Tag: Bengali news

Bengali news

  • Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিন ধরে চলা বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নামানো হচ্ছে আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার আন্দোলন দমন করতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসামকে গ্রেফতারির প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

    মেরিনবাহিনী (Donald Trump)

    মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপাতত মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। হিংসার আশ্রয় নিলে ফল ভালো হবে না বলে বিক্ষোভকারীদের আগেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানান ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের ডেমোক্র্যাট গভর্নর নিউসাম। এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন নিউসাম। যদিও গভর্নরের এই কথায় কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারেন, সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিউসাম।

    লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

    গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানান, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প তাঁর নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন (Donald Trump)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

    শনিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান হুঁশিয়ারি (Los Angeles) দিয়েছিলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ – যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।” সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভালো। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয়, এটা ভালোই হবে।”

    নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প

    ২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল (Donald Trump)। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

    অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

    অভিবাসন দমন এজেন্সি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Los Angeles)। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা (Donald Trump)।

    ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায়ই নিরস্ত্র জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস (Los Angeles)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোতায়েন করা হয় বাহিনী (Donald Trump)।

  • Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    Ramakrishna 376: শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে), এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়, তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- তুই একটু গান গা

    নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন

    চিদানন্দ সিন্ধুনীর প্রেমানন্দের লহরী
    মহাভাবিক রাসলীলা কী মাধুরী মরি মরি,
    বিবিধ বিলাস রঙ্গপ্রসঙ্গ কত অভিনব ভাব তরঙ্গ,
    ডুবিছে উঠেছে করিছে রঙ্গ নবীন রুপ ধরি।

    (হরি হরি বলে)
    মহাযোগে সমুদায় একাকার হইল।
    বেশ কাল ব্যবধান ভেদাভেদ ঘুছিল
    (আশা পুরিল রে আমার সকল সাধ মিটে গেল)
    এখন আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, মহাযোগে সব একাকার হইল। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন- এটি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয় তুই যা বলছিলি সবই বিদ্যা।

    নরেন্দ্র যখন গান গাহিতেছেন, আনন্দে মাতিয়া দু বাহু তুলিয়া বল রে মন হরি হরি। তখন শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে বলিতেছেন- ওইটি দুবার করে বল।
    গান হইয়া গেলে আবার ভক্তর সঙ্গে কথা হইতেছে।

    গিরিশ- দেবেন্দ্রবাবু আসেন নাই। তিনি অভিমান করে বললেন, আমাদের ভেতরে এত ক্ষীরের পোর নাই কলাইয়ের পোর আমরা এসে কি করব।

    শ্রী রামকৃষ্ণ বিস্মিত হইয়া- কই আগে তো উনি ওরকম করতেন না।

    ঠাকুর জলসেবা করিতেছেন, নরেন্দ্রকেও খাইতে দিলেন

    যতীনদেব- (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- নরেন্দ্র খাও, নরেন্দ্র খাও বলছেন। আমরা শালারা ভেসে এসেছি।

    যতীনকে ঠাকুর খুব ভালোবাসেন (Kathamrita)
    । তিনি দক্ষিণেশ্বরে গিয়া মাঝে মাঝে দর্শন করেন। কখনও কখনও রাত্রে সেখানে গিয়ে থাকেন। তিনি শোভাবাজারের রাজাদের বাড়ির (রাধাকান্ত দেব বাড়ির) ছেলে।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি সহাস্য)- ওরে যতীন তোর কথাই বলছে।

