Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Suvendu Adhikari: সরকারেই বাঙালিরা উপেক্ষিত,  কার স্বার্থে আন্দোলন? মমতার রাজনীতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সরকারেই বাঙালিরা উপেক্ষিত,  কার স্বার্থে আন্দোলন? মমতার রাজনীতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতা নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। বুধবার এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতই যদি বাঙালিদের সম্মান নিয়ে চিন্তিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে কেন যোগ্য বাঙালি দক্ষ অফিসারদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল পথে নেমেছে বুধবার। ঠিক তখনই মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা হাঁটছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাপোর্ট করে। কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার লিস্টে থাকতে পারে না। বিহারে যদি ৩০ লাখ বাদ চলে যায়, এখানে ৯০ লক্ষ আছে।”

    প্রশাসনিক পদে বাঙালিদের অবহেলা কেন

    বছর ঘুরলে বিধানসভা ভোট। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থা, এই অভিযোগে বুধবার শহরে মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি অস্মিতা নিয়ে শাসকদলকে পাল্টা নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের পথে নামার আগেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “বাঙালি অস্মিতার রাজনৈতিক ভাষ্য তৈরি করতে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস। কাদের স্বার্থে? বাংলাভাষী রোহিঙ্গাদের স্বার্থে? নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের স্বার্থে? দুর্নীতির জন্যে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে রাজপথে বাংলা ভাষায় আর্তনাদ করছে, তাঁদের কথা কানে পৌঁছচ্ছে না কেন? আপনার সরকার ও প্রশাসন যোগ্য ও দক্ষ বাঙালি অফিসার থাকা সত্ত্বেও তাঁদের উপেক্ষা করে। বাইরের লোকেদের খোঁজে, যারা শুধুমাত্র আপনাদের কথায় উঠবে বসবে, তখন কোথায় যায় বাঙালি অস্মিতা? কেন অত্রি ভট্টাচার্য এবং সুব্রত গুপ্ত উপেক্ষিত হলেন এবং মনোজ পন্থকে মুখ্যসচিব করা হল? তিনি আবার এই দুই যোগ্য বাঙালি অফিসারের তুলনায় জুনিয়র। কেন পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে সিনিয়র আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে উপেক্ষা করা হয়েছে? কেন ভিনরাজ্য থেকে আসা তাঁর জুনিয়র রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদে বসানো হয়েছে?”

    বাংলায় বাদ যাবে ৯০ লক্ষ ভোটার

    বিজেপি বিধায়ক সরাসরি দাবি করেছেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনে গেছেন। ভোট ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাঙালি অস্মিতার মোড়কে আসলে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দুর দাবি, শেষ জনগণনায় দেখা যাচ্ছে জাতীয় গড়ের থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রোথ ১০ শতাংশ বাড়ানো। আর ভোটার তালিকায় ১৬ থেকে ২৫। সাংবাদিক বৈঠকে একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, “জাতীয় গ্রোথ যেখানে ৭ শতাংশ, সেখানে ৯টি বাংলাদেশ বর্ডার জেলায় গড় বৃদ্ধি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ মমতার আমলে মেখলিগঞ্জে ২৪.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি। মাথাভাঙায় ২১.৭৯। কোচবিহার উত্তর ১৯.৫৯, কোচবিহার দক্ষিণ ১৯.৭৯, শীতলকুচি ২৪.৬২, দিনহাটা ২৫.৯৩, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ. কুমারগ্রামে ২১.১০।” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাতে বাংলা যেতে দেওয়া হবে না। কোনও ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, জৈন, পারসি, বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। সব ধর্মের লোক থাকবে। কিন্তু কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    বিএসএফ-এর দায় নেই

    মমতা যখন অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-এর দিকে দায় ঠেলছেন সেই সময় শুভেন্দু কিন্তু অন্য চাল দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ বিএসএফ-এর দায়িত্ব। আমি বলছি, আপনি কেন্দ্রকে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেননি কেন? ২০১৬ সাল থেকে বারংবার ভারত সরকার স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অনুরোধ করা সত্ত্বেও। আপনি বিএসএফ-কে সম্পূর্ণ জমি দিয়ে, তাতে কাঁটাতার লাগানোর সময় দিয়ে, তারপর বিএসএফ-র দিকে আঙুল তুলুন। আমরাও না হয় তখন সমর্থন করব।’

     

     

  • Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে মার্কিন অ্যাপাচে হেলিকপ্টার (Apache Helicopter)। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, আগামী ২১ জুলাই ভারতে এসে পড়বে প্রথম দফার তিনটি ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি দেরি এবং দু-দুবার সময়সীমা পার করার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরের হাতে আসতে চলেছে প্রথম ব্যাচের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অ্যাটাক হেলিকপ্টার (Apache AH-64E Attack Helicopter)। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেসে প্রথমে অবতরণ করবে এই হেলিকপ্টারগুলি। পরে, সেগুলি মোতায়েন করা হবে রাজস্থানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

    ভারতীয় সেনার অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন তৈরি

    ২০২০ সালে ছ’টি ‘অ্যাপাচে’ হেলিকপ্টার কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ভারতের। মোট ৬০ কোটি ডলারের (৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা) বিনিময়ে এই লড়াকু হেলিকপ্টারগুলি কিনছে ভারত। এর জন্য রাজস্থানের যোধপুরে নতুন স্কোয়াড্রনও গঠন করে ভারতীয় সেনা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে স্থলসেনার প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গঠিত হয়। কথা ছিল ২০২৪ সালের মে-জুন মাসেই এই হেলিকপ্টারগুলি (Apache Helicopter) পেয়ে যাবে ভারত। কিন্তু তা হয়নি। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে সেগুলি ভারতকে সরবরাহ করার কথা হয়। তা-ও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। এদিকে, গঠন হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার না পৌঁছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। গত মাসে আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। সেখানেই নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করে ভারত। অবশেষে ওই হেলিকপ্টারগুলি হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা।

    ভারতীয় বায়ুসেনায় রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে (Apache Helicopter)

    বর্তমানে, ধ্রুব এবং চেতকের মতো ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আর্মি এভিয়েশন কোর। এছাড়া, তাদের হাতে রয়েছে, ডরনিয়ার ২২৮, ইউএভি এবং মি-১৭ হেলিকপ্টার। গত বছর অসমের মিসামারিতে দেশীয়ভাবে তৈরি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) প্রচন্ডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এবার আসছে আমেরিকার অ্যাপাচে। বস্তুত, ভারতীয় বায়ুসেনা অনেক আগে থেকেই অ্যাপাচে ব্যবহার করছে। তাদের হাতে ইতিমধ্যেই ২২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের (Apache Helicopter) একটি বহর রয়েছে, যা পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টেই মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া পৃথক একটি চুক্তিতে ওই হেলিকপ্টারগুলি কেনা হয়েছিল।

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে

    অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারগুলি (Apache AH-64E Attack Helicopter) অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নিশানাভেদী প্রযুক্তিতে সজ্জিত। বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। এই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। লেজার-চালিত হেলফায়ার (নরকের আগুন) ক্ষেপণাস্ত্র, ৭০ মিলিমিটার রকেট, ৩০ মিলিমিটার স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে এই কপ্টারে। প্রয়োজনে মিনিটে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যেতে পারে আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার। এই কপ্টারের ডিজিটাল ককপিট রয়েছে। শত্রুপক্ষকে নিশানা করে অ্যাপাচে মিনিটে ১২৮টি গুলি ছুড়তে পারে। এতে হাইড্রো রকেট ছোড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এয়ার-টু-এয়ার স্ট্রিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এতে রয়েছে লং বো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় অ্যাপাচেকে। অ্যাপাচে আসায় এই কোরের ক্ষমতা আরও অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছেন সেনা কর্তারা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘অ্যাপাচের (Apache Helicopter) মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টার যুদ্ধক্ষেত্রে গেমচেঞ্জার প্রমাণিত হতে পারে।’

  • Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    Indian Superfoods: নারকেল থেকে কাউনের চাল, পশ্চিমের ‘সুপার ফুড’-কে টেক্কা ভারতীয় খাবারেই!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে জীবন যাপনের ধরনেই বাড়তি নজরদারি জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পুষ্টিকর খাবার, এই দুই অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই শরীর সুস্থ থাকবে। হৃদরোগ থেকে কিডনির সমস্যা, হাড়ের ক্ষয় রোগ সহ একাধিক জটিল অসুখ সহজেই এড়ানো যাবে। ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগের সমস্যাও বাড়ছে‌‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যা জানান দিচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন একাধিক রোগ মোকাবিলার পথ সহজ করে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে, বিশেষত নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই ‘সুপার ফুড’-এর (Indian Superfoods) উপরে ভরসা করেন। বিদেশ বিশেষত পশ্চিমের দেশগুলোতে এই সুপার ফুডের ধারণা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু পশ্চিমের এই সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে ভারতীয় খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতি পরিচিত ভারতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে তার যথেষ্ট ভালো প্রভাব পড়ে। যা সুপার ফুডের তুলনায় বেশি ইতিবাচক ফল দেয়!

