Tag: bjp

bjp

  • Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। আদতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, যে উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে পাড়ি দিলেন কাশ্মীর পর্যন্ত, সেই লক্ষ্য তাঁর আদৌ পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। ভারত জোড় যাত্রায় রাহুল ব্যয় করেছেন প্রায় পাঁচ মাস। কন্যাকুমারীতে শুরু হওয়া ওই পদযাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে শ্রীনগরে, ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসের কমিউনিকেশন হেড তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কংগ্রেসকে অবশ্যই যে কোনও কার্যকর বিরোধী জোটের পাশে থাকতে হবে। তবে বিরোধী ঐক্যের ভরকেন্দ্র যে কংগ্রেসই, সেদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যে কোনও বিরোধী জোটের ভরকেন্দ্র অবশ্যই কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী জোট অর্থবহ হবে না।

    বিরোধী জোটের স্বপ্ন…

    অতএব বিরোধীদের একজোট করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে সমমনস্ক ২১টি রাজনৈতিক দলকে ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফাইনাল ইভেন্টে তারা আহ্বান জানিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, ডিএমকে, এবং সিপিআই(এম)কে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তেলগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং সিপিআইকেও। অদ্ভুতভাবে আমন্ত্রিত দলের তালিকায় নেই আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং গুলাম নবি আজাদের ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি।

    আরও পড়ুুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    গত সপ্তাহে জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে রাজীব রঞ্জন সিং খাড়গেকে জানিয়ে দেন, অন্য কাজ থাকায় তিনি ওই যাত্রায় যোগ দিতে পারছেন না। যদিও বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আসলে শক্তিশালী বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতার কথা সকলে স্বীকার করলেও, কংগ্রেসকে তার মুখ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তার জেরে ডাক পেয়েও সচেতনভাবে কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকেই।

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভারত জোড় যাত্রাকে (Bharat Jodo Yatra) কংগ্রেসের অভ্যন্তরণী বিষয় বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই যাত্রায় যোগ দেব না। যাত্রা শেষে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা বলা যাবে। বিহারে জন সুরজ অভিযানে অনেক হেঁটেছি। এই অজুহাতে ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দেননি আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। অখিলেশ যাদবে সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশের প্রধান এই দুই বিরোধী দলই যোগ দেননি কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রায়। যদিও ডাক পেয়েছিল ওই দুই দলই।

    কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর অখিলেশ বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। যদিও সমাজবাদী পার্টির সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোক দলের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দুজনেই যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ওই যাত্রায়। যোগ দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তৃণমূল এই যাত্রায় যোগ না দিলেও, দলের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমে তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির একটা বোঝাপড়া রয়েছে। মোদি যাতে আপসেট হয়ে পড়েন, এমন কোনও কাজ মমতা করবেন না। যখন মোদিজি বলেছিলেন ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করতে হবে, তখন মমতাও বলেছিলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে দূর করা উচিত।

    যে লক্ষ্যে রাহুল পাঁচ মাস ধরে হাঁটলেন, সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি? বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার (West Bengal) মতো মেঘালয়েও (Meghalaya) ভোট ‘কেনা’র পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষমতায় এলে এখানেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল বাংলার শাসক দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে খাসো এবং গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

    তৃণমূল…

    বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এজন্য বড় রাজ্যগুলির পরিবর্তে তারা পাখির চোখ করে ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে। সেই মতো গোয়ায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সেখানে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে মমতার দল। তার আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘রাম’ধাক্কা খেয়েছিল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সেখানে প্রচারে যান দলের হেভিওয়েট নেতারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত বার পাঁচেক প্রচারে যান ত্রিপুরায়। তার পরেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির কাছে গোহারা হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটি মাত্র আসনে যিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিও পরে যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    উত্তর পূর্বের আরও একটি রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেটি মেঘালয় (Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে পায়ের নীচে মাটি পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে তৃণমূল। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। এ রাজ্যে বিজেপি বেশ শক্তশালী। তাই বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে নগদ অর্থের ‘টোপ’ দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এখানেও ফি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইস্তেহারে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।  

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করতে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোটে জয়ী হওয়ার পরে সে টাকা দেওয়াও হয়। তবে সেজন্য আগে থেকে কোনও ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, মিড-ডে মিল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘সরিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে ‘ভাণ্ডারে’। এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তার পরেও শিক্ষা হয়নি এ রাজ্যের শাসক দলের। যার জেরে ফের টাকার টোপ। রাজ্যটা অবশ্য বাংলা নয়, উপজাতি অধ্যুষিত মেঘালয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: রাজনৈতিক প্রস্তাবে রইল অনুপ্রবেশের বিষয়, আর কী কী নিয়ে আলোচনা হল বিজেপির বৈঠকে, জানেন?

