Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    PM Modi: মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসে প্রধান অতিথি মোদি, কী বলছে গ্লোবাল মিডিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে গেল খেলা! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে চিনপন্থী (China) মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নন, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শুধু তাই নয়, মুইজ্জুর মুখে মোদি-স্তুতিও নজর কেড়েছে তামাম বিশ্বের। এতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশের। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মান প্রদর্শন কেবল ভারত ও মলদ্বীপেই নয়, বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে ওঠে সংবাদ মাধ্যমের।

    মোদির সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর বেশ কয়েকটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার প্রধান কারণ মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ২০২৩ সালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউটে’র। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই প্রতিশ্রুতি পূরণে উঠেপড়ে লাগেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পাশাপাশি চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হন তিনি। কুর্সিতে বসার পরে পরেই তিনি মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাকর্মীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মলদ্বীপের এই পদক্ষেপটিকে নয়াদিল্লি চিনের দিকে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত ঝুঁকে পড়া হিসেবে দেখেছিল। সেই একই নেতাই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই প্রতীকী বার্তাটি একেবারেই স্পষ্ট। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, বিশেষ করে যখন চিন যখন ভারত মহাসাগরে নিজের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    কী বলছে গ্লোবাল টাইমস

    বেজিংয়ের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে ভারতের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশে ধরনের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরকে ঘিরেই এই রিপোর্ট। গ্লোবাল টাইমসের মতে, কিছু ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চিনের কৌশলগত পরাজয় এবং ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে (PM Modi)। গ্লোবাল টাইমসের অভিযোগ, ভারতীয় মিডিয়া (China) ‘জিরো সাম থিংকিং’য়ে জড়িয়ে পড়েছে। এই চিন্তাধারা অনুযায়ী, ভারতের যে কোনও লাভকেই চিনের ক্ষতি হিসেবে দেখা হয়। ওই সংবাদপত্রে চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর কিয়ান ফেংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “মলদ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, তবে একইসঙ্গে বৈচিত্র্যময় বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, যার মধ্যে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকাও অন্তর্ভুক্ত।” তিনি বলেন, “এই কৌশলগুলির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”

    নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদন

    সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনের শিরোনাম “মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতের মোদি”। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির সফরে নয়া পরিকাঠামো অংশীদারিত্ব, আর্থিক প্রতিশ্রুতি এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতার পুনর্জাগরণ স্পষ্ট। মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভবনের উদ্বোধন করেন। ভারত যেসব প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে, সেগুলির উদ্বোধনও করেন। দ্বীপরাষ্ট্রকে দেন অর্থনৈতিক সাহায্যের আশ্বাসও (China)। নিউজ এশিয়ার দাবি, নয়াদিল্লিতে মোদির এই সফরকে চিনের প্রভাব থেকে মলদ্বীপকে দূরে রাখার আশ্বাস হিসেবে দেখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর শাসনের শুরুতেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে মোদির এই দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি ভারত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রপথে ভারতের প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর একটি লক্ষ্য। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি নতুন সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

    ব্রিটিশ দৈনিকের বিশ্লেষণ

    ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারত সরকার যখন লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে প্রচার করতে শুরু করে, তখন মলদ্বীপের অনেকেই তাকে ভারতীয় পর্যটকদের নিজেদের সমুদ্রসৈকত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন। তার ফলে উভয় দেশের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল (PM Modi)। ভারতের বেশ কয়েকজন তারকাও মলদ্বীপকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুইজু ভারত সফরের আগে চিন সফরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এটি নজর এড়ায়নি নয়াদিল্লির। চিন সফর শেষে তিনি ওষুধ ও খাদ্য-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথাও ঘোষণা করেন। তার (China) জেরে উভয় দেশেই শুরু হয় উদ্বেগ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে যখন মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ওই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত করে। এরই পরিণাম হল মোদির বর্তমান মলদ্বীপ সফর (PM Modi)।

