Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাল বিজেপি (BJP)। ওই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ হিসেবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্ট ভুলভাবে (World Bank Report) উপস্থাপন করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর দলের ওই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (BJP)

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (Gini Index) রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সায়েদ জাফর ইসলাম বলেন, “২০১৩–১৪ সালে “ফ্র্যাজাইল ফাইভ” (অস্থিতিশীল পাঁচটি দেশের) অংশ থেকে আজ “ফ্যাবুলাস ফোর”-এর অন্তর্ভুক্তিতে ভারতের রূপান্তর সরকারের নীতিগত সাফল্যকেই প্রতিফলিত করে।” তিনি বলেন, “এটি একদিনে হয়নি। এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টির ফল, যা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে। এই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা বজায় রাখা দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জি৭-এর যে কোনও দেশের চেয়েও ভারত এগিয়ে।”  ইসলাম জানান, গিনি সূচকের পতন ২০১১–১২ সালে ছিল ২৮.৮ এবং ২০২২–২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫।  এটি আয়ের বৈষম্য হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রিপোর্টে ভারতকে শুধু স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া এবং বেলারুসের নীচে রাখা হয়েছে। এটিকে মধ্যম মাত্রার কম বৈষম্যমূলক দেশ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গিনি সূচক হল বৈষম্য মাপার একটি পদ্ধতি, যেখানে নিম্নতর স্কোর মানে আয়ের বণ্টন বেশি ন্যায়সঙ্গত। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সূচকে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪১.৮), চিন (৩৫.৭) এবং ব্রিটেনের (৩৪.৪) মতো বড় অর্থনীতিগুলিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে (BJP)। ইসলাম পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৭৪ শতাংশ ভারতীয় তাঁদের গণতন্ত্র ও অর্থনীতি—উভয় ক্ষেত্রেই আপেক্ষিকভাবে সন্তুষ্ট এবং এই ভিত্তিতে ২৩টি দেশের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

    উল্লেখ্য, কংগ্রেস কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগ এনেছিল। এই সময়ই বিজেপির মন্তব্যটি (World Bank Report) সামনে আসে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, সরকার বেছে বেছে তথ্য তুলে ধরছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চোখ বন্ধ করে আছে (BJP)।

  • Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে একঘরও মুসলমান নেই। তবে মহরম উৎসব আছে। এবং সেই উৎসব পালন করেন হিন্দুরাই। আজব মনে হলেও, ফি বছর মহরমের শোভাযাত্রা বের হয় কর্নাটকের (Karnataka) ইয়াদগির জেলার তালাওয়ারগেরে গ্রামে। হিন্দু গ্রামের এই মহরম পালনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক (Ganesha Idol) অনন্য নজির। মহরমের এই উৎসব চলে ছ’দিন ধরে। শোভাযাত্রায় অংশ নেন শত শত হিন্দু। শোভাযাত্রায় হয় ভক্তিমূলক গান। হাসান, হুসেন এবং এক মৌলালির প্রতিকৃতি কাঁধে বহন করেন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির (Karnataka)

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তে যখন সেই ১৯২৫ সাল থেকে মহরম পালন করছেন হিন্দুরা, সেই সময় শিবামগ্গা গ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি ভাঙচুর করল এক মুসলমান। জানা গিয়েছে, ১৯২৫ সালে যখন একজন সুফি সন্তের দর্শনের মাধ্যমে প্লেগ ও খরার হাত থেকে রক্ষা পান গ্রামবাসীরা, তার পর থেকে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর মহরম পালন করেন গ্রামবাসীরা। ওই সুফি সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে আশুরখানা রং-ও করেন তাঁরা (Karnataka)। বিলানো হয় মিষ্টি। এদিন বহু মানুষ এখানে আসেন ওই সুফি সন্তের আশীর্বাদ নিতে।

