Tag: bjp

bjp

  • Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    Giriraj Singh: ‘মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে’, এ কথা কেন বললেন গিরিরাজ সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে খয়রাতির কাজে খরচ করা হচ্ছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার প্রায় একই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকার অপব্যবহার করছে রাজ্য সরকার। বেআইনিভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

    গিরিরাজের দাবি…

    গিরিরাজের দাবি, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে বাংলার সরকার, যা আইনত অন্যায়। মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, যাঁর তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁকেও আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা যেভাবে লুঠ হয়েছে, তা সীমাহীন। তিনি বলেন, মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গিয়েছে।

    কেন্দ্র প্রাপ্য বঞ্চনা থেকে বঞ্চিত করছে বলে নানা সময় অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁরও জবাব দিলেন বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ। তিনি বলেন, আমি শুধু স্বচ্ছতা চাই। এখনও পর্যন্ত বাংলার সরকারকে ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের উদ্দেশ্য যদি খারাপই হয়ে থাকে, তা হলে টাকা কেন দেবে? রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সে প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হয়। বাংলার মন্ত্রীরা এসে ভাল কথা বলে গেলেন। অথচ রাজ্যে গিয়ে তাঁদের পরিবর্তন হয়ে যায়। ফের লুঠ শুরু হয়। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুঠের জন্য নয়, গরিবের জন্য।

    আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    গিরিরাজ (Giriraj Singh) বলেন, আপনাদের বলছি, গরিবের টাকা দিতে চাই। কিন্তু বাংলার লুঠের সরকারকে কাজ দেখাতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে মমতাজির রাজ্য অন্যতম যেখানে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হয়েছে। উনি শুরু থেকেই বেআইনিভাবে ভারত সরকারের সব প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার অর্থ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। গিরিরাজ বলেন, দুর্নীতি সব ক্ষেত্রেই সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন করে না বিজেপি (West Bengal BJP)। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বালুরঘাটে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য। নোংরা রাজনীতি আর দুর্নীতি করা ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। কারও সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার জন্য আন্দোলন করার অনেক পথ রয়েছে। সুকান্ত বলেন, আমরাও ডিএম অফিস কিংবা অন্য কোনও সরকারি অফিস ঘেরাও করি। কিন্তু কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন বিজেপি (West Bengal BJP) করে না। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। আমরা এর অবসান চাই। তিনি বলেন, তা না হলে আগামী দিনে আমরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই বাড়ি ঘেরাওয়ের রাজনীতি যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ লোক নিয়ে অভিষেকের বাড়ি ঘেরাও করব।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিন শ্রীরামপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্য সভাপতি যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে বলেছেন। মডেল তো ভালোই। ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হয়! তৃণমূলের নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ওই কর্মসূচিতে ১২০০ লোকও হয়নি। তিনি জানান, তাঁর একটা মিটিংয়ে এর চেয়ে ঢের বেশি লোক হয়। বিধাননগরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির (West Bengal BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যদি ওরা মনে করে আমার নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের-বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করবে, তাহলে আমরাও পারি। অভিষেক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও ঘেরাও করব আমরা।  


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

     

      

  • Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক সভার নামে খরচ হচ্ছে গুচ্ছের টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার রীতিমতো হিসেব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাসের জন্য খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে ওই খরচের সূত্র জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ…

    জেলায় জেলায় নিয়মিত প্রশাসনিক সভা করে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে নিয়ে চলেন বিস্তর লোকলস্কর। সেখানে গিয়ে সুবিধাভোগীদের নানা সুবিধা দেন। তার আড়ালে ভোটের প্রচারও চলে বলে অভিযোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের স্বাক্ষর করা কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০০ বাসে করে এই স্কুল পড়ুয়া ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ছাত্রছাত্রী ও গরিব সুবিধাভোগীদের ৭০০ বাসে করে আনতে ৭৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই ট্যুইটেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় যে লোক আনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা থেকে। শুভেন্দুর ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি বাস এসেছে বড়জোড়া এলাকা থেকে। সেখান থেকে ৫২টি বাস আনতে খরচ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আনতে বাস প্রতি খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সভার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৮ হাজার পুলিশ কর্মী, তৈরি করা হয়েছিল উন্নত ধরনের স্টেজ। সব মিলিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের সভার জন্য খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা এল কোথা থেকে? বাঁকুড়ার ডিএম ব্যাখ্যা দিন। তাঁর আরও প্রশ্ন, রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের সময় ওই টাকা কি মিড-ডে মিলের টাকা থেকে এসেছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে, তারা দেখছে সত্য কোন দিকে রয়েছে’। শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবিরকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েছে জোট। নির্বাচন কমিশন শিন্ডে শিবিরকেই আসল শিবসেনা ঘোষণা করেন তির-ধনুক চিহ্ন দিয়ে দিয়েছে। সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সত্যি প্রকাশ্যে এসেছে। আমি বলব, সত্যমেব জয়তে প্রতিষ্ঠিত হল। তিনি বলেন, যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বড় বড় কথা বলত, তারা যেন দেখে নেয় সত্য কাদের সঙ্গে রয়েছে। শাহ বলেন, আমাদের কথা ভুলে যান, ওরা বালাসাহেবের আদর্শকে পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়েছে।

