Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কৃষি (Farmers) খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এগুলি হল ‘পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন’। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।

    দুই প্রকল্পে ব্যয় (PM Modi)

    নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় (IARI) এক বিশেষ কৃষি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল কাটার পর সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি, সেচ ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচিত ১০০টি জেলার কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সহজ করা।ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর উদ্দেশ্য হল ডালের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের এলাকা বাড়ানো, ক্রয়, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-সহ সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করা এবং ফসল কাটার পর ক্ষতির পরিমাণ কমানো।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণ, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ। এই কর্মসূচিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষককেন্দ্রিক নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫ হাজার ৪৫০ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু ও জম্মু-কাশ্মীরে কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমরেলি ও বানাসে উৎকর্ষ কেন্দ্র, অসমে রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের অধীনে একটি আইভিএফ ল্যাবরেটরি, মেহসানা, ইন্দোর ও ভিলওয়ারায় মিল্ক পাওডার উৎপাদন কারখানা এবং অসমের তেজপুরে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি এবং ওড়িশায় বিভিন্ন আধুনিক মৎস্য ও কৃষি পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বেশ কয়েকটি (Farmers) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি যৌথ কোল্ড চেইন ও মানোন্নয়ন পরিকাঠামো (রশ্মি বিকিরণ) ইউনিট, উত্তরাখণ্ডে ট্রাউট মৎস্য খামার, নাগাল্যান্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক, পুদুচেরির কারাইকালে একটি স্মার্ট ও মাছ ধরার বন্দর, এবং ওড়িশার হীরাকুদে একটি অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক।

    সরকারি উদ্যোগের সাফল্য

    এদিনের অনুষ্ঠানে (PM Modi) বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে ৫০ লাখ কৃষকের সদস্যপদ, যার মধ্যে ১ হাজার ১০০টি সংস্থা ২০২৪–২৫ সালে বার্ষিক ১ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছে। অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে জাতীয় মিশনের অধীনে ৫০ হাজার  কৃষকের সার্টিফিকেশন, ৩৮ হাজার মৈত্রীর (গ্রামীণ ভারতের বহুমুখী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিবিদ) সার্টিফিকেশন এবং ১০ হাজারটিরও বেশি বহুমুখী ও ই-প্যাকস ইউনিটের অনুমোদন ও কার্যকলাপ শুরু। এছাড়াও, বেশ কিছু প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহায়ক সমবায় গঠন এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি তাদের কার্যকলাপে বৈচিত্র্য এনে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দুই নয়া প্রকল্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই (Farmers) কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “চাল ও গম উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু ডাল উৎপাদনে এখনও বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টন ডাল আমদানি করতেই হয়। সরকারের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাল উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হবে।” তিনি জানান, কৃষকরা যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন করবেন, তার ১০০ শতাংশই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনে নেবে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে ধান ও গম চাষের জমিতে ফসল কাটা হয়ে গেলে সেটিকে ডাল চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সয়াবিনের সঙ্গেও ডাল চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে কৃষকদের (PM Modi)।

  • ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    ISI: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার মঙ্গত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে চরবৃত্তির (Spy) অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার বছর বত্রিশের মঙ্গত সিং। তদন্তের পর ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় তাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি। মঙ্গত আলওয়ারের গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা। আলওয়ারের সেনানিবাস এলাকার ওপর নজরদারির সময় প্রথম মঙ্গতের কার্যকলাপ সন্দেহজনক বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, সে দীর্ঘদিন ধরে কিছু সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত। এর পরেই কর্তৃপক্ষ তার ওপর নজরদারি করতে শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

    ঈশা শর্মার ফাঁদে মঙ্গত (ISI)

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঈশা শর্মা নামে এক মহিলার পরিচয়ে কাজ করত পাক গুপ্তচর সংস্থার এক কর্মী। তারই ফাঁদে পড়েছিল মঙ্গত। বিপুল টাকার টোপও দেওয়া হয় তাকে। রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মঙ্গত আলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্ট ও তার আশপাশের এলাকার ছবি এবং সামরিক তথ্য নিয়মিত তুলে দিত পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে। অপারেশন সিঁদুরের সময় থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলির পাশে নজরদারি শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ।

