Tag: Bengali news

Bengali news

  • India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘ড্রাগন’কে গিলতে শুরু করেছে ‘হাতি’! সম্প্রতি এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের আইফোন (India Made iPhones) উৎপাদনে ভারতের দ্রুত উত্থান চিনের বহুদিনের আইফোন সিটির আধিপত্যকে পুনর্গঠন করছে, কিছু ক্ষেত্রে তো আবার খর্বও করে দিচ্ছে। ‘লে মন্ডি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফক্সকনের বিশাল ঝেংঝৌ কারখানায় (Chinas iPhone city) শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়া, কঠোরতর বিধিনিষেধ এবং মরশুমি শ্রমিকের ঘাটতির কারণে সংগ্রামের মুখে পড়ছে। উল্টোদিকে, ভারত দ্রুতগতিতে উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে। তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে নয়া কারখানা চালু হওয়ার ফলে ভারত ধীরে ধীরে সেই সব কাজই করছে, যা একসময় পুরোপুরি ঝেংঝৌর দখলে ছিল।

    আইফোনের চাহিদা (India Made iPhones)

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝেংঝৌয়ের ওই কারখানায় শ্রমিক ছিল প্রায় ৩ লাখ। বস্তুত, তার জেরেই বিশ্বব্যাপী আইফোন জোগানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এই কারখানা। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের আইফোন উন্মোচনের আগে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। এই চাহিদা মেটাতে ফক্সকন ঐতিহ্যগতভাবে বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। একসঙ্গে কয়েক হাজার শ্রমিক নিয়োগ করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের অগাস্টে কোম্পানি আইফোন ১৬ সিরিজের জন্য প্রায় ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে।

    চিনা আইন

    চিনের আইন অনুযায়ী, অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কোনও কোম্পানির মোট শ্রমিকের ১০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ জানিয়েছে, আইফোন সিটিতে ফক্সকনের মোট শ্রমিকের অর্ধেকেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী, যা আইনের পরিপন্থী। কোম্পানির বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯ সালেও। অস্থিতিশীল কর্মসংস্থান, খারাপ কর্মপরিবেশ, এবং প্রতি বছর বেতন ও বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ-সহ নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে এই কোম্পানি (India Made iPhones)। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, প্ল্যান্টের মৌলিক মাসিক বেতন প্রায় ২৯৫ ডলার। এটি ঝেংঝৌয়ের গড় বেতনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে ফক্সকনকে কর্মীদের আকর্ষণ করতে মোটা অঙ্কের বোনাসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বাজার যখন তুঙ্গে থাকে তখন এই বোনাস মাসে ১,৩০০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। এজন্য কর্মীরা কয়েক মাসের জন্য যোগ দেন, উৎপাদন কমলেই ফের চাকরি ছেড়ে চলে যান (Chinas iPhone city)। জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের মোট আইফোনের প্রায় ২০ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়, যা ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ অ্যাপল সরবরাহ শৃঙ্খলার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও চিনা শুল্ক–ঝুঁকি কমাতে চায় (India Made iPhones)।

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ভারতের এমন দৃষ্টিভঙ্গিই উপস্থাপন করব।” শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20) যোগ দিতে যাওয়ার আগে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তিনি তিনদিন সফরে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ষষ্ঠ আইবিএসএ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সম্মেলনে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেব। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করব।”

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সেখানে ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২–২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এবার ২০তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। কারণ এটিই হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জি২০ সম্মেলন। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-এর সদস্য হয়েছিল।” জি২০-এর সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে (পূর্বতন তুরস্ক), ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জি২০ সম্মেলন হবে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ। এ বছরের জি২০-এর থিম হল ‘সংহতি, সাম্য ও টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়াদিল্লি এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলির সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (G20)।” তিনি এও বলেন, “সহযোগী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার আলোচনা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে নির্ধারিত ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম।” এর আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল (PM Modi), সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই অধিবেশনগুলি হল, “সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—কাউকে পিছনে না রেখে: আমাদের অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্যের ভূমিকা, উন্নয়নের অর্থায়ন এবং ঋণের বোঝা”, “একটি সহনশীল জি২০-এর অবদান: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর, খাদ্য ব্যবস্থা” এবং “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচারপূর্ণ ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”

