Tag: bangla news

bangla news

  • Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার, গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025)। ফি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত (Rituals) হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’। ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। তাই ‘গুরু’ শব্দের অর্থ হল, ‘যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন’। গুরু আমাদের আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন। এক অর্থে তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। কেবল হিন্দুধর্ম নয়, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই এই তিন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছেন, তাঁরাই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন দিনটি। গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও।

    গুরুপূর্ণিমার তিথি (Guru Purnima 2025)

    হিন্দুদের একটি অংশ আদিগুরু মানেন মহর্ষি বেদব্যাসকে। এই তিথিতেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলেন। এই ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋক, সাম, যর্জু এবং অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ করেন। এ বছর গুরুপূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে, পূর্ণিমা ছাড়বে ১১ জুলাই রাত ২টো ৬ মিনিটে। হিন্দুদের বিশ্বাস, গুরুপূর্ণিমার দিনটি যে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করার জন্য শুভ। এদিন বাড়িতে যে কোনও শুভ কর্ম করলে গৃহের উন্নতি হয়। ধর্মীয় কাজের জন্যও দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপ গুরুমূর্তি

    হিন্দুদের আর একটি মতে, শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে গুরুমূর্তি বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং সপ্তঋষি এই দিনটিতে মহাদেবের কাছ থেকে পরম জ্ঞান লাভ করেন। তাই শিবই হলেন আদি গুরু। হিন্দুদের পাশাপাশি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন বৌদ্ধরাও। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পরে বুদ্ধগয়া থেকে সারনাথে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর পাঁচ পুরানো সঙ্গীকে প্রথম তাঁর বাণী প্রদান করেন। কারণ, বুদ্ধদেবের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজন তাঁর ধর্মের বাণী সহজে বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে পারবেন। এই দিনটিতেই তিনি তাঁদের সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন। তার ফলে ওই পাঁচজনও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন গুরুপূর্ণিমা তিথিতেই। বৌদ্ধরা অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করেন। এই দিনে তাঁরা বিপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধনা করেন গুরু নির্দেশিত পথে। নেপালে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনটি সে দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপাদেয় খাবার, মালা এবং দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি টপি নামক এক বিশেষ টুপি দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানান (Rituals)।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন জৈনরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন জৈনরাও। তাঁরা এই দিনটিকে পালন করেন ট্রিনোক গুহ পূর্ণিমা হিসেবে। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে এই দিনে চতুর্মার শুরুতে চার মাসের বর্ষাকালের পশ্চাদপসরণে ভগবান মহাবীর চব্বিশতম তীর্থঙ্কর কৈবল্য প্রাপ্তির পর ইন্দ্রভূতি গৌতমকে, পরে গৌতম স্বামী নামে পরিচিত, একজন গণধরা, তাঁর প্রথম শিষ্য, এভাবেই তিনি নিজেই একজন ট্রিনোক গুহ হয়ে ওঠেন।

    ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন সিংহলিরা

    সিংহলিরা এই  দিন থেকে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী। আর তাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা। জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন তাঁরা। ভিয়েতনাম, তিব্বত এবং কোরিয়ার বেশ কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠী এই সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র যান না। মায়ানমারেও অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন গুরু পূর্ণিমা।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) পালন করেন শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। এটি গুরু বা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। শিখ ধর্মে গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এদিন গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান ও নির্দেশনা লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয় (Rituals)। শিখদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল গুরুপূর্ণিমা। এদিন থেকেই গুরুদের দেখানো পথে চলতে প্রাণিত হন শিখেরা। গুরু পূর্ণিমা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ। এই দিনে শিখেরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে গুরুদের পূজা করে এবং তাঁদের শিক্ষাগুলি স্মরণ করে। গুরু পূর্ণিমার দিনে শিখেরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ করেন। গুরুদের জীবনী আলোচনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। গুরুপূর্ণিমা শিখদের জন্য একটি পবিত্র দিন (Rituals), যা তাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য উৎসর্গীকৃত (Guru Purnima 2025)।

