Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Sheikh Hasina: “ভারতে ভালোই আছি, তবে নিজের দেশে কে না ফিরতে চায়?” নয়াদিল্লি থেকে জানালেন শেখ হাসিনা

    Sheikh Hasina: “ভারতে ভালোই আছি, তবে নিজের দেশে কে না ফিরতে চায়?” নয়াদিল্লি থেকে জানালেন শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর কেটে গেলেও, আর দেশে ফেরেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সত্যিই কি আর কখনও বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না শেখ হাসিনা? গত বছর বাংলাদেশ সরকারের পতন ও নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। আড়ালেই থাকেন তিনি। কখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার তিনি নিজেই জানালেন যে গত বছর থেকে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আপাতত ভারতেই থাকবেন তিনি। দিল্লিতে তিনি ভালোই আছেন। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার জানালেন হাসিনা। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। সেই নির্বাচনে যদি আওয়ামি লিগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া না হয় তাহলে ভোট বয়কট করবেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা। হুঁশিয়ারিও দিলেন মুজিব-কন্যা।

    কেন নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগ, প্রশ্ন হাসিনার

    রয়টার্স, এএফপি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজিব কন্যা জানিয়েছেন, দিল্লিতে তিনি স্বাধীনভাবে থাকলেও, অবশ্যই নিজের দেশে ফিরে যেতে চান। তবে তাঁর দল, আওয়ামি লিগ (Awami League)-কে বাদ দিয়ে যদি কোনও নির্বাচন হয় এবং সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের অধীনে তিনি কখনওই বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। ক্রমাগত চাপের মুখে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে গত মে মাসেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে মুজিব কন্যা বলেন যে, আওয়ামি লিগের লক্ষ লক্ষ সমর্থকরা আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করবে। তিনি বলেন, “আওয়ামি লিগের উপরে নিষেধাজ্ঞা শুধু অনৈতিক নয়, বরং এটি আত্ম-পরাজয়ও।”

    আওয়ামি লিগকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমর্থন করে

    ১৫ বছর সরকার চালানো শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী সরকারের নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে, তাই তারা ভোট দেবেন না। রাজনৈতিক সিস্টেম চালানোর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাদ দিতে পারেন না। আওয়ামি লিগকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া মানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা। এভাবে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট হবে না। যে সরকার হবে তাও গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। আওয়ামি লিগ যদি ভোটে দাঁড়াতে না পারে তাহলে সমর্থকদের কাছে আবেদন করব, তাঁরা যেন অন্য কোনও দলকে সমর্থন না করেন। আমরা এখনও আশা রাখছি যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এখনও আশা রাখেন যে বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আওয়ামি লিগ ভূমিকা রাখবে, তা সে শাসক হিসেবে হোক বা বিরোধী।

    কে না নিজের বাড়ি ফিরতে ভালোবাসে

    দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন যে গত বছরের ৫ অগাস্ট দেশে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ায় তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “থেকে গেলে আমার জীবন যেমন ঝুঁকিতে পড়ত, আশপাশের মানুষদের জীবনও তেমনি বিপদে পড়ত।” হাসিনা সাফ জানান, “কে না নিজের বাড়ি ফিরতে ভালোবাসে। আমিও যেতে চাই। কিন্তু যতক্ষণ না সেখানে সরকার গঠিত হয়, সংবিধান ও আইনের শাসনের কার্যকর হয়, ততক্ষণ যাব না।” ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার আগে বাংলাদেশে আন্দোলনে অনেক মানুষ মারা যান। সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। তবে সেজন্য ক্ষমা চাইতে নারাজ মুজিবর কন্যা। তিনি এও জানান, দিল্লিতে ভালো থাকলেও তিনি সতর্ক। কারণ, তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণের ইতিহাস আছে।