  • Ramakrishna 423: গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে

    Ramakrishna 423: গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে

    বলিলেন— “মা, আমি আমার আমি তোমার। শরণাগত। চাই না মা লোকমান্যতা, চাই না অষ্টসিদ্ধি। কেবল এই করো—যেন তোমার শ্রীপাদপদে শুদ্ধভক্তি হয়; নিষ্কাম, অমলা। হইতেও কি ভক্তি হয়? আর যেন মা, তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ না হই। তোমার মায়ার সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের উপর ভালোবাসা যেন কখনও না হয়। মা, তোমার বই আমার আর কেউ নাই। আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন। কৃপা করিয়া, শ্রীপাদপদে আমায় ভক্তি দাও।”

    যিনি তাঁর নাম করিতেছেন, যাঁর শ্রীমুখে অভিনীত নামগুণ গঙ্গার মতো তৈলধারার ন্যায় নিরবিচারে প্রবাহিত হইতেছিল, তিনি নীরব ছিলেন না। তাঁর আবার সন্ধ্যা কি মনে পড়ে? তখনই বোঝা যায়, লোকশিক্ষার জন্য ঠাকুর মানবদেহ ধারণ করিয়াছেন।

    “হরি, তুমি এসে যোগীর বেশে নামসংকীর্তন করলে।”
    গিরিশ ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করলেন, সেই রাতেই যেতে হবে।
    শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন, “রাত হবে না।”
    গিরিশ বললেন, “না, যখন ইচ্ছা আপনি যাবেন। আমাকে আজ থিয়েটারে যেতে হবে — ওদের ঝগড়া মেটাতে হবে।”
    ১৮৮৫ সালের ১১ মার্চ — রাজপথে শ্রী রামকৃষ্ণের ঈশ্বর-আবেশ

    গিরিশের নিমন্ত্রণে রাত্রেই যেতে হবে। এখন রাত নটা — ঠাকুর রাত্রির আহার গ্রহণ করবেন বলে প্রস্তুতি চলছে।
    পাছে বলরাম মনে কষ্ট পান, ঠাকুর গিরিশের বাড়ি যাইবার সময় তাকে বুঝিয়ে বলছেন,
    “বলরাম, তুমিও খাবার পাঠিয়ে দিও।”

    দোতলা থেকে নামতে নামতেই ঠাকুর ভগবদভাব-বিভোর। যেন মাতাল — সঙ্গে নারায়ণ, মাস্টার, রাম, চুনী প্রমুখ ভক্তগণ।
    একজন ভক্ত বললেন, “সঙ্গে কে যাবে?”
    ঠাকুর বললেন, “একজন থাকলেই হবে।”

  • Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) মুক্তির দাবিতে লড়ছে সুপ্রিম কোর্টে। এই ছবিটি মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল (Film) কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানি দিল্লি হাইকোর্টকে করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৮ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূ্র্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    মাথা কেটে হত্যা (Udaipur Files)

    ২০২২ সালে মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল উদয়পুরের পেশায় দর্জি কানাইয়া লালকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৈরি হয়েছে ‘উদয়পুর ফাইলস’। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অনিশ দয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ছবি মুক্তি পাবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকারই। তার পর গত ২১ জুলাই ছায়াছবিটির কয়েকটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার শর্তে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জমিয়ত উলেমা হিন্দ। এই মামলার নাম ‘মহম্মদ জাভেদ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং জানি ফায়ারফক্স মিডিয়া বনাম মৌলানা আরশাদ মাদানি’।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন  

    যাঁরা ছবিটির বিরুদ্ধে তাঁদের দাবি, ছবিটি সম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়। তাই কখনওই মুক্তি পাওয়া উচিত নয় (Film)। আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছে এটি একটি উসকানিমূলক চলচ্চিত্র। এই ছবির মুক্তি বন্ধে নিয়োগ করা হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা অবাক করার মতো বিষয়, যে অনেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে (Udaipur Files) সওয়াল করেন। কিন্তু যখন এই ধরনের কোনও সিনেমার কথা আসে, তখন তাঁরাই সেই স্বাধীনতার বিরোধিতায় সরব হন। প্রশ্ন উঠছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি কেবলমাত্র ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? ভারত যদি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়, তাহলে সেই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করার দায় শুধুই হিন্দুদের ওপর বর্তায়, না কি সবাইকেই সেটা মান্যতা দিতে হয় (Film)?

    ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে এবং সমস্ত বিতর্কিত দৃশ্য মুছে ফেলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন, তার পরেও কেন সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে এটি প্রদর্শন বন্ধ করা হয়? আবেদনকারীদের যুক্তি, সিনেমাটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি যে ২০২২ সালের ২৮ জুন উদয়পুরে ইসলামি উগ্রবাদী রিয়াজ আত্তারি ও গউস মোহাম্মদ দর্জি কানহাইয়া লাল তেলিকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে? এক উগ্রপন্থী এই হত্যার ঘটনা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। খুনিরা দাবি করেছিল, এটি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে সমর্থন করায় কানহাইয়া লালের ওপর একটি সামাজিক পোস্টের প্রতিশোধ। এই নির্মম ইসলামি উগ্রচিন্তাধারার ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয় (Udaipur Files)।

    সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করতেই ছবি

    পরিচালক ভারত এস শ্রিনেত এই উগ্র মানসিকতার বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করেছেন ‘উদয়পুর ফাইলস’। তা সত্ত্বেও মহম্মদ জাভেদ, মৌলানা আরশাদ মাদানি এবং আরও কয়েকজন চেষ্টা করছেন যাতে ছবিটি কখনওই মুক্তি না পায়। যদিও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, ছবিটিতে ৫৫টি কাট দেওয়া হয়েছে। সব উসকানিমূলক বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ডিসক্লেমারও। তাঁর দাবি. ছবিটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে (Udaipur Files)।

    সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা

    সলিসটির জেনারেল আদালতে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ছবিতে এমন কিছু নেই যা বিদেশ নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করে। গল্পটি ভারসাম্যপূর্ণ। এতে ইতিবাচক চরিত্র রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এটি বাস্তব ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি কল্পকাহিনি।” আদালতকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে যে, ছবিটির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন কীভাবে কাজ করেছে। তাতে বিদেশমন্ত্রকেরও মতামত অন্তর্ভুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, ছবিটির মোট ১৩ মিনিট অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাও মার্জিত এবং নিরপেক্ষ। প্রবীণ আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া লড়ছেন ছবি নির্মাতাদের পক্ষে। তিনি আদালতকে এও জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তির আগে যে ছ’টি প্রধান পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল, তার সবই ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। এর পরেও কেন মহম্মদ জাভেদ ও মৌলানা আরশাদ মাদানির পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীরা এখনও ছবিটির মুক্তির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, তা (Film) নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Udaipur Files)।

    মামলাকারীদের আইনজীবীদের যুক্তি

    মামলাকারীদের তরফে লড়ছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং মেনকা গুরুস্বামী। তাঁদের যুক্তি, চলচ্চিত্রটি চার্জশিটের অনুকরণে তৈরি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। এই যুক্তি দুর্বোধ্য। বিশেষ করে যখন ছবিটির উদ্দেশ্য সমাজকে জাগ্রত করা। ভয়াবহ ঘটনাটি কোটি কোটি ভারতীয়কে ভাবতে বাধ্য করেছিল, কীভাবে একটি সুস্থ গণতন্ত্রে ধর্মীয় ঘৃণা প্রতিরোধ করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যারা আদালতে এই ছবির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উচিত কানাইয়া লালের পরিবারের যন্ত্রণা বোঝার চেষ্টা করা (Udaipur Files)।

    হতাশ কানাইয়া লালের ছেলে

    এদিকে, কানাইয়া লালের ছেলে ইয়শ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই ছবিটি বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে মাত্র তিন-চার দিন আগে। আর সেটা সঙ্গে সঙ্গেই শুনানি পেয়ে যাচ্ছে। অথচ আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়ে যে আবেদন প্রায় তিন বছর আগে করেছিলাম, তার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এই মামলায় ১৫০টিরও বেশি সাক্ষী ছিল, যার মধ্যে ১৫-১৬ জন আজও আদালতে হাজিরই হয়নি। কোনও ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হয়নি। প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “যখন কেউ সত্যিটা সামনে আনার জন্য একটি সিনেমা বানায়, তখন পুরো ব্যবস্থাটাই যেন তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ বা মৌলানা মাদানির মতো সংগঠনগুলো ছবিটি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানায় (Film)। আর তিন দিনের মধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কী দারুণ ব্যবস্থা!”

    জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন

    তিনি বলেন, “অথচ খুনিদের শাস্তি দিতে এত তৎপরতা কোথায়? এই প্রশ্ন আমাদের ব্যথিত করে। আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ আজও বিচার হয়নি। যখন একটি সিনেমা দেশের মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা ও জেহাদি মতাদর্শ সম্পর্কে সচেতন করতে চায়, তখন সেটাকে দমন করা হয়। কেন? এ কেমন মানসিকতা? যেসব জঙ্গি আমার বাবাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের সত্যটা আজ স্পষ্ট। তবুও কিছু সংগঠন যেন সেই দেশবিরোধী শক্তির পাশেই দাঁড়াচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন (Udaipur Files)?”

  • Haridwar: মনসা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬

    Haridwar: মনসা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে আগে পুজো দেবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি। তার জেরে ঘটে গেল পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। রবিবার সাত সকালের ওই ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৬ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু পুণ্যার্থী (Mansa Devi Temple)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। হরিদ্বারের (Haridwar) মনসা মন্দিরের ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন গাড়োয়াল ডিভিশনাল কমিশনার বিনয়শঙ্কর পাণ্ডে। তিনি বলেন, “ঘটনায় কমপক্ষে ছ’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” উদ্ধারকারীরা মৃত ও আহতদের শনাক্ত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।

    শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর (Haridwar)

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হওয়ার খবরটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এসডিআরএফ, স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছি। আমি মাতারানির (মনসা দেবী) কাছে সকল ভক্তের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি।”

    পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি

    হরিদ্বারের ওই মনসা মন্দিরটি খুবই জাগ্রত বলে ভক্তদের বিশ্বাস। তাই প্রতিদিনই পুণ্যার্থীদের ভিড় হয় মন্দিরটিতে। আজ, রবিবার, ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল মন্দিরে। মন্দিরটি পাহাড়ের কোলে। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি পার হয়ে পৌঁছতে হয় মন্দিরে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আচমকাই ওই সিঁড়িতে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একে অন্যের ওপর পড়ে যান। তাঁদের টপকেই মন্দিরে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন অন্যরা (Haridwar)। তার পরেই ঘটে মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনা।

    গাড়োয়াল বিভাগের কমিশনার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে উদ্ধার কাজে গতি আনার নির্দেশও দিয়েছি।” এদিকে, ঘটনার (Haridwar) বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একে একে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছচ্ছে ঘটনাস্থলে। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে। সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Mansa Devi Temple)। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

  • Rudra Bhairav: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জানালেন সেনা প্রধান

    Rudra Bhairav: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জানালেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই ব্রিগেডের নাম হবে ‘রুদ্র’ (Rudra Bhairav)। এই ব্রিগেডে পদাতিক বাহিনী, যান্ত্রিক পদাতিক, সাঁজোয়া ইউনিট, আর্টিলারি, বিশেষ বাহিনী (Arms Brigades) এবং ড্রোন এক সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে শনিবার ঘোষণা করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। এদিন ছিল ২৬তম কারগিল বিজয় দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন এই খবর। সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনাবাহিনীর দু’টি পদাতিক ব্রিগেড ইতিমধ্যেই ‘রুদ্র’ ব্রিগেডে রূপান্তরিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত লজিস্টিক সাপোর্ট এবং যুদ্ধ-সহায়তা দেওয়া হবে।

    সেনা প্রধানের বক্তব্য (Rudra Bhairav)

    সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বলেন, “আজকের ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির সফলভাবে মোকাবিলা করছে না, বরং এটি দ্রুতই একটি রূপান্তরকামী, আধুনিক ও ভবিষ্যৎ-নির্ভর বাহিনী হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আওতায় ‘রুদ্র’ নামক নতুন সর্বাঙ্গীণ ব্রিগেড গঠনের কাজ শুরু হয়েছে এবং আমি তা শনিবার অনুমোদন করেছি। এই ব্রিগেডে থাকবে পদাতিক বাহিনী, যান্ত্রিক পদাতিক, সাঁজোয়া ইউনিট, আর্টিলারি, বিশেষ বাহিনী এবং ড্রোন। সবই উপযুক্ত সরবরাহ ও যুদ্ধ সহায়তা ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর হবে।” তিনি জানান, সীমান্তে শত্রুর ওপর আঘাত হানতে চটপটে ও মরণঘাতী বিশেষ বাহিনী ‘ভৈরব’ লাইট কমান্ডো ব্যাটালিয়নও গঠন করা হয়েছে।

    সাজানো হচ্ছে বাহিনী

    তিনি বলেন, “প্রতিটি ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নে এখন ড্রোন প্লাটুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্টিলারির গোলাবারুদের শক্তিও বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে ‘দিব্যাস্ত্র ব্যাটারি’ ও লয়টার মিউনিশন ব্যাটারির মাধ্যমে। আর্মি এয়ার ডিফেন্সে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে আমাদের সামরিক শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।” তিনি বলেন, “ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমান্তজুড়ে (Rudra Bhairav) ক্রমাগত শত্রুতার পরিবেশের কারণে আর্মি এয়ার ডিফেন্সকে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও মারাত্মক রূপে সাজানো হচ্ছে। আমরা সীমান্তে নতুন রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরি করছি। পাশাপাশি যুদ্ধ, অ্যাডভেঞ্চার ও হেরিটেজ ট্যুরিজমের উন্নয়নও করা হচ্ছে।” সেনা সর্বাধিনায়ক বলেন, “৬-৭ মে রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ন’টি জঙ্গিঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ওই হামলায় কোনও (Arms Brigades) নিরীহ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। এটি শুধু ভারতের একটি প্রতিক্রিয়া ছিল না, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা – যারা সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয়, তারা আর রেহাই পাবে না (Rudra Bhairav)।”

  • Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ইউআইডিএআই অনুমোদিত আধার কার্ডের গুরুত্ব ও ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত জালিয়াতিও। তাই জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Govt)। জেনে নিন কীভাবে চিনবেন জাল আধার কার্ড। এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে কীভাবে জাল আধার কার্ড বানিয়ে উপভোক্তার নামে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিংবা অন্য কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপে আপনাকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে ইউআইডিএআই (UIDAI) আধারে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। এরই একটি হল আধার কার্ডে সুরক্ষিত কিউআর কোড।

    ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার (Aadhaar Card)

    এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার করে এই কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গই যাচাই করতে পারেন কার্ডধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি। যদি এই তথ্য মিলে না যায় বা কিউআর কোড না থাকে, তাহলে সেই আধার কার্ডটি জাল হওয়ার সম্ভাবনাই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আধার ডেটাবেসের যথার্থতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউআইডিএআই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ১.৫৫ কোটি মৃত ব্যক্তির নথিপত্র সংগ্রহ করেছে (Aadhaar Card)। তাঁদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করতেই এটা করা হয়েছে।

    সরকারি বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে

    এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর আধার নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করতে সংশ্লিষ্ট আধার নম্বরধারীকে মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার পর মাই আধার পোর্টালে সেই মৃত্যুর তথ্য রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও আধার নম্বর কখনওই অন্য কোনও ব্যক্তিকে ফের দেওয়া হয় না। তাই (Modi Govt) কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত জরুরি যাতে পরিচয় চুরি বা অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করা যায় (Aadhaar Card)।

  • Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের (Agra Conversion Gang) সঙ্গে এবার উঠে এল পাক যোগের প্রমাণ। আগ্রার পুলিশ কমিশনার জানান, এই চক্রটির সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) কয়েকজনের যোগাযোগ ছিল। এরাই তরুণ-তরুণীদের প্রভাবিত করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উৎসাহিত করত। গত সপ্তাহেই এই চক্র ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সপ্তাহে ছ’টি রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১০জনকে। তদন্ত শুরু হয়েছিল আগ্রা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই বোনের সন্ধান করতে গিয়ে। এদেরই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করে।

    পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য (Agra Conversion Gang)

    শনিবার আগ্রা পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানান, কখনও কখনও অনলাইন গেমের মাধ্যমে ধর্মান্তরনের উদ্দেশ্যে নিশানা করা হত তরুণদের। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হ্যান্ডলাররা এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করত। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি পরিচালনা করছিল দিল্লির বাসিন্দা আবদুল রহমান। তার আদত নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। তারও পরে দীক্ষিত হয় ইসলাম ধর্মে। এর পরেই সে কাজে লেগে যায় ধর্মান্তকরণ চক্রে। এই চক্রের টার্গেটে পড়া মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি, আলিগড় ও রায়বেরেলি এবং হরিয়ানার ঝাঝ্জর ও রোহতক-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে (Agra Conversion Gang)।

    হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কানে ঢালা হত বিষ

    কমিশনার কুমার বলেন, “মেয়েদের ইসলামি বিশ্বাসসম্পন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো হত। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাদের কানে ঢালা হত বিষ। পাকিস্তানে থাকা তানভির আহমেদ ও সাহিল আদিম নামের দুই হ্যান্ডলার এই কাজে তাদের সাহায্য করত। এরপর ওই মেয়েদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হত। সেখানেও তাদের নিয়মিত মগজধোলাই করা হত। যদি মেয়েদের পরিবার এর প্রতিবাদ করত, তাহলে তাদের মনও পরিবারের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হত।” তিনি বলেন, “এই চক্রের অন্তত তিনজন সদস্য ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানে এবং তারা সেখান থেকে যোগাযোগ করত। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজর এড়াতে সিগন্যাল অ্যাপও ব্যবহার করা হত।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ধর্মান্তরণকারীরা আরও একটি কৌশল ব্যবহার করত। অনলাইন গেম খেলার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলত। কথোপকথন শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলে তাদের প্রভাবিত করা হত। পরে করা হত ধর্মান্তরিত (Agra Conversion Gang)।

  • Ramakrishna 422: লোকশিক্ষার জন্য ঠাকুর মানবদেহ ধারণ করিয়াছেন

    Ramakrishna 422: লোকশিক্ষার জন্য ঠাকুর মানবদেহ ধারণ করিয়াছেন

    দয়াময় গুরুদেব যে “গরুর বাট”-এর কথা বলিলেন, এই গৃহমধ্যেই কি তাহা আমরা দেখিতেছি?

    সকলের অশান্ত মন কিসের শান্তি লাভ করিল? আনন্দ ধরা কিসে? কিসে ভক্তরা আনন্দে ভাসিলেন?

    দেখিতেছি—ভক্তরা শান্ত, আর আনন্দময়।

    এই প্রেমিক সন্ন্যাসী—কি সুন্দর রূপধারী! যেন অনন্ত ঈশ্বর! এইখানেই কি দুগ্ধপান-পিপাসুর পিপাসা শান্ত হইবে?

    অবতার হোন, আর না হোন—ইহারই চরণপ্রান্তে মন বিকাশের, চিত্ত নিবেশের, আর কিছুর প্রয়োজন নাই।

    ভক্তেরা কেহ কেহ ওইরূপ চিন্তা করিতেছেন যে, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের শ্রীমুখে বিগলিত হরিনাম ও মায়ের নাম শ্রবণ করিয়া কৃতকৃতার্থবোধ করিতেছেন। নামগুণকীর্তন আনিতে ঠাকুর প্রার্থনা করিতেছেন, যেন সাক্ষাৎ ভগবান প্রেমের দেহ ধারণ করিয়া জীবকে শিক্ষা দিতেছেন—কিরূপে প্রার্থনা করিতে হয়।

