Tag: Bengali news

Bengali news

  • GST: বুধবার বসছে জিএসটি কাউন্সিলের দুদিনের বৈঠক, সরলীকৃত হবে কর কাঠামো

    GST: বুধবার বসছে জিএসটি কাউন্সিলের দুদিনের বৈঠক, সরলীকৃত হবে কর কাঠামো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) কাউন্সিলের বৈঠক হবে ৩-৪ সেপ্টেম্বর (Council Meeting)। দুদিনের এই বৈঠকে অংশ নেবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা। আলোচনার মূল বিষয় হবে ২০১৭ সালে জিএসটি চালুর পর থেকে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্খী কর সংস্কারের একটি পদক্ষেপ, সরলীকৃত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট কর কাঠামো। সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী, নয়া ব্যবস্থায় থাকতে পারে প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ০-৫ শতাংশ করের স্তর এবং অধিকাংশ অন্যান্য পণ্য ও পরিষেবার জন্য ১২-১৮ শতাংশ করের স্তর। আধিকারিকদের ধারণা, এই সংস্কার ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ের পক্ষেই লাভজনক হবে, চাহিদা বৃদ্ধি করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির মন্থর গতির মধ্যেও সরবরাহ শৃঙ্খলকে সমর্থন জোগাবে।

    আর্থিক পরিসংখ্যান (GST)

    জানা গিয়েছে, উৎসাহব্যঞ্জক আর্থিক পরিসংখ্যান কেন্দ্র ও অর্থ মন্ত্রককে সামনে এগোনোর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসে জিএসটি আদায় ৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছে। রিফান্ড বেড়েছে ৮.৮ শতাংশ, যা ভারতের পক্ষে আরও অনুকূল বাণিজ্য ভারসাম্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকার চলতি অর্থবর্ষে জিএসটির প্রবৃদ্ধি হার ৭.৫ শতাংশ হবে বলে অনুমান করেছে। এদিকে, ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসে শুধুমাত্র ইউপিআই লেনদেন ২০ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা দৃঢ় ভোক্তা কার্যকলাপকে প্রতিফলিত করছে। অর্থমন্ত্রকের এক সিনিয়র কর্তা বলেন, “এই সূচকগুলি প্রমাণ করে যে সাহসী সংস্কারের এটাই সঠিক সময়। সহজতর জিএসটি ব্যবস্থা করদাতাদের অনুগত হতে উৎসাহিত করবে এবং করের আওতা বাড়াবে।”

    দাম কমতে পারে

    এই সংস্কার (GST) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট বার্তা, ভোক্তাদের উপকার করতে হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে পেন্সিল, কম্পিউটার, গাড়ি, মোবাইল ফোন এবং কিছু ওষুধের মতো পণ্যের দাম কমতে পারে। সরকারের আশা, এর ফলে একটি শৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, যার জেরে আরও বাড়বে ভোগ, বৃদ্ধি পাবে ব্যবসার পরিমাণ এবং আরও শক্তিশালী হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্র (Council Meeting)। কেন্দ্রের এই সংস্কারে খুশি নন অনেকেই। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া বলেন, “নয়া কাঠামোর ফলে রাজ্যগুলির ১৫,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে।” তাঁর দাবি, এজন্য কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

    এদিকে, কেন্দ্রের বিশ্বাস এই কাঠামোর (GST) বিরোধিতা করলে রাজ্যগুলিকে “জন বিরোধী” বলে মনে হতে পারে, বিশেষ করে যখন সস্তা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ভোক্তা পণ্য মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে। এক নীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, “আলোচনাগুলি কঠিন, তবে এই জিএসটি সরলীকরণ অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। প্রশ্নট হল, করা হবে কি না  তা নয়, বরং কীভাবে এবং কবে করা হবে (Council Meeting)।”

