Tag: Donald Trump

Donald Trump

  • Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ফ্রিজ’ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার (Trump Govt)। সোমবার রাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফেডেরাল ফান্ডিং পাওয়ার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিক শর্ত দিয়েছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিতে এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই শর্ত মানতে রাজি নয় হাভার্ড। সোমবার নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকার অন্যতম অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরই তাদের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

    ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হার্ভার্ডকে ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ওই ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় (Harvard University) ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ১০টি দাবির কথা জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এই দাবির মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ যে কোনও আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার গ্রহণযোগ্যতা সীমিত করা। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভর্তি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    পশ্চিম এশিয়ায় হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ মার্কিন প্রশাসনের। একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরা সঠিক পদক্ষেপ করছেন না বলেও অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে কিছু শর্তাবলিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। বলা হয়েছিল, সেগুলি না-মানলে ‘শাস্তিস্বরূপ’ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা হবে। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে (স্থানীয় সময় অনুসারে) প্রথম মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আমেরিকার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

    হাভার্ডের বিরোধিতা

    ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শর্তাবলির কড়া ভাষায় বিরোধিতা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) প্রেসিডেন্ট অ্যালেন এম গার্বার। তাঁর বক্তব্য, ওই শর্তগুলি মানলে শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হবে। ওই শর্তগুলি সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন অ্যালেন। তিনি লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বাধীনতাকে সঁপে দেবে না বা নিজের সাংবিধানিক অধিকারকেও ত্যাগ করবে না।” ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ভার্ড বা অন্য কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের দখলে নিতে পারবে না ফেডারেল সরকার । সেই অনুযায়ী, হার্ভার্ড নীতিগতভাবে সরকারের শর্তাবলীকে চুক্তি হিসেবে গ্রহণ করবে না।

    আমেরিকার শিক্ষা বিভাগের অভিযোগ

    ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডকে সর্বশেষ যে শর্তাবলি পাঠিয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তথ্যসংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাসীদের প্রভাব যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে কমে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ করতে বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেখানকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে একটি উদ্বেগজনক অধিকারের মানসিকতাকে ডেকে আনা হয়েছে। তারা বলেছে, “হার্ভার্ডের বিবৃতি আমাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক আত্মঅহংকারপূর্ণ মনোভাবের পরিচয় দেয়—যেখানে মনে করা হয়, ফেডারেল অর্থায়ন মানে দায়িত্বহীন স্বাধীনতা। ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন, ইহুদি ছাত্রদের হয়রানি — এগুলো সহ্য করা হবে না।” গত বছর গাজার যুদ্ধের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু জায়গায় পুলিশ ও ইসরায়েল সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষও ঘটে। ট্রাম্পসহ অনেক রিপাবলিকান এই আন্দোলনকারীদের হামাসের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করেন। (হামাস হচ্ছে একটি মার্কিন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত গ্রুপ, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায়।) মার্চে শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে, ৬০টিরও বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’

    গারবার বলেন, “আমরা নতুন তথ্য ও ভিন্ন মতামতের জন্য উন্মুক্ত, তবে এমন কোনো দাবিকে মেনে নেব না যা এই প্রশাসনের বা কোনো প্রশাসনের আইনগত ক্ষমতার বাইরে যায়। কোনো সরকার—যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না তারা কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে, কিংবা কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে।” এরপরই শীর্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক, যিনি গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে কড়া প্রশ্ন তোলায় ট্রাম্পের প্রশংসা পান, হার্ভার্ডের অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষার নৈতিক ও একাডেমিক পচনের প্রতীক। হার্ভার্ডে ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’ সহ্য করা হচ্ছে।” এই পরিস্থিতিতে হার্ভার্ডের অবস্থান ছিল একেবারেই ভিন্ন, যেখানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমঝোতার পথে হাঁটে। ট্রাম্প প্রশাসন নিউ ইয়র্কের বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির $৪০০ মিলিয়ন অনুদান কেটে দেয়, অভিযোগ তোলে যে তারা ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা নীতি সংস্কার করে এবং ৩৬ জন নিরাপত্তা অফিসার নিয়োগ করে।

     

     

     

  • Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    Donald Trump: ৯০ দিন স্থগিত ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি, একমাত্র ব্যতিক্রম চিন, শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি বিতর্ক ছড়িয়েছিল। এবার ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে চিনের (China) ক্ষেত্রে শুধু ব্যতিক্রম। সেদেশে শুল্কনীতি নিয়ে এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। তবে বিশ্বের বাকি সব দেশের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্য দেশগুলিকে শুল্কে আপাতত স্বস্তি দিলেও চিনের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চিনা পণ্যের উপর এ বার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য্য হবে। এনিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আশা করি ভবিষ্যতে কোনও এক জায়গায় গিয়ে চিন বুঝতে পারবে যে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশকে শোষণ করা গ্রহণযোগ্য নয়।’’

    বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

    আমেরিকার বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তালিকায় চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি যেমন ছিল, পাশাপাশি ভারত বা ইজরায়েলের মতো আমেরিকার মিত্র দেশও ছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, এই শুল্কনীতির বিষয়ে অনেক দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক কাউন্সিলের অধিকর্তা কেভিন হ্যাসেট সেসময় জানিয়েছিলেন, ৫০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঘটনা হল, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা চলছে আমেরিকার। গত বুধবার বিকেলেও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, শুল্ক এবং বাণিজ্য প্রসঙ্গে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

    গত সপ্তাহে বিক্ষোভ আমেরিকায়

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার অন্দরেও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই আবহে গত সপ্তাহেই আমেরিকায় ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। আন্দোলনে নামেন আমেরিকার নাগরিকরা। হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ট্রাম্প সরকারের নানা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি-সহ আমেরিকার সমস্ত বড় শহরে মার্কিন জনতা ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভগুলির মধ্যে অন্যতম ইস্যু ছিল শুল্কনীতিও।

    শুল্কনীতির প্রভাব আমেরিকার শেয়ার বাজারে

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Donald Trump) সাম্প্রতিক শুল্কনীতিতে অন্য দেশগুলির ওপরে যেমন প্রভাব পড়েছে। একইভাবে প্রভাব পড়েছে মার্কিন মুলুকেও। আমেরিকার শেয়ার বাজারে এমন পরিস্থিতিতে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার মার্কেটের টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার বাজারে পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকজনই।

    ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে

    এই পরিস্থিতিতেই বড় ঘোষণা করতে শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চিন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। যদিও কী কারণে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটালেন ট্রাম্প, সেবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে কোনও ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে মেলেনি। তবে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে হাল আবার ফিরতে শুরু করেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারের দু’টি সূচক ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ এবং ‘ন্যাসড্যাক’ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

    চিনের সঙ্গে চলছে তীব্র কূটনৈতিক সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরেন। এর পর থেকেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়। দু’দেশের শুল্ক সংঘাত শুরু হতেই কূটনৈতিক লড়াই আরও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এরপরে তা আরও ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক টানাটানিতে পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে চিন। এরপরে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেন চিনা পণ্যের উপর। এই আবহে মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১০৪ শতাংশ। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করতেই ফের পাল্টা দেয় চিন। করে চিন। মার্কিন পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় বেজিং। এই পরিস্থিতি দাঁড়ায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক এবং চিনা বাজারে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক! এরপরে চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, “বিশ্ব বাজারের প্রতি কোনও সম্মান দেখায়নি চিন।” সেই কারণেই চিনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

  • China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ প্রতিহত করতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন (China India Relation)। চিনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক (Trade War) আরোপ করেছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, “চিনের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী উৎপাদন ভিত্তি বাকি বিশ্বের জন্য ইতিবাচক পরিসর তৈরি করেছে।” তিনি বলেন, “চিন-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার ওপর প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহারে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একত্রিত হওয়া উচিত বিশ্বের দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের। বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। সব দেশের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতার পথ অনুসরণ করা।”

    ইউ জিংয়ের বক্তব্য (China India Relation)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে এমন একটি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত চিনা অর্থনীতি। গোটা বিশ্বের ওপর আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত আপগ্রেডেড শিল্প ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চিনা উৎপাদন। গবেষণা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের ওপর একটি শক্তিশালী ফোকাসের ওপর নির্মিত আমাদের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় সমর্থক চিন। এই বহুপাক্ষিকতাই বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য বাকি বিশ্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” মার্কিন শুল্ক আরোপের আগেই আমেরিকাকে তোপ দেগেছিল চিন। বলেছিল, “ভুলের ওপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও একবার আমেরিকার ব্ল্যাকমেইল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।” বেজিং জানিয়ে দিয়েছিল, “আমেরিকা যদি এভাবেই চলার কথা ভাবে, তাহলে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”

    শুল্ক যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারও চিনের ওপর ৩৪ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চিন শুক্রবার একই হারে শুল্ক চাপিয়ে দেয় মার্কিন পাণ্যের ওপর। চিনের এই পদক্ষেপের পরেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, চিন যদি এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে তাহলে মঙ্গলবারের মধ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চিনা পণ্যের ওপর (China India Relation)। সেই মতো মঙ্গলবার বেজিংয়ের ওপর চাপানো হয় আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক। প্রথমে ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল, পরে দুধাপে চাপানো হয় আরও ৩৪ ও ৫০ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনের ঘাড়ে (Trade War) মোট শুল্কের বোঝা চাপল ১০৪ শতাংশ।

