Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope 09 February 2025: পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 February 2025: পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) কিছু কেনাকাটার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    “কাপ্তেনের পরিবার—তার আবার আলাদা ঠাকুর (Ramakrishna), গোপাল। এবার তত কৃপণ দেখলাম না। সেও গীতা-টীতা জানে। ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব। খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত।

    “পাঁঠার চচ্চড়ি করে,— কাপ্তেন বলে পনর দিন থাকে,— কিন্তু কাপ্তেনের পরিবার বললে (Kathamrita)— ‘নাহি নাহি, সাত রোজ’। কিন্তু  বেশ লাগল। ব্যঞ্জন সব একটু একটু। আমি বেশ খাই বলে, আজকাল আমায় বেশি দেয়।

    “তারপর খাবার পর, হয় কাপ্তেন, নয় তার পরিবার বাতাস করবে।”

    Jung Bahadur-এর ছেলেদের কাপ্তেনের সঙ্গে আগমন ১৮৭৫-৭৬— নেপালী ব্রহ্মচারিণীর
    গীতগোবিন্দ গান—“আমি ঈশ্বরের দাসী”

    “ওদের কিন্তু ভারী ভক্তি,—সাধুদের বড় সম্মান। পশ্চিমে লোকেদের সাধুভক্তি বেশি। জাঙ্‌-বাহাদুরের ছেলেরা আর ভাইপো কর্ণেল এখানে এসেছিল। যখন এলো পেন্টুলুণ খুলে যেন কত ভয়ে।

    “কাপ্তেনের সঙ্গে একটি ওদের দেশের মেয়ে এসেছিল। ভারী ভক্ত,— বিবাহ হয় নাই। গীতগোবিন্দ গান কণ্ঠস্থ। তার গান শুনতে দ্বারিকবাবুরা এসে বসেছিল। আমি বললাম, এরা শুনতে চাচ্ছে, লোক ভাল। যখন গীতগোবিন্দ গান গাইলে তখন দ্বারিকবাবু রুমালে চক্ষের জল পুছতে লাগল। বিয়ে কর নাই কেন, জিজ্ঞাসা করাতে বলে, ‘ঈশ্বরের দাসী, আবার কার দাসী হব?’ আর সব্বাই তাকে দেবী বলে (Kathamrita) খুব মানে—যেমন পুঁথিতে (শাস্ত্রে) আছে।

    (মহেন্দ্রাদির প্রতি)—“আপনারা যে আসছো, তাতে কিছু কি উপকার হচ্ছে? শুনলে মনটা বড় ভাল থাকে। (মাস্টারের প্রতি) এখানে লোক আসে কেন? তেমন লেখাপড়া জানি না —”

    মাস্টার (Ramakrishna)—আজ্ঞা, কৃষ্ণ যখন নিজে সব রাখাল গরুটরু হলেন (ব্রহ্মা হরণ করবার পর) তখন রাখালদের মা’রা নূতন রাখালদের পেয়ে যশোদার বাড়িতে আর আসেন না। গাভীরাও হাম্বা রবে ওই নূতন বাছুরদের পিছে পিছে গিয়ে পড়তে লাগল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তাতে কি হলো?

    মাস্টার—ঈশ্বর নিজেই সব হয়েছেন কি না, তাই এত আকর্ষণ (Kathamrita)। ঈশ্বর বস্তু থাকলেই মন টানে।

    কৃষ্ণলীলার ব্যাখ্যা—গোপীপ্রেম—বস্ত্রহরণের মানে

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এ যোগমায়ার আকর্ষণ—ভেলকি লাগিয়ে দেয়। রাধিকা সুবোল বেশে বাছুর কোলে—জটিলার ভয়ে যাচ্ছে; যখন যোগমায়ার শরণাগত হলো তখন জটিলা আবার আশীর্বাদ করে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Delhi Elections 2025: ফেল তোষণের রাজনীতিও, দিল্লিতে মুসলমান মহল্লায়ও ফুটল পদ্ম

    Delhi Elections 2025: ফেল তোষণের রাজনীতিও, দিল্লিতে মুসলমান মহল্লায়ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষ্টিকরণের রাজনীতিও কাজে দিল না! দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারল না কংগ্রেস। টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর যখন দিল্লির মসনদে আপ ক্ষমতায় এল, তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর ভরসা করেছিলেন মুসলমানরা। এবার সেই মুসলমানরাই হাত উপুড় করে ভোট দিলেন পদ্ম চিহ্নে (BJP)। যার জেরে মুসলিম অধ্যুষিত একটি আসনে বিপুল ভোটে জিতলেন পদ্ম-প্রার্থী (Delhi Elections 2025)।

