Tag: bjp

bjp

  • Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো! আর হিংসার আগুনে যখন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) পুড়ছে, তখন চা পানে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের ইউসূফ পাঠান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলার রাজনীতিতে (BJP)।

    জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশ। খুন হয়েছেন তিনজন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টহল দিচ্ছে বিএসএফও। এমতাবস্থায় রবিবার বহরমপুরের সাংসদ ইউসূফ পাঠানের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তিনি মনের সুখে চা পানে ব্যস্ত। পোস্টে লিখেছেন, “আরামদায়ক বিকেলে চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।”

    পদ্মের নিশানায় তৃণমূল

    একজন সাংসদের এহেন পোস্টে যারপরনাই চটেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে ভোটব্যাংকের অঙ্কে ইউসূফকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে জেতার পর প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের সাংসদের দায়িত্ব ভুলে মজা করছেন।” যদিও হিংসা কবলিত এলাকার সিংহভাগ অংশই ইউসূফের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে সেই জায়গাগুলো তাঁর কেন্দ্র লাগোয়া। তার জেরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও থেকে ইউসূফ পাঠান নামে একজন ক্রিকেটারকে তুলে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তাঁর ভোটব্যাংক ইউসূফকে বহরমপুরে (Murshidabad Violence) জয়ী করেছিল। আজ যখন বাংলা জ্বলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে, ইউসূফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন…এটাই তৃণমূলের অগ্রাধিকার…দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে আর পাঠান সাহেব চা পান করবেন এবং আনন্দ উপভোগ করবেন।”

    এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহজাদ পুনাওয়ালা লিখেছিলেন, “বাংলা জ্বলছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না এবং তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ নীরব থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে হিংসাকে উৎসাহিত করছেন! আর ইতিমধ্যে ইউসূফ পাঠান – এমপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং হিন্দুদের হত্যার মুহূর্তটি উপভোগ করছেন…এটাই টিএমসি।”

    রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইউসূফ পাঠান একজন ক্রিকেটার। কোনও রাজনীতিক নন। তাঁকে বহরমপুরে তৃণমূল কেন টিকিট দিয়েছিল শুধু তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টাকে ব্যবহার করার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ইউসূফের সঙ্গে রাজনীতির বা মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনের তাপ-উত্তাপের কোনও সম্পর্কই নেই। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হাওয়া ছবি থেকেই সেটা পরিষ্কার।” তিনি বলেন, “তৃণমূল শুধু মুসলমান ভোটব্যাংক সংহত রাখতে রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রাজনীতি করে না (BJP)। তারই প্রমাণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদের এই ছবি (Murshidabad Violence)।”

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই একদিনের সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে ও অন্যান্য সহযোগী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি। অমিত শাহ আরও জানান, জাতীয় স্তরে এই নির্বাচন লড়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং রাজ্যস্তরে এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামীর নেতৃত্বে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিঃশর্তভাবেই এই জোট সম্পন্ন হয়েছে।’’ এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই কর্মসূচির ভিত্তিতেই জোট চলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা,  এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট হওয়াতে বেশ ভালোই চাপে পড়ল ডিএমকে। আগামী বছরেই রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তার আগেই দুই দল ফের একসঙ্গে হল।

    ১৯৯৮ সাল থেকেই এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতা (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। সেই তখন থেকেই এনডিএ-র শরিক ছিল জয়ললিতার দল। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের এই সম্পর্কে ছেদ পড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গে জোটে ভাঙন ধরে এআইএডিএমকে-র।

    অমিত শাহের মুখে পুরনো দিনের কথা, মনে করালেন ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোট (Tamil Nadu)

    তখন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের (AIADMK) জেনারেল সেক্রেটারি ই কে পালানিস্বামী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসাবে লড়াই করবেন তাঁরা। তারপর ২০২৫ সালের ফের দুই দলের এক হওয়ার খবর সামনে এল। পুরনো দিনের কথা এদিন উঠে আসে শাহের সাংবাদিক বৈঠকেও। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে লোকসভায় বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র জোট বিরাট জয় পেয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বিজেপি-এআইএডিএমকে (AIADMK) জোট ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল।

  • Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জোর করে বাসচালককে ওই পতাকা খোলান ওয়াকফ আন্দোলনকারীরা। ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর দাবি, যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। এনিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ ট্রাস্টের তরফে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খোলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে কলকাতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি, সেখানে ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়ল। যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। স্বামীজি এই সম্প্রীতি ও সহনশীলতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাধাহীনভাবে এরকম কাজ হয়। আর পুলিশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কোথায়? মমতা, আপনার শাসনামলে হিন্দু হওয়া কখন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে? নাকি এখন আপনার একমাত্র নীতি হল তোষণ?’’ সেইসঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রামকৃষ্ণ মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। একইসুরে বঙ্গ বিজেপির মিডিয়ার কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ অভিযোগ করেছেন, গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগ করা হয়েছে।