    জমি ছাড়তে নারাজ আওয়ামি লিগ

    বাংলাদেশে ১২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছে। আওয়ামি লিগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম বাংলাদেশে। হাসিনা সরকার পতনের পর সেখানে আপাতত অন্তর্বর্তী সরকার, যার শীর্ষে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষমতায় আসার পরই সুযোগ বুঝে একদা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল লড়তে পারবে না। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান সহজে ছাড়তে নারাজ আওয়ামি লিগ। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন কর্মসূচি করছে আওয়ামি লিগ।

    নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি হাসিনা

    গত বছর বাংলাদেশে ‘জুলাই আন্দোলন’-এর সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের গুম করা এবং অত্যাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আগামী ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সংক্রান্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এই সব মামলা চালানো হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আদালতে তিনি নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি বলেও জানিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতে ভালোই আছেন হাসিনা

    জনবিক্ষোভের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনাঘাঁটিতে চলে আসেন হাসিনা। আপাতত ভারতেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতে ভালোই আছেন তিনি। নিজের মতো করে রয়েছেন। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ (নোট ভারবাল) পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের তরফে ওই কূটনৈতিক অনুরোধের প্রাপ্তিস্বীকার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।

  • Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (Bangladesh National Anthem Controversy) ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অসমের করিমগঞ্জ জেলার শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেস সেবাদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি-র দাবি, কংগ্রেসের ‘বাংলাদেশ প্রীতি’ দেখার মতো৷ বিজেপি-র কথায়, যে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিজের মানচিত্রের মধ্য ঢুকিয়ে ভারত বিরোধী বার্তা দিতে চায়, সে দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত ভারতে বসে গাইছেন কংগ্রেসকর্মী৷

    বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল

    গত ২৭ অক্টোবর অসমের শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন৷ কংগ্রেস সেবাদলের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ সেই ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দাবি করেন, ‘কংগ্রেস সব সময় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” অসমের শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের সভায় গাওয়া হয়েছে – সেই দেশ যারা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভারতের থেকে আলাদা করতে চায়! সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে৷ এখন এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেস কেন কয়েক দশক ধরে অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়ে এসেছে এবং উৎসাহিত করেছে – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যা তথা ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এনে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” তৈরি করতে চেয়েছে।

    অসম বিজেপি ইউনিটের তীব্র প্রতিক্রিয়া

    অসম বিজেপি ইউনিটও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিজের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশ-আচ্ছন্ন কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে অসমে। যদি কেউ এই উদ্দেশ্য দেখতে না পায়, তবে সে হয় অন্ধ, নয় সহযোগী, নয়তো উভয়ই।’ অসম বিজেপির দাবি, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের তোষণ করতেই কংগ্রেস এই গান গেয়েছে৷ রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অভিযোগ দায়ের করা হলে ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হতে পারে।

    কংগ্রেসের বাংলাদেশ-প্রীতি নিয়ে সরব নেটিজেনরা

    প্রসঙ্গত, ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে রচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন সে সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯১১ সালে তা রদ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন৷ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিচয় ঘুচিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার পরে সে দেশ রবি ঠাকুরের এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করে৷ অসমের শ্রীভূমি জেলা, যা আগে করিমগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল, সেটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন৷ বরাক উপত্যকার এই অংশটি বাঙালি অধ্যুষিত৷ যদিও গানটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট, কিন্তু বিজেপির দাবি, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ‘দেশদ্রোহিতার সামিল’। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি আইনবিদ নই, তবে সাধারণ বুদ্ধি বলছে এটি দেশদ্রোহিতা। যদি এটি সত্যি হয়, তবে এসব লোকদের ভারতের পতাকা তলে থাকার কোনও অধিকার নেই—আশা করি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।” অন্য একজন বলেন, “এদের লজ্জা হওয়া উচিত… ভিন্ন মতাদর্শ থাকা ঠিক, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” একজন ব্যবহারকারী কংগ্রেসকে “দেশের বিরুদ্ধে সবকিছুর পক্ষে দাঁড়ানো” বলে অভিহিত করেছেন, এবং আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কংগ্রেস অসমকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়, এবং এটি তার প্রমাণ।”

  • Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এর এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’ দ্বারা অনুপ্রাণিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘গ্রোকিপিডিয়া’ বাজারে আনলেন সংস্থার কর্তা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk)। এই গ্রোকিপিডিয়াকে বহুল-প্রচলিত উইকিপিডিয়ার একটি বিকল্প হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলন মাস্ক বলেছেন, ‘‘গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সত্য-নির্ভর প্ল্যাটফর্ম হবে। উইকিপিডিয়ার মতো পক্ষপাতদুষ্ট নয়।’’

    ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ (Elon Musk)

    এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে এলন মাস্ক (Elon Musk) বলেন, “অনলাইন বিশ্বকোষটি হতাশাজনক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। যদিও গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) বিষয়বস্তু উইকিপিডিয়া এবং ব্রিটানিকার মতো বিশ্বকোষের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি উক্ত বিষয়বস্তুর একটি অংশকেই ধারণ করে। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ রয়েছে। আগামী দিনে এই পরিসর আরও বাড়বে।

    উইকিপিডিয়া-গ্রোকিপিডিয়ার ফলাফলে পার্থক্য

    সাধারণত, উইকিপিডিয়ায় অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং বামপন্থী, সেকুলারপন্থী মতাদর্শকে এর বিষয়বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতি বিশ্বকোষ হওয়ার নীতির বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উইকিপিডিয়া অনুসারে, লিঙ্গ হল একজন পুরুষ (বা ছেলে), মহিলা (বা মেয়ে), বা তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার সামাজিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং আচরণগত দিকগুলির পরিসরে মানুষ। অপর দিকে গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) এটিকে যেমনটি হওয়া উচিত তেমন সংজ্ঞায়িত করে। তাতে বলে এটি জৈবিক লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে বংশবিস্তার এবং সন্তান ধারণের বাস্তব জ্ঞানে সংজ্ঞায়িত। উভয়ের বিশ্লেষণ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য হল, উইকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় মত ও আদর্শ মেনে। অপরে গ্রোকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় তথ্যের উপর ভিত্তি করে।

    গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) কন্টেন্টগুলি একই বৃহৎ ভাষা মডেল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক্স-এ গ্রোক চ্যাটবট দ্বারা নির্ভর করে তৈরি হয়। লাইভ ব্যবহারকারীর ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে, যা ক্রমাগত আপডেটের অপশনও দেবে। তবে বর্তমান ব্যবহারকারীরা উইকিপিডিয়ার মতো গ্রোকিপিডিয়ার কন্টেন্ট সম্পাদনা করতে পারবেন না। ত্রুটিযুক্ত লেখা নির্বাচন করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা ত্রুটি বা ভুল বোতামে ক্লিক করতে পারবেন। সঠিক তথ্য এবং উৎসসূত্র সহ নানা তথ্য প্রদান করা যাবে। কন্টেন্টের পরিবর্তন তাৎক্ষণিক হবে না। তবে বর্তমানে গ্রোকিপিডিয়ার কেবলমাত্র পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

  • Bangladesh Crisis: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে হিন্দু ও ইসকনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত! বাংলাদেশে ইমাম অপহরণের মিথ্যা নাটকের পর্দাফাঁস

    Bangladesh Crisis: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে হিন্দু ও ইসকনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত! বাংলাদেশে ইমাম অপহরণের মিথ্যা নাটকের পর্দাফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে ইসকন ও হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) বিরুদ্ধে চক্রান্ত হাতে-নাতে ধরল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পুলিশই। পদ্মা পারে সনাতনীদের বার বার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। হিন্দু তথা ইসকনকে (ISKCON in Bangladesh) নিশানা করা হয় নানা আছিলায়। যদিও সত্য বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না। ফের তার প্রমাণ মিলল। মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজি (৬০) নামের এক ইমাম সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, যে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গির টিএন্ডটি কলোনির জামে মসজিদ থেকে অজ্ঞাত চার-পাঁচজন তাঁকে অপহরণ করে। তারা তাঁর চোখ বেঁধে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে পঞ্চগড়ের এক স্থানে হাতে পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, অপহরণকারীরা তাঁকে জোর করে ইসকন-কে সমর্থন এবং “অখণ্ড ভারত” স্লোগান উচ্চারণ করিয়েছিল। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে বাংলাদশের পুলিশই প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা পুরোপুরি সাজানো।