    সুপার ফুড (Indian Superfoods) কী?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুপার ফুড হল এমন কিছু খাবার, যার মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের ঠিকমতো ব্যালেন্স থাকে। পাশপাশি থাকে ‘গুড’ কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ, যা শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে না। বরং, শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি পৌঁছে দেয়। পাশপাশি এই ধরনের খাবারে থাকে নানান রকমের খনিজ পদার্থ। যেমন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও এই খাবারে পর্যাপ্ত থাকে‌। কেল, অ্যাভোকাডো, কিনোয়ার মতো খাবার সুপার ফুড বলে পরিচিত‌‌। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবারগুলো যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য নয়।

    কোন ভারতীয় খাবার সুপার ফুডকে টেক্কা দিতে পারে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে নারকেল। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে (Coconut) থাকে ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট। ১০০ গ্রাম নারকেলে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম। এর পাশপাশি নারকেলে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ পদার্থ হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স্কদের পাশপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হাড়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই নারকেল স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উপকারি। নারকেলে থাকে সেলেনিয়াম। যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নারকেলে ম্যাঙ্গানিজের পাশপাশি পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে। এই পদার্থগুলো হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। নারকেল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যাভোকাডোকে সুপার ফুড ফল হিসাবে খান। অ্যাভোকাডো যথেষ্ট উপকারি ফল। ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ একটি খাবার। এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও ফ্যাট থাকলেও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু নারকেলের মতো ফল নিয়মিত খেলে শরীরের প্রয়োজন সহজেই পূরণ করা সম্ভব হয়।

    মিলেট বা কাউনের চালের খিচুড়ি…

    ভারতীয় খাবার হিসাবে মিলেট বা কাউনের চাল (Foxtail Millet), যে কোনও ধরনের সুপার ফুডকে (Indian Superfoods) টেক্কা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। পুষ্টিবিদদের মতে, কিনোয়া বা অন্য যে কোনো দানাশস্যের তুলনায় পুষ্টির দিক থেকে এই ভারতীয় খাবারকে এগিয়ে রাখা যেতেই পারে। উপোস করলে অনেকেই কাউনের চালের খিচুড়ি রান্না করে খান। তবে সপ্তাহে অন্তত একদিন কাউনের চালের (Millet Rice) খিচুড়ি খেলে শরীরের একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাউনের চালে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো একাধিক উপাদান। তাছাড়া এটি গ্লুটেন-মুক্ত কার্বোহাইড্রেট এবং এই খাবারে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই কাউনের চালের তৈরি খাবার খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে উপাদান গড়ে তোলে।

    সজনে ডাঁটা, সজনে শাকের মতো খাবার যেকোনও সুপার ফুডের (Indian Superfoods) মতো উপকারি বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সজনে ফুল, সজনে ডাঁটা কিংবা সজনে শাক, এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। তাই যেকোনও বিদেশী সুপার ফুডকে সহজেই টেক্কা দেবে এই ভারতীয় খাবার।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌমাছির মতো ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ। কোনওটার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক। কোনওটার কাজ আবার শুধুই গুপ্তচরবৃত্তি। এ রকম শয়ে শয়ে ড্রোন বানাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান (China-Pakistan)। সূত্রের খবর, দুই দেশ যৌথভাবে অধিক-উচ্চতায় কার্যক্ষম আধুনিক সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) বানাচ্ছে। যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এগুলো বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের নাগালের বাইরে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এল-৭০ বন্দুকের কার্যকর সীমা যেখানে প্রায় ৩,৫০০ মিটার, সেখানে এই ড্রোনগুলো ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মিটার বা তারও উপরে উড়তে সক্ষম। এর ফলে ভারতকে স্বল্পমেয়াদী ও ব্যয়বহুল মিসাইল নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা হবে, যেমন আকাশ, এমআরস্যাম, এবং এস-৪০০ সিস্টেম।

