদি কার্যকলাপ। শিশুমনে বপন করা হচ্ছে মৌলবাদের বীজ। শুধু তাই নয়, জেহাদি হিসেবে নিয়োগ করার অন্যতম কারখানা হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে যারা আসছে তাদেরকে এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে তারা একজন জেহাদি হয়ে উঠছে, সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছে। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলাতে অন্যতম দোষী ছিল আজমল কাসভ। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির হাতে খড়ি হয় মাদ্রাসা থেকেই। তার প্রাথমিক হাতে খড়ি সম্পূর্ণ হয় করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসা।

    সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলির নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে

    সমস্ত মাদ্রাসাকে নিয়ে যে সমস্যা এমনটা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এখান থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা জেহাদি হওয়ার জন্য প্রথম খড়ি নেয়। এই মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামিক ব্যবস্থায় শিক্ষাদান করা হয়। এখানেই শেখানো হয় ভেদাভেদ। সংজ্ঞায়িত করা হয় ইসলামের শিয়া, সুফি, সুন্নি। পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় অমুসলিমদের কাফের কেন বলা হয়। পাকিস্তানের (Pakistan) এই মাদ্রাসাগুলি থেকেই জন্ম নেয় ভারত বিরোধিতা। হিন্দু প্রধান দেশ ভারতবর্ষ তাদের কাছে কাফের। এখানেই জন্ম নেয় জঙ্গি মতাদর্শ। তাই একথা বলাই যায়, মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবা কিংবা জইশ-মহম্মদ অথবা তালিবান- এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর কাছে একটি নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে। রিপোর্ট বলছে, মাদ্রাসাগুলি থেকে জেহাদি তৈরির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব অংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

    অসংখ্য মাদ্রাসা চালায় মাসুদ আজাহার

    মাদ্রাসাগুলিতে (Pakistans Madrasa) ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এরকম অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। যেমন, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহার। এই জঙ্গি নেতা ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা মাসুদ আজহার ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়। পাকিস্তানে বহু মাদ্রাসা মাসুদ আজাহার চালায় বলে জানা যায়। যেগুলি থেকে জঙ্গি তৈরি হয় এবং এগুলিই পাকিস্তানের কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেনা ব্যর্থ হলে মাদ্রাসা ছাত্ররা যুদ্ধ করবে, এমন বয়ানে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলিই জঙ্গি তৈরির আতুঁড়ঘর। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বিবৃতি আদতে পৃথিবীর কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি।

    বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক মাদ্রাসাগুলি

    প্রসঙ্গত, এভাবেই পাকিস্তানের জেহাদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা মাদ্রাসা থেকেই নেয়। আজকের দিনে তাই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানে যেভাবে মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি তৈরি আঁতুড়ঘর করে ফেলেছে, সেই সমস্যা কি শুধু একা পাকিস্তানের নাকি সমগ্র পৃথিবীর? বিশেষত ভারতবর্ষকে একথা গ্রহণ মানতেই হবে যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নয় এটা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার দিকটিও উঠে আসছে। পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি যেভাবে জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন এবিষয়ে ভারতবর্ষের পদক্ষেপ করাও প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ, অঞ্চল ভিত্তিক পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তোলা এবং কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।

  • Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    Joint Military Briefing: “পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী,” বললেন এয়ার মার্শাল ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠক (Joint Military Briefing) করলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। উপস্থিত ছিলেন জল-স্থল ও আকাশ – তিন বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। সফল (DGMO) অপারেশন সম্পর্কে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, “আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু পাক সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নামে।” তিনি বলেন, “আফশোস এই যে পাক সেনা জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই উচিত বলে মনে করল। এই লড়াইয়ে তারা নিজেরাই ময়দানে নামল। আজ পাকিস্তানের যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী।”

    মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা (Joint Military Briefing)

    ভারতে ছিল মাল্টি লেয়ার এয়ার ডিফেন্সের ব্যবস্থা। লো লেভেল গান থেকে শুরু করে সারফেস টু এয়ার মিসাইল – সবই ছিল। এয়ার কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের লং রেঞ্জ মিসাইল, কপ্টার, ড্রোন সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউই আঘাত হানতে পারেনি। আমাদের আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব সময় কাজ করেছে।” প্রমাণ হিসেবে এদিন এয়ার মার্শাল একগুচ্ছ ছবিও দেখিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে চিনা পিএল-১৬ মিসাইল। জায়ান্ট স্ক্রিনে তার টুকরোগুলোও দেখানো হয়। দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের ছোড়া একটি রকেটের টুকরোও। পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসের কতটা ক্ষতি হয়েছে,  তাও দেখিয়েছেন (Joint Military Briefing) এয়ার মার্শাল একে ভারতী।

    কী বললেন ডিজিএমও? 

    ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, “পাকিস্তানের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা যেহেতু লাইন অব কন্ট্রোল পার না করেই আঘাত করেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম পাকিস্তানও বর্ডারের ওপার থেকেই হামলা করবে। তাই এয়ার ডিফেন্স জোরদার করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান পরপর আমাদের বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে হার মানতে হয় তাদের।” ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সব সিস্টেম পার করলেও এয়ারফিল্ডে পৌঁছতে পারবে না পাকিস্তান। এমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।” ভারতের সব এয়ারফিল্ড সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “বিএসএফের ডিজি থেকে শেষ জওয়ান পর্যন্ত প্রত্যেক সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে জঙ্গি কার্যকলাপের চরিত্র বদলেছে। এখন সাধারণ মানুষকে নিশানা করে জঙ্গিরা। পাক হামলা প্রতিহত করতে বিএসএফের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’’

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদও। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কে তিনি বলেন, “শত্রুপক্ষের কোনও বিমান কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকেও চিহ্নিত করতে সক্ষম ভারত।” এয়ার মার্শাল বলেন, “প্রয়োজন হলে আমাদের সব মিলিটারি বেস পরবর্তী (DGMO) মিশনের জন্যও প্রস্তুত হয়ে (Joint Military Briefing) যাবে।”

  • Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    Punjab Police: ভারতের সেনা ঘাঁটির তথ্য-ছবি টাকার বিনিময়ে তুলে দিত পাকিস্তানের হাতে, পাঞ্জাবে গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনা ঘাঁটির বিভিন্ন তথ্য ও ছবি তুলে দেওয়ার কারণে পাঞ্জাব (Punjab Police) থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জনকে। জানা গিয়েছে, ওই দুজনের নাম গুজালা এবং ইয়ামিন মহম্মদ। এই দু’জন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ একই অপরাধে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী জানাল পাঞ্জাবের প্রশাসন?

    পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) ডিজিপি গৌরব যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দুই অভিযুক্তের। পাকিস্তান থেকে সেনার বিভিন্ন ছবি ও তথ্যের বিনিময়ে দু’জনকে টাকাও পেমেন্ট করা হত বলে জানা গিয়েছে। মালেরকোটলার এসএসপি গগন অজিত সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গুজালাকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দ্বিতীয় অভিযুক্ত ইয়ামিন মহম্মদের খোঁজ পায় পুলিশ (Punjab Police)। সেনার এই গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে এই দুজনে। এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে কোচিতে গ্রেফতার এক

    অন্যদিকে, কোচির বন্দর পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে সে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান জানতে চেয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোঝিকোড়ের বাসিন্দা মুজিব রহমান কোচির নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ নাগাদ ফোন করে এবং জানতে চায় আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) অবস্থান ঠিক কোন জায়গায়! মুজিব রহমান ফোনে জানায়, তার নাম রাঘবন। সে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন করছে বলে জানায়। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ফোন কল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে আটক মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    Virat Kohli: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ বিরাট অধ্যায়! লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল বিরাট অধ্যায় (Virat Kohli)। লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিং কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর বিরাট কোহলিও সোমবার সমাজমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। রাখলেন না বিসিসিআই-এর অনুরোধ। দেশের হয়ে আর সাদা জার্সিতে দেখা যাবে না ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে। সাদা জার্সিটা তুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন কোহলি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে এই সিদ্ধান্ত জানান ‘চেজ মাস্টার’।

    বিদায়-বার্তায় কী লিখলেন কোহলি 

    সমাজমাধ্যমে কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

    হাসিমুখেই বিদায়!

    গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তারপর কোহলির এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব এতটাই ছিল যে, খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই মরিয়া হয়ে কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। যাতে জুন-জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল অনভিজ্ঞ না থেকে যায়, বোর্ডের তরফে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে খবর। তবে, দৈনিক জাগরণের একটি প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, কোহলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়নি। বরং, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা কোহলিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, খারাপ ফর্মের কারণে ভারতের টেস্ট দলে তাঁর জায়গা পাওয়ার নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর শেষ টেস্ট সিরিজে কোহলি পাঁচটি টেস্টে সাকুল্যে ১৯০ রান করেন। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩-এর সামান্য বেশি। আসলে সেই ১৯০ রানের মধ্যে ১০০ রান বিরাট একটি ইনিংসেই করেছিলেন। বাকি সিরিজে তাঁর সার্বিক অবদান ৯০ রানের। তবে পারফরম্যান্স যাই হোক তিনি কিং কোহলি। মাঠে তাঁর উপস্থিতি যে কোনও দলের কাছেই বড় ফ্যাক্টর।

    খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়

    সচিন-গাভাসকর পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ম্যস্ট্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আবেগঘন এক পোস্টে লিখলেন, ‘‘আমি কৃতজ্ঞতায় ভরা এক হৃদয় নিয়ে সরে যাচ্ছি, এই খেলাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি মাঠ শেয়ার করেছিলাম তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই এবং প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এই ফরম্যাট থেকে সরে আসার পরে মনে হচ্ছে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমি সর্বস্ব দিয়েছি এই ফরম্যাটে এবং এই ফরম্যাট আমাকে প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ শেষে কোহলি লেখেন, ‘‘আমি সবসময় আমার টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখে ফিরে তাকাবো।’’ দিনান্তে কোহলির নামের পাশে লেখা রইল ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ। ৯২৩০ টেস্ট রানের মালিক তিনি। ৩০টি সেঞ্চুরি তাঁর ঝুলিতে। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট পরিক্রমা শেষ হল কোহলির। মাঝে কেটে গেল দীর্ঘ ১৪ বছর।

    সচিনের একশোয় একশো ধরা হল না

    সচিনের একশোয় একশো ধরা আর হল না কোহলির। বিরাট (Virat Kohli) লিখলেন, #২৬৯, সাইনিং অফ। আসলে টেস্টে বিরাট যে ভারতীয় দলের ক্যাপ পরতেন, সেটার নম্বর ছিল ২৬৯। কারণ তিনি ভারতের ২৬৯তম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট খেলেছিলেন। কয়েকদিন আগে রোহিত শর্মাও যখন অবসর গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিজের টেস্ট ক্যাপের ছবি দেখিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল ২৮১। কারণ ভারতের ২৮১ তম খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের টেস্টে অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চান তিনি। সে কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আগেই জানান কোহলি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। কয়েক দিন আগেই রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এই অবস্থায় কোহলিকে হারানো মানে এক ধাক্কায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে বিশাল অভিজ্ঞতা সরে যাওয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

    নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কোহলি

    ব্যাটার কোহলিকে (Virat Kohli) আর লাল বলে দেখা না গেলে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। এমনটাই মনে করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তাই লারা বলেছিলেন, কোহলিকে বুঝিয়ে টেস্টে আরও খেলতে রাজি করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, কেরিয়ারের বাকি সময়টা কোহলি টেস্টে ৬০-এর বেশি গড়ে রান করবে। তবে লারার সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এখন শূন্যতা। বহু স্মৃতি রেখে গেলেন বিরাট কোহলি। সচিনের উত্তরসূরী দ্রুতই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কিন্তু কোহলির পর সেই শূন্যতা কি পূরণ করতে পারবেন গিল, যশস্বীরা?

  • Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Puri: নাম বিতর্ক সত্ত্বেও কেন হাজির দিঘায়? পুরীর দ্বৈতাপতি বরখাস্ত ৩০ দিনের জন্য, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি সেবায়েত রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রকে (Ramakrushna Dasmohapatra) ৩০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হল। জগন্নাথ ধাম লেখা থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন দিঘার মন্দিরে উদ্বোধনে হাজির ছিলেন! এই মর্মে তাঁর কাছ লিখিত জবাব চায় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মতো সেবায়ত রামকৃষ্ণ জবাবও দেন বলে জানা গিয়েছে। তবে উত্তরে খুশি নয় পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কঠোর পদক্ষেপ করা হল তাঁর বিরুদ্ধে। পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বরখাস্ত হওয়ার ফলে কী কী করতে পারবেন না রামকৃষ্ণ দাস?