    গণেশের মূর্তি ড্রেনে

    ইয়াদগিরে হিন্দুরা যখন মুসলমানদের উৎসব পালন করছেন ঘটা করে, তখন শিবামগ্গার আকাশে ঘনাচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার মেঘ। রাখিগুড্ডার বাঙ্গারাপ্পা লে আউটে দেখা গিয়েছে ৩ জুলাই সৈয়দ নামে এক ব্যক্তি গণেশের মূর্তি পা দিয়ে মাড়িয়ে দেন। তিনি নাগারার একটি মূর্তি ড্রেনে ছুঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মূর্তি দুটি একটি পার্কে বসিয়েছিলেন।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মূর্তিগুলির অবমাননা করেছে বলে কবুল করেছে। সে বলেছে, “আমাদের বাড়ির বাইরে মন্দির থাকবে কেন?” পরে সে নাকি ক্ষমাও চেয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ সৈয়দ ও তার সঙ্গী রেহমতুল্লাহকে আটক করেছে। স্থানীয় বিধায়ক এসএন চন্নবাসাপ্পা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা ঘটনাস্থল (Ganesha Idol) পরিদর্শন করেন এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি জানান। পুলিশ (Karnataka) জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবির (Celebi Ban) সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার আদালত তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সুরক্ষা ছাড় বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। এদিন বিচারপতি (Delhi High Court) শচীন দত্ত তাঁর নির্দেশে বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই সেলেবি কর্তৃক দায়ের করা আবেদনগুলি খারিজ করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “গুপ্তচরবৃত্তি বা লজিস্টিক ক্ষমতার দ্বৈত ব্যবহারের সম্ভাবনা নির্মূল করা প্রয়োজন। কারণ বহিরাগত সংঘাতের সময় এই ধরনের সংযোগ দেশের নিরাপত্তাকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ (Celebi Ban)

    পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবার মাধ্যমে এয়ারসাইড অপারেশন, বিমানের অভ্যন্তর, কার্গো, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা জোনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়। এই ধরনের অবাধ প্রবেশাধিকার নিরাপত্তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে যখন পরিষেবা সংস্থার বিদেশি সংযোগ থাকে। সেলেবি তাদের আবেদনে বলে, কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সরকার কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি। তারা আরও দাবি করে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৩,৭৯১ জনের চাকরির ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের বক্তব্য ছিল, “কোনও সত্তা কীভাবে একটি হুমকি — তা ব্যাখ্যা না করে শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কথার ফুলঝুরি আইনের দৃষ্টিতে ধোপে টেকে না।”

    কেন্দ্রের বক্তব্য

    সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কারণ প্রকাশ করলে সেই সিদ্ধান্তের (Celebi Ban) মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হত। তিনি বলেন, নভেম্বর ২০২২-এ যখন সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র রিনিউ করা হয়েছিল, তখন সংস্থা মেনে নিয়েছিল যে, কোনও কারণ না জানিয়েও সেই ছাড় বাতিল করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৫ মে ভারতের বিমান চলাচল নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সেলেবির নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তটি (Delhi High Court) এমন একটা সময়ে এল, যখন তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করে এবং ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ বিমান হামলার নিন্দা করে (Celebi Ban)।

  • Manipur Crisis: “মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা,” দাবি আরএসএসের

    Manipur Crisis: “মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা,” দাবি আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরে (Manipur Crisis) আলোচনার মাধ্যমে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা।” অন্তত এমনই দাবি করল আরএসএস (RSS)। সংঘের দাবি, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত হিংসায় জর্জরিত রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। আরএসএসের জাতীয় প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী ‘প্রান্ত প্রচারক’ সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রাজ্যে ঘটতে থাকা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    সংঘের দাবি (Manipur Crisis)

    তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এই সভায় অংশ নিতে এসেছিলেন। তাঁরা এটাও জানিয়েছেন যে কীভাবে স্বয়ংসেবকরা দ্রুত ওই অঞ্চলে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “এই উদ্দেশ্যে  আরএসএস স্বয়ংসেবকরা মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন, যাতে তাঁদের মধ্যে একটি সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশ গড়ে ওঠে। তাঁরা এজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।” আম্বেকর বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার মণিপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক ইতিবাচক দিক সামনে এসেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে তাদের মাধ্যমে কিছু ইতিবাচক খবর পাওয়া গিয়েছে।”