    হনুমান জয়ন্তীতে প্রতিবাদ

    বৃহস্পতিবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামাত উল উলেমা হিন্দ। মিছিলের কারণে কলকাতার কয়েকটি রাস্তা প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। এর মধ্য়েই অভিযোগ ওঠে কলকাতার লেনিন সরণিতে একটি বাসে লাগানো গেরুয়া পতাকা জোর করে খুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ছবি পোস্ট করে এনিয়ে সরব হন। এদিন কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওটা বিজেপির পতাকা ছিল না। এটি ছিল একটি জয় শ্রী রাম পতাকা। এটা বিশ্বাসের অপমান। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। কলকাতায় গেরুয়া পতাকা খোলা হয়েছে? বাস চালককে পুলিশের সামনেই পতাকা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়। হিন্দু সংগঠনগুলি গতকালই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। আজ আমরা ডিসি সেন্ট্রালে প্রতিবাদ করব। আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। পুরো রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।’’

    পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তিলোত্তমা কলকাতার বুকে জোর করে বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খোলা হচ্ছে। হিন্দু সমাজ দেখুক, পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এখানে আপনি হামাস, প্যালেস্তাইন, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং আইসিস-এর পতাকা উড়তে দেখতে পাবেন, কিন্তু গাড়ি থেকে রাম নবমীর পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। কলকাতা কি ঢাকা, সিরিয়া নাকি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এটাই চান?’’

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার পাশ করেছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Reforms Awareness)। এই আবহে দেশজুড়ে ওয়াকফ সংস্কার প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি (BJP)। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, এই প্রচার অভিযান চলবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে বিজেপি লক্ষ্য রেখেছে, যে সমস্ত ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে সেগুলির মোকাবিলা করা। বিজেপি তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Reforms Awareness) আইন নিয়ে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন

    বিজেপির (BJP) মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের জানা দরকার যে ওয়াকফ আইন তাদের কল্যাণের জন্যই। এই প্রচার অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয় দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে। যেখানে বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডা প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তিনি নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংস্কার তার সম্পত্তিগুলিকে আরও ভালোভাবে উপযোগী করে তুলবে এবং তা দরিদ্র মুসলমানদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।’’

    তোষণের কারণেই মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, তোপ নাড্ডার

    একই সঙ্গে জেপি নাড্ডা (BJP) তোপ দাগেন কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের ওপর। তিনি বলেন,‘‘তোষণের রাজনীতির কারণেই মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে এই রাজনৈতিক দলগুলি।’’ তিনি বিজেপির কর্মীদেরকে বলেন, তাঁরা যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যান এবং তাদেরকে বোঝান এই আইন মুসলিমদের পক্ষে ইতিবাচক।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমানে তা আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে।

  • BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক লাভের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের (BJP Government)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের (AAP Govt) জমানায় নিয়োগ হওয়া এমন ১৭৭ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্তা। বুধবারই এই নিয়োগ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাতিলকরণ কার্যকর করা হবে অবিলম্বে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি অধীন বোর্ড, কমিটি এবং অ্যাকাডেমি।

    স্বজনপোষণ! (BJP Government)

    এই মনোনয়নগুলির মধ্যে অনেকেই বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য এবং পদস্থ দলীয় কর্তারা। জানা গিয়েছে, এই নিয়োগপ্রাপ্তদের দিল্লি জল বোর্ড, কল্যাণ বোর্ড, তীর্থযাত্রা উন্নয়ন কমিটি, হজ কমিটি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভাষা অ্যাকাডেমির মতো সংস্থাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিন যাঁদের নিয়োগ বাতিল হল তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আপ বিধায়ক পবন রানা, বিধায়ক বিনয় মিশ্র এবং আপ মন্ত্রিসভার সদস্য জিতেন্দ্র তোমরের স্ত্রী প্রীতি তোমরও। পবনকে নিয়োগ করা হয়েছিল দিল্লির জল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে। ওই বোর্ডেরই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বিধায়ক বিনয় মিশ্রকে। প্রীতি তোমর ছিলেন ওই বোর্ডের সদস্য।

