Tag: Bengali news

Bengali news

  • RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    RSS: “সংঘের কাজই দেশের কাজ”, বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষে সংস্কারধনী জবলপুরে এই সভা আয়োজনের মাধ্যমে এই শহরের নাম স্থায়ীভাবে সংঘের লিখিত ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে রইল।” শনিবার আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে কথাগুলি বললেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। কাচনার শহরে আয়োজিত ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সরকার্যবাহ। তখনই সঙ্ঘের সভা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন তিনি। তুলে ধরেন বিজয়াদশমীর দিন সারা দেশে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণও (Swayamsevaks)।

    আরএসএসের বিজয়া দশমী (RSS)

    বিজয়া দশমী উপলক্ষে নাগপুর-সহ সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় বলে জানান হোসাবলে। এদিন গ্রামীণ ভারতের ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডলের মধ্যে ৩৭ হাজার ২৫০টিতে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পার্শ্ববর্তী মণ্ডলের স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণ-সহ মোট ৫০ হাজার ৯৬ মণ্ডল এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়। শহারাঞ্চলের ৪৪ হাজার ৬৮৬টি বস্তির মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতে কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়াও, ৬ হাজার ৭০০টি স্বতন্ত্র বিজয়াদশমী কর্মসূচি আয়োজিত হয়। সব মিলিয়ে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৬২ হাজার ৫৫৫টি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠান। এই কর্মসূচিগুলিতে ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪১ জন স্বয়ংসেবক ইউনিফর্ম পরে উপস্থিত ছিলেন। ২৫ হাজার জায়গায় পথসঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিফর্ম পরে অংশ নেন ২৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন স্বয়ংসেবক। তিনি জানান, এই কর্মসূচিগুলি প্রমাণ করে যে, ভারতের কোনও অঞ্চলই সংঘের কার্যক্রমের বাইরে নেই। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড পর্যন্ত সঙ্ঘের নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে।

    “সংঘের কাজই দেশের কাজ”

    হোসাবলে জানান, গত বছরের (Swayamsevaks) অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত শেষ বৈঠকের পর থেকে সংঘ ১০ হাজার নতুন জায়গায় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে ৫৫ হাজার ৫২টি জায়গায় প্রতিদিন ৮৭ হাজার ৩৯৮টি শাখা পরিচালিত হচ্ছে। ৩২ হাজার ৩৬২টি সাপ্তাহিক মিলনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মোট কর্মসূচি-কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৪১৪টি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নিবিড় চেষ্টার ফলে সংঘের কার্যক্রম আদিবাসী অঞ্চল-সহ শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রছাত্রী, উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির মধ্যেও বিস্তৃত হয়েছে। তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে সংঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আসন্ন কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। সরকার্যবাহ বলেন, “সংঘের (RSS) কাজই দেশের কাজ।”

    হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন

    তিনি জানান, আগামী মাসগুলিতে বস্তি ও মণ্ডল পর্যায়ে হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনগুলির মাধ্যমে পঞ্চ পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত, যাতে এই নীতিগুলি সমাজের আচরণ এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। প্রায় ৪৫ হাজার গ্রামীণ এবং ৩৫ হাজার শহুরে এলাকায় হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন হবে বলে আশা সংঘের। এছাড়াও ব্লক এবং শহরেও সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক এবং জেলা সদরগুলিতে প্রবুদ্ধ নাগরিক গোষ্ঠী আলোচনা  অনুষ্ঠিত হবে। এই সব কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল আরও বেশি মানুষের সঙ্গে জাতীয় সেবার যোগসূত্র তৈরি করা (Swayamsevaks)। হোসাবলে বলেন, “সকলের শাখায় যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে প্রত্যেকেরই উচিত নিজের কর্মক্ষেত্রে সমাজের ঐক্য, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নতির জন্য কাজ করা।” তিনি জানান, শতবর্ষের কর্মসূচির উদ্দেশ্য সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং সমাজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করা। সচেতনতা, ঐক্য এবং জাতীয় নিবেদনের প্রেরণা জাগিয়ে তোলা।

    গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ

    ২৪ নভেম্বর ছিল নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরের শাহাদতের ৩৫০তম বর্ষ। বৈঠকে ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের ঐক্য রক্ষার জন্য তিনি যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, দেশব্যাপী সংঘের কর্মীরা তাঁর স্মৃতিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সংঘের বক্তব্য, “গুরু তেগ বাহাদুরের জীবন সকলের জন্য প্রেরণা। ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অটল অবস্থান আজকের যুবসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।” এ বছর বিরসা মুন্ডার সার্ধ শতবার্ষিকীও। বিরসা কেবল একজন সম্মানিত জনজাতি নেতাই ছিলেন না, যিনি শুধু ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তিনি ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন এবং আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এদিনের বৈঠকে তাঁকেও স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় যাতে উদযাপন করা হয়, তার ডাকও দিয়েছে সংঘ। সংঘ তাঁকে প্রাতঃ স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের  মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে (RSS)।

    ‘বন্দে মাতরম’ রচনার দেড়শো বছর

    এবছর ‘বন্দে মাতরম’ রচনারও দেড়শো বছর। ১৯৭৫ সালে শতবর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থার কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায় (Swayamsevaks)। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় “বন্দে মাতরম” ছিল উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মমর্যাদার গান।সরকার্যবাহ বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে এর অনুপ্রেরণামূলক ইতিহাস জানতে হবে। বন্দে মাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের আত্মার মন্ত্র। এতে ভারতের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।” তিনি জানান, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে ফিরছে সমাজের মূলস্রোতে। মণিপুর প্রসঙ্গে হোসাবলে বলেন,  “সেখানে শীঘ্রই ভালো সময় আসবে।”

    তিনি যুবসমাজে বাড়তে থাকা মাদকাসক্তির সমস্যা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই প্রবণতা রুখতে সরকারকে সমাজ, ধর্মীয় সংগঠন, সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কুটুম্ব প্রবোধন এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (RSS)।

  • 150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন পর্বে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক সংগঠন আর্য সমাজের (150 Years Arya Samaj) ১৫০ বছর অর্থাৎ সার্ধশতবর্ষের পূর্তিকে মাথায় রেখে ১৫০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। আর্য সমাজের বিশেষ প্রতীক হল জ্ঞান, আলো এবং সত্যের চিন্তা। এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে ১৫০ টাকার মুদ্রায় দেবনাগরী লিপিতে খোদাই করে পবিত্র গায়েত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বর্ণ বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী আর্য সমাজ (150 Years Arya Samaj)

    ব্রিটিশ ভারতের ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জাগরণের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় কাজ করেছে আর্য সমাজ। ‘বিশ্বকে মহৎ করুণ’-এই নীতিবাক্য নিয়ে শিক্ষা, নারীর সম্মান, ক্ষমতায়ন, বৈদিক মূল্যবোধের বার্তাকে সকল জনসমাজের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। তবে গায়েত্রীমন্ত্রের গভীর আধ্যাত্মিক শিকড় এবং সংস্কার মূলক ভবানার কথাকেই বেশি বেশি করে প্রচার করত এই সংগঠন। তাঁদের আরেকটি বড় কাজ ছিল সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক সামাজিক কুপ্রথাগুলি থেকে মানুষকে বাঁচানো। হিন্দু সমাজের মধ্যে সংস্করণ আনাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

    উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা

    নতুন স্মারক মুদ্রাটি ১৫০ টাকার। এটি নিকেল এবং রূপার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি। স্থায়িত্ব এবং মূল্যের বিচারে এই মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর্য সমাজের প্রতীক। এই মুদ্রায় গাঁথা গায়েত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) স্বয়ং ঈশ্বর জ্ঞানের প্রতীক। এই মুদ্রা স্বামী দয়ানন্দের (150 Years Arya Samaj) দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এই প্রতীকী মুদ্রার মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, জ্ঞান প্রদীপের প্রকাশ দিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণের বিরাট কাজ করেছেন স্বামী দয়ানন্দ। একদিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এবং অপর দিকে কট্টর ইসলাম দুইয়ের মধ্যে হিন্দু সামজকে সংহত করার কাজ করেছে আর্য সমাজ। ভারতীয়ত্ববোধ, ভারতীয় ইতিহাস, মূল্যবোধ, ধর্মচিন্তা, দর্শন, সাহিত্যকে উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের মধ্যে ভারতীয়ত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে আর্য সমাজ। ভারত কীভাবে শতশত বর্ষ ধরে নিজের জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আর্য সমাজ। এই সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রাসপূর্ণিমায় দেব দীপাবলি (Dev Deepavali) উদযাপনে বারাণসীর রাজঘাটে বিরাট প্রস্তুতির আয়োজন করেছে যোগী সরকার। কাশীধাম (Varanasi) জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এই আলোর উৎসব উদযাপন দেখে ভিড় করবেন। কাশীর গঙ্গাবক্ষের ঘাটগুলিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এই বছর লেজার শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিশেষ আয়োজন করেছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে এখন থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে তীর্থধাম শিবনগরী।

    রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে (Dev Deepavali)

    দেব দীপাবালি (Dev Deepavali) উপলক্ষে এই ভব্য আয়োজনকে সামনে রেখে বারাণসীর বিভাগ কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, “মানুষ এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। এই বছর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেব দীপাবলির আয়োজন করা হবে। গতবারের মতো এই বারেও লেজার শো-এর আয়োজন করা হবে। রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে। অনেক শিল্পীরা থাকবেন। সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করবে।”

    ১ নভেম্বর থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ৫ নভেম্বর পালিত হবে দেব দীপাবলির আসল উৎসব। কাশী (Varanasi) এখন দেবদীপাবলির জন্য সম্পূর্ণভাবে সেজে উঠেছে। রাজঘাটে ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় শিল্পীরা যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের পরিবেশনায় উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন পণ্ডিত মাতা প্রসাদ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর মিশ্র, দিবাকর কাশ্যপ, পণ্ডিত সন্তোষ নাহার, পদ্মশ্রী গীতা চন্দন, বিদুষী কবিতা দ্বিবেদী, পদ্মশ্রী মালিনী অবস্থি, রাহুল রহংসী, রাহুল রাজকন্যা।

    ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে

    কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রদীপ গোবর থেকে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত প্রদীপ পরিবেশ বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী এবং গুণমান সম্পন্ন। পরিবেশের সঙ্গে সবরকম ভারসাম্য বজায় রেখে এই প্রদীপ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনও উৎসব পার্বন যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় সেই দিকে বিচার করেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে যোগী সরকার। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গঙ্গা মহোৎসব (Varanasi) পালন করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর পূর্ণিমায় পালিত হবে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। বাংলায় অবশ্য এই সময় রাস পূর্ণিমা বা রাস মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর এবং কোচবিহারের রাস জগৎ বিখ্যাত।

  • Ramakrishna 496: “মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে, মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    অবতার বা নরলীলার গুহ্য অর্থ—দ্বিজ ও পূর্বসংস্কার 

    কাপ্তেনের চরিত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ—পুরুষ-প্রকৃতি যোগ 

    কাপ্তেন ও পাণ্ডিত্য — কাপ্তেন ও ঠাকুরের অবস্থা 

    “আমি কাপ্তেনকে বকতে লাগলাম; বললাম, তুমি পড়েই সব খারাপ করেছ। আর পোড়ো না!

    “আমার অবস্থা কাপ্তেন বললে, উড্ডীয়মান ভাব। জীবাত্মা আর পরমাত্মা; জীবাত্মা যেন একটা পাখি, আর পরমাত্মা যেন আকাশ—চিদাকাশ। কাপ্তেন বললে, ‘তোমার জীবাত্মা চিদাকাশে উড়ে যায়—তাই সমাধি’; (সহাস্যে) কাপ্তেন বাঙালীদের নিন্দা করলে। বললে, বাঙালীরা নির্বোধ! কাছে মাণিক রয়েছে চিনলে না!”

    গৃহস্থভক্ত ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — কর্ম কত দিন 

    “কাপ্তেনের বাপ খুব ভক্ত ছিল। ইংরেজের ফৌজে সুবাদারের কাজ করত। যুদ্ধক্ষেত্রে পূজার সময়ে পূজা করত,—একহাতে শিবপূজা, একহাতে তরবার-বন্দুক!

