Tag: Bengali news

Bengali news

  • Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন। যেসব মহিলার সন্তান রয়েছে, তাঁদের চাকরিতে না নেওয়াই ভাল। বয়স যদি পঞ্চাশের কোঠা পেরয়, তাহলে ওই কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। বেঙ্গালুরু-বেসড আইটি কোম্পানি (IT Company) ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ওই কোম্পানির নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আদালতে এই মর্মে মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। ইনফোসিসের বিরুদ্ধে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রাক্তন আধিকারিক।

    ইনফোসিসের (Infosys) নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল প্রিজিন। তাঁর দাবি, আমেরিকায় ওই কোম্পানিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ করতে বারণ করা হয়েছিল। যেসব মহিলার ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাঁদেরও কোম্পানিতে নিয়োগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক কোনও নারী কিংবা পুরুষকেও চাকরিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জিল। প্রাক্তন এই ইনফোসিস (Infosys) আধিকারিকের অভিযোগ, ড্যান অলব্রাইট এবং জেরি ক্রৎজের নিয়োগ সংক্রান্ত এই বেআইনি আবদার মেনে না নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ জিলের।

    আরও পড়ুন : স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    শেষমেশ আমেরিকার নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কোম্পানির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দায়ের করেন মামলা। আদালতের দায়ের করা অভিযোগপত্রে ইনফোসিসের (Infosys) প্রাক্তন আধিকারিক জিল জানান, ২০১৮ সালে ইনফোসিসে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে সংস্থার বেআইনি নিয়মনীতি দেখে হতবম্ব হয়ে যান তিনি। চাকরিতে যোগদানের মাস দুয়েকের মধ্যেই সংস্থার এই নীতি বদলানোর চেষ্টা করেন তিনি। জিলের অভিযোগ, এর পরেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে খোয়া যায় চাকরি। জিলের আরও অভিযোগ, নিউইয়র্কের মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে আমেরিকায় নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে ইনফোসিসের প্রতিক্রিয়া পেতে চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। যদিও কোম্পানির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার লক্ষ্মীপুজো। এদিনই আসামের কামাখ্যা মন্দিরে (Kamakhya Temple) গিয়ে প্রর্থনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিন দিনের আসাম সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ দিনে গেলেন ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম এক পীঠ কামাখ্যা দর্শনে।

    নীলাচল পাহাড়ের মাথায় রয়েছে দেবী কামাখ্যার মন্দির। দেবী এখানে মহামায়া রূপে অধিষ্ঠিতা। এদিন এই মন্দিরই দর্শন করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। রাজ্যের যে গেস্ট হাউসে তিনি রাত্রিবাস করছিলেন, সেখান থেকেই সরাসরি অমিত শাহ চলে আসেন মন্দিরে। প্রথমেই তাঁরা যান মন্দিরের গর্ভগৃহের পবিত্রতম এলাকায়। সেখানেই সারেন প্রার্থনা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য করেন কামাখ্যা মন্দিরের তিন পুরোহিত। জানা গিয়েছে, অমিত শাহ (Amit Shah) মন্দিরের মধ্যে ছিলেন মিনিট দশেকেরও বেশি সময়। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে রীতি মেনে করেন মন্দির পরিক্রমা। পরে উপস্থিত দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তার পরেই বেরিয়ে আসেন মন্দির চত্বর ছেড়ে। 

    আরও পড়ুন : আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    কামাখ্যা মন্দির দর্শন শেষে অমিত শাহ (Amit Shah) চলে যান আসাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজে। সেখানে করেন বক্তৃতা। সেখান থেকে অমিত শাহ যাবেন গোলাঘাট জেলার দেরগাঁও এলাকায়। পুলিশ কর্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় আসামে পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা-মুক্ত আসামের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বরিষ্ঠ আধিকারিকরা। বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নবগঠিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেপি নাড্ডাও। মাদক পাচার ও জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে এক আলোচনা চক্রে যোগ দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরে যোগ দেন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এদিন যান কামাখ্যা মায়ের দর্শনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Solar Powered Village: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    Solar Powered Village: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ গ্রাম বিখ্যাত ছিল সূর্য মন্দিরের জন্য। এবার নয়া পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের মেহসানা জেলার মধেরা গ্রাম। আজ, শুক্রবার থেকে এ গ্রামকে দেশবাসী চিনবে সৌরশক্তির গ্রাম (Solar Powered Village)  হিসেবে। আজ্ঞে, হ্যাঁ। এটিই দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম। এ গ্রামের সব কিছুই চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। মধেরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পুষ্পবতী নদী। এই গ্রামেই রয়েছে সূর্য মন্দির। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন সৌরশক্তির গ্রামের (Solar Powered Village)। আরও কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি।