    বিজেপির দাবি

    বর্তমান বিধায়কদের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাক্তন বিধায়কদেরও। আবদুল রেহমান ও হাজি ইউনূসকে নিয়োগ করা হয়েছিল হজ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। পাঞ্জাবি অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল আপেরই প্রাক্তন বিধায়ক জারনাইল সিংকে। বিজেপির দাবি (BJP Government), প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদ্ম-নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল। বিজেপি সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং সংস্থাগুলির নির্দলীয় কার্যকারিতা নিশ্চিত করার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে আরও কঠোরভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝাড়াই (AAP Govt) বাছাই পর্ব চালাবে সরকার। যেখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার চেয়ে যোগ্যতা এবং পেশাদারি দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে (BJP Government)।

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    Mamata SSC Jobless Meet: যোগ্য কারা? কীভাবে আলাদা করা হল অযোগ্যদের? মমতার বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল। তার পরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হতে থাকে অসন্তোষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ যাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে, তাই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানো শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata SSC Jobless Meet)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তর বক্তব্য

    তিনি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চাইলে যোগ্য-অযোগ্যদের অনেক আগেই আলাদা করতে পারত।” তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুধ আর জলকে মিলিয়ে দিতে হবে। আজকের মিটিংয়ের উদ্দেশ্যও তাই। কোনওভাবেই যেন আলাদা করা না যায়। গন্ডগোলটা তো ওখানেই হচ্ছে। যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও ডাকা হয়েছে (Mamata SSC Jobless Meet)। এই অযোগ্যরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “সরকার চাইলে কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে আর কারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, সেই তালিকা আদালতের সামনে আনতে পারত। সরকার এখনও তা আনেনি। তাদের উদ্দেশ্য, হয় ব্যাপারটাকে ঘেঁটে দাও, যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দাও, যাতে কেউ ধরা না পড়ে। অথবা পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যাক, যাতে কারও ঘাড়ে দোষ না পড়ে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলেই বিপদ। তাহলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা টাকা ফেরত চাইবে।”

    গেট পাস নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে দেখাতে হয়েছে গেট পাস। তাতে লেখা ‘আমরা যোগ্য’। কোন নিরিখে যাদের গেট পাস দেওয়া হয়েছে তারা যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে, এই গেট পাস কে ইস্যু করেছে? কারাই বা দিয়েছে? গেট পাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪৪জনকে। অথচ চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে হাইকোর্ট যাদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দিয়েছিল, তারাই কি এদিনের বৈঠকে (Mamata SSC Jobless Meet) ডাক পেয়েছিলেন? পেয়েছিলেন ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী নয়। এরাই চব্বিশে ভোট করেছে, ভোট লুটের কাজও করেছে। ডায়মন্ড হারবারে তো টেন্টেড শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোট পাওয়া নিয়ে তো আমি আরটিআই-ও করেছিলাম। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি ভোটে আদালতে যাব।”

    তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে পাস বিলি!

    শুভেন্দুর (BJP) দাবি, “তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিহারাদের সভার পাস বিলি হয়েছে।” এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৭ হাজার পাস বিলি হয়েছে। তার মানে ১৮ হাজারকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন মমতা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও জড়িত। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নন, উনি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকলে ২৬ হাজার জনকেই বৈঠকে ডাকতেন। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক নন। উনি ৭ হাজার জনের জন্য পাস জারি করেছেন। কাদাপাড়ায় তৃণমূল দফতর থেকে পাস বিলি করা হয়েছে। এরা সবাই তৃণমূলের গুন্ডা।” শুভেন্দু বলেন, “৭ হাজার পাস বিলি করে বলছে আমরা যোগ্যদের ডেকেছি (Mamata SSC Jobless Meet)। তার মানে ১৮ হাজার অযোগ্য। এই তালিকাটা কেন সুপ্রিম কোর্টে দিয়ে দিল না?”

    দম্ভ না দেখালে ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না! 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালে সাড়ে পাঁচ হাজার অবৈধ বলেছিলেন। সেদিন যদি দম্ভ-ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে স্বীকার করে নিত, তাহলে আজ ২৬ হাজারের এই পরিণতি হত না।” তিনি বলেন (BJP), “কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টে করের ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই টাকা খরচ করা হয়েছে এই সাড়ে ৫ হাজার অযোগ্যকে বাঁচাতে। সেই টাকা তুলেছে ভাইপো। সেটা বলে দিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এমডি। এই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    প্রসঙ্গত, যোগ্যদের ভিড়ে যে অযোগ্যরাও লুকিয়ে রয়েছে, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, “আগে যোগ্যদের বিষয়টি মিটে যাক। তারপর যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। সব কাগজপত্র তদন্ত করে দেখব। সত্যি যদি তারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়, তখন (BJP) আর আমার কিছু করার থাকবে না (Mamata SSC Jobless Meet)।”

LinkedIn
Share