Tag: bangla news

bangla news

  • India Pauses Boeing Jet Deal: ট্রাম্পের শুল্কের পাল্টা ভারতের, বোয়িংয়ের সঙ্গে ৩১৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত

    India Pauses Boeing Jet Deal: ট্রাম্পের শুল্কের পাল্টা ভারতের, বোয়িংয়ের সঙ্গে ৩১৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘প্রত্যাঘাত’ করল ভারত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ৩১,৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি স্থগিত করল নয়াদিল্লি।

    মার্কিন শুল্কের জবাব ভারতের

    রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘সাজা’ হিসাবে ভারতের উপর শুল্কের উপর শুল্ক চাপিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৭ আগস্ট আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। এর ফলে আমেরিকায় পণ্য রফতানি করতে গেলে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। ট্রাম্পের এই শুল্ক-যুদ্ধের আবহে এতদিন কোনও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ভারত। পরখ করছিল পরিস্থিতি। এবার, সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। নিল বড় পদক্ষেপ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্কবাণের জবাবে এবার আমেরিকাকে বড় ধাক্কা দিল ভারত। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার জন্য আমেরিকার কাছ থেকে বোয়িং নির্মিত ৬টি পি-৮আই পোসাইডন সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করেছিল ভারত। এখন সেই চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।

    চুক্তি করতে ঢিলেমি আমেরিকার

    বর্তমানে ভারতের কাছে ১২টি বোয়িং পি-৮আই পোসাইডন বিমান রয়েছে। ২০০৯ সালে সেগুলি বোয়িং থেকে কিনেছিল ভারত। সেই সময় এই বিমানগুলির প্রথম ক্রেতা হয়ে উঠেছিল ভারত। এই বিমানগুলি সমুদ্রে নজরদারির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিমানগুলি অত্যন্ত আধুনিক এবং উন্নত। শত্রু দেশের উপর নজর রাখার জন্য এই বিমানগুলি অত্যন্ত জরুরি। ফলত, ২০২১ সালে অতিরিক্ত ৬টি বিমান কেনার চুক্তি করা হয়। সেই সময় চুক্তির অঙ্ক ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু, আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করে।

    ফ্রান্স থেকে কেনার প্রস্তুতি

    অতঃপর, গত জুলাই মাসে বোয়িংয়ের সঙ্গে নতুন করে প্রায় ৩১,৫০০ কোটি টাকার চুক্তিটি করে ভারত। এখন ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধের আবহে এই চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হয় ভারত। এখন এই চুক্তি যদি পুরোপুরি বাতিল হয়, তাহলে তা হবে বোয়িং-এর কাছে তা হবে বড়সড় ধাক্কা। বিপুল আর্থিক ক্ষতি পূরণ করা তাদের পক্ষে সহজ হবে না। কারণ, বিমান তৈরিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে সংস্থাটি। এদিকে, সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ফ্রান্স থেকে বিকল্প যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

    ঝুকেগা নেহি ভারত…

    বিশ্লেষকদের মতে, ৩১,৫০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করে ভারত শুধু আমেরিকাকে নয়, গোটা বিশ্বকে একটি কড়া বার্তা দিল যে তারা আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত করবে না। গতকালই, ভারত জানিয়েছে, কোনও দেশের স্বাধীনভাবে বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। অন্য কোনও রাষ্ট্রের হুমকির ফলে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানো অনুচিত। একইসঙ্গে, তারা আবারও রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করল। রাশিয়াও ভারতের এই অবস্থানে সমর্থন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে হুমকি দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করছেন। এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী।

  • NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    NCERT Textbooks: মোদি জমানায় ভারতের বীর জওয়ানরা স্থান পাচ্ছেন স্কুলপাঠ্য বইয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের যেন ভারতের সামরিক বাহিনীর গৌরব সম্পর্কে ধারণা হয়, এ নিয়েই উদ্যোগ নিল মোদি সরকার (NCERT Textbooks)। বৃহস্পতিবারই তারা ঘোষণা করেছে যে, এবার সামরিক বাহিনীর বীরদেরও পড়ানো হবে স্কুলে এবং তাদের জন্য আলাদা অধ্যায়ও থাকবে বইয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন — ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ, ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ওসমান, এবং মেজর সোমনাথ শর্মা।

