Tag: India

India

  • National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ২২ জুলাই জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনেই গৃহীত হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ভারতের গণপরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তিরঙ্গা’কে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করে। জাতীয় পতাকার (National Flag Day) বর্তমান নকশাটি তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। ‘তিরঙ্গা’ শব্দের অর্থ হল ‘ত্রিবর্ণ রঞ্জিত’।

    নিবেদিতার পতাকা (National Flag Day)

    প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা বিকশিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা কেমন হবে, তার বিভিন্ন নকশা প্রস্তাবিত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম পতাকাটি ছিল ১৯০৪ সালে, যা তৈরি করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এই পতাকাটি ছিল লাল এবং হলুদ রঙের এবং তা বিজয় ও শক্তির প্রতীক ছিল। ওই পতাকায় লেখা ছিল ‘বন্দেমাতরম’।

    বর্তমান জাতীয় পতাকায় তিনটি রঙ (National Flag Day)

    পরবর্তীতে জাতীয় পতাকার বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা রয়েছে, তাতে তিনটি রঙ দেখা যায়—গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। জাতীয় প্রতীক হিসেবে চরকার পরিবর্তে অশোকচক্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত (India) স্বাধীনতা লাভ করে এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশপ্রেমের অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে (India)

    ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশবাসীর জন্য গর্ব, দেশপ্রেম এবং জাতীয় ঐক্যের এক অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। একই সঙ্গে, এই দিনটি নাগরিক কর্তব্যকেও মনে করিয়ে দেয়। ভারতের জাতীয় পতাকা ‘ফ্ল্যাগ কোড’-এ বর্ণিত রয়েছে। ভারতীয় জাতীয় পতাকার প্রতিটি রঙের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ আছে, যা দেশের মূল আদর্শ ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

    জাতীয় পতাকার তিন রঙ কিসের প্রতীক (National Flag Day)

    এছাড়া, এটি ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ ও সংগ্রামকেও তুলে ধরে। যেমন—

    গেরুয়া রঙ সাহসিকতা ও ত্যাগের প্রতীক,

    সাদা রঙ পবিত্রতা, সত্য ও শান্তির প্রতীক,

    সবুজ রঙ উর্বরতা, বৃদ্ধি ও শুভভাগ্যের প্রতীক।

    পতাকার মাঝখানে নীল রঙের যে অশোকচক্র রয়েছে, তা জীবনের অবিচ্ছিন্ন গতির প্রতীক এবং একটি জাতির অগ্রগতিকে (National Flag Day) চিহ্নিত করে।

  • India Maldives Relation: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দ্বীপরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    India Maldives Relation: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দ্বীপরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের! দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র (Island Nation) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India Maldives Relation)। ২৫ জুলাই গিয়ে তিনি ভারতে ফিরবেন পরের দিন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ভারত ও তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা। এটি হবে মোদির তৃতীয় মলদ্বীপ সফর। আরও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, চিন-প্রেমী মহম্মদ মুইজু রাষ্ট্রপতি হিসেবে মলদ্বীপের দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।

    মোদি যাচ্ছেন ব্রিটেনেও (India Maldives Relation)

    মলদ্বীপ সফরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন দু’দিনের ব্রিটেন সফরে। ২৩-২৪ জুলাই তিনি সে দেশে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের আমন্ত্রণে। এটি হবে মোদির চতুর্থ ব্রিটেন সফর। সেখানে তিনি স্টারমারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। এর মধ্যে যেমন থাকবে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, তেমনি থাকবে জলবায়ু পরিবর্তনও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। তবে গোটা দেশের নজর আপাতত নিবদ্ধ প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরের দিকেই।

    মোদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে মলদ্বীপ

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফর প্রতীকী তো বটেই, কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে (২৬ জুলাই) ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই এটি একটি সরকারি সফর নয়, বরং এর মধ্যে গভীর কূটনৈতিক বার্তাও নিহিত রয়েছে (Island Nation)। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন চিন-প্রেমী মুইজ্জু। তার পরেই প্রথা ভেঙে ভারতের বদলে (India Maldives Relation) তিনি প্রথমেই চলে যান চিন সফরে। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারেরই তিন মন্ত্রী। ‘ইন্ডিয়া আউট’ আওয়াজও ওঠে মুইজ্জুর দেশে। এই সবের জেরে চিড় ধরে ভারত-মলদ্বীপ বন্ধুত্বের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে। ভারতীয় পর্যটকরা ‘বয়কট মলদ্বীপে’র ডাক দেন। এর পরেই জমে যায় খেলা! মুখ থুবড়ে পড়ে পর্যটন-নির্ভর এই দেশটির অর্থনীতি। কারণ মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ৮০ শতাংশই ভারতীয়। বিপদের আঁচ পেয়ে ভারতীয় পর্যটকদের ফের মলদ্বীপমুখী করে তুলতে উদ্যোগী হয় মুইজ্জু প্রশাসন।

    ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন

    উল্লেখ্য, এই মুইজ্জুই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর পরে দুই দেশই পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফের মজবুত করার চেষ্টা করে। ভারত মলদ্বীপে নিযুক্ত বিমান পরিচালনায় সাহায্যকারী সেনা সদস্যদের পরিবর্তে টেকনোলজিস্ট পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। আর নয়াদিল্লি মলদ্বীপকে (Island Nation) দেয় মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা। ২০২৫ সালের বাজেটে মলদ্বীপকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় ৬০০ কোটি টাকা (India Maldives Relation)। গত বছর এই সাহায্যের পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি টাকা।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড়

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই পদক্ষেপগুলি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে একটা বড় পদক্ষেপ। বস্তুত, এতেই মিলিয়ে যেতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের চিড়। ২০২৪ সালের ৯ জুন মুইজ্জু ভারতে আসেন, যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। ভারত সফর শেষে মলদ্বীপে ফিরে গিয়ে মুইজ্জু এই সফরকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেন। ভারতের তরফে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি যে আনন্দিত, তাও জানান মুইজ্জু। পরে তিনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জানিয়ে দেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য খুব শীঘ্রই ফের ভারত সফরে যাবেন তিনি (Island Nation)।

    মলদ্বীপ ও চিনের সম্পর্ক    

    গত এক দশকে মলদ্বীপ ও চিনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, বিশেষত চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে থাকায়। ২০১৪ সালে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে অংশ নেওয়ার পর থেকে মলদ্বীপ চিনা ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে, যা দেশটির মোট সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশ। চিন মলদ্বীপে বিশাল পরিকাঠামোগত প্রকল্প, যেমন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিন-মলদ্বীপ মৈত্রী সেতুতে অর্থায়ন করেছে (India Maldives Relation)। ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের পাশে অবস্থিত মলদ্বীপ। এখান দিয়েই চিনের প্রায় ৮০ শতাংশ তেল আমদানি হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বেজিং চায় মালেতে (মলদ্বীপের রাজধানী) এক অনুকূল সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকুক, যাতে পারস্য উপসাগর থেকে তেল আমদানির পথ সুরক্ষিত থাকে (Island Nation)।

    ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

    চিনের এই পদক্ষেপে প্রমাদ গোণেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, চিন মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এটি ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। তবে এখন বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক ছবি। চিনের ঋণের বোঝা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপ। অর্থনৈতিক সংকট ও ঋণসংকটে ভুগতে থাকা মলদ্বীপ এখন বুঝতে পেরেছে তার প্রকৃত বন্ধু কে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই ফের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকে ঝুঁকছে মুইজ্জুর দেশ (India Maldives Relation)।

  • Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    Pakistan: “আমরা টিআরএফ-কে অবৈধ বলে মনে করি না,” বললেন পাক বিদেশমন্ত্রী দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট)-কে (TRF) অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” সম্প্রতি নির্লজ্জভাবে কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে টিআরএফ বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ১৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিআরএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আমেরিকার এই ‘দাওয়াই’ ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার কূটনৈতিক ও কৌশলগত একটি বড় ধাক্কা।

    কী কবুল করলেন দার (Pakistan)

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পাকিস্তান। এই অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় দু’বছরের জন্য। এদিন দার কবুল করেন, “পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে পহেলগাঁওয়ে হামলার নিন্দা জানানোয় নিরাপত্তা পরিষদের জারি করা বিবৃতিতে টিআরএফের নাম মুছে ফেলতে হস্তক্ষেপ করেছিল।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছি। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাজধানী থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা কখনওই মেনে নেবে না।” তিনি বলেন, “টিআরএফের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান জিতেছে।”

    হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি টিআরএফের

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে টিআরএফ নিজেই। ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও আলাদা আলাদাভাবে লস্কর-ই-তৈবার পরিকাঠামোর সঙ্গে টিআরএফের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে। তার পরেও দার (Pakistan) নির্লজ্জভাবে দাবি করেন, “আমরা টিআরএফকে অবৈধ বলে মনে করি না। প্রমাণ দিন যে তারা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে। টিআরএফ যে ওই কাজে যুক্ত, তার প্রমাণ দেখান। আমরা এই অভিযোগ মেনে নেব না।” উল্লেখ্য যে, এই মন্তব্যগুলি শুধু পাকিস্তানের (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে দ্বিচারিতা প্রকাশ করে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিনের উদ্বেগকে ফের নিশ্চিত করে যে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে (TRF)।

    আমেরিকার প্রতিক্রিয়া

    দারের মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও টিআরএফকে একটি স্বীকৃত বিদেশি জঙ্গি সংগঠন (FTO) এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসে জড়িত বিশেষভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ঘোষণা করেন। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “টিআরএফ, যা লস্কর-ই-তৈবার একটি ফ্রন্ট ও প্রতিনিধি গোষ্ঠী, ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে, যেখানে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন।” তারা আরও জানিয়েছে যে, টিআরএফ নামের এই গোষ্ঠী গত এক বছরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডকে ২০০৮ সালের পর ভারতে নিরীহ মানুষের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ভারত

    ট্রাম্প সরকারের এই পদক্ষেপকে পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি মদতদাতাদের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সহযোগী টিআরএফকে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণার জন্য সেক্রেটারি রুবিও এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সংগঠনই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দারের এহেন মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষায় ইসলামাবাদের কূটনৈতিক ছলচাতুরির মুখোশ খুলে দিয়েছে (TRF)। তারা নিজেরাই নিজেদের ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে আমেরিকা ভারতের পাশে থাকায় পাকিস্তানের দ্বিচারিতা এখন বৈশ্বিক পর্যায়ে নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণের মুখোমুখি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলল চিন

    এদিকে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মূলত চিনের আপত্তিতেই নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় টিআরএফ এবং লস্করের মতো শব্দগুলি। এর পরেই পাকিস্তান আশা করেছিল, টিআরএফ ইস্যুতেও আমেরিকার অবস্থানের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে থাকবে শি জিনপিংয়ের দেশ। তবে শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান সাফ জানিয়ে দেন, “চিন দৃঢ়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে।”

  • India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    India Bloc: বাদল অধিবেশনের আগে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) আগে দেশজুড়ে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়া ব্লকের (India Bloc) শীর্ষ নেতারা। তবে সেই বৈঠকে ঐক্যের বদলে ধরা পড়ল অনৈক্যের ছবিই। সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ইন্ডিয়া জোটে ফাটলের এই ছবির প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বৈঠকে অনৈক্যের ছবি (India Bloc)

    এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ২৪টি রাজনৈতিক দল। আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিল আম আদমি পার্টি। এই বৈঠকে যেসব বিষয়ে ঐক্য এবং অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলি হল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাম-আরএসএস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সিপিআই নেতা ডি রাজা। সম্প্রতি রাহুল কেরালার বাম আদর্শের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন আরএসএসের সঙ্গে। তা নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দেন রাজা। জোট রাজনীতিতে শরিকদের মধ্যে সমালোচনা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকা উচিত বলে রাহুলকে মনে করিয়ে দেন এই সিপিআই নেতা।

    বাদল অধিবেশনে হতে পারে হইচই

    এদিনের বৈঠকে ইন্ডিয়া ব্লকের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের দাবি জানান কয়েকজন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার এবং রাম গোপাল যাদব-সহ কয়েকজন। তাঁরা জানান, অনিয়মিত যোগাযোগ কৌশলগত পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অগাস্টের শুরুতে জোটের আর একটি বৈঠক হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের দাবিও ওঠে ইন্ডিয়া জোটের এই বৈঠকে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা সংসদে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার দাবি তোলার আহ্বানও জানান। উপস্থিত নেতারা এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেন। গত এপ্রিলে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। এই হামলাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চায় ইন্ডিয়া ব্লক। আসন্ন বাদল অধিবেশনে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যর্থতা নিয়েই সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপস্থিত নেতারা (Monsoon Session)।