    মধেরাকে সৌরশক্তির গ্রামে (Solar Powered Village) রূপান্তরিত করতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে বসানো হয়েছে হাজারেরও বেশি সৌর প্যানেল। গুজরাট সরকারের দাবি, এর ফলে গ্রামবাসীদের আর বিদ্যুৎ কষ্টে ভুগতে হবে না। গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। গ্রামবাসীরা নিখরচায় ভোগ করবেন সৌর বিদ্যুৎ। বৃহস্পতিবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, আমি জানাতে খুশি হচ্ছি ক্লিন এনার্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে গুজরাট আরও একবার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে ভারতের শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করতে তাঁর সঙ্কল্প পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    আরও পড়ুন : ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    ছবির মতো সাজানো গ্রাম মধেরা। শেষ জনগণনা অনুযায়ী, গ্রামে বাস করেন ৬ হাজার ৭৩৮ জন। এই সৌরশক্তি প্রকল্পের জন্য গুজরাট সরকার বরাদ্দ করেছে ১২ হেক্টর জায়গা। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে প্রকল্পের কাজে খরচ করেছে মোট ৮০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, সৌরশক্তির এই গ্রামে (Solar Powered Village) দিনের বেলায় শক্তি সরবরাহ করবে সৌর প্যানেল। সন্ধেয় সেই শক্তি বাড়িতে সরবরাহ করবে বিইএসএস। এই গ্রামেই প্রথম বৈদ্যুতিক যানের চার্জিং স্টেশনও স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে মধেরার সূর্য মন্দিরে হবে স্পেকট্যাকুলার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। এই শোয়ে থ্রি-ডি প্রজেকশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে মধেরার ইতিহাস। এই শো-ও হবে সৌরশক্তির সাহায্যে। এখনও যে গ্রামের মন্দিরে নিত্য পুজো হয় সূর্যদেবের, সেই গ্রামেই দিবানিশি আলো দেবেন দিবাকর!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalu Yadav: জমির বদলে রেলে চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে লালু, চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের  

    Lalu Yadav: জমির বদলে রেলে চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে লালু, চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বদলে রেলে চাকরি (Land for Jobs) কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। কেবল লালু নন, ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, তাঁদের কন্যা মিসা ভারতী ও হেমা যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেলে নিয়োগের বিনিময়ে কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়েছিলেন জমি। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইউপিএ ১ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। সেই সময়ই এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এদিন যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তার মধ্যে রেলের এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারেরও নাম রয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রেলে গ্রুপ ডি স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের প্রথমে নিয়োগ করা হয়েছিল তিনদিনের জন্য। জমি হস্তান্তর হওয়ার পরেই পাকা হয় চাকরি। চার্জশিটে সিবিআই আরও জানিয়েছে, জমির দলিল তৈরি হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁর মেয়ে মিশা ভারতী ও হেমা যাদবের নামে। 

    লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে চলতি বছরের জুলাই মাসে সিবিআই হানা দেয় চার জায়গায়। গ্রেফতার করা হয় ভোলা যাদবকে। এই ভোলা লালুর দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন প্রধান। লালু যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভোলা ছিলেন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি।