    ঠাকুর হাসিতে হাসিতে যতীনের থুতি ধরে আদর করিতে করিতে বলিলেন, সেখানে যা, গিয়ে খাস অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে যাস। ঠাকুর আবার বিবাহ বিভ্রাট অভিনয় শুনবেন। বক্সে গিয়ে বসলেন। ঝির কথাবার্তা শুনে হাসিতে লাগিলেন।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    BSF: উর্দির রং বদলাচ্ছে বিএসএফের, কেমন হচ্ছে নয়া পোশাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে বিএসএফের (BSF) উর্দি রং। দ্রুতই বিএসএফ জওয়ানদের গায়ে উঠবে নয়া ডিজিটাল ক্যামাফ্লেজ প্যাটার্নের ইউনিফর্ম। নতুন পোশাক (Uniforms) এতটাই ইউনিক হবে যে এর নকল করা প্রায় অসম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুদের চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গল এলাকায় গাছের রংয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকার পাশাপাশি জঙ্গি কিংবা দুষ্কৃতীরা যাতে বিএসএফের পোশাককে নকল করতে না পারে, তাই এই নয়া ইউনিফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিএসএফের নকল পোশাক পরে সন্ত্রাস (BSF)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং তারও আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা বিএসএফের নকল পোশাক পরে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাজ হাসিল করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে। অনেক ট্যুরিস্ট স্পটেও দেখা যায়, প্রকাশ্যেই বিকোচ্ছে বিএসএফের ইউনিফর্মের মতো নকল পোশাক। সেই প্রবণতা রুখতেই এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমন এক পোশাক নিয়ে এল, যাতে ডিজিটাল প্রিন্টের জটিল পিক্সেল ও বহু রং ব্যবহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, নয়া এই পোশাক নকল করা দুঃসাধ্য। কারণ এতে ফ্যাব্রিক, রং, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং গোপন কারিকুরি ব্যবহার করা হয়েছে, যা জঙ্গিদের পক্ষে জানা অসম্ভব। পোশাকটি বানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। নয়া এই উর্দি আগের চেয়ে হালকা, সবুজ ও অলিভ রংয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এই পোশাক পরে জওয়ানরা যাতে সব আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।

    উর্দির কপিরাইট সেনার

    এই পোশাকের কপিরাইট নিয়ে রেখেছে সেনা। সেনার ক্যান্টিন ছাড়া অন্য কোথাও এই পোশাক মিলবে না। কোনও সংস্থা যদি বিএসএফের এই পোশাকের মতো দেখতে পোশাক বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলে সেনা তার বিরুদ্ধে মামলা করবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিএসএফের প্রায় ১২ লাখ জওয়ানকে এই নয়া ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পুরো বাহিনীর গায়ে উঠবে নয়া উর্দি (BSF)। এই উর্দিতে যে কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, তা কেবল আরামদায়কই হবে না, হবে খুব মজবুতও। আগের উর্দিতে ৫০ শতাংশ সুতি এবং বাকি ৫০ শতাংশ পলিয়েস্টার থাকত। নয়া উর্দিতে এই অনুপাতটা হয়েছে ৮০ শতাংশ সুতি, ১৯ শতাংশ পলিয়েস্টার (Uniforms) এবং ১ শতাংশ স্প্যানডেক্স। তাই কাপড় আরও স্ট্রেচেবল হবে (BSF)। নতুন উর্দির রঙেও বৈচিত্র্য। এতে ৫০ শতাংশ খাকি, ৪৫ শতাংশ সবুজ ও ৫ শতাংশ বাদামি রং রয়েছে।

  • Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: আমেরিকায় অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, হিংসা দমনে সেনা পাঠালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসে তৃতীয় দিনে পড়ল মার্কিন অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে (Donald Trump)। রবিবার একটি ফেডারেল ভবনের বাইরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বিক্ষোভকারী দলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ওই এলাকায় জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তার পরেও ব্যাপক জনসমাবেশ হয় (Violent Mobs Riot)। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠিচার্জ করে। ব্যবহার করে অন্যান্য কম প্রাণঘাতী অস্ত্র। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল, কংক্রিটের টুকরো ও অন্যান্য বিপজ্জনক বস্তু ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার (Donald Trump)

    অশান্তির সূত্রপাত হয় শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন জোর কদমে শুরু হয় মার্কিন অভিবাসন অভিযান। অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ভবন ও আটক কেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়। কম্পটন এবং প্যারামাউন্ট এলাকায়ও বিশাল উত্তেজনা দেখা দেয়, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি একটি হোম ডিপোর আশপাশেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকারি ভবনগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করার সময় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে নাগরিক অভিবাসন আইন প্রয়োগে কোনওরকম সহযোগিতা করে না। কেবল কারও অভিবাসন স্টেটাস যাচাইয়ের জন্য কাউকে আটক করার নীতিতেও বিশ্বাসী নয় তারা।