    ইমামকে অপহরণের মিথ্যা নাটক 

    মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন থানার পুলিশরা জানায়, ইমামকে অপহরণের ঘটনা সাজানো। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহণের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন। পুলিশ জানায়, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ইমাম মুহিবুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে ইমাম মুহিবউল্লাহ পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন। এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে মুহিব্বুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টঙ্গি পূর্ব থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ব্রিফিং দেওয়া হয়নি, তবে সূত্র জানায়—জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুহিব্বুল্লাহ স্বীকার করেছেন যে ঘটনাটি তাঁর নিজের ইচ্ছাতেই ঘটেছে।

    ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি

    গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানাধীন হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় শিকল বাঁধা অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমামকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন জানান, শরীরে কোনও দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি; শুধু ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। ইমামের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে অচিরেই শুরু হয় ইসকনকে বদনাম করার অপপ্রয়াস। দেশব্যাপী কিছু ইসলামী সংগঠন প্রতিবাদ-মিছিল আয়োজন করে। ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে।

     মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা 

    হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজোড়া অশান্তির আবহে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, দেশের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। ইউনূস-পরিচালিত অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। তবে ইউনূস সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও ধর্মীয় অধিকার সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন বার বার। কিন্তু বরাবর বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হিন্দু সংখ্যালঘুরা। সনাতনী ও ইসকনের উপর অত্যাচার চলেছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। ইমামকে অপহরণের ঘটনা ফের তারই প্রমাণ দিল।

    শান্তি, সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি- ইসকনের আদর্শ

    ইমামকে অপহরণের এই ঘটনাকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আচমকা উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) । রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করল ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন। ইসকন নেতারা তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর পিছনে বড় রকমের চক্রান্ত রয়েছে। বাংলাদেশে ইসকন শাখার সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গুজব ছড়িয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের, বিশেষত ইসকনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’ তাঁর দাবি, ইসকন হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক, অরাজনৈতিক, অহিংস, ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থা। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো, গীতার আদর্শ প্রচার, নৈতিকতা, সমাজসেবা, শান্তি, সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রসার। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসকন ভক্তদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তা ছাড়া, কোনও হিন্দু ব্যক্তি বিশেষ আইনবিরোধী কোনও ঘটনায় যুক্ত হলেই তাকে ঢালাও ভাবে ‘ইসকন সদস্য’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হচ্ছে। যা পরিকল্পিত নীল নকশার অংশ। চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী সরকারের কাছে এ সব গুজব, মিথ্যা, অপপ্রচার ও হুমকির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ইসকন দেশের সরকার, আইন, সংবিধান ও প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

  • Bangladesh: থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ! উত্তপ্ত বাংলাদেশ

    Bangladesh: থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ! উত্তপ্ত বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢাকার সাভারে থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ। ইতিমধ্যে আহত প্রায় দুশ ছাত্র। রাতভর রীতিমতো ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮/৯টি বাস। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মারামারিতে ছাত্রদের (Students clash) শরীরে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। সিটি ইউনিভার্সিটির কার্যালয়ে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। থমথমে গোটা এলাকা, চরম উদ্বেগে রয়েছেন অভিভাবকরা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনে বাংলাদেশে যে শান্তি নেই তা আরও একবার নজরে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।

