Tag: Iran

Iran

  • Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ অপেক্ষার। রূপায়ণ হতে চলেছে ইরানের চাবাহার বন্দর চুক্তি (Chabahar Port Contract)। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছিল। শেষমেশ রাজি হয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। বর্তমানে ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এই পর্ব চুকে গেলেই স্বাক্ষরিত হবে চাবাহার বন্দর চুক্তি।

    চিনকে চাপে রাখার কৌশল! (Chabahar Port Contract)

    ভারতকে চাপে রাখতে বিভিন্ন দেশের বন্দরের দখল নিচ্ছে চিন। এর পরেই ভারতও উদ্যোগী হয় বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নিতে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। ভারত-ইরান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে চাবাহার বন্দরের রশিও চলে আসবে নয়াদিল্লির হাতে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইরানের ওই বন্দর পরিদর্শনে যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি ওই দল যেতে পারে চাবাহার (Chabahar Port Contract) দর্শনে। চাবাহার বন্দর চুক্তির জল যে অনেক দূর গড়িয়েছে, তা জানিয়েছে ইরানও। ইরানিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল কবে ইরান সফরে যান, আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। এই চুক্তির ফলে উভয় তরফই লাভবান হবে।”

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব যে খুব কম নয়, সে ইঙ্গিত মিলেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রওহানি। তাঁর সেই সফরে ভারতের সঙ্গে ইরানের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “চাবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার পর আফগানিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত একটি দেশের সামনে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল।”

    আরও পড়ুুন: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    প্রসঙ্গত, শত্রুদেশ পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট রুট গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই চাবাহার বন্দরের রাশ হাতে নিতে চাইছে নয়াদিল্লি। এই সমুদ্রবন্দরটি বাড়ানো হচ্ছে সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের গ্বদরে চিনের অর্থ সাহায্যে যে সমুদ্রবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে চাবাহার বন্দরের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। ভূকৌশলগতভাবে চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব ভারতের কাছে অপরিসীম। ’২২ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই বন্দরের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন ১০০ কোটি টাকা (Chabahar Port Contract)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iran Pakistan: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে স্পিকটি নট ইরানের প্রেসিডেন্ট

    Iran Pakistan: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে স্পিকটি নট ইরানের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেবেছিলেন ইসলামি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় পাশে পাবেন ইব্রাহিম রাইসিকে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সেই চেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। পাক প্রধানমন্ত্রীকে প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুলে নষ্ট করবেন না ভারতের সঙ্গে ইরানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (Iran Pakistan)।

    ব্যর্থ পাকিস্তান (Iran Pakistan)

    বেকারত্ব, দারিদ্র-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের কর্তাদের মূল লক্ষ্যই হল, জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে খেলতে হবে কাশ্মীর তাস। নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান এবং শেহবাজ শরিফ-সহ পাকিস্তানের একাধিক প্রধানমন্ত্রী গদি ধরে রাখতে বারংবার খেলে গিয়েছেন এই কাশ্মীর তাস। বিশ্বের দরবারেও নানা সময় তাঁরা ইস্যু করতে চেয়েছেন কাশ্মীরকে। কখনও মুখ পুড়ছে, কখনও আবার মুখ থুবড়ে পড়েছে পাক প্রশাসনের কর্তাদের সেই প্রচেষ্টা। সোমবারও ফের একবার অবতারণা হল সেই দৃশ্যের (Iran Pakistan)। তিনদিনের পাকিস্তান সফরে এসেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম।

    নীরব ইরানের প্রেসিডেন্ট

    সোমবার যৌথ সাংবাদিক সম্মলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে ভারতের কাশ্মীরের যোগসূত্রে টেনে আনেন। পরক্ষণেই ইরানের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনি এবং ইরানের নাগরিকরা কাশ্মীর ইস্যুতে সোচ্চার হবেন।” কিন্তু দেখা গেল, এ বিষয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট। কাশ্মীর ইস্যুতে নীরব থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে ইসলামি দেশ ইরানের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা তিনি কোনওভাবেই নষ্ট হতে দেবেন না। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সম্প্রতি প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত ও ইরানের যে বার্তালাপ হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই কাশ্মীর ইস্যুতে নীরব থাকাই শ্রেয় বলে মনে করলেন ইব্রাহিম।