    আরও পড়ুন : চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রেলে চাকরি দিতে গিয়ে ঘুষ বাবদ লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) পরিবার আর্থিক সুবিধা নিয়েছিল। পাটনার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা লালু ও তাঁর পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন এক সংস্থাকে তাঁদের জমি বিক্রি করেছিলেন অথবা উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে কেবল পাটনায়ই প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ২৯২ বর্গফুট জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shiv Sena Symbol: উদ্ধবের ‘মশাল’, ‘ঢাল-জোড়া তরোয়াল’ প্রতীকে ভোট ভূমে হাজির শিন্ডে শিবিরও

    Shiv Sena Symbol: উদ্ধবের ‘মশাল’, ‘ঢাল-জোড়া তরোয়াল’ প্রতীকে ভোট ভূমে হাজির শিন্ডে শিবিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবির নির্বাচনী প্রতীক (Shiv Sena Symbol) হিসেবে পেয়েছিল জ্বলন্ত মশাল। এবার প্রতীক পেল শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরও। তাদের প্রতীক ঢাল-জোড়া তরোয়াল। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। ওই নির্বাচনেই শিবসেনার দুই গোষ্ঠী হাজির হবে নয়া প্রতীকে। শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর প্রতীকের (Shiv Sena Symbol) পাশাপাশি কোন শিবির কী নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তাও ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব গোষ্ঠীর দলের নাম হবে উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। আর শিন্ডে শিবিরের দলের নাম হবে বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে উদ্ধবের সঙ্গে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয় শিবসেনারই একনাথ শিন্ডের। তার জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে চলে যান আসাম। শিবসেনার সিংহভাগ বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে চলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। পরে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন শিন্ডে। দু পক্ষই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ইতিমধ্যে চলে আসে আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়ক রমেশ লাটকের মৃত্যুর ফলে উপনির্বাচন হচ্ছে ওই কেন্দ্রে। এই নির্বাচনেই শিবসেনার দুই গোষ্ঠী লড়ছে নয়া নামে ও নতুন প্রতীকে। আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধব এবং শিন্ডে দু পক্ষের কাছেই। যে পক্ষই জিতবে তারাই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করবে। ওই কেন্দ্রে উদ্ধব শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন ঋতুজা লাটকে। শিন্ডে শিবির অবশ্য এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

    আরও পড়ুন :আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার প্রকৃত প্রতীক (Shiv Sena Symbol) ছিল তির-ধনুক। উদ্ধব ও শিন্ডে শিবিরের বিরোধের জেরে গত শনিবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়, আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে পারবে না উদ্ধব কিংবা শিন্ডে শিবসেনার কোনও শিবিরই। বেছে নিতে হবে অন্য নাম ও প্রতীক। তার পরেই জ্বলন্ত মশাল ও ঢাল-জোড়া তরোয়াল প্রতীকে ভোট ময়দানে হাজির উদ্ধব-শিন্ডে দু পক্ষই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kashmir Issue: কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু, নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মোদির

    Kashmir Issue: কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু, নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নাম না করে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir Issue) জন্য যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই দায়ী, তাও মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার গুজরাটের (Gujrat) আনন্দ জেলার বল্লভ বিদ্যানগরে আয়োজিত এক জনসভায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। সমালোচনা করেন নেহরুর। ওই জনসভায় মোদি বলেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সব রাজতন্ত্রকে দেশের অন্তর্ভুক্ত করে দেখিয়েছিলেন। অথচ একজনের হাতে শুধু কাশ্মীর সমস্যা ছিল, তারই সমাধান করে উঠতে পারেননি। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে অনুসরণ করে তিনি যে কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir Issue) সমাধান করতে পেরেছেন, ওই জনসভায় তাও জানিয়ে দেন মোদি। বলেন, সর্দার সাহেবের দেখানো পথ অনুসরণ করে আমি এগোচ্ছি। সর্দারের ভূমির মূল্যবোধ রয়েছে আমার মধ্যে। সেই কারণেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আমি করতে পেরেছি। সর্দার প্যাটেলকে সম্মান জানাতে পেরেছি।