    (মাস্টারের প্রতি) “তবে কি জানো, রাতদিন বিষয়কর্ম! মাগছেলে ঘিরে রয়েছে, যখনই যাই দেখি! আবার লোকজন হিসাবের খাতা মাঝে মাঝে আনে। এক-একবার ঈশ্বরেও মন যায়। যেমন বিকারের রোগী; বিকারের ঘোর লেগেই আছে, এক-একবার চটকা ভাঙে! তখন ‘জল খাব’ ‘জল খাব’ বলে চেঁচিয়ে উঠে; আবার জল দিতে দিতে অজ্ঞান হয়ে খায়, — কোন হুঁশ থাকে না! আমি তাই ওকে বললাম,—তুমি কর্মী। কাপ্তেন বললে, ‘আজ্ঞা, আমার পূজা এই সব করতে আনন্দ হয়—জীবের কর্ম বই আর উপায় নাই।

    “আমি বললাম (Kathamrita), কিন্তু কর্ম কি চিরকাল করতে হবে? মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে। মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়। কাপ্তেন বললে, ‘আপনার মতো আমরা কি পূজা আর আর কর্ম ত্যাগ করতে পারি?’ তার কিন্তু কথার ঠিক নাই, — কখনও বলে, ‘এ-সব জড়।’ কখনও বলে, ‘এ-সব চৈতন্য (Ramakrishna)।’ আমি বলি, জড় আবার কি? সবই চৈতন্য!”

    পূর্ণ ও মাস্টার—জোর করে বিবাহ ও শ্রীরামকৃষ্ণ 

    পূর্ণর কথা ঠাকুর মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পূর্ণকে আর-একবার দেখলে আমার ব্যাকুলতা একটু কম পড়বে!—কি চতুর!-আমার উপর খুব টান; সে বলে, আমারও বুক কেমন করে আপনাকে দেখবার জন্য। (মাস্টারের প্রতি) তোমার স্কুল থেকে ওকে ছাড়িয়ে নিয়েছে, তাতে তোমার কি কিছু ক্ষতি হবে?

    মাস্টার — যদি তাঁরা (বিদ্যাসাগর)—বলেন, তোমার জন্য ওকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিলে,— তাহলে আমার জবাব দিবার পথ আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কি বলবে?

    মাস্টার—এই কথা বলব, সাধুসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা হয়, সে আর মন্দ কাজ নয়; আর আপনারা যে বই পড়াতে দিয়েছেন, তাতেই আছে—ঈশ্বরকে প্রাণের সহিত ভালবাসবে।

    ঠাকুর হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কাপ্তেনের বাড়িতে ছোট নরেনকে ডাকলুম। বললাম, তোর বাড়িটা কোথায়? চল যাই।—সে বললে, ‘আসুন’। কিন্তু ভয়ে ভয়ে চলতে লাগল সঙ্গে—পাছে বাপ জানতে পারে! (সকলের হাস্য)

    (অখিলবাবুর প্রতিবেশীকে)—“হ্যাঁগা, তুমি অনেক কাল আস নাই। সাত-আট মাস হবে।”

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, একবৎসর হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার সঙ্গে আর-একটি আসতেন।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা হাঁ, নীলমণিবাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—তিনি কেন আসেন না?—একবার তাঁকে আসতে বলো, তাঁর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিও। (প্রতিবেশীর সঙ্গী বালক দৃষ্টে)—এ-ছেলেটি কে?

    প্রতিবেশী—এ-ছেলেটির বাড়ি আসামে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আসাম কোথা? কোন্‌ দিকে?

    দ্বিজ আশুর কথা বলিতেছেন। আশুর বাবা তার বিবাহ দিবেন। আশুর ইচ্ছা নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ দেখ, তার ইচ্ছা নাই, জোর করে বিবাহ দিচ্ছে।

    ঠাকুর একটি ভক্তকে জ্যেষ্ঠভ্রাতাকে ভক্তি করিতে বলিতেছেন,—“জ্যেষ্ঠ-ভাই, পিতা সম, খুব মানবি।”

  • Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “মণিপুরে আরএসএসের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের পরিস্থিতির আগেও অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে আসছে এবং মানুষ নতুন আশায় উজ্জীবিত। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। একই রাজ্যের দু’টি সম্প্রদায়ের একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোটা উচিত নয়। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং সমাজ ও সরকার দু’পক্ষই সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”

    আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (Dattatreya Hosabale) 

    আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সংগঠনের সহসরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। এই বৈঠকে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কয়েকটি বিদেশি দেশের প্রতিনিধিদলও এই উদযাপনে অংশ নেয়। দালাই লামাও এই উপলক্ষে সংঘকে শুভেচ্ছা জানান।২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করে আরএসএস। হোসাবলে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা সংঘকে শতবর্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কী বললেন হোসাবলে