    কোন কোন ক্লাসে পড়ানো হবে এই তিন বীরের জীবনী

    ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষেই এনসিআরটি-র বইগুলোতে (NCERT Textbooks) এই ভারতীয় বীরদের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত সরকারের সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন অধ্যায় থাকবে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে, অষ্টম শ্রেণির উর্দু বইয়ে এবং সপ্তম শ্রেণির উর্দু বইতেও। এর উদ্দেশ্য হল, যাতে স্কুলপড়ুয়ারা ভারতীয় বীরদের দায়িত্ববোধ, কর্তব্য, সাহস ও উদ্যম সম্পর্কে প্রেরণা পায়। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India war Heroes)।

    তিন সামরিক বীরের কথা পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হবে, তাঁদের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ

    যিনি পরিচিত ছিলেন “শ্যাম বাহাদুর” নামে। তিনি ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রথম অফিসার, যিনি ফিল্ড মার্শাল হিসেবে ফাইভ-স্টার র‍্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। ১৯১৪ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন মানেকশ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭–৪৮ সালের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ— সবেতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    ব্রিগেডিয়ার মহাম্মদ ওসমান (India war Heroes)

    তাঁকে বলা হয় “লায়ন অফ নওশেরা”। ১৯১২ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমান ছিলেন ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে অন্যতম সামরিক অফিসার, যিনি দেশভাগের সময় পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেন এবং দেশেই থেকে যান। ১৯৪৭–৪৮ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তাঁর অসামান্য সাহস ও নেতৃত্ব সামনে আসে (NCERT Textbooks)। ১৯৪৮ সালের ৩ জুলাই তিনি শহিদ হন।

    মেজর সোমনাথ শর্মা (NCERT Textbooks)

    তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সামরিক অফিসার, যিনি প্রথম পরম বীর চক্র সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।

  • SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    SIR: কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার নয়, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচনী দফতর, চিঠি গেল কমিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের ২৪টি জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের প্রায় ৫ শতাংশ জেলায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাবে এই তালিকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সবিস্তারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর।

    এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট

    ভোটার লিস্ট সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এসইও-র দফতর রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট একত্রিত করে তা সবিস্তার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এসআইআর হলে রাজ্যের সিইও-র দফতর যে এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই প্রস্তুত রয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, এ বার থেকে আর কোনও বুথেই ১২০০ বেশি ভোটার থাকবে না। ওই সূত্র জানাচ্ছে, সেই নীতিনির্দেশিকা মেনে রাজ্যের ৮০৬৮০টি বুথ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের সংখ্যা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

    প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা

    সিইও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা হবে সম্পূর্ণ সুসংগঠিত। সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ফর্ম পূরণ করা হবে এবং তা যাচাই করা হবে। তবে ২০০২ সালের প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি, যাদের অভিভাবকদের নাম সেই তালিকায় আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। তবে, যারা নতুন ভোটার, অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম নেই, তাঁদের পৃথক ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি

    অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনও পরিস্থিতিই থাকতে দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্তাদের উদ্দেশে মমতা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। মমতার বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনও কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

  • India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে অতিষ্ঠ ভারত-ব্রাজিল (India Brazil Relation)। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার। সূত্রের খবর, আসন্ন ব্রিকস ফোরামে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে একটি যৌথ ও সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যেই এই ফোনালাপ (PM Modi talk with President Lula)। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    কেন কথা দুই দেশের

    এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে দেশের উপরে শুল্ক বা ট্যারিফ বসিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ট্য়ারিফ ভারত ও ব্রাজিলের (India Brazil Relation) উপরেই। ভারতের উপরে যেমন তাঁর রাগ রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য, তেমনই আবার ব্রাজিলে স্রেফ পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জয়েস বলসেনারোকে ফিরিয়ে আনতে শুল্কের খাঁড়া বসিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছিলেন, ফোন করতে হলে তিনি ট্রাম্পকে নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করবেন। যেমন বলা তেমন কাজ। গতকালই তিনি মোদিকে ফোন করেন এবং এক ঘণ্টা কথা বলেন। এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-ব্রাজিল পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা ফলপ্রসূ বললেন মোদি

