Tag: bangla news

bangla news

  • RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) পঞ্চ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান একটি দিক হল রাষ্ট্রের উন্নয়নে পারিবারিক জ্ঞান বা কুটুম্ব প্রবোধন। পরিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতির কোনও অর্থ হয় না। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারত পারিবার এবং সমাজের মধ্যে বিশেষ সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভাবনায় কুটুম্ব প্রবোধন (Enlightenmentkutumb) একান্ত প্রয়োজন।

    কেন পরিবারবোধ (RSS)?

    যৌথ পরিবার (Enlightenmentkutumb), সংগঠিত পরিবার, নিরাপদ পরিবার এবং সমৃদ্ধ পরিবার হল সুখি পরিবার সুস্থ পরিবারের ভিত্তি। পশ্চিমবিশ্বের প্রভাবে ভারতীয় দেশীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের উপর চরম প্রভাব পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের নানা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য, পরম্পরা, সংস্কৃতির মূলে বিদেশি শক্তি বারবার আঘাত করছে। দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে সঙ্ঘ পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বলেছে। উত্তর প্রজন্মের কাছে পরিবারবোধ, আত্মিকতাবোধকে ভালো করে বোঝানো একান্ত প্রয়োজন। এটাই সঙ্ঘের (RSS) মন্ত্র।

    পরিবার কীভাবে ভাঙে?

    যৌথ পরিবারের ভাবনার গুণে ভারত মহৎ। কিন্তু নগরায়ন, লর্ড মেকলের শিক্ষানীতি, সামাজিক মাধ্যম আমাদের সমাজকে ভিতর থেকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরিবার থেকে মানুষকে ক্রমে ক্রমে বিছিন্ন করেছে। দাম্পত্য জীবনের অশান্তি, বিচ্ছেদ, নিউক্লিয়ার জীবন, সিঙ্গেল মা, সিঙ্গেল বাবাদের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। মানুষের পারিবারিকবোধে যে একাত্ম ভাবনা ছিল তা ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। আর তাই সঙ্ঘ (RSS) পারিবারিকবোধের উপর জোর দিয়েছে। পরিবার (Enlightenmentkutumb) ত্যাগ করলে নানা সমস্যার উদ্ভব হয়।

    পরিবার কেন প্রয়োজন?

    ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের এনএফএইচএস-৫-তে বলা হয়েছে একক পরিবারের অনুপাত ভারতে ৫৮.২ শতাংশ। দম্পতির মধ্যে জটিল উদ্বেগ, মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব, সন্তান পরিচালনা, শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফলেছে। লিভ ইন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য ভয়াবহ। ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে। অনেক সময়েই এলজিবিটিকিউ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রকৃতি সুলভ আচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত সম্পর্ক। আমাদের জন্য যারা চিন্তা করে তাদের প্রতি চিন্তার অবসরকে ধ্বংস করে দেয়।

    আবার পরিবার না থাকলে একাকীত্ব, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের প্রভাবও বেশি বেশি হয়। শিশু এবং বয়স্কদের মনে এবং শরীরে খুব প্রভাব পড়ে। নীতি-নৈতিকতার অভাব হয় পরিবারবোধ না থাকলে। তাই সঙ্ঘ (RSS) মনে করে সমাজকে নির্মাণ করতে গেলে ব্যক্তি, পরিবার, দেশ এবং রাষ্ট্রে পারিবারিকবোধ (Enlightenmentkutumb) একান্ত জরুরি।

  • ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব, দিল্লি জয়ের পর এবার হায়দ্রাবাদেও গেরুয়া ঝড়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির লাগাতার জয়ে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক জয়ের উল্লাস। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন এক চেটিয়া দখল করেছিল বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (HCU) ছাত্র সংসদ দখল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ফল প্রকাশের পর জয়ী এবিভিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপর দিকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত টুকরে টুকরে গ্যাং ক্রমশ আরও কোনঠাসা হওয়ার পথে।

    সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবিভিপি

    হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির (ABVP) পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকের আসনে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির জয়ী প্যানেলে রয়েছেন, শিব পালেপু, দেবেন্দ্র, শ্রুতি, সৌরভ শুক্লা, জ্বালা প্রসাদ এবং ভেনাস। তবে এই নির্বাচনে বামপন্থী এবং কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে অত্যন্ত লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়ে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে এবিভিপির মুখপাত্র (HCU) অন্তরীক্ষ বলেছেন, “এই জয় শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভেদমূলক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক। বামপন্থীদের তীব্র উপস্থিতি সত্ত্বেও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এবিভিপির সাফল্য ব্যাপক। সমস্ত রকমের অপশক্তিকে পরাজয় করতে ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় সংকল্পই ফুটে উঠেছে।”

    ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল

    জানা গিয়েছে, ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে (HCU) এনএসইউআই নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। তবে তেলেঙ্গানায় সরকার যেখানে কংগ্রেসের, সেখানে এই জয় এবিভিপির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। বিপরীত শক্তির সরকার থাকা সত্ত্বেও সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মৌলিক চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াগুলিকে নিয়ে কাজ করার ভাবনাই রাষ্ট্রবাদী শক্তিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোট ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভোটের ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোটাররা ক্যাম্পাস উন্নয়নের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন। মোট ৪৫ রাউন্ড গণার পর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এবং সেবালাল বিদ্যার্থী দল (এবিভিপি-এসএলভিডি) জোট মোট ৬টি পদে জয়ী হয়।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    Maoist Leader: প্রকাশ্যে অভয়ের চিঠি, শেষমেশ কি তবে ভাঙন ধরল মাও-শিবিরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী শিবিরে কি তাহলে শেষমেশ ভাঙন ধরল? মাওবাদীদের মুখপাত্র ও পলিটব্যুরো সদস্য (Maoist Leader) অভয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে অস্ত্র সমর্পণ এবং শান্তি আলোচনা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসায় মাও-শিবিরে ফাটল ধরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। দিন কয়েক আগেই একটি চিঠি এবং একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে (Abhays Call For Surrender)। এগুলি আসল বলেই নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দারা। তবে সিপিআই মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটি ওই ঘোষণা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটি দলের সরকারি অবস্থান নয়, অভয়ের ব্যক্তিগত মতামত। এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ফাটল ধরেছে মাওবাদীদের সংগঠনে। প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি বিবৃতিও। এটি নাকি মাওবাদীদের তেলেঙ্গনা কমিটির মুখপাত্র জগনের লেখা।

    কী লিখলেন জগন (Maoist Leader)

    তিনি অভয়ের অবস্থানের সমালোচনা করেন। জগন লেখেন, “যদি অভয় তাঁর মতামত সঠিক পার্টি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতেন, তবে তিনি উত্তর পেতেন।” তিনি বলেন,  “বরং, এ ধরনের একটি গুরুতর বিষয়কে এভাবে প্রকাশ্যে আনা পার্টির ভেতরে এবং বিপ্লবী শিবিরে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তিনি যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তা আন্দোলনের কাজে আসছে না, বরং তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মল্লোজুলা ভেনুগোপাল রাও, নিহত শীর্ষ নকশাল নেতা মল্লোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের ভাই, যিনি ‘অভয়’ এবং ‘সোনু’ নামে পরিচিত। তিনি মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্য। এগুলি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা।

    অভয়ের চিঠি

    গত ১৫ অগাস্ট লেখা চিঠিতে (Maoist Leader) অভয় অন্যান্য বামপন্থী চিন্তাবিদ, কর্মী এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ও অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকেও মতামত চান। তিনি তাঁদের বলেন, অস্ত্র সমর্পণ প্রসঙ্গে তাঁদের মতামত যেন ইমেইল বা একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে অভয়ের একটি ছবি-ও যুক্ত ছিল। এর উত্তরে জগন সংঘাতের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সারা দেশে অসংখ্য বুদ্ধিজীবী, সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে অনেক রাজ্যে সভা-সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জোরালোভাবে কাগার যুদ্ধ অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছে। এর পরেও বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে (Abhays Call For Surrender) যে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, সংবিধান ও আইন অমান্য করে, তারা যে করেই হোক এই নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই অভিযানে হামলা আরও বেড়েছে (Maoist Leader)।”

  • Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    Trump Tariffs: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ান তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু (Trump Tariffs) উপেক্ষা করেই চলতি মাসে ভারত ব্যাপকভাবে আমদানি বাড়িয়েছে রাশিয়ান তেলের (Russian Oil)। ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন রাশিয়া থেকে প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনছে। অগাস্টের তুলনায় চলতি মাসে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।

    বাড়তি ছাড় (Trump Tariffs)

