Tag: Iran

Iran

  • Iran-US Conflicts: ‘‘খামেনেইকে জীবন ভিক্ষা দিয়েছি’’ দাবি ট্রাম্পের , অপমান সহ্য না করার হুঁশিয়ারি ইরানের

    Iran-US Conflicts: ‘‘খামেনেইকে জীবন ভিক্ষা দিয়েছি’’ দাবি ট্রাম্পের , অপমান সহ্য না করার হুঁশিয়ারি ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Iran-US Conflicts) কথা বলার ধরন ঠিক করতে হবে। তবেই পরমাণু নিয়ে চুক্তি সম্ভব, জানিয়ে দিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। অভিযোগ, বার বার তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করছেন। তেহরান যা বরদাস্ত করবে না। এর আগে ইজরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইয়ের ‘জয়ের’ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেহরান যদি আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘নিশ্চিতভাবেই’ ইরানে ফের বোমাবর্ষণ করবে। এমনকী ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধ শুরুর সময় ইজরায়েল ও আমেরিকার হামলা থেকে খামেনেইকে তিনি রক্ষা করেছিলেন।

    ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্পকে (Iran-US Conflicts) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরাগচি। দাবি করেছেন, ইরানের শক্তিতে ভীত হয়ে ইজরায়েলকে আমেরিকার দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আরাগচি লিখেছেন, ‘‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই কোনও চুক্তি চান, ওঁকে আগে ইরানের নেতা খামেনেইয়ের প্রতি কথা বলার অসম্মানজনক ভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। খামেনেইয়ের লক্ষ লক্ষ সমর্থককে আঘাত করা বন্ধ করতে হবে ট্রাম্পকে।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘ইরানের মানুষ অত্যন্ত শক্তিশালী। সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইজরায়েলের সামনে বাবার কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ওদের ধ্বংস করে দিত। ইরানের মানুষ ট্রাম্পের হুমকি এবং অপমান সহ্য করবেন না।’’

    খামেনেইকে বাঁচিয়েছি, বললেন ট্রাম্প

    আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের (Iran-US Conflicts)  আলোচনার মাঝেই সেখানে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। এরপর যুদ্ধে যোগ দেয় আমেরিকাও। ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ থেমেছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমি জানতাম খামেনেই ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন। কিন্তু আমি ইজরায়েলকে বা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ওঁকে মেরে ফেলতে দিইনি। ওঁকে আমি একটা কুৎসিত এবং অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। কিন্তু উনি তার জন্য আমাকে কোনও ধন্যবাদ জানাননি!’’ ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের চেষ্টা করছিলেন। তেহরান বহু দিন ধরে যে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই চেষ্টার পরিবর্তে ইরান থেকে তিনি কেবল রাগ এবং ঘৃণাভরা বিবৃতি পেয়েছেন। তাই সাহায্যের চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইরানকে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    হিরোশিমা ও নাগাসাকির উদাহরণ

    ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করে দেয় মার্কিন বোমারু বিমান (Iran-US Conflicts) । তার জবাবে কাতারে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। ট্রাম্প বলেন,‘‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণু কেন্দ্রে টার্গেট করেছিলাম। সেগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এটা নির্ণায়ক পদক্ষেপ ছিল।’’ এরপরই ট্রাম্প টেনে আনেন মানব সভ্যতার ইতিহাসের সেই কলঙ্কিত অধ্যায়কে। বলেন,‘‘আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না। নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না। তবে সেখানেও একই জিনিস ঘটেছিল। এর ফলে সেই যুদ্ধের অবসান ঘটে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলাও যুদ্ধে ইতি টেনেছে। আমাদের কাছে আছে সাহসী দেশপ্রেমিক, যাঁরা অত্যন্ত দক্ষ বিমানচালক। তাঁরা আমেরিকান স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে লক্ষ্যবস্তুগুলিতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে। আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এখন স্তিমিত। দুই দেশই এখন ক্লান্ত।’’

    ঠিক করে কথা বলুক আমেরিকা

    ইজরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও, আয়াতুল্লাহ খামেনেই একটি বিজয় ভাষণে বলেন, “এই লড়াইয়ে ইরান- আমেরিকার গালে সপাটে চড় কষিয়েছে।” ট্রাম্প পাল্টা দাবি করেন, “তিনি (খামেনেই) জানেন তাঁর বক্তব্য মিথ্যা, একজন ধর্মীয় নেতার এমন মিথ্যা বলা কাম্য নয়।” ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালায়, তবে আমেরিকা ফের হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না। এই মুহূর্তে ইরান আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ট্রাম্প ন্যাটোর সম্মেলনে আশা প্রকাশ করলেও, তেহরান (Iran-US Conflicts) জানিয়েছে—তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। আসলে র্মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা ভাল চোখে দেখছে না তেহরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রম্পকে কথা বলার ধরন ঠিক করতে বলেছেন। খামেনেইকে অসম্মান করা হলে ইরান কখনওই আলোচনার টেবিলে বসবে না, জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