    জি২০

    প্রসঙ্গত, জি২০-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। গ্রুপটির টানা চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সাউথে। ২০২২ সালে জি২০-এর সভাপতিত্ব করেছে ইন্দোনেশিয়া, তার পরের বছর ভারত, ২০২৪ সালে ব্রাজিল এবং চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির এই গ্রুপের স্থায়ী সদস্য হয় (PM Modi)।

    গ্লোবাল সাউথ

    উল্লেখ্য যে, বিদেশমন্ত্রকের সচিব সুধাকর দালেলার মতে, জি২০ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম, যেখানে আগের অধিবেশনগুলিতে দেশগুলি গ্লোবাল সাউথকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য ঘোষণা, পাইলট প্রকল্প এবং নয়া উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে ব্রাজিলের সভাপতিত্বে এবং অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের সভাপতিত্বের জন্য নির্ধারিত চারটি ভার্টিক্যালের অধীনে এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বছরভর বিভিন্ন ট্র্যাকজুড়ে বেশ কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি যে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এবং তুলে ধরা হচ্ছে (PM Modi)।”

  • Pakistan: “ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান”, তোপ হাসিনার প্রাক্তন সহকারীর

    Pakistan: “ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান”, তোপ হাসিনার প্রাক্তন সহকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তান (Pakistan) ভারতবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মোহিবুল হাসান চৌধুরী। তাঁর দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে (Bangladesh) পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একটি ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত করা।

    চৌধুরীর তোপ (Pakistan)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার পাকিস্তানের উগ্রপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন, আইএসআই, সেনাবাহিনী, পাঞ্জাবি এলিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।” চৌধুরী বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাক্তন সহকারী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদকও। গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এটাই সুগম করে ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের পথ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ তারা শুধু পাকিস্তানের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আইএসআই, সেনাবাহিনী, পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাবি এলিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায়, যারা গত পঁচাত্তর বছর ধরে দেশটিকে শোষণ করে আসছে। এটি নীতি, মূল্যবোধ কিংবা বন্ধুত্বের বিষয় নয়। এটি বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়, বঙ্গবন্ধুর দেশকে একটি ক্রীড়নক দেশে পরিণত করার বিষয়।”

    হাসিনার এই প্রাক্তন সহকর্মীর অভিযোগ

    হাসিনার এই প্রাক্তন সহকর্মী মনে করিয়ে দেন, আওয়ামি লিগ যখন গণহত্যার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করে, তখন পাকিস্তান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বাংলাদেশে তারা আইএসআই-সংক্রান্ত কার্যকলাপও শুরু করেছিল। তিনি বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত দেশ পরিচালনা করার সময়, তারা বাংলাদেশকে ভারতবরোধী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সন্ত্রাস রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করেছিল।” চৌধুরীর মতে, এই ধরনের কার্যকলাপ ফের শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ নয় যেখানে পাকিস্তান (Pakistan) খুব আন্তরিকভাবে গ্রহণযোগ্য, এবং পাকিস্তানের প্রতি তেমন সহানুভূতিও নেই। তবুও, হঠাৎ করেই সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানে, আমরা জানি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কী, এটা মূলত আইএসআইয়েরই একটি মুখোশ। অধিকাংশ (Bangladesh) পাকিস্তানি সামরিক কর্তা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সে কাজ করেন, যা তাঁদের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিদেশে সন্ত্রাস রফতানির জন্য পরিচিত।”

  • Ramakrishna 513: “ডোবাতে হাতি নামলে জল তোলপাড় হয়ে যায়,— ক্ষুদ্র আধার হলেই ভাব উপছে পড়ে”

    Ramakrishna 513: “ডোবাতে হাতি নামলে জল তোলপাড় হয়ে যায়,— ক্ষুদ্র আধার হলেই ভাব উপছে পড়ে”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৪ই জুলাই

    শ্রীশ্রীরথযাত্রা দিবসে বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    আজ শ্রীশ্রীরথযাত্রা। মঙ্গলবার (৩১শে আষাঢ়, ১২৯২, শুক্লা দ্বিতীয়া, ১৪ই জুলাই, ১৮৮৫)। অতি প্রতূষ্যে ঠাকুর উঠিয়া একাকী নৃত্য করিতেছেন ও মধুর কণ্ঠে নাম করিতেছেন।

    মাস্টার আসিয়া প্রণাম করিলেন। ক্রমে ভক্তেরা আসিয়া প্রণাম করিয়া ঠাকুরের কাছে উপবিষ্ট হইলেন। ঠাকুর পূর্ণর জন্য বড় ব্যাকুল। মাস্টারকে দেখিয়া তাঁরই কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) — তুমি পূর্ণকে দেখে কিছু উপদেশ দিতে?

