Tag: Bengali news

Bengali news

  • India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করল ভারত (India Rebukes UN Report)। নয়াদিল্লির তরফে একে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস এইচ অ্যান্ড্রুজের তৈরি ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পাহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) ঘটেছিল, তা ভারতে থাকা মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

    রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে (India Rebukes UN Report)

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লোকসভার সদস্য দিলীপ সইকিয়া বলেন, “ওই রিপোর্টে যেসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, সেগুলির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।” তিনি বলেন, “রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে।” রাষ্ট্রসংঘকে তাঁর অনুরোধ, তারা যেন যাচাই করা হয়নি এমন তথ্য এবং সংবাদমাধ্যমর বিকৃত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছায়। সইকিয়া বলেন, “আমার দেশ বিশেষ প্রতিনিধির এমন পক্ষপাতদুষ্ট ও সংকীর্ণ বিশ্লেষণ প্রত্যাখ্যান করছে।” রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে থাকা মায়ানমারের শরণার্থীরা হয়রানি, আটক এবং দেশান্তর করার হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

    তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন

    যদিও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে মায়ানমারের নাগরিকদের কোনও যোগই ছিল না। এই ধরনের যে কোনও দাবি তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন (India Rebukes UN Report)। সইকিয়া বলেন, “রিপোর্টটি প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, রাজনৈতিক পক্ষপাত দ্বারা পরিচালিত হয়েছে বলে মনে হয়। ভারত সব সময় বাস্তুচ্যুত সব মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতে বর্তমানে ২০ কোটিরও বেশি মুসলমান বসবাস করছেন। এটি বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। তাঁরা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছেন (Pahalgam Terror Attack)।”

    ভারতের দীর্ঘদিনের নীতির উল্লেখ করে সইকিয়া বলেন, “মায়ানমারে স্থায়ী শান্তি ফিরতে পারে কেবলমাত্র রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।” তিনি জানান, ভারত মায়ানমার-নেতৃত্বাধীন ও মায়ানমার-নিয়ন্ত্রিত শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য আসিয়ান (ASEAN) ও রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে (India Rebukes UN Report)।

  • PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৫ সাল ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” বুধবার মুম্বইয়ে গ্লোবাল মেরিটাইম লিডার্স কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫’-এর (India Maritime Week 2025) তৃতীয় দিন ছিল বুধবার। এদিন ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, নৌবাহিনীর ক্যাডেট এবং শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে ভারতের সামুদ্রিক যাত্রার এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সামুদ্রিক শিল্পে ভারত যে ব্যাপক উন্নতি করেছে, এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ভারতের প্রধান বন্দরগুলি আমাদের ইতিহাসে সর্বাধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করেছে। শুধু তাই নয়, কাণ্ডলা বন্দরই দেশের প্রথম বন্দর যেখানে মেগাওয়াট-স্কেলের দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল। আজ এটি একটি সত্যিকারের বৈশ্বিক সম্মেলনে পরিণত হয়েছে।”  তিনি বলেন, “৮৫টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ ভারতের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক শক্তি সম্পর্কে বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহণ খাতে একাধিক বৃহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কোটি কোটি টাকার সমমূল্যের মউ স্বাক্ষর করার কথাও ঘোষণা করেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতার প্রতি বিশ্বের আস্থার প্রতিফলন।”

     কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্পর্কের প্রসঙ্গও টানেন (PM Modi)। এখানে ভারত মুম্বই কন্টেইনার টার্মিনালের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সম্প্রসারণের ফলে বন্দরের পণ্য পরিচালনার ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে, যা একে ভারতের সবচেয়ে বড় কন্টেইনার বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে (India Maritime Week 2025)।” তিনি জানান, এই সাফল্য এসেছে ভারতের বন্দর পরিকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (FDI) মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পে অংশীদারিত্বের জন্য সিঙ্গাপুরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, পুরানো, ঔপনিবেশিক যুগের জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত আইনগুলি পরিবর্তন করে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, “এই নতুন আইনগুলি রাজ্য সামুদ্রিক বোর্ডগুলিকে ক্ষমতা দিয়েছে, অগ্রাধিকার দিচ্ছে নিরাপত্তা ও মজবুত উন্নয়নকে, উৎসাহিত করছে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়কে।”

    মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে সামুদ্রিক শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের কথাও। তিনি জানান, প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.২ লাখ কোটি টাকা) মূল্যের নয়া বিনিয়োগ হতে চলেছে। এটি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতায় এক বিশাল উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন এই বলে যে, তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত ভিঝিঞ্জাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর, যা ভারতের প্রথম গভীর সমুদ্র ট্রানশিপমেন্ট হাব, এ বছর সম্পূর্ণরূপে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনার জাহাজ এমএসসি-ইরিনা সেখানে নোঙরও করেছে।

    ভারত কনটেইনার শিপিং লাইন

    তিনি জানান, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ২০৪৭ সালের মধ্যে তাদের বহরে ২১৬টি জাহাজ যুক্ত করবে। এর মধ্যে থাকবে বাল্ক ক্যারিয়ার, ট্যাঙ্কার এবং অফশোর ভেসেলসও। প্রধানমন্ত্রী এদিন উদ্বোধন করেন ভারতের নিজস্ব ভারত কন্টেইনার শিপিং লাইন, যার বহরে থাকবে ৫১টি কন্টেইনার জাহাজ। এই খাতে বিনিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তেল ও গ্যাস খাতের সরকারি সংস্থাগুলি ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ৫৯টি নতুন জাহাজ কেনার অর্ডারও দিয়েছে। একটি নতুন গ্রিন টাগ প্রোগ্রামও চালু করা হয়েছে (India Maritime Week 2025)। এই প্রোগ্রামে ১২ হাজার কোটি টাকায় ১০০টি পরিবেশবান্ধব টাগবোট কেনা হবে। ভারতের বন্দরগুলি আরও মজবুত করতেই এই ব্যবস্থা। ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকায় ১১টি ড্রেজারও কিনবে (PM Modi)।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, “এই সম্মেলন হল দৃষ্টি, শিক্ষা, নীতি ও উদ্ভাবনের এক মিলনক্ষেত্র।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও ভাষণ দেন এদিন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক এখন এমন এক মঞ্চে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের নবীন উদ্ভাবনগুলি ভারতের বন্দর ও জলপথের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ (India Maritime Week 2025) জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে নতুনভাবে কল্পনা করে তিনি এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা করেছেন (PM Modi)।”

  • Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর আরও এক উপগ্রহের সন্ধান মিলেছে। আগামী ৬০ বছর ধরে চাঁদের আরও এক সঙ্গীর উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় এই উপগ্রহ এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই মহাজাগতিক বস্তুর নাম ‘২০২৫ পিএন৭’ (2025 PN7)। তবে চিরকালীন হয়তো এই উপগ্রহ থাকবে না। আগামী কয়েকে দশকের জন্য সঙ্গী হবে এই উপগ্রহ। চাঁদের অর্ধ (Second Moon of Earth) বলা হয় তাকে। মহাকাশের জগতে এই আলোড়ন জাগানো খবরে রয়েছে অনেক চমকপ্রদ তথ্য।

    ২০৮৩ সাল পর্যন্ত থাকবে পৃথিবীর পাশে

    পৃথিবীর দ্বিতীয় উপগ্রহ (Second Moon of Earth) হিসেবে ২০২৫ পিএন৭ হল আসলে আধা অর্ধেক উপগ্রহ। একে মহাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় কোয়াসি মুন বা আধা চাঁদ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত সেটি পৃথিবী ও চাঁদকে সঙ্গ দেবে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর চারপাশে জাগতিক নিয়মে ঘুরে বেড়াচ্ছা ২০২৫ পিএন৭। এই আধা চাঁদ ৩৬৫ দিনের কাছাকাছি সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৫ পিএন৭ হল একটি গ্রহাণু। এর নামকরণ করা হয়েছে মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্জুনের নামানুসারেই। সৌরজগতের অন্তর্গত সমস্ত গ্রহাণু অবশ্য অর্জুন গ্রহাণু নামেই পরিচিত। এই উপগ্রহ পৃথিবীর মতো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