    এই বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য রাশিয়ার দেওয়া বাড়তি ছাড়। জুলাই মাসে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ থেকে ২.৫ মার্কিন ডলার, সেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩–৪ ডলার। এর ফলে আগামী মাসগুলিতেও ভারতে যে রাশিয়ান তেলের প্রবাহ বজায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ান তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। বর্তমানে ভারত ও ব্রাজিল এই দুই দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব চেয়ে বেশি শুল্কের মুখোমুখি, উভয়ের ক্ষেত্রেই এই হারের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। তবুও ভারত এখনও রাশিয়া থেকেই অন্য যে কোনও সরবরাহকারীর তুলনায় বেশি অপরিশোধিত তেল কিনছে। ভারতীয় রিফাইনারিগুলি সরবরাহের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও আফ্রিকান কয়েকটি দেশ থেকেও তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত।

    বাজার দর

    সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজার দর অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৮.৪৫ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার ইউরালস প্রকারভেদ, যা ভারত বিপুল পরিমাণে আমদানি করে, তার দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬২.৮৯ মার্কিন ডলার। এর ওপর মস্কো অতিরিক্ত ৩–৪ ডলার ছাড় দিচ্ছে (Russian Oil)। তাই ভারতীয় জীবাশ্ম জ্বালানি কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ব্যারেল প্রতি ৫৮–৫৯ ডলার (Trump Tariffs)। সম্প্রতি ব্রেন্ট ও ইউরালসের বাজার মূল্যের ব্যবধান গড়ে প্রায় ৬ মার্কিন ডলার হয়েছে।
    বর্তমানে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৬.৬৮ মার্কিন ডলার, আর ইউরালসের দাম ৬৩.১৯ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার সর্বশেষ দেওয়া ছাড় হিসেব করলে দেখা যায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি প্রতি ব্যারেল মাত্র ৫৯–৬০ মার্কিন ডলারে চুক্তি করছে। এটি রাশিয়ার তেল সরবরাহকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে (Trump Tariffs)।

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

  • Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    Sabarimala Gold Scandal: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শবরীমালা মন্দির থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)। নথিপত্র খতিয়ে দেখে এমনই অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। শবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহের দু’পাশে রয়েছেন দুই দ্বারপাল। এঁদের গা থেকেই খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার আস্তরণ। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেটি পাঠানো হয়েছিল চেন্নাইয়ে। এটা করতে গিয়ে মন্দির কমিটি কেরল হাইকোর্টের একটি নির্দেশ অমান্য করে।

    সোনাকাণ্ডে সুস্পষ্ট অসঙ্গতি (Sabarimala Gold Scandal)

    আদালতের নির্দেশ ছিল, সোনা সংক্রান্ত সব কাজ মন্দির প্রাঙ্গণেই করতে হবে। সোনা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেই হাইকোর্ট সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেয়, বোর্ড যেন সেই সোনার আস্তরণ ফিরিয়ে আনে। এর জবাবে বোর্ড আদালতকে জানায় যে সোনা ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে গলানো হয়ে গিয়েছে, আর ফেরত আনা সম্ভব নয়। পরে বোর্ড এই ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে চেন্নাইয়েই কাজ শেষ করার অনুমতি চায়। আদালত অনুমতি দিলেও নির্দেশ দেয় যে দেবস্বম ভিজিল্যান্স এসপি যেন সরানো সোনার ওজন এবং অন্যান্য বিস্তারিত নথিপত্র আদালতে পেশ করেন। নথিপত্র খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট কয়েকটি সুস্পষ্ট অসঙ্গতি লক্ষ্য করে। রেকর্ড থেকে জানা যায় যে একই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ২০১৯ সালেও করা হয়েছিল। তবে আদালত লক্ষ্য করেছে, সেই সময় ৪২.৮ কিলোগ্রাম সোনা পাঠানো হলেও মেরামতের পরে ফেরত এসেছিল মাত্র ৩৮.২৫৮ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ, হাওয়া হয়ে গিয়েছে ৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা (Sabarimala Gold Scandal)।

    সোনার বদলে তামার ফলক!

    আদালত লক্ষ্য করেছে যে, নথি অনুযায়ী ‘তামার ফলক’ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হলেও, বাস্তবে পাঠানো হয়েছিল সোনার ফলক। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা একটি ভুল, যা আসল সত্য গোপন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। আদালত আরও জানিয়েছে, সোনার ফলকগুলি যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই হস্তান্তর ও পরিবহণ করা হয়েছিল এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যাঁরা করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেবস্বম বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। আদালত আরও জানিয়েছে যে, চেন্নাইয়ের স্মার্ট ক্রিয়েশনসে কাজ শেষ হওয়ার আগে সোনার ফলক পৌঁছতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। আদালত (Kerala High Court) বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে (Sabarimala Gold Scandal)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮–১৯ পর্বে শবরীমালা আন্দোলন চলছিল। ওই সময় কেরল রাজ্য সরকার মন্দিরে বামপন্থী মহিলাদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে মন্দিরকে অপবিত্র করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় হাজার হাজার ভক্ত প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন। ওই বছর মন্দির চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনুমান, মন্দির পরিচালনাকারী নাস্তিকরা এটিকে মন্দিরের ধন-সম্পদ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবেই দেখেছিল (Sabarimala Gold Scandal)।

  • PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    PMO: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে ‘বিগ ফোর’ কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তুলতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় অ্যাকাউন্টিং ফার্মগুলিকে জনপ্রিয় ‘বিগ ফোর’ (ইওয়াই, ডেলোইটি, কেপিএমজি এবং পিডাব্লুসি) কোম্পানির ধাঁচে গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। বৈঠকে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলি হল বিধিনিষেধ সহজীকরণ, কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাগুলির যৌক্তিকীকরণ, যা দেশীয় অডিট এবং কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তুলতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় (Self Reliance)। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল বৈশ্বিক জায়ান্ট কোম্পানিগুলির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং অডিট ও কনসালটেন্সি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়া। একই সঙ্গে এমন বিশ্বমানের ভারতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেগুলি ‘বিগ ফোর’র সমতুল হবে এবং এর মাধ্যমে ভারত ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অডিট ও কনসালটেন্সি শিল্পে একটি দৃঢ় বৈশ্বিক অবস্থান অর্জন করতে পারবে।

    বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন (PMO)

    এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শক্তিকান্ত দাস। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থমন্ত্রক এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকটি এমন একটি সময়ে হতে যাচ্ছে যখন কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দেশীয় অথচ বিশ্বমানের বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে। এর লক্ষ্য হল, একটি ছাতার মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেখানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কোম্পানি সেক্রেটারি, আইনজীবী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন।

    বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম

    বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এমন বহুবিষয়ক কনসালটেন্সি ফার্ম তৈরিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল এসব বাধা সহজ করা এবং দেশে বিশ্বমানের অডিট ও কনসালটেন্সি ফার্ম গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া। এছাড়াও যেসব অন্তরায় রয়েছে সেগুলিও দূর করার চেষ্টা করা হবে। যেমন বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, বিভিন্ন পেশাদার পরিষেবার জন্য সিঙ্গল-উইন্ডো লাইসেন্স ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেম চালু করা, বৈশ্বিক সহযোগিতার জন্য সহায়তা, পুঁজি সঙ্কট দূরীকরণ এবং অর্থ সংগ্রহের সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি (PMO)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্তত চারটি বড় দেশীয় অডিট ও পরামর্শদানকারী সংস্থা গড়ে তোলা এবং তাদের (Self Reliance) বিকাশে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেগুলিকে বিশ্বের শীর্ষ আটটি কোম্পানির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে (PMO)।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Durga Puja 2025: নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা, নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা পুজিত হন নয়টি ভিন্ন রূপে

    Durga Puja 2025: নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা, নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা পুজিত হন নয়টি ভিন্ন রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণে আছে, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার (Durga Puja 2025) অকাল বোধন করেছিলেন। এই নিয়ম মেনে আশ্বিন মাসে শারদীয়া দুর্গাপুজো করে থাকে গোটা বাঙালি সমাজ। কিন্তু দুর্গাপুজোর আসল সময় হল বসন্ত ঋতুতেই, যা দেবী বাসন্তীর পুজো হিসেবে পরিচিত। বাংলায় দুই পুজোই হয়ে থাকে, কিন্তু শরৎকালের পুজো হল প্রধান এবং বড় পুজো। নবরাত্রির সঙ্গে দেবী দশভূজার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিথি-নক্ষত্র মিলিয়ে একই রীতিনীতির মধ্যেই পুজো করা হয়ে থাকে।

    কবে পালিত হয় (Durga Puja 2025)?