     

     

     

     

     

  • Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) টানাপড়েনের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তাঁর কটাক্ষ, “চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে আমেরিকার শরণ নিতে হয়। ট্রাম্পই ইজরায়েলের ‘বাবা’, তার ছায়া ছাড়া ওরা অচল।”

    তোপ ইজরায়েলকে (Iran)

    শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরাকচি লেখেন, “ইজরায়েল বুঝে গেছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় থেকে বাঁচতে গেলে তাদের ‘বাবা’র শরণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যদি কেউ এখনও আমাদের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকে, তাহলে আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করতে জানি (Iran)।” আরাকচি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তেল আভিভ যেন বুঝে নেয় তেহরান প্রয়োজনে তার প্রকৃত শক্তি দেখাতে একটুও পিছপা হবে না।”

    ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেলও একই মন্তব্য করেন

    আরাকচির এই ‘বাবা’ বা ‘ড্যাডি’ মন্তব্য অবশ্য প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই টার্মই এবার ব্যবহার করলেন আরাকচি, আরও তীব্র সুরে। তাঁর মতে, “ইজরায়েলের সীমাবদ্ধতা এতটাই, যে ওদের বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বাবার কাছেই ছুটে যেতে হয়।”

    ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ (Iran)

    ট্রাম্পের দিকেও আক্রমণের তির ছুড়েছেন আরাকচি। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই-কে অপমান করলে কোটি কোটি ইরানির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। যদি সত্যিই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তাহলে ভাষা ও মনোভাব দুটোই পাল্টাতে হবে।”

    চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, দাবি ট্রাম্পের

    উল্টো দিকে, ট্রাম্প দাবি (US Strikes) করেছেন, তিনি চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, কারণ তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আমেরিকার কাছে পরিষ্কার তথ্য ছিল। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম না মারার।” ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথাও একসময় বিবেচনা করেছিলেন (US Strikes)। কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও আক্রোশ’ দেখে তিনি মত বদলান। তবে ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় আগ্রহী নয়। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প আলোচনা শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তেহরান সেই প্রস্তাব স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছে।

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    Operation Sindhu: ইরান ও ইজরায়েল থেকে এখনও ফিরছেন ভারতীয়রা, অপারেশন সিন্ধু চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) আওতায় ইরান থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,১৫৪ জন। মঙ্গলবার ভারত ইরান ও ইজরায়েল থেকে ১,১০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করে ভারত। ইজরায়েল থেকে ৫৯৪ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার ২৯৬ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪ জন নেপালের নাগরিককে ইরান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারত। তবে ধীরে ধীরে অপারেশন সিন্ধুর গতি কমানো হচ্ছে। কারণ এখন ইরান ও ইজরায়েল দুই দেশের মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইজরায়েল থেকে কীভাবে ফেরানো হল

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ ভারী পরিবহণকারী বিমান ব্যবহার করে ৪০০ জনের বেশি মানুষকে জর্ডান ও মিশরের স্থলপথ দিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৬১ জন ভারতীয় প্রথমে স্থলপথে ইজরায়েল থেকে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দিল্লি নিয়ে আসা হয় তাঁদের। বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা। ইজরায়েল থেকে জর্ডানে যাওয়া আরও ১৬৫ জন ভারতীয়কে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদের অভ্যর্থনা করেন প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। এছাড়াও, ইজরায়েল থেকে মিশরে যাওয়া ২৬৮ জন ভারতীয়কে শারম-এল-শেখ শহর থেকে সি-১৭ বিমানে তুলে দিল্লি আনা হয়েছে।

    ইরান থেকে এল কতজন

    বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুটি চার্টার্ড বিমানে মোট ৫৭৩ জন ভারতীয়, তিনজন শ্রীলঙ্কান এবং দু’জন নেপালিকে ইরান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে আরও বেশ কয়েকটি বিমান ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল ও ইরান একে অপরের শহর, সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। রবিবার সকালে ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমা হামলার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। গত ১৮ জুন থেকে ইরানের মাশহাদ শহর, আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান ও তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদ থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ইরান মাশহাদ থেকে তিনটি চার্টার্ড ফ্লাইট সুবিধার্থে ২০ জুন আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। প্রথম বিমানটি গত সপ্তাহের শুক্রবার গভীর রাতে ২৯০ জন ভারতীয়কে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেছিল এবং দ্বিতীয় বিমানটি শনিবার বিকেলে ৩১০ জন ভারতীয়কে নিয়ে দিল্লিতে অবতরণ করেছিল। বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান থেকে আরেকটি বিমান দেশে পৌঁছায়।