    আয়তন ১৮-৩৬ মিটার

    ২০২৫ পিএন৭-এর আবিষ্কর্তা হলেন ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের বিজ্ঞানীরা। এই বছর গ্রীষ্মকালেই এই উপগ্রহের প্রথম সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। ২০২৫ পিএন৭–এর আয়তন জানা গিয়েছে ১৮-৩৬ মিটার। বিজ্ঞানীরা একে সহজ কথায় বলেছেন একটি ছোট বিল্ডিং-এর সমান। পৃথিবী থেকে এই উপগ্রহের (Second Moon of Earth) দূরত্ব ৪০ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবী যেমন কক্ষপথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে একই ভাবে সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করছে এই ২০২৫ পিএন৭।

    সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে

    উল্লেখ্য, চাঁদের কাছাকাছি উপগ্রহের বিষয়টি এই প্রথম নয়। আগেও কয়েকবার এই রকম চাঁদের আবির্ভাব হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, “সাধারণত সকলেই নিজের নিজের কক্ষপথে সমান্তরালে ঘোরাঘুরি করে। পৃথিবীর সঙ্গে গতি সমান রেখে ঘুরে চলে এই ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth)। সময়ে সময়ে গতি কমে বাড়ে। কখনও পৃথিবী থেকে এগিয়ে যায় আবার কখনও কখনও পিছিয়ে যায়। তবে গতির আমূল পরিবর্তন হয় না। তবে ছয়ের দশক থেকেই এই পৃথিবীর কাছেই রয়েছে এই উপগ্রহ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীকে এই উপগ্রহ সঙ্গী হিসেবে থাকবে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে। সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে। তবে ঠিক মতো নিজের কক্ষে ঘোরার জন্য বাকি গ্রহেরও কমবেশি প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট আটটি উপগ্রহের (2025 PN7) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও বহুকিছু গবেষণার অধীন।”

    গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে

    মহাকাশ গবেষক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেন, “এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এলেও প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থান করে। এটি চাঁদের গড় দূরত্ব (২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৫ মাইল)-এর চেয়ে কিছুটা কম। বর্তমানে টেলিস্কোপ দিয়ে যখন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে তখনই ভালো করে দেখা যায়।”

    তবে বিজ্ঞানীদের মত ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth) ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। মহাকাশের অভিকর্ষ, কার্যকারিতা, গতিপ্রকৃতি, গঠন, আচরণ, ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতেও বেশ সুবিধা হবে। পৃথিবীর এই সঙ্গী গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে। সেই সময় ভিজি আবিষ্কারের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে আবিষ্কৃত প্রথম গ্রহাণু ভিজির কক্ষপথ ছিল পৃথিবীর মতোই। সেই সময়ে, এর কাছাকাছি আসার ফলে বিজ্ঞানীরা একটি ভিনগ্রহী (2025 PN7) অনুসন্ধানের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান করতে শুরু করেছিলেন।

  • Ramakrishna 494: “‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?”

    Ramakrishna 494: “‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    “মার পাদপদ্মে ফুল দিয়ে যখন সব ত্যাগ করতে লাগলাম, তখন বলতে লাগলাম, ‘মা! এই লও তোমার শুচি, এই লও তোমার অশুচি; এই লও তোমার ধর্ম, এই লও তোমার অধর্ম; এই লও তোমার পাপ, এই লও তোমার পুণ্য; এই লও তোমার ভাল, এই লও তোমার মন্দ; আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও।’ কিন্তু এই লও তোমার সত্য, এই লও তোমার মিথ্যা এ-কথা বলতে (Kathamrita) পারলাম না।”

    একজন ভক্ত বরফ আনিয়াছিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) পুনঃপুনঃ মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাঁগা খাব কি?”

