Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 408: মাস্টার এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন

    Ramakrishna 408: মাস্টার এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর। কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন। রাত্রে ঘুম হত না। মাকে বলতেন— “মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা। একবার এখানে এনে দাও। সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো। আমি গিয়ে দেখে আসি।”

    এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন। লোককে বলতেন— “বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ। যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান— ‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো। এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়। এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ। তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”

    বলরামের আলয়ে শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষের সঙ্গে প্রথম বসে আলাপ।
    এইখানে রথের সময় কীর্তন, আনন্দ; এইখানে কতবার প্রেমের দরবারে আনন্দের মেলা হয়েছে।

    ‘মাস্টার’ নিকটবর্তী একটি বিদ্যালয়ে পড়ান। শুনেছি, তিনি আজ সকাল দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বাটিতে আসবেন। অধ্যাপনার মাঝখানে কিছু অবসর পেয়ে, বেলা প্রায় দুই প্রহর পার হলে তিনি সেখানে এসে উপস্থিত হন।

    এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন ও প্রণাম করলেন। তখন ঠাকুর আহার করার জন্য বৈঠকখানায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। মাঝে মাঝে থলি থেকে কিছু মসলা, কাবাব বা চিনি ইত্যাদি খাচ্ছেন। অল্পবয়স্ক ভক্তরা চারদিকে ঘিরে বসে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসতে হাসতে):
    “হে, তুমি যে এখন এলে! স্কুল নেই?”

    মাস্টার:
    “স্কুল থেকে আসছি, এখন বিশেষ কাজ নেই।”

    ভক্ত (হাসতে হাসতে):
    “মহাশয় স্কুল পালিয়ে এসেছেন!”

    (সকলের হাস্য)

    মাস্টার (হাসি):
    “হায়! কে যেন টেনে আনলে!”

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে। অভিযোগ, একাধিক বিদেশি সংবাদমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টকে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ (Air India Plane Crash)। এই দুর্ঘটনায় তদন্তের মুখে ত্রুটিপূর্ণ বাণিজ্যিক জেট নির্মাতা সংস্থা। অভিযোগ, তাকে আড়াল করতেই বিকৃত করা হচ্ছে রিপোর্ট।

    বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট (Ahmedabad)

    ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ১২ জুনের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে মাটিতে থাকা ১৯ জনও ছিলেন। এই বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যায়। বিমানবন্দরের কাছেই একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি।রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটি ১৮০ নট গতিবেগে পৌঁছতেই দুটি ইঞ্জিনই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ইঞ্জিন ১ এবং ইঞ্জিন ২–এর ফুয়েল কাটঅফ সুইচ একে অপরের এক সেকেন্ডের মধ্যে “রান” থেকে “কাটঅফ”-এ চলে যায়, যার ফলে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। এক মুহূর্তের জন্য ইঞ্জিনগুলি সচল হলেও, স্থিতিশীল হয়নি। তার জেরেই মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি (Ahmedabad)।

    বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে যায় র‍্যাম এয়ার টারবাইন (এমন একটি যন্ত্র যা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়)। এটি নিশ্চিত করে যে বিমানটি সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক শক্তি ও ইঞ্জিন শক্তি হারিয়েছিল। এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সাইট পরিদর্শন, ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন করেছেন। দুটি ইঞ্জিনই একটি সুরক্ষিত হ্যাঙ্গারে সরানো হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে ভবিষ্যৎ পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে। তদন্তে পাখির ধাক্কার সম্ভাবনাও বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওড়ার (Air India Plane Crash) সময় ওই অঞ্চলে পাখির কোনও গতিবিধির রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এসব খবর উপেক্ষা করেই পাইলটের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে বিদেশি কিছু সংবাদ মাধ্যম (Ahmedabad)।

  • Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের (Critical Minerals)। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তর, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (REE), গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং অন্যান্য উপাদান, যা ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর এবং উন্নত ধাতব মিশ্রণ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    জিএসআইয়ের রিপোর্ট (Critical Minerals)

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে (Northeast Region), “এ ধরনের সম্পদের প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেশীয় উৎস চিহ্নিত ও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে পূর্ব-উত্তর ভারতের মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চলে নিবেদিত থিম্যাটিক স্টাডি, বেসলাইন সমীক্ষা এবং প্রকল্পভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে, জিএসআই একাধিক অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করেছে।” ৫৭ পাতার এক প্রতিবেদনে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের অনুসন্ধানের ফলের সারসংক্ষেপ।