    আরও পড়ুুন: “টাকা ফেরত না দিয়ে “চাকরি চোর” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন”, বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    গত বছর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইরানকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভারত ও ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ইরানের রাজধানী তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ভারত ও ইরানের মধ্যে রয়েছে সহস্রাব্দের দীর্ঘ ইতিহাস। এই সম্পর্ক যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার কারণ ঐতিহাসিক ও সভ্যতার দৃঢ় বন্ধন। তাই ইরানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পিপল টু পিপল বন্ধন অটুট থাকবে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উচ্চস্তরের আলাপ-আলোচনা চলবে বলেও জানানো হয়েছিল সেই বিবৃতিতে (Iran Pakistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iran Israel Conflict: প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল, ইরানের ‘লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তেল আভিভের

    Iran Israel Conflict: প্রত্যাঘাত করল ইজরায়েল, ইরানের ‘লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তেল আভিভের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানকে জবাব দিল ইজরায়েল (Iran Israel Conflict)। শুক্রবার ভোরে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেলআভিভ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ইসফাহানে বিস্ফোরণের বার্তা সম্প্রচার করা হয়েছে ইরানের সরকারি টেলিভিশনেও। ইরানের একটি বিমানবন্দরেও ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয়েছে বলে খবর।

    হুঁশিয়ারি ছিল আগেই (Iran Israel Conflict)

    ইরানের ইসফাহানেই রয়েছে নাতাঞ্জ-সহ কয়েকটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। রয়েছে ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্রও। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইরানিয়ান সেনা তিনশোটিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগেই সেগুলিকে গুলি করে নামিয়ে ফেলেছিল মার্কিন সেনা। পরে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইজরায়েলি ফৌজের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছিলেন, ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি।

    প্রত্যাঘাতের বার্তা

    এর পরেই ইরানকে (Iran Israel Conflict) প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েল যে প্রত্যাঘাত করবেই তা জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও। পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তির কালো মেঘ ঘনাতেই ইজরায়েলকে ইরানে প্রত্যাঘাত করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও দুই দেশে ফোন করে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছেন। এমনই আবহে ইরানিয়ান শহরে হামলা চালাল ইজরায়েল।

    এই হামলার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ইরানের আইআরজিসি কমান্ডার হুমকি দিয়েছিলেন, ইজারায়েলের নিউক্লিয়ার সাইটগুলিতে হামলা চালানো হবে। এর পরেই অ্যাটোমিক ফেসিলিটিকে ধ্বংস করতে মিসাইল ছুড়ল তেল আভিভ। এখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জেনারেল আহমেদ হাগতালাব বলেন, “ইজরায়েলের এই আক্রমণের পর ইরানকে এবার নিউক্লিয়ার ডকট্রিন নিয়ে বিশদে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।” জানা গিয়েছে, শুক্রবার কাকভোরে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের দাবি, ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করেছে তারা। একাধিক মিসাইল গুলি করে নামিয়েছে তেহরান। ইরানেরই অন্য এক সামরিক আধিকারিক অবশ্য অস্বীকার করেছেন হামলার কথা। এছাড়া সিরিয়া এবং ইরাকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ঘটনার জেরে ইরান দেশের বেশ কয়েকটি স্থানের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে (Iran Israel Conflict)।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Iran Conflict: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে, আটক ভারতীয় জাহাজিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ইরানের

    Israel Iran Conflict: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে, আটক ভারতীয় জাহাজিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে। ইরান জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালীতে তাদের হাতে আটক জাহাজে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিদের (Israel Iran Conflict)। প্রসঙ্গত, জাহাজটির ২৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়। ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের জেরে জাহাজটিকে আটক করেছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। তার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত।

