Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের সাহসী বোলিংয়ে ওভাল টেস্ট জিতেছে ভারত। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শুভমন ব্রিগেড। গুরু গম্ভীরের পরামর্শে এখন হারার আগে হার মানতে জানে না টিম ইন্ডিয়া। ওভালে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Points Table) তালিকায় এক ধাপ উঠে এসেছে ভারত। সরিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। শুভমন গিলের দল এখন রয়েছে তিন নম্বরে। ওভালে জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ভারত। এই টেস্টের আগে তিনে ছিল ইংল্যান্ড। তারা নেমে গিয়েছে চারে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়

    ভারত এবং ইংল্যান্ড, দুটো দলের কাছেই এটা পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) প্রথম সিরিজ ছিল। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ড্র হয়েছে। তবে লর্ডসে মন্থর ওভার রেটের কারণে আইসিসি ইংল্যান্ডের দু’পয়েন্ট কেটে নিয়েছে। তাই ভারতের নীচে চলে গিয়েছে তারা। পাঁচ টেস্টে ভারতের ২৮ পয়েন্ট। শতাংশের বিচারে পয়েন্ট ৪৬.৬৭। ইংল্যান্ডের ২৬ পয়েন্ট এবং পয়েন্ট শতাংশ ৪৩.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনটে টেস্টেই হারানোর কারণে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৬ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ ১০০। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৬৬.৬৭। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (পয়েন্ট শতাংশ ১৬.৬৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০)। নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চক্রে এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।

    টিম ইন্ডিয়ার নজর হোম সিরিজের দিকে

    ওভাল টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়বে ভারত, অতিবড় ভক্তও বোধ হয় সেটা ভাবতে পারেননি। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শুভমান গিলরা। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি ড্র করে করে দেশে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। শুভমনের নতুন ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাসকর থেকে তেন্ডুলকর। তরুণ তুর্কিদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রোহিত-বিরাটরাও। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উপরে উঠে এসেছে শুভমনরা। ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে। ঠিক দু’ মাস পরে, ২ অক্টোবর থেকে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে। এর পরে টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। এই সিরিজটিও ভারত ঘরের মাঠে খেলবে। এই দু’টি সিরিজ জিতে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে শুভমনদের। এদিকে ইংল্যান্ড এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে, ২১ নভেম্বর থেকে দুই দলের মধ্যে ৫ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে।

  • Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    Calcutta University: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা, সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস (Trinoomul Chhatra Parishad)। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা নেহাত কম নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে — শিক্ষক নিগ্রহ থেকে শুরু করে তোলাবাজি। টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তি। হাল আমলে কসবা কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরই ছাত্র নেতার। ওই দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পরীক্ষা নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। তারপরে শুরু হয় এই সিদ্ধান্তের কারণে উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ। উপাচার্য ২৮ অগাস্ট তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা ঘোষণা করেছেন বলে এটাকে গভীর ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে যারা অনুপ্রাণিত এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যারা বিশ্বাসী, তাদেরকে আটকে দেওয়ার জন্য নাকি এক গভীর ষড়যন্ত্র করছেন উপাচার্য। কী আশ্চর্য যুক্তি। মমতার আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে পরীক্ষার দিন বদল করতে হবে! এসবের পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন উপাচার্য। উচ্চ শিক্ষা দফতরের দিন বদলের আবেদনও ফেরালেন।

    উপাচার্যের সাহসী পদক্ষেপ

    এনিয়ে শান্তা দত্ত দে বলছেন, ‘‘শাসক দলের তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যা, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) সরকারি ছুটির দিনে তো পরীক্ষা রাখেনি। শান্তা দত্ত দে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস দেখতে হয়, তাহলে সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে, এবং সেই বিচার করেই আমাকে পরীক্ষার দিনক্ষণ ফেলতে হবে।’’ ভয় না পেয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজ্য জুড়ে যে থ্রেট কালচার চালাচ্ছে শাসক দল, তার মাঝেও ব্যতিক্রমীভাবে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তিনি। এজন্য অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার দিন পিছনোতে সরকারের নাক গলানো নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি মন্তব্য করেন, “সরকারের এমন চিঠি বেনজির। শিব ঠাকুরের আপন দেশে, নিয়ম-কানুন সর্বনেশে।” এ কথাও বলেন শান্তা দত্ত দে। তিনি জানিয়েছেন যে, বিরোধীরা যখন ধর্মঘট ডাকে, তখন তো সরকার বলে সব ঠিক আছে, পরীক্ষা, পরীক্ষার মতোই হবে। হঠাৎ তৃণমূলের সংগঠনের অনুষ্ঠানে (Trinoomul Chhatra Parishad) পরীক্ষা কেন আপত্তি সরকারের, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। ২৮ অগাস্ট এইভাবেই পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে থাকল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যা সাম্প্রতিক কালে একটি সাহসী এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।