    চিনের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

    বিশ্বের প্রধান রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিকারী দেশ হল চিন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেজিং। অথচ, এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর তৈরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে (Critical Minerals)। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারত তার ৫৪০ টন ম্যাগনেট আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করেছিল ড্রাগনের দেশ থেকেই। ইউরোপের জ্বালানি খাতও প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছিল চিন থেকেই। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল চিনের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের জন্য এক সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের উচিত বিকল্প সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করা এবং চিনের ওপর নির্ভরতা কমানো (Northeast Region)।”

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন — যার মধ্যে ওফিওলাইট বেল্ট, ক্ষার-আল্ট্রামাফিক কমপ্লেক্স এবং গ্রাফাইটযুক্ত সিস্ট রয়েছে — তা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভারত যখন খনিজ-নির্ভর পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিজ সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত (Critical Minerals)। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অঞ্চলটি অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত এবং এটি প্রায় ২.৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে (Northeast Region)।

    অরুণাচলপ্রদেশে ভ্যানাডিয়ামের খোঁজ

    অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের প্রাকৃতিক ফ্লেক গ্রাফাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম সিয়াং, পাপুম পাড়ে এবং লোয়ার সুবনসিরি জেলায় প্রচুর মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ১৭.৮৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি গ্রাফাইট সম্পদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্যাটারি ও রিফ্র্যাক্টরি (উচ্চতাপ প্রতিরোধক) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে (Critical Minerals), “এই অঞ্চলের গ্রাফাইট সাধারণত সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি ফ্লেকযুক্ত হয়, যার ফিক্সড কার্বন কন্টেন্ট ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এটি পরবর্তী পর্যায়ের পরিশোধন এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অ্যানোড-সহ উচ্চ-মূল্যবান ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কাঁচামাল হিসেবে বিবেচিত হয়।” জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল ভ্যানাডিয়াম, যা স্টিল মিশ্র ধাতু এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে মোট ১৩.৭৯ মিলিয়ন টন ভ্যানাডিয়াম পাওয়া গিয়েছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশ্র ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম বড় রকমের উৎস।

    অসম-মেঘালয়ে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস

    জিএসআই জানিয়েছে (Critical Minerals), অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পারে জেলায় লোদোসো গ্রামের আশপাশের এলাকায় ২.১৫ মিলিয়ন টন ‘আয়রনসমৃদ্ধ ফিলাইট’ (এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা)-এ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। অসম ও মেঘালয়েও রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টসের ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ এর মধ্যে। ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নের অর্থ হল, প্রতি এক মিলিয়ন অংশের মিশ্রণে কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের একটি অংশ। মেঘালয়ে এই ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি মিলিয়নে ৩,৬৪৬ থেকে ৫,১০০-র মধ্যে (Northeast Region)।

    লিথিয়াম মজুদ

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও অসমে লিথিয়াম মজুদের ইঙ্গিত মিলেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে অবস্থিত ওফিওলাইট শিলার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকেল ও কোবাল্টের লক্ষ্যে সেখানে বিস্তারিত ভূ-রাসায়নিক সমীক্ষা ও শিলাচিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে (Critical Minerals)।”

  • Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ৯০তম জন্মদিন পালন করলেন ১৪তম দালাই লামা (Dalai Lama)। একই সঙ্গে চলছে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রস্তুতিও। এহেন আবহে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল ভারতের একটি হিমালয়ান মঠ তাওয়াংয়ের (Tawang) নাম। হয়তো এই মঠ থেকেই নির্বাচিত হবেন পঞ্চদশতম তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মগুরু। আর যদি তাই হয় তবে চিনের শতাব্দী প্রাচীন এই আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ভারত। নাম ছিল সানগ্যাং গিয়াস্তো।তখন তাওয়াং ছিল এক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্কের অংশ, যা হিমালয় অঞ্চলের বিভিন্ন মঠকে মধ্য তিব্বতের সঙ্গে যুক্ত করত। এই দূরবর্তী প্রান্ত থেকেই পরবর্তীতে এই শিশুকে ষষ্ঠ দলাই লামা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

    ব্যতিক্রমী দালাই লামা (Tawang)

