Tag: Jadavpur University

Jadavpur University

  • JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের (JU Student Death) রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে মারা হয়েছে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

    সরকারি আইনজীবী জানান, একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। যেটা দিয়েই মৃত ছাত্রের মুখ চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেই রক্ত মাখা গামছা ও ২ টো ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মেসেজ চালাচালি হত। আইনজীবীর দাবি, সেখানে তদন্ত প্রভাবিত করার প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভের সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন। মাঝেমধ্যে সেই গ্রুপে অ্যাক্টিভ হতেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য।

    র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ

    আদালতে সৌরভের আইনজীবীর সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল পাল্টা সওয়াল চলে। সৌরভের আইনজীবী জানান, তদন্তে সৌরভ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে জেলে সৌরভকে না রাখা হয়, সেই আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলা উচিত। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু (JU Student Death) হয়। র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    সৌরভই ‘কিংপিন’

    ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় প্রথম সৌরভকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।  লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র‌্যাগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। গত ৯ অগস্ট রাতে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি। এই ঘটনায় শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আরও চার আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। যাদবপুর থানায় বৃহস্পতিবারও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুগ্ম কমিশনার জানান, চার পড়ুয়াকে আটক করা হয়নি। তবে তাঁরা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে জোড়া মিছিল, পথে শুভেন্দু সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা

    Jadavpur University: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে জোড়া মিছিল, পথে শুভেন্দু সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) প্রতিবাদের সুর চড়াল বিজেপি (BJP)। ঘটনার পরে পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার জোড়া প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে পদ্ম শিবির। এদিন প্রথমে হয় এবিভিপির মিছিল। পরে মিছিল হয় বিজেপির যুব মোর্চার ব্যানারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে গিং মুক্ত ও মাদক মুক্ত করার দাবিতে গোলপার্ক থেকে এইট বি পর্যন্ত মিছিল করে যুব মোর্চা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, ইন্দ্রনীল খাঁ, অগ্নিমিত্রা পাল, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সহ বিজেপির (Jadavpur University) প্রথম সারির প্রায় সব নেতা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে বৈঠক থাকায় প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে পারেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    প্রতিবাদ মিছিলে ব্যাপক ভিড়

    যুব মোর্চা আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চার নম্বর গেট। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “যাদবপুরের ক্যাম্পাস দখলের কোনও অভিপ্রায় বিজেপির নেই। আমরা রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢোকার কোনও ইচ্ছে নেই। আমরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে। মাওবাদ, নকশালবাদ ও দেশবিরোধী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়েই মিছিল করছি। দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।”

    মিছিলে বাধা পুলিশের

    এদিন প্রথমে মিছিল শুরু করার তোড়জোড় করে এবিভিপি। মিছিল শুরু হতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশ এবং এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। পরে মিছিলে অংশগ্রহণকারী এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের আটক করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভয়ে এসব করছে। কারণ ওরা বুঝতে পারছে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। পুলিশমন্ত্রীর ব্যর্থতা সামনে এসে যাবে, তাই গণতান্ত্রিক শক্তি ও বাকস্বাধীনতা হরণ করার জন্য এটা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং রুখতে  প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথা ভাবছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। র‌্যাগিং মোকাবিলায় এ বার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    রাজ্যপালের আর্জি

    রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ইসরো। রাজভবনের ওই সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এদিন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা করেছেন বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কীভাবে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস।

    প্রযুক্তিগত সাহায্য

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি র‌্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    ইসরো যাদবপুর সম্পর্ক

    বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ব়্যাগিং হয়েছিল বলে ‘প্রমাণ’ পেলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারীরা। কমিশন সূত্রে খবর, তদন্তকারী দল সে দিনের রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখে এই প্রমাণ পেয়েছে। মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কমিশনকে। পাঠানো হয়েছিল ৩০টিরও বেশি ফাইল। সেই রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখতে শুরু করেন কমিশনের তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সেই রিপোর্টেই মিলেছে ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ।

    রেজিস্ট্রারের বক্তব্য

    কমিশনের প্রমাণ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, তার পুরোটাই আমরা জমা দিয়েছি। কমিশন আমাদের ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে কিছু জানায়নি। বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এদিনই সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।” প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার পরিবার ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৩ জন পড়ুয়াকে।

    ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে তলব

    এদিকে, ছাত্রমৃত্যুর জট খুলতে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেইন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। ৯ অগাস্ট রাতে কিংবা তার আগে মেইন হস্টেলে কী হয়েছিল বা হত, তা নিয়ে পুলিশি জেরায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ৯ অগাস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাঁধুনির ওই বয়ানেও ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ মিলেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মঙ্গলবার রাঁধুনিকে জেরার পর বুধবার ক্যান্টিনেরই পাঁচ কর্মচারীকে তলব করা হয় যাদবপুর থানায়। এদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কয়েকজন থানায় এসেও পৌঁছেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যান্টিনে যেহেতু সব ক্লাসের পড়ুয়ারই যাওয়া-আসা থাকে, তাই তাঁদের আলোচনা কিংবা আচরণ চোখ এড়ানোর কথা নয় ক্যান্টিন কর্মীদের। ক্যান্টিনটি হস্টেল লাগোয়া হওয়ায়, হস্টেলের নানা ঘটনা সম্পর্কেও অল্পবিস্তর অবগত ক্যান্টিন কর্মীরা। সেই কারণেই ডাকা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে কিংপিন সৌরভ চৌধুরীই। আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনই দাবি করলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। প্রামাণ হিসেবে অন্য এক পড়ুয়াকে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তনী সৌরভের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উল্লেখ করেন তিনি। সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রকে আসলে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটিকে তিনি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেও উল্লেখ করেন। এদিন সৌরভকে ২৫ অগাস্ট এবং মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

    সৌরভের ওপরই সন্দেহ ছিল

    ঘটনার পরে পরেই সৌরভের ওপরই সন্দেহ বাড়তে থাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সৌরভকে জেরা করে প্রয়োজনীয় তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করেছিলেন তদন্তকারীদের একাংশ। তাই গ্রেফতারের আগে একবার এবং পরেও একবার তাঁকে জেরা করেছিলেন খোদ কলকাতার (Jadavpur University) পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এদিন আদালতে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, সৌরভই মাথা। সৌরভকে বাঁচাতে রাতারাতি কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ক্রিয়েট করা হয়েছিল, আদালতে এদিন তাও জানিয়েছে পুলিশ।

    সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি

    সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, এঁদের চ্যাট থেকেই স্পষ্ট, নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এটা খুন। ছাত্রের বাবাও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ব়্যাগিং হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে জমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কী হয়েছিল, কারা ছিল, সব জানতে হবে। আরও কতজনকে এভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তার বয়ান নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় দারুণ ফল করলেই খুন করার অধিকার আইন দেয়নি। তিনি বলেন, মনোতোষের ডায়েরি থেকে অত্যাচারের তথ্য উঠে এসেছে। এঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু রাজ্যের

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) পর সম্বিত ফিরল মুখ্যমন্ত্রীর। ব়্যাগিং রুখতে ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই ওই ফোন নম্বরের উল্লেখ করেন তিনি। নম্বরটি হল, ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া ব়্যাগিংয়ের শিকার হলে ওই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। দুর্ঘটনার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, র‌্যাগিংয়ের (JU Student Death) সমস্ত প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, যে ১২ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সেদিনের র‌্যাগিং-এ জড়িত। ইতিমধ্যে র‌্যাগিং বিরোধী আইনের ৪ নম্বর ধারায় মামলা (JU Student Death) রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তের জাল ক্রমশই গোটাচ্ছে পুলিশ।

    হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয় স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)

    মঙ্গলবার হস্টেলের রাঁধুনিকে লালবাজারে তলব করা হয়। ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল সে কথাই জানা হয় তাঁর কাছ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের (JU Student Death) রুম নম্বর ৬৮ হলেও তাঁকে ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে হস্টেলের বারান্দা থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে যে সেটি স্বপ্নদীপের (JU Student Death) পোশাক। অভিযোগ উঠেছে, স্বপ্নদীপকে সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। সে যে সমপ্রেমী নয়, তা প্রমাণ করতে বলে সিনিয়রা। বারবার বাড়ি ফেরার কথা নিজের মাকে বলতে থাকে স্বপ্নদীপ।

    যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death)। তিনি ছিলেন বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। পরের দিন ভোর বেলায় তাঁর মৃত্যু (JU Student Death) হয়। সামনে আসে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, সোমবারই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদে করে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death), এমনটাই জানা গিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিনই যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় কালো উত্তরীয় পরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার যাদবপুর ইস্যুকে বিধানসভায় টেনে এনেছেন শুভেন্দু। এনেছেন মুলতুবি প্রস্তাবও। নিজে পাঠ করেছেন সেই প্রস্তাব। তাঁর এই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সভায়ই সরকারকে চাঁদমারি করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার চক্রের রমরমা ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Jadavpur University) বলেন, “ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ বিচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখতো।  ব়্যাগিং করেছে। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয়বিদারক। এটা নতুন নয়। ওখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে, যারা মাঝে মাঝে দেশবিরোধী কথা বলে।”

    বিলম্বিত বোধোদয়

    ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিত্য আনাগোনা বহিরাগতদের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই মদের বোতল পড়ে থাকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। এহেন আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ঘোষণা করেছেন, মাদক ও সুরা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবই জানেন। কারণ সিপিএম এবং আল্ট্রা-সিপিএম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চান বলেও অভিযোগ অগ্নিমিত্রার।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার সমান ওজনের খড়ের পুতুল বানিয়ে তদন্ত করছেন আধিকারিকরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির বরাবর রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার দিকে। যে অভিযোগের অভিমুখ এদিনও ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের দিকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) আঁচ পৌঁছল বিধানসভায়ও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন গলায় কালো উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়করা। আনেন মুলতুবি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার। অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শ্রেণির উগ্র বাম মানসিকতার লোক রয়েছে, তারা মাঝে মধ্যে দেশবিরোধী কথাবার্তাও বলে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরোধী কথা বলার একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের জন্য যাদবপুরে রুলস-রেগুলেশন কিছুই মানা হয় না। মানা হলে গ্রামের মেধাবী ছাত্রটির জীবন এভাবে চলে যেত না।”

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো সহ যেসব নির্দেশিকা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেসব মানা হয়নি কেন, এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর কাছে তা জানতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ্যত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিজেপির তরফে এদিন ফের এনআইএ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াক-আউট করেন বিধানসভা কক্ষ থেকে। 

    শুভেন্দুকে নোটিশ 

    এদিকে, এবার শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠাল যাদবপুর থানা। তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন শুভেন্দুর ওপর হামলা হয়েছিল, সেদিনের ঘটনা বিশদে জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই যাদবপুর জিআরপিতে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দুর অভিযোগ জিআরপির তরফে হস্তান্তরিত করা হয় কলকাতা পুলিশে। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তার জেরে এবার সম্বিত ফিরল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ব়্যাগিং রুখতে নেওয়া হল কুইক রেসপন্স টিম তৈরির সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’কিমি এলাকার মধ্যে থাকবে এই টিম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হস্টেলে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এই টিম। আজ, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও।  

    অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠক 

    ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনায় উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। তারপরেই এদিন পদক্ষেপ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও আলোচনা (Jadavpur University) হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির তরফে কথা বলা হবে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের সঙ্গে। তাঁদের ভয় কাটাতেই অবলম্বন করা হবে এই পন্থা। যেসব অধ্যাপক মেন্টর হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হবে। পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি কথা বলা হবে তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গেও।

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে ব্যবস্থা

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির সদস্যদের আরও বেশি করে তৎপর হতে বলা হয়েছে। চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচন যাতে দ্রুত সেরে ফেলা যায়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলেও জানান উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে নির্বাচনের ব্যাপারে রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা রাজ্যকে জানাব, যাতে তাড়াতাড়ি নির্বাচন করানো যায়।”

    আরও পড়ুুন: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    উপাচার্য (Jadavpur University) জানান, ব়্যাগিং রুখতে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। হস্টেলের প্রতিটি বিল্ডিংয়ের এন্ট্রিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে আইডি কার্ডের। বহিরাগত কাদের ঢুকতে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের জন্য লগবুক রাখা হবে। লগবুকে নাম লিখে তবেই ঢোকা যাবে হস্টেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share