    BJP: রাজনৈতিক প্রস্তাবে রইল অনুপ্রবেশের বিষয়, আর কী কী নিয়ে আলোচনা হল বিজেপির বৈঠকে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ ছাড়াই ভারত (India) দখলের পরিকল্পনা চলছে পশ্চিম বাংলার (West Bengal) সীমান্ত এলাকায়। দুর্গাপুরে বিজেপির (BJP) রাজ্য কর্ম সমিতির বৈঠকে আনা রাজনৈতিক প্রস্তাবে এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে অনুপ্রবেশের বিষয়টি। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, দু দিন ব্যাপী রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে রাজনৈতিক প্রস্তাবে অনুপ্রবেশের বিষয়টিতে বেশি জোর দেওয়া হলেও, পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে দুর্নীতির বিভিন্ন বিষয়কেও। আবাস যোজনায় স্বজনপোষণ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথার পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তাব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়ে সরব হয়েছেন অনেক আগেই। এবার সেটি জায়গা পেল দলীয় প্রস্তাবেও।

    বৈঠক শেষে…

    দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল বৈঠকের। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রায় সমস্ত বিজেপি (BJP) নেতাই। শনিবার বৈঠকের শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শ’ দেড়েক প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলেনেতা শুভেন্দু। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতারা। শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুর্নীতির প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্যজুড়ে গণআন্দোলনে নামবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি সামনে এসেছে। হাজার হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। আজকেও যুব তৃণমূলের নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে। হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এতেই প্রমাণিত শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতিতে শুধু পার্থ অর্পিতা যুক্ত নয়, শুধু মানিক সুবীরেশরা যুক্ত নয়, আরও অনেকেই যুক্ত আছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত বিচার ব্যবস্থা। এটাও আজ বহু চর্চিত বিষয়। একটা সময় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলতেন, লালা বাংলা ছেড়ে পালা। এখন বাংলার শাসক এবং শাসকের মূল নেত্রী সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন। হাইকোর্টের বিচারপতিকে অপমান করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা বার কাউন্সিলে জমা করেছেন। শুভেন্দু বলেন, এই উদাহরণ আপনি গোটা দেশে পাবেন না। নির্বাচন-উত্তর হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দল সব সময় থাকবে। এই বৈঠকে (BJP) এই বিষয়টি নিয়েও ফের আলোচনা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Sukanta Majumdar: মোদিজিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র উপহার দেব! নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মোদিজিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র উপহার দেব! নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদিকে উপহার দেব।” বেথুয়াডহরির সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নদিয়ার মানুষকে একজোট হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত বলেন, “বদলা নিতে হবে। এই বার ২৫ পার কৃষ্ণনগর দিয়ে শুরু হবে। আমরা কথা দিয়েছি, কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদিজিকে উপহার দেব। ২৪-এ ধামাকা দেব।”

    প্রাক্তন হবেন মহুয়া

    নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, এবার নদিয়া উত্তরেও দাগ কাটতে চায় বিজেপি। তাই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে হারাতেই এককাট্টা নড্ডা, শুভেন্দু, সুকান্তরা। কৃষ্ণনগরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দলের অন্দরেই কান পাতলে শোনা যায়, বিধায়ক-সাংসদে রেষারেষি, বিধায়কে-বিধায়কে রেষারেষি, জেলা কমিটির সঙ্গে সাংসদ-বিধায়কদের মনোমালিন্যর অভিযোগ। গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনিও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এই দলাদলিকে হাতিয়ার করেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় গেরুয়া শিবির। এদিন বেথুয়াডহরিতে  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌কৃষ্ণনগরের সাংসদ এলাকার সমস্যার কথা সংসদে বলেন না। রাশিয়া, ইউক্রেন, আমেরিকার কথা বলেন। তাই ২০২৪ সালে সুদে আসলে সেই হিসাব নেবেন এলাকার মানুষ। আর তাঁকে প্রাক্তন করে দেওয়া হবে।’‌