    উপাচার্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট

    ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে যে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Calcutta University)। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হবে মেয়ো রোডে এবং উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। আর ওই দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিএ., বিএসসি., বিকম., বিএ এল.এল.বি.-র চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ রয়েছে।

    উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ (Calcutta University)

    এরপরেই ওই পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে লাগাতার আক্রমণ শুরু করে শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা। ছাত্র সংগঠনের তরফে উপাচার্যকেই বেলাগাম আক্রমণ করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী তো আবার উপাচার্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। শুধু তাই নয়, বেলাগাম আক্রমণ করে শান্তা দত্তকে বড় “অনুপ্রবেশকারী” আখ্যা দেন তৃণমূল ছাত্র নেতা। বলা হয়, ২৮ অগাস্ট দিনটাকেই নাকি টার্গেট করেছেন উপাচার্য, তাঁকে বিরোধীদের দালাল বলেও আক্রমণ করা হয়। এরপরেই অত্যন্ত নজিরবিহীনভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পরীক্ষার দিন বদলের আর্জি জানাতে দেখা যায় উচ্চশিক্ষা দফতরকে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার সরকারি চিঠি দিচ্ছে দিন বদলের আর্জি নিয়ে। সরকার এবং দল যে এক হয়ে গিয়েছে এতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেও উপাচার্য যেভাবে অনড় থাকলেন, তাতে তাঁকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন রাজ্যের এক বড় অংশের মানুষ।

    রাজধর্ম পালনের কথা জানালেন উপাচার্য

    আবার এও তথ্য সামনে এসেছে যে সিন্ডিকেটের বৈঠকে উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন ওম প্রকাশ মিশ্র। তিনিও নাকি উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন — অন্তত সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। তার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন উপাচার্য। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনও ভাবেই বদলাবে না নির্ঘণ্ট, ২৮ অগাস্টেই পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দেবেন। নিজের বিবৃতিতে শান্তা দত্ত জানিয়েছেন যে, ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য সরকারি চিঠি বেনজির, আমাদের পরীক্ষা ২৮ তারিখেই হবে। একই সঙ্গে সরকারের কাছে তিনি অনুরোধও জানিয়েছেন, যাতে রাস্তাঘাট স্বাভাবিক থাকে, বাস ঠিকমতো চলে। উপাচার্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সুস্থভাবে পরীক্ষার আয়োজন যাতে তারা করতে পারেন — এই কাজে যদি সরকার সহায়তা করে, সেটাই হবে প্রকৃত রাজধর্ম পালন।

    ২০১১ সালের ছায়া দেখা যাচ্ছে

    এ নিয়ে আবার মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনা উচিত ছিল উপাচার্যের। কোন কথা শুনতে হবে? শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে, তাই ওই দিন এক কথায় “অঘোষিত ছুটি” করে দিতে হবে! ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যায় সিপিএম। সিপিএম চলে যাওয়ার আগেও দেখা যেত, সরকারি আধিকারিকরা সিপিএম সরকারের কথা শুনতেন না। এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই একই রকমের ছায়া দেখা যাচ্ছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কেউ কেউ বলছেন — শাসক দলের পক্ষে এটা বড় অশনিসংকেত, যেখানে সরকারি কর্তাব্যক্তি এবং আমলারা আর আগের মতো কথা শুনছেন না।

  • Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    Weather Update: ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ চলবে উত্তরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে বইতে পারে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update)। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও উপকূলের দুই জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই গোটা সপ্তাহ ধরেই রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সতর্কতা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস (Weather Update)

    মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। এর পাশাপাশি এদিন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, বুধবার দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া এবং মুর্শিদাবাদে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই (Weather Update)। তবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টির ফলে রাজ্যের নিচু এলাকাগুলিতে জল জমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই সঙ্গে শহরের এলাকাতে যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস (West Bengal)