    এদিনের জনসভায় গুজরাটের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা (কংগ্রেস সরকার) যখন বাঁধ নির্মাণ করছিল, তখন জল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও খাল তৈরি করেনি। তাঁর প্রশ্ন, তারা কি বাঁধ নির্মাণ করছিল লোক দেখানোর জন্য? কংগ্রেসের অসমাপ্ত বাঁধ নির্মাণের কাজ তিনি শেষ করেছেন বলেও দাবি করেন মোদি। বলেন, এখন গুজরাটের সর্বত্র জল পৌঁছচ্ছে। কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুজরাট এখন এগিয়ে গিয়েছে নয় থেকে দশ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    এদিন ফের একবার শহুরে নকশালদের আক্রমণ শানান মোদি। বলেন, সর্দার প্যাটেলের স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল সর্দার সরোবর বাঁধ। এই বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়েছিল শহুরে নকশালরা। কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৪০-৫০ বছর নষ্ট করেছে, আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে, গুজরাটের গরিব মানুষদের টাকা খরচ হয়েছে জলের মতো। আর আজ তৈরি হয়েছে সর্দার সরোবর বাঁধ। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সর্দার সাহেবের। মোদি বলেন, বেশ কয়েক দশক পার হয়েছে প্রয়াত হয়েছেন সর্দার সাহেব। এখন উদারতা দেখানো প্রয়োজন। তাঁর পায়ে মাথা নত করা দরকার। কিন্তু তারা (কংগ্রেস) তা করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shiv Sena Symbol: নয়া প্রতীক জমা দিচ্ছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির! কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালতে উদ্ধব

    Shiv Sena Symbol: নয়া প্রতীক জমা দিচ্ছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির! কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালতে উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ৩ নভেম্বর। এই নির্বাচনেই মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) লড়তে হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনারই উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠীর সঙ্গে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কোনও পক্ষই শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না। অগত্যা নয়া প্রতীক জমা দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। মঙ্গলবার শিন্ডে গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে পারেন তিনটি প্রতীক।

    শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক হারিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবির। রবিবার শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর তরফে নির্বাচন কমিশনে তিনটি প্রতীক জমা দেওয়া হয়। একটি ত্রিশূল, অন্যটি উদীয়মান সূর্য এবং তৃতীয়টি জ্বলন্ত মশাল। এর মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের প্রথম পছন্দ ত্রিশূল। দ্বিতীয় পছন্দ উদীয়মান সূর্য। তিনটি প্রতীক জমা দিতে হবে শিন্ডে শিবিরকেও। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে প্রতীক জমা দিতে পারে তারা। তবে শিবসেনার পুরানো প্রতীক তির-ধনুক পেতে তারা নির্বাচন কমিশনে দরবার করবে বলেও শিন্ডে শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের। ওই হাইকোর্টেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির। উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাখিল করা পিটিশনের প্রেক্ষিতেই দাখিল করা হয়েছে ক্যাভিয়েট। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন : ”বাবা যা অর্জন করেছিলেন, কয়েক মিনিটেই তা হারালেন ছেলে…”

    জানা গিয়েছে, শিবসেনার শিন্ডে শিবির দলের নাম রাখতে চলেছেন বালাসাহেববাঁচি শিবসেনা। মারাঠি এই শব্দবন্ধের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বালাসাহেবের শিবসেনা। আর উদ্ধব ঠাকরে শিবির চাইছে দলের নাম হোক শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। তবে শিবসেনার কোন গোষ্ঠীর নাম কী হবে, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশনই। শিবসেনার নয়া প্রতীক (Shiv Sena Symbol) উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। প্রসঙ্গত, শিবসেনার এই সাংসদ আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Shiv Sena Symbol: ”বাবা যা অর্জন করেছিলেন, কয়েক মিনিটেই তা হারালেন ছেলে…”

    Shiv Sena Symbol: ”বাবা যা অর্জন করেছিলেন, কয়েক মিনিটেই তা হারালেন ছেলে…”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত কোনও পক্ষই ব্যবহার করতে পারবেন না শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক। সম্প্রতি উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন এনসিপি নেতা একনাথ খাড়সে (Eknath Khadse)। দল গঠনে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের পরিশ্রমের উল্লেখ করে খাড়সে বলেন, বহু কঠিন বাধা পেরিয়ে বাবা যা অর্জন করেছিলেন, রাজনৈতিক যুদ্ধে নেমে কয়েক মিনিটেই তা হারালেন ছেলে।