    আরও পড়ুন: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    বাংলা থেকে ২৫ টি আসন জয়ের টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। আর তা বাস্তব করতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই গত লোকসভায় হেরে যাওয়া ২৪টি আসনে পালা করে সভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার। তারই শুরু হল বেথুয়াডহরি দিয়ে। এদিনের সভায় বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, “বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তাঁর খারপ লাগে। এর পরিবর্তন প্রয়োজন।” তাঁকে বাংলায় পালা বদলের প্রতিশ্রুতিও দেন রাজ্য বিজেপি সাভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP National Executive: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?  

    BJP National Executive: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ওপরই ভরসা রাখল গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি হিসেবে বাড়ানো হল নাড্ডার মেয়াদ। আগামী বছর দেশে সাধারণ নির্বাচন। এই সময় পর্যন্ত নাড্ডাই থাকছেন বিজেপির সভাপতি। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ঘোষণা, ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিন জাতীয় কর্মসমিতির (BJP National Executive) বৈঠকে শাহ বলেন, জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিহারে আমাদের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ছিল। এনডিএ মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, উত্তর প্রদেশে জিতেছে এবং পশ্চিমবঙ্গে আমাদের সংখ্যা বেড়ছে। তিনি বলেন, আমরা গুজরাটেও জয় পেয়েছি। নাড্ডার নেতৃত্বে ১২০টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭৩টি আসনে।

    মোদিজির নেতৃত্বে…

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে মোদিজির নেতৃত্বে এবং নাড্ডাজির সঙ্গে আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০১৯ এর তুলনায় বেশি আসনে জিতব। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি তিন বছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন নাড্ডা। এর পর এদিন ফের বাড়ানো হল তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। এদিকে, চলতি বছর ৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এই ৯টি রাজ্যেই জিততে হবে বিজেপিকে। সোমবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির (BJP National Executive) বৈঠকে এই সুরই বেঁধে দিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা (BJP National Executive)। এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন, এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ুন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। ৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই আমাদের জয়ী হতে হবে। এদিন পাশ হয়েছে রাজনৈতিক প্রস্তাব। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বলে তাতে বলা হয়েছে। যদিও বিরোধীরা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিরন্তর আক্রমণ করে চলেছেন, তা সত্ত্বেও।

    নাড্ডার নির্দেশ, দলের সব নেতানেত্রীকে কোমর বেঁধে নামতে হবে। যাতে ৯টি রাজ্যেই জয়ী হয় বিজেপি। তাহলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিকের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। নাড্ডা বলেন, বাইশে গুজরাটে যেভাবে বিপুল আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেই মডেলে বাকি রাজ্যগুলিতে ভোট করাতে হবে কর্মীদের (BJP National Executive)। ঐতিহাসিক জয় চাই। প্রসঙ্গত, যে ৯টি রাজ্যে জয় চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব, সেই রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং ত্রিপুরায় বিজেপির সরকারই রয়েছে। নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে রয়েছে জোট সরকার।

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    JP Nadda: দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গ সফরে নাড্ডা, জেনে নিন কর্মসূচি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই আস্থা রেখেছেন  অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর পারফরমেন্সে খুশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। সেই কারণে মঙ্গলবারই সভাপতি পদে মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে জেপি নাড্ডার (JP Nadda)। দ্বিতীয়বারের জন্য দলের দায়িত্ব পেয়েই বঙ্গ সফরে আসছেন বাংলার জামাই জেপি নাড্ডা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