    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যে এই সপ্তাহজুড়ে অতিভারী বৃষ্টি হবে। বেশি বৃষ্টি হওয়ার জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। মঙ্গলবার থেকে এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ নামবে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    মৌসুমী অক্ষরেখা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অমৃতসর, দেরাদুন, শাহজাহানপুর, বাল্মিকীনগর, ছাপরা হয়ে কোচবিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উপর দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্জা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও সংলগ্ন জম্মু-কাশ্মীর এলাকায়। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ৬ বছর পার, উপত্যকায় উন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট, কতটা বদলেছে ভূস্বর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের মোদি সরকার সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের ছয় বছর পর এমনই ভাবছে উপত্যকাবাসী। ৫ অগাস্ট— ২০১৯ সাল, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই সঙ্গে রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ—তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকা এই পদক্ষেপকে “জাতীয় সংহতির পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ” বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথে এই সিদ্ধান্ত সঠিক। এই পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ করে তুলতে সাহায্য করেছে।

    ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরিবর্তনের ছবি

    ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর ব্যাপক পরিকাঠামো গত উন্নয়নের হাত ধরে বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের চেহারা। নিত্যদিনের কার্ফিউ বা জঙ্গিদের সন্ত্রাস এখন নেই বললেই চলে। সেখানকার স্থানীয় মানুষই প্রতিহত করছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের যাবতীয় নাশকতার ছক। নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা এখন রাজ্যে চাইছেন শান্তি। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে হিংসাত্মক ঘটনা কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।

    সফল নির্বাচন ও ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীর প্রথমবারের মতো একাধিক সফল নির্বাচন দেখেছে। কয়েক দশক পর প্রথমবার, সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহে ভোটদান করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় উপত্যকায়। একইভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাদাতাদের উপস্থিতি ছিল ৬৩.৮৮ শতাংশ, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। নির্বাচনের সময় কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা বয়কটের ডাক দেখা যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে।

    পর্যটনে ব্যাপক উত্থান

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ২.১১ কোটির বেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। যদিও পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু কিছুটা ধাক্কা দেয় পর্যটনে, তবুও পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং আবারও পর্যটকের ঢল নামে।

    পাথর ছোড়ার ঘটনা একেবারে বন্ধ

    অতীতে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়মিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই ধরনের একটিও ঘটনা ঘটেনি। ২০১০ সালে যেখানে পাথর ছোঁড়ার সংখ্যা ছিল ২,৬৫৪টি, সেখানে আজ তা পুরোপুরি শূন্য বললেই চলে। পাশাপাশি, উপত্যকায় হরতালের ডাকও কার্যত নেই।

    পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ

    বড় ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ৪২ হাজার ৫০০ কোটির উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল প্রকল্প, যার অংশ হিসেবে চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু। এই রেল প্রকল্প কেবল জম্মু ও কাশ্মীরকে সংযুক্ত করে না, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সংযোগেও গতি এসেছে।

    চেনাব সেতু: কাশ্মীরের পরিকাঠামো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় উদাহরনই হল চেনাব সেতু। চেনাব নদীর ওপর গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই আর্চ রেলসেতু। ইতিমধ্যেই চেনাব সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সেতু কাশ্মীরের আর্থসামাজিক অবস্থাকেই বদলে দিচ্ছে। চন্দ্রভাগা নদীর ৩৫৯ মিটার উঁচুতে তৈরি চেনাব আর্চ রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। চেনাব সেতু এখন কাশ্মীরিদের গর্ব। ভূমিকম্পেও অটল থাকবে এই সেতু।

    যোগাযোগ ব্যবস্থায় বদল: রেল ছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিরাট বিরাট সড়ক। হাটবাজার, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ প্রভৃতি গড়ে উঠছে অতি দ্রুত। ভারত স্বাধীনতার বহু যুগ কেটে গেলেও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ২০১৯ সালের আগে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু গত ৬ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে উপত্যকার সড়ক ব্যবস্থা। ভারত নেট প্রকল্পে মার্চেই ৭ হাজার ৭৮৯ ফাইবার-টু-দ্য-হোম সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিমানবন্দরেরও। ২০১৯ সালে যেখানে ৩৫টি বিমান প্রতিদিন যাতায়াত করতো এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৫।