  • India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত। এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স (PMI) গত জুলাইয়ের ৫৯.১ থেকে বেড়ে অগাস্টে দাঁড়িয়েছে (India) ৫৯.৩-তে। সোমবার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই এ খবর মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি গত সাড়ে ১৭ বছরে কার্যকলাপের অবস্থার সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি। এই প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড-ব্রেকিং। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই গতি মূলত শক্তিশালী হয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং প্রস্তুতকারীদের সফল বিজ্ঞাপন প্রচেষ্টার কারণে। এইচএসবিসির প্রধান  অর্থনীতিবিদ (ভারত) প্রাঞ্জুল ভান্ডারী বলেন, “অগাস্টে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা মূলত উৎপাদনের দ্রুত সম্প্রসারণ দ্বারা চালিত হয়।”

    নয়া চাকরির সৃষ্টি (India)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মধ্যবর্তী পণ্যের খাতই প্রবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যা পুঁজি পণ্য ও ভোক্তা পণ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিভিন্ন খাতের উৎপাদকরা শক্তিশালী বিক্রি ও উৎপাদন কর্মদক্ষতার কথা জানিয়েছেন, যা সম্ভব হয়েছে দেশীয় অর্ডারের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রবৃদ্ধির কৃতিত্ব দিয়েছেন কার্যকর বিজ্ঞাপনী প্রচার এবং শক্তিশালী গ্রাহক মনোভাবকে। এই দেশীয় চাহিদা আন্তর্জাতিক অর্ডারের তুলনামূলক ধীর প্রবৃদ্ধির বিপরীতে কেবলমাত্র সামান্য বৃদ্ধিকে সমন্বয় করেছে। প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, এই প্রবৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে নয়া চাকরির সৃষ্টি ও মজুদ বৃদ্ধি আত্মবিশ্বাসের। ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে এই সব উৎপাদন খাত টানা আঠারো মাস ধরে নয়া চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কোম্পানিগুলি কাঁচামালের মজুদ বৃদ্ধি করেছে এবং তৈরি হয়ে যাওয়া পণ্যের মজুদেও বৃদ্ধি দেখেছে, যা গত ন’মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মজুদের ঊর্ধ্বগতি নির্দেশ করছে (PMI)।

    বেড়েছে কাঁচামাল কেনাও

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরোনাম (India) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতি মূলত উৎপাদন ভলিউম বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার প্রতিফলন, যা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ। এই আশা কেবল উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ব্যবসাগুলি ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশায় কাঁচামাল কেনাও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার জেরে আগামী এক বছরেও বর্তমান ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী ব্যবসায়ীরা। জুলাই মাসে তিন বছরের নিম্নতম স্তরে পৌঁছনোর পর প্রস্তুতকারীদের ইতিবাচক মনোভাব ফের বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্ডারে সামান্য বৃদ্ধি হলেও, আসল প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি এসেছে দেশীয় ক্রেতাদের কাছ থেকে। কার্যকর বিপণন এবং উন্নত অর্থনৈতিক ভিত্তির সহায়তায় প্রস্তুতকারীরা বড় ধরনের দেশীয় চাহিদাকেই মূল অনুঘটক হিসেবে কৃতিত্ব দিচ্ছেন (India)।

    পিএমআই কী?

    প্রশ্ন হল, পিএমআই কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? পিএমআই বা পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স মূলত উৎপাদন খাতের মাসিক একটি রিপোর্ট কার্ডের মতো। এটি একটি প্রধান সূচক। এ থেকে অতীতের পারফরম্যান্স জানা যায় না ঠিকই, তবে ভবিষ্যতের প্রবণতার একটা ধারণা মেলে বই কি! কীভাবে কাজ করে পিএমআই (PMI)? জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে ভারতের প্রায় ৪০০টি উৎপাদনকারী কোম্পানির ওপর সমীক্ষা করা হয়। উত্তর দেন পারচেজিং ম্যানেজাররা। এঁরাই কাঁচামাল অর্ডার ও সরবরাহের দিকটা দেখেন। তাঁরাই জানান, তাঁদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম গত মাসের তুলনায় ভালো, নাকি খারাপ, অথবা একই রয়ে গিয়েছে। এই পারচেজিং ম্যানেজারদের দেওয়া উত্তরগুলিকে পাঁচটি প্রধান উপাদানের ভিত্তিতে একটি একক স্কোরে রূপান্তরিত করা হয়।

    পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর

    এই পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর হল, নয়া অর্ডার ৩০ শতাংশ, উৎপাদন ২৫ শতাংশ, কর্মসংস্থান ২০ শতাংশ, সরবরাহকারীর ডেলিভারির সময় ১৫ শতাংশ এবং কেনাকাটার মজুদ ১০ শতাংশ (India)। এবার সব মিলিয়ে মোট স্কোর যদি ৫০-এর ওপরে হয় তবে তা ধরা হয় সম্প্রসারণ হিসেবে অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন ভালোই হচ্ছে। আর এর নীচে হলে ধরা হয় সংকোচন, অর্থাৎ কারখানায় উৎপাদনের গতি অত্যন্ত ধীর। এই সব কারণেই লগ্নিকারী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন পিএমআই। তাই যে কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য পিএমআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিএমআই ৫৯.৩ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের উৎপাদন খাতের ভিত মজবুত। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন, উচ্চ শুল্ক এবং রফতানি অর্ডারের দুর্বলতা সত্ত্বেও, দেশীয় চাহিদা এক শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করছে (PMI)। উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই স্থিতিশীলতা শুধু কারখানার জন্য ভালো নয়, এটি লজিস্টিকস, বাণিজ্য এবং সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি আনে, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে সমগ্র অর্থনীতিতে (India)।

  • Ramakrishna 457: মা! তাকে টেনে নিও, আমি আর ভাবতে পারি না!

    Ramakrishna 457: মা! তাকে টেনে নিও, আমি আর ভাবতে পারি না!

    বে মাধবী! আমার মাধব দে! (দে দে দে, মাধব দে!) আমার মাধব আমায় দে, দিয়ে বিনামূল্যে কিনে নে। মীনর জীবন, জীবন যেমন, আমার জীবন মাধব তেমন। (তুই লুকাইছিস বেখয়াল, ও মাধবী!)

    (অবলা সরলা পেয়ে!) (আমি বাঁচি না, বাঁচি না) (মাধবী, ও মাধবী, মাধব দে না) (মাধব অপহরণ)।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মাঝে মাঝে মাধব আখর দিতেছেন,

    (সে ময়ূর কন্দর! যেখানে আমার প্রাণনন্দন!)

    ঠাকুর সমাধিস্থ! স্পন্দহীন দেহ! অনেকক্ষণ স্থির রহিয়াছেন।

    ঠাকুর যদিও প্রকৃতিস্থ; কিন্তু এখনও ভাবাবিষ্ট। এই অবস্থায় ভাব বলিতেছেন। মাঝে মাঝে মার সঙ্গে কথা বলিতেছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (ভাবস্থ) — মা! তাকে টেনে নিও, আমি আর ভাবতে পারি না!!
    (মাস্টারের দিকে) তোমার সম্পত্তি — তার দিকে একটু মন আছে।

    (গিরিশের প্রতি) — “তুমি মালামাল, খাবার কথা, অনেক বল; তা হউক, ওসব বেরিয়ে যাওয়া‌ই ভালো। বদরোগ কাকের কাকর আছে। যত বেরিয়ে যায় ততই ভালো।

    “উচ্চারিত নামের সময়ই শব্দ হয়। কাঁঠ পোড়াবার সময় চড়চড় শব্দ করে। সব পুড়ে গেলে আর শব্দ থাকে না।

    “তুমি দিন দিন শুভ হবে। তোমার দিন দিন খুব উন্নতি হবে। লোকে দেখে অবাক হবে। আমি বেশি আসতে পারব না, — তা হউক, তোমার এমনি হবে।”

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের ভাব আবার ঘনীভূত হইতেছে। আবার মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন, “মা! যে ভাল আছে তাকে ভাল করতে যাওয়া কি বাহাদুরি? মা! মরারকে বাঁচাইতে হইবে? যে খাদ্য হয়ে রয়েছে তাকে খাওলে তবে তো তোমার মহিমা!”