    মঙ্গতের ওপর নজরদারি

    সেই সময়ই মঙ্গতের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। নজরদারি শুরু করে পুলিশ। মঙ্গতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই অভিযানে নামে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) রাজেশ মিল বলেন, “গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্তও পাক হ্যান্ডলারদের ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে মঙ্গত (Spy)। পাকিস্তানের দুটো নম্বরে নিয়মিত ফোন করত। সামরিক তথ্য পাচার করে প্রচুর টাকাও পেয়েছে। তার লেনদেনের উৎস খুঁজে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, জয়পুরের সেন্ট্রাল ইন্টারোগেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে মঙ্গতকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে (ISI)।

    প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে পাক চর সন্দেহে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন ইঞ্জিনিয়র, তেমনই ছিলেন নেটপ্রভাবী, সিআরপিএফ জওয়ান-সহ নানা পেশার মানুষ (ISI)।

  • Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বর্তমানে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া সিদ্ধান্তের জেরে ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, চিনের বিরুদ্ধে হঠাৎই বা কেন এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কেন চিনা পণ্যের ওপর চাপালেন এত চড়া শুল্ক?

    ট্রাম্পের যুক্তি (Donald Trump)

    এই সব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে। তিনি লিখেছেন, “গত ছ’মাস চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বাণিজ্যে ওদের এমন একটা পদক্ষেপ সেই কারণেই আরও বিস্ময়কর লাগছে। আমার অবশ্য বার বার মনে হয়েছে, ওরা মিথ্যা বলছে। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মনে তো হচ্ছে, অনেক দিন ধরে ওরা এই পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু চিনকে সারা বিশ্বের বাজারে এভাবে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।” পাল্টা হুমকির সুরে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওরা একটা একচেটিয়া অবস্থান নিতে চাইছে। কিন্তু আমেরিকার অবস্থানও একচেটিয়া এবং চিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত আমি তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তারা ক্রমশ বৈরী হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যে তারা দুর্লভ খনিজ ও উৎপাদনের প্রায় প্রতিটি উপাদানের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়, এবং প্রায় যা কিছু তাদের মাথায় আসে।” ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘অশুভ ও বৈরী পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারকে বাধাগ্রস্ত করে পুরো বিশ্বকে ‘বন্দি’ করে রাখার জন্য নীল নকশা ছকা হয়েছে।

    কী লিখলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প লিখেছেন, “কেউ কখনও এ ধরনের কিছু দেখেনি। মূলত, এটি বাজারকে অবরুদ্ধ করবে এবং প্রায় সব দেশের জন্য জীবনকে কঠিন করে তুলবে, বিশেষ করে চিনের জন্য।” তিনি যোগ করেন, “আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও সাড়া পেয়েছি যারা এই আকস্মিক বিরাট বাণিজ্যিক বৈরিতা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” গত অগাস্টেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, তিনি ৯০ দিনের আগে বেজিংয়ের (China) ওপরে শুল্ক চাপাবেন না। জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে নয়া শুল্কহার লাগু করার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এই পর্বে আগে যে হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছিল, তা-ই বলবৎ থাকবে। কিন্তু সেই সময়কালের আগেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনা পণ্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

    চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের নয়া রফতানি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গত, চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক ৯ অক্টোবর নতুনভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে। এতে আরও পাঁচটি নতুন বিরল মাটি (Rare Earth) উপাদানকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত চালানের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধন (refining) প্রযুক্তিকেও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে এবং চিনা কাঁচামাল ব্যবহারকারী বিদেশি উৎপাদকদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি, বিশেষত আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলি, নিয়মিতভাবে এসব উপকরণ পাওয়া থেকে কার্যত বঞ্চিত হবে (Donald Trump)।

    ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’

    এটি আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঘোষিত ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’-এর আওতায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেই সময় ১৭টি বিরল মাটি উপাদানের মধ্যে ৭টি এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রফতানি সীমিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিশোধ, যা বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে এবং অনেক মার্কিন প্রস্তুতকারককে উৎপাদন লাইন বন্ধ করতে বাধ্য করে (China)। চিনের শি জিনপিং সরকার এই রফতানি সীমাবদ্ধতাকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আগে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বেজিং বিরল মাটি উপাদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ আরও মজবুত করেছে। এই ধাতুগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে অপরিহার্য (Donald Trump)।

    ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বাতিল

    এদিকে, চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (China)। কারণ হিসেবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলার প্রয়োজনও নেই। দু’সপ্তাহের মধ্যে জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আর তার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু আমার কাছে নয়, সব রাষ্ট্রনেতার কাছেই এটা খুবই বিস্ময়কর (Donald Trump)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন।’

    কমিশনকে তুলোধনা মমতার (Suvendu Adhikari) 

    বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এসআইআরের নামে আদতে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে।” তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। পাশাপাশি নিশানা করেন নির্বাচন কমিশনকেও। তিনি বলেন, “এখানে যিনি (মনোজ আগরওয়াল) রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে, তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর।’ তিনি বলেন, “আমি একে রাজনৈতিক ভাষা বলব না, বলব গুন্ডাদের ভাষা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে যে ভাষা মমতা প্রয়োগ করেছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই কারণেই এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কী তথ্য আছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তা জানতে চান, আমরা প্রধান বিরোধী দলও জানতে চাই। আমরা জানতে চাই কোন কোন আধিকারিককে কীভাবে তিনি ধমকেছেন, সেই আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে ওই আধিকারিককে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করুন (Mamata Banerjee)। আমরা তাঁর নাম, পদ জানতে চাই। তিনি বিএলও, নাকি বিডিও নাকি ম্যাজিস্ট্রেট নাকি এসডিও নাকি এডিএম, আমরা তা জানতে চাই।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আপনি যদি সোমবারের মধ্যে এই সব অভিযোগ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সামনে না আনেন, তাহলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছেন। সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে, আপনার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, সিএমও-র স্টাফদের সিরিজ অফ দুর্নীতির কথা আমরা বলব।” তিনি আরও বলেন, “মনোজ আগরওয়াল কী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব। কেন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি?”

    নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক

    এদিকে, বাংলায় (Suvendu Adhikari) নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক। রাজ্যের একাধিক জেলায় নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ইআরও পদে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, “রাজ্যের বহু জেলাশাসক জুনিয়র অফিসারদের ইআরও পদে নিয়োগ করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘন (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু বলেন, “এভাবে সিনিয়র ডাব্লুবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) আধিকারিকদের এড়িয়ে জুনিয়রদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, যা ইলেকশন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশের পরিপন্থী।”

    কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সব মিলিয়ে মোট ২২৬টি নিয়োগ হয়েছে কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড উপেক্ষা করে। তিনি বলেন, “এই ধরনের অনিয়ম আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এসডিও, এসডিএম বা আরডিও পদমর্যাদার আধিকারিকরাই ইআরও হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বার্তা

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, পশ্চিমবঙ্গে এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করা হোক। যেন দ্রুত সংশোধন ও পুনর্নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে উদাহরণ হিসেবে তিনি কয়েকজন ইআরও-র নাম এবং বিবরণ পাঠিয়েছেন, যাঁরা যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেন না (Mamata Banerjee)।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার প্রায় সাড়ে চারশো বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম যেমন তালিকা থেকে বাদ যাবে না, তেমনই কোনও অবৈধ ভোটারের নামও ভোটার তালিকায় রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে (Mamata Banerjee) কোনও ভুল হলে তার দায় বর্তাবে বিএলওদের ওপরই (Suvendu Adhikari)।