    সমাজমাধ্যমে মোদি জানিয়েছেন, এর আগে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ব্রিকস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল। তার পরে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’ নিয়ে ফোনালাপে ‘ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি, বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রাজিল দুই দেশ কৌশলগত ভাবে পরস্পরকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। মোদীর দাবি, এর ফলে দক্ষিণের দেশগুলিও উপকৃত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদীর কাছে প্রথম ফোন এসেছিল ব্রাজিলের তরফেই। জানা গিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ও।

    ভারতে আসবেন লুলা

    সমাজমাধ্যমে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এক তরফা শুল্ক আরোপ’-এর পরে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ও ব্রাজিল দু’টি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহত্তম সংহতি ‘অন্বেষণ’-এ জোর দিচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ব্রিকসের একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন লুলা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে ব্রাজিলের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই ধরনের শুল্ককে “অস্থিতিশীল” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তিনি সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভারতে আসবেন। লক্ষ্য হবে মূলত বাণিজ্য। উপস্থিত থাকবেন সে দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরাও। আলোচনা হতে পারে খনিজ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। লুলার আরও দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Raksha Bandhan: এসে গেল পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসব, কখন লাগছে পূর্ণিমা? রীতি পালনের নিয়ম জানেন তো?

    Raksha Bandhan: এসে গেল পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসব, কখন লাগছে পূর্ণিমা? রীতি পালনের নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan)। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ক ও ভালবাসার প্রতীক হল রাখি বন্ধন উৎসব। যদিও শুধুমাত্র ভাই-বোন নয়, ভারতবর্ষে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের হাতে রাখি পরিয়ে সূচনা হয় এক শক্তপোক্ত সম্পর্কের বুনিয়াদ। প্রতিবছর রাখি বন্ধনের সময় বহু মানুষ একে অপরের অপরের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হন। অপরদিকে বোনেরা অপেক্ষা করেন তাদের ভাই কিংবা দাদাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেবেন।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন। এই রাখি বন্ধন উৎসবের ৫ দিন আগে ঝুলনযাত্রা এবং ৭ দিন পরে জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

    রাখিবন্ধনের ঐতিহাসিক ঘটনা

    বর্তমান যুগে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে গোটা বাংলায় জ্বলছে আগুন। ব্রিটিশদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের জন্য হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্য বা একতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেন। তিনি ঢাকা ও সিলেট থেকে মুসলিম ভাই-বোনদের কলকাতায় আহ্বান করেন এবং রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। ভারতের ইতিহাসে চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার সময় এই রাখি বন্ধন হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব

    রাখি বন্ধনের হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি বন্ধনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য

    এই রাখি মূলত কোন সুতো বা কাগজের জিনিস নয়, এটি এক ধরনের রক্ষাকবচ যা ভাইদের সমস্ত রকমের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে এই দিন দাদারা প্রতিজ্ঞা করেন জীবনের সব কঠিন পরিস্থিতিতে বোনের পাশে দাঁড়ানোর। প্রত্যেক বোনের কাছে এই রাখি বন্ধন অত্যন্ত বিশেষ একটি দিন, যাকে ঘিরে বহু প্রচলিত নিয়ম রয়েছে। যেগুলি অনেকেই মনে-প্রাণে মেনে চলেন।

    এবছর রাখি পূর্ণিমা কবে ও কখন?