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছেন ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। তাঁর এই মহাকাশে পাড়ি দেওয়া ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরোর মহাকাশ-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি—যেমন গগনযান, চন্দ্রযান-৪ ও চন্দ্রযান-৫—নতুন গতি পাচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ অভিজ্ঞতা গগনযান মিশনের গবেষণায় অনেক সাহায্য করছে। উদাহরণস্বরূপ, মহাকাশে কোয়ারেন্টাইনে থাকা, সেখানে মানসিক চাপ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, কী ধরনের ওষুধ প্রয়োগযোগ্য—এই সমস্ত দিকগুলোতে নতুনভাবে তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে (Indian Space Innovation)।

    অ্যাক্সিয়াম-৪ মিশনে কাজ করেছেন ইসরোর ৭ বিজ্ঞানী

    একই সঙ্গে, শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে উপস্থিতি ভারতের অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যে মহাকাশযানে করে তিনি গিয়েছেন—সেই Axiom-4 (অ্যাক্সিয়াম-৪) মিশনে কাজ করেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা, যার মধ্যে ইসরোর বিজ্ঞানীর সংখ্যা ছিল ৭ জন। তাঁরা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

    কোন কোন দিক উঠে আসছে গবেষণায়

    মহাকাশে শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) অবস্থানের ফলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় যে নতুন দিকগুলো উঠে আসছে, তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

    মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব না থাকায়, সেখানে ভারতীয় ফসলের বীজ কীভাবে রোপণ করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

    এ ছাড়াও মহাকাশে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সম্পর্কেও নতুন তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। মাধ্যাকর্ষণশূন্য পরিবেশে মানুষের শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, স্বাভাবিক থাকতে গেলে কী ধরনের থেরাপি ও ট্রিটমেন্ট দরকার হয়—সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।

    তাছাড়া, নভোচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গবেষণা হচ্ছে—কীভাবে তাঁরা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করেন, মহাকাশে মানানসই জীবনশৈলী কেমন হওয়া উচিত, সেসব বিষয়ও গবেষণার আওতায় এসেছে।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ৫ জুলাই নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) গবেষণা করেছেন মহাকাশে মানুষের হাড় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে বিষয়ে। এর পাশাপাশি তিনি মানবদেহের কোষ মহাকাশে কেমনভাবে বিকশিত হয় ও পুনর্গঠন হয়, তাও গবেষণার বিষয় করেছেন।

    আরও একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হল—মহাকাশে চারা গাছ রোপণ। দেখা গেছে, শুভাংশু শুক্লা মেথি ও মুন (মুগ)—এই দুটি চারা গাছ রোপণ করেছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

  • PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Namibia: হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক! দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর, নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ফের তাঁর মুকুটে নয়া পালক। এবার দক্ষিণ-পশ্চিম অফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। পাঁচ দেশ সফরের অন্তিম পর্যায়ে বুধবার নামিবিয়ায় (Namibia) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর প্রথম নামিবিয়া সফর। সেই দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনেও ভাষণ দেন মোদি (PM Modi in Namibia)। প্রায় আধ ঘণ্টার সেই ভাষণের পরে, সেখানকার সাংসদরা নিজেদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদনও জানান।

    নামিবিয়ায় সর্বোচ্চ সম্মান

    নামিবিয়ায় (PM Modi in Namibia) সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ব্রাজিলের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। আর নামিবিয়ায় তিনি পেলেন সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব দ্য মোস্ট অ্যানসিয়েন্ট ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিস’ (Order of the Most Ancient Welwitschia Mirabilis)। বুধবার, মোদির হাতে এই সম্মান তুলে দেন নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো নন্দী-নদাইতওয়াহ (Netumbo Nandi-Ndaitwah)। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা পায় নামিবিয়া। ১৯৯৫ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। অসামান্য কাজ, পরিষেবা ও নেতৃত্বের জন্য সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নামিবিয়ার এক জনপ্রিয় মরুভূমির গাছ ওয়েলউইতশিয়া মিরাবিলিসের নামেই ওই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে। এই নিয়ে মোদির ঝুলিতে এল ২৭টি আন্তর্জাতিক সম্মান।