    লগ্নি বেড়েছে উপত্যকায়: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়়ে উঠছে উপত্যকায়। বর্তমানে ৮৩৭টি নতুন শিল্প উদ্যোগ চালু আছে। এরমধ্যে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানই নারীদের দ্বারা পরিচালিত। শ্রীনগর শহর এখন স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ এ ফলে উপকৃত হচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, এই ধারা রদের পর থেকে পরিসংখ্যান বলছে জম্মু-কাশ্মীরে ভোটার অংশগ্রহণ, পর্যটন, শান্তি ও উন্নয়নের দিক থেকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

  • Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    Russian Oil: ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’! ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতের, বার্তা পাল্টা পদক্ষেপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল কেনা (Russian Oil) নিয়ে সোমবার রাতে ভারতকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কিনে তা খোলা বাজারে বিক্রি করছে ভারত, যা একটি ‘অপরাধ’। এই কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। আমেরিকার এই হুঁশিয়ারির জবাবে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ভারত প্রয়োজনে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমেরিকার এমন বিবৃতিকে ভারত ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি (Russian Oil)

    সোমবার রাতে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিশানা করছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে। আদতে সংঘাত শুরুর পর সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইউরোপে চলে যাচ্ছিল বলেই ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করে। সে সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিতে উৎসাহও দিয়েছিল আমেরিকা।’’

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি হল-

    একই সঙ্গে, বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে—যারা ভারতের সমালোচনা করছে, তারাই আবার রাশিয়ার (Russian Oil) সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত। এই বিষয়ে তারা পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়ার মধ্যে ৬৭,৫০০ কোটি ইউরো মূল্যের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭,২০০ কোটি ইউরো। এই পরিসংখ্যান ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

    বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনতে শুরু করে, যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। ভারতের এই সিদ্ধান্ত ছিল কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থে নেওয়া একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।

    বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যখন ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করেছিল, সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই উদ্যোগকে ‘উৎসাহিত’ করেছিল। এমনকি তারা বলেছিল, এতে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী। বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যাতে দেশের সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    এছাড়াও, মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে। বিশেষ করে, ওয়াশিংটন তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাতু প্যালেডিয়াম, সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং সার রাশিয়া থেকেই আমদানি করে। এসব তথ্য বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে তুলে ধরেছে।

    বিবৃতির একেবারে শেষে, বিদেশ মন্ত্রক ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এই ধরনের মন্তব্যকে “অযৌক্তিক এবং অন্যায্য” বলে আখ্যা দিয়েছে (Russian Oil)। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।

    কী লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ অগাস্ট ২০২৫ থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শিল্প শুল্ক আরোপ করেছেন। এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং ব্রিকস গোষ্ঠীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। ট্রাম্পের দাবি, ভারতের এই সিদ্ধান্তগুলি ‘আমেরিকা-বিরোধী’ এবং এরই ‘শাস্তি’ হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ভারতকে সরাসরি হুমকি দেন ট্রাম্প। সোমবার রাতে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত যে শুধু রাশিয়ার থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশ খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এ দিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বৃদ্ধি করব।’’

  • IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    IBPS: শূন্যপদ ১০ হাজারের বেশি! দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ক্লার্ক পদে চলছে নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কাজের সুযোগ। ১০ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন (IBPS)। এই মর্মে সম্প্রতি তাদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর জন্য আগ্রহীদের থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১ অগাস্ট থেকেই। আগামী ২১ অগাস্ট আবেদনের শেষ দিন। আইবিপিএস-এর তরফে ক্লার্ক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদের সংখ্যা ১০,২৭৭। চলতি বছরের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য কর্মী বাছাই করা হবে।

    দুটো ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা

    নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে দু’টি ধাপে— ১) প্রিলিমিনারি এবং ২) মেনস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে অক্টোবরে। নভেম্বরে মেনস পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণেরাই মেনস-এ অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া, পরীক্ষার্থীদের নথি যাচাই, স্থানীয় ভাষায় পারদর্শিতা যাচাই এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।

    কী কী যোগ্যতা লাগবে?

    সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে প্রার্থীদের যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে। বয়স হতে হবে ২০-২৮ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিতদের ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। এ ছাড়া, স্বচ্ছন্দ হতে হবে স্থানীয় ভাষায়। সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিতদের জন্য আবেদনমূল্য ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১৭৫ এবং ৮৫০ টাকা।

    কী ভাবে আবেদন করবেন?