    ভারতের অবস্থান

    চিনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও, ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন ২৬ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এটি কার্যকর হয়েছে আজ, বুধবার থেকে। গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর থেকে বাজার ধসের মুখে থাকায় এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেখানে এই প্রভাব কমানোর কৌশল নির্ধারণ করা হবে। চিন যখন আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটছে, তখন ভারত-সহ বেশিরভাগ দেশই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নিতে আগ্রহী। নয়াদিল্লির তরফে সক্রিয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। একের পর এক দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের আর্জি জানিয়েছে (China India Relation)।

    সতর্ক পদক্ষেপ

    ভারতের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হল, ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর, তামা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানিতে এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বারবার ভারতকে বাণিজ্য সম্পর্কের “বড় অপরাধী” বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক জেনেরিক ওষুধই পাঠানো হয় ভারত থেকে। তবে অটো পার্টস, রত্ন ও গয়নার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য প্রয়োজনে রফতানিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারত এই ইস্যুতে সতর্ক পদক্ষেপ করছে। ভারত আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পথে হাঁটছে না। এর বদলে মোদি সরকার (Trade War) সক্রিয়ভাবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছিল এই বছরের শুরুতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়। মার্চ মাসে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) শর্তাবলীতে রাজি হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লিকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতে, গত বছর রাশিয়ায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে হাতি ও ড্রাগনের উপমা ব্যবহার (Trade War) করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে এক সঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে (China India Relation)।”

  • Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    Donald Trump: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ আমেরিকায়, হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার কুর্সিতে বসেছেন গত জানুয়ারি মাসেই। এই আবহে তাঁর নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার আমেরিকান। শনিবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনের রাস্তাতে। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছেন আমেরিকার মানুষ। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার (USA) ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার এইরকমের মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রশাসনে পর পর কর্মীছাঁটাই, অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য নয়া নিয়ম চালু, শুল্ক নীতি- এই প্রতিটি সিদ্ধান্তেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। এই আবহে মসনদে বসার ৩ মাসের মধ্যেই দেখা গেল বিক্ষোভ।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?

    ম্যানহাটনে ট্রাম্প-বিরোধী (Donald Trump) মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে এক প্রতিবাদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ভীষণ ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত একদল মানুষ নিজেদের ইচ্ছামতো আমাদের দেশটাকে চালাচ্ছেন। আমাদের দেশ আর মহান নেই।’’ অন্যদিকে ওয়াশিংটনের রাস্তায় স্লোগান দিতে দিতে এক প্রৌঢ় বলেন, ‘‘নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে বাসে করে আমরা প্রায় ১০০ জন এখানে প্রতিবাদ (USA) জানাতে এসেছি। এই প্রশাসনের জন্য বিশ্ব জুড়ে বন্ধুদের হারাচ্ছি আমরা। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। দেশের মধ্যেও তারা বিভাজন তৈরি করছে। আমাদের সরকারকে ওরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    নীতি বদলাবে না সাফ জানালেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত দেখা গিয়েছে সেদেশের রাজধানী ওয়াশিংটনেই। হোয়াইট হাউসের অদূরে ন্যাশনাল মলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। আমেরিকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে এসেছেন তাঁরা। ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে ওয়াশিংটন। কিছু রিপোর্ট বলছে, শুধু ওয়াশিংটনেই ২০ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জমায়েতে শামিল হয়েছেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি, সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে ট্রাম্প (Donald Trump) অবশ্য কোনও বিরোধিতায় আমল দিচ্ছেন না। হোয়াইট হাউসে বসে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমার নীতি কখনও বদলাবে না।’’

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    Tulsi Gabbard: বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিধন নিয়ে উদ্বিগ্ন’, ভারতে এসে কী বললেন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন, হিন্দু নিধন’, নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট এই কথা জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাবধারাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসি।

    হিন্দু-নির্যাতন দুর্ভাগ্যজনক

    সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের। উল্লেখ্য, তুলসি গ্যাবার্ড নিজে হিন্দু। এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি সহানুভূতিশীল। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সর্বত্রই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন তুলসি। তিনি নিজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু নির্বাচিত সদস্য।

    ইসলামিক সন্ত্রাস নিয়ে সরব তুলসি

    আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসার পরে দ্বিতীয় বার বিভিন্ন দেশের সফরে বেরিয়েছেন তুলসি (Tulsi Gabbard)। রবিবার ভারতে এসেছেন তিনি। সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গেও বৈঠক করেন গ্যাবার্ড। এর পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খলিফার নীতি এবং শাসন চালু করা।’’

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছর অগস্টে গণ আন্দোলনের পরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা (Hindus in Bangladesh) নিশ্চিত করার কথাও বলেছে। গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি জানায়, হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আগেই সরব হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদির উপরেই ছাড়ছেন।