    নাগপুরে আয়োজিত ‘পথ সঞ্চালনে’ মোট ১৪ হাজার ১০১ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে এই অনুষ্ঠান হয়। হোসাবলে স্বয়ংসেবকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান (Dattatreya Hosabale)। হোসাবলে জানান, শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে, তা সংঘের কাজের বিস্তৃত সম্প্রসারণেরই প্রতিফলন। বর্তমানে দেশে সংঘের মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৬টি মণ্ডলে অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩৭ হাজার ২৫০টি মণ্ডলে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে।

    মহানগর ও নগর এলাকায় মোট ৪০ হাজার ৬৮৬টি বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬ হাজার ৭০০টি আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি জানান, লাদাখ থেকে শুরু করে পাহাড়ি, উপকূলবর্তী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল – দেশের সর্বত্রই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে (RSS) অংশগ্রহণ করেছেন। হোসাবলে বলেন, “পথ সঞ্চালনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। এ থেকে প্রমাণ হয়, দিন দিন তরুণ প্রজন্ম আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই আয়োজনে কোনও সম্প্রদায়কেই বাদ দেওয়া হয়নি (Dattatreya Hosabale)।”

  • China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’মাসের স্থগিতাদেশের পর ফের ভারতে (India) ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করেছে চিন (China)। এতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স খাতে কর্মরত ভারতীয় নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর তাঁদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। তবে রফতানি আবারও শুরু হলেও কিছু শর্তও যুক্ত হয়েছে।

    চিনের বক্তব্য (China)

    বেজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ম্যাগনেটগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের রফতানি করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না সামরিক কাজেও। চিন-ভারত সম্পর্কের এই ঝলক এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে উশিন এবং ডি ই ডায়মন্ডস এই চারটি ভারতীয় কোম্পানি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রবীণ শিল্প আধিকারিক বলেন, “সরবরাহের (ম্যাগনেট) ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। চারটি কোম্পানি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।” এদিকে, কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে সরাসরি উড়ানও ফের চালু হয়েছে, যার জেরে আরও অনায়াস হবে ভারত-চিন বাণিজ্য।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, এই আমদানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে চিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–চিন আলোচনার প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে পড়ে (China)।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশেরই নিয়ন্ত্রণকারী চিন। গত ৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে, মার্কিন শুল্ক হারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিন। এই পদক্ষেপের ফলে রফতানিকারীদের বিশেষ লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারত (India) ৮৭০ টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করেছে। এর মূল্য ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিটিক্যাল রেয়ার আর্থ উপকরণ সরবরাহের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বছরের একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন (China)।

  • JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU) ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ক্যাম্পাসে বিরাট মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যার্থী পরিষদ কতটা শক্তিশালী তাকেই প্রদর্শিত করেছে এই মিছিলে। ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরে সরব হতে দেখাও গিয়েছে। একই ভাবে জাতীয়তাবাদী স্লোগান ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা জয়ধ্বনি’-তে ক্যাম্পাস বিরাট ভাবে আলোড়িত হয়।

    কয়েকশত ছাত্রের মিছিল (JNUSU)

    ৩১ অক্টোবর রাতে জেএনইউতে মশালের লাল আগুনের মহামিছিল ক্যাম্পাসকে দারুণ ভাবে শিহরিত করে তুলেছিল। ক্যাম্পাসের গঙ্গা ধাবা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং বরাক হস্টেল পর্যন্ত পদযাত্রা করে শেষ করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি। এই মশাল যাত্রা ছিল বাম-নকশালদের লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যাত্রা। কয়েক’শ ছাত্র, অধ্যাপক, গবেষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী যোগদান করেন। তবে আগামী ছাত্র সংসদের নির্বচানে এবিভিপি বিশেষ ভাবে আশাবাদী। এই মশাল মিছিলে যোগদান করে নেতৃত্ব দেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি পদপ্রার্থী দাঁড়িয়েছেন বিকাশ প্যাটেল, সহসভাপতি পদে প্রার্থী তানিয়া কুমারী, সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রার্থী রাজেশ্বর কাণ্ডদুবে আর যুগ্ম সম্পাদক অনুজ।

    বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে

    এবিভিপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী প্রচার প্রধান অরুণ শ্রীবাস্তব বলেন, “আজ আমরা ক্যাম্পাসে একটি বড় মশাল মিছিল করেছি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মুক্তি চায়। এই বছর ক্যাম্পাসের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা চরম তুঙ্গে। প্রত্যকে পদে এবিভিপি জয়ী হবে।” উল্লেখ্য গত বছর এবিভিপির তরফে যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিল।

    উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আফজল গুরু, ইয়াকুব মেমনরে মতো জঙ্গির মৃত্যুদিন পালন করে ভারতকে ভাগ করার স্লোগান তুলেছিল। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিরাট ঝড় উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জার এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।

  • BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের ভাষায় কথা বলছেন।” খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের নিন্দে করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খাড়গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, আরএসএসের (RSS) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিজেপি-আরএসএসের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মচারীদের সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকারের অপমান করেছেন।

    খাড়গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির প্রতিক্রিয়া (BJP)

    খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “আমরা খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। আজ তিনি আরএসএসের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, মুসলিম লিগ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের ভাষার মতো।” তাঁর মতে, এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার আগে আরএসএস এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত ছিল কংগ্রেস সভাপতির। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেডকর, জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী সংঘ সম্পর্কে কী বলেছেন, খাড়গের তা জানা ও বোঝা উচিত ছিল।” সম্বিত বলেন, “১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধায় সংঘের একটি শিবির পরিদর্শন করার পর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে সংগঠনে শৃঙ্খলা এবং অস্পৃশ্যতার অনুপস্থিতি দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পুনেতে সংঘের একটি শিবির পরিদর্শনের পর আম্বেডকর বলেছিলেন যে সংগঠনে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে সম্পূর্ণ সমতার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

    গান্ধী-নেহরু-ইন্দিরা-প্রণবের আসএসএস প্রশস্তি

    তিনি (BJP) বলেন, “১৯৬২ সালের ভারত–চিন যুদ্ধের পর জওহরলাল নেহরু ১৯৬৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সংঘকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সংঘ অংশগ্রহণ করেছিল। এসব নথিভুক্ত ইতিহাস।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কাপূর কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আরএসএসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সর্বসাধারণের ডোমেইনে রয়েছে।” তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় – সকলেই সংঘের প্রশংসা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের উচিত আরএসএসের (RSS) ইতিহাস এবং দেশের ইতিহাস পড়া। সংঘ সম্পর্কে কংগ্রেসের বহু নেতার কী মন্তব্য ছিল, সেটাও তাঁর জানা ও বোঝা উচিত (BJP)।”

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    Australian Report: পাকিস্তানের মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া, হাতল রয়েছে ভারতের হাতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের! ভারতের সঙ্গে বৈরিতার ফল যে ভালো হবে না, উল্টে পরিণতি যে হবে ভয়ঙ্কর, ইতিমধ্যেই তা টের পেয়ে গিয়েছেন পাক সেনকর্তারা। অস্ট্রেলিয়ার (Australian Report) সিডনি থেকে প্রকাশিত নয়া এক রিপোর্টে প্রকাশিত একটি তথ্য থেকে (India) তামাম বিশ্ব জেনে গিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের টিকে থাকাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারতের দয়ার ওপর।

    ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’ (Australian Report)

    এবার ফেরা যাক মূল খবরে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যা পিস তার ‘ইকোলজিক্যাল থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। তার পরেই ঘুম ছুটে গিয়েছে পাকিস্তানের। ওই রিপোর্টে পাকিস্তান সম্পর্কে যে বক্তব্যটি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার সাহায্যে সিন্ধু নদের প্রবাহ বদলে দেওয়া সম্ভব, এবং এটি ঠেকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়ার ওই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর পাঁচটি সাধারণ অ্যাকাডেমিক কোনও গবেষণা রিপোর্ট নয়। এটি পাকিস্তানের মাথার ওপর ঝুলে থাকা মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া, যার হাতল ধরা রয়েছে ভারতের হাতে। ইসলামাবাদের এই সঙ্কটটি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হতে পারে না। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৬ জন হিন্দু ভারতীয়। তার পরেই পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। এর পাশাপাশি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জলসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি, তাও স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি।