    ইরানে ফোন জয়শঙ্করের

    রবিবার রাতে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়াঁর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করার পর এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লিখেছেন, “ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হল। এমএসসি এরিস জাহাজে বন্দি ১৭ জন কর্মীর (এঁরা ভারতীয়) মুক্তির বিষয়ে কথা বললাম। পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি (Israel Iran Conflict) নিয়েও আলোচনা করলাম। আমি ওঁকে বলেছি, আক্রমণ থেকে বিরত থাকা, শান্তি বজায় রাখা ও কূটনীতির আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সহমত হয়েছি।”

    কী বললেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী?

    সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী জানান, বন্দিদের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধিদের দেখা করতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে, এই সন্দেহের বশে ইরান আটক করে ইটালীয়-সুইস সংস্থা এমএসসি পরিচালিত ওই জাহাজটিকে। (জাহাজটি আদতে লন্ডনের জোডিয়াক গোষ্ঠীর। ইজরায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফার এই গোষ্ঠীর মালিক।) জাহাজটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। যথাযথ তদন্তের আগে আটক জাহাজটিকে ছাড়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছে তেহরান।

    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের ড্রোন হামলার (যদিও ড্রোনগুলিকে গুলি করে নামিয়েছে মার্কিন সেনা) প্রেক্ষিতে এবার তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী) ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে চলছে জল্পনা। এমতাবস্থায় বিবদমান দুই রাষ্ট্র ইরান ও ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এই মাত্র আমার কথা হল। শনিবার থেকে ওই অঞ্চলে যা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছি। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে (Israel Iran Conflict)।”

    আরও পড়ুুন: সলমনের বাড়ির সামনে চলল গুলি, দায় স্বীকার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের জের, অনির্দিষ্টকালের জন্য উড়ান পরিষেবা বন্ধ করল এয়ার ইন্ডিয়া 

    Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের জের, অনির্দিষ্টকালের জন্য উড়ান পরিষেবা বন্ধ করল এয়ার ইন্ডিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের উপর হামলা করেছে ইরান (Iran-Israel Conflict)। শনিবার গভীর রাত থেকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে অন্তত ৩০০ মিসাইল ছুড়েছে ইরান। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে সেদেশে নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দিল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। দিল্লি থেকে তেল আভিভ পর্যন্ত আপাতত উড়ান চলাচল বন্ধ। রবিবার থেকেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বলল এয়ার ইন্ডিয়া

    রবিবার একটি বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) জানিয়েছে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিল্লি এবং তেল অভিভের (ইজরায়েলের অন্যতম প্রধান শহর) মধ্যে বিমান চলাচল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল, রবিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার চারটি করে বিমান দিল্লি থেকে ইজরায়েল যাতায়াত করে প্রতি সপ্তাহে। টাটা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন উড়ান সংস্থা এর আগে হামাস আক্রমণের সময় ইজরায়েলের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল। সেটা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। প্রায় পাঁচ মাস পর গত ৩ মার্চ আবার দুই দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা চালু করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এবং যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে আবার পরিষেবা মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।

    আরও পড়ুন: পাক জেলে বন্দি ভারতীয় সরবজিৎ সিংয়ের হত্যাকারী নিহত অজ্ঞাতপরিচয়ের গুলিতে

    গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি 

    শনিবার টাটা মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলবে। একইভাবে, ভিস্তারাও ঘোষণা করেছে যে এই পরিস্থিতির কারণে এই অঞ্চলের রুটগুলি পরিবর্তন করা হতে পারে এবং তাদের ফ্লাইটের রুট এবং সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে। দুটি এয়ারলাইনই, এল আল ইজরায়েল এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া ইজরায়েল ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা চালায়। প্যালেস্তাইনে যুদ্ধ এবং নতুন করে ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার (Iran-Israel Conflict) মধ্যে এই অঞ্চলে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায়, মোদি সরকার দেশের নাগরিকদের ইরানে ভ্রমণের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখার পরামর্শ জারি করেছে । ভিস্তারার তরফে জানানো হয়েছে, “এর ফলে নির্দিষ্ট রুটে ফ্লাইটের সময় বেশি লাগতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। গোটা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও পরিবর্তন করা হবে ৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলে ব্যর্থ ইরান, ড্রোন হামলা রুখল আমেরিকা, কাঁধ মেলাল ব্রিটেনও