    বাংলাদেশের অভিমত

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন (Hindus in Bangladesh) প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসির (Tulsi Gabbard) কথায় ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের। তুলসির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। ১৭ মার্চ রাতেই এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনূসের সরকার বলে, ‘গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে এবং ইসলামি সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে।’ ঢাকার তরফ থেকে আরও বলা হয়, ‘আরও দুঃখজনকভাবে, তিনি এসব হুমকির শিকড় ইসলামি খিলাফতের শাসন ও পরিচালনার আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তুলসি গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়; বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র

    তবে, ঢাকা যাই বলুক না কেন, বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল ‘আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র’। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরও সেই দেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। এই আবহে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। ভারত সফরে এসে এবার এই কথাই ফের স্পষ্ট করেন তুলসি।

  • Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    Tulsi Gabbard: ‘খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়েও তুলসীর সঙ্গে কথা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছাতে ভারতে এসেছেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। সোমবার তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, সিং ও গ্যাবার্ডের মধ্যে বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে বৈঠকে নাকি রাজনাথ সিং দাবি করেন, মার্কিন নিবাসী খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনটিকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হোক।

    দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন

    সূত্রের খবর, সিং এবং গ্যাবার্ডের মধ্যে এই বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় জোরদার করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই সফর এবং বৈঠক ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রবিবার ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ৷ সেদিন রাতেই তিনি বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অজিত ডোভালের সঙ্গে। ওই বৈঠকে ডোভাল ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী ছাড়াও ছিলেন ভারতের গোয়েন্দা প্রধান, কানাডার গোয়েন্দা প্রধান, ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। সূত্রের খবর, অজিত ডোভালের সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে ৷ ভারতে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে তুলসি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণই হবে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষা

    ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব শুরু হয় এবং ২০২০ সালে ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় এটি একটি ব্যাপক গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উন্নীত হয়। গ্যাবার্ডের এই সফর এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার একটি প্রতিফলন। রাজনাথ সিং এবং তুলসী গ্যাবার্ডের বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়

    এই বৈঠকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়েও কথা হয়েছে। ভারত সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের দিকে ঝুঁকেছে। লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাগ্রিমেন্ট (LEMOA), কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্ট (COMCASA) এবং বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (BECA)-এর মতো চুক্তিগুলি দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। গ্যাবার্ডের সঙ্গে এই আলোচনা এই সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

    তুলসী গ্যাবার্ড-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্পর্ক

    ৪৩ বছর বয়সী তুলসী গ্যাবার্ড মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম হিন্দু সদস্য হিসেবে পরিচিত। তিনি হাওয়াই থেকে ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ত্যাগ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এবং এখন তাঁর প্রশাসনে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ভগবদ্গীতার হাতে শপথ নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সেই বইটি উপহার দিয়েছিলেন। গ্যাবার্ড ভারতের প্রতি তাঁর সমর্থনের জন্য পরিচিত। তিনি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফর করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন, যা ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।

    খালিস্তান প্রসঙ্গ

    নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) এবং তার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সোমবার দিল্লিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে রাজনাথ-গ্যাবার্ড বৈঠকে খলিস্তান-প্রসঙ্গ এসেছে বলেও খবর। জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন খালিস্তান নিয়ে একাধিক বার নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয়েছিল আমেরিকায়। এমনকি, ওই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে তলব করেছিল আমেরিকার আদালত।

    একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা

    খালিস্তান প্রসঙ্গের পাশাপাশি, ডোভাল এবং রাজনাথের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন, মাদক বিরোধিতা, সীমান্ত নিরাপত্তা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা, যৌনশোষণ রোধ, মানব পাচার, সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি এসেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম কোনও শীর্ষস্থানীয় মার্কিন আধিকারিক ভারত সফরে এলেন। আড়াই দিনের এই সফরে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্কে নিয়ে একাধিক বৈঠক করবেন গ্যাবার্ড। ভারত সফর শেষে তিনি যাবেন জাপান ও সেখান থেকে ফ্রান্সে পৌঁছবেন।

  • Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার। এই হামলার পর অন্তত ২৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযান ট্রাম্পের (Donald Trump)। হুঁশিয়ারির সুরে ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।” ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ট্রাম্প। তাঁরই নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা (Donald Trump)

    ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার ওপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভালো হবে না।” সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট একটি দেশ ইয়েমেন। দেশটির একদিকে রয়েছে লোহিত সাগর এবং অন্যদিকে রয়েছে এডেন উপসাগর। আর এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু মালবোঝাই জাহাজ নিত্য যাতায়াত করে (Donald Trump)। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই জঙ্গিদেরই শায়েস্তা করতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ ট্রাম্পের।

    হুথিদের হামলা

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস ও প্যালেস্তাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে হুথিরাও। এই হামলাকে (Donald Trump) তারা যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।” জানা গিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড়ে গিয়েছিল হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে। হুথিদের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এক মার্কিন কর্তা বলেন, “এই অভিযান সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে (Donald Trump)।”

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share