Tag: India

India

  • Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীররাতে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারতীয় সেনা। এর পরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রেডারকে নিশানা করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের ১৫টি শহরকে নিশানা করছিল পাকিস্তান। বুধবার রাতেই পাক হামলার এমন প্রচেষ্টা রুখে দেয় ভারতের সেনা। এর পরেই পাকিস্তানের রেডার ধ্বংস করতে শুরু করে ভারত। কাজে লাগানো হয় ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার UAS গ্রিড অ্যান্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে।

    কোন কোন শহরকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান?

    কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোরি, উত্তরলই, ভুজে হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। এই হামলার ক্ষেত্রে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তারা। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে তাদের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারত। ভারতের (Indian Army) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

    লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়

    মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তান (Pakistan) এবং অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা অভিযান চালায় ভারত (Indian Army)। অপারেশন সিঁদুরের আওতায় জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পর বুধবার রাতেই ভারতের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতকে নিশানা করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এমন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় দেশের সেনা। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় রেডার সিস্টেমকে নিশানা করে। আর তাতে লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লাহোর ইসলামাবাদ-সহ (Pakistan) একাধিক জায়গা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসতে থাকে। আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় পাক নাগরিকরা।এরপরেই পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতের ১২টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সাফল্য এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কেন্দ্রের তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামন।

    বিরোধী দলগুলির তরফে যাঁরা ছিলেন (Operation Sindoor)

    বিরোধী দলগুলির তরফে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টিআর বালু এবং সিপিআই(এম)-এর সাংসদ জন ব্রিটাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-এপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেডির সস্মীত পাত্র, জেডি (ইউ) নেতা সঞ্জয় ঝা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি (রামবিলাস) নেতা চিরাগ পাশোয়ান এবং (Operation Sindoor) এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

    কী বললেন কিরেন রিজিজু

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জবাবি হামলার পর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্বচ্ছতা ও ঐক্য গড়ে তোলা।” মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ক্যাম্পে মিসাইল হামলা চালায়। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকের লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও ছিল। পহেলগাঁওয়ে ২৮ জন অসামরিক নাগরিকের হত্যার জবাবে ভারত করে অপারেশন সিঁদুর (All Party Meeting)। তাতেই ধ্বংস হয় পাকভূমে থাকা জঙ্গিদের ডেরা।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে নেতাদের অবগত করতে সরকার গত ২৪ এপ্রিল একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছিল। বর্তমান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সামরিক অভিযানের কৌশলগত ফল ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবগত করতে (Operation Sindoor)।

  • Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    Pakistan Army: বিনা প্ররোচনায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ পাক সেনার, যোগ্য জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭-৮ মে মধ্যরাতের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাক সেনারা (Pakistan Army) ছোট অস্ত্র ও কামানের গোলা দিয়ে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গোলাবর্ষণ শুরু করেছে (LOC)। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক সেনা হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।

    পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণ (Pakistan Army)

    এদিকে, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় এক জওয়ানও শহিদ হন। ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার মঙ্গলবার গভীর রাতের গোলাবর্ষণে নিহত হন। হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লেখা হয়েছে, “জিওসি এবং হোয়াইটনাইট কোরের সকল সদস্যরা ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমারের সর্বোচ্চ ত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছেন, যিনি ৭ মে ২৫ তারিখে পাকিস্তান সেনার গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার সকল শিকার ব্যক্তির সঙ্গেও আমরা সংহতি প্রকাশ করছি।” জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৬ মে রাতে তাংধর এবং অন্যান্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অসামরিক এলাকাগুলিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে এবং ৭ মে পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখে। এই গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সাধারণ কাশ্মিরীর মৃত্যু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাকে পালাতে বাধ্য করা হন।

    ভারতীয় সেনার পাশে স্থানীয়রা

    স্থানীয়রা দৃঢ়ভাবে অটল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের প্রতি সমর্থন জানান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা (Pakistan Army)। তারই পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপারেশন সিঁদুরের পরেও বুধবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। এদিনও অসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। পুঞ্চ এবং রাজৌরি সেক্টরে অভিযানের পরেও গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা এই জায়গা ছেড়ে যাব না এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করব। যুদ্ধবিরতি আজও লঙ্ঘন হতে পারে। এই অভিযান একটি যথোপযুক্ত জবাব। আমরা এখান থেকে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছি, কিন্তু পুরুষরা এখানেই থাকব (LOC)।”