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে সিন্ধু নদ থেকে সরবরাহ করা জলের ওপর নির্ভরশীল (Australian Report)। এই জল প্রবাহিত হয় ভারতের দিক থেকেই। পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ সমতলভূমি, যেখানে কোটি কোটি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন (India), তা পুরোপুরি এমন নদীগুলির জলের ওপর নির্ভরশীল, যেগুলি কোনও চুক্তি ভঙ্গ না করেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভারত। যদিও জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কোনও পদক্ষেপ না করায় জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিসের রিপোর্টে প্রকাশ্যে চলে এসেছে পাকিস্তানের দুর্বলতা। জানা গিয়েছে, ভারতের এই প্রতিবেশী শত্রু দেশটির কাছে মাত্র ৩০ দিনের জল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। এই পর্বে নদীর প্রবাহে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। যার জেরে পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে

    ভালভ ঘুরিয়ে দিলেই কেল্লাফতে

    দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক অধঃপতনের (Australian Report)। স্থানীয় লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভিড় করতে পারেন শহরে গিয়ে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের পক্ষেই হতে পারে বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি ‘নীচে’ নামতে হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু গ্রীষ্মকাল বা কৃষি মরশুমের মতো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বাঁধ পরিচালনায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই ভারতের। প্রয়োজন নেই মিসাইল খরচেরও। সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে অকারণে উত্তেজনা বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের (India) অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিতে প্রয়োজন শুধু চাষের সময় স্রেফ বাঁধের কয়েকটি ভালভ ঘুরিয়ে দেওয়া (Australian Report)।

    ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’

    রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত যখন সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, তখন তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই চেনাব নদীর জল ছেড়ে দেয়। শুরুতে নদীর কিছু অংশ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে যখন ভারত হঠাৎ করে লকগেট খুলে দেয়, তখন কাদামাটি-মেশানো তীব্র স্রোত ধেয়ে আসে পাকিস্তানের দিকে। অসহায়ভাবে তা দেখতে হয় পাকিস্তানের নাগরিকদের। অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির ওপর যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি কোনও বিশাল জলাধার নয়। আদতে সেগুলি ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যা স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারে না জলপ্রবাহ। পাকিস্তানের চিন্তার কারণ হল, জল ছাড়ার জন্য লকগেট কখন খোলা হবে, বন্ধই বা করা হবে কখন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার রশি রয়েছে ভারতের হাতে। জল কখন ছাড়বে, কতক্ষণ ধরে জলপ্রবাহ বইবে, এসবই ঠিক করে ভারত। কারণ জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নয়াদিল্লির হাতেই। প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাব – পশ্চিমাঞ্চলীয় এই তিন নদীর জল পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নেবে (India)। আর ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে পূর্বের তিন নদী-বিয়াস, রাভি ও শতদ্রু। চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শীতের মরশুমে যার চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে পাকিস্তানকে (Australian Report)।

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা

    এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। শাসকরা সুখে রইলেও, আম-পাকিস্তানবাসীর অবস্থা করুণ। এই দিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদকে। জঙ্গিদের নিয়মিত রসদ এবং মদত জুগিয়ে মজিয়ে রেখেছে পাকস্তানের যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে। সেই কারণেই পাকিস্তানের বাজেটে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয় প্রতিরক্ষা খাতে। তাই প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজন সুখে থাকলেও, পেটে ভিজে গামছা দিয়ে দিন গুজরান করেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। তার পরেও ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) ধারণা ছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও জেহাদি প্রক্সিগুলির কারণে তারাই কৌশলগত দিক থেকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা ভাবতেই পারেননি যে, হাতে না মেরেও ভারত পাকিস্তানকে মারতে পারে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে। জলসম্পদ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত যে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে চলেছে, তা বুঝতেই পারেনি (Australian Report) পাকিস্তান।

    সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্র

    ভারত বাঁধ তৈরি করেছে। গড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ভারত এমন প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। সন্ত্রাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পাকিস্তান বুঝতেই পারেনি যে ভারতের হাতে সে তুলে দিয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ–সামরিক অস্ত্রটি। এখন, অপারেশন সিঁদুর ও সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ভয়ঙ্কর বাস্তবতার। এই বাস্তবতাটি হল ভারত একটিও গুলি না ছুড়ে ভেঙে ফেলতে পারে পাকিস্তানের নড়বড়ে (India) অর্থনীতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে সব কিছু ঘটতে দেখলেও, হাত গুটিয়েই বসে থাকতে হবে ইসলামাবাদকে (Australian Report)।

LinkedIn
Share