    নামিবিয়ান ড্রাম বাজান মোদি

    ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার আফ্রিকার দেশটিতে যান নমো (PM Modi in Namibia)। উইন্ডহোক-এর হোসিয়া কুটাকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মোদিকে স্বাগত জানান নামিবিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা মন্ত্রী সেলমা আশিপালা-মুসাভ্যি। এক হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তে মোদি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নামিবিয়ান ড্রাম বাজান, যা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে নামিবিয়ায় অভ্যর্থনা জানানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি নেতুম্বো বৈঠকে বসেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এই দুটি দেশ চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নামিবিয়ায় একটি উদ্যোগ বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগ সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য গঠিত জোট (CDRI)-এর আওতায় একটি কাঠামো এবং গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স-এর অংশ হিসেবে একটি কাঠামো। কূটনৈতিক মহল মনে করছে ভারত-নামিবিয়া (India-Namibia Relation) সম্পর্কে নতুন গতি আনবে এই পদক্ষেপ।

    হীরের মতো উজ্জ্বল সম্পর্ক

    নামিবিয়া (India-Namibia Relation) বিশ্বের অন্যতম বড় হীরে উৎপাদক দেশ, আর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরে পালিশ শিল্পের কেন্দ্র। তাই দুই দেশের সম্পর্ক হবে হীরের মতো উজ্জ্বল। নামিবিয়ার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নামিবিয়ার সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন গণতন্ত্র এবং নামিবিয়া ও ভারতের মধ্যে একাধিক বিষয়ে মিল থাকার কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত এবং মূল্যবোধ ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্নের দ্বারা সংযুক্ত। আগামী সময়েও, আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করে যাব এবং উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হাঁটব।

    সংসদে চিতা প্রসঙ্গ

    ভারতকে (India-Namibia Relation) উপহার হিসেবে চিতা দিয়েছিল নামিবিয়া। সেখানকার সংসদে দেওয়া ভাষণে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই চিতাকে ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং নামিবিয়ার মধ্যে সহযোগিতা, সংরক্ষণ এবং করুণার এক শক্তিশালী ইতিহাস রয়েছে। আপনারা আমাদের দেশে চিতা পুনঃপ্রবর্তনে সাহায্য করেছিলেন। আপনাদের উপহারের জন্য আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ।’ এখন ওই চিতাগুলি ভালো আছে এবং তাদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির সফরের গুরুত্ব

    বিগত এক দশকে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) একের পর এক দেশ সফর করেছেন। পেয়েছেন একাধিক দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যখন ভারত সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, তখন দুই ভিন্ন মহাদেশে গিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রাপ্তি কূটনৈতিকভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর বিশেষ করে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলেই মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করার পর এবার পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট (Microsoft)। ২০০০ সালে পাকিস্তানে কাজ শুরু করেছিল এই সংস্থা। যদিও এখানে কোনও দিনই মাইক্রোসফটের পূর্ণাঙ্গ কর্পোরেট অফিস ছিল না। তবে শাহবাজ শরিফের দেশে (Pakistan) এন্টারপ্রাইজ, শিক্ষা এবং সরকারি খাতে মাইক্রোসফটের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। সংস্থা পাততাড়ি গুটোনোয় আশঙ্কিত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও।

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের অবদান (Microsoft)

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফট সংস্থা উচ্চশিক্ষা কমিশন ও পঞ্জাব গ্রুপ অফ কলেজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যাতে মাইক্রোসফট টিমসের মতো প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটার দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং দূরশিক্ষা দেওয়া যায়। পাকিস্তানের সরকারি খাতে মাইক্রোসফট ২০০টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সমাধান দিয়েছে। এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন কোর্স করানোর মতো উদ্যোগেও জড়িত এই টেক জায়ান্ট। সেই সংস্থাই এবার ব্যবসা গুটোচ্ছে পাকিস্তান থেকে।

    কী বলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার

    কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ মাইক্রোসফট পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রহমান বলেন, সংস্থার এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাওয়াদ। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে একটি ইঙ্গিত স্পষ্ট, সেটি হল পাকিস্তানের বর্তমান পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বড় সংস্থাগুলিকে। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, এক অধ্যায়ের অবসান হল।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের (Microsoft) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অস্থিতিশীল মুদ্রার দর, জটিল বাণিজ্য নীতির কারণে পাকিস্তানে কাজ করতে অসুবিধা বোধ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সেক্টরের কাছে বড় ধাক্কা। যেখানে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে, আর্থিক উন্নতির কোনও দিশা নেই, সেখানে মাইক্রোসফটের মতো বড় সংস্থার বিদায়ের সে দেশের অর্থনীতির হাল যে বেহাল হবে, তা বলাই বাহুল্য।