    কৌশলগত পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরের পর গত ৮ এবং ৯ মে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় পাক সেনা। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ড্রোনগুলিকে (Swarm Drone) চিহ্নিত করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তাই এবার উচ্চ উচ্চতার ড্রোন বানানোর চেষ্টা চলছে। চিন-পাকিস্তান এই কৌশলগত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো বিপুল সংখ্যক সস্তা, সমন্বিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্লান্ত করে ফেলা। একবার যদি ভারতের মিসাইল মজুদ শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে। এরপর ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে বড় আকারের হামলা চালানো হবে। এই পদ্ধতি ইতিহাসের সেই পুরনো যুদ্ধকৌশলকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে প্রথমে কম দামের বা সহজলভ্য অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হতো।

    চিনের ভূমিকা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর

    চিন শুধু পাকিস্তানকে (China-Pakistan)  প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না, বরং অত্যাধুনিক ‘ড্রোন মাদারশিপ’ প্রযুক্তিও সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা একাধিক ড্রোন একসঙ্গে নিক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই গভীর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলছে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর অঞ্চলে।

    ভারতের উপর সম্ভাব্য প্রভাব

    অপারেশনাল চাপ: ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরের – বন্দুক, স্বল্প-পাল্লার মিসাইল এবং দীর্ঘ-পাল্লার মিসাইল। উচ্চ-উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ড্রোনগুলো বন্দুক স্তরকে অকার্যকর করে ফেলবে, ফলে অধিক ব্যয়বহুল মিসাইল ব্যবহারের প্রয়োজন হবে।

    সম্পদের অপচয়: প্রথম পর্বে সস্তা ড্রোন ব্যবহারে ভারত তার মূল্যবান মিসাইল মজুদ খরচ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে পরবর্তী বড় ধরনের হামলার সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অসামরিক স্থাপনাগুলোকে প্রতিরক্ষাহীন করে তুলতে পারে ।

    কৌশলগত অস্থিরতা: দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক প্রেক্ষাপটে ড্রোন এবং মিসাইল প্রতিযোগিতা নিরাপত্তাজনিত অস্থিরতা বাড়াতে পারে । যেকোনো সময় পরিস্থিতির ভুল ব্যাখ্যা বা সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

    সোয়ার্ম ড্রোন কী

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মূলত ঝাঁক বেঁধে হামলা চালানোয় সিদ্ধহস্ত সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) পরিচালিত হয় কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) দ্বারা। একসঙ্গে উড়লেও তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার কোনও আশঙ্কা নেই। যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই সোয়ার্ম ড্রোন। এগুলিতে থাকে অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক সেন্সর, যা আশপাশের এলাকা চিহ্নিতকরণ (পড়ুন নেভিগেট) এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই ঝাঁকে ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন আকারের মানববিহীন উড়ুক্কু যান থাকতে পারে। সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে হামলা চালানোর নজিরও পৃথিবীতে রয়েছে। সোয়ার্ম ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঝাঁকের মধ্যে পর পর এগুলির বেশ কয়েকটিকে ধ্বংস করলেও বাকিগুলি ঠিক কাজ করতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী সামরিক সরঞ্জামের তুলনায় এগুলি বেশ সস্তা।

    প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে ভারত

    গত ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তানের (China-Pakistan) ড্রোন হামলা আটকাতে বেশ কয়েকটি হাতিয়ার ব্যবহার করেছে ভারতীয় ফৌজ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন আটকাতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামানোর ক্ষেত্রে এল-৭০র জুড়ি মেলা ভার। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল সুইডেনের বফোর্স। এটি প্রকৃতপক্ষে ৪০ এমএম ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। নিখুঁত ভাবে হামলা করার জন্য এই বন্দুকটিকে অত্যাধুনিক করেছে ভারতীয় সেনা। জু-২৩ এমএম হল সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। এর মারণক্ষমতা অনেক বেশি। খুব অল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের কোনও ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে পারে এই হাতিয়ার। শিল্কার অপর নাম জেডএসইউ-২৩-৪। এটি একটি রেডার পরিচালিত ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। ড্রোন ধ্বংস করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। এ ছাড়াও পাক ড্রোন ওড়াতে ব্যবহার হয়েছে ‘আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’। কিন্তু এবার তো চিনের সঙ্গে মিলে অধিক উচ্চতায় উড়তে পারে এমন সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাকিস্তান। এই ড্রোন প্রতিরোধ করতে ভারতকে এখনই তার বিমান প্রতিরক্ষা কৌশল নতুনভাবে সাজাতে হবে, উন্নত ‘অ্যান্টি-ড্রোন’ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, এবং নিজস্ব ড্রোন যুদ্ধশক্তি জোরদার করতে হবে – যাতে আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের (Yunus Government) আমলে বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্যাপকভাবে বেড়েছে অপরাধ। নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, গণপিটুনি, তোলাবাজি এবং জমি দখলের মতো ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ।