    তবে লাসায় তাঁর সিংহাসনে আরোহণের পথটি ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। পঞ্চম দালাই লামার মৃত্যুর খবর প্রায় পনেরো বছর গোপন রেখেছিলেন সে দেশের শাসক।  রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাতে এবং পোতালা প্রাসাদের কাজ সম্পন্ন করতেই মৃত্যুর খবর গোপন করা হয়েছিল। শেষমেশ যখন পুনর্জন্ম খোঁজার সময় এল, তখন তাঁরা এদিক ওদিক খুঁজে শেষমেশ তাওয়াংয়ে খুঁজে পান শিশুটিকে। ১৬৮৮ সালে তাঁকে মধ্য তিব্বতে নিয়ে আসা হয়। গোপনে দেওয়া হয় শিক্ষা। এবং প্রায় এক দশক পরে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো হয়। সেই থেকেই হিমালয়ের কোলের ছোট্ট জনপদ তাওয়াং আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক মানচিত্রে দখল করে নিয়েছে স্থায়ী আসন।

    আলোচনার কেন্দ্রে তাওয়াং

    আজ তিন শতকেরও বেশি সময় পরে ফের তাওয়াং আবারও দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। গত জুলাই মাসে দালাই লামা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকবে এবং তাঁর পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে তাঁর নিজের দফতর গাদেন ফোদ্রাং ট্রাস্টের হাতে থাকবে, যা শীর্ষস্থানীয় তিব্বতি বৌদ্ধ নেতাদের (Dalai Lama) সঙ্গে পরামর্শ করে পরিচালিত হবে (Tawang)। বছরের পর বছর ধরে দালাই লামা স্পষ্ট করে বলে আসছেন যে তাঁর পুনর্জন্ম, অর্থাৎ পঞ্চদশ দালাই লামা, চিনের শাসনের অধীনে জন্ম নেবেন না। ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত ‘ভয়েস ফর দ্য ভয়েসলেস’ শীর্ষক বইয়ে তিনি লেখেন, “নতুন দালাই লামা একটি স্বাধীন বিশ্বে জন্ম নেবেন।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাক্যটি খুব সচেতনভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, এবং সাধারণভাবে এটি চিন ও চিনের অধীনে থাকা তিব্বতের পুনর্জন্মস্থল হিসেবে প্রত্যাখ্যান বলেই ধরা হয়েছে। আগে একাধিকবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, ভারত, যেখানে তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন, সেটাই হতে পারে তাঁর পুনর্জন্মের সম্ভাব্য স্থান।

    উল্টো অবস্থান চিনের

    এর ঠিক উল্টো অবস্থান নিয়েছে বেজিং। চিনা কমিউনিষ্ট সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে দালাই লামার যে কোনও বৈধ উত্তরসূরি অবশ্যই চিন সীমান্তের ভেতর থেকে হতে হবে এবং কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। এর অর্থ, পরবর্তী দালাই লামার ওপর নিয়ন্ত্রণ মানেই তিব্বতের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ, এবং এর মাধ্যমে বৃহত্তর তিব্বতি জনগণের ওপরও চিনের প্রভাব বিস্তার। দালাই লামা ও চিনের এই দোটানার কারণেই ফের ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তাওয়াং (Tawang)। পূর্ব হিমালয়ের উচ্চভূমিতে ভারত, ভুটান ও তিব্বতের সংযোগস্থলের কাছে রয়েছে তাওয়াং মনাস্ট্রি। এটি (Dalai Lama) স্রেফ একটি উপত্যকাই নয়, বরং সমগ্র তিব্বতীয় বৌদ্ধ জগতের ওপর এক বিশাল আধ্যাত্মিক ভৌগোলিক এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এটি আজ ভারতের বৃহত্তম মনাস্ট্রি এবং লাসার দ্রেপুং মনাস্ট্রির পর গেলুগ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র।

    তাওয়াংয়ের প্রতিষ্ঠা

    তাওয়াং প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৮১ সালে মেরাগ লোদ্রে গ্যাতসো নামে এক সন্ন্যাসীর দ্বারা, যিনি পঞ্চম দালাই লামার ঘনিষ্ঠ শিষ্য ছিলেন। দালাই লামার নির্দেশেই এই মনাস্ট্রিটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি মূলত হিমালয়ের কিনারে অবস্থিত, সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বতীয় কিন্তু ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী মন অঞ্চলে গেলুগ প্রভাব সুসংহত করার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল। এর ঠিক এক বছরের মধ্যেই ষষ্ঠ দালাই লামার আবির্ভাব তাওয়াংকে একটি সাধারণ ধর্মীয় কেন্দ্র থেকে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে রূপান্তরিত করে। তাঁর স্বীকৃতি এবং পরবর্তী কালে সিংহাসনে অধিষ্ঠান তাওয়াংকে স্থায়ীভাবে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র ভৌগোলিক মানচিত্রে জায়গা করে দেয়। এটি শুধু গেলুগ শিক্ষার ও সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রই নয়, বরং দালাই লামার পুনর্জন্মের বংশপরম্পরায় একটি আধ্যাত্মিকভাবে অনুমোদিত জন্মস্থান হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পায় (Tawang)।

    দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের প্রতীক

    শুরুর সময় থেকেই এই মনাস্ট্রিটি কেবল উপাসনা ও শিক্ষার কেন্দ্র ছিল না, বরং তিব্বতের বাইরেও দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের একটি প্রতীক ছিল এটি। পরবর্তী কয়েক দশকে তাওয়াং মনাস্ট্রি তখনকার “মন-ইউল” নামে পরিচিত অঞ্চলের ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। এই অঞ্চলটি বর্তমানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং ভুটানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। মনাস্ট্রিটি কর আদায় করত, বিবাদ মেটাত এবং ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করত। এর প্রধানরা যাঁদের রিনপোচে বলা হত তাঁদের অত্যন্ত সম্মান করা হত এবং তাঁরা প্রায়ই লাসার বড় বড় মনাস্ট্রিগুলিতে শিক্ষাগ্রহণ করে ফিরে আসতেন তাওয়াংয়ে (Dalai Lama)। তাওয়াং এবং তিব্বতের প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন গ্যান্ডেন, সেরা এবং দ্রেপুংয়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে তীর্থযাত্রী ও সন্ন্যাসীরা যাতায়াত করতেন। এর ফলে দূরবর্তী বিহারগুলিও মধ্য তিব্বতের শিক্ষামূলক ও আচারিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করত। ক্রমে তাওয়াং এমন একটি স্থান হয়ে ওঠে, যেখানে মোনপা পরিবারগুলির সন্ন্যাসীরা লাসায় না গিয়েও উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করতে পারত।

    লাসা দখল করে পিএলএ

    এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ১৯৫১ সালে, যখন ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) লাসা দখল করার পর ও সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পরেও তাওয়াং মঠের দালাই লামার প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্য বজায় রাখে। ১৯৫৯ সালে দালাই লামা যখন ভারতে পালিয়ে আসেন, তিনিও তাওয়াং পেরিয়ে আসেন। সেখানে সন্ন্যাসী ও গ্রামবাসীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। পরে তেজপুর হয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মশালায় পৌঁছন তিনি (Tawang)। বর্তমান রাজনীতিতে এই ঘটনার প্রতীকী গুরুত্বও কম নয়। আজ তাওয়াং চিন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতের বাইরে গেলুগ পরম্পরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে আছে। এটি সম্ভবত একমাত্র বড় মাপের মঠ যা এখনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তিব্বতের পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন

    এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দালাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচনকে একটি বিরল রাজনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখছে। তার কারণ তিব্বতি বৌদ্ধধর্মকে স্থায়ী রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। গত কয়েক দশক ধরে বেজিং চিনের ভেতরে থাকা প্রধান তিব্বতি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনৈতিক তত্ত্বাবধানে আনতে সফল হয়েছে। কেবলমাত্র নির্বাসিত দালাই লামাই চিনা কর্তৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন (Dalai Lama)। তাঁর মৃত্যু চিনের জন্য সেই কর্তৃত্বকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার জন্য একটি বিরল সুযোগ এনে দেবে। তাই চিন চাইছে, এমন একজন উত্তরাধিকারী তৈরি করতে যিনি চিনের ভেতরে জন্মাবেন, পার্টির তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠবেন এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন (Tawang)।

  • Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- এখানে থাকবেন।

    পরিবার- এসে কিছুদিন থাকব—নহবতে মা আছেন, তাঁর কাছেই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ তখন বলছেন—
    “তুমি যে বল, মরবার কথা—তাই ভয় হয়।”
    আবার পাশে গঙ্গা

    বসু, বলরাম মন্দিরে, গিরিশ মন্দিরে ও দেবেন্দ্র ভবনে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ।

    ১৮৮৫ সালের ১১ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের বলরামের গৃহে আগমন এবং তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তদের কথোপকথন ও আনন্দময় সময়।