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বুধবার। এদিন মক ড্রিল করবে ভারত। এজন্য সারা হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এহেন আবহে সুর নরম করে ‘সন্ধির প্রস্তাব’ দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতও। তখনই বিলাওয়াল গর্জন করেছিলেন, “সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্তগঙ্গা বইবে।” এর পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ব্লক করে দেয় কেন্দ্র।

    কী বললেন জারদারি? (Bilawal Bhutto Zardari)

    পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনও হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।” তিনি বলেন, “ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়।” বিলাওয়াল বলেন, “আসুন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সঙ্কল্প আছে। কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, আমরা ভালোবাসি স্বাধীনতা।”

    ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন 

    পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সে কি আলোচনা করবে নাকি ধ্বংস হবে? সহযোগিতা করবে নাকি সংঘাত চায়?” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা যাবে না। একে ন্যায়ের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। গুলি দিয়ে একে উৎখাত করা যাবে না, আশা দিয়ে নিরস্ত্র করতে হবে।” বিলাওয়াল বলেন, “জাতিগুলিকে দানব হিসেবে চিত্রিত করে নয় (Pakistan), বরং যে অভিযোগগুলি এর জন্ম দেয়, সেগুলির মোকাবিলা করেই একে পরাস্ত করতে হবে (Bilawal Bhutto Zardari)।”

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

  • S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়।” রবিবার ঠিক এই ভাষায় ইউরোপের (Europe) দেশগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। জয়শঙ্করের মতে, ইউরোপকে এখন বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরও কিছু সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন। শুধুই পরামর্শ দিলে হবে না। আদর্শগত মতাপর্থক্য সরিয়ে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমেই আমেরিকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা (S Jaishankar)

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সংঘাত মেটাতে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক পথে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বলি না, এটা করো বা ওটা করো না। এটাই স্বাভাবিক সৌজন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয় না। তাই আমাদের কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা অংশীদার খুঁজি। আমরা পরামর্শদাতা খুঁজি না। বিশেষ করে সেই সব পরামর্শদাতা যারা নিজের দেশে আচরণ না করে বিদেশকে উপদেশ দেয়। আমার মনে হয়, ইউরোপের কিছু অংশ এখনও সেই সমস্যার সঙ্গে সংগ্রাম করছে। এর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি বলেন, “ইউরোপ বাস্তবতা যাচাইয়ের একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন তারা এটির মুখোমুখি হতে পারবে কিনা, সেটা আমাদের দেখতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি আমরা একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অবশ্যই কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে, সংবেদনশীলতা থাকতে হবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকতে হবে এবং বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে উপলব্ধি থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মাত্রায় অগ্রগতি হচ্ছে। তাই কেউ কেউ বেশি এগিয়েছে, কেউ বা কিছুটা কম (Europe)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারতের রাশিয়া বাস্তববাদের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতার দিকটি তুলে ধরেন, যেখানে একপক্ষ সম্পদের জোগানদার এবং অন্যপক্ষ ভোক্তা হিসেবে কাজ করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই পশ্চিমি বিশ্বের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তববাদের মৌলিক নীতিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেভাবে আমি রাশিয়ান বাস্তববাদের পক্ষে, সেভাবেই আমেরিকান বাস্তববাদেরও পক্ষপাতী। বর্তমান সময়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম উপায় হল মতাদর্শগত পার্থক্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং সাধারণ স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা, যা একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ম্লান হতে দেয় না।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্পদ প্রদানকারী ও ভোক্তা হিসেবে দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতা রয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবসময়ই রাশিয়া বাস্তববাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি (Europe)। ২০২২-২০২৩ সালের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছিল, যা সময়ের পরীক্ষায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।” এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে রাশিয়া। পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি লাভরভকে জানান, পহেলগাঁও হামলায় ষড়যন্ত্রকারী, সাহায্যকারী, সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। লাভরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যুদ্ধের বদলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথেই ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নিয়েও লাভরভ ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়।