    ক্রমেই বাড়ছে হিংসা

    এদিকে, ক্রমেই হিংসা বৃদ্ধি এবং ফেডারেল কর্মী ও সম্পদের ওপর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস নর্দার্ন কমান্ডকে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ২,০০০ সেনাকে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ৬০ দিনের জন্য অথবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের (Violent Mobs Riot) ৭৯তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ৩০০ সেনা সদস্যকে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে (Donald Trump)। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সৈন্যরা বর্তমানে ফেডারেল ভবনগুলির নিরাপত্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনোযোগ দিচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্তারা জানান, জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখেই কাজ চলছে।

    ট্রাম্পের বার্তা

    অন্যদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, অবৈধ অভিবাসীদের আগ্রাসন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি যেসব গোষ্ঠীকে সহিংস ও বিদ্রোহী ভিড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) বলেন, যারা আইনসম্মত বহিষ্কার অভিযান ব্যাহত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “এক সময়ের মহান আমেরিকান শহর লস অ্যাঞ্জেলেস আজ অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত ও দখলকৃত। এখন এই সহিংস, বিদ্রোহী ভিড় আমাদের ফেডারেল এজেন্টদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের বহিষ্কারের কর্মসূচি থামাতে চাইছে। কিন্তু এই আইনবিরোধী দাঙ্গা আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।” তিনি জানান, তিনি স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোএম, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন (Violent Mobs Riot) তাঁরা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অশান্তি বন্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “অবৈধদের বিতাড়িত করা হবে। লস অ্যাঞ্জেলেস মুক্ত হবে (Donald Trump)।”

    প্রসঙ্গত, রবিবারই নিউ জার্সিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার একটি ছোট্ট বক্তব্য রয়েছে। তা হল, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছি।” বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের দিকে থুতু ছিটিয়েছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের (Violent Mobs Riot) নতুন কায়দা।” হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেউ আমাদের পুলিশ আধিকারিক ও সেনার দিকে থুতু ছেটাবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে (Donald Trump)।”

  • Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    Shubhanshu Shukla: ৪১ বছর পর ফের মহাকাশে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, কেন তাৎপর্যপূর্ণ শুভাংশুর এই যাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪১ বছর পরে এবার ফের মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন এক ভারতীয়। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)। শুক্রবার ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশুকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, নাসা। প্রাইমারি মিশন পাইলট হিসেবে থাকছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল। বায়ুসেনার আর এক কর্তা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালকৃষ্ণণ নায়ার থাকবেন ব্যাকআপ মিশন পাইলট হিসেবে।

    শুভাংশু শুক্ল (Shubhanshu Shukla)

    উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনায়। শুভাংশুর দিদি জানান, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় শুক্লর বয়স ছিল ১৪ বছর। সেই সময় ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন।

    অ্যাক্সিওম স্পেস

    প্রায় ৯ মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর পর গত মার্চ মাসে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। এবার সেখানেই যাওয়ার কথা শুভাংশুর। গত মে মাসের ২৯ তারিখেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সেই অভিযান স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওম স্পেস। জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ মিশনের এই উৎক্ষেপণ হবে মঙ্গলবার, ১০ জুন। দু’হাজার ঘণ্টারও বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর। ২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশচারী কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এজন্য রাশিয়া, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। তিনিই হবেন কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী।

    রাত পোহালেই রচিত হবে ইতিহাস

    আবহাওয়া অনুকূল (Shubhanshu Shukla) থাকলে ১০ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার (NASA) থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই রকেটটি চারজন মহাকাশচারীকে নিয়ে দুসপ্তাহের যাত্রায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকে রওনা দেবে। এই দলেই থাকবেন শুভাংশু। এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে “অ্যাক্সিওম মিশন ৪” (Ax-4)। এটি পরিচালনা করছে হিউস্টন-ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস, যারা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে কাজের ক্ষেত্রে দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করেছে। শুভাংশু হবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাওয়া প্রথম ভারতীয় নভশ্চর (International Space Station)। অ্যাক্সিওম-৪ হল অ্যাক্সিওম স্পেসের চতুর্থ মানববাহী মহাকাশ মিশন, যা নাসা এবং স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রা, যার উদ্দেশ্য হল মানব শারীরবিদ্যা, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ, পদার্থবিদ্যা, এবং মহাকাশ কৃষি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা।