    তিথি: ফাল্গুন কৃষ্ণ দশমী, নক্ষত্র: পূর্বাষাঢ়া,
    তারিখ: ২৯শে ফাল্গুন, বুধবার, ইংরেজি ১১ই মার্চ, ১৮৮৫।

    আজ আনুমানিক বেলা দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর হতে বলরাম বসুর গৃহে (বলরাম মন্দিরে) আগমন করেন।
    সেখানে শ্রী শ্রী জগন্নাথের প্রসাদ গ্রহণ করেন।
    সঙ্গে ছিলেন লাটু প্রভৃতি ভক্ত।

    ধন্য বলরাম! তোমারই আলোয় আজ ঠাকুরের প্রধান কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
    কত নতুন নতুন ভক্তকে আকর্ষণ করে প্রেমের বন্ধনে বেঁধে ফেললেন!
    ভক্তদের সঙ্গে ছিলেন, গান গাইলেন—যেন শ্রীগৌরাঙ্গ শ্রীবাস মন্দিরে প্রেমের হাট বসিয়েছেন।

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর।
    কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন।
    রাত্রে ঘুম হত না।
    মাকে বলতেন—
    “মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা।
    একবার এখানে এনে দাও।
    সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো।
    আমি গিয়ে দেখে আসি।”

    এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন।
    লোককে বলতেন—
    “বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ।
    যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান—
    ‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো।
    এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়।
    এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ।
    তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”

  • Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    তবে “ঈশ্বরের পথে যেতে যেও না”—এই কথা ছাড়া বাকি সব কথা শুনবি।
    “দেখি তোর হাত দেখি,”—এই বলিয়া ঠাকুর তারকের হাত দেখিতেছেন।
    হাত যেন খুব ভারি, মনোযোগ দিয়ে দেখিয়া একটু পরে বলিলেন,
    “একটু আড় আছে… কিন্তু ওটুকু কেটে যাবে। একটু প্রার্থনা করিস, আর এখানে একবার আসিস—ওটুকু চলে যাবে।”

    ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন:
    “কলকাতার বহুবাজারে বাসা তুই করেছিস?”
    তারক উত্তর দিল:
    “আমি আগে করিনি, তারা করেছিল।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে বলিলেন:
    “তুই করেছিস—তাড়াতাড়ি, বাঘের ভয়ে!”
    (ঠাকুর কামিনীকে কি বাঘ বলিতেছেন?)

    তারক প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    ঠাকুর তখন ছোট খাটে শুয়ে ছিলেন, যেন ভাবিতেছেন তারকের কথা। হঠাৎ মাস্টার-কে বলিলেন,
    “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন, যেন কী উত্তর দিবেন ভাবিতেছেন।
    ঠাকুর আবার জিজ্ঞাসা করিলেন,
    “বল না!”

    এই সময় মোহিনী মোহনের পরিবার ঠাকুরের ঘরে আসিয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাদের এক পাশে বসতে দিলেন।

    ঠাকুর তখন তারকের সঙ্গীর কথা মাস্টার-কে বলিতেছেন:
    “ওকেও কেন সঙ্গে আনলি?”
    মাস্টার বলিলেন:
    “রাস্তার সঙ্গী ছিল, অনেকটা পথ একসঙ্গে এসেছে, তাই সঙ্গে আনতে হয়েছে।”

    এই কথার মধ্যে হঠাৎ ঠাকুর মোহিনীর পরিবারকে উদ্দেশ করে বলিলেন,
    “অপঘাত মৃত্যু হলে পেত্নী হয়। সাবধান! মনকে বুঝাবি। এত কিছু দেখলি, শুনলি, শেষে কী—এই হলো?”

    মোহিনী এবার বিদায় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করিলেন, পরিবারও প্রণাম করিল।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে উত্তর দিকের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।
    পরিবারটি মাথায় কাপড় ঢেকে আস্তে আস্তে ঠাকুরকে কিছু বলিতেছেন।

  • Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে (Maoist) ফের মিলল বড়সড় সাফল্য। আত্মসমর্পণ করল ১২ জন মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দান্তেওয়াড়ার এসপি গৌরব রাইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে তারা। তাদের মধ্যে ৯ জনের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ডি ভাষায় এর অর্থ হল বাড়ি ফিরে আসার আবেদন)। যারা অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা মাওবাদীও রয়েছে।

    মাওবাদীদের মাথার দাম (Chhattisgarh)