    নির্ণায়ক শক্তি মুসলমানরাই (Delhi Elections 2025)

    ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সাতটি আসনে নির্ণায়ক শক্তি মুসলমানরাই। এক সময় এই আসনগুলিতেই জয়ী হত কংগ্রেস। পরে কেন্দ্রগুলির রাশ যায় আপের হাতে। এবার একটি আসনে বিজেপি জিতেছে। বাকি ছটি আসনে জিততে না পারলেও, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া পার্টি। যার অর্থ, কংগ্রেস নয়, বিজেপির ওপর ভরসা করছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশও। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দিল্লির মুসলিম জনসংখ্যা ১২ শতাংশের বেশি। চাঁদনি চকে মুসলিম জনসংখ্যা ২৯.৭ শতাংশ, মুস্তফাবাদে এই হার ৩৯.৫ শতাংশ, মাটিয়া মহলে মুসলিম জনসংখ্যা ৬০ শতাংশ, বল্লিমারানে এই হার ৪৯.৮ শতাংশ, বাবরপুরে ৪১.১ শতাংশ, সীলমপুরে ৫৭ শতাংশ এবং ওখলাতে ৫২.৫ শতাংশ।

    ভালো ফল বিজেপির

    গত বিধানসভা নির্বাচনে এই সাতটি কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল আপ (Delhi Elections 2025)। এবার মুস্তফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে ফুটেছে পদ্ম। এই আসনে গেরুয়া প্রার্থী মোহন সিং বিস্ত জয়ী হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটে। বাকি ছটি আসনে গতবারের তুলনায় এবার ভালো ফল করেছে পদ্ম-পার্টি। চাঁদনি চক, মাটিয়া মহল, বাবরপুর, ওখলা এবং বল্লমারানেগত কেন্দ্রে গত বারের চেয়ে এবার ঢের বেশি ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। চাঁদনি চকে আপের ব্যবধান ৩০ হাজার থেকে কমে হয়েছে ১৬ হাজার, বাবরপুরেও কেজরির দলের জয়ের ব্যবধান কমে হয়েছে ১৯ হাজার।

    রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, মুসলমান ভোটাররা মনে করছেন, ভরসা করার মতো কোনও কাজ কংগ্রেস করেনি। প্রচারে পাশে থাকার বার্তা দিলেও, কংগ্রেসের একাধিক নেতা আশ্রয় নিয়েছেন পদ্ম-আঁকা ছাতার তলায় (Delhi Elections 2025)। এসব কারণেই মুসলমানদেরও একটা অংশ বিজেপির ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে। তার জেরেই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়ও দাপিয়ে ব্যাটিং করেছে বিজেপি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, মোদি সরকারের তিন তালাক প্রথা রদে খুশি হয়েছেন মুসলমান মহিলারা। তারই ছাপ পড়েছে ইভিএমে (BJP)। যার জেরে মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রেও ফুটেছে পদ্ম (Delhi Elections 2025)।

  • Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। তার পরেও অসমে (Assam) খ্রিস্টধর্ম প্রচার করে চলেছিলেন তিনি (Christian Evangelist)। ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট নামের ওই কানাডিয়ান নাগরিককে ফেরত পাঠানো হল তাঁর নিজের দেশে।

    ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে (Christian Evangelist)

    ডেভল্ট ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে এসেছিলেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি জোরহাটে আটক করা হয় তাঁকে। এর পরেই শুরু হয় তদন্ত। জোরহাট পুলিশ বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করে। জোড়হাটের এসপি শ্বেতাঙ্ক মিশ্র বলেন, “ডেভল্ট জোড়হাটের গ্রেস চার্চের অধীনে ধর্মান্তরিতকরণের কাজে জড়িত ছিলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, আমরা জানতে পারি যে কানাডার এক নাগরিক, ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট, যিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন, তিনি জোরহাটে ধর্মপ্রচার করছিলেন।” তিনি বলেন, “তদন্তে জানা যায় যে, তিনি ধর্মান্তরিতকরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জোড়হাট শহরের বরভেটা এলাকার জেল রোডে অবস্থিত গ্রেস চার্চ থেকে তিনি ধর্মপ্রচার করছিলেন।” জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। তখনই কর্তৃপক্ষ তাঁর ধর্মপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পারেন।