    প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা বলেন, শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক জনপ্রিয় হয়েছিল বাল ঠাকরের নিরলস পরিশ্রমের কারণে। খাড়সে বলেন, তিনি (উদ্ধব ঠাকরে) ক্ষমতায় এসেছিলেন এই চিহ্নের সহায্যে। কিন্তু দুজনের (উদ্ধব ঠাকরে-একনাথ শিন্ডে) লড়াইয়ের জেরে লুপ্ত হয়ে গেল শিবসেনার এই প্রতীক। এটা দুর্ভাগ্যজনক। থানে জেলার এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন এনসিপির ওই নেতা। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের জন্যই যে উদ্ধব মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এদিন তাও মনে করিয়ে দেন খাড়সে। তাঁর মতে, মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের প্রধান স্থপতি শারদ পাওয়ারই।

    এদিকে, শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক হারিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবির। রবিবার শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর তরফে নির্বাচন কমিশনে তিনটি প্রতীক জমা দেওয়া হয়। একটি ত্রিশূল, অন্যটি উদীয়মান সূর্য এবং তৃতীয়টি জলন্ত মশাল। নভেম্বরের তিন তারিখে রয়েছে আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এদিন পার্টির নামের একটি তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এগুলি হল, শিবসেনা (বালাসাহেব ঠাকরে), শিবসেনা (প্রবোধঙ্কর ঠাকরে) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মতদ্বৈততার জেরে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে যান একনাথ শিন্ডে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের সরকারের। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। দু পক্ষই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। দাবি করতে থাকে নির্বাচনী প্রতীকও। এর পরেই আপাতত শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) লোপ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PK: ‘নীতীশজি বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন’, তোপ পিকের

    PK: ‘নীতীশজি বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন’, তোপ পিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনতা দল ইউনাইটেডকে (Jdu) কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব নীতীশ কুমারকে দিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (PK)। বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তাঁকে পাল্টা একহাত নিলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, নীতীশজি বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন।

    বৃহস্পতিবার নীতীশ কুমার প্রশান্ত কিশোরকে (PK) নিশানা করে বলেন, চার পাঁচ বছর আগে তিনি আমাকে কংগ্রেসে মিশে যেতে বলেছিলেন। তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন এবং সেই মতো কাজ করছেন।শুক্রবার তারই পাল্টা দিলেন ভোটকুশলী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, নীতীশজি বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলছেন। রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তিনি কিছু একটা বলতে চাইছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য একটি কথা বলে শেষ করছেন। প্রশান্ত কিশোর (PK) বলেন, প্রথমে তিনি বললেন আমি বিজেপির অ্যাজেন্ডা মতো কাজ করছি। পরে তিনি দাবি করলেন আমি তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। দুটোই কীভাবে সম্ভব? আমি যদি বিজেপির হয়ে কাজ করি, তাহলে আমি কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার কথা বলব কী করে? শেষের দাবিটি যদি সত্য হয়, তাহলে তাঁর (নীতীশের) প্রথম বক্তব্যটি মিথ্যে।

    নীতীশকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন একটি ট্যুইটও করেন প্রশান্ত কিশোর (PK)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বয়স নীতীশজির ওপর প্রভাব ফেলছে। তিনি এক বলতে চাইছেন, কিন্তু অন্য কথা বলছেন। আমি যদি বিজেপির অ্যাজেন্ডায় কাজ করতাম, তাহলে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার কথা বলব কেন? তিনি বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলছেন। রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। যাঁরা তাঁকে ঘিরে রয়েছেন, তাঁদের তিনি বিশ্বাসই করতে পারেন না। ২০১৮ সালে নীতীশের হাত ধরেই জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর (PK)। প্রখর রাজনীতির জ্ঞানের কারণে দলে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রশান্ত কিশোরকে দলের জাতীয় সহ সভাপতি করেছিলেন নীতীশ। পরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সহ নানা বিষয়ে নীতীশের সঙ্গে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয় পিকের। দলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করতে থাকেন প্রশান্ত কিশোর (PK)। এর পরেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : প্রশান্ত কিশোরকে কোনও অফারই দেওয়া হয়নি, সাফ জানাল নীতীশের দল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Raj Raj: কমল হাসান হিন্দু নন, চোল রাজা বিতর্কে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