    এই মিশনের গুরুত্ব

    এই মিশন নানা (Shubhanshu Shukla) কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মহাকাশে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার সাফল্য প্রদর্শন করে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষের উপস্থিতিকে আরও সম্প্রসারিত করে। এই মিশন ভারতের মতো দেশ, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো যারা বহু দশক ধরে মানব মহাকাশ অভিযানে যোগ দিতে পারেনি, তাদের মহাকাশে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেয়। শুভাংশু এএক্স-৪ মিশনের পাইলট হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর স্থান মিশন কমান্ডারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে। তাঁর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে নেভিগেশন, ডকিং এবং জরুরি পরিস্থিতিতে পরিচালনার কৌশল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শুভাংশু বলেন, “আমি মহাকাশে যাচ্ছি। শুধু যন্ত্রপাতি ও উপকরণই বহন করছি না, আমি বহন করছি ১০০ কোটি হৃদয়ের আশা ও স্বপ্ন। আমি সকল ভারতীয়ের কাছে আমাদের মিশনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানাই।”

    ভারতের বিনিয়োগ

    ভারত শুক্লার আসন সুরক্ষিত করতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এটি কেবল প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, বরং একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যাতে ইসরোর গগনযান মিশন (যেটি ২০২৫–২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা) আন্তর্জাতিক মঞ্চে (International Space Station) পরিচিতি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির সুবিধা পায়। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, “এই মিশন থেকে আমরা যে উপকার পাব, তা অভূতপূর্ব — প্রশিক্ষণ, সুবিধাগুলির সঙ্গে পরিচিতি এবং মহাকাশে যৌথভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা পরিচালনার অভিজ্ঞতা — এগুলি সব দিক থেকেই অত্যন্ত মূল্যবান।”

    ভারত পরীক্ষা করবে ৭টি

    জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ এর (Shubhanshu Shukla) ৬০টি গবেষণামূলক প্রকল্পের মধ্যে সাতটি পরীক্ষা পরিচালনা করবে ভারত। একটি পরীক্ষায় ছ’টি প্রজাতির ফসলের বীজ মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হল, মহাকাশে কৃষিকাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা, একই সঙ্গে পৃথিবীতে জলবায়ু-সহনশীল ফসলের উন্নয়নে অবদান রাখা। অন্য একটি পরীক্ষায় তিনটি মাইক্রোঅ্যালগির প্রজাতি বিশ্লেষণ করা হবে, যাতে দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে সেগুলো খাদ্য, জ্বালানি বা জীবন-সহায়ক উপাদান হিসেবে ব্যবহারযোগ্য কি না। গবেষকরা টারডিগ্রেড নামক অতিক্ষুদ্র প্রাণীর সহনশীলতা নিয়েও গবেষণা করবেন। এই প্রাণীগুলি চরম প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। একটি আলাদা গবেষণায় মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে পেশির ক্ষয় নিয়ে কাজ করা হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক পুনর্বাসন পদ্ধতিগুলি অনুসন্ধান করা হবে (International Space Station)। আর একটি পরীক্ষায় বিশ্লেষণ করা হবে কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে স্ক্রিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া চোখের গতি, মানসিক চাপ এবং মানসিক সজাগতার ওপর প্রভাব ফেলে (Shubhanshu Shukla)।

  • Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Lord Vishnu Idol: বাঁকুড়ায় নদী গর্ভে মিলল প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী গর্ভ থেকে বালি তুলতে গিয়ে মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বেলে পাথরের এই মূর্তিটি একাদশ শতকে তৈরি। বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি। মূর্তিটির মাথার ওপর রয়েছে কিরীট, কানে কর্ণকুন্তল, গলায় বরমালা। প্রত্ন গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূর্তিটি সব দিক থেকে ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়েছে। আর অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে শিল্পনৈপুণ্যের দিক থেকে এটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঐতিহাসিক প্রত্নসামগ্রী হিসেবেও অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি জানান, মূর্তিটিতে প্রাচীন জৈন সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে।

    লোকেশ্বর বিষ্ণুর মূর্তি (Lord Vishnu Idol)