    বিরোধীদের সমালোচনার জবাব

    বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে আম্বেকর বলেন, “যখন কোথাও পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, তখন তা একদিনেই ঠিক হয়ে যায় না (Manipur Crisis)। তবে অবশ্যই আগের বছরের তুলনায় যদি দেখা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে।” তিনি বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, তা অগ্রসর হবে।” পরে অন্য একটি বিবৃতিতে আম্বেকর বলেন, “আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা মণিপুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মেইতেই এবং কুকি উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছেন। এই কারণেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো গোষ্ঠীর (RSS) মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে ২৬০জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ (Manipur Crisis)।

  • India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশতম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে (India)। ব্রাজিলে সপ্তদশতম ব্রিকস সম্মেলনেই (BRICS Summit) এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিও ডি জেনেইরোয় রবিবার ব্রিকস সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মজবুত শাসনের জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা শীর্ষক এই বিবৃততে ২০২৮ সালে ৩৩তম রাষ্ট্রসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ভারতের আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিকস নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে ফের সওয়াল করেন। যৌথবিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বেইজিং এবং ২০২৩ সালের জোহানেসবার্গ-২ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র স্মরণ করে চিন ও রাশিয়া, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে, রাষ্ট্রসংঘ-সহ নিরাপত্তা পরিষদে বৃহত্তর ভূমিকা রাখার জন্য ব্রাজিল ও ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাঁদের সমর্থন জোরালো করেছে।”

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি (India)

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বকেও জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ব্রিকস স্টার্টআপ ফোরামের সূচনা এবং একটি ব্রিকস স্টার্টআপ নলেজ হাব প্রতিষ্ঠার প্রশংসা করেন। এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা আরও গভীর করা (India)। বিবৃতিতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অধিবেশনের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইড ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয় ব্রিকসজুড়ে এই ধরনের উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবেশ, সিওপি ৩০ ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে একটি নতুন রূপ দিতে কাজ করব।” তিনি বলেন, “ব্রিকসের অর্থ হবে বিল্ডিং রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড ইননোভেশন ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি। যেমন করে আমরা জি২০-এর সভাপতিত্বের সময় গ্লোবাল সাউথের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, তেমনি ব্রিকসের সভাপতিত্বেও আমরা এই ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” পরিবেশ (BRICS Summit) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রিকস ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে, বিশেষ করে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা বাঘ-সহ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন (India)।

  • Earths Rotation Speed: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী! কেন এই পরিবর্তন?

    Earths Rotation Speed: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী! কেন এই পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদিও এই গতি (Earths Rotation Speed) বৃদ্ধির পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে বোঝা যায় না, তবে এটি প্রতিদিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে ছোট করে দিচ্ছে। তাই বিশ্বের টাইমকিপাররা এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৯ সালের মধ্যে কো-অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম থেকে এক সেকেন্ড বিয়োগ করা হতে পারে (Days Getting Shorter)।

    পারমাণবিক ঘড়ি (Earths Rotation Speed)

    ছয়ের দশকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে সময় গণনা শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার, পৃথিবীকে সময় যোগ না করে বিয়োগ করতে হতে পারে। এটি সময় গণনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এখানে মানুষ তার ঘড়িকে পৃথিবীর প্রকৃতিক ছন্দের সঙ্গে মানানসই করতে গিয়ে এক ব্যতিক্রমী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে, যা দেখায় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার কাছে মানুষের সবচেয়ে নিখুঁত প্রযুক্তিও কতটা অরক্ষিত।

    পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি বাড়ছে

    পৃথিবীতে একটি দিন সাধারণভাবে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টার হয়ে থাকে। তবে এটি কখনওই একটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক ছিল না। পৃথিবীর ঘূর্ণন বিভিন্ন ভূ-ভৌগোলিক, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রভাবের কারণে বদলায়। তবে ২০২০ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করছেন যে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফলে দিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে কমে যাচ্ছে। এটা মানুষ টের পায় না, কিন্তু পারমাণবিক সময় পরিমাপে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ (Earths Rotation Speed)।

    ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস জানিয়েছে, এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত রয়েছে এবং এ বছর ৯, ১২ এবং ২২ জুলাই এবং ৫ অগাস্টে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি রেকর্ড ভাঙতে পারে। ৫ আগস্ট পৃথিবী তার স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১.৫১ মিলিসেকেন্ড দ্রুত এক পূর্ণ (Days Getting Shorter) আবর্তন সম্পন্ন করতে পারে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই প্রবণতা বজায় থাকে, তবে ২০২৯ সালেই ইতিহাসে প্রথমবার এক সেকেন্ড সময় বিয়োগ করতে হতে পারে, যাতে পারমাণবিক সময় পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান দ্রুত ঘূর্ণনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে (Earths Rotation Speed)।

  • Ramakrishna 403: শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    Ramakrishna 403: শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    মোহিনী বললেন: “এখানে এলেই একটু শান্ত হন। ওখানে মাঝে মাঝে খুব হাঙ্গামা করেন। সেদিন তো মরতে গিয়েছিলেন!”

    ঠাকুর কিছুক্ষণ নীরবে চিন্তায় ডুবে রইলেন।

    মোহিনী বিনীতভাবে বললেন:

    “আপনার দু-একটা কথা বলে দিতে হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন:

    “রাঁধতে দিও না। ওতে মাথা আরও গরম হয়ে যায়। আর লোকজনের সঙ্গে রাখো—তাতে উপকার হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সন্ন্যাসের অবস্থা-তারক সংবাদ

    সন্ধ্যা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আরতির প্রস্তুতি চলছে। শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আলো জ্বালানো হয়েছে। ঠাকুর একটি ছোট খাটে বসে জগতমাতাকে প্রণাম করে কোমল সুরে তাঁর নাম জপ করছেন। ঘরে আর কেউ নেই, কেবল মাস্টার (মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত) বসে আছেন।

    ঠাকুর উঠে দাঁড়ালেন, মাস্টারও দাঁড়ালেন। ঠাকুর ঘরের পশ্চিম ও উত্তর দিকের দরজাগুলির দিকে ইঙ্গিত করে বললেন — “ওগুলো বন্ধ করো।”

    মাস্টার দরজাগুলি বন্ধ করে বারান্দায় এসে ঠাকুরের কাছে দাঁড়ালেন।

    ঠাকুর বললেন, “একবার কালীঘরে যাব।”

    এই বলে মাস্টারের হাত ধরে তাঁর উপর ভর করে কালীঘরের সম্মুখ চাতালে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে বসে পড়লেন। বসার পূর্বে বললেন,
    — “তুমি বরং ওকে ডেকে দাও।”

    মাস্টার বাবুরামকে (পরবর্তীকালে স্বামী প্রেমানন্দ) ডেকে পাঠালেন।

    ঠাকুর মা কালী দর্শন করে বৃহৎ উঠোনের মধ্যে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরে আসছেন। মুখে উচ্চারিত হচ্ছে—
    — “মা… মা… রাজরাজেশ্বরী…”

    ঘরে এসে আবার ছোট খাটে বসে পড়লেন। ঠাকুরের এক অদ্ভুত অবস্থা দেখা যাচ্ছে। কোনও ধাতুর বস্তুতে তিনি হাত দিতে পারছেন না। বলেছিলেন,
    — “মা বুঝি ঐশ্বর্যের ব্যাপারটি মন থেকে একেবারে তুলে দিচ্ছেন। এখন কলাপাতায় আহার করি, মাটির ভাড়ে জল খাই। গাড়ু (পিতলের পাত্র) ছুঁতে পারি না। তাই ভক্তদের বলেছি মাটির ভাড়া নিয়ে আসতে। গাড়ু বা ধাতুর থালায় হাত দিলে ঝনঝন শব্দ হয়, যেন শিঙি মাছের কাঁটা বিঁধছে হাতের মধ্যে।”

  • RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ। দেশজুড়ে ৫৮ হাজার ৯৬৪ মণ্ডল এবং ৪৪ হাজার ৫৫ বস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্মেলন। তিনদিন ব্যাপী আরএসএসের (RSS) প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে (Prant Pracharak Meeting) এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪-৬ জুলাই দিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান সুনীল আম্বেকর এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে সংঘের শতবর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শতবর্ষে গ্রামীণ অঞ্চলে মণ্ডল স্তরে এবং শহরাঞ্চলে বস্তি স্তরে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে দেশে ৫৮ হাজার ৯৬৪টি মণ্ডল ও ৪৪ হাজার ৫৫টি বস্তি রয়েছে। এই সম্মেলনগুলিতে সামাজিক উৎসব, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং ‘পঞ্চ পরিবর্তনে’র ওপর আলোচনা হবে।

    ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ (RSS)

    সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে ১১ হাজার ৩৬০টি ব্লক/নগরে ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ও হবে। সংঘের কাঠামো অনুযায়ী দেশে মোট ৯২৪টি জেলা রয়েছে। এসব জেলায় ‘প্রমুখ নাগরিক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে “ভারতের ভাবনা”, “ভারতের গৌরব”, “ভারতের স্বা” ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সুনীল জানান, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বস্তিতে সর্বাধিক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। শতবর্ষ পালনের মূল লক্ষ্য হল, পেশা, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সর্বসমেত যোগাযোগ ও সম্পূর্ণ সামাজিক সংহতি অর্জন করা।

    শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমীতে

    সংঘের শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমী থেকে। এদিন সকল স্বয়ংসেবক বিজয়া দশমী উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “দেশ (RSS) অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং জীবনের নানা দিক থেকে অগ্রগতির জন্য একসমষ্টিগত (Prant Pracharak Meeting) প্রচেষ্টা চলছে। এই অগ্রগতি সরকারিভাবেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ঘটছে। তবে দেশ যতই এগিয়ে যাক, শুধুমাত্র অর্থনীতি বা প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হওয়াই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজ ও জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

    সুনীল জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৮ হাজার ৮১২টি জায়গার কার্যকর্তারা সংঘ শিক্ষা বর্গে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে (Prant Pracharak Meeting) সুনীল বলেন, “লোভ, জোরজবরদস্তি, কারও অসুবিধার সুযোগ নেওয়া বা চক্রান্তের মাধ্যমে ধর্মান্তরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তিনি জানান, ভারতের সমস্ত ভাষাই জাতীয় ভাষা। সংঘের বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত (RSS)।

  • Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিল তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। জেরায় এমনটাই কবুল করেছে সে। মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attacks) সঙ্গে যে তার যোগ ছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছে পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানা। তার দাবি, লস্কর-ই-তৈবা কেবলমাত্র একটি জঙ্গি সংগঠন নয়, গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেও কাজ করে। রানা জানায়, তার বন্ধু সহযোগী ডেভিড হেডলি বহুবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বই হামলা (Tahawwur Rana)

    দিল্লির তিহাড় জেলে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে রানা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছে, ২৬/১১ হামলা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। ওই হামলার সময় সে মুম্বইতে ছিল। গোটা হামলাটা ছিল জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। খালিজ যুদ্ধের সময় পাক সেনা তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে রানা। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে তাহাউর এও জানিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন কেন্দ্র বা ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা করেছিল সে। মূলত সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতেই এই ছক কষেছিল রানা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধু মুম্বইয়ের তাজ হোটেলই নয়, ওই দিন আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর মুম্বই পুলিশ দ্রুত রানাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এই রানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বন্দি ছিল আমেরিকার জেলে। কয়েক মাস আগে আমেরিকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ ছিল এই রানা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে আলাপ হয় রানার। জঙ্গিরা কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালাবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করেছিল তাহাউর। পরে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ বছরের শুরুতে রানাকে হাতে পায় ভারত (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল ১০ জন পাক জঙ্গি। সেদিন তারা তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং ইহুদি সেন্টার (Mumbai Terror Attacks) নরিমান হাউস-সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায়। নিহত হন ১৬৬ জন (Tahawwur Rana)।

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

LinkedIn
Share