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর রাখি পূর্ণিমা (Raksha Bandhan 2025) পড়েছে ৯ অগাস্ট, শনিবার। এবছর শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথি আজ, শুক্রবার ৮ অগাস্ট দুপুর ২টো ১৩ মিনিটে শুরু হচ্ছে এবং পূর্ণিমা ০৯ আগস্ট দুপুর ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। ফলত, উদয় তিথি অনুযায়ী, আগামিকাল ৯ অগাস্ট পালিত হবে রাখি বন্ধন উৎসব। তবে, বোনেরা শুক্রবারও ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে পারেন। তবে, সূর্যাস্তের পরও রাখি বাঁধার নিয়ম নেই। তাই তার আগেই রাখি বন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো, ১২ তারিখ সকালে পূর্ণিমা তিথি থাকাকালীন রীতি পালন করতে হবে।

    রাখি বন্ধনে কী করবেন ও কী করবেন না—

    • রাখির উপহারের তালিকায় তোয়ালে কিংবা রুমাল রাখবেন না।
    • ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেওয়ার সময় কালো রঙের পোশাককে অনেকে এড়িয়ে যাওয়া শুভ বলে মনে করেন।
    • বোনকে উপহার দেওয়ার সময় ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে সেই তালিকায় যেন কোনও ধারালো জিনিস না থাকে।
    • বহু জায়গা প্রচলিত রয়েছে, যতক্ষণ না ভাইদের হাতে রাখি পরানো হয় ততক্ষণ বোনেরা নুন জাতীয় কোনও খাবার খান না।
    • রাখির মঙ্গল থালায় জ্বলন্ত প্রদীপ, কুমকুম এবং চন্দন রেখে তারপরেই রাখি পরাবেন।
    • রাখি বন্ধন শেষে কোনওভাবেই ভাইদের কালো রঙের কোনও উপহার দেবেন না।
    • রাখি পরানোর সময় নোনতা খাবারের পরিবর্তে যতটা সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার দেবেন।
    • ভাইদের উদ্দেশ্যে আনা রাখি, হাতে বাঁধার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ বাড়ির ইষ্ট দেবতার চরণে রেখে দেবেন।
    • আসনে ভাইদের পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসাবেন। তারপর হাতে রাখি বেঁধে দেবেন। দক্ষিণ দিকে বসিয়ে রাখি বাঁধাকে অশুভ বলে মনে করা হয়।

  • Breastfeeding: স্তন্যপান করানোর সময় এই দিকগুলোতে নজর দেওয়া জরুরি মায়েদের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Breastfeeding: স্তন্যপান করানোর সময় এই দিকগুলোতে নজর দেওয়া জরুরি মায়েদের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সদ্যোজাতের শরীরের পাশপাশি মায়ের শরীরেও গভীর প্রভাব পড়ে। আজীবন সেই জের থাকে। তাই সন্তান জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস স্তন্যপান করালে শিশুর পাশপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের উপরেও সূদুরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। ১ অগাস্ট থেকে ৭ অগাস্ট— এই সাত দিন বিশ্ব জুড়ে স্তন্যপান সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সদ্যোজাতের প্রথম ছ’মাস খাবার হিসাবে মায়ের দুধ সবচেয়ে উপকারি। তবে সদ্যোজাতের পাশপাশি মায়ের শরীরের জন্যও স্তন্যপান করানো খুবই জরুরি এবং উপকারি। তবে স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের শরীরের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবেই শিশুর ছ’মাস বয়স পর্যন্ত স্তন্যপান করানো সম্ভব হবে। শিশু এবং মা, সবরকম উপকার পাবে‌।

    স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে মহিলাদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়। বিশেষত একাধিক হরমোনের ভারসাম্যের পরিবর্তন হয়। স্তন্যপান করালে সেই হরমোন ভারসাম্য সহজেই বজায় থাকে। স্বাস্থ্যের উপরে যার গভীর প্রভাব পড়ে‌।

    গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলার ওজন বেড়ে যায়। অনেক সময়েই সন্তান প্রসবের পরেও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই বাড়তি ওজনের সমস্যার জেরে বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই হাঁটু ও কোমড়ের ব্যথা হয়‌‌। এছাড়াও কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের কারণ হয় এই বাড়তি ওজন‌। কিন্তু সন্তানকে জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরের বাড়তি ক্যালোরি সহজেই ক্ষয় হয়। স্থূলতা এড়াতে এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে সন্তান জন্মের পরে, স্তন্যপান করানো মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারি।