  • India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও চাপে পড়ে গেল পাকিস্তান। মজবুত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক। ‘কাবুল মিশন’ (Kabul Mission) সফল করতে সেখানে ফের খোলা হচ্ছে ভারতীয় (India) দূতাবাস। এর পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা, উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং মানবিক সাহায্য বাড়ানোর ঘোষণাও করা হয়েছে।

    মুত্তাকি-জয়শঙ্কর বৈঠক (India)

    তালিবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। এই সরকারেরই বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে এসেছেন বৃহস্পতিবার। থাকবেন এক সপ্তাহ। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম সে দেশের নয়া সরকারের শীর্ষ কোনও নেতা প্রথম এলেন ভারত সফরে। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, পাকিস্তান–আফগানিস্তান–ইরান বিষয়ক যুগ্ম সচিব আনন্দ প্রকাশ এবং বিদেশমন্ত্রকের অন্য কর্তারা। বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাবুলে ভারতের প্রযুক্তিগত মিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতের দূতাবাসে’র মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।” আফগান বিদেশমন্ত্রীকে “এক্সেলেন্সি” সম্বোধন করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনার এই সফর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং ভারত-আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ফের নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    কী বললেন মুত্তাকি

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। তবে গত কয়েক মাসে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন আবহে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পুরোদস্তুর দূতাবাস চালু করার ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সদলে বৈঠক শেষে মুত্তাকি বলেন, “আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে (Kabul Mission)। যোগাযোগ এবং বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।” নয়াদিল্লিকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা দেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পারস্পরিক সম্মান, বাণিজ্য এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই আমরা।” তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনও দেশকে অন্য দেশের ওপরে হামলা চালাতে দেব না।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান বিদেশমন্ত্রীর নিশানায় যে আদতে পাকিস্তানই, তা বলাই বাহুল্য। যদিও ইসলামাবাদের নাম মুখে আনেননি তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী।

    খনি খুঁড়তে ভারতকে আমন্ত্রণ

    এর পরেই দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাকে সমর্থন করে ভারত। নয়াদিল্লির (India) টেকনিক্যাল মিশন কাবুলে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের মর্যাদা পাবে।” আফগানিস্তানের খনি ক্ষেত্রগুলিতে খনন কার্য চালানোর অনুমতি পেয়েছে ভারত। সেজন্য ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এতে দুই দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। বাণিজ্য এবং ব্যবসা বাড়বে।” কাবুল এবং নয়াদিল্লির মধ্যে অতিরিক্ত উড়ান চালুর কথাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। এর পরেই ভূমিকম্পের সময় ভারতের মানবিক সাহায্যের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানান মুত্তাকি (Kabul Mission)।

    পুরোদমে চালু হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস

    ২০২২ সালে কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল ভারত। সেই থেকেই সেই টিমের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন ভারতীয় দূতাবাসে। সেই দূতাবাসই এবার চালু হচ্ছে পুরোদমে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান ও তালিবান সরকারের মধ্যে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস ও আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের আবহে কাবুলের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বাড়ানোর নয়া সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাল ভারত। বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু আফগানিস্তানের জাতীয় উন্নয়নেই নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং সহনশীলতাও নিশ্চিত করে।” তিনি আরও জানান, ভারত অতীতের প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলির সমাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক অন্যান্য চাহিদা সম্পর্কেও আলোচনা হবে।

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় জোর

    এদিন, বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের মুখোমুখি এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বৈঠক আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময়, অভিন্ন স্বার্থ চিহ্নিত করা এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছে।” নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রীও বলেন, “আমাদের উভয় দেশেরই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ সেই লক্ষ্যে বড় হুমকি (Kabul Mission)। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি আপনার সংবেদনশীলতার প্রশংসা আমরা করি (India)।” তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলি দীর্ঘদিন ধরে আফগান যুবসমাজকে লালন-পালন করে আসছে। আমরা আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার সুযোগ আরও বাড়বে।” তিনি বলেন, “খেলাধুলো আর একটি দীর্ঘদিনের সংযোগের ক্ষেত্র। আফগানিস্তানের ক্রিকেট প্রতিভার উত্থান সত্যিই প্রশংসনীয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে আরও সাহায্য করতে পেরে ভারত আনন্দিত।”