    মাস্টার — আজ্ঞা, চৈতন্যচরিত পড়তে বলেছিলাম, — তা সে সব কথা বেশ বলতে পারে। আর আপনি বলেছিলেন, সত্য ধরে রাখতে, সেই কথাও বলেছিলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — আচ্ছা ‘ইনি অবতার’ এ-সব কথা জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলে কি বলত।

    মাস্টার — আমি বলেছিলাম, চৈতন্যদেবের মতো একজনকে দেখবে তো চল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — আর কিছু?

    মাস্টার — আপনার সেই কথা। ডোবাতে হাতি নামলে জল তোলপাড় হয়ে যায়, — ক্ষুদ্র আধার হলেই ভাব উপছে পড়ে।

    “মাছ ছাড়ার কথায় বলেছিলাম, কেন অমন করলে। হইচই হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) — তাই ভাল। নিজের ভাব ভিতরে ভিতরে থাকাই ভাল।

    ভূমিকম্প ও শ্রীরামকৃষ্ণ — জ্ঞানীর দেহ ও দেহনাশ সমান

    প্রায় সাড়ে ছয়টা বাজে। বলরামের বাটী হইতে মাস্টার গঙ্গাস্নানে যাইতেছেন। পথে হঠাৎ ভূমিকম্প। তিনি তৎক্ষণাৎ ঠাকুরের ঘরে ফিরিয়া আসিলেন। ঠাকুর বৈঠকখানা ঘরে দাঁড়াইয়া আছেন। ভক্তেরাও দাঁড়াইয়া আছেন। ভূমিকম্পের কথা হইতেছে। কম্প কিছু বেশি হইয়াছিল। ভক্তেরা অনেকে ভয় পাইয়াছেন।

    মাস্টার — আমাদের সব নিচে যাওয়া উচিত ছিল।

    পূর্বকথা — আশ্বিনের ঝড়ে শ্রীরামকৃষ্ণ — ৫ই অক্টোবর, ১৮৬৪ খ্রী:

    শ্রীরামকৃষ্ণ — যে ঘরে বাস, তারই এই দশা! এতে আবার লোকে অহংকার। (মাস্টারকে) তোমার আশ্বিনের ঝড় মনে আছে?

    মাস্টার — আজ্ঞা, হাঁ। তখন খুব কম বয়স — নয়-দশ বছর বয়স — একঘরে একলা ঠাকুরদের ডাকছিলাম (Kathamrita)!

    মাস্টার বিস্মিত হইয়া ভাবিতেছেন — ঠাকুর হঠাৎ আশ্বিনের ঝড়ের দিনের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন কেন? আমি যে ব্যাকুল হয়ে কেঁদে একাকী একঘরে বসে ঈশ্বরকে প্রার্থনা করেছিলাম, ঠাকুর কি সব জানেন ও আমাকে মনে করাইয়া দিতেছেন? উনি কি জন্মাবধি আমাকে গুরুরূপে রক্ষা করিতেছেন?

  • SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা সরাসরি বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে মমতা সরকার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে অনুপ্রবেশকারীদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাকিমপুরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপক ভিড় জমেছে। তাঁদের লক্ষ্য এখন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে যাওয়া। অনুপ্রবেশকারী খোদ বাংলাদেশিদের মুখে শোনা গিয়েছে, কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রেশনের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন! আর তাতেই তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিজেপি।

    রাজ্যের টাকা কেন অনুপ্রবেশকারীদের পকেটে?