    জানা যাচ্ছে, আগামী এক মাস ধরে, রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র (Ramakrushna Dasmohapatra) মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। অথবা কোনও পুজো বা সেবায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাদ্দি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেবায়েতের বিরুদ্ধে মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্ত অরবিন্দ পাদ্ধি নিজেই করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুরীর মন্দির প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা চিরাচরিত নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েতকে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    সমাজমাধ্যমে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, “দিঘা জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার বিতর্কে অনৈতিকভাবে জড়িত থাকায় দ্বৈতাপতি রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। পুরীর (Puri) মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ ধামের পবিত্র রীতি-নিয়ম পালনের বিষয়ে তিনিই সব জানান। পরে স্থানীয় প্রশাসন অপপ্রচার শুরু করে। দিঘা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে পুরীর জগন্নাথ ধামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ধর্মীয় ভাবাবেগে রামকৃষ্ণ দাস মহাপাত্র আঘাত করেছেন।” এরপর শুভেন্দু লেখেন, “এই দ্বৈতাপতিকে সাসপেন্ড করে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায় এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবে খুশি হবে।”

  • Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    Pakistan: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে ভারতকে দমানো যাবে না, হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমাণবিক বোমার জুজু দেখিয়ে যে ভারতকে আর আঘাত করা যাবে না, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। এয়ারবেসগুলির মতোই ভূপতিত পাকিস্তানের পরমাণু ভাঁওতাবাজি (Nuclear Deterrence)।

    কার্গিল যুদ্ধ (Pakistan)

    ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। তখনও দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রই ছিল। তবুও, সেই সংঘর্ষ সীমিত পরিসরেই নিয়ন্ত্রিত ছিল। যুদ্ধ হয়েছিল কার্গিলের কঠিন পার্বত্য এলাকায়। সেই সময়ও ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) অতিক্রম করবে না কিংবা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে কোনও টার্গেটে হামলা চালাবে না। তখন পড়শি এই দুই দেশই সদ্য পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠছিল। তারা তখনও ছিল কমান্ড ও কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ম্যাচিওরিং ডেলিভারি সিস্টেমের মধ্যে।পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত পাকিস্তানে যে অভিযান চালায়, তার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। কার্গিল যুদ্ধের চেয়ে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত তৈরি করেছে, যেখানে ভারত পরমাণু যুদ্ধের মধ্যে না গিয়েও পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

    পাকিস্তানের উসকানি

    আগের মতো এবারও ভারত-পাক সংঘাতের কারণ সেই পাকিস্তানের উসকানি। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। অন্যান্যবারের ঘটনাগুলির মতো এবার আর নয়াদিল্লি শুধু প্রতীকী বিমান হামলা বা এয়ারস্ট্রাইকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। কূটনৈতিকভাবেও শিক্ষা দিয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। এবার  পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার অর্থ, কয়েক দশকের সংযমের বাঁধ ভেঙে মারমুখী হয়ে উঠেছিল ভারত। তবে ভারত কেবল জঙ্গিঘাঁটিগুলিকেই টার্গেট করেছিল, পাকিস্তানের মতো নিরীহ মানুষকে মারেনি। ভারত জঙ্গিদের যেসব ডেরায় আঘাত করেছে, তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, আর ছিল মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার আস্তানা। এই দুটি জায়গায় যে কেবল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, তাই নয়, সংসদে হামলা, মুম্বই হামলা, পুলওয়ামাকাণ্ড এবং আরও বহু হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই দুই জায়গার (Nuclear Deterrence)।

    পাকিস্তানকে শিক্ষা ভারতের

    পাকিস্তানের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে গত ২৫ বছর ধরে এই ঘাঁটিগুলি থেকে ভারতে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল একের পর এক নাশকতার কাজ। ভারত উপযুক্ত জবাব না দেওয়ায় পাকিস্তানের মাথারা ভেবেছিলেন, সে দেশের পরমাণু শক্তিকে ভয় পাচ্ছে ভারত। এই ভাবনা থেকেই জঙ্গিরাও ছিল চিন্তামুক্তভাবে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র মাধ্যমে ভারত পাকিস্তান এবং তার আশ্রিত জঙ্গিদের বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত কী পারে, আর পারে না। অপারেশন সিঁদুরে ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দিয়েছে ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। এক সময় যেখানে জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর নীল নকশা কষা হত, পাকিস্তানের সেসব জায়গাই দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত।