    এদিকে, তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। অনুমান, এই হামলা চালিয়েছে পাক বিমানবাহিনী (Kabul Mission)। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের সম্পর্কের নাটকীয় অবনতির পরেই ঘটল এই হামলা (India)।

  • Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তামাম বিশ্বে দিনের পর দিন তাঁর জনপ্রিয়তার পারা যে বাড়ছে, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি একাধিকবার। আবারও একবার মিলল তার প্রমাণ। বৃহস্পতিবার সিকিউরিটি ক্যাবিনেট বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। সেই সময় ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বন্ধুর ফোন ধরতে বৈঠক স্থগিত করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ওই একই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি।

    নেতানিয়াহুকে ফোন মোদির (Benjamin Netanyahu)

    ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানাতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। আমরা বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে উন্নত মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি আবারও বলেছি যে, যে কোনও রূপে সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়।”

    ইজরায়েলের বিবৃতি

    মোদি-নেতানিয়াহু কথোপকথন প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক থামিয়ে দিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই কথোপকথনের সময় ইজরায়েল-ভারত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রতি ভারতের সমর্থনের জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের। তিনি ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ (Benjamin Netanyahu) করেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে এবং স্থায়ী শান্তির (PM Modi) পথ প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির অধীনে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইজরায়েলের গারদে আটক শত শত প্যালেস্তাইন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে (Benjamin Netanyahu)।

  • CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে, পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না”, নাগরাকাটাকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এভাবে চলতে পারে না।” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকে। রাজ্যপাল হিসেবে সব কিছু বিবেচনা করে দেখা উচিত, মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তবেই কিছু সুপারিশ করা উচিত আমার। রাজ্যপাল হিসেবে কী সুপারিশ করব, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি (Nagrakata Issue)।”

    গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি (CV Ananda Bose)

    পরে তিনি বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। সব রিপোর্ট পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুরুতর কিছু ঘটেনি। আমি জানি গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে এলাকায় গিয়ে কথা বলি মানুষের সঙ্গে, তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। বাংলায় যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। না বলার সময় এসেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।” প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় বানভাসিদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শঙ্করের আঘাত ততটা গুরুতর না হলেও বিজেপির উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতা খগেনের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

    এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না

    উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের দেখতে বুধবারই রাজ্যপাল গিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে তিনি (CV Ananda Bose) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির জখম দুই বিধায়ককে দেখতে। পরে সটান চলে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাও হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কথা হলেও, ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তাঁর সাফ কথা, “রাজ্যে যে একাধিক জায়গায় গুন্ডারাজ চলছে, তা পরিষ্কার। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না (Nagrakata Issue)।”

    মমতা-রাজ্যপাল সম্পর্ক

    রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পেশাদার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও রয়েছে, যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। কিন্তু গোটা রাজ্যের আনাচে-কানাচে যা ঘটছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। এর পরেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “গ্রাউন্ড জিরোর পরিস্থিতি আমি জানি। বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে আমজনতার সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে, সে সম্পর্কে আমি যথেষ্ট অবগত।” তিনি জানান, আগামিদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-সহ আর যেখানে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন, সেখানেও যাবেন। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। রাজনৈতিক দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে না গিয়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতে হবে বলেও জানান সিভি আনন্দ বোস।

    হেল্পলাইন নম্বর

    প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গত এলাকায় নজরদারি ও প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এজন্য গঠন করা হয়েছে একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন সেল। সাহায্যের জন্য যোগাযোগের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। ফোন করতে পারেন ০৩৩–২২০০১৬৪১ এই নম্বরে। ই-মেল করা যাবে পিসরুমরাজভবন@জিমেল.কম-এ। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাই হোক কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, তিনি বারংবার মানুষের পাশে থাকতে ছুটে গিয়েছেন। কথা বলেছেন বিপন্ন মানুষদের সঙ্গে (Nagrakata Issue)। এদিন সেকথাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, এবারও তিনি সেই একই কাজ করেছেন। এর পরেই তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।”