    ইউটিউব চ্যানেল

    ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট ধর্মান্তরের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালাচ্ছিলেন। এসপি জানান, ডেভল্ট স্থানীয়দের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে ওই ইউটিউব চ্যানেল (Christian Evangelist) চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “স্থানীয়দের তাঁর ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিলেন। ইউটিউব চ্যানেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছি। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা বিদেশিদের ধর্মান্তকরণ বা মিশনারি কাজে জড়িত থাকার অনুমতি দেয় না।

    ডেভল্টের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এফআরআরও কলকাতাকে জানানো হয়। তারা তাঁকে ‘ভারত ছেড়ে যাওয়ার’ নোটিশ জারি করে। জোরহাট পুলিশ তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় টরেন্টোর ফ্লাইটে। এসপি জানান, সম্পূর্ণ বহিষ্কার প্রক্রিয়াটি যথাযথ প্রোটোকল মেনে করা হয়েছে। এজন্য একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হয়েছিল।

    ২০২২ সালে অসম থেকে সাতজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন সুইডিশ নাগরিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল (Assam)। তাঁরাও ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে প্রবেশ করে ধর্মান্তরকরণে যুক্ত ছিলেন (Christian Evangelist)।

  • BJP: অযোধ্যার উপনির্বাচনে মিল্কিপুর আসন সপার থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    BJP: অযোধ্যার উপনির্বাচনে মিল্কিপুর আসন সপার থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিজেপির (BJP) দিল্লি জয়ের পাশাপাশি আরও উল্লেখযোগ্য জয় এল উত্তরপ্রদেশ থেকে। উত্তরপ্রদেশের মিল্কিপুর আসনে জিতল বিজেপি। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই জয়। কারণ মিল্কিপুর বিধানসভা হল ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এবং যা অযোধ্যা জেলায় অবস্থিত। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফৈজাবাদ লোকসভা আসনটি জেতে সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিল্কিপুর ছিল এমন একমাত্র বিধানসভা, গোটা অযোধ্যা জেলার মধ্যে যেখানে ২০২২ সালের নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছিল বিজেপি (BJP)। অযোধ্যা জেলার মধ্যে একটি আসনই হেরেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু শনিবারের উপ নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে সেটিও তারা ছিনিয়ে নিল সমাজবাদী পার্টির হাত থেকে। বিজেপি প্রার্থী এই আসনে জিতলেন ৫৭ হাজার ভোটে। ফৈজাবাদ লোকসভার মধ্যেই পড়ে অযোধ্যা বিধানসভা। সেখানেই তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। ফৈজাবাদে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় প্রবল আস্ফালন শুরু করেছিল ইন্ডি জোট। শনিবার মিল্কিপুরে এল জয়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর ফের মিল্কিপুর পেল বিজেপি বিধায়ক। ১৯৯১ সালের পর ২০১৭ সালে এই বিধানসভা আসনে জিতেছিলেন বাবা গোরখনাথ। ২০২২ সালের ভোটে তাঁকে হারিয়ে বিধায়ক হন সমাজবাদী পার্টির অবধেশ প্রসাদ।

    মোট ভোটার ৩লাখ ৬০ হাজার (BJP)

    দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত যে রিপোর্ট সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি (BJP) প্রার্থী চন্দ্রভানু পাসোয়ান পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি ভোট। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অজিত প্রসাদ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ১৫৬টি ভোট। প্রসঙ্গত, মিল্কিপুর (Milkipur) বিধানসভা আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানানো হয়েছে। সেখানেই বড় জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি।

    পরাজয় হজম হচ্ছে না অখিলেশের

    গেরুয়া শিবিরের কাছে এই পরাজয় কোনওভাবেই হজম করতে পারছেন না সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাই মিল্কিপুরে (Milkipur) পরাস্ত হওয়ার পরে তিনি বিবৃতি দেন, বিজেপি (BJP) নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির সাংসদ দীনেশ শর্মা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, মিল্কিপুরে সমাজবাদী পার্টির অহঙ্কারের পতন হয়েছে।

  • Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস (Congress)। শুধু পরাজয়ই নয়, এক্কেবারে টানা তিন-তিন বার খালি হাতে ফিরে শূন্যের হ্যাটট্রিক করল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অস্তাচলে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার? ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মসনদে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই দিল্লির জনগণ তাদের সেখান থেকে উৎখাত করে। বিগত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও ভরাডুবি হয় দলের। দিল্লির (Delhi Election) অন্তর্গত লোকসভাগুলিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয় আম আদমি পার্টির।