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আমাদের করের টাকা থেকে কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এই প্রকল্প ২ কোটি ১৫ লক্ষ বাংলার মহিলাকে দেওয়া হয়। এই রাজ্যের বহু সংখ্যক মহিলাদের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক মহিলারাও রয়েছে। তৃণমূল সরকার তাদেরও টাকা দিচ্ছে! কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত দাবি করছি আমরা। আমাদের রাজ্যের ভাইবোনদের জন্য এই টাকা খরচ করা হোক, এটাই কাম্য।”

    এসআইআর-এর গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে

    উল্লেখ্য, বসিরহাটের হাকিমপুর সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জমায়েত হয়েছেন। এ যেন ঠিক শুভেন্দুর কথায় কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ায় অনুপ্রবেশকারীরা বের হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের পথে বাংলাদেশিরা। রাতের অন্ধকারে দালাল ধরে মোটা টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা। পরে টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্র (Lakshmi Bhandar) বের করে সরকারি সুবিধা নিয়েছে। তাদের মধ্যে রোকেয়া বিবি নামক এক বাংলাদেশি বলেন, “ভারতে ঢুকে আধার-ভোটার কার্ড বানিয়ে দুবার ভোটও দিয়েছি আমরা। দশ বছর আগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে প্রবেশ করেছি। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ ঝুপড়িতে বাস করতাম। এখন এসআইআর-এর (SIR) গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে আমাদের।” আবার অপর আরেক অনুপ্রবেশকারী বলেছেন, “সীমান্তে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে এখানে এসেছি। আমরা কাগজ কোরানোর কাজ করি। জায়গায় জায়গায় ময়লা ফেলার কাজ করি। স্থানীয় নেতারা টাকা নিয়ে কাজপত্র বানিয়ে দিয়েছিল।”

  • Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক (Taliban Trade Minister)! মাসখানেক আগেই ভারতের (India) মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন তালিবান প্রশাসনের এক শীর্ষ মন্ত্রী। তার রেশ কাটার আগেই বুধবার নয়াদিল্লিতে এলেন তালিবান সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। তাঁর আগে গত মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেবার তিনি ভারতে ছিলেন ৬ দিন। আর বাণিজ্যমন্ত্রী এসেছেন ৫ দিনের ভারত সফরে। তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রীদের ঘন ঘন ভারত সফরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের।

    কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক (Taliban Trade Minister)

    আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যখন ভারত সফরে ছিলেন, সেই সময়ই রাজধানী কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল পাকিস্তান। তারপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন সীমান্ত বন্ধ ছিল আফগানিস্তানের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। পাকিস্তানের আর পাঠানো হচ্ছে না আফগানিস্তানের আপেল, টোম্যাটো-সহ একাধিক পণ্য। প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানের বাজারে গিয়ে এসব কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তদেরও। এহেন আবহে আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলাচল করছে পণ্যবাহী বিমান।

    ট্রেড কমিটি গঠন

    অক্টোবর মাসে মুত্তাকির ভারত সফরের সময়ই ঠিক হয়, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য একটি ট্রেড কমিটি গঠন করবে দুই দেশ। মূলত খনিজ, শক্তিসম্পদ এবং পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফরের পরেই ফের চালু হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে, চলতি ভারত সফরে আজিজি যেতে পারেন ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে। ভারতের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন পাঠানদের দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী। নুরউদ্দিনের ভারত সফর উপলক্ষে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (Taliban Trade Minister) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।”

    ডুরান্ড লাইন

    প্রসঙ্গত, ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তান ও পাঠান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে টিটিপি। আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের অভিযোগ, পাক সরকার এবং পাকিস্তানি সেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। আর পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার আশ্রয় এবং (India) মদত দিচ্ছে টিটিপি সদস্যদের। এই টিটিপিই হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বাইতুল্লাহ মেহসুদের নেতৃত্বে পাকিস্তানের ফেডারেল শাসিত উপজাতি এলাকার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে একজোট করে গঠন করা হয় টিটিপি। এই গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাক সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এর জন্ম। বর্তমানে টিটিপির মূল লক্ষ্য হল, পাকিস্তানের সরকারকে সরিয়ে তাদের নিজস্ব মতাদর্শে একটি ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