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা ভেবেছিল। কিন্তু স্থিতাবস্থার অভাবে সংস্থাটি বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করে ভিয়েতনামকে। তার পর থেকেই আস্তে আস্তে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করে মাইক্রোটেক (Microsoft)।

  • Ramakrishna 405: শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি, সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান

    Ramakrishna 405: শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি, সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান

    তারক বিবাহ করিয়াছেন। বাপ-মা ঠাকুরের কাছে আসিতে দেন না। কলকাতায় বউবাজারের কাছে বাসা আছে — সেখানেই আজকাল প্রায় থাকেন। তারককে ঠাকুর বড় ভালবাসেন। সঙ্গে ছোকরাটি একটু তমোগুণী; ধর্ম বিষয়ক, ঠাকুরের সম্বন্ধে একটু ব্যঙ্গ ভাব। তারকের বয়স আন্দাজ বিংশতি বৎসর। কারও কাছে ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের বন্ধুর প্রতি —
    “একবার দেবালয়ে সব দেখে এসো না।”

    বন্ধু:
    “ও, সব দেখা আছে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ:
    “এনিই হেডমাস্টার?”

    বন্ধু:
    “ও।”

    ঠাকুর তারককে কুশল প্রশ্ন করিতেছেন, আর তাহাকে সম্বোধন করিয়া অনেক কথা কইতেছেন। তারক অনেক কথাবার্তার পর বিদায় গ্রহণ করিতে উদ্বুদ্ধ হইলেন। ঠাকুর তাহাকে নানা বিষয়ে সাবধান করিয়ে দিতেছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি: “সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান। মেয়ে-মানুষের মায়াতে একবার ডুবলে আর উঠবার জোর নাই। বিষালক্ষীর দোয়ায় যে একবার পড়েছে, সে আর উঠতে পারে না। আর এখানে এক-একবার আসবি।”

    তারক:
    “বাড়িতে আসতে দেয় না।”

    একজন ভক্ত:
    “যদি কারুর মা বলেন, ‘তুই দক্ষিণেশ্বরে যাস না’, যদি দিব্যি দেন, আর বলেন — ‘যদি যাস, তো আমার রক্ত খাবি!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ বলেন — যে ‘মা’ ও কথা বলে, সে মা নয়; সে অবিদ্যারূপিণী। সেই মায়ের কথা না শুনলে কোনো দোষ নেই, কারণ সে মা ঈশ্বরলাভের পথে বাধা দেয়। ঈশ্বরের জন্য গুরুজনের বাক্য লঙ্ঘনে দোষ নেই। ভরত রামের জন্য কৈকেয়ীর কথা শোনেনি, গোপীরা কৃষ্ণ দর্শনের জন্য স্বামীদের মানা শোনেনি, প্রহ্লাদ ঈশ্বরের জন্য পিতার কথা মানেনি, বলি ভগবানের প্রীতির জন্য গুরু শুক্রাচার্যের কথা মানেনি, বিভীষণ রামকে পাওয়ার জন্য রাবণের কথা শোনেনি।

  • Daily Horoscope 10 July 2025: বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 July 2025: বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত (India)। নয়াদিল্লির প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, আগের মতো কাজ চালিয়ে যাওয়া পদ্ধতি সম্ভবত সেই ফল এনে দেবে না, যা বৈশ্বিক সম্প্রদায় আফগান (Taliban) জনগণের জন্য কল্পনা করে।

    জার্মানির খসড়া প্রস্তাব (India)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সেখানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গ্রহণ করা হয় জার্মানির প্রস্তাবিত একটি খসড়া প্রস্তাব। প্রস্তাবটি ১১৬টি ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে  ২টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। এর মধ্যে ছিল ভারতও।