    চ্যালেঞ্জ নিবি না…   

    এবং এখানেই থেমে থাকেনি (Pakistan) ভারত। পাকিস্তানের প্রতিটি প্রতিশোধের জবাবে ভারত আরও কঠোরভাবে আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এবং প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করে। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত অন্তত ১১টি পাকিস্তান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষম করে দেয়। ধ্বংস করে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদও। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটির ওপর হামলা, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে মাত্রই ১২ কিলোমিটার দূরে। এটি কেবল একটি কৌশলগত অভিযান ছিল না। এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত উত্তেজনা বৃদ্ধির পদক্ষেপ, পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। রাওয়ালপিন্ডির বিমানঘাঁটিতে হামলা  চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের ওয়ার মেশিনারি যেখান থেকে পরিচালিত হয়, তাও ভারতের নাগালের বাইরে নয় (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা ভারতের

    এই হামলা চালিয়ে ভারত পাকিস্তানকে স্পষ্ট দুটি বার্তা দিয়েছে। এক, পাকিস্তানের প্রচলিত সামরিক যন্ত্রে আঘাত হানার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। আর, দুই, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি হল, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি সত্ত্বেও ভারত পিছিয়ে থাকবে না (Nuclear Deterrence)। কার্গিল যুদ্ধের পর সবাই ভেবেছিল, পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় নয়াদিল্লির হাত-পা বাঁধা। আর রাওয়ালপিন্ডির নীতি ছিল, সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে ব্যবহার কর, বারবার ভারতকে উসকে দাও, এবং প্রতিশোধের সম্ভাবনা এলেই পারমাণবিক অস্ত্রের কার্ড দেখাও। ২০০১–’০২ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সেনা মোতায়েন করেছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত হামলা চালায়নি। কেউ কেউ এটিকে সংযমের উদাহরণ মনে করলেও, অন্যরা একে প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতির ব্যর্থতা হিসেবেই দেখেছে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ এই সমীকরণ বদলে দিয়েছে। ভারত এখন প্রমাণ করেছে যে তারা শুধু প্রতীকীভাবে নয়, প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করেও প্রতিশোধ নিতে পারে। পারমাণবিক সীমা লঙ্ঘন না করেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে পারে (Pakistan)।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্রেফ পহেলগাঁওয়ের প্রতিশোধ নেওয়া ছিল না। এটি ছিল কৌশলগত সমীকরণ পুনর্নির্ধারণের একটি প্রচেষ্টাও। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান এই বিভ্রমে ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা তাদেরকে ভারতকে “হাজার বার কাটা” নীতিতে রক্তাক্ত করার অবাধ সুযোগ দেয়। ইসলামাবাদের সেই বিভ্রম এখন ভেঙে চৌচির। ভারতের যে কোনও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের রূপ নেবে—বিশ্বের বহু দেশের এই আশঙ্কাকে নিশ্চিতভাবে ভুল প্রমাণ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই জয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা প্রতীকী নয়, অপারেশনাল দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত তাদের সামরিক প্রস্তুতি, সমন্বয় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার এমন এক মাত্রা দেখিয়ে দিয়েছে, যার জেরে তাদের আঘাত হয়েছে কার্যকর ও নির্ভুল লক্ষ্যে (Nuclear Deterrence)। দূরপাল্লার অস্ত্র থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, রিয়েল-টাইম নজরদারি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা—ভারত এমন বিভিন্ন ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যা তাদের সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাধান্য অর্জন করতে সাহায্য করেছে।