    Raj Raj: কমল হাসান হিন্দু নন, চোল রাজা বিতর্কে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোল রাজা (Chola King) রাজরাজ (Raj Raj) হিন্দু ছিলেন কীনা, তা নিয়ে অব্যাহত বিতর্ক। এরই মধ্যে অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসানকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা এইচ রাজা (H Raja)। তিনি বলেন, কমল হাসান হিন্দু নন, তাঁর গোটা পরিবার ধর্ম প্রচারক (Evangelized)। তিনি কমল হাসানের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। যেখানে কমলকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে একটি খ্রিষ্টান আর্টস অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারে। তখন তিনি বিশ্বে খিষ্ট্রের বাণী প্রচার করছিলেন।

    চোল রাজা রাজরাজ (Raj Raj) হিন্দু ছিলেন কীনা তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় জাতীয় পুরস্কার জয়ী তামিল পরিচালক ভেত্রমারানের একটি মন্তব্যের জেরে। তিনি বলেছিলেন, চোল রাজ রাজরাজ (Raj Raj) হিন্দু ছিলেন না। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভারতে আসার পর হিন্দু শব্দের উৎপত্তি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। তামিল পরিচালকের এই বক্তব্য সমর্থন করেছিলেন কমল হাসান। ভেত্রমারানের দাবি, মণিরত্নমের ছবি পোন্নিয়িন সেল্ভান ১এ চোল রাজা রাজরাজকে হিন্দু হিসেবে দেখানো হয়েছে। আদতে তা নয়। তাঁর দাবি, ছবিটি তৈরি হয়েছে কল্কি কৃষ্ণমূর্তির ঐতিহাসিক উপন্যাসের গল্প থেকে। ছবির প্রধান চরিত্র অরুলমোঝিবর্মণ। ইনিই পরবর্তীকালে রাজরাজ চোল নামে খ্যাত হন।

    আরও পড়ুন : ক্ষমা চাইতে হবে, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে আপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    এই ছবির প্রেক্ষিতেই কমল হাসান বলেন, রাজরাজ (Raj Raj) চোলের সময় হিন্দু ধর্মই ছিল না। তিনি বলেন, তখন ছিল বৈনভম, শিবম এবং সমানম। এই তিনটিকে একত্রিত করতে ব্রিট্রিশরাই হিন্দু শব্দটি চালু করেছিলেন। কমল হাসান বলেন, যেমন করে তারা তুতুকুদিকে তুতিকোরিন করেছে। কমল হাসানের বক্তব্য খারিজ করে বিজেপি নেতা বলেন, কমল হাসানের অভ্যাসই হল কোনও কিছু খুঁটিয়ে না পড়া। কিন্তু এটা অস্বীকার করা যায় না যে তিনি করণ থাপারকে জানিয়েছিলেন, পয়সার জন্য বাইবেল বিক্রি করেছিলেন তিনি। তাঁর ভাই চন্দ্রা হাসানকে কবর দেওয়া হয়েছিল খ্রিষ্টান রীতি মেনে। দক্ষিণ ভারতের কালচারাল ইতিহাসের এক গবেষক বলেন, যদিও চোল রাজরাজ (Raj Raj) ছিলেন কট্টর শৈব, শিব মন্দিরের পাশাপাশি তিনি নির্মাণ করেছিলেন বিষ্ণু মন্দিরও। তিনি বলেন, তাঁরা দুর্গা, শক্তি এবং কালীর পুজোও করতেন, যেমন করতেন মুরুগান এবং গণেশের আরাধনাও।

     

       দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share