    কেন ভোট দেয়নি ভারত

    কেন ভোটদানে বিরত ছিল ভারত? এর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পার্বতনেনি হরিশ বলেন, “সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে কোনও সুসংগঠিত নীতির মধ্যে নীতিগত উপকরণগুলির একটি সুষম সংমিশ্রণ থাকতে হবে — যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহ দেওয়া হবে এবং ক্ষতিকর কাজকর্মকে নিরুৎসাহিত করা হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র দণ্ডমূলক পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করে কোনও কৌশল সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। রাষ্ট্রসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য সংঘাত-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সূক্ষ্ম পন্থা গ্রহণ করেছে।” হরিশ বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টা পরিচালিত হওয়া উচিত এমনভাবে যাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা মনোনীত সত্তা ও ব্যক্তিবর্গ, আল কায়েদা ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠী, আইএসআইএল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি — যার মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো গোষ্ঠী ও তাদের আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষকরা (Taliban) অন্তর্ভুক্ত — যাতে আর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করতে (India) না পারে।” ভারতের নিশানায় যে পাকিস্তান, তা স্পষ্ট এই ইঙ্গিতেই।

    আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি

    খসড়া প্রস্তাবটি আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক অংশীদার এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির অবদানকে আফগান জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছে। এর মধ্যে ভারতের, ইরানের ও তুরস্কের মতো দেশগুলির প্রদত্ত শিক্ষার সুযোগ এবং কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে আফগান শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত। এই সুযোগগুলি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের প্রতি আঞ্চলিক ঐক্য ও বিনিয়োগের একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে তালিবানকে তাদের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং এই বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার সুবিধা নিতে প্রয়োজনীয় কাঠামো গঠনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    এশিয়ার ‘ল্যান্ড ব্রিজ’

    প্রস্তাবটি আফগানিস্তানের সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করতে পারে। এছাড়া আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তঃআঞ্চলিক অর্থনৈতিক (Taliban) প্রক্রিয়ায় একীভূত হওয়াকেও স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে (India)। এটি আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যেখানে দেশটি এশিয়ার একটি ‘ল্যান্ড ব্রিজ’ হিসেবে কাজ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ভারতের মানবিক সহায়তা দান

    এছাড়াও প্রস্তাবটিতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে আঞ্চলিক সংযুক্তি প্রকল্পগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যেগুলি দেশটিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নিতে যেতে পারে। হরিশ বলেন, “আফগানিস্তানে ভারতের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে মানবিক সহায়তা দান এবং আফগান জনগণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ বাস্তবায়ন।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও খেলাধুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আফগান জনগণকে সাহায্য করা যায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রমাণিত হয়েছে দেশের সকল প্রদেশজুড়ে ৫০০-রও বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে (India)।”

    তালিবানের কাবুল দখল

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের (Taliban) অগাস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ভারত প্রায় ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম, ৩৩০ মেট্রিক টনেরও বেশি ওষুধ ও টিকা, ৪০,০০০ লিটার কীটনাশক মালাথিয়ন এবং ৫৮.৬ মেট্রিক টন অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করেছে। ভারতের এই সাহায্য চরম সংকটে থাকা লাখো আফগানকে সাহায্য করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দফতর (UNODC)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে, ভারত আফগানিস্তানে মাদক নিরাময় কর্মসূচির জন্য, বিশেষ করে নারীদের জন্য ৮৪ মেট্রিক টন সহায়তা ও ওষুধ এবং ৩২ মেট্রিক টন সামাজিক সহায়তা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারত এখনও আফগান ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি ও ফেলোশিপ দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সাল (Taliban) থেকে ভারত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রায় ২,০০০ জন আফগান শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নারী (India)।

  • India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোর বর্তমানে ১-১। লর্ডস টেস্ট জিতলেই সিরিজে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে লর্ডস টেস্টটা চ্যালেঞ্জিং করতে ইংল্যান্ডের অস্ত্র সবুজ পিচ। অনুশীলনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লর্ডসে পিচের উপর সবুজ আস্তরণ। এক নজরে দেখলে মাঠ আর পিচের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হবে। তবে, বুধবার খেলার আগের দিন সকালে কিছুটা ঘাস ছাঁটা হল লর্ডসের। আসলে এজবাস্টনে যশপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় পেস ব‌্যাটারি যেভাবে ইংল‌্যান্ড ব‌্যাটিংকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, তাতে ব্রেন্ডন ম‌্যাকালামের টিম পুরোপুরি সবুজ উইকেট খেলার সাহস মনে হয় না দেখাবে। তবে একটা কথা ঠিক, লর্ডসের উইকেট পেসারদের অনেক বেশি সাহায‌্য করবে। সেটাই ভারতীয় পেসারদের আরও তাতিয়ে দিচ্ছে।

