Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি, এনআইএ-র পরে এবার কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) আতস কাচের তলায় পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক (Pakistani National)। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি রয়েছে নৈহাটি, অপরটি রয়েছে মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা (West Bengal) থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে একসঙ্গে ৮ জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডির অফিসাররা। বেকবাগান, বিরাটি, গেদেতে অভিযান চালানো হয়। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। আজাদ কোনও কুমতলবেই এতদিন ধরে বাংলায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল কিনা , সে সন্দেহও দানা বাঁধছে।

    করাচির ঠিকানায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Pakistani National)

    আজাদের কাছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরও চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে তাতে বহু পাকিস্তানি নাম পেয়েছে ইডি। সেখানেই পাকিস্তানের করাচির একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আজাদ হুসেন। ১৯৯৭ সালের করাচির ঠিকানায় রয়েছে লাইসেন্স। এই সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল আজাদ পাকিস্তানের নাগরিক। এতে কোনও সন্দেহ রইল না।

    স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ?

    তদন্তকারীরা মনে করছেন (Pakistani National), নিজের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হুসেন পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। আজাদের বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগ, তা হল অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া! তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন এভাবেই বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকত আজাদ। কোনও বিশেষ কুমতলব ছিল ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

    কী বলছেন ইডির আইনজীবী?

    প্রথমে তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani National) হিসেবে সন্দেহ করা হলেও, পরে জানা যায় সে আদতে পাকিস্তানি। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে।

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক।’’ ইডির তরফ থেকে তখন আরও জানানো হয়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা! প্রসঙ্গত, ওইদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়।’’ নতুন তথ‍্যের ভিত্তিতে ইডি ফের একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলাতে আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে (Pakistani National) নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে, প্রথমেই বানায় রেশন কার্ড

    প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলেও পরে ইডির আধিকারিকরা জানতে পারেন, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ মল্লিক। অন্তত ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে সে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় ঢুকে প্রথমেই রেশন কার্ড বানায় সে। এরপরে তার ভিত্তিতে পায় ভোটার কার্ড। এর পাশাপাশি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে আজাদ। সেখান থেকে তৈরি করে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

    হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে

    কিন্তু একজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে এত সহজে এত নথি বানিয়ে ফেলল কীভাবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল জমানায় প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে একজন পাক নাগরিক এভাবে থাকছিল বছরের পর বছর। অথচ কেউ জানতেই পারেনি। আজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  ইডি। গত রবিবারই আজাদকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

  • Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Result 2025)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭০ দিন পর ফল প্রকাশ হল। সকাল ৯টায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত করা হয় মাধ্যমিকের ফলাফল। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ৬৬ জনের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। প্রথম হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আদৃত সরকার। সে পেয়েছে ৬৯৬। দ্বিতীয় স্থানে আছে দু’জন। মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস (৬৯৪) এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্কুলেরসৌম্য পাল (৬৯৪)। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।

    প্রথম দশে কলকাতার এক

    প্রথম দশে কলকাতার মাত্র এক জন রয়েছে। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সে পেয়েছে ৬৮৮। মাধ্যমিকে এ বছর চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্নার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। এ বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে হুগলি থেকেই রয়েছে তিন জন— সিঞ্চন নন্দী, মহম্মদ আসিফ এবং দীপ্তজিৎ ঘোষ। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোমতীর্থ করণও পঞ্চম হয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ স্থানে এ বছর রয়েছে পাঁচ জন, সপ্তম স্থানে রয়েছে পাঁচ জন, অষ্টম স্থানে কলকাতার ওই ছাত্রী-সহ রয়েছে মোট ১৬ জন। এ ছাড়া, নবম স্থানে ১৪ জন এবং দশম স্থানে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে।

    পাশের হার সর্বকালের সেরা

    পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2025) পাশের হার সর্বকালের সেরা— ৮৬.৫৬ শতাংশ। গত বার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। এ বছরও মাধ্যমিকে রয়েছে গ্রেড ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ ‘এএ’ গ্রেড পেয়েছে ১০,৬৫৯ জন। ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে ২৫,৮২০ জন এবং ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে ৯১,২৩৭ জন। পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ জন মাধ্যমিকে এ বছর পাশ করতে পারেনি। পরের বছরের পরীক্ষায় তাদের সাফল্য কামনা করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই এ জগত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) । তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করেছিল তা নিয়ে রয়েছে আজও সন্দেহ। মামলা চলাকালীন ব্রিটিশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল। কিন্তু পরবর্তীকালে যে তথ্য সামনে আসে তাতে একথা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তিনি আত্মঘাতী হননি বরং ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করে গুলি করেছিল।

    কোন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল

    প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম বোস ইংরেজ আধিকারিক কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে বোমা বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বোস দুজনেই বিহারের মুজাফফরপুরে (Indian Freedom Movement) কিংসফোর্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তারা কিংসফোর্ডের ঘোরার গাড়ির জন্য ওত পেতেছিল। একটি ঘোড়া গাড়ি আসতে দেখে বোমা নিক্ষেপ করে তাঁরা। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দুজন ব্রিটিশ মহিলা। তাঁরা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। ওই দুজনকে ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রফুল্ল (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম।

    কীভাবে ধরা পড়লেন প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki)

    প্রফুল্ল কলকাতার দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে হেঁটে মুজাফফরপুর থেকে চার স্টেশন দূরে সমস্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত আসেন। ট্রেনে তাঁকে দেখে সদেহ হয় নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক পুলিশ দারোগার। সাব ইন্সপেক্টরকে তখন দারোগা বলা হত। মোকামা স্টেশনে নন্দলাল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধরে ফেললে (আদালতে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী) নিজের বুকে ও মাথায় নাকি গুলি করেন প্রফুল্ল (Indian Freedom Movement) ।

    প্রফুল্লের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ কেন

    প্রফুল্ল চাকির (Prafulla Chaki) শরীরের দুটি গুলি লেগেছিল। একটি বুকে, অপরটি মাথায়। দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর শরীরের পোস্টমর