  • Ayodhya Ram Leela: ৫০টিরও বেশি দেশ উপভোগ করল বর্ণাঢ্য ডিজিটাল রামলীলা

    Ayodhya Ram Leela: ৫০টিরও বেশি দেশ উপভোগ করল বর্ণাঢ্য ডিজিটাল রামলীলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্ববাসীর নজর কাড়ল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নগরী। বর্ণাঢ্য ডিজিটাল রামলীলা (Ayodhya Ram Leela) এ বার ছুঁল এক অনন্য উচ্চতা। ৫০টিরও বেশি দেশে মোট ৬২ কোটি বৈশ্বিক দর্শকের (Indian Culture) রেকর্ড ভিউয়ারশিপ নিয়ে এই বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক জাঁকজমকপূর্ণ ডিজিটাল রামলীলা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সহায়তায় অনুষ্ঠিত এই অযোধ্যা উৎসব শুধু ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেই উদযাপন করেনি, বরং বৈশ্বিক পরিসরে শহরটির ক্রমবর্ধমান আধ্যাত্মিক গুরুত্বকেও তুলে ধরেছে।

    ডিজিটাল রামলীলা (Ayodhya Ram Leela)

    এবার অযোধ্যার রামলীলা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে-মহাদেশে। এই জাঁকজমকপূর্ণ ডিজিটাল রামলীলা নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সম্প্রচার পৌঁছেছে নানা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। এগুলির মধ্যে রয়েছে আরাধনা টাটা প্লে, শেমারু মি, ভিআই অ্যাপ, এয়ারটেল, ইউটিউব এবং ফেসবুকও। শুধু শেমারু ভক্তি ইউটিউব চ্যানেলেই ৮ কোটিরও বেশি দর্শক এই ঐশ্বরিক মহাকাব্য প্রত্যক্ষ করেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় অযোধ্যা রামলীলা অনুষ্ঠানের মর্যাদাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের যৌথ প্রচেষ্টার ফলে বিশ্বের নানা প্রান্তের কোটি কোটি ভক্ত এই অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছেন, যা ডিজিটাল যুগে ভারতের সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। অনুষ্ঠানটির লাইভ সম্প্রচার ও ডিজিটাল প্রযোজনায় প্রায় ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল।

    অত্যাধুনিক থ্রি-ডি ভিজ্যুয়াল

    অনুষ্ঠানটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আয়োজকরা অত্যাধুনিক থ্রি-ডি ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, হাই-ডেফিনেশন ডিজিটাল প্রজেকশন, আধুনিক মঞ্চ নকশা এবং পরিশীলিত আলোকসজ্জা প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এই উপাদানগুলি ঐতিহ্যবাহী রামলীলাকে এক মনোমুগ্ধকর চলচ্চিত্রের মতো অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করেছে, যেখানে ভক্তি ও আধুনিক সৃজনশীলতার মেলবন্ধন ঘটেছে। তাই তামাম বিশ্বের দর্শকরা ভগবান শ্রী রামের ঐশ্বরিক কাহিনি উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন (Ayodhya Ram Leela)। মুম্বই ও দিল্লির ২৫০ জনেরও বেশি শিল্পী, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ভাগ্যশ্রী, বিন্দু দারা সিং, শাহবাজ খান, অনিল ধাওয়ান ও সুনীল পালও, তাঁদের অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে মহাকাব্যটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।