    লর্ডসে জয়ের আশা

    সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লর্ডসের মাটিতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামবে ভারতীয় দল। পরিসংখ্যান বলছে, এখানে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে দুইটিতে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবে গৌতম গম্ভীরের ছাত্ররা। তৃতীয় টেস্টের আগে সবচেয়ে বড় খবর হল অভিজ্ঞ পেসার বুমরা ফিরছেন একাদশে। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে বুমরা লর্ডস টেস্ট খেলবেন। বুমরার ফিরে আসা দলের বোলিং ইউনিটে নতুন গতি ও ধার যোগ করবে নিঃসন্দেহে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বল হাতে দারুণ লড়াই করেছেন মহম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ, তবে বুমরার মতো ম্যাচ উইনার বোলারের প্রত্যাবর্তন যেকোনো দলের জন্য বিশাল স্বস্তির। বুমরা ফিরলে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।

    ইংল্যান্ডের দলে পরিবর্তন

    অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দলেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই তারকা পেসার জোফরা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসন দলে ফিরছেন। দুর্বল বোলিং আক্রমণ তাদের প্রথম দুই টেস্টে ব্যাকফুটে রেখেছিল। আর্চার ও অ্যাটকিনসন ফিরলে দলে ভারসাম্য আসবে। তারা ব্রাইডন কার্সে ও জশ টাংয়ের জায়গা নিতে পারেন। বিকল্প হিসেবে ক্রিস ওকসকে বাদ দিয়ে জশ টাংকে রাখা হতে পারে। ব্যাটিং লাইনআপেও পরিবর্তন হতে পারে—ফর্মহীন জ্যাক ক্রলি’র জায়গায় ঢুকতে পারেন জ্যাকব বেথেল।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, কে এল রাহুল, করুণ নায়ার, শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির

  • CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বরাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থানকে ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ (Pakistan China Bangladesh)। ত্রিশক্তির এই আঁতাত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল (CDS Gen Chauhan) অনিল চৌহান। তিনি বলেন, “এই তিনটি দেশের মধ্যে আঁতাত হলে তা গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।”

    পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন! (CDS Gen Chauhan)

    ভারতকে ‘টাইট’ দিতে পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন। এদিনের অনুষ্ঠানে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেনারেল চৌহান বলেন, “দেশের সামরিক ভান্ডার সুসজ্জিত করতে গত পাঁচ বছরে চিনের কাছ থেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে পাকিস্তান। চিনের সামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বহিরাগত শক্তিগুলি তাদের প্রভাব কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছে।” ভারতের সুরক্ষায় এই প্রভাব দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে দাবি করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। নয়াদিল্লির এই অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। পাল্টা আক্রমণ করে পাক সেনা। এর পর ৭-১০ মে পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। শেষে নরেন্দ্র মোদির ভারতের বিক্রমের কাছে হার মানে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই পাকিস্তানের তরফে আসে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিনের অনুষ্ঠানে অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Gen Chauhan)। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এটি কয়েকদিনের একটি সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছিল। তবে এটা ঠিক যে, এই সময়ে দেশের উত্তর সীমান্তে কোনও সমস্যা করেনি শি জিনপিংয়ের দেশ চিনের সেনাবাহিনী (Pakistan China Bangladesh)।” তিনি বলেন, “পারমাণবিক কোনও শক্তির দ্বারা তাদের দমানো যাবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তবে এই প্রথম পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ সরাসরি জড়িয়ে পড়ে সামরিক সংঘাতে।” চৌহান বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র আবিষ্কারের পর থেকে বিশ্বজুড়ে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।” তিনি বলেন, “সেই সব ঘটনার বিচারে অপারেশন সিঁদুর খানিক আলাদা। এর থেকে দেশ তথা বিশ্ব আগামী দিনে শিক্ষা নিতে পারবে।”

    কী বললেন চৌহান?