  • US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    US Iran Conflict: গোয়েন্দা রিপোর্টেই অস্বস্তিতে ট্রাম্প, কী বলল হোয়াইট হাউস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়লেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (White House)। ইরানের তিন-তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি (US Iran Conflict)। কিন্তু সে দেশের গোয়েন্দা রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কোমর ভেঙে দেওয়া যায়নি। বরং যে গতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল ইরানে, তাকে কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের দেশেই প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশবাসীর নজর ঘোরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা রিপোর্ট কীভাবে ফাঁস হল, তা নিয়ে। গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস হওয়াকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘দেশদ্রোহ’ বলে দেগে দিয়েছেন।

    কি বলছে রিপোর্ট (US Iran Conflict)

    দিন কয়েক আগে ইরানের যে তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকা হামলা চালিয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে দেশের সামরিক বিভাগ পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল উপাদানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি। ধ্বংস করা যায়নি সে দেশের ইউরেনিয়ামের ভান্ডারও। মার্কিন হামলার আগেই ইরান মজুত রাখা ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    সিএনএনের বক্তব্য

    ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা স্বীকার করলেও, হামলায় ইরানের যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তা অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোসিন লেভিট বলেন, “ওই রিপোর্ট ভুল। রিপোর্টটি গোপন থাকার কথা। কিন্তু নিম্নস্তরের কেউ সেটি ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাটো করা (US Iran Conflict), তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, যুদ্ধবিমানের বীর পাইলটদের অপমান করা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিশ্চিহ্ন করতে নিপুণ হাতে কাজ করেছেন তাঁরা। ৩০ হাজার পাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করলে কী হয়, তা সকলেই জানেন।” গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস করাকে দেশদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফও। তিনি বলেন, “অত্যন্ত জঘন্য বিষয় (White House)। এটি দেশদ্রোহ। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত (US Iran Conflict)।”

  • Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। সেদেশের প্রশাসনিক মহলেই শুরু হয়েছে এই গোপন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন এই অস্থির সময়ে ইরানের ভিতরে চলছে এই ষড়যন্ত্র, যেখানে সরাসরি লক্ষ্য করা হয়েছে খামেনিকে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইরানের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি খামেনির সময় ফুরিয়ে আসছে। তিনি যদি অফিসে থেকে যান, তবুও আর তাঁর হাতে প্রকৃত ক্ষমতা থাকবে না। কারণ ক্ষমতা তাঁর হাত থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছে।

    চলছে ষড়যন্ত্র (Iran)

    একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর বয়স (৮৫ বছর) এবং শারীরিক অসুস্থতাকেই এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকা ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে, তখন ইরানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের (Iran) সেনাবাহিনীর দক্ষতার অভাব আছে, যা ইজরায়েল ও আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের আধুনিক সামরিক আক্রমণ প্রতিহত করতে যথেষ্ট নয়।

    ইরানের পাশে রাশিয়া

    এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে প্রবেশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের পাশে থাকবে। পুতিন আমেরিকার সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দাও করেছেন। তিনি ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।” এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি (Iran) সম্প্রতি মস্কো সফর করেন এবং সেখানে পুতিনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।

    উত্তরসূরি বেছেছেন খামেইনি (Iran)

    গত বুধবার আয়াতুল্লাহ খামেনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলির দাবি, তিনি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড (Khamenei) অবস্থায় রয়েছেন এবং একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে খামেনি ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি বাছাই শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন তাঁর ৫৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা খামেনি।

  • Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Iran)। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’। ২৩ জুন এই মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। প্রসঙ্গত, এরমধ্যে কাতারের ‘আল উদিদ’ ঘাঁটি হল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি (US Bases in Qatar)।

    হামলার পরেই হোয়াইট হাউসে বসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    হামলার (Iran) পর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। ইরানের (Iran) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’ -এর খবরকে নিশ্চিত করে।

    মার্কিন নাগরিকদের জন্য উচ্চ সতর্কতা

    হামলার পরেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে সেদেশের আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে সে দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা (US Bases in Qatar)। নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই হামলার আগে অবশ্য ইজরায়েলের বিমান বাহিনী তেহরানে হামলা চালায়। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF)।

    মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার

    অন্যদিকে, ইরানের (Iran) মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, “এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “ঈশ্বরের কৃপায় এই হামলায় কোনও প্রাণহানি বা জখমের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সামরিক বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে এই হামলা প্রতিহত করেছে। কাতার নিরাপদ, এবং আমাদের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।”

  • Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও আগবাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি শেষে, ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেলন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি আসার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্মুখ সমরে থাকা ইরান এবং ইজরায়েল কী বলছে? তারা কি যুদ্ধবিরতিতে রাজি? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের দাবিকে ফুৎকার মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এদিন তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মগুলিকে জানান, ‘ইরানের সঙ্গে কোনও প্রকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়নি।’ এর আগে, মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলাকালীনও, সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ভারত বরাবরই ট্রাম্পের সেই দাবিকে অস্বীকার করে।

    ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

    মঙ্গলবার ভোররাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতিতে (Iran-Israel Ceasefire) রাজি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প (Donald Trump) লেখেন, ‘আগামী ছ’ঘণ্টার মধ্যে ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ২৪ ঘণ্টা পর বারো দিন ব্যাপী যুদ্ধের ইতি।’ সিএনএন জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, দেশের বিদেশ সচিব তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তৃতীয় পক্ষ মারফত ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। হোয়াইট হাউসের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সম্মত হয় ইজরায়েল। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ইরান যদি হামলা না চালায়, তারাও আর আঘাত হানবে না।

    ট্রাম্পের দাবি অসত্য

    যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও সমঝোতাই হয়নি। তবে ইজরায়েল নতুন করে হামলা না-করলে, তারাও আর সংঘাতে জড়াতে চায় না। এমনটাই জানিয়েছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই, ওই দাবিকে অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করছিলেন। শেষে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি লেখেন ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’ এর পর ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে দেয় ভোর চারটেের পর থেকে  ইরান সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে। তবে তার আগে ইজরায়েলে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

    সংঘর্ষ বিরতির আভাস!

    আরাগচি সমাজমাধ্যমে লেখেন, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনও স্থির সমঝোতা হয়নি। তবে স্থানীয় সময় অনুসারে ভোর ৪টের (ভারতীয় সময়ে সকাল ৬টা) পর থেকে ইজরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ইরান কোনও সংঘর্ষ শুরু করেনি। ইজরায়েলই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন, তা এই পোস্টে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। তবে ওই পোস্টটির কিছু ক্ষণ পরেই সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন আরাগচি। সেখানে তিনি লেখেন, ভোর ৪টে (স্থানীয় সময়) বাজার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনী ইজরায়েলি আক্রমণের জবাব দিয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সেনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় এই পোস্টের মাধ্যমে সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছেন আরাগচি? তবে,  ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির পরও তেহরানে ইজরােলি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ট্রাম্পের দাদাগিরি!

    হোয়াইট হাউসের দাবি, আমেরিকার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরই সুর নরম করেছে ইরান। সূত্রের খবর এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর পর, দেশের এমিরকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ জানান খোদ ট্রাম্প। সেই মতো কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। এর পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন একইভাবে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জানান, তাঁর জন্যই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পাকিস্তান সেই নিয়ে কোনও আপত্তি না করলেও, ট্রাম্পের সেই দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে ভারত। দিল্লি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়। ঠিক একইভাবে এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সংঘর্যবিরতির দাবি সরাসরি খণ্ডন করেছে তেহরান। এমনকি ইজরায়েলও সরকারিভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যে শান্তির (Israel Iran Conflict) পক্ষে, নানা সময় তা উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।

    ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে (Israel Iran Conflict)

    ইউরোপে যখন চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, তখন মধ্য এশিয়ায়ও শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ। এহেন আবহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মোদি জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ফোনে কথোপকথনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনের আর্জিও জানিয়েছেন। শনিবার ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। তার পরেই ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ফোন করেন মোদিকে। তখনই শান্তিপ্রতিষ্ঠার বার্তা দেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সমাজমাধ্যমের পোস্টে মোদি লেখেন, “বর্তমান (Israel Iran Conflict) পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে সবিস্তার কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও এক বার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।” ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে যোগ দিয়েছে আমেরিকাও। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলা অত্যন্ত সফল হয়েছে। ইরানের আকাশসীমা ছেড়ে নিরাপদে বেরিয়েও গিয়েছে আমেরিকার বিমান। এর পরেও যদি ইরান শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, এদিন ইরানের ফরডো, নাতানজ এবং এসফাহানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।

    মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতানজে হামলার দায় স্বীকার করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের (PM Modi) প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে (Israel Iran Conflict)।

LinkedIn
Share