    জরায়ুর ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে মায়েদের স্তন্যপান করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে মহিলাদের শরীরে হরমোন নিঃসরণে নানান পরিবর্তন হয়। স্তন্যপান করালে দ্রুত শরীরে হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। এর ফলে জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে অধিকাংশ মা একধরনের মানসিক অবসাদে ভোগেন। সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সেটা মায়ের মানসিক চাপ কমায়। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটি বিশেষ উপকারি।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের জন্মের পরের প্রথম ছমাস মা ও সন্তানের জন্য এই স্তন্যপান খুবই জরুরি। কিন্তু স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই মায়ের শরীর সুস্থ থাকবে। সন্তানকেও ঠিকমতো স্তন্যপান করানো সম্ভব হবে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, স্তন্যপান করানোর পর্বে মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকা জরুরি। তাই নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। মা নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিশ্রুত জল খেলে, তবেই শিশুও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্তন্যপান করতে পারবে। মায়ের শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকবে না।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের রসালো ফল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত বেদানা, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হবে। আবার রসালো ফল হওয়ায় এই ফলগুলো শরীরে জলের চাহিদা ও পূরণ করবে‌।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান থাকা জরুরি। এমনটা জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মায়ের নিয়মিত ডিম, চিকেন, মাছের মতো প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পাশপাশি সোয়াবিন, পনীর খাওয়া জরুরি। নিয়মিত দুধ খাওয়া জরুরি। কারণ এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান হয়।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুর শরীরে আজীবন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখতে স্তন্যপানের কোনো বিকল্প হয় না। শিশুর কিডনি, অন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য এই স্তন্যপান অত্যন্ত জরুরি। স্তন্যপান করলে মস্তিষ্কের একাধিক স্নায়ুর সক্রিয়তা ঠিকমতো হয়। পাশপাশি মা ও সন্তানের মানসিক সংযোগ দৃঢ় করতেও স্তন্যপান বিশেষ ভূমিকা রাখে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাই মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সন্তানকে স্তন্যপান করানো জরুরি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়। লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য। অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে। দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ। ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা। ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে। তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন— “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন? এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল। এখনো নরেন্দ্রের পায়ের উপর হাত, যেন ছল করিয়া নারায়ণের পা টিপিতেছেন, আবার গায়ে হাত বুলাইতেছেন। এত গা-টেপা, পা-টেপা কেন? একে নারায়ণের সেবা করছেন না, শক্তি সঞ্চার করছেন?

    দেখিতে দেখিতে আরও ভাবান্তর হইতেছেন। এই, আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় করে কী বলছেন? বলছেন, “একটা গান গা, তাহলে ভালো হব, উঠতে পারব। কেমন করে? গোরা প্রেমে গরগর মাতোয়ারা, নিতাই আমার!”

    এতক্ষণ আবার অবাক চিত্রপট্টলিকার মতো চুপ করে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে বলছেন, “দেখিস রায়, যমুনায় যে পড়ে যাবি!” কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদিনী, আবার ভাবে বিভোর বলিতেছেন, “সখি, সে বন কত দূর!”

    এখন জগৎ ভুল হয়েছে, কাহাকেও মনে নাই। নরেন্দ্র সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই। কোথায় বসে আছেন কিছুই হুঁশ নাই। এখন যেন মন-প্রাণ ঈশ্বরে গত হয়েছে।

  • Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Varma) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই আর্জি শোনার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ বিচারপতি ভার্মা নিজেই সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় (Supreme Court) অংশ নিয়েছিলেন। রায়দানের সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনানুগভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি কোনও সমান্তরাল বা অতিসাংবিধানিক বিষয় নয়।” এই মামলার শুনানি শেষে ৩০ জুলাই রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।

    রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিচারপতি ভার্মাকে (Justice Yashwant Varma) অপসারণের সুপারিশ করেন। রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।

    বিচারপতি ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল

    এই সুপারিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্ত আইনসিদ্ধ এবং যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বিচারপতি ভার্মার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়। এদিনের রায়ের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই রায়ের পর বিচারপতি ভার্মার অপসারণের পথে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

LinkedIn
Share