    এদিকে, ৫ অক্টোবর ক্রয়ডনের ঐতিহ্যবাহী ফেয়ারফিল্ড হলস কনসার্ট থিয়েটারে হল “লন্ডন কি রামলীলা ২০২৫”। এই মহোৎসব দর্শক ও বিশিষ্টজনেদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়োয়। সাটন ফ্রেন্ডসের ব্যানারে প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন প্রবীণ কুমার। আধুনিক মঞ্চ-প্রযুক্তি, বর্ণিল এলইডি ব্যাকড্রপ, সরাসরি বর্ণনা ও শক্তিশালী (Indian Culture) অভিনয়ের মাধ্যমে এই প্রযোজনায় চিরন্তন মহাকাব্য ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামে’র কাহিনি জীবন্ত হয়ে ওঠে (Ayodhya Ram Leela)।

  • Jaish E Mohammed: গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ! দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে

    Jaish E Mohammed: গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ! দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গুপ্ত-মহিলা ব্রিগেড খুলতে চলেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish E Mohammed)। এই ব্রিগেডের (Womens Brigade) নাম রাখা হয়েছে ‘জামাত আল মু’মিনাত’, বাংলায় তর্জমা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় ‘বিশ্বাশী নারীদের সম্প্রদায়’।

    নারী সংগঠন (Jaish E Mohammed)

    জানা গিয়েছে, এই নয়া মহিলা সংগঠনটিকে জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ও তৃণমূল পর্যায়ের নিয়োগ কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষত শিক্ষিত, শহরাঞ্চলের মুসলিম মহিলাদের প্রভাবিত করাই এদের লক্ষ্য, যার বিস্তার জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, এই কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে এনক্রিপটেড অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম এবং ধর্মীয় প্রচার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই সংগঠনের কার্যকলাপ অত্যন্ত সুচারুভাবে ধর্মীয় ও ভক্তিমূলক ভাষায় আড়াল করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে যেন এটি একটি ইসলামি সংস্কারমূলক উদ্যোগ।

    মক্কা ও মদিনার ছবি

    জইশ-ই-মহম্মদের তরফে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে, যেখানে মক্কা ও মদিনার ছবি এবং কোরানের আয়াত ব্যবহার করা হয়েছে। সংগঠনে এক ধরনের ধর্মীয় বৈধতার ছাপ দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এক শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, “নৈতিক শুদ্ধতা এবং ভক্তিমূলক ভাষার মাধ্যমে এই সূক্ষ্ম প্রোপাগান্ডা তৈরি করা হয়েছে, যা আত্মিক অন্বেষায় আগ্রহী শিক্ষিত মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিকল্পিত।” আধিকারিকদের মতে, এটি দু’ধাপের মগজধোলাইয়ের একটি পরিকল্পনা। প্রথম ধাপে রয়েছে আধ্যাত্মিক শর্তায়ন বা মানসিক প্রস্তুতি, আর পরবর্তী ধাপে রয়েছে নিয়োগপ্রাপ্তদের ধীরে ধীরে জইশ-ই-মহম্মদের রাজনৈতিক ও জেহাদি মতাদর্শের সঙ্গে পরিচয় করানো (Jaish E Mohammed)।

    ‘জামাত আল-মু’মিনাত’

    অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের গোয়েন্দা বার্তা থেকে জানা গিয়েছে, ‘জামাত আল-মু’মিনাত’ যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কাঠামোটি সেল-ভিত্তিক উল্লম্ব শৃঙ্খলায় পরিচালিত হচ্ছে। এর কাঠামো জইশ-ই-মহম্মদের বর্তমান সাংগঠনিক পরিকাঠামোর মতোই (Womens Brigade)।এক প্রবীণ গোয়েন্দাকর্তা বলেন, “এই মহিলাদের দলগুলিকে নিয়োগকারী, বার্তা বহনকারী এবং অর্থ সংগ্রাহক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তারা গোপনে থেকে পুরুষ সদস্যদের জন্য পরোক্ষ লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এই কৌশলগত পরিবর্তন জইশ-ই-মহম্মদের ২০২৪ সালের পরবর্তী অপারেশনাল পুনর্গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মূল জোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও কাশ্মীরজুড়ে মাদ্রাসা নেটওয়ার্ককে কেন্দ্র করে কার্যকলাপ বিস্তারে।