    কর্মসূচি…

    বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামছেন জেপি নাড্ডা। তাঁকে স্বাগত জানাতে যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেখান থেকে তিনি যাবেন নিউটাউনের একটি হোটেলে। বৃহস্পতিবার তাঁকে সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি। পরে নাড্ডা (JP Nadda) যাবেন নদিয়ায়। ইসকন মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। এদিন বেলা ১২টায় বেথুয়াডহরি জুনিয়র ইস্টবেঙ্গল ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নেবেন তিনি। সেই সভায় বঙ্গ বিজেপির সমস্ত পদাধিকারীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, নাকাশিপাড়ায়ই কোথাও দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন নাড্ডা। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই বৈঠক হতে পারে নদিয়ারই কোনও দলীয় দফতরে। সেখানেই সংগঠন ও রণকৌশল নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    প্রথমে ঠিক ছিল, ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ রাজ্যে দুটি সভা করবেন নাড্ডা (JP Nadda)। একটি সভা হওয়ার কথা ছিল হুগলির আরামবাগে, অন্যটি কৃষ্ণনগর লোকসভার কোনও একটি জায়গায়। আবহাওয়ার কারণে সেই কর্মসূচি কেটেছেঁটে করা হয়েছে একটি। পরে জানা যায়, কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত নাকাশিপাড়ায়ই সভা করবেন নাড্ডা। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। মধ্য এপ্রিলে হতে পারে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। নানা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য হল, বুথ স্তরে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি। এটা করতে পারলে একদিকে যেমন লাভ হবে পঞ্চায়েত ভোটে, তেমনি সারা হয়ে থাকবে লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকানোর কাজটিও। এদিনের সভায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে সেই বার্তাই নাড্ডা দিতে পারেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এদিকে, বুধবারই কলকাতায় আসার কথা সুনীল বনশলের। আসছেন মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়ারাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসে বাঙালি খাবারেই মন মজেছে মোহন ভাগবতের। শীতের দিনে বাংলার নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ খুবই ভাল লেগেছে সংঘপ্রধানের। বুধবারই বাংলায় এসেছেন তিনি। এদিন দুপুরে চুঁচুড়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কাপাসডাঙায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা আরএসএস কর্মী  দীপাঞ্জন গুহর মাকে দেখতে যান মোহন ভাগবত। দীপাঞ্জন একুশের বিধানসভা ভোটে চন্দননগর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। দীপাঞ্জনের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। 

    জলভরা সন্দেশ ভাল লাগে

    সংঘপ্রধানের খাবার আগে তা পরীক্ষা করেন ফুড সেফটি অফিসাররা। এটাই রীতি। এই সূত্র থেকেই জানা যায়, মোহন ভাগবতের মেনুতে ছিল ভাত, ঘি, ডাল, পনির, ফুলকপি, গুড়, স্যালাড। শেষে পাতা ছিল চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ। তাঁর জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি সময় দীপাঞ্জনের বাড়িতে ছিলেন আরএসএস প্রধান। এরপর এদিন চুঁচুড়া চকবাজারে বন্দেমাতরম ভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন হুগলির বৈঠকে আরএসএসের বঙ্গীয় শাখার বেশ কিছু জেলার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।  সংঘের হাওড়া গ্রামীণ, তারকেশ্বর ও হুগলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রের পদাধিকারীদের সঙ্গে সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় ভাগবতের। বৈঠকের পর কলকাতায় কেশব ভবনে ফেরেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত থেকে জানানো হয়েছে এখন কলকাতায় থাকবেন সরসংঘচালক। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে গঠিত আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত। সংঘের নিয়ম অনুযায়ী সরসংঘচালক বছরে দু’বার প্রান্ত প্রবাস করেন। সে কারণেই এখন কলকাতায় থাকবেন তিনি। ছ’দিনের রাজ্য সফরের মধ্যে একদিকে যেমন দফায়-দফায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য BJP নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে পা রাখলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বুধবার কাকভোরে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছান তিনি। মোহন ভাগবতের জন্য হাওড়া স্টেশনে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন ভোরে ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ১৮০০৬ সমলেশ্বরি এক্সপ্রেসে RSS প্রধান হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে নামেন। সেখান থেকে তিনি কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে রওনা হন।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় আর এসএস-এর সাংগঠনিক বৈঠক আছে, আর এই কর্মসূচিতে অংশ নিতেই মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) কলকাতা (Kolkata) পৌঁছেছেন।  ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন তিনি। এই সফরে মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। মোহন ভাগবত পৌছনোর সময়, হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোহন ভাগবত ট্রেন থেকে নেমে ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটে নিজের গাড়ির সামনে পৌঁছন। তারপর চলে যান সংগঠনের কাজে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন সংঘ প্রধান। এই ৬ দিনের মধ্যে একদিকে যেমন বেশ কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জনসভা করবেন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য বিজেপির নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার রাতেই বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda)। সূত্রের খবর, আজ বুধবার বঙ্গ সফরে এসে নাড্ডা, নদিয়ার (Nadia) উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে বেথুয়াডহরিতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাড্ডা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share