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে ৯ জনের মাথার মোট দাম ছিল সাড়ে ২৮ লাখ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রান্না নামের এক প্রবীণ মাওবাদীও। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৮ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল অমিত ওরফে হুঙ্গার মাথারও। করুণা, দেবা কাওয়াসি, রাজেশ মাদকম, পাইকে ওয়্যাম, রাজু এবং মহেশ এদেরও মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাওবাদীদের ফাঁপা আদর্শে বিরক্ত এবং দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যের শিকার হওয়ায় হতাশ হয়েছিল তারা। সেই কারণেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরা।

    আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন

    ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারের আত্মসমর্পণের পর সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ২০০জনেরও বেশি মাওবাদীকে ধরতে ঘোষণা করা হয়েছিল মাথার দাম (Chhattisgarh)। এদিকে, বস্তারের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং নকশাল প্রভাবিত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী অভিযান আরও জোরদার করেছে। এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে কিংবা নিরস্ত্র করা গিয়েছে ৪০০ এরও বেশি মাওবাদীকে।

    মাওবাদী দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি সরকারের নেওয়া কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। যার ফলে বনপার্টিদের (মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে এই নামেই পরিচিত) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের কোনও গতিবিধি আর এখন জানতে পারছে না মাওবাদীরা। এর পাশাপাশি মাওবাদীদের অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানানো হচ্ছে (Maoist) সরকারের তরফে। তার জেরেই দেশ ক্রমেই হচ্ছে মাওবাদী মুক্ত (Chhattisgarh)।

  • Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশপ্রেমী বিপ্লবীরা সন্ত্রাসবাদী! তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেগে দেওয়া হল ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে। এর আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইতে ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়ে বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এবার খোদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ঘোর বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্নপত্রে ভারতের মহান বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ স্রেফ একটা ভুল নয়, চরম অপমান। ইতিহাস বিকৃতির জঘন্য নজির।

    বিতর্কিত প্রশ্ন (Vidyasagar University)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ পাতায় ১২ নম্বর প্রশ্নে লেখা হয়েছে, “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?” শিক্ষাবিদদের মতে, প্রশ্নে যাঁদের উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুরের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট – বার্জ, পেডি এবং ডগলাস। পেডিকে হত্যা করেছিলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ। ডগলাসকে হত্যা করেছিলেন প্রভাংশুশেখর পাল এবং প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। বার্জকে হত্যা করেছিলেন অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ এবং ব্রজকিশোর চক্রবর্তী। এঁদের মধ্যে অনেকেই শহিদ হয়েছিলেন।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

    এই বিপ্লবীদের নামে আজও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ। প্রশ্নপত্রের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, “এই সব ব্যক্তিরা শহিদ এবং দেশপ্রেমিক হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছেন। তাঁদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?” প্রশ্ন উঠছে (Vidyasagar University), “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কীভাবে এমন প্রশ্ন বা তার শব্দচয়ন অনুমোদন দিল? কীভাবে এমন একটি প্রশ্ন পরিষদের নজর এড়িয়ে ছাপা হল?” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, প্রশ্নটি ভুল না ঠিক, তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দচয়ন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের সাফ কথা, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ভুল যাতে না হয়, সেজন্য (Controversy) প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে হবে (Vidyasagar University)।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছে।

    কম্পনের উৎসস্থল (Earthquake)

    কম্পনের উৎসস্থল ছিল দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার ঝজ্জরে। কম্পনটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ঝজ্জর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মেরঠ এবং শামলিতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন টের পেয়েছেন হরিয়ানার সোনিপত ও হিসারের বাসিন্দারাও। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ও হরিয়ানার গুরুগ্রামেও বহু সংস্থার অফিস রয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছে এই সব এলাকাও। ভয়ে অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। রাজধানীর বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন খোলা জায়গায়। যদিও এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি ক্ষয়ক্ষতির খবরও।

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ (Earthquake) অনুযায়ী, ভারতকে চারটি সিসমিক জোন বা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল জোন ২, জোন ৩, জোন ৪ এবং জোন ৫। এই জোনগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল জোন ৫। আর ঝুঁকি সব চেয়ে কম জোন ২-এ। দিল্লি পড়ে জোন ৪ এর আওতায়। তাই মাঝেমধ্যেই সেখানে দেখা দেয় ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। তখনও কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫৯ শতাংশ এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দিল্লিতে ভূমিকম্প হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে এনডিআরএফ। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের খোলা জায়গায় (Delhi) দাঁড়িয়ে পড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় (Earthquake)।

LinkedIn
Share