    ধর্মের আড়ালে মারকাজ-স্তরের সমাবেশের

    বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের ইঙ্গিত, ধর্মের আড়ালে মারকাজ-স্তরের সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। সংগঠনের একটি পুস্তিকায় এই সব সভায় অংশগ্রহণকে আধ্যাত্মিক কর্তব্য এবং সমষ্টিগত দায়িত্ব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই সব বাক্যাংশের সঙ্গে মিল রয়েছে বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রাথমিক মহিলা জেহাদি বর্ণনার (Jaish E Mohammed)। এই ধরনের একটি পুস্তিকায় ১৩ই রবিউস সানির উল্লেখ রয়েছে, যা সম্ভাব্যভাবে একটি সমন্বিত পরিকল্পিত সভার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে হুন্ডি বা দান-ভিত্তিক অর্থায়নের ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ থাকতে পারে। সূত্রের খবর, “এই ধরনের সভাগুলি প্রায়ই ধর্মীয় এনজিও এবং মাদ্রাসা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তরের আড়াল হিসেবে কাজ করে, যেগুলিকে ইসলাহে উম্মাহ (সমাজ সংস্কার)-এর নামে দানের ছদ্মবেশে পরিচালনা করা হয়।”

    জামাত আল-মু’মিনাত

    নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জেনেছেন, জামাত আল-মু’মিনাতের সাহিত্যিক উপকরণের ধর্মীয় ভাষা, নকশা ও বিষয়বস্তুর কাঠামো পাকিস্তানভিত্তিক আল-মুহাজিরাত (জেইএম-এর আনুষ্ঠানিক মহিলা শাখা) এবং বাহাওয়ালপুরের মারকাজ-উসমান-ও-আলি (জেইএম-এর পরিচিত ঘাঁটি) কর্তৃক প্রকাশিত উপকরণের সঙ্গে যথেষ্ট সাদৃশ্যপূর্ণ (Womens Brigade)। জইশ-ই-মহম্মদ কৌশলগতভাবে তাদের মহিলা ইউনিটগুলিকে তথ্যযুদ্ধ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করছে। তারা অনলাইনে দাওয়াহ (ধর্মপ্রচার), ভ্রান্ত তথ্য প্রচার এবং আর্থিক কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এভাবেই তারা ফাঁকি দিচ্ছে প্রচলিত নজরদারি ব্যবস্থাকে (Jaish E Mohammed)।

    জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক অভিযান

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, “এই মহিলা কর্মীরা জইশ-ই-মহম্মদের মনস্তাত্ত্বিক অভিযানে ডিজিটাল পদাতিক সেনার ভূমিকা পালন করছে। তাদের অনলাইন বর্ণনাগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আদর্শগত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, চরমপন্থী মতাদর্শকে স্বাভাবিক করে তোলা যায়, এবং সরাসরি সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াই জেহাদি উদ্দেশ্যের প্রতি আনুগত্য জাগিয়ে তোলা যায়।” কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ সন্ত্রাসবাদী প্রভাব বিস্তারের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে, যেখানে ধর্মীয় ভক্তি, লিঙ্গভিত্তিক আবেগময় আবেদন এবং ডিজিটাল গোপন কৌশল একত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে (Womens Brigade)।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জইশের শেকড় যে অনেক গভীরে প্রোথিত, তার প্রমাণ মেলে দিন কুড়ি আগে ভাইরাল হওয়া জইশ নেতা মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির এক ভিডিও বার্তায়। তিনি বলেছেন, “২৫ বছরের ধৈর্য, সাহস ও সংকল্পের ফল যে পাকিস্তানের সরকার, সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীকে জেহাদের পথে আনতে পেরেছি। যারা শহিদ হয়েছে, তারা জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। পাক বায়ুসেনা এর বদলাও নিয়েছে (Jaish E Mohammed)।”

  • Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

    সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

    দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

    সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

    নিশানা মমতাকেও

    জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

    ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

LinkedIn
Share