    ভারত আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার

    প্রসঙ্গত, ভারত বর্তমানে আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। মানবিক সহায়তা, খাদ্যশস্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং পরিকাঠামো প্রকল্পে দিল্লির ভূমিকা তালিবানের (Taliban Trade Minister) কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নূরউদ্দিনের এই সফর ভারত-আফগান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ভূরাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আফগানিস্তান যখন ক্রমেই পাকিস্তান থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে, তখন ভারতের সঙ্গে (India) ঘনিষ্ঠতা পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপে আরও অক্সিজেন জোগাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তালিবান প্রশাসনের ভারত সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আটকে থাকা প্রকল্প – সব দিকেই নয়া সমীকরণ গড়ে উঠতে পারে।

    ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক

    বস্তুত, আশরাফ গনির আমলে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ মজবুত হয়েছিল। আফগানিস্তানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগও করেছিল নয়াদিল্লি। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে গেলে পতন হয় গনি সরকারের। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাদের। কূটনৈতিক স্বীকৃতি না দিলেও, তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা একেবারে বন্ধ করে দেয়নি ভারত।

    ভারতের গুরুত্ব

    চলতি বছরের শুরুর দিকেই দুবাইয়ে মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক হয় ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রির। বস্তুত, ওই বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ মসৃণ হতে থাকে আফগানিস্তান-ভারতের সম্পর্ক। দুবাইয়ের ওই বৈঠকে তালিবান সরকার ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে। এর পর মে মাসে মুত্তাকির সঙ্গে কথা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। তার পর অক্টোবরে ভারতে (India) আসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি। তার আগেই অবশ্য দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরে ওই ঘটনার নিন্দে করেছিল তালিবান সরকার।

    ভারত-আফগান সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার (Taliban Trade Minister)।

  • Nitish Kumar: দশম বারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার, ২ উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির

    Nitish Kumar: দশম বারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার, ২ উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় দশম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন ৭৪ বছরের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজধানী পাটনায় ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বেলা ১১ টায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রীসভার আরও ২৫ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। এদিন একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসবে শপথ গ্রহণ (Bihar Oath Ceremony) করেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরি এবং বিজয় কুমার।

    আরও মজবুত এনডিএ (Nitish Kumar)

    মাঝের কিছু সময় বাদ দিলে ২০০৫ থেকে টানা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলেছেন নীতীশ কুমার। ২০ বছরে দেশের এবং বিহারের রাজনৈতিক ব্যাপক অদলবদল ঘটেছে। সময় এবং নেতাদের চাহিদা অনুসারে একাধিক বার জোটের সমীকরণ বদলে গিয়েছে বিভিন্ন ভাবে। কখনও জোট ধরেছেন আবার কখন ছেড়েছেন। তবে জোট আর রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত নীতীশ। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বার বার নীতীশকেই দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালের লড়াইতেও এনডিএ জোট এবং মহাজোটের ব্যবধান ছিল সামান্য সিটের। এইবার ২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ঝুলিতে গিয়েছে ২০২টি আসন, যা সরকার গঠনের জন্য দরকারি সংখ্যা ১২২-র চেয়ে অনেক বেশি। নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে একক ভাবে ৮৯টি আসন। অপর দিকে পাল্লা দিয়ে আসন বাড়িয়েছে নীতীশেরও। জেডিইউ পেয়েছে ৮৫টি আসন।

    এনডিএ জোটের বড় শক্তি প্রদর্শন

    গতকাল বুধবারেই বিদায়ী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ (Nitish Kumar)। এরপর রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের কাছে নতুন সরকার গড়ার দবি জানিয়ে চিঠি দেন। এদিন শপথ গ্রহণ (Bihar Oath Ceremony) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

    এনডিএ জোটের ঐক্যবদ্ধতা এবং শক্তি প্রদর্শনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি। তবে মন্ত্রকের বিভাজন এবং মন্ত্রিত্ব বণ্টনে এনডিএ শরিক দলের প্রাপ্ত আসনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা আরএলএম-এ ১টি, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা সেকুলার অথবা হ্যাম (এস) ১টি এবং চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বলাস) ৩টি করে মন্ত্রিত্ব পাবেন বলে জানা গিয়েছে। আর বাকি মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি করা হয়েছে বিজেপি এবং জেডিইউএর মধ্যে।

    কোন কোন বিধায়ক শপথ নিয়েছেন?