    শাহ উবাচ…

    ‘মোদি@২০’-র মারাঠি সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। তিনি বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনের কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হয়নি। শাহ বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলেই জানত আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জোট করে লড়ছি। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আমাদের নেতা। ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগির কোনও প্রশ্নই ছিল না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, অথচ ভোটের পর স্রেফ মুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভে ওরা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের পা চাটা শুরু করল। শাহ বলেন, ভোটে হারজিত রয়েইছে। কিন্তু যারা বেইমানি করে, তাদের ছাড়া উচিত হবে না। কারণ বেইমানদের ছেড়ে দিলে তাদের সাহস আরও বেড়ে যায়।

    আরও পড়ুুন: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। পরে মতাদর্শের প্রশ্নে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে যান একনাথ শিন্ডে। বেশিরভাগ বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে নাম লেখানোয় পড়ে যায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। শাহ (Amit Shah) বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে আমি দলের প্রধান ছিলাম। আমরা এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) চেয়ে অনেক বড় মোদিজির ছবি নিয়ে আমরা ভোটে লড়েছিলাম। ফড়নবিশ নেতা জেনেই লড়াই করছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হতে ওরা পা চাটা শুরু করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ। শিশির কাঁথির সাংসদ। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Bank Account) খোলা হয়েছে শিশিরের নামে। শনিবার সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছে অভিযোগ জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    ভুয়ো অ্যাকাউন্ট…

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিশিরের বাড়িতে চিঠি আসে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের মেচেদার মাছনা শাখা থেকে। এই চিঠি পাওয়ার পরেই তাঁর নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্টটির কথা জানতে পারেন শিশির। আইনি পরামর্শ নিয়ে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে চিঠি পাঠান তিনি। জানা গিয়েছে, মাছনা শাখায় শিশিরের (Sisir Adhikari) নামে যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, তার অ্যাকাউন্ট নম্বর হল ১২০৯০১০০০০৫৩০৪৫। শিশিরের ছবি, স্বাক্ষর ও নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    যার অর্থ ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি রয়েছে। এই ব্যাঙ্ক থেকে শিশিরের কাছে চিঠি যাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে হইচই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শিশির লিখেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টটি খুলতে কোনও তথ্য বা নথিও তিনি দেননি। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক অর্থমন্ত্রক। অশীতিপর এই সাংসদের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হয়েছে। শিশিরের অনুগামীরাও জানাচ্ছেন, কাঁথির তিনবারের সাংসদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    শিশিরের (Sisir Adhikari) পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ। তিনি বলেন, বাবা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেই অর্থমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। আমরা চাই, যাঁরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ সব করেছেন, তাঁরা ধরা পড়ুন। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবার মতামত যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনই বাবা কোনও তথ্য, নথি বা স্বাক্ষরও দেননি। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিহিত চাইছি আমরা। তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন শিশির। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শিশির পুত্র শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, এসব কারণেই শিশিরকে ফাঁসানোর চেষ্ট চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলের নেতার মুখে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছেই না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর এবার দেশের প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মন্ত্ৰী অখিল গিরি। রামনগরের সভা থেকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।” স্বভাবতই মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ফলে এই নিয়ে ক্ষমাও চাইতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    প্রধানমন্ত্রীর নামে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির

    গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আরএসএ ময়দানের মাঠে বিজেপির পালটা সভা করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি ও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল, ভালোবাসার দিবস, ছেলে-মেয়েরা প্রেম করে। গোলাপ ফুল দেওয়া-নেওয়া হয়। একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ ফুল দিয়ে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। পুরো পড়ে গিয়েছে। ভাগ্য ভালো ষাঁড়টাকে ধরেনি। না হলে গুঁতিয়ে দিত পেটে লেগে যেত…। গরু যদি নরেন্দ্র মোদিকে গুঁতিয়ে দেয় তাহলে আমি কি করব!” মন্ত্রী আরও বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে নরেন্দ্র মোদি গরুকে আঁকড়ে ধরেছেন, কী সুন্দর! আগামী ২৪-এ গুঁতো খাবে। যাতে উলটে পড়বে প্রধানমন্ত্রী মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে পাঠিয়ে দেবে।”

    মন্ত্রী অখিল গিরিকে কড়া ভাষায় জবাব বঙ্গ বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতায় সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “একটা মোস্ট থার্ড ক্লাস দল। দুর্নীতি করতে করতে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওদের কথায় কান দিয়ে আমাদের লাভ কী। ওদের মত আমাদের তো আর অভিনেতা দেখিয়ে লোক ডাকতে হয়নি। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের। তাই ভুল-ভাল কথা বলছেন।” আবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস! শুধু তাই নয়, এটাই তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষা বলেও আক্রমণ বিজেপি নেতার। তাঁর মতে, তৃণমূলের নেত্রী তিনি নিজে এই ভাষায় কথা বলে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সেটাই প্রকাশ পায় বলে কটাক্ষ। এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এই সব বলে হাততালি কুড়োতে চায় বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার। তবে মানুষ এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য তাঁর।

  • Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ থেকে আমজনতার দৃষ্টি ঘোরাতে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল (TMC)। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া এই কর্মসূচি জনতার ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দেবে। তা তো হয়ইনি, উল্টে মাঝমধ্যেই জনরোষের মুখে পড়ে লেজ গুটিয়ে পগার পার হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ক্ষুব্ধ জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি হাতে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বালুরঘাটের সাংসদ। জানা গিয়েছে, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রেই প্রথম যাবেন সুকান্ত। ঘুরবেন পাড়ায় পাড়ায়। শুনবেন জনতার অভাব-অভিযোগের কথা। কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সুবিধাও যাতে তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের বাসিন্দারা পান, তাও দেখবেন তিনি। এই কর্মসূচি যে তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত, তা জানিয়েছেন সুকান্ত নিজেই।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে আমার মস্তিষ্ক প্রসূত। এই কর্মসূচি আমি শুধু আমার লোকসভার জন্য চালু করছি। আমার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনা, তাঁদের বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়া, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির সুবিধা যাঁরা পাননি, তাঁদের সুবিধা প্রদান করাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এই কাজগুলো যে আগেও হত না, তা নয়। তবে এই সব ‘প্রাপ্য’ জনতার দরবারে পৌঁছে দিতেই তিনি নয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে ব্যস্ততা বেড়েছে সুকান্তর। তা সত্ত্বেও জেলায় এলেই জনসংযোগে মন দেন সুকান্ত। বিজেপি নেতারা জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে জেলায় ফিরেছেন সুকান্ত। জেলায় তাঁর থাকার কথা তিন দিন। এই তিন দিনই তাঁর কর্মসূচি রাখা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনমত ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে ভরতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল তৃণমূল। জেলায় জেলায় ওই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানা সময় অপদস্থ হতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্প সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগের কৈফিয়ত দিতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছে তৃণমূল নেতাদের। তার জেরে ইদানিং আর ওই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে শোনা যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এই ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৫৯ জন প্রার্থীর, তাঁদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। এবার ভোট ময়দানে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, বাম-কংগ্রেস জোট ও তিপরা মোথা। দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।

    কড়া নিরাপত্তা

    ত্রিপুরা নির্বাচনকে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। যার মধ্যে ১১০০ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং ২৮টিকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন৷ একদফাতেই ভোট হবে। সেহেতু ওই রাজ্যের প্রতিটি বুথে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রয়েছে কমিশন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে সে রাজ্যে। এর পাশাপাশি আরও ১৬টি রাজ্য থেকে পুলিশকর্মীও আনা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে চোখ জুড়ানো বহু মন্দির, দেখুন তারই কয়েকটি  