    গবেষকদের মতে, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। মোট চারটি দেবদেবী রয়েছেন। বিষ্ণুমূর্তির ১২টি হাত। এর মধ্যে ৮টি হাতে বিভিন্ন আয়ুধ এবং সামগ্রী থাকলেও, দু’পাশের চারটি হাত রয়েছে চার মূর্তির মাথায়। এর মধ্যে দু’টি হাত রয়েছে আয়ুধ পুরুষের মাথায়, বাকি হাত দু’টি রয়েছে দুই দেবীর মাথায়। এই দুই দেবী হলেন ভূদেবী এবং শ্রীদেবী। প্রত্ন গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণুর। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ওলা দুবরাজপুরের মন্দিরতলা এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হয় মূর্তিটি। বাদামী বেলেপাথর খোদাই করা মূর্তিটির উচ্চতা ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ প্রায় ২ ফুট। মূর্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা সেটি নিয়ে যান গ্রামের একটি কালী মন্দিরে।

    স্থানীয়দের দাবি

    স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দ্বারকেশ্বরের যে এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, এক সময় তারই অদূরে ছিল বিষ্ণুমন্দির। সেই মন্দিরের নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয় মন্দিরতলা। ওই মন্দিরেই পূজিত হত ভগবান বিষ্ণুর এই মূর্তি। দ্বারকেশ্বরের ভাঙনে মন্দিরটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে মূ্র্তিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন আর্থ মুভার দিয়ে বালি তুলতে যাওয়ার সময়ই মেলে সেই বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

    বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর ও কংসাবতী নদী উপত্যকার সভ্যতা বহু প্রাচীন। এক সময় এই দুই নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছিল উন্নত জৈন সভ্যতা। সেই সভ্যতারই প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে কংসাবতী ও দ্বারকেশ্বরের (Bankura) গর্ভে মিলেছে জৈন তীর্থঙ্করদের দিগম্বর মূর্তি। এবার তীর্থঙ্কর নয়, মিলল বিষ্ণুমূর্তি (Lord Vishnu Idol)।

  • Ramakrishna 375: আমাদের কথাটিই ভালো, আমার বলা ভালো নয়

    Ramakrishna 375: আমাদের কথাটিই ভালো, আমার বলা ভালো নয়

    অভিনয় হইতেছে। কর্ণ ও পদ্মাবতী করাত দুই দিকে দুইজনে ধরিয়া বৃষকেতুকে বলিদান করিলেন। পদ্মাবতী কাঁদিতে কাঁদিতে মাংস রন্ধন করিলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অতি আনন্দ করিতে করিতে কর্ণকে বলিতেছেন এইবার এসো আমরা একসঙ্গে বসে রান্না মাংস খাই। কর্ণ বলিতেছেন, তা আমি পারব না পুত্রের মাংস খেতে পারব না।

    একজন ভক্ত সহানুভূতি ব্যঞ্জক অস্ফুট আর্তনাদ করিলেন। ঠাকুর সেই সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করলেন। অভিনয় সমাপ্ত (Kathamrita) হইলে ঠাকুর রঙ্গমঞ্চের বিশ্রাম ঘরে গিয়ে উপস্থিত হইলেন। গিরিশ, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তেরা বসিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ প্রবেশ করিয়া নরেন্দ্রের কাছে গিয়ে দাঁড়াইলেন ও বলিলেন আমি এসেছি।

    সানাইয়ের শব্দে ভাবাবিষ্ট ঠাকুর।

    এখনও ঐক্যতান বাদ্যের শব্দ শোনা যাইতেছে। (Kathamrita)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (ভক্তদের প্রতি)- এই বাজনা শুনে আমার আনন্দ হচ্ছে। সেখানে দক্ষিণেশ্বরে সানাই বাজত। আমি ভাবিবিষ্ট হয়ে যেতাম। একজন সাধু আমার অবস্থা দেখে বলতো এসব ব্রহ্ম জ্ঞানের লক্ষণ

    গিরিশ ও আমি আমার

    কনসার্ট থামিয়া গেলে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আবার কথা কইতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- একি তোমার থিয়েটার না তোমাদের?