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলে ব্যর্থ ইরান, ড্রোন হামলা রুখল আমেরিকা, কাঁধ মেলাল ব্রিটেনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েছিল আগেই। সেই মতো ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। ইরান থেকে ছোড়া প্রায় সব ড্রোনই গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Israel Iran Conflict)। বাইডেন জানান, আমেরিকার সাহায্যে ইরানের ড্রোন হামলার মোকাবিলায় সফল হয়েছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)।

    ইরানিয়ান ড্রোন ধ্বংস (Israel Iran Conflict)

    রবিবার ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ২০০টি ড্রোন দিয়ে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ইরানিয়ান ড্রোনগুলি ধ্বংস করতে গুলি ছোড়ে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেনও। তেল আভিভকে সাহায্য করেছে তারাও। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যর্থ হয়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পরিকল্পনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, “ইজরায়েলের বাহিনীকে সাহায্য করতে আমার নির্দেশে আমেরিকার সেনা গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় একাধিক যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী বিমান পাঠিয়েছে। এই অত্যাধুনিক বিমান ও আমাদের সেনাবাহিনীর অসাধারণ দক্ষতায় আমরা ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক’টি ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করতে ইজরায়েলকে সাহায্য করতে পেরেছি।”

    নেতানিয়াহুকে ফোন বাইডেনের

    ইরানের (Israel Iran Conflict) হামলার পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাইডেন। প্রতিশ্রুতি দেন পাশে থাকার। ইরানের হামলা প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের ওপর যারা হামলা চালাবে, আমরাও তাদের ওপর হামলা করব। যে কোনওরকম হুমকির বিরুদ্ধে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। এটাই ইজরায়েলের নীতি।” এদিকে, ইরান-ইজারায়েলের আকাশে যুদ্ধের মেঘ ঘনাতেই উদ্বেগে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। ভারতীয়েদর অযথা উদ্বিগ্ন না হতে ও সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো ও হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। দুই দেশকেই কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। ওখানে আমাদের দূতাবাস ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ওখানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমরা পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।” প্রসঙ্গত, ইরান-ইজরায়েলের এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্রমেই বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানির দাম। জ্বালানির সঙ্কটও দেখা দিতে পারে মধ্য প্রাচ্যে (Israel Iran Conflict)।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েলে হামলা চালাতে অস্ত্রে শান দিচ্ছে ইরান, প্রবাসীদের সতর্ক করল ভারত

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েলে হামলা চালাতে অস্ত্রে শান দিচ্ছে ইরান, প্রবাসীদের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে শেষ হয়েছে খুশির ইদ। চাঁদ রাতের কাস্তের মতো ধারালো চাঁদটা একটু একটু করে বড় হচ্ছে। এমতাবস্থায় অস্ত্রে শান দিচ্ছে ইরান (Iran Israel Conflict)। বিশ্ব নেতাদের আশঙ্কা, ইসলামি রাষ্ট্র ইরান ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে দু’-একদিনের মধ্যেই। ইরান-ইজরায়েল উত্তেজনার মধ্যেই স্বদেশের নাগরিকদের ইজরায়েলে যেতে নিষেধ করল ভারত, ফ্রান্স, পোলান্ড এবং ইংল্যান্ড।