    মাস্টার বিনীতভাবে বলিতেছেন, “আজ্ঞা, তবে মার সঙ্গে পরামর্শ না করে খাবেন না।”

    ঠাকুর অবশেষে বরফ খাইলেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—শুচি-অশুচি—এটি ভক্তি ভক্তের পক্ষে। জ্ঞানীর পক্ষে নয়। বিজয়ের শাশুড়ী বললে, ‘কই আমার কি হয়েছে? এখনও সকলের খেতে পারি না!’ আমি বললাম, ‘সকলের খেলেই কি জ্ঞান হয়? কুকুর যা তা খায়, তাই বলে কি কুকুর জ্ঞানী?’

    (মাস্টারের প্রতি)—“আমি পাঁচ ব্যান্নন দিয়ে খাই কেন? পাছে একঘেয়ে হলে এদের (ভক্তদের) ছেড়ে দিতে হয়।

    “কেশব সেনকে বললাম, আরও এগিয়ে কথা বললে তোমার দলটল থাকে না!

    “জ্ঞানীর অবস্থায় দলটল মিথ্যা—স্বপ্নবৎ।…

    “মাছ ছেড়ে দিলাম। প্রথম প্রথম কষ্ট হত, পরে তত কষ্ট হত না। পাখির বাসা যদি কেউ পুড়িয়ে দেয়, সে উড়ে উড়ে বেড়ায় (Kathamrita); আকাশ আশ্রয় করে। দেহ, জগৎ—যদি ঠিক মিথ্যা বোধ হয়, তাহলে আত্মা সমাধিস্থ হয়।

    “আগে ওই জ্ঞানীর অবস্থা ছিল। লোক ভাল লাগত না। হাটখোলায় অমুক একটি জ্ঞানী আছে, কি একটি ভক্ত আছে, এই শুনলাম; আবার কিছুদিন পরে শুনলাম, ওই সে মরে গেছে! তাই আর লোক ভাল লাগত না। তারপর তিনি (মা) মনকে নামালেন, ভক্তি-ভক্ততে মন রাখিয়ে দিলেন।”

    মাস্টার অবাক্‌, ঠাকুরের (Ramakrishna) অবস্থা পরিবর্তনের বিষয় শুনিতেছেন। এইবার ঈশ্বর মানুষ হয়ে কেন অবতার হন, তাই ঠাকুর বলিতেছেন।

  • Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের (Baba Kartik Oraon) জন্মশতবার্ষিকী। মহান, অথচ বিস্মৃত-প্রায় এই নেতাকে স্মরণ করল দেশ। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা এই মানুষটি সংসদে হয়ে উঠেছিলেন ভারতের বনবাসী (Vanvasi) সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর। কার্তিক ওরাঁও শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তক। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতার পক্ষে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি।

    ধর্মনিষ্ঠ নেতা (Baba Kartik Oraon)

    জাতীয় কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ। জাতীয় আদর্শের প্রতি তাঁর দৃঢ় মানসিকতার কারণে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নানা সময় মতবিরোধ হয়েছে তাঁর। কার্তিকের উত্তরাধিকার কেবল মধ্য ভারতের আদিবাসী উন্নয়নের কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ধর্মান্তরণ আন্দোলনেরও বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর মতে, ধর্মান্তরণ আন্দোলন ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বন্ধনকে বিপন্ন করেছিল।কার্তিকের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপগুলির একটি ছিল ১৯৬৭ সালে, যখন তিনি সংসদে একটি ব্যক্তিগত সদস্য বিল উত্থাপন করেন। বিলটির নাম “তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭ (Baba Kartik Oraon)।”

    তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭

    এই বিলটি সংবেদনশীল হলেও, জরুরি সমস্যার সমাধান চেয়েছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনের মূল কথা ছিল সহজ, যদিও তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। বিলটির নির্যাস হল, যাঁরা তাঁদের প্রথাগত আদিবাসী ধর্ম ছেড়ে খ্রিস্টান কিংবা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাঁরা আর তফসিলি জনজাতির জন্য নির্ধারিত সরকারি সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। তাঁর মতে, ইতিবাচক পদক্ষেপের লক্ষ্যই ছিল হিন্দু সমাজের অন্তর্গত সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীগুলিকে উন্নীত করা, ধর্মীয় সমতার ছদ্মবেশে নতুন ধরনের শোষণকে উৎসাহিত করা নয়।

    বিলটি সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। দু’বছর নিবিড় আলোচনা ও পর্যালোচনার পর ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসে কমিটি (Vanvasi) তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে কার্তিকের অবস্থানকেই সমর্থন করা হয়। কার্তিক বিশ্বাস করতেন, আদিবাসী ধর্ম ও হিন্দু ধর্ম একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেই কার্তিককেই এদিন স্মরণ করল গোটা দেশ (Baba Kartik Oraon)।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারস্থ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sk Hasina)। আন্তর্জাতিক এই বিচারালয় রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এখানকার প্রসিকিউটরের কাছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি-র মাধ্যমে হাসিনা আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন দায়ের করেছেন। এই ধারাটি আইসিসিকে যে কোনও গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।

    হাসিনার অনুরোধ (Sk Hasina)

    কমিউনিকেশনে তিনি অনুরোধ করেছেন, আওয়ামি লিগ দলের নেতা-কর্মী, আগের মন্ত্রিসভা ও সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন হিংসার তদন্ত শুরু করুন আইসিসির প্রসিকিউটর। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তী সরকার যেসব অপরাধ করেছে, যার ফলে ২০২৪ সালের অগাস্টে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেগুলি আদালতের (আন্তর্জাতিক) এক্তিয়ারের মধ্যে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম স্ট্যাটিউট অনুমোদন করে বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ১ জুন থেকে বাংলাদেশে কার্যকরও হয় এটি। হাসিনার যুক্তি হল, এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের আইনি অধিকার রাখেন।

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের মামলা

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগে উত্থাপিত ঘটনাগুলির মধ্যে হত্যাকাণ্ড, বেআইনি আটক এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যেসব দাবি উঠেছে, সেগুলির যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির প্রসিকিউটরের তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতগুলিতে এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে (Sk Hasina)। উল্লেখ্য, স্টিভেন পাওলস কেসি অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত বহু ব্যক্তির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত (ICC)।

    কমিউনিকেশনে হাসিনার দাবি

    কমিউনিকেশনটিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা ও কর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে পিটিয়ে। এই কমিউনিকেশনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং ভিডিও প্রমাণ, যেগুলিতে এসব হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য এবং বিশদ বিবরণের উল্লেখ রয়েছে। কমিউনিকেশনে এও বলা হয়েছে, আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্রেফ অনুমান করে বহু ব্যক্তিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মায় অভিনেতা ও গায়কদের মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অপারেশন ডেভিলস হান্ট

    কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন ব্যক্তি জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। যাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরেই নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট (Sk Hasina)। আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা আদতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ডেভিলস হান্ট (Devils Hunt) নামে একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ঘোষিত উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামি ফ্যাসিবাদ দমন করা। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে (ICC)। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভিযানে ১২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৮ হাজার জনকে। কমিউনিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার একটি দায়মুক্তি আদেশ (immunity order) জারি করে, যার মাধ্যমে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো যায় এবং অপরাধীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয় (Sk Hasina)।

    ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়

    যেহেতু বাংলাদেশের আদালতে ন্যায়বিচারের কোনও সম্ভাবনা বা তদন্তের আশাই নেই, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করাই ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিকেশনে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের তরফে এমন একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হল, যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঝুলে রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনের নামে ১৪০০ জনকে (ICC) হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া-সহ মোট পাঁচটি অভিযোগে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালে (Sk Hasina)।

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • India China Talks: সীমান্ত-সম্পর্ক উন্নত করতে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, কী আলোচনা হল?