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনার আহ্বান

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান ও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করার আহ্বান জানানো হয় এদিনের বৈঠকে। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাওবাদী বিরোধী অভিযান এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক (India Bloc) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়টি উত্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি এই সংঘাত মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে একটি বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। গোয়েন্দা ব্যর্থতা, পেগাসাস এবং এনআরসি নিয়ে সংসদে যে তৃণমূল সোচ্চার হবে, এদিন তারও ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পহেলগাঁও হামলার পরেও কেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল। তাঁর অভিযোগ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এসআইআর-কে এনআরসি বাস্তবায়নের এক গোপন পথ হিসেবেও তুলে ধরেন তিনি।

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি

    ট্রাম্পের বারবার যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ বার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানোর দাবি করেছেন। এনিয়ে চুপ করে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে জোট গভীরভাবে উদ্বিগ্ন (Monsoon Session)।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে। তিওয়ারি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য ছিল।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির শাসন কালে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে (India Bloc)। বিহারে এসআইআর নিয়ে ঘোষণা ছাড়াই জরুরি অবস্থার অভিযোগও ওঠে। বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বিরোধী জোট একে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক ছদ্ম চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে তারা ঘোষণাহীন জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে।

    অনৈক্যের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আগেও

    এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না আম আদমির পার্টির তরফে কেউ। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি ইন্ডিয়া ব্লক থেকে ক্রমেই দূরত্ব বাড়াচ্ছে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Monsoon Session)! প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এনডিএকে ঠেকাতে জোটবদ্ধ হয় দেশের ২৬টি বিজেপি বিরোধী দল। এই জোটেরই নাম হয় ইন্ডিয়া ব্লক (India Bloc)। জন্মলগ্ন থেকেই এই জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ বিবাদ। কখনও প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন তা নিয়ে জোটের অন্দরেই দেখা গিয়েছে অসন্তোষ, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায় এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জোটের। এছাড়াও জোটের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েও একাধিকবার চোখে পড়েছে জোটের ফাটল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফাটল আরও চওড়া হয়। বিহার নির্বাচনের আগে সেই জোটই তুলে ধরতে চেয়েছিল ঐক্যের ছবি। যদিও (Monsoon Session) প্রকাশ্যে যা এল, তার সঙ্গে ঐক্যের ফারাক বিস্তর (India Bloc)।

  • China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সীমান্তঘেঁষা তিব্বতের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল চিন (China)। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো (যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) নদীর নিম্নভূমিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।

    কেন ভারতের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে?

    তিব্বতের এই ইয়ার্লুং সাংপো নদ ভারতে প্রবেশ করে অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত হয় এবং এরপর অসমে এসে ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra River) নাম ধারণ করে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে চিন একাধিক পর্যায়ে নদীর উপর নির্মাণকাজ চালিয়ে আসছে। এতে নদীর জলের স্তর হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই বাঁধের কারণে অসম, অরুণাচল সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে জলসংকট দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করেছেন, তিব্বতে চিনের (China) এই বাঁধ ভারতের জন্য এক গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, এই বাঁধ কার্যত একটি বিস্ফোরক সময়বোমার মতো।

    প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও

    চিনের (China) এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। যদিও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবু নয়াদিল্লি পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের একটি বাঁক বরাবর, যার ফলে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চিনের হাতে চলে যেতে পারে। বর্ষাকালে নদীতে অতিরিক্ত জল ছেড়ে নিচের দিকের এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং শুষ্ক মৌসুমে জলধারণ কমিয়ে দিয়ে তীব্র জলাভাব তৈরি করার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, ফলে এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। নদীর স্বাভাবিক গতি কৃত্রিমভাবে বাঁধা দিলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নির্মিত বাঁধ পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং (China)।