    ঠাকুর কিন্তু স্থির হইয়া ঠাঁই একটুখানি উচ্চঃস্বরে বলিতেছেন — “আমি দক্ষিণেশ্বর থেকে এসেছি। যাচ্ছি গো মা!!”

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

  • PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তারপর মস্কোভা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে গ্যালন গ্যালন জল। বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও জারি রয়েছে শান্তি প্রচেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার পুতিনকে মোদি বলেন, “ভারত আশা করে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে আসবে।”

    ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট (PM Modi)

    দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি সম্প্রতি পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত মোদির। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটাই সমগ্র মানবজাতির আহ্বান।”

    একই গাড়িতে মোদি-পুতিন

    এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একই গাড়িতে করে শীর্ষ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। পরে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিজের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের কার্যক্রম শেষে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাই। তাঁর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই গভীর চিন্তাশীল হয়।” সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেয়েছিলেন যে এসসিও সম্মেলনের ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান রিটজ-কার্লটন হোটেলে যেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক সঙ্গে সফর করবেন। এজন্য তিনি প্রায় ১০ মিনিট মোদির জন্য অপেক্ষাও করেন (Ukraine)। সূত্রের খবর, “এরপর দুই নেতা এক সঙ্গে তাঁর গাড়িতে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের ভেন্যুতে পৌঁছানোর পরেও তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর দুই নেতা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে (PM Modi)।”

    ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

    উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আমেরিকা। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি-পুতিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যের নিন্দে করেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন করার জন্য নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তোলেন। গত মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওই জ্বালানি কেনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া। আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Ukraine), তাদের জ্বালানি আমদানি নীতিকে জাতীয় স্বার্থই পরিচালনা করবে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্ককে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমূলক বলেও আখ্যা দিয়েছে (PM Modi)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ আখ্যা

    এদিকে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে হলেও নয়াদিল্লির মধ্যে দিয়েই যায়। ভারত যা করছে তার কারণে আমেরিকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রেখেছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, “ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখানে সর্বোত্তম চুক্তি পাবে, সেখান থেকেই (তেল) কিনতে থাকবে।” ভারতের দাবি, চিন এবং ইউরোপও সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশেষভাবে নয়াদিল্লিকেই নিশানা করছে। রাশিয়াও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছে। জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের নিজস্ব বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে (Ukraine) নেওয়ার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন, তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের অবসান অবশ্যই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হতে হবে।” জেলেনস্কি এও (Ukraine) বলেন, “ভারত প্রয়োজনীয় চেষ্টা করতে এবং রাশিয়া ও অন্যান্য নেতার কাছে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

  • Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এমনই প্রশ্ন উঠছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শেষে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দৌড়ে গিয়েছেন। এই ছবির জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন,  “অন্য নেতারা যেখানে সংযম দেখিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দৌড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যেনতেনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। শি জিনপিং বুঝতে পেরেছিলেন শাহবাজ কী করতে যাচ্ছেন, তাই তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে তাঁকে উপেক্ষা করেন।”

    এসসিও সম্মেলন (Shehbaz Sharif)

    প্রসঙ্গত, চিনের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যরা। অন্য একজন লিখেছেন, “এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন আয়োজক দেশের প্রধান স্বয়ং শি।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুতিন যখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই পিছন থেকে এগিয়ে এসে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। ভিডিওটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই নজর কেড়ে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দে করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কমেন্ট বক্সে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য জমা হয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তাতে জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি লাইক (Shehbaz Sharif)।