    সমরসজ্জা শুরু ইরানের

    দিন কয়েক আগে ইসলামি রাষ্ট্র সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। সূত্রের খবর, তার জেরেই সমরসজ্জা শুরু করেছে ইরান। ইরান-ইজরায়েলের আকাশে যুদ্ধের মেঘ ঘনাতেই ভারতীয়ের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত। শুক্রবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে (Iran Israel Conflict) নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারির আগে পর্যন্ত ভারতীয়রা যেন ইরান বা ইজরায়েলে না যান। কেবল তাই নয়, যেসব ভারতীয় বর্তমানে ইরান কিংবা ইজরায়েলে বসবাস করছেন, তাঁরা যেন অবিলম্বে ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করান। ওই দুই দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোরও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইরানের তরফে শুরু হয়ে গিয়েছে রণসজ্জা। হামলার জন্য প্রস্তুত ১০০টি ড্রোন ও মিসাইল।

    বিশ্বের আকাশে আরও একটি যুদ্ধের মেঘ!

    রাশিয়া-ইউক্রেনের পর অচিরেই যে বিশ্বে আরও একটি যুদ্ধ বাঁধতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথায়। তিনি বলেন, “আমরা ইজরায়েলকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। ইজরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইজরায়েলকে সাহায্য করব এবং ইরান সফল হবে না।” ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লা খামেইনি বলেন, “ইজরায়েলকে শাস্তিভোগ করতে হবে। ইরান চুপ করে বসে থাকবে না।” প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা বলেন, “এ ব্যাপারে (ইজরায়েলে হামলা) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভেবে হামলার বিষয়ে এই মুহূর্তে তিনি কোনও সিদ্ধান্তে আসেননি।”

    প্রসঙ্গত, প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ড দখল করে রাখা মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস প্রথম হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইজরায়েলের নিরীহ নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। সংঘাতের এই আবহে গাজার মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ায় ইরান, তুরস্ক ও লেবাননের মতো ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি। তার জেরেই বিশ্ব রাজনীতির আকাশে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Iran Israel Conflict)।

    আরও পড়ুুন: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    Myanmar Sittwe Port: ইরানের চাবাহারের পর মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের রাশ নিল ভারত, টেক্কা চিনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের চাবাহার বন্দরের পর এবার দ্বিতীয় ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার অধিকার পেল ভারত। সিটওয়ে (Myanmar Sittwe Port) নামের এই বন্দরটি রয়েছে কালাদান নদীর ওপর। এই বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডের একশো শতাংশ মালিকানাই পোর্টস, শিপিং এবং জলপথ মন্ত্রকের।

    চিন-ভারত রেষারেষি! (Myanmar Sittwe Port)

    বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে মেতেছে চিন ও ভারত। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দায়িত্ব নিয়েছে চিন। আফ্রিকার ডিজবাউটি বন্দরের দায়িত্বও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ। বাংলাদেশ ও মলদ্বীপের বন্দরেও লগ্নি করবে বলে ওই দুই দেশের সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বেজিং। চিনের এই অর্থনৈতিক আগ্রাসনের জেরে উদ্বেগে ভারত। তার পরেই একের (Myanmar Sittwe Port) পর এক ওভারসিজ বন্দর পরিচালনার ভার নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই তালিকায় প্রথমেই ছিল ইরানের ছাবাহার বন্দর। এবার তালিকায় ঢুকে পড়ল মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরও। এই বন্দরটি কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট পরিবহন প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, কলকাতার সমুদ্র বন্দরকে সমুদ্রপথে সিটওয়ে বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা। গত বছরের মে মাস থেকে সিটওয়েতে নোঙর করছে মালবাহী জাহাজ।