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝু শহর। এই শহরেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ গুম্ফা। এর ভিত্তি ও স্তম্ভে হিন্দু (Hindu Temple) চিত্রকলা খোদাই করা আছে। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘকাল সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য হত। পণ্যবাহী জাহাজ ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে মালাক্কা প্রণালী (সিঙ্গাপুর) হয়ে ভিড়ত চিনের বন্দরে।গুম্ফায় খোদাই করা ছবিতে রয়েছে সিংহ, যা দক্ষিণ ভারত বা চিনের কোনওটি থেকেই উৎপত্তি হয়নি। তবুও সিংহ ভারত ও চিনে রাজসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কার (সিংহল অর্থাৎ সিংহ জাতি) ও সিঙ্গাপুরের (সিংহপুরা অর্থাৎ সিংহদের শহর) নামেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে কীভাবে পণ্যের পাশাপাশি কনসেপ্টগুলিও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গিয়েছিল।

    ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণ (Hindu Temple)

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক বণিক জমির মালিককে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেন। মালিক জমি দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁর তুঁত গাছে সাদা পদ্মফুল ফোটে, তবেই তিনি জমি দেবেন। এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটার পরেই মালিক জমি দেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ মন্দির, যা গুম্ফা নামে পরিচিত। এই জায়গাটি পরে বিভিন্ন বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও বণিকদের দ্বারা নানা ধরণের মন্দির নির্মাণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই আজও দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ, যাঁকে পুজো করছে একটি হাতি। আর একটি চিত্রে শিবকে দেখা যায় জটাজুটধারী হিসেবে।

    ভগবান নৃসিংহের ছবি

    ভগবান নৃসিংহের একটি ছবিও রয়েছে। এটি দক্ষিণ ভারতের একটি বিরল রূপ। এঁকে ব্যাঘ্রপাদ বলা হয়, যিনি শিবের এক বাঘ-পদধারী ভক্ত। আর একটি ছবিতে দেখা যায় মা পার্বতীর পায়ের কাছে একটি অসুর বসে রয়েছে। এঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিনা ঐতিহ্যের করুণাময় নারী বোধিসত্ত্ব গুয়ান ইনের এক রূপ বলে পুজো করেন। এখানে একটি স্তম্ভও রয়েছে, যা দেখতে শিবলিঙ্গের মতো। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি একটি পাথরের বাঁশের কুঁড়ি। কিন্তু সম্ভবত এটি একটি শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রথমে ভারত-চিনের (China) মধ্যে বাণিজ্য হত স্থলপথে, মধ্য এশিয়ার মাধ্যমে। পরে মৌসুমি বায়ুর সুবিধা কাজে লাগাতে চালু হয় সমুদ্রপথ (Hindu Temple)।

    মহাভারতে চিনের উল্লেখ

    সবচেয়ে প্রাচীন রামায়ণের পাণ্ডুলিপিতে চিনের কোনও উল্লেখ নেই। তবে সবচেয়ে পুরনো মহাভারতের পাণ্ডুলিপিতে চিনের উল্লেখ রয়েছে। চিন প্রথমে ভারতের সঙ্গে পরিচিত হয় উপজাতিগুলির মাধ্যমে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ সালের দিকে। পরে খ্রিস্টীয় ২০০ সালের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয় এই দুই প্রতিবেশী দেশের। এই সময়টি ছিল হান সাম্রাজ্যের যখন চিন এক হয়েছিল। ভারতকে তারা ডাকত  শেন্দু (সিন্ধু থেকে উদ্ভূত) এবং থিয়েনচু (স্বর্গীয় বাঁশবন — বৌদ্ধ শব্দ ‘বেনু- বন’ থেকে উদ্ভূত) নামে। বৌদ্ধধর্মকে চিনে স্বাগত জানানো হয়েছিল এমন একটি কঠিন সময়ে যখন সে দেশে গৃহযুদ্ধ চলছিল। বৌদ্ধধর্মা সেই সময় চিনাদের মানসিক শান্তি এনে দিয়েছিল।

    বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহ

    তাং যুগে চিন ভারত থেকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহিত করে। এই সময়ই সংস্কৃত ভাষায় রচিত বৌদ্ধ আদর্শগুলি চিনা লিপিতে অনুবাদ করা শুরু হয়। এই সময়ের শেষের দিকে চিনের কনফিউশীয় পণ্ডিতরা বৌদ্ধধর্ম ও লিঙ্গ পুজোর মতো প্র্যাকটিশের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেন। সোং যুগে চিনকে বৌদ্ধ ধর্মের কেন্দ্র হিসেবে দেখা হত। এই সময়ে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতন ঘটে। সেই সময় বহু মানুষ চিনে ভ্রমণ করতে থাকেন। তাঁরা একে মৈত্রেয় বুদ্ধ, মঞ্জুশ্রী এবং অমিতাভ বুদ্ধের দেশ হিসেবে বিবেচনা করতেন (Hindu Temple)।

    মৌসুমী বায়ুর ব্যবহার

    তবে এই সময় চিনে যাওয়ার স্থলপথগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে মোঙ্গল সেনার উত্থানের কারণে। তাই সমুদ্রপথই চিনে যাওয়ার প্রধান পথ হয়ে ওঠে (China)। এই সময়ই দক্ষিণ ভারতের চোল রাজারা ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে চিনের রাজদরবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। মৌসুমী বায়ু ব্যবহার করে প্রায় ৩০ দিনে জাহাজগুলি আরব থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছত। এরপর ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে আরও ৩০ দিনে যেত মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত। তারপর আরও ৩০ দিনে পৌঁছত চিনে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ, যেখানে আরব থেকে ঘোড়া সমুদ্রপথে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে নিয়ে যাওয়া হত, বিশেষত যখন স্থলপথ অবরুদ্ধ থাকত (Hindu Temple)।

    হিন্দু মন্দির

    এর বদলে চিন থেকে রেশম, রূপা, চা এবং চিনামাটি রফতানি হত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সোনা, ভারতীয় সূতিবস্ত্রের বিনিময়ে লেনদেন হত। মশলা ও সুগন্ধি উদ্ভিদও এই বাণিজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল এক বিস্তৃত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক (China)। ভারতের একটি শক্তিশালী বণিক সংঘ এই বাণিজ্যের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এই বাণিজ্যের ফলে রাষ্টকূট রাজবংশ, যারা খ্রিস্টীয় ৮০০ সালের দিকে কর্নাটকের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করত প্রচুর সমৃদ্ধ হয়। এই সম্পদ ভারতের প্রাচীনতম কিছু মন্দির নির্মাণে এবং দক্ষিণ-পূর্ব চিনের কিছু মন্দির প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল (Hindu Temple)।

  • NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT)-র অষ্টম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের ঔপনিবেশিক যুগ সংক্রান্ত অংশে টিপু সুলতান, হায়দর আলি এবং সপ্তদশ শতকের অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধগুলির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এই বইয়ে (Social Science) এই সময়কালকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন একটি যুগ হিসেবে, যখন ভারত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। ‘এক্সপ্লোরিং সোশ্যাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামে বইটির প্রথম ভাগ এই শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি প্রকাশিত হওয়ার কথা বছর শেষে।

    ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (NCERT)

    এই অধ্যায়ে ঔপনিবেশিক সময়কাল ধরা হয়েছে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার আগমন থেকে শুরু করে অষ্টাদশের শেষ দশক পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের মহা বিদ্রোহ। এতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ব্রিটিশরা ব্যবসায়ী থেকে শাসকে পরিণত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে ‘আ ব্যাটেল দ্যাট মার্কড এ টার্নিং পয়েন্ট অ্যাজ দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ বাংলার নবাবকে পরাজিত করেছিল। এই সময়কালে ভারতের ড্রেন অফ ওয়েল্থ-এর কথাও বিশদভাবে বলা হয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭০০-এর দশকের সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, এবং ১৮০০-এর দশকে বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহ (NCERT)

    মারাঠাদের নিয়ে পৃথক অধ্যায়

    বইটিতে মারাঠাদের নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায়ে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধগুলি (১৭৭৫–১৮১৮) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশরা মুঘল বা অন্য যে কোনও শক্তির তুলনায় মারাঠাদের কাছ থেকেই ভারতে আধিপত্য নিয়েছে (Social Science)। অষ্টম শ্রেণির আগের পাঠ্যবইয়ে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্প্রসারণ তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে মহীশূরের শাসক হায়দর আলি ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের প্রতিরোধ এবং ১৭০০-এর দশকে সংঘটিত চারটি অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ ছিল। মারাঠাদের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘাতের কথাও সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। পাঠ্যবইটি “উপনিবেশবাদের যুগ” এবং ইউরোপীয় সম্প্রসারণকে ১৫শ শতক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বর্ণনা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপনিবেশবাদীরা যদিও নিজেদের সভ্যতার বার্তাবাহক বলে দাবি করত, আদতে তারা ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা ধ্বংস এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার কাজই করেছে।