    India China Talks: সীমান্ত-সম্পর্ক উন্নত করতে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতি। পরিবর্তন হচ্ছে সম্পর্কের গাঁটছড়ারও। প্রত্যাশিতভাবেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ (India China Talks)। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, চিন ও ভারতের সেনাবাহিনী দুই দেশের সীমান্তের (Border) পশ্চিম অংশের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, এই বৈঠকটি ২৫ অক্টোবর ভারতের দিকে মোলদো-চুশুল সীমান্ত বৈঠক পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের শেষে উভয় পক্ষই রাজি হয়েছে যে তারা সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা চালিয়ে যাবে।

    আলোচনা হয়েছে আগেও (India China Talks)

    এর আগে জুলাই মাসেও পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনায় বসেছিল। চিন তাকে খোলামেলা আলোচনা বলে বর্ণনা করেছিল। এই বৈঠকটি ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের কার্যকর প্রক্রিয়া কাঠামোর মধ্যেই হয়। সেই সময়ই চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল যে উভয় পক্ষই চলতি বছরের শেষের দিকে পরবর্তী দফার আলোচনা করতে রাজি হয়েছে। জুলাই মাসের আলোচনার ফল সম্পর্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মন্ত্রক এও জানিয়েছিল যে, এই আলোচনা শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে।

    ভারত-চিন সম্পর্কের লেখচিত্র

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক অচলাবস্থা শেষ হওয়ার পর থেকে ভারত ও চিনের সম্পর্কের লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী (India China Talks)। অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনের ফাঁকে চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন। এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর সাত বছর পর প্রথম চিন সফর। প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠককে ফলপ্রসূ বলেই উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “উভয় পক্ষ সীমান্ত (Border) এলাকায় শান্তি বজায় রাখার গুরুত্বের বিষয়ে একমত হয়েছে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে।” উল্লেখ্য যে, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ে সমঝোতা হলেও, উভয় পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এখনও পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি (India China Talks)।

  • INDI Bloc Manifesto: ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতির সংকলন’, বিহারে মহাজোটের ইস্তাহারকে তুলোধনা বিজেপির

    INDI Bloc Manifesto: ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতির সংকলন’, বিহারে মহাজোটের ইস্তাহারকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP) বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’ (India Bloc Manifesto)। এই ইস্তাহারে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি। তার পরেই ‘ইন্ডি’ জোটের গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সের ইস্তাহারকেই নিশানা করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার এই ইস্তাহারকে ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতির সংকলন’ অভিধায় ভূষিত করেছেন। তাঁর মতে, বিহারের জনগণকে ভুল পথে চালিত করাই এই ইস্তাহারের লক্ষ্য।

    স্বপ্ন বিক্রি করার চেষ্টা (India Bloc Manifesto)

    নিত্যানন্দ বলেন, “তেজস্বী যাদব ও তাঁর মিত্ররা স্বপ্ন বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা রাজ্যে ফের একবার জঙ্গলরাজ ফিরিয়ে আনতে চান।” তিনি বলেন, “তেজস্বী যাদব ও মহাগঠবন্ধনের নেতারা ইস্তাহারের নামে একগুচ্ছ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছেন। বিহারের মানুষ জানেন, এঁরা সেই একই লোক, যাঁরা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবসান ঘটাতে চান।” বিহারের ভোটারদের প্রতি কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রীর আহ্বান, “আপনারা এই ভ্রান্তিকর দাবিতে বিভ্রান্ত হবেন না। ১৪ নভেম্বর ফের একবার ক্ষমতায় আসবে এনডিএ সরকার।” আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী বিহারকে অপরাধমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে নিত্যানন্দ বলেন, “তেজস্বী যাদব দাবি করছেন যে তিনি বিহারকে অপরাধমুক্ত করবেন। কিন্তু পুরো রাজ্য জানে বিহারকে অপরাধের পাঁকে ঠেলে দিয়েছিল কে।”