    দিল্লির মানুষ প্রত্যাখান করেছে কংগ্রেসকে (Congress)

    ২০২৫ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির মধ্যে জোট হয়নি। এই আবহে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কিন্তু এত সব কিছু করেও বিফলে গেল তাদের প্রচার। দিল্লির জনগণ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। সেখানে মাত্র ৮টি আসনে জয় পায় তারা। শতাংশের বিচারে ভোট পায় ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওই বছরে আম আদমি পার্টি ২৮টি আসনে তারা জয় লাভ করে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে। এরপরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি। দলের ভোট শতাংশের হার নেমে আসে ৯.৬৫।

    ২০২০ সালেও কোনও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস (Congress)

    ৫ বছর পরে ২০২০ সালে কংগ্রেস আবারও একবার শূন্য পায়। ভোট শতাংশের হার তারও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ৪.২৬। দলের এমন ফলাফলে যথেষ্ঠই হতাশ কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন দিল্লির ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে (Delhi Election) যা হল তা কংগ্রেসের (Congress) জন্য যথেষ্ট হতাশার। বিজেপি জিতছে আম আদমি পার্টির হারছে। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত। যারা জিতল তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’’

  • Delhi Elections 2025: বিদায় আপের! ২৭ বছর পর দিল্লি পদ্মময়! কোন ফর্মুলায় এল জয়?

    Delhi Elections 2025: বিদায় আপের! ২৭ বছর পর দিল্লি পদ্মময়! কোন ফর্মুলায় এল জয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন এক্সিট পোলে দাবি করা হয়েছিল দিল্লিতে আসতে চলেছে বিজেপির সরকার (Delhi Elections 2025)। শনিবার সকাল থেকে চলছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনা। সেই গণনার ট্রেন্ড বলছে দিল্লিতে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি জয়ী হলে ২৭ বছর পর দিল্লির কুর্সিতে ফের বসবে পদ্ম-পার্টি। দিল্লি বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০টি। এদিন বিকেল তিনটের পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৪৮টি আসনে জয়ী এবং এগিয়ে রয়েছে পদ্ম পার্টি। দিল্লিতে সরকার গড়তে হলে প্রয়োজন ৩৬টি আসনের। ফলে, দিল্লিতে গঠিত হচ্ছে বিজেপি সরকার, এটা নিশ্চিত। রাজ্যের শাসক দল আপের ঝুলিতে মাত্র ২৬টি আসন (তিনটের হিসেব) থাকতে পারে। আর কংগ্রেস তো পিকচারেই নেই।

    মোদির নেতৃত্বে দিল্লি দখলের লড়াই (Delhi Elections 2025)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নামে বিজেপি। প্রচারে মূল বার্তা ছিল তিনটি- আপের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি অব্যাহত রাখা, ডাবল ইঞ্জিন উন্নয়ন এবং আপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিল্লির মধ্যবিত্ত শ্রেণির আস্থাও হারিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল, আপের কল্যাণমূলক রাজনীতি থেকে তাঁরা তো উপকৃত হননি, উল্টে আপ আমলে খারাপ হয়েছে দিল্লির রাস্তাঘাট, কমেছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। ২০১২ সালে আম আদমি পার্টি গঠন করেন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পরের বছরই দিল্লির কুর্সিতে বসে কেজরিওয়ালের দল (Delhi Elections 2025)। ২০১৫ সাল থেকে দিল্লির মসনদে টানা ছিল সেই দল। এবার নির্বাচনে সেই কুর্সিই খোয়াতে চলেছে কেজরিওয়ালের দল।

    দিল্লিবাসীর ক্ষোভের আগুন

    নিয়মিত যাঁরা রাজনীতির চর্চা করেন, তাঁদের বক্তব্য আপের বিরুদ্ধে দিল্লিবাসীর ক্ষোভের আগুন পুঞ্জীভূত হয়েছিল তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি করে। জনগণমনের সেই আঁচ পেয়েছিল আপও। তার স্পষ্ট প্রমাণ মেলে তাদের প্রার্থী তালিকায় চোখ বোলালে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থী তালিকায় কিছু রদবদল করা হলেও, তা বিশেষ ছাপ ফেলেনি ভোটারদের মনে।