    এদিনের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জেডিইউ-র পক্ষে শপথ নেন বিজয়কুমার চৌধুরি, বিজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব, শ্রেয়ান কুমার, আশোক চৌধুরি, লেসি সিংহ, মদন সাহনি, সুনীল কুমার এবং মহম্মদ জামা খান। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে সম্রাট এবং বিজয় ছাড়াও শপথ গ্রহণ করেন দিলীপ জয়সওয়াল, মঙ্গল পান্ডে, সঞ্জয় সিংহ টাইগার, রমা নিষাদ, অরুণশঙ্কর প্রসাদ, রামকৃপাল যাদব, নিতিন নবীন ও সুরেন্দ্র প্রসাদ মেহতা। জিতনরামের দল হামের তরফে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সন্তোষ সমন।

    শপথ ময়দানের গুরুত্ব

    বিহারের গান্ধী ময়দান এক ঐতিহাসিক স্থান। ১৯৭৪ সালে এই ময়দান থেকেই লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ ইন্দিরা সরকারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ক্রান্তির ডাক দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য রাজনৈতিক গুণ এবং ব্যক্তিত্বের জন্য জেপি নামেই বেশি পরিচিত। নীতীশের (Nitish Kumar) কাছেও এই জায়গার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ (Bihar Oath Ceremony) এখানেই গ্রহণ করেছিলেন। ২০২৫ সালে দশম বারের জন্য ফের আরেকবার শপথ নেন এই ঐতিহাসিক ময়দান থেকেই।

  • SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক (SIR)। তাতে কী? সে দেশের সুযোগ-সুবিধা তো নিচ্ছেনই, একই সঙ্গে ভোগ করছেন ভারতীয় নগরিকত্বের যাবতীয় সুবিধাও (Bangladeshi)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সৌজন্যে এমনই আজবকাণ্ড ঘটে চলেছিল। রাজ্যে এসআইআর জুজু ধেয়ে আসতেই একে একে ঝুলি থেকে বের হচ্ছে বিড়াল।

    রেশন তুলেছেন অনুপ্রবেশকারীরা! (SIR)

    ফেরা যাক খবরের মূলে। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছে ভোটার-তালিকা ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ। সেজন্য চালু হয়েছে এসআইআর। তখনই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক খবর, যা শুনলে কপালে চোখ উঠতে বাধ্য। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ঢোকা এই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেরই রয়েছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও জোগাড় করে ফেলেছেন এঁদের অনেকেই। নিয়মিত রেশন তোলার পাশাপাশি অনেকে আবার এ রাজ্যে ভোটও দিয়েছেন দু’-তিনবার। আর এর বদলে মিলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানও। যা পাওয়ার হক নেই কোনও বিদেশিরই। এসআইআরের নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারেই। এবার সেটাই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে। তার পরেই পোঁটলা-পুঁটলি গুছিয়ে পিলপিল করে রাজ্যের নানা সীমান্তে ভিড় করছেন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় যাঁরা প্রতীক্ষা করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করেই মিলেছে এসব তথ্য (SIR)।

    বোমা ফাটালেন আনোয়ারা বিবি!

    স্বরূপনগরের এই সীমান্তেই দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের (Bangladeshi) সাতক্ষীরার বাসিন্দা রোকেয়া বিবি। তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক। তবে ভোট দিতেন এ রাজ্যে। লকডাউনের সময় পদ্মার ওপর থেকে দালালদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছিলেন এপার বাংলায়। ঠাঁই জুটেছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। কাগজকুড়ুনির কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি জানান, ৩-৪ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছেন। তাতে টাকাও ঢুকেছে। দিয়েছেন ভোটও। এই সাতক্ষীরায়ই ফিরে যাচ্ছেন আনোয়ারা বিবিও। তাঁরও বাড়ি সেখানেই। তিনিও কবুল করলেন, এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে জেনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “আমরা এখানে থাকব বলে কাগজপত্র সব করে দিল। আর এখন থাকতে পারছি না। আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশেই ফিরে যাচ্ছি।” শুধু কী তাই? আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, অথচ বাংলায় ঢুকে পড়ে কাগজপত্র সব জোগাড় করে বসে পড়েছেন সরকারি চাকরির পরীক্ষায়ও। এফআরআরও-চিঠিতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এ ব্যাপারে (SIR) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (Bangladeshi)।