    উন্নত ভারত

    নতুন বইটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে যে, ষোড়শ শতকের আগে যখন ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেনি, তখন ভারত বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক চতুর্থাংশ অবদান রাখত। সেটি ছিল চিন-সহ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির একটি (NCERT)। পরবর্তী এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শাসন কালে ভারতের বৈশ্বিক জিডিপিতে অংশ ক্রমশ কমতে থাকে, স্বাধীনতার সময় তা গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে। দুই শতকেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।” “ভারত থেকে সম্পদের নিঃশেষণ” শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসকরা বহু বিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েকের সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে আজকের হিসেবে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদ ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (Social Science)।

    ব্রিটিশদের চুরি

    বইটিতে বলা হয়েছে, “যদি এই বিপুল সম্পদ ভারতে থেকে যেত এবং এখানেই বিনিয়োগ করা হত, তাহলে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত একেবারেই ভিন্ন চেহারার দেশ হত। ভারতে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসকদের কোনও উপহার ছিল না।” আরও লেখা হয়েছে, “রেলপথের অধিকাংশ খরচই বহন করা হয়েছিল ভারতীয় জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে (NCERT)।” অর্থাৎ এই পরিকাঠামো প্রধানত ব্রিটিশদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য নির্মিত হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকটি অনুসারে, ওই একই কথা প্রযোজ্য টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বইটিতে আরও বলা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি ভারত থেকে হাজার হাজার মূর্তি, চিত্রকর্ম, রত্ন, পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলি ইউরোপীয় জাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিরাট চুরির ঘটনা কেবল ভারতেই নয়, বরং সমগ্র ঔপনিবেশিক বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটেছে (Social Science)। প্রসঙ্গত, আগের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে রেলপথ, সাংস্কৃতিক নিদর্শনের চুরি কিংবা বৈশ্বিক জিডিপি সম্পর্কে কোনও আলোচনাই ছিল না (NCERT)।

  • Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল সংখ্যায় ভারতীয়দের চাকরি বা রোজগারের ব্যবস্থা করতে চলেছে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’। এক-দু’জন নন, মনে করা হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে কাজ পাবেন প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয়। চলতি বছরের শেষ থেকে যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে তাঁদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুতিন প্রশাসনের।

    নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর চুক্তি

    ব্যাপারে ‘উরাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর প্রধান আন্দ্রেই বেসেদিন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর একটা চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় সহকর্মীদের থেকে বিষয়টা জানতে পারি আমি। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই দেশের মোট ১০ লক্ষ মানুষকে সভেরদলোভস্ক এলাকায় নিয়ে আসা হবে। শ্রমিক ছাড়া সেই দলে থাকবেন বিশেষজ্ঞেরাও।’’ বেসেদিনের দাবি, ভারতীয় শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সভেরদলোভস্কের রাজধানী ইয়েকাটেরিনবার্গে নতুন একটি দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে রাশিয়া। এর ফলে দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। সেই ঘাটতি পূরণ করতে ভারতীয়দের কাজে লাগাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

    ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকে আস্থা

    চলতি বছরে ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এ দেশ থেকে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা, চাকরি এবং ব্যবসার জন্য বহু তরুণ-তরুণী চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সিলিকন ভ্যালির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে এ দেশের প্রতিভাবান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরই গণ্য করা হয়। সেই অভিমুখ এবার রাশিয়ার দিকে ঘুরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিক বা স্বাস্থ্যকর্মী, কাজের বাজারে দুনিয়া জুড়ে রয়েছে ভারতীয়দের চাহিদা। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এ দেশের কর্মদক্ষ নাগরিকেরা। পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মূলত রিয়্যাল এস্টেট, বস্ত্র, হোটেল এবং অন্যান্য শিল্পে কাজ করেন তাঁরা। এবার পালা রাশিয়ার।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

LinkedIn
Share