    টাকা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার লুট (Bangladesh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির (Bangladesh) দুই শিক্ষার্থী খাগান এলাকায় মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন। এ সময় চলতি অবস্থায় থুতু ফেলে। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের গায়ে লাগে (Students clash)। এরপর বাইকে থাকা সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা ওই দুই ছাত্রকে আটকে দেয়। দুজনকে ব্যাপক মারধর করে সেই সঙ্গে ক্ষমাও চাওয়ানো হয়। এরপর মার খেয়ে ছাত্ররা নিজেদের ইউনিভার্সিটিতে জানায়, ২০-২৫ জনের একটি দল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের ভিতরে ঢুকলে নিমেষেই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় আক্রমণের খবর। ফলে দের হাজার ছাত্র ছুটে আসে। সিটি ইউনিভার্সিটিতে আচমকা হামলা চলায়। চলে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। সিটি ইউনিভার্সিটির দাবি উত্তেজিত ছাত্ররা অফিস থেকে টাকা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার সহ একাধিক উপকরণ লুট করে নিয়ে চলে যায়। আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয় বেশ কিছু গাড়ি।

    সাময়িক ভাবে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

    পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে (Bangladesh) পৌঁছে যায় প্রশাসন। প্রথমে দুই পক্ষের সংঘর্ষকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ডেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এতটাই মারাত্মক ছিল যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে অগ্নি সংযোগের কাছে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ।

    তবে সোমবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে খাগান এলাকায়। সিটি ইউনিভার্সিটির এডমিন অফিসার মো. রায়হান বলেন, “বেশ কয়েকটি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুর করেছে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা (Students clash)। হামলায় ৩টি হলের ছাত্রীসহ প্রায় আটশ শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ হয়ে ছিল। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাময়িক ভাবে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ফের উত্তেজনা উস্কে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করে বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছেন এই শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস (Muhammad Yunus)। ভারতের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানের জেনারেলকে তিনি দিয়েছেন একটি বিতর্কিত ম্যাপ। এই ম্যাপে উত্তরপূর্বের অসম এবং আরও অন্যান্য রাজ্যকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থির রাজনীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টারা ভারতবিরোধী মন্তব্য করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তালানিতে ঠেকিয়েছিলেন। ওই দেশে চলছে নির্বিচারে সংখ্যালঘু হত্যা। দ্রব্যমূল্য এবং নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এবার বিতর্কিত ম্যাপ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন ইউনূস। এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত  ভারতের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির।

    কেন বিতর্কিত ম্যাপ (Bangladesh)?

    গত সপ্তাহের শেষে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারপার্সন জেনারেল শাহির শামসাদ মির্জা গিয়েছিলেন ঢাকায়। তিনি ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেই সময় ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যের একটি বিতর্কিত ম্যাপ তুলে দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে ভাগ করে আজকের বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকহানাদারের অত্যাচার, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর স্বাধীন জয় বাংলা হিসেবে আজকের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না। হতো না যোগাযোগ, ছিল না বাণিজ্যিক সম্পর্কও। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে কোটা আন্দোলনের নামে বিতারিত করে সরকারে বসেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু হয় খোলামেলা আলোচনা। শুরু হয় বিনা ভিসায় যাতায়াত এবং বিমান পরিষেবা। করাচি থেকে সোজা জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে এই সবটার পিছনে রয়েছে ভারতকে অস্থির করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইউনূস (Muhammad Yunus) বাংলাদেশের চেয়ারে বসলেও আসলে তাঁর হালে পানি যোগাচ্ছেন শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আইএসআই। উত্তরপূর্ব ভারতকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে না তো এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ!

    মহম্মদ ইউনূস পাকিস্তান জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে একটি ছবি বিনিময় করেন। ইউনূস নিজে ‘আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। বইয়ের কভারে বাংলাদেশের (Bangladesh) একটা ম্যাপ দেখা যাচ্ছে। ম্যাপে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের উগ্রমুসলিম সংগঠনগুলি গ্রেটার বাংলাদেশের (Muhammad Yunus) তত্ত্বে যা যা করে থাকে, ইউনূস পাকিস্তানের কাছে সেই তত্ত্বকেই তুলে ধরেছেন। যদিও এই বিতর্কিত ম্যাপ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