    তাঁর যুক্তির সমর্থনে এদিন তিনটি মৌলিক মতামত তুলে ধরেন চৌহান। তিনি বলেন, “প্রথমত, ভারতের পারমাণবিক মতবাদে এই শক্তিকে সর্বপ্রথম ব্যবহারের কোনও জায়গা নেই। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে। দ্বিতীয়ত, জবাবি হামলায় ভারত শুধু জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে।” তিনি বলেন, “বিষয়টি বাকিদের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার মতো শোনালেও, আগামী দিনে এই হামলা রুখতে ভারতের প্রয়োজন ছিল এই পদক্ষেপের (CDS Gen Chauhan)।”

    সেনা সর্বাধিনায়কের বক্তব্য

    সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, বর্তমানে যুদ্ধের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে (Pakistan China Bangladesh)। ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল, হাইপারসোনিক অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা সম্পূর্ণ রক্ষা পাওয়ার পদ্ধতি বিশ্বের কোনও দেশের কাছেই নেই। ফলে ভারতকে পুরানো এবং নতুন উভয় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান।

    সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

    গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। বাংলাদেশের রাশ ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। আর শুনতে খারাপ লাগলেও, তাঁর আমলেই বাংলাদেশে চরমে ওঠে হিন্দু নির্যাতন। মন্দির-বিগ্রহ ভাঙচুরের পাশাপাশি নির্বিচারে খুন করা হয় হিন্দুদের। সীতা-সাবিত্রীর ধর্মের মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরিরত হিন্দু পদাধিকারীদের রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় কোনও কারণ ছাড়াই। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র (CDS Gen Chauhan)। তার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এহেন আবহে সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    চৌহান বলেন, “চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য স্বার্থের মিল রয়েছে (Pakistan China Bangladesh), যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি এবং যার প্রভাব ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পড়তে পারে (CDS Gen Chauhan)।”

  • Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (UP) মিলল ধর্মান্তর চক্রের বড়সড় হদিশ। রাজ্য পুলিশ ও সন্ত্রাসবাদ দমন স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে মেলে এই চক্রের হদিশ। অভিযোগ, এই চক্র পরিচালনা করছিল জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা (Islamic Conversion Racket)। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতারণা ও প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরিত করা। ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে শান্তি, সম্প্রীতি ও নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোনও ঠাঁই নেই। ছাঙ্গুরবাবাকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যা অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।”

    অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ (Islamic Conversion Racket)

    উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি, জামালউদ্দিন এই বাড়ি থেকেই অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ শুরু করেছিল। লখনউ থেকে মুম্বই পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই চক্রের জাল। জামালউদ্দিনের লোকজন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, টোপ দিয়ে, কখনও আবার ভয় দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করত। এজন্য লেনদেন হত বিপুল পরিমাণ টাকা। জামালউদ্দিনের ফাঁদে পড়ে কিছু মানুষ মুসলিম হওয়ার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চক্রের কথা। তদন্তে নামে এটিএস। এই গ্যাংয়ের বাকিদের গ্রেফতার করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

    ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড়

    তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড় বিস্তৃত আন্তর্জাতিক পর্যায়েও, বিশেষ করে আরব আমিরশাহিতে। জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাংলোয় তার সঙ্গে থাকত নিতু রোহরা, নবীন রোহরা ও তার মেয়ে। এই তিনজনকেই জামালউদ্দিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছিল। বাড়িটিতে থাকত জামালউদ্দিনের ছেলে মেহবুবও। চারজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই পাঁচ বছরে নিতু আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল ১৯ বার। এটিএস জেনেছে (Islamic Conversion Racket), নিতু, তার স্বামী নবীন রোহরা এবং তাদের মেয়ে ২০১৫ সালে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ধর্মান্তরণের সার্টিফিকেট নিয়েছিল। যদিও তাদের পাসপোর্টের রেকর্ডে ভ্রমণের তারিখ নিয়ে অসঙ্গতি রয়েছে।

    পাঁচ বছরে ১৯ বার আরবে!