    গুচ্ছের প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে রাশি রাশি প্রশ্ন। নজরদারি এড়িয়ে এরা কীভাবে পদ্মার এপাড়ে এলেন? এতদিন এখানে থাকলেনই বা কীভাবে? ভারতে বসবাসের কাগজপত্রই বা জোগাড় করলেন কীভাবে? রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বদান্যতায় এঁরা জোগাড় করেছেন জাল কাগজপত্র। দিয়েছেন ভোটও। যার জেরে বুথ ফেরত সমীক্ষার যাবতীয় প্রেডিকশনের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বারবার জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এঁদের অনেক প্রার্থীই আবার জয়ী হয়েছেন লাখ লাখ ভোটে। তা নিয়ে তাঁদের গর্ব করতেও দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য সভায়।

    প্রতারকদের অভিশম্পাত!

    স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে এখন ওপারে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি। কেউ কাকভোরে, কেউ আবার রাতের আঁধারেই এখানে চলে এসেছেন (SIR)। আবার অনেকেই আসছেন দিনের বেলায়। সবাই ইতিউতি দাঁড়িয়ে বসে রয়েছেন কখন ফিরবেন নিজের দেশে, তার অপেক্ষায়। শিশুর কান্না, পরিবারের উদ্বেগ, দেশে ফিরে গিয়ে কী করবেন – এসবেরই ছাপ অপেক্ষারত অনুপ্রবেশকারীদের চোখেমুখে। এঁদের মধ্যে (Bangladeshi) যাঁরা টাকা-পয়সা দিয়ে কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই আবার অভিশম্পাত দিচ্ছেন প্রতারকদের। জানা গিয়েছে, বিএসএফ ইতিমধ্যেই আটক করেছেন ৩০০ জনকে। এঁদের অধিকাংশেরই নথি নেই। সীমান্ত পার হতে গিয়েও ধরা পড়েছে ৪৫ জন। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তে ভিড় করা এই মানুষগুলির সিংভাগেরই বাড়ি সাতক্ষীরা কিংবা খুলনার গ্রামে (SIR)।

    অনিশ্চিত ভবিষ্যত

    একটুকু সুখের আশায় জন্মভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবাংলায় এসেছিলেন এঁরা। নেতাদের ধরে জুটে গিয়েছিল মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজকর্মও। টাকা-পয়সার বিনিময়ে জোগাড়ও করেছিলেন কাগজপত্র। তবে সেসব কাগজ যে জাল, তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে থাকতে এই দেশটাকেই আপন করে নিয়েছিলেন এঁদের অনেকেই। শাসক দলের ‘ঋণ’ শোধ করতে হাত উপুড় করে তাদের ভোটও দিয়েছিলেন দাবি করলেন অনেকে। তখনও বোঝেননি, যে দেশটায় থাকতে থাকতে ক্রমেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন (Bangladeshi), সেই দেশটাই এখন পর হয়ে গিয়েছে। এবার ফিরতে হবে স্বদেশে, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে (SIR)।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক প্রবাহ”, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক প্রবাহ”, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং হিন্দু সমার্থক, একে অপরের পরিপূরক। ঠিক এই ভাবেই হিন্দুত্বকে ব্যাখ্যা করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সরসংঘ চালক মোহন ভাগবাত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “হিন্দু কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় শব্দ নয়, হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার অন্তর্নিহিত প্রবাহ। ভারত এই ঐতিহ্যের ধারক বাহক। ভারত কোনও একক সত্ত্বা নয়, বহু ধারার মিলিত প্রবাহ।”

    কোনও সরকারি ঘোষণার প্রয়োজন নেই (Mohan Bhagwat)