    অরাজক শক্তি

    তিনি বলেন, “যদি মানুষ আরজেডির মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে প্রভাবিত হন, তাহলে (India Bloc Manifesto) বিহারে আবার দিনের আলোয় অপহরণ, লুটপাট এবং খুনের ঘটনা নিত্য ঘটতে থাকবে।” নিত্যানন্দ উজিয়াপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। তিনি বলেন, “১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে আরজেডি এবং লালু পরিবারের রাজত্বেই বিহার ধ্বংস হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই রাজ্য প্রকৃত উন্নয়ন দেখেছে।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “বিহারের মানুষ আর কখনও অরাজক শক্তির হাতে তুলে দেবে না রাজ্যের ক্ষমতার রশি (BJP)।” তেজস্বীকে কটাক্ষ করে বিজেপির এই নেতা প্রশ্ন তোলেন তাঁর প্রশাসনিক রেকর্ড নিয়ে। তিনি বলেন, “তেজস্বী যাদব তাঁর জঙ্গলরাজের সময় কত চাকরি দিয়েছিলেন? কত রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন? কোথায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলেন? বরং তাঁরা দোকান ও ঘরবাড়ি লুট করেছে, জমি দখল করেছে, আর অপহরণের শিল্প তৈরি করেছিলেন (India Bloc Manifesto)।”

    প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বিজেপি

    বিজেপি যে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে, এদিন তা-ও মনে করিয়ে দেন নিত্যানন্দ। তিনি বলেন, “আমরা রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম মা সীতার জন্য পুনৌরা ধামে একটি বিশাল মন্দির নির্মাণের। নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা তা করে দেখিয়েছি।” মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার বিহারে প্রকৃতই উন্নয়ন এনেছে।” তিনি বলেন, “দেশজুড়ে ৩০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে ওপরে উঠেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিহারের তিন কোটিরও বেশি মানুষও। এখন প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও কলের জল পৌঁছে গিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা (India Bloc Manifesto)।”

    এনডিএর ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    তেজস্বীদের বর্তমান ইস্তাহারে দেওয়া অনেক প্রতিশ্রুতিই ঢের আগে পূরণ করে দিয়েছে বিহারের এনডিএ সরকার, দাবি নিত্যানন্দের। তিনি বলেন, “তেজস্বী যাদবের ইস্তাহারে দেওয়া অনেক প্রতিশ্রুতি যেমন, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, নারী কল্যাণ, ও সরকারি চাকরি – অনেক আগেই বাস্তবায়ন করেছে বিহারের বর্তমান সরকার। নিত্যানন্দ বলেন, “এনডিএর ডাবল ইঞ্জিন সরকার বিহারের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ঘটছে (BJP)।” প্রসঙ্গত, ইন্ডি জোটের প্রকাশিত ইস্তাহারের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘তেজস্বী পণ’। একাধিক জনমোহিনী প্রতিশ্রুতির ঘোষণাই এই ইস্তাহারের প্রধান আকর্ষণ। এর মধ্যে রয়েছে পরিবার প্রতি একটি করে সরকারি চাকরি, মহিলাদের জন্য মাসে ২,৫০০ টাকা করে ভাতা এবং প্রতিটি পরিবারকে ২০০ করে ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়া হবে নিখরচায়।

    তেজস্বীই মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ

    ‘ইন্ডি’ জোটের তরফে ইস্তাহার প্রকাশ করা হলেও, তেজস্বীই যে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ, দিন কয়েক আগে তেজস্বীকে পাশে বসিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অশোক গেহলট। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, তেজস্বী যাদব সর্বভারতীয় জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রধান মুকেশ সাহনি হবেন উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখ (India Bloc Manifesto)।

    প্রসঙ্গত, আসন বণ্টন দিয়ে ইন্ডি জোটে এক সময় বিরাট ফাটল ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সাহনি স্বয়ং। মহাজোট থেকে তিনি বেরিয়ে যেতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য মেটে গন্ডগোল (BJP)।

LinkedIn
Share