    ১) প্রথমে আইবিপিএস-এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ‘সিআরপি ক্লার্ক ১৫’-তে ক্লিক করতে হবে।

    ২) এর পর রেজিস্ট্রেশন করে লগ ইন করতে হবে এবং নিজেদের বিষয়ে সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে।

    ৩) তথ্য পূরণের পর সমস্ত নথি সেখানে আপলোড করতে হবে।

    ৪) এর পর আবেদনমূল্য-সহ আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।

    ৫) স্ক্রিনে ‘কনফারমেশন পেজ’ দেখা গেলে সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্য প্রিন্ট নিয়ে রাখতে হবে।

    শূন্যপদ কোথায় কত

    রাজ্যভিত্তিক

    উত্তরপ্রদেশ – ১,৩১৫টি

    মহারাষ্ট্র – ১,১১৭টি

    কর্নাটক – ১,১৭০টি

    তামিলনাড়ু – ৮৯৪টি

    ব্যাঙ্কভিত্তিক

    কানারা ব্যাঙ্ক – ৩,০০০টি

    সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া – ২,০০০টি

    ব্যাঙ্ক অফ বরোদা – ১,৬৮৪টি

    পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক – ১,১৫০টি

    (ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও ইউকো ব্যাঙ্ক এখনও শূন্যপদ জানায়নি)

    পরীক্ষার কাঠামো

    প্রাথমিক পরীক্ষা (Prelims):

    ইংরেজি ভাষা: ৩০ প্রশ্ন – ৩০ নম্বর – ২০ মিনিট

    সংখ্যাত্মক দক্ষতা: ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    যুক্তি বিশ্লেষণ (Reasoning): ৩৫ প্রশ্ন – ৩৫ নম্বর – ২০ মিনিট

    মোট সময় – ৬০ মিনিট | মোট নম্বর – ১০০

    মুখ্য পরীক্ষা (Mains):

    সাধারণ জ্ঞান: ৪০ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ২০ মিনিট

    ইংরেজি ভাষা: ৪০ প্রশ্ন – ৪০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    রিজিনিং: ৪০ প্রশ্ন – ৬০ নম্বর – ৩৫ মিনিট

    অঙ্ক: ৩৫ প্রশ্ন – ৫০ নম্বর – ৩০ মিনিট

    মোট সময় – ১২০ মিনিট | মোট নম্বর – ২০০

  • Daily Horoscope 05 August 2025: সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 August 2025: সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজ ইতিবাচক পরিণাম পাবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আত্মীয়ের কাছ থেকে কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

    ২) বরিষ্ঠদের অনুমতি নিয়ে কোনও কাজ করলে সুফল লাভ সম্ভব।

    ৩) মা-কে ধর্মীয় স্থানে নিয়ে যেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) আজ কোনও কাজে অতি উৎসাহিত হয়ে পড়বেন না।

    ২) ব্যক্তিগত মামলা চলে থাকলে, তাতে আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসবে।

    ৩) সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত জাতকরা সতর্ক থাকুন।

    কর্কট

    ১) পরিবারের পরিবেশ আনন্দমুখর থাকবে।

    ২) পারিবারিক কাজকর্মে রুচি রাখবেন।

    ৩) চারদিকে আপনার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে।

    সিংহ

    ১) পরিবারে অতিথি আগমনের ফলে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) সন্তানকে নীতি শিক্ষা প্রদান করুন।

    ৩) সৃজনশীল কাজে আগ্রহ বাড়বে।

    কন্যা

    ১) আজ তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ২) আইনি মামলা আপনার পক্ষে থাকবে।

    ৩) বন্ধুদের মনোযোগ আকর্ষণ করবেন।

    তুলা

    ১) আজ কোনও নতুন কাজে অংশগ্রহণ করে নিজের সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) পারিবারিক সম্পর্কে মাধুর্য বজায় রাখুন।

    ৩) আপনার প্রভাব ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি ধন বৃদ্ধির সুসংবাদ নিয়ে আসবে।

    ২) পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) মনের মধ্যে প্রতিযোগিতার ইচ্ছা থাকবে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি ভাগ্যের দিক দিয়ে ভালো।

    ২) পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে, রায় আপনার পক্ষে আসতে পারে।

    ৩) সুখ-সুবিধা বাড়বে।

    মকর

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, তা না-হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ২) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ৩) ভুল করে কোনও কাজের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) দাম্পত্য জীবন আনন্দে কাটবে।