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (S Jaishankar), দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার (Europe) পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে দুজনে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসরণ করে দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন লাভরভ (S Jaishankar)।

  • Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    Chenab: জলসঙ্কট পাকিস্তানে! চেনাব নদীর ওপর জোড়া বাঁধ বন্ধ করল ভারত, চলছে পলি সরানোর কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই আবহে ফের কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লি। ভারত চেনাব নদীর (Chenab) বাগলিহার বাঁধ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সরকার ঝিলম নদীর উপর নির্মিত কিষাণগঙ্গা প্রকল্পেরও জলপ্রবাহ কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ সিন্ধু নদের জল একফোঁটাও যাতে পাকিস্তান না পায় সেদিকেই এগিয়ে চলেছে ভারত সরকার। চেনাব নদীর বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বেশ বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    পাকিস্তানে প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে

    জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ভারত বাগলিহার ও সালাল বাঁধের পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে ভারত। এর ফলেই পাকিস্তানে (Pakistan) প্রবাহিত জলের পরিমাণ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতে এমন আরও ৬টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। সেগুলিতেও পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হবে। জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রবিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায়, ভারত নির্দ্বিধায় এই বাঁধগুলিতে ‘ডি-সিলটেশন’ কাজ করতে পারে। কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আপত্তিও টিকবে না। তিনি আরও জানান, কিষাণগঙ্গা প্রকল্পের জন্যও একই ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, এভাবেই ধীরে ধীরে কিষাণগঙ্গার বাঁধ থেকেও পাকিস্তানের জল সরবরাহ (Chenab) একেবারে বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে সবদিক থেকেই তেড়েফুঁড়ে নেমেছে নয়াদিল্লি।

    জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের আধিকারিককী বলছেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বাগলিহার ও সালাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যে গেটগুলি তা বন্ধ করে দিয়েছি (Chenab)। বর্তমানে আমরা জলাধার থেকে পলী অপসারণ কাজ শুরু করেছি। শনিবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, শনিবারই পাকিস্তানের মাটিতে পরীক্ষা করা হয়, ব্যালিস্টিক মিসাইল। পাক ভূমে এমন পরীক্ষা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত এমন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দেশের সমস্ত বন্দরে পাকিস্তানের (Pakistan) পতাকা বহনকারী জাহাজের ডকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লখ করা দরকার, পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রকমের কূটনৈতিক সম্পর্কই প্রায় শেষ করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। বাণিজ্য থেকে জলচুক্তি সবকিছুই।

    দেশের নাগরিকদের সুবিধায় ব্যবহার করা হবে সিন্ধুর জল

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত হল কিষাণগঙ্গা বাঁধ। এটি একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্র সরকার এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেটগুলিকে বন্ধ করে নদীর প্রবাহ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এই জঙ্গি হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের রুখতে গিয়ে নিহত হন এক স্থানীয় মুসলিম যুবক। এরপরেই দীর্ঘ ৬০ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। এ নিয়েই জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের দেশ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে রেখেছে, তাই আমরা স্বাভাবিকভাবে এবার থেকে আমাদের নাগরিকদের সুবিধা মতো  নদীর জল ব্যবহার করতেই পারি। সে বিষয়ে সকল সম্ভাব্য প্রচেষ্টা আমরা শুরু করেছি।’’

    উত্তর ভারতে জল সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল

    শনিবারই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক সিন্ধু প্রণালীর নদীগুলি থেকে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে আরও জল সরবরাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট বৈঠকের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এনিয়ে জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন,‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের (Chenab) প্রায় ৫০ জন অধিকর্তা ইতি মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে এ নিয়ে কাজ করছেন।’’

    কোন কোন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে?

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারত চেনাব নদী এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীগুলির ওপর চারটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৭ ও ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রত্যেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল – পাকাল দুল (১,০০০ মেগাওয়াট), কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট) এবং রাটল (৮৫০ মেগাওয়াট) – এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন (জেকেএসপিডিসি) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ ও ২০২২ সালে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছিলেন।

LinkedIn
Share