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান ভয়াবহ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১০টি, খুনের ঘটনা ৩,৫৫৪টি, দাঙ্গা হয়েছে ৯৭টি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪,১০৫টি। অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ১২,৭২৬টি এবং অপহরণ হয়েছে ৮১৯টি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ৪৭৯টি এবং চুরির মামলা হয়েছে ২,৩০৪টি। অন্যান্য অপরাধে মামলা হয়েছে ৬৮,৬৮০টি। অস্ত্র আইনে দায়ের হয়েছে ১,৪৩৬টি মামলা, প্রতারণার মামলা ৫০০টি, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা ৩৮,১৭৬টি এবং পাচারের মামলা হয়েছে ১,৭৩০টি। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা অবনত হয়েছে।

    ভালুকায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামি লিগের প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লিগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানে পুলিশ উদ্ধার করে এক মা ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মৃতদেহ। এই নৃশংস ঘটনায় গোটা দেশের মানুষ স্তম্ভিত। অথচ, এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইউনূস (Yunus Government) দাবি করে যাচ্ছেন যে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের নানা প্রান্তে বেড়েই চলেছে খুন, ধর্ষণ, জমি দখলসহ নানান অপরাধ। এতে করে সাধারণ মানুষ প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন (Bangladesh)।

    প্রথম আলোর তথ্য এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা

    ‘প্রথম আলো’-এর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিমাসে খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারিতে খুনের মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিল মাসে ৩৩৮টি, মে মাসে ৩৪১টি এবং জুনে ৩৪৪টি। এছাড়া, মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে যে সম্প্রতি বিএনপির একদল কর্মী ‘লালচাঁদ’ নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং তারপর তাঁর মরদেহের উপর নাচতে থাকে। অন্যদিকে, কুমিল্লায় বিএনপির এক নেতা একটি হিন্দু পরিবারে ঢুকে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে, যা নিয়ে দেশজুড়ে চরম ক্ষোভ ছড়ায়। তবে এসব ঘটনার (Bangladesh) পরও ইউনূস সরকার কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশকে অপরাধমুক্ত করতে এই সরকার আদৌ কতটা আন্তরিক?

  • Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি নিয়ে কপিরাইট নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছে ওড়িশা সরকার (Odisha Government)। বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং পুরীর সম্মানীয় রাজা ও জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব। তাঁর বক্তব্য, মূল উদ্দেশ্য হল পুরীর (Puri Temple) ঐতিহ্যবাহী পুজো-পদ্ধতি ও আচার-অনুষ্ঠানকে নিরাপদ রাখা এবং তা যাতে বেহাত না হয়, তা নিশ্চিত করা। এখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন কেন দেখা দিল? সাধারণত কপিরাইট ব্যবহার করা হয় কোনও কিছুর নকল রোধ করতে। তাহলে কি পুরীর মন্দির বা তার ধর্মীয় রীতিনীতির নকল হওয়া শুরু হয়েছে? এখানেই দুটি বিতর্ক সামনে এসেছে (Odisha Government)। একটি দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অপরটি রথযাত্রার নির্দিষ্ট দিনের বদলে বিদেশে অন্যদিনে ইসকনের রথযাত্রা পালন।

    দিঘার জগন্নাথ ধাম বিতর্ক

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্দিরের নাম তিনি ‘জগন্নাথ ধাম’ দেন। এতে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। সাধু-সন্ত থেকে আরম্ভ করে ধর্মবিশেষজ্ঞরা জানান যে, জগন্নাথ ধাম সারা পৃথিবীতে একটি আছে এবং তা পুরীতে। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন পুরীর (Odisha Government) গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং জগন্নাথ ভক্তদের বড় অংশ।

    ইসকন বিতর্ক

    অন্যদিকে, ইসকনের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে যে, এই সংগঠন বিদেশে অন্য একটি তারিখে রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করেছে, যা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সঙ্গে মেলেনি। এখানেই আপত্তি জানিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং তারা এই ধরনের কাজকে ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন ঐতিহ্যের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে (Odisha Government)।