    বসন্ত ঋতুতে চৈত্র মাসে যে নবরাত্রি (Navratri) পালন করা হয়, তাতে দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga) নয়টি অবতারে পুজো করা হয়। শরৎকালের পুজোও হয় একই ভাবে। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী তিথি পর্যন্ত ন’দিন ধরে দেবী দুর্গার ন’টি রূপের পুজো করা হয়। শরতের এই নবরাত্রিকে শারদীয় নবরাত্রিও বলা হয়। দুর্গার এই ন’টি রূপের নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। নবরাত্রির এক একটি তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত, দেবী দুর্গা এক এক রূপে পূজিতা হন।

    দেবীর নয় রূপ

    দেবী দুর্গার ন’টি অবতার হল, দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী। তিথি মেনে টানা নয় দিন ধরে পুজো করে মায়ের কাছে বর চেয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির জাগরণের জন্য কামনা করা হয়। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি, অর্থধন লাভ, সন্তানদের সাফল্য, পারবারিক সুখ সমৃদ্ধি এবং নারী শক্তির জাগরণের আশায় ভক্তরা এই নবরূপে দেবী দুর্গা মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। এ বছর, দেবী দুর্গা (Durga Puja 2025) মা গজে চড়ে পরিবারের সঙ্গে মর্ত্যে বাপের বাড়িতে আসছেন। নবরাত্রির পর আবার দোলায় করে কৈলাসে পাড়ি দেন মা দুর্গা।

    দেবী শৈলপুত্রী

    দেবী শৈলপুত্রী হলেন হিমালয়ের কন্যা। তাঁর স্বামী হলেন ভগবান শিব। তাঁর দুই সন্তান কার্তিক এবং গণেশ। দক্ষরাজের কন্যা হলেন সতী। সতীর অপর নাম শৈলপুত্রী। এই দেবীর (Durga Puja 2025) পুজো করা হয় নবরাত্রির প্রথম দিনে।

    দেবী ব্রহ্মচারিণী

    দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga) দ্বিতীয় অবতার। তাঁর পুজো করা হয় নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে। দেবী দুর্গার তপস্যার প্রতীক হলেন দেবী ব্রহ্মচারিণী। তিনি ভগবান ব্রহ্মার মার্গের পথে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করে ছিলেন। এই দেবীর সাধানায় পরিবারে মঙ্গলকামনা এবং বিদ্যা-বুদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা হলেন দেবী দুর্গার (Goddess Durga) তৃতীয় রূপ। বাঘের উপর উপবিষ্ট থাকেন স্বয়ং দেবী। অসুর বিনাশিনী দেবী। তাঁর দশ হাতে পদ্ম, গদা, ত্রিশূল, তলোয়ার, তীরধনুক ইত্যাদি দশ অস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। দেবীর মস্তকে অর্ধচন্দ্র অবস্থান করে। তাই দেবীকে চন্দ্রঘণ্টা নামে ডাকা হয়। এই দেবী অভয়ার প্রতীক।

    দেবী কুষ্মাণ্ডা

    দেবী কুষ্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ অবতার। এই দেবী (Durga Puja 2025) স্বয়ং ব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অনাহত চক্রে মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেন। এই দেবীর আরাধনায় পারিবার সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকে।

    দেবী স্কন্দমাতা

    দেবী স্কন্ধ হলেন পঞ্চম অবতার। তিনি ভক্তের কাছে মুক্তি এবং শক্তির প্রতীক। তিনি এই রূপে সিংহবাহনা। ত্রিনয়নী এবং চারটি মস্তকে সজ্জিত। স্কন্দের জননী হওয়ায় তাঁকে স্কন্দমাতা বলা হয়। এই দেবীর পুজোতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।

    দেবী কাত্যায়নী

    দেবী কাত্যায়নী হলেন মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2025)। তিনি হলেন মায়ের ষষ্ঠ অবতার। সকল অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে অসুরদের বিনাশ করে থাকেন। বৈদিক যুগে কাত্যায়ন নামে এক ঋষি ছিলেন। সেই সূত্রেই এই নামকরণ হয়েছে কাত্যায়নী।

    দেবী কালরাত্রি

    দেবী কালরাত্রি হলেন দুর্গার (Goddess Durga) সপ্তম অবতার। সব রকম রাক্ষস এবং ভূতেদের বিনাশ করে থাকেন এই দেবী। অসুর বিনাশিনী উগ্ররূপিণী রূপ অশুভ শক্তিকে স্বমূলে উৎখাত করেন।

    দেবী মহাগৌরী

    মহাগৌরী হলেন দেবীর অষ্টম অবতার। তিনি হলেন ভক্তের সমৃদ্ধি এবং সুখ প্রদানের দেবী। অর্থ সমৃদ্ধি এবং কল্যাণময় বার্তা আসে।

    দেবী সিদ্ধিদাত্রী

    সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2025) দেবী হলেন মহাসিদ্ধি প্রদানের দেবী। নবরাত্রিতে (Navratri) দেবী দুর্গার নবম অবতার এবং ভগবান শিবের পত্নী। তাঁকে সিদ্ধিদাত্রীকে বলা হয় শিবের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে।

LinkedIn
Share