    ২) চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায়ীদের চেষ্টা সফল হবে।

    মীন

    ১) বরিষ্ঠ সদস্যদের পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন লাভ করবেন।

    ২) কাজে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ টেস্ট জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের (India vs England) প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। সোমবার দিনের শুরুতেই পর পর দুটি ৪ মেরে ভারতীয় সমর্থকদের মনোবল দুর্বল করে দেন ওভারটন। কিন্তু নাটকের তখন অনেকটা বাকি। নায়কের নাম মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন সিরাজ। ওভালের ঐতিহ্য বজায় থাকল। পরিসংখ্যান বলছে, ওভালে কখনও ২৫৩-এর বেশি স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। এদিনও হল না। তীরে এসে ডুবল ব্রিটিশ আর্মাডা। ৬ রানে জিতল ভারত। এই টেস্ট ম্যাচই ভারতের সবথেকে কম রানের ব্যবধানে জেতা টেস্ট ম্যাচ। মাত্র ৬ রানে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জিতেছিল ভারত। ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল এবং ২০১৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় পেয়েছিল ভারত।

    ‘খলনায়ক’ থেকে নায়ক সিরাজ

    রবিবার যেন হঠাৎ করেই ‘খলনায়ক’ হয়ে গিয়েছিলেন। তারও আগে লর্ডসে (India vs England) আউট হয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন। সোমবার এক ঘণ্টায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে সিরিজ শেষে সেই সিরাজই নায়ক। লর্ডস টেস্টে ভারত হেরে গিয়েছিল ২২ রানে। সিরাজ আউট হওয়ায় শেষ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজা এবং জসপ্রীত বুমরার নাছোড় লড়াই। সিরাজ নিজেও ৩০ বলের ইনিংসে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের জয়। পারেননি। পারেননি সেই হারের পর দু’রাত ঘুমোতে। সেই লন্ডনের মাটিতেই পারলেন। পারলেন ওভালে। ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙলেন বল হাতে। শেষ দিন ৩ উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় এনেদিলেন ভারতকে। চাপে থাকা দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই সোমবার মাঠে নেমেছিলেন সিরাজ। খেলার শেষ হওয়ার পর দীনেশ কার্তিককে বলেছেন, ‘‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার। তাতে আউট হলে হবে। ছয় হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’’

    ‘আশা ছাড়িনি, তাই সাফল্য’ 

    গোটা সিরিজে ভারতীয় দল (India vs England) লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত নতুন একটা দল নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে এসেছিলেন শুভমান গিল। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি নতুন। সেই দল কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। ম্যাচ শেষে গর্বিত অধিনায়ক তথা সিরিজের সেরা প্লেয়ার শুভমানের কথাতেই পরিষ্কার নব ভারতের মনোভাব। সিরাজ বললেন, ‘‘আমরা কখনওই আশা ছাড়িনি। তাই সাফল্য এসেছে।’’ বুমরাহ না থাকলে সিরাজই ভারতের রক্ষাকর্তা। ওভালে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা মহম্মদ সিরাজই। অধিনায়কও বললেন, ‘‘যে কোনও দলের জন্যই সিরাজ সম্পদ।’’

    দুরন্ত জয় ভারতের

    এই সিরিজে (India vs England) একমাত্র সিরাজ কিন্তু টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের সেই বোলারও পঞ্চম টেস্টে ছিটকে যান ওভাল টেস্ট থেকে। ফলে দু’দলের মধ্যে সিরাজ একাই পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। অনেকেই মনে করেন সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাচ্ছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো মহম্মদ সিরাজ। বাইরের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি তাঁর কাজ করে চলেন। তাঁর ও প্রসিধ কৃষ্ণার দৌলতেই ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করল ভারত। পঞ্চম দিনে সিরাজ একাই ৩ উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণা। ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ, ওভারটন এবং গাস অ্যাটকিনসন আউট হন সিরাজের বলে। জশ টাং-র উইকেট নেন কৃষ্ণা। শেষ টেস্টে সিরাজ ৫টি এবং প্রসিধ কৃষ্ণা ৪টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান আকাশ দীপ। এই সিরিজে সর্বাধিক উইকেটের মালিকও হলেন সিরাজ। তিনি মোট ২৩টি উইকেট নিয়েছেন।

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

LinkedIn
Share