    প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া

    জনতার এই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াই পালে লেগেছে বিজেপির নাওয়ের। সেই কারণেই গেরুয়া শিবিরের দিল্লি দখল হতে চলেছে নিছকই কেকওয়াক। এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণের দক্ষতা যেমন বিজেপির জয়ের পথ মসৃণ করেছে তেমনি, দেশের অর্থনীতির ভোল বদলে দেওয়াও গভীর ছাপ ফেলেছে দিল্লিবাসীর মনে (Delhi Elections 2025)। তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস কিংবা আপ নেতাদের মতো স্বপ্ন ফেরি করে বেড়ান না, ফাঁকা আওয়াজও দেন না। তাঁর গায়ে লেগে নেই দুর্নীতির কালিও। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘মিস্টার ক্লিন’ ইমেজও সহায়ক হয়েছে বিজেপি জয়ের পথে ছড়িয়ে থাকা কাঁটা সরাতে।

    মোদিতেই আস্থা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একাধিক সিদ্ধান্তও বিজেপির প্রতি আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে দিল্লিবাসীর। তিনি যে অসাধ্য সাধন করতে পারেন, তা তাঁরা টের পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর। কংগ্রেস জমানায় প্রায় প্রতিদিন রক্তাক্ত হত ভূস্বর্গ। সেখানেই আজ বিরাজ করছে অনাবিল শান্তি। আক্ষরিক অর্থেই কাশ্মীর আজ ভূস্বর্গ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। এসবই দিল্লিবাসীর মনে মোদি সম্পর্কে ‘ম্যায় হুঁ না’ টাইপের একটা ধারণা তৈরি করেছে।অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়েও দিল্লিবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার বিগ্রহের। তার জেরেও প্রধানমন্ত্রীর ওপর দিল্লিবাসীর ভরসা বেড়েছে বই কমেনি। তিন তালাকের প্রথা রদ করাও ফেভারে গিয়েছে মোদির দলের (Delhi Elections 2025)। দিল্লির হাজার হাজার মুসলমান মহিলা দুহাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন পদ্ম পার্টিকে। ইভিএমের সেই ফলও জানান দিচ্ছে বিজেপির পক্ষে দিল্লি খুব বেশি দূরে নয়।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানও ভালো ‘খেয়েছেন’ দিল্লির ভোটাররা। মোদির রাজত্বে তরতরিয়ে উন্নতি হচ্ছে অর্থনীতির। এক সময় কোনও কিছুর জন্য নির্ভর করতে হত বিদেশের ওপর। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে এখন সেটাই তৈরি হচ্ছে ভারতে। ফলে কমেছে বিদেশি-নির্ভরতা। বিজেপির দিল্লি বিজয় অনায়াস হয়েছে এই কারণেও। এর আগে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল ১৯৯৮ সালে (Delhi Elections 2025)। শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। ডেমোগ্রাফি বদলে এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দিল্লি দখল করে কংগ্রেস। মসনদে বসেন শীলা দীক্ষিত। ২০১৩ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে আপ। দিল্লিবাসী সেই দলকেও ‘ঝাড়ু’ দিয়ে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে দিলেন।

    দিল্লি হল পদ্মময়। ক্ষমতায় আসতে চলেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। উন্নয়নের রথের চাকার ধুলোয় বিরোধী না খড়কুটোর মতো উড়ে যান (Delhi Elections 2025)!

  • ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে ঠিক দুর্গাপুজোর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mandal)। বেরিয়ে এসেছিলেন তিহাড় জেল থেকে। ফিরেছিলেন বাড়ি, মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে। বর্তমানে তৃণমূলের এই নেতা ইতিমধ্যে সক্রিয় রাজনীতিতেও নেমে পড়েছেন। তবে গরু পাচার মামলায় বিপদ যেন কিছুতেই কমছে না অনুব্রতর। এরই মধ্যে গরু পাচার মামলায় ফের অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। উল্লেখযোগ্য তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, শুধুমাত্র অনুব্রতর একার নয়, তাঁর আত্মীয়দের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও তাঁর সহযোগী সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা (ED)

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED) তরফে এক বিবৃতি দিয়েছে এবিষয়ে। সেখানেই জানানো হয়েছে, অনুব্রতর নামে থাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত (ED)

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখন থেকে জেলবন্দি ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে তিহাড় জেলে স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এবার তাঁর ৩৬ অ্যাকাউন্টের বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তারী সংস্থা ইডির (ED) দাবি, অনুব্রতর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত গরু পাচারের টাকা। সেগুলিই বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছিল এতদিন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখনও চলছে, শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল।