    বাম-বিজেপি লড়াই

    ত্রিপুরার এবারের নির্বাচনে যে সকল প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। ত্রিপুরার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৫টি-তেই প্রার্থী দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাঁচটি আসন ছেড়েছে জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে। অন্যদিকে, রাজ্যপাট ফিরে পেতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম’ও। তাই বাংলার পর ত্রিপুরাতেও এবার তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। জোটের তরফে সিপিএম ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে ১৩টিতে এবং বাকি চারটি আসনে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বাম দলের প্রার্থীরা। দেশের এই অংশের আরও দুই রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট গণনা ২ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আঁটা আকাশি রংয়ের মাস্ক। তার ওপর সাঁটা রয়েছে একটি ৫০০ টাকার নোট। বুধবার বিধানসভার (Assembly) অন্দরে এভাবেই প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির (BJP) বিধায়করা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলের বিধায়করা যখন এই অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন বিধানসভায় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 

    বিজেপি…

    বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণের বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে হায় হায় স্লোগানও দেওয়া হয়। সেদিনের পর এদিন কার্যত নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (Suvendu Adhikari)। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য, ফলে আবাসন শিল্প উপকৃত হবে, রাজ্যের সামাজিক প্রকল্প বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তিনি বলেন, আমাদের ধারাবাহিকভাবে মানুষের জন্য করা নানা কাজ দায়িত্বশীল পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। এর পরেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। চন্দ্রিমা বলেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকারের ৩.৭১ লক্ষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শিবিরে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন ৯.০৬ কোটি মানুষ। এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য আমরা মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দু বছর কোভিড পরিস্থিতি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকা সত্ত্বেও, আমরা উন্নয়ন করেছি। ২০২২-২৩ সালের প্রথম অর্ধে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই একই সময়ে সেই মাত্রাকে অতিক্রম করে বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।

    এদিন বাজেট পেশের শুরুতেই চন্দ্রিমা জানান, বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হবে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সহ দুয়ারে সরকারের একাধিক সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থান এবং বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিয়েও বাজেটে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন তিনি। চন্দ্রিমা যখন এসব করছেন, তখন মুখে মাস্ক পরে তার ওপর ৫০০ টাকার নোট সাঁটিয়ে প্রতিবাদ করছেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই মাস্কের ওপর ৫০০ টাকার নোট সেঁটে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এসেছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Mohan Bhagwat: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও একজন ব্যক্তির কোনও এক চিন্তাধারা কিংবা একটি গোষ্ঠী কোনও একটা দেশকে ভাঙতে পারে না। মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, ভাল দেশগুলোর চিন্তার বিভিন্নতা থাকে, তারা সমস্ত সিস্টেমগুলিকে একত্রিত করে রাখতে পারে। এদিন একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংঘ প্রধান। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল রাজরত্ন পুরস্কার সমিতি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরসংঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, এক ব্যক্তি, এক চিন্তাভাবনা, এক গোষ্ঠী, এক আদর্শ কোনও দেশকে ভাঙতে পারে না। তিনি বলেন, বিশ্বের ভাল দেশগুলোয় সমস্ত ধরণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাদের সমস্ত ধরনের সিস্টেমও রয়েছে। এই সিস্টেমের মধ্যেই তারা বেড়ে উঠছে।

    এক জাতি, এক ভোট…

    বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হল, এক জাতি, এক ভোট। ভারতীয় জনতা পার্টির এই বক্তব্যের বিরোধী শোনাল সংঘ প্রধানের এই বাণী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পইপই করে সরকারের এই মনোভাব ব্যক্ত করছেন নানা সময়। তাঁর মতে, দেশের স্বার্থেই এটা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, প্রতি মাসেই দেশের কোথাও না কোথাও কোনও না কোনও নির্বাচন হচ্ছে। তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন। গত বছর বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই পরিকল্পনার কথা ব্যক্তও করেছেন বারংবার। তিনি তাঁদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে গোটা দেশে এক সঙ্গে ভোট হলে সময় এবং খরচ বাঁচে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি

    প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিল দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি কেবল একটিই শব্দ জানে, সেটি হল এক। ডিএমকে বলেছিল, এক ধর্মের কথা বলার পর এক ভাষা, এক খাদ্যাভাস, এক সংস্কৃতি, এক করকাঠামো, এক পরীক্ষা এবং এক রাসায়নিক সার, তারা একই গান গাইছে। সব রোগের জন্য তারা একটাই ওষুধ প্রয়োগ করছে সেটা হল প্রতারণা এবং বিভেদ কৌশল। প্রধানমন্ত্রীর এক দেশ, এক ভোট নীতির সমালোচনা করেছিল আম আদমি পার্টিও। তাদের অভিযোগ, গোটা দেশে অপারেশন লোটাস অভিযান করার স্বপ্ন পূরণ করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share