    কী বললেন গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    এ নিয়েই পুরীর রাজা এবং ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রথম সেবক গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব বলেন যে, ভারতে ইসকন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার জন্য নির্ধারিত তারিখ মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। আমরা মায়াপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আলোচনা এখনও চলছে। এই নিয়েই তিনি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের মায়াপুরের কথা বলেন। প্রসঙ্গত এই মায়াপুরই (Puri Temple) হল ইসকনের সদর দফতর, যা বিশ্বব্যাপী তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনকে তত্ত্বাবধান করে (Odisha Government)।

  • Daily Horoscope 16 July 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 July 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমামনে ভারত (India Energy) দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ এখন আসছে অজীবাশ্ম জ্বালানির উৎস (non-fossil fuel) থেকে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৩০ সাল। তবে পাঁচ বছর আগেই, ২০২৫ সালেই ভারত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী

    এই উপলক্ষে নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি ঘটনাটিকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দেন এবং এর কৃতিত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, ভারতে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৪৮৪.৮ গিগাওয়াট, যার মধ্যে ২৪২.৮ গিগাওয়াট অজীবাশ্ম জ্বালানি উৎস (non-fossil fuel) থেকে আসে। এর মধ্যে ১৮৪.৬ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস (সৌর, বায়ু, জৈব শক্তি প্রভৃতি) থেকে। ৪৯.২ গিগাওয়াট বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে, এবং ৮.৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক শক্তি থেকে আসে।

    প্রধানমন্ত্রী কুসুম এবং পিএম সূর্য ঘর

    মন্ত্রী জানান, ভারতের বিদ্যুৎ (India Energy) খাতে অজীবাশ্ম জ্বালানির অংশ বৃদ্ধির পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ‘প্রধানমন্ত্রী কুসুম’ (PM-KUSUM) এবং ‘পিএম সূর্য ঘর’ (PM Surya Ghar) প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এবং কৃষকদের জন্য সৌরশক্তি সহজলভ্য হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও সৌর পাম্পের ব্যবহার যেমন সেচ খরচ কমিয়েছে, তেমনই নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, গ্রামীণ ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন—উভয়ই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি সৌর পার্ক, জৈব শক্তি এবং ভবিষ্যতে কৃত্রিম মেধা (AI)-র প্রয়োগ জ্বালানির পরিকাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইন্টেলিজেন্ট এনার্জি মার্কেটপ্লেস, স্মার্ট মিটার, এবং ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট সম্ভব হচ্ছে। তবে, প্রহ্লাদ জোশি সতর্ক করে দিয়েছেন, এ সব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে (India Energy) সাইবার নিরাপত্তাকে। কারণ ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থার ডিজিটাল নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়বে।

  • Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মোট ১৬ জন কট্টরপন্থী জঙ্গিকে। জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, ১১টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), প্রচুর গুলি এবং যুদ্ধসামগ্রী। এই অভিযানগুলি চালানো হয়েছে মণিপুরের পাঁচটি জেলাজুড়ে— কাংপোকপি, বিষ্ণুপুর, তেঙ্গনৌপাল, ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে। কাংপোকপির পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইনসাস রাইফেল, পয়েন্ট ৩০৩, বোল্ট অ্যাকশন, পুল মেক ও একাধিক ইম্প্রোভাইজড মর্টার (Manipur News)।

    ধৃত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের সদস্য (Manipur)

    এই অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনীর ‘স্পিয়ার কর্পস’ এবং অসম রাইফেলস, সহযোগিতা করেছে মণিপুর (Manipur News) পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও আইটিবিপি। বিস্ফোরক শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা কুকুর। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর, থৌবল এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আরও ছয় জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। ধৃতরা কেওয়াইকেএল, কেসিপি ও পিএলএ-র সক্রিয় সদস্য। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, দুই চাকার গাড়ি ও নানান গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সবকিছু হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের হাতে।

    গুজব থেকে দূরে থাকতে বলল প্রশাসন

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ে যুক্ত ছিল এবং সংগঠনে নতুন সদস্য নিয়োগেও ভূমিকা রাখছিল। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান এবং এলাকা নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি, নাগরিকদের (Manipur) উদ্দেশে পুলিশ বার্তা দিয়েছে— যেন কেউ ভুয়ো ভিডিও বা গুজবে বিশ্বাস না করেন। কোনও অডিও-ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, এবং এমন কাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কারও কাছে লুন্ঠিত অস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকলে তা দ্রুত স্থানীয় থানায় অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দিতে (Manipur)।

LinkedIn
Share