    চিন সফরেও উত্তরপূর্ব প্রসঙ্গ ছিল

    উল্লেখ্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা এই প্রথম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেননি। গত কয়েক মাসে শান্তিতে নোবেল জয়ী এই রাজনৈতিক নেতা একাধিকবার ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। গত এপ্রিল মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে গিয়ে ভারতের অসম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে দাবি করে বলেছিলেন, “এই রাজ্যগুলি একমাত্র আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আলাদা কোনও সমুদ্রপথ নেই। আমরাই তাদের অভিভাবক। তাই আমাদের উপেক্ষা করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর অন্যকোন রাস্তা নেই। এই বিরাট ভূ-মণ্ডলে চিনা অর্থনীতির সম্প্রসারণ ব্যাপক ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    ভারত আক্রমণ করতে চায় ইউনূস?

    ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদুল ইসলাম সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি বিতর্কিত মানচিত্র শেয়ার করেছিলেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজে চাপে পড়ে মুছতে বাধ্য হন। আবার গত মে মাসে ইউনূসের আরও এক ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশকে চীনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করা উচিত।” এই মন্তব্যগুলি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা ভারত বিরোধী এবং  পাকিস্তান প্রেমী তাও আরও একবার প্রমাণিত হয়।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস জমানায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা (Hindu Journalist Attacked)। এই তালিকায় নবতম সংযোজন লিটন কুমার চৌধুরী নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলা। ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পুরসভার রেলগেট এলাকায় কালীপুজোর মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন লিটন। আচমকাই এক দল উগ্র মুসলিম জনতা তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায়। বছর পঁয়তাল্লিশের লিটন গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সীতাকুণ্ডের প্রতিনিধি। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলাকারীরা ‘আসাদ বাহিনী’ নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের অভিযোগ, লিটন আওয়ামি লিগের এজেন্ট। তিনি ভুয়ো খবর প্রচার করছিলেন।

    রক্তাক্ত সাংবাদিক (Bangladesh)

    নৃশংস অত্যাচারের পর লিটনকে রক্তাক্ত অবস্থায় তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাঁকে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। লিটনের ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, “ওই রাতে আমার বাবা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকাই একদল যুবক সেখানে আসে এবং বাবাকে গালাগালি দিতে শুরু করে। এর পর তারা নৃশংসভাবে তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। দুষ্কৃতীরা বাবার মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়।” তিনি জানান, তাঁর বাবার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন (Bangladesh)।”

    এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    গত ডিসেম্বরেও উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হিন্দু মহিলা সাংবাদিক। মুন্নি সাহা নামের ওই সাংবাদিককে কারওয়ান বাজারের কাছে ঘেরাও করে কিছু দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় মুন্নির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল (Hindu Journalist Attacked)। তার আগে মুন্নির ব্যাংক ডিটেলস চেয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়ার আগেই ফের একবার আক্রান্ত সাংবাদিক, মুন্নির মতোই যিনি ধর্মে হিন্দু (Bangladesh)।

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১২ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১৮ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার ঘুনুয়া গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে চিত্রকূট পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কার্যকলাপের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পর পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। একজন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে খ্রিস্টান ধর্ম-সাহিত্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে উত্তেজনা ছড়ায় যখন সমাজের নেতৃবৃন্দ ও এক তরুণীর পরিবার পুলিশের এক সাব-ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’ মামলাটি সঠিকভাবে না সামলানোর অভিযোগ তোলেন। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের এক হিন্দু নারী ও এক মুসলিম পুরুষকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতি উসকে দেয়। প্রয়াগরাজে এক নাবালিকা হিন্দু অনাথকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও গণধর্ষণের এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে।