    গিরিশ- আজ্ঞে আমাদের।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- আমাদের কথাটিই ভালো (Ramakrishna)। আমার বলা ভালো নয়। কেউ কেউ বলে আমি নিজেই এসেছি। এসব হীন বুদ্ধি অহংকারে লোকে বলে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্র প্রভৃতি সংঘে

    নরেন্দ্র- সবই থিয়েটার

    শ্রী রামকৃষ্ণ- হাঁ হাঁ ঠিক। তবে কোথাও বিদ্যার খেলা, কোথাও অবিদ্যার খেলা।

    নরেন্দ্র -সবই বিদ্যার (Ramakrishna)

    শ্রী রামকৃষ্ণ- হাঁ হাঁ, তবে অতি ব্রহ্ম জ্ঞানে হয়। ভক্তি ভক্তের পক্ষে দুই আছে বিদ্যা মায়া অবিদ্যা মায়া।

  • Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোদি সরকারকে চারবার চিঠি দিল পাকিস্তান। প্রতিটি চিঠিতেই আর্জি জানানো হয়েছে সিদ্ধান্ত (Indus Treaty) পুনর্বিবেচনার। চিঠিগুলি এসেছে পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তাজার কাছ থেকে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক চারটি চিঠিই নিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রকে।

    বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pakistan)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। এর মধ্যেই রয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায়। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করছে, ততদিন এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।

    বিপাকে পাকিস্তান

    সিন্ধু ও তার দুটি উপনদী বিতস্তা ও চন্দ্রভাগা পাকিস্তানমুখী। এই তিন নদীর জলের ওপর পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভর করে। সিন্ধুর বাকি তিন উপনদী বিপাশা, শতদ্রু এবং ইরাবতী ভারতের ওপর দিয়েই বইছে। পাকিস্তানের আশঙ্কা, সিন্ধু চুক্তির শর্ত না মানলে পাকিস্তানমুখী নদীগুলির জলপ্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়বে। ফলে পাকিস্তানজুড়ে দেখা দিতে পারে জলসংকট। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, ভারতকে চিঠি লিখে তারই চেষ্টা করে চলেছে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    প্রসঙ্গত, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করতেই পাক সেনেটর সইদ আলি জাফর বলেছিলেন, “এই সমস্যার আশু সমাধান চাই। নয়তো আমরা না খেতে পেয়ে মরব। আমাদের প্রয়োজনীয় জলের তিন-চতুর্থাংশই আসে দেশের বাইরে থেকে। সিন্ধু অববাহিকা হল আমাদের জীবনরেখা। ১০ জনের মধ্যে ন’জনের বেঁচে থাকা নির্ভর করে সিন্ধু অববাহিকার জলের (Indus Treaty) ওপর। প্রায় ৯০ শতাংশ ফসলই এর ওপর নির্ভরশীল। আমাদের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জলাধারও এখানে রয়েছে। এ যেন এক জলবোমা! এই বোমা আমাদের নিষ্ক্রিয় করতেই হবে (Pakistan)।”

  • China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক না থাকলে কোভিডের (Covid) থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এমনই সতর্ক বার্তা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন (China) বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা বিজ্ঞানী দম্পতিকে। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ইউনকিং জিয়ান ও তাঁর স্বামী ঝুনইয়ং লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফিউসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামক একটি ছত্রাক পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ছত্রাকটি “হেড ব্লাইট” নামক এক ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, যা গম, যব, ভুট্টা এবং ধানের ফসলকে আক্রান্ত করে (China)।

    দম্পতি ধৃত (China)

    বর্তমানে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন জিয়ান। তাঁকেই ছত্রাকটি পাঠান বিজ্ঞানী লিউ। তার পরেই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে এই ঘটনাকে ‘কৃষি সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। যদি এই ঘটনার পরেও আমেরিকা চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইয়ের লেখক গর্ডন জি চ্যাংয়ের মতে, এই বিপদের একমাত্র প্রতিকার হল চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। এই ছত্রাকটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এতে আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।

    যুদ্ধ ঘোষণার সমান

    চ্যাং বলেন, “এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের মে মাসে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যেখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য এই ধরনের শব্দচয়ন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” চ্যাং বলেন, “চিন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China) বারবার যুদ্ধের কথা বলছেন এবং পুরো চিনা সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন। আমরা হয়তো সামরিকভাবে শক্তিশালী, কিন্তু (Covid) আত্মরক্ষায় আমরা যতটা দৃঢ় হওয়া উচিত, ততটা নই।”

LinkedIn
Share