    মাত্র পাঁচ বছরে এতবার নিতু কেন আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল, বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখছে এটিএস। জামালউদ্দিনের অপারেশন ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত। সে একাধিক ভুয়ো ট্রাস্ট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মধ্যে ছিল “আস্বি এন্টারপ্রাইজেস”, “আস্বি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট”, “আসিপিয়া হাসনি হুসেইনি কালেকশন” এবং “বাবা তাজউদ্দিন আস্বি বুটিক”। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত বিদেশি তহবিলকে সাদা করার (মানি লন্ডারিং) জন্য ব্যবহৃত হত। ধর্মান্তরকরণের উদ্দেশ্যেই এই অর্থ আসত বিদেশ থেকে। এসব ভুয়ো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে (UP) যুক্ত আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা দেখেন, জামালউদ্দিন ৬ লাখ টাকা একটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। এনইএফটির মাধ্যমে স্থানান্তর করেছিল ১০ লাখ টাকাও। এছাড়াও তার সহযোগীদের সঙ্গে আরও অনেক সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে (Islamic Conversion Racket)।

    নেটওয়ার্ক বিস্তৃত বহুদূর

    জামালউদ্দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিল পুনের ইদুল ইসলাম। সে এই নেটওয়ার্ক বিস্তারে সাহায্য করত। জামালউদ্দিন অন্যান্য রাজ্যেও জমি ও সম্পত্তি কিনে অপারেশনাল বেস গড়ে তুলেছিল। এসটিএফ জানিয়েছে, জামালউদ্দিনের পুনেতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। লোনাভালায় তার এক সহযোগী মহম্মদ আহমেদ খানের নামে ১৬ কোটি টাকার একটি সম্পত্তিও সে কিনেছে।

    মিলত মোটা অঙ্কের ইনাম

    এই ধর্মান্তর চক্রে জড়িত মুসলিম পুরুষদের টাকাও দেওয়া হত। কোনও হিন্দু মহিলাকে প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তর করলেই জুটত মোটা অঙ্কের ইনাম। যেসব মহিলাদের ধর্মান্তর করা হত, তাঁদের জাত অনুসারে ঠিক হত টাকার অঙ্ক। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা শিখ নারীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্ততর করতে পারলেই মিলত ১৫-১৬ লাখ টাকা। মহিলা যদি ওবিসি সম্প্রদায়ের হলে মিলত ১০-১২ লাখ টাকা। অন্যান্য জাতের মহিলাদের ধর্মান্তর করতে পারলে মিলত আরও কম টাকা। এর পরিমাণ ৮-১০ লাখ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন করতেই শুরু হয়েছিল এই ‘ব্যবসা’। প্রসঙ্গত, এই মডেলটি অনেকটা বেওয়ার মুসলিম গ্যাং কেসের মতো। সেখানে হিন্দু স্কুলছাত্রীদের টার্গেট করে শোষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের জন্য একইরকম পন্থা অবলম্বন করা হত (Islamic Conversion Racket)।

    রাজনীতির কারবারি থেকে ধর্মান্তর চক্রের চাঁই!

    জামালউদ্দিন ছিল রেহরা মাফি গ্রামের বাসিন্দা। সস্তার আংটির (UP) ফেরিওয়ালা ছিল সে। ২০১৫ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে গ্রামপ্রধান হয় সে। তার পর থেকেই দ্রুত ঘুরতে থাকে তার ভাগ্যের চাকা। রাজনীতিতে ‘মধু’র স্বাদ পেয়ে ছেলে মেহবুবকেও রাজনীতিতে নিয়ে আসে জামালউদ্দিন। যদিও তার পরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল টাকা খরচ করেও আর জিততে পারেনি সে। রাজনীতির এই ‘কারবারে’র পাশাপাশি জামালউদ্দিন বিস্তার করতে থাকে ধর্মান্তর চক্রের জাল। এজন্য অর্থও আসতে থাকে বিদেশ থেকে। রাতারাতি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায় জামালউদ্দিন। সে একাধিক সম্পত্তি কেনে, নির্মাণ করে শোরুম, বানায় বিলাসবহুল বাড়ি, কেনে দামী দামী গাড়িও (Islamic Conversion Racket)।

    মঙ্গলবার কোতোয়ালির উতরৌলায় মধুপুরে জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বাড়িটি (UP)। সেটি খালি করার জন্য তাকে তিনবার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল (Islamic Conversion Racket)।

LinkedIn
Share