    ট্রাম্পের দ্বারস্থ পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পিছনে থাকা রাজনৈতিক সদিচ্ছাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারত শুধু হুঁশিয়ারিই দেয়নি, কার্যকর পদক্ষেপও করেছে। তারা প্রথমে আঘাত হেনেছে এবং বারবার হেনেছে। আর যখন পাকিস্তান প্রত্যুত্তর দিয়েছে, তখনও ভারত পিছু হটেনি। বরং তারা পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। যে জবাবের প্রেক্ষিতে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাই সংঘাত থামাতে তারা দ্বারস্থ হয়েছিল ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারতের দিকে পাকিস্তানই আগে বাড়িয়ে দিয়েছে শান্তি-বারতার হাত। ভারত যেহেতু যুদ্ধ-অশান্তি চায় না, তাই পাকিস্তানের শান্তিবার্তায় সাড়া দিয়েছে বুদ্ধের দেশ।

    পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু

    পাকিস্তান ভেবেছিল পারমাণবিক অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে ভারতকে চুপ করিয়ে রাখবে। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিল, পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ না করেও, বিশাল কিছু ক্ষতি না করেও তাদের উচিত শিক্ষা দিতে পারে। ভারতের এই পাল্টা ‘মারে’ পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, পারমাণবিক বোমার ছাতা আর নিরাপদ নয়, যেমন নিরাপদ নয় ভারতে জঙ্গি হামলা চালানো। মোদির নয়া ভারত জবাব দিতে জানে, জানে শত্রুকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় (Nuclear Deterrence)।

    ভারতের ভদ্রতা যে দুর্বলতা নয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে তা প্রমাণ করে দিল নয়াদিল্লি (Pakistan)।

  • Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    Operation Sindoor: ৭ মে-র ‘অপারেশন সিঁদুরে’ খতম ৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পাক-সন্ত্রাসী, জেনে নিন পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা (Pakistani Terrorist)। ধর্ম দেখে বেছে বেছে হত্য়া করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর মধ্যে একজন কাশ্মীরি যুবকও ছিলেন। এরপরেই হুঙ্কার ছাড়ে ভারত সরকার। গত ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে। এয়ার স্ট্রাইকে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয়। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয় ২৪টি জায়গায়। এই অভিযানেই খতম হয় পাকিস্তানের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি-নেতা।

    খতম ৫ কুখ্যাত জঙ্গির পরিচয়

    ১) মুদাসি্সর খাদিয়ান খাস ওরফে মুদাসি্সর ওরফে আবু জুন্দাল

    লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য তথা এই কুখ্যাত জঙ্গি নিহত হয় অপারেশন সিঁদুরে। লস্কর ঘাঁটি মুরিদকে গুঁড়িয়ে দেয় (Operation Sindoor) ভারতের সেনা। জানা গিয়েছে সেই লস্করের ঘাঁটি মারকজ তৈবার ইন-চার্জ ছিল এই মুদাসি্সর। এরই শেষকৃত্যে দেখা গিয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আবদুল রউফ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

    ২) হাফিজ মহম্মদ জামিল

    এই কুখ্যাত জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। এর আরও এক পরিচয় রয়েছে। মৌলানা মাসুদ আজহারের দাদা (Pakistani Terrorist)। বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের যে সদর দফতর ভারত গুঁড়িয়ে দেয় সেই মারকজ শুভান আল্লার ইন-চার্জ ছিল এই হাফিজ। মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে আনা এবং জইশ-ই-মহম্মদের আর্থিক ফান্ড জোগাড় করা তার কাজ ছিল।

    ৩) মহম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ জি ওরফে মহম্মদ সেলিম ওরফে ঘোসি সাহাব

    জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার। জানা যায়, এই কুখ্যাত জঙ্গিও মৌলানা মাসুদ আজহারের নিকটাত্মীয়। জইশের হয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত সে। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলার যুক্ত ছিল (Operation Sindoor) এই কুখ্যাত জঙ্গি। ১৯৯৯ সালে আইসি-৮১৪, কান্দাহার বিমান অপহরণে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল মহম্মদ ইউসুফ আজহার।

    ৪) মহম্মদ হাসান খান

    এই কুখ্যাত জঙ্গি ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। জানা গিয়েছে, এই হাসান খান জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার (পাক অধিকৃত কাশ্মীরের) মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির ছেলে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে নিযুক্ত ছিল সে। খতম হল অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor)।

    ৫) খালিদ ওরফে আবু আকাশা

    এই জঙ্গি নেতা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় নেপথ্যে (Operation Sindoor) এই খালিদ রয়েছে বলে জানা যায়। আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারেও তার নাম জড়িয়েছে।

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

LinkedIn
Share