  • Delhi Election: পরাস্ত কেজরিওয়াল, ভরাডুবি দলের, খসে পড়ল সততার মুখোশ

    Delhi Election: পরাস্ত কেজরিওয়াল, ভরাডুবি দলের, খসে পড়ল সততার মুখোশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির ভোটে (Delhi Election) পরাস্ত আম আদমি পার্টির (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিল্লি নির্বাচনে বিজেপি ৪৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি বাইশটিতে। নিজ নিজ আসনে হেরে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা। কোনও মতে, হার বাঁচিয়েছেন অতিশী। ২৭ বছর পর দেশের রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের পথে বিজেপি।

    মুখে দুর্নীতিমুক্ত, কাজে দুর্নীতিগ্রস্ত

    সততা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েই জন্ম হয়েছিল আম আদমি পার্টির। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আন্না হাজারের অন্যতম শিষ্য ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরেই সততার মুখোশ খসতে থাকে আম আদমি পার্টির। একাধিক দুর্নীতিতে নাম জুড়তে থাকে দলের। আবগারি দুর্নীতিতে জেলেও যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। একই সঙ্গে, সুবিধাবাদের রাজনীতির অভিযোগ ওঠে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। কারণ, আম আদমি পার্টির জন্মই হয়েছিল কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত অ্যাখা দিয়ে। পরে সেই আম আদমি পার্টি আবার ক্ষমতা ধরে রাখতে কংগ্রেসের সঙ্গেই ইন্ডি জোটে সামিল হয়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জোট করে ধরাশায়ীও হয়। এখানেই উঠতে থাকে আপ পার্টির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন।

    ৪৪ জন প্রার্থীই ছিলেন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত (Delhi Election)

    অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং এখানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। দেখা যাচ্ছে ২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে (Delhi Election) আম আদমি পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। তাদের দলে তাহলে ৭০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৪ জনই ফৌজদারী অভিযোগে অভিযুক্ত।

    নিজের বেআইনি বাড়ি বানিয়েছেন কেজরিওয়াল, অভিযোগ বিজেপির

    একইসঙ্গে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চারটি বাংলো ভেঙে নিজের বাড়ি করার অভিযোগও উঠেছে। নিজের জন্য কেজরিওয়াল বানিয়েছেন রাজকীয় প্রাসাদ। নাম দিয়েছেন শিষমহল। এনিয়ে তোপ দেগেছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই ইস্যুতে নিশানা করেন একাধিক জনসভায়। অন্যদিকে আবগারি দুর্নীতিতে রাজ্যের কোষাগারের ২,০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইতিমধ্যে সিএজি। ভোটের ফলে এগুলির প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছে (Delhi Election) রাজনৈতিক মহলের একাংশ। হারতে হল খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও।

  • Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে দিল্লি বিধানসভা (Delhi Election) দখলের পথে বিজেপি (BJP), গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল আম আদমি পার্টি। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন ফলাফলের জন্য নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিপুল কর্মযজ্ঞ যেমন ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে, একইভাবে আম আদমি পার্টির দুর্নীতি সমান ভাবে দায়ী। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতিতে জেলে যেতে হয় আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়াকে। সেই প্রতিফলনই ইভিএমে পড়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল।

    বিজেপি এগিয়ে ৪৪ আসনে, পিছিয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী

    সকাল দশটা পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্পষ্ট ছবি উঠে আসছে যে ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৪ আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে রয়েছে ২৬ আসনে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত কোথাও খাতা খুলতে পারেনি। এই প্রাথমিক ফলাফল আম আদমি পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) পিছিয়ে রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী অতিশী মারলেনা।

    ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা ভোট দান করেছেন দিল্লিতে

    দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোট গণনা চলছে ১৯টি কেন্দ্রে। গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর পরবর্তীকালে সামনে আসে জনমত সমীক্ষা। প্রত্যেকটি জনমত সমীক্ষাতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই জনমত সমীক্ষারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গণনার দিনে। প্রসঙ্গত, পাঁচ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটে ভোট দান করেছিলেন ৬০.৫৪ শতাংশ ভোটার। ২০২০ সালে তুলনায় যা ছিল ২.৫ শতাংশ কম। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোটে ভোট দিয়েছেন ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা।

LinkedIn
Share