    বলিলেন—
    “মা, আমি আমার আমি তোমার। শরণাগত। চাই না মা লোকমান্যতা, চাই না অষ্টসিদ্ধি। কেবল এই করো—যেন তোমার শ্রীপাদপদে শুদ্ধভক্তি হয়; নিষ্কাম, অমলা। হইতেও কি ভক্তি হয়? আর যেন মা, তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ না হই। তোমার মায়ার সংসারে কামিনী-কাঞ্চনের উপর ভালোবাসা যেন কখনও না হয়। মা, তোমার বই আমার আর কেউ নাই। আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন। কৃপা করিয়া, শ্রীপাদপদে আমায় ভক্তি দাও।”

    যিনি তাঁর নাম করিতেছেন, যাঁর শ্রীমুখে অভিনীত নামগুণ গঙ্গার মতো তৈলধারার ন্যায় নিরবিচারে প্রবাহিত হইতেছিল, তিনি নীরব ছিলেন না। তাঁর আবার সন্ধ্যা কি মনে পড়ে? তখনই বোঝা যায়, লোকশিক্ষার জন্য ঠাকুর মানবদেহ ধারণ করিয়াছেন।

  • RSS: মুসলমান ইমাম ও পণ্ডিত আয়োজিত সভায় হাজির আরএসএসের মোহন ভাগবত

    RSS: মুসলমান ইমাম ও পণ্ডিত আয়োজিত সভায় হাজির আরএসএসের মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বলে বেড়ান আরএসএস (RSS) মুসলমান বিরোধী, তাঁদের মুখে ফের একবার ঝামা ঘষে দিলেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত। বৃহস্পতিবার তিনি সাক্ষাৎ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৫০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মীয় নেতা (Muslim Clerics) ও পণ্ডিতদের সঙ্গে। ২০২২ সালেই সংঘ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা ও পণ্ডিতদের সঙ্গে আরএসএসের আলোচনা শুরু হয়েছিল। এদিনের সাক্ষাৎ তারই অংশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। হিন্দু ও মুসলমানদের পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তাঁদের ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হবে বলেও স্থির হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

    কী বললেন ইলিয়াস (RSS)

    এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক হয় নয়াদিল্লির হরিয়ানা ভবনে। সভা কো-অর্ডিনেট করেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইলিয়াসির আমন্ত্রণে ভাগবত নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন পরিচালিত একটি মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই শুরু দু’পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইলিয়াস বলেন, “এই সভাটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন আরএসএস তাদের শতবর্ষ উদযাপন করছে এবং অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন তাদের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছে। উভয় পক্ষ থেকেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরুর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাগবতের মাদ্রাসা সফর ছিল তার প্রথম ধাপ, আর আজকের এই বৈঠক ভবিষ্যতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।”

    পুরোহিতদের সঙ্গে ইমামদের যোগাযোগ

    তিনি বলেন, “আজকের (RSS) বৈঠকে দেওবন্দ ও বরেলি-সহ বিভিন্ন উলেমা ও মাদ্রাসার ইমাম এবং মুফতিরা অংশ নিয়েছিলেন। ভগবতজির সঙ্গে ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে জাতীয় গুরুত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় এবং কীভাবে তৃণমূল পর্যায়েও এই আলোচনা করতে উৎসাহিত করা যায়, সেই বিষয়েও মত বিনিময় হয়।” ইলিয়াসি বলেন, “আজকের বৈঠকে স্থির হয়েছে, এই প্রক্রিয়া (আলাপ-আলোচনা) স্থায়ীভাবে চলবে। মানুষ যেহেতু ধর্মীয় নেতাদের কথা শোনেন, তাই আমরা মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে মসজিদের ইমামদের (Muslim Clerics) এবং গুরুকুল ও মাদ্রাসার মধ্যে যোগাযোগ শুরু করব। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব (RSS) পড়বে। এবং তা হবে দেশের স্বার্থে পন্থীই।”

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

LinkedIn
Share