    অসমের গুহাহাটিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেছেন, “যাঁরাই ভারত নিয়ে গর্ব করেন, তাঁরাই হিন্দু। ভারত এবং হিন্দু সমার্থক। ভারতের হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার জন্য কোনও সরকারি ঘোষণার প্রয়োজন নেই। ভারতীয় সমাজ এবং সভ্যতার নীতি ইতিমধ্যেই প্রতিফলিত হয় হিন্দুত্বে। আরএসএস কারো (RSS) বিরোধিতা বা ক্ষতি করার জন্য তৈরি হয়নি বরং চরিত্র গঠনে মনোনিবেশ করা এবং ভারতকে বিশ্বগুরু হিসেবে গড়ে তোলাই প্রধান কাজ। বৈচিত্র্যের মধ্যে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার পদ্ধতিকে বলা হয় আরএসএস। বিবিধের মধ্যে মহামিলনকেই খোঁজ করা ভারতের একমাত্র সত্ত্বা।

    ভূমির পরিচয়ে দৃঢ় আসক্তির আহ্বান

    অসমে অস্বাভাবিক জনসংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সতর্কতা এবং নিজের ভূমির পরিচয়ের প্রতি দৃঢ় আসক্তির আহ্বান জানান। তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ, হিন্দুদের জন্য তিন সন্তানের আদর্শ নীতিকে জনসংখ্যার ভারসাম্য বিষয়ে স্পষ্ট মত রাখেন। বিভেদমূলক ধর্মীয় ধর্মান্তরনীতিকে ভারতীয় সমাজের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সমাজকে পুনর্নির্মাণ এবং সমাজের মূল সত্ত্বাকে অক্ষুন্ন রাখতে এই প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলিকে মাথায় রাখা বলে মনে করেন মোহন ভাগবত।

    একই ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দায়িত্বশীল ব্যবহারের পক্ষেও কথা বলেন ভাগবত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লাচিত বরফুকন এবং শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের মতো ব্যক্তিত্বরা কেবল আঞ্চলিক গুরুত্বই রাখেন না, বরং রাষ্ট্রীয় প্রাসঙ্গিকতাও রাখেন, এক কথায় সমস্ত ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করেন। তাই ভারতীয় সমাজের সকল জাতি সম্প্রদায়ের মানুষের গঠনের জন্য সম্মিলিতভাবে এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে।”

  • Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে। এহেন আবহে বুধবার দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে অংশ নিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    ডোভালকে আমন্ত্রণ বাংলাদেশে (Bangladesh)

    রহমান অজিত ডোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (CSC) সপ্তম এনএসএ স্তরের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও তাঁর দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তাঁরা কনক্লেভের কাজকর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। রহমান বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান ডোভালকে।” রহমান সপ্তম এনএসএ সিএসসি বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড

    গণআন্দোলনের জেরে বাংলাদেশছাড়া হতে হয়েছিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপরেই দেশের রশি যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পর এটি দু’দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক। দিন চারেক আগে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। দেশ ছেড়ে হাসিনা আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। তার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের বৈঠক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়ের বিষয়ে (NSA) অবগত এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সব সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়টির নোট নিয়েছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা-সহ সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে সব সময় গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব (Bangladesh)।”

    একাধিক চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের একটি আদালত পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের জুলাই–অগাস্ট বিদ্রোহের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে (NSA)। এদিকে, দুই দেশের দুই জাতীয় উপদেষ্টার বৈঠকটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যার মাস তিনেক পরেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভারত প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছে যাতে নির্বাচন স্বাধীন, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে চলা সম্পৃক্ততাকেই প্রতিফলিত করে। ভারত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, আর বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা চায় (Bangladesh)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ

    অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অজিত ডোভাল যে সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাবেন, সেগুলি হল মলদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে সিশেলস এবং মালয়েশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অতিথি দেশ হিসেবে (NSA)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের লক্ষ্য

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ গঠিত হয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যও রয়েছে এই কনক্লেভের (Bangladesh)। এই জোড়া উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ৭ম বৈঠকটি হবে বিভিন্ন সহযোগিতা স্তম্ভ—যেমন সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সুরক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলা – এসবের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ। ২০২৬ সালের রোডম্যাপ এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হবে এই কনক্লেভে।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই এ বারের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল বুধবার দিল্লি পৌঁছবেন খলিলুর। সেই সফরসূচি বদলে ফেলে মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান তিনি (Bangladesh)।

LinkedIn
Share