    ভারতীয় জাহাজকে স্বাগত মায়ানমারে

    কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে যায় প্রথম জাহাজটি। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন পোর্টস, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং মায়ানমারের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিরাল তিং আং সান। মায়ানমারের এই বন্দরের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের যোগাযোগ সুগম হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাইপাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে বাংলাদেশে। মায়ানমারের এই বন্দরের মাধ্যমে যে লেনদেন হবে, পুরোটাই হবে ভারতীয় মুদ্রায়। জানা গিয়েছে, বন্দর পরিচালনার পুরো দায়িত্বই থাকবে ভারতের হাতে। ভারতের নিজস্ব বন্দরগুলির রাশ যেভাবে রয়েছে স্বদেশের হাতে, তেমনিই সিটওয়ের রশিও থাকবে ভারতের হাতে। মনে রাখতে হবে, ছাবাহার বন্দরের চেয়েও সিটওয়েতে (Myanmar Sittwe Port) ভারতের দখলদারি বেশি। কারণ, ছাবাহারে মাত্র দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করতে পারে ভারত। সিটওয়ের ক্ষেত্রে করবে পুরোটাই।

    কী লাভ হল ভারতের?

    সিটওয়ের ক্ষেত্রে চুক্তি পুনর্নবীকরণ হবে প্রতি তিন বছর অন্তর। বন্দরের লিজের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় উপকৃত হবে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইন প্রদেশের সিটওয়ে বন্দরটিতে ভারত বিনিয়োগ করবে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের অধীনে হবে সিটওয়ের কাজ। কালদান মাল্টি মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জলপথ ও সংযোগকারী রাস্তা চালু হয়ে গেলে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে ভারতের পূর্ব উপকূলকে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মিজোরাম ও হলদিয়া বা কলকাতা বা কালাদান নদীর মধ্যে দিয়ে যে কোনও ভারতীয় বন্দরের মধ্যে একটি বিকল্প জলপথ হয়ে উঠবে। যে পথে অনায়াস হবে কার্গোশিপ পরিবহন। কালদান প্রজেক্টের মাধ্যমে উপকৃত হবে উত্তরপূর্বের রাজ্য ত্রিপুরাও। জানা গিয়েছে, সিটওয়ে বন্দরের রাশ ভারতের হাতে চলে আসায় কলকাতা ও ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা এবং মিজোরামের রাজধানী আইজলের মধ্যে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে পঞ্চাশ শতাংশ। সময়ও প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    উদ্বেগের কারণ

    গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমার (Myanmar Sittwe Port)। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সে দেশে চলছে সেনার শাসন। তা সত্ত্বেও মায়ানমারকে ভারত বরাবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে তার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণে। আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল, উত্তর-পূর্বের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারের সাহায্য। এমতাবস্থায় মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। মায়ানমারের এই বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলেও, উদ্বেগ কমেনি এতটুকুও। কারণ যে রাখাইন প্রদেশে সিটওয়ে বন্দরটি রয়েছে, সেটি সামরিক শাসক ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে দীর্ণ। সিটওয়ে প্রকল্পটির আয়ু কতদিন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা রাখাইন প্রদেশের দখল নিয়ে নিলে, এই বন্দরে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে ভারতের। তবে ভূকৌশলগত অবস্থান বিবেচনা করেই সিটওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ভারত (Myanmar Sittwe Port)।

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    Israeli Air Strike: সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা, হত ১১, কাঠগড়ায় ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ঘটনায় ইরানের সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্তা সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সিরিয়ার রাজধানীতে এই ঘটনায় ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) হাতই দেখছে ইরান। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তেল আভিভ।

    ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব (Israeli Air Strike)

    সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইজরায়েলি হানার লক্ষ্যই ছিল ইরানের কনস্যুলেট। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লা গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শত্রুদের শাস্তি ও প্রতিশোধ না নিয়ে ছাড়া হবে না। তারা এও বলেছে, এজন্য (ক্ষেপণাস্ত্র হামলা) তাদের (ইজরায়েলকে) মূল্য চোকাতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে ইহুদি দেশ ইজরায়েলের (Israeli Air Strike) দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে ইদানিং সমস্যার সূত্রপাত ইজরায়েল-হামাস লড়াইকে কেন্দ্র করে। মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস হামলা চালায় ইজরায়েলে। নৃংশসভাবে খুন করে বহু সাধারণ মানুষকে।

    বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশে রয়েছে ইরান

    অচিরেই পায়ে পা তুলে এই ‘ঝগড়া’ করার মাশুল গুণতে হয় হামাসকে। হামাসের দখলে থাকা প্যালেস্তাইনের গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হামাসদের পাশে দাঁড়িয়ে যায় মুসলিম রাষ্ট্র সিরিয়া, ইরান। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিও হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহাসাগর দিয়ে চলচলকারী জাহাজের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। এই হুথির পাশেও দাঁড়িয়েছে ইরান। এরই পাল্টা হিসেবে সিরিয়া ও ইরানের নির্দিষ্ট এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলও।

    জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হানায় যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা জাহেদি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হাদি হাজি রহিমি-সহ সাত আধিকারিক। বাকিদের মধ্যে দু’জন সিরিয়া ও অন্যজন লিবিয়ার বাসিন্দা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটের ওপর ইজরায়েলের হামলা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল।

    আরও পড়ুুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কিছু দিন আগেই সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ঘাতক হানা দিয়ে অন্তত ৪০ জনকে খতম করেছিল ইজরায়েল। নিহতদের মধ্যে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও ছিলেন বলে খবর। ঘটনার জেরে ক্ষোভ উগরে দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবেদোল্লাহিয়ান। সিরিয়ার বিদেশমন্ত্রীকে ফোনে তিনি বলেন, “সব রকম আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভেঙে দিয়েছে তেল আভিভ (Israeli Air Strike)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Qom: পড়াশোনা বন্ধ করতে ছাত্রীদের শরীরে বিষ প্রয়োগ ইরানে

    Qom: পড়াশোনা বন্ধ করতে ছাত্রীদের শরীরে বিষ প্রয়োগ ইরানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়াশোনা বন্ধ করতে বিষ প্রয়োগ। ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে কওম (Qom) শহরের কয়েকটি স্কুলে ছাত্রীদের শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হল। মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করতেই যে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিলেন ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি। সম্প্রতি, উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছাত্রীদের বিষ খাইয়েছেন। পানাহি বলেন, “কওম (Qom) শহরে ছাত্রীদের বিষক্রিয়ার ঘটনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। কিছু মানুষ চান স্কুল বন্ধ হোক, বিশেষ করে ছাত্রীদের স্কুল।”  

    ভয় দেখানোই লক্ষ্য

    ভয় দেখানোই লক্ষ্য ছিল কওম (Qom) শহরে

    গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় শহরের প্রশানিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল অভিভাবক। তাঁরা এই বিষয়ে সরকারের জবাবদিহি চান। পরদিন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি জানান, দেশের গোয়েন্দা এবং শিক্ষামন্ত্রক বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। কী ভাবে ছাত্রীদের শরীরে বিষ ঢুকল, তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানাননি ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পানাহি জানিয়েছেন, এই বিষক্রিয়া ঘটানোর জন্য যে ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলি যুদ্ধে ব্যবহৃত রাসায়নিক নয়। এবং সেই বিষ নিষ্কাশনের জন্য জটিল কোনও চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত রাসায়নিকের বেশিরভাগেরই চিকিৎসা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই অনুমান করা যায়, ছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করাই ছিল এই কাজের লক্ষ্য।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল্লি হাইকোর্টের, খারিজ যাবতীয় বিরোধী-মামলা

    গত নভেম্বর থেকে ইরানের কওম (Qom) শহরে একাধিক ছাত্রীর শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে। অনেককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালেও। ইতিমধ্যে প্রসিকিউটার জেনারেল মহম্মদ জাফর মোন্তাজেরি এই ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্তে উঠে আসে, ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশে ছাত্রীদের শরীরে তাদের অলক্ষ্যে বিষ প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। হিজাব না পরার জন্য নীতি পুলিশের হাতে ২২ বছর বয়সি মাহশা আমিনির (Mahsa Amini) মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইরান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল অজস্র প্রতিবাদীকে। এবার ছাত্রীদের বিষ খাওয়ানোর ঘটনা ঘটল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share