    অব্যাহত নির্যাতন

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে উভাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলম কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটি ও তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে যায়। প্রথমে তাদের এক স্থানীয় খাবারের দোকানে কাজ করানো হয়। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে অপহরণ করে অভিযুক্তের বাড়িতে আটকে রাখা হয়, যেখানে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। কোয়েম্বাটুরের জেলা কালেক্টরের কাছে এক হিন্দু মুন্নানির অভিযোগ, কীরনাথম গ্রামে একটি সিএসআই ক্রাইস্ট চার্চ সরকারি ‘আদিদ্রাবিড়’দের জন্য বরাদ্দ জমিতে জাল পাট্টা নথির মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণ করেছে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে আহাদ খান নামের এক মুসলিম যুবক নিজের ধর্ম গোপন করে এক হিন্দু নারীকে প্রলুব্ধ করে হোটেলে নিয়ে যায় (Roundup Week)। সতর্ক হিন্দু সংগঠনগুলির দ্রুত হস্তক্ষেপে ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় (Hindus Under Attack)।

    বাংলাদেশের ছবি

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলা, ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে (Hindus Under Attack)। দুর্গাপুজো নিয়ে ডেপুটি স্টেট মিনিস্টারের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক, বিভাজনমূলক ও বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।’ ফরিদগঞ্জের মানিকরাজ গ্রামে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের সুজন দেবনাথের দেহ (Roundup Week)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় একটি জলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ভাসমান দেহ। গাইবান্ধা জেলার থেংগামারা এলাকায় ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় আবারও বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশা প্রকাশ্যে এসেছে। পালপাড়া গ্রামের এক মহিলার পঞ্চম শ্রেণি পাঠরতা কন্যাকে অপহরণের পর শোকে মুহ্যমান ওই মহিলা। নোয়াখালির সুবর্ণচরে জনৈক সুব্রত দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবাই এই নিষ্ঠুর দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখলেও, ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি (Hindus Under Attack)।

    খবরে কানাডাও

    কানাডার একটি চিলডেন্স পার্কের কাছে বর্ণবাদী গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ওই গ্রাফিতিতে লেখা ছিল “ভারতীয় ইঁদুর”। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যাতে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ, যা নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে নিহিত। ইসলামি দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, তবে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম (Roundup Week) ধরনের হিন্দুবিরোধী মনোভাব কাজ করে। এই মনোভাব হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাচারণ ও অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Hindus Under Attack)।

  • DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের ডিআইজি হরিচরণ ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar)। তাঁর মতো পুলিশ অফিসার যে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছিলেন সেই সত্যকেই এবার প্রকাশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে, ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি এবং আরও নানা জিনিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) এই অভিযানে একশ্রেণীর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অফিসার এতো সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? স্তম্ভিত গোটা পুলিশ মহল এবং আমজনতা! উত্তর নেই ভুল্লারের কাছেও। অবশ্য ভুল্লার নিজেও দুর্নীতি দমনে খুব দক্ষ অফিসার ছিলেন, অথচ নিজেই সেই কাজে এখন অভিযুক্ত। এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে।

    ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত (DIG Harcharan Singh Bhullar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি ভুল্লারের (DIG Harcharan Singh Bhullar) বাসভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি নগদ টাকা এবং ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার। সেই সঙ্গে এই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ভুল্লারের চণ্ডীগড়ের বাসভবন থেকে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ, ২.৫ কেজি ওজনের সোনার গয়না, রোলেক্স এবং রাডোর মতো ব্র্যান্ড সহ ২৬টি বিলাসবহুল ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যের নামে সন্দেহজনক বেশকিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, লকারের চাবি এবং একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার সমরালায়ে ওঁই অফিসারের মালিকানাধীন খামারবাড়ি থেকে ১০৮ বোতল মদ, ৫.৭ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং ১৭টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মোহালিতে গ্রেফতার

    সিবিআই (CBI) আরও জানিয়েছে, ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar) আরও একজন সহযোগীর বাড়ি থেকে ২১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্জাব পুলিশের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিং ভুল্লার এবং তাঁর সহযোগীকে আজ চণ্ডীগড়ের সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সহযোগীকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মোহালিতে সিবিআইয়ের  হাতে ধরা পড়েন ভুল্লার। এরপরই তথ্যের সূত্রে ধরে চলে অভিযান এবং অবৈধ সম্পত্তি টাকা উদ্ধারের কাজ।

LinkedIn
Share