    শাহবাজ শরিফের হোঁচট খাওয়ার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিতির ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের বেশ কয়েকবার হোঁচট খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় শাহবাজ শরিফ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত হেডফোন তিনি বারবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারছিলেন না, সেটি বারবার খুলে যাচ্ছিল। এই সময় পুতিনকে হাসতে দেখা গিয়েছিল (SCO Summit)। সহকারীদের সাহায্য সত্ত্বেও এই সমস্যার কারণে বৈঠক শুরু হয় দেরিতে। ঘটনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রিয়া নভোস্তির ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে শরিফকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?” এই ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আর একটি মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, শরিফকে প্যারিসে গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্যাক্ট সম্মেলনের সময় এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে ছাতা নিচ্ছেন। নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়ায় সেই কর্মী বৃষ্টিতে ভেজেন। এই ঘটনায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয় (Shehbaz Sharif)। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন শরিফ। সেবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেল নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যার জেরে বিব্রত হন শরিফ (SCO Summit)।

    শরিফকে উপেক্ষা মোদির

    উল্লেখ্য, চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে দীর্ঘ সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে মোদি উপেক্ষা করেছেন সম্পূর্ণভাবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন পাকিস্তানকে। বার্তাটি হল, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান বজায় রাখবে। আর সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না (Shehbaz Sharif)।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদন বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা দুজনে মিলে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে যান। এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বারংবার মোদি ও পুতিনের দিকে তাকালেও, তাঁকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যান তাঁরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (SCO Summit)। শরিফকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই (Shehbaz Sharif)।

  • Kiren Rijiju: “আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাইরে রাখা হবে”, বললেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: “আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাইরে রাখা হবে”, বললেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বাইরে রাখা হবে। তাদের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি এবং জীবনধারা যাতে অক্ষত থাকে, তাই এই ব্যবস্থা।” ফের একবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)।

    ভুল প্রচার করা হচ্ছে (Kiren Rijiju)

    নয়াদিল্লিতে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রিজুজু বলেন, “আমাদের সরকার ও দল (বিজেপি) সংবিধান অনুযায়ী দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার কথা ভাবছে। যখন ফৌজদারি আইন সবার জন্য সমান, তখন দেওয়ানি আইনও কেন সমান হবে না? কিন্তু আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, আদিবাসীদের এর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আদিবাসীদের নিজেদের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা দেওয়া হোক।” তিনি জানিয়ে দেন, ইউসিসি সংবিধানের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফশিলভুক্ত অঞ্চলে কিংবা উত্তর-পূর্বের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কার্যকর হবে না।

    ইউসিসির পরিধি সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে

    রিজিজু বলেন, “কিছু গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি ইউসিসির পরিধি সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তবে সরকার আদিবাসী পরিচয় ও প্রথা রক্ষার ব্যাপারে অটল।” বর্তমানে ভারতের আইন কমিশন একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রস্তাব পরীক্ষা করছে। এই বিধির লক্ষ্য হল ভারতের বহুবিধ ধর্মভিত্তিক ব্যক্তিগত আইন, যেমন বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ এবং ভরণপোষণের বদলে সব নাগরিকের জন্য একটি একক আইন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা (Kiren Rijiju)। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে উত্তরাখণ্ড প্রথম রাজ্য হিসেবে ইউসিসি প্রয়োগ করে। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি যার নেতৃত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই একটি বিস্তৃত খসড়া আইন প্রস্তুত করে। ৩৯২টি ধারা এবং সাতটি সূচি নিয়ে গঠিত এই খসড়াটি ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে জমা দেওয়া হয় এবং দ্রুতই রাজ্য মন্ত্রিসভা ও গভর্নরের অনুমোদন পায় (UCC)।

    উত্তরাখণ্ডের ইউসিসিতে মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের অধীনে হালাল, ইদ্দত এবং তাৎক্ষণিক তালাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি সাম্প্রতিক দশকগুলিতে অন্যতম সবচেয়ে ব্যাপক সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (Kiren Rijiju)।

  • Ramakrishna 456: ঠাকুর সমাধিস্থ! স্পন্দহীন দেহ! অনেকক্ষণ স্থির রহিয়াছেন

    Ramakrishna 456: ঠাকুর সমাধিস্থ! স্পন্দহীন দেহ! অনেকক্ষণ স্থির রহিয়াছেন

    “অমুক মল্লিকের মা, খুব বড় মানুষের ঘরের মেয়ে! কেশবদের কথায় জিজ্ঞাসা করলো, ওদের কি কোন মতেও উদ্ধাৰ হবে না? নিজে আগে আগে অনেকরকম করছে কি না! তাই জিজ্ঞাসা করলো। আমি বললুম, হ্যাঁ, হবে — যদি আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, আর বলে আর করব না। শুধু হরিনাম করলে কি হবে, আন্তরিক কাঁদতে হবে।”

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ১৮৮৫, ৬ই এপ্রিল

    দেবেন্দ্র-ভবনে ঠাকুরের কীর্ত্তনানন্দ ও সমাধিধন্দিতে এইবার খোল-করতাল লইয়া সংগীতন উঠিতেছে। কীর্ত্তনিয়া গাহিতেছেন: কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে, অপরূপ জ্যোতিষি; শ্রীগৌরাঙ্গ মূর্তি, দুনু চক্ষে প্রেম বয়ে শতধারে। গৌর মন্মথতন্ত্র প্রায়, প্রেমাবেশে নাচে গায়, কড়ু ধরাতে লুয়া, নয়নজলে ভাসে রে, কাঁদে আর বলে হরি, স্বর্ণ-মর্ত্ত্য ভেদ করি, সিংহদ্বারে রে, আবাব ফুল লয়ে কুন্তাঞ্জলি হয়, দাস মুক্তি যাত্রে দ্বারে দ্বারে।। কিবা মূরছায়ে চটক বেস, ধরেছেন যোগীর বেস, দেখে ভক্তি প্রেমাবেশ, প্রাণ কেঁদে উঠে রে। জীবের দুঃখে কাতর হয়ে, এলেন সর্ব্ব ত্যাগিয়ে, প্রেম বিলাতে রে,

    ঠাকুর গান শুনিতে শুনিতে ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। কীর্তনীয়া শ্রীরামকৃষ্ণের রজোগোপীর অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন।

    রজোগোপী মাধবীকৃষ্ণে মাঝে মাঝে অজ্ঞান করিতেছেন—

    বে মাধবী! আমার মাধব দে!
    (দে দে দে, মাধব দে!)
    আমার মাধব আমায় দে, দিয়ে বিনামূল্যে কিনে নে।
    মীনর জীবন, জীবন যেমন, আমার জীবন মাধব তেমন।
    (তুই লুকাইছিস বেখয়াল, ও মাধবী!)

    (অবলা সরলা পেয়ে!) (আমি বাঁচি না, বাঁচি না)
    (মাধবী, ও মাধবী, মাধব দে না) (মাধব অপহরণ)।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মাঝে মাঝে মাধব আখর দিতেছেন,

    (সে ময়ূর কন্দর! যেখানে আমার প্রাণনন্দন!)

    ঠাকুর সমাধিস্থ! স্পন্দহীন দেহ! অনেকক্ষণ স্থির রহিয়াছেন।

    ঠাকুর যদিও প্রকৃতিস্থ; কিন্তু এখনও ভাবাবিষ্ট। এই অবস্থায় ভাব বলিতেছেন। মাঝে মাঝে মার সঙ্গে কথা বলিতেছেন।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার। ভারত তো বটেই, বিদেশেও চলছে হিন্দু ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, ঘৃণামূলক বক্তব্য (Roundup Week), যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য — হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত (Hindus Under Attack) চলছেই।

    সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদের বক্তব্য (Hindus Under Attack)

    এক ঝলকে দেখে নিই গত এক সপ্তাহের ঘটনা। প্রথমে আসা যাক দেশের খবরে। মানবাধিকারকর্মী সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদ, যিনি মনমোহন সিং সরকারের সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশিদের ভারতে থাকার অধিকার রয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “আল্লাহ মানুষের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছেন এবং তারাও মানুষ।” ইভিআর (পেরিয়ার) আয়াপ্পা ভক্তদের অপবিত্রতা ও রোগের এজেন্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। উদয়নিধি আবার সনাতন ধর্মকে উচ্ছেদ করার ডাক দিয়েছিলেন। কর্নাটকের অন্যতম বড় উৎসব মাইসুরু দশরা কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে চলে আসা একটি হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য। মুসলিম কর্মী বানু মুস্তাককে দশরা উদ্বোধনের দায়িত্ব দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    গণেশ মূর্তি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ডিম

    গুজরাটের ভাদোদরায় গণেশের মূর্তি ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকায় মূর্তি লক্ষ্য করে ডিম ছোঁড়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বেটমার কাছে দৌলতাবাদ গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে একদল চরমপন্থী মুসলমান যুবক মাথা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি থেকে একটি বিশাল বেআইনি ইসলামিক ধর্মান্তর চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিল (Hindus Under Attack) বছর পঁয়ত্রিশের মাদ্রাসা পরিচালক আবদুল মাজিদ। অন্তত দশ বছর ধরে তারা সক্রিয় এবং ১৩টি রাজ্য ও ২০টিরও বেশি ভারতীয় শহরে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। ভান্নিয়ারাসুর ভগবান রাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর, আরও এক দ্রাবিড়বাদী কণ্ঠ আক্রমণ শুরু করেছে। দ্রাবিড় নাত্পু কাজগম – দ্রাবিড় বন্ধু সংঘের বক্তা শ্রীবিদ্যার দাবি, সনাতন ধর্ম পথভোলা কুকুরের চেয়েও বিপজ্জনক।

    তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রের বচন

    তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঘোষণা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শিরশ্ছেদ করা উচিত। তাঁর কাটা মাথা প্রদর্শনের জন্য টেবিলে রাখা উচিত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ অবৈধ বাইবেল কলেজের মাধ্যমে এক বৃহৎ শিক্ষাগত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, জেসুইট প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই (Roundup Week) চেন্নাইয়ের থিরুভানমিয়ূরের সৎয নিলয়ম জেসুইট সেন্টারে তাদের এমএ দর্শনশাস্ত্র পড়াচ্ছিল।

    লাভ জিহাদের খবর

    উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে লাভ জিহাদের খবর (Hindus Under Attack) মিলেছে। এখানে এক মুসলমান যুবক কাশেম, নিজেকে হিন্দু যুবক ভিকি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে টার্গেট করে। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেল করার পর সে তাকে জোর করে ইসলামি বিয়েতে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে। উত্তর প্রদেশের রামপুরেও লাভ জিহাদের খবর মিলেছে। এখানে আমান সিদ্দিকি নামের এক মুসলিম যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো হিন্দু পরিচয় তৈরি করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে সে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শেষমেশ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

    অত্যাচার বাংলাদেশেও

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশেও। পটুয়াখালি জেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে নিখিল কর্মকারের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতরা হামলা চালায়। ডাকাতরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেঁধে ফেলে সব লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫০ গ্রাম সোনা ও ৫০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা) লুট হয়। ডাকাতরা বাড়ির মহিলাদেরও মারধর এবং নির্যাতন করে। মারধর করা হয় নিখিলের স্ত্রী ও কন্যাকেও (Roundup Week)।

    শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ ছবি

    উত্তর জাফনার একটি শান্ত গ্রাম বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্বল ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার প্রমাণ সামনে আনছে। এই ঘটনাগুলি দীর্ঘদিন ধরে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। জাফনার তামিল অধ্যুষিত অঞ্চলের চেম্মানিতে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এই গণকবরগুলি সংঘর্ষের বছরগুলিতে নিহত ও কবর দেওয়া শ্রীলঙ্কান হিন্দুদের (Hindus Under Attack)।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ পরিচালিত হয় হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা, যা কিছু ধর্মীয় শিক্ষায় ও রাজনৈতিক মতাদর্শে সযত্নে প্রোথিত। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হলেও, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে, যা (Roundup Week) হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম প্রতিদিনের বৈষম্য অনেক সময় ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও প্রবণতাগুলি খুঁটিয়ে দেখা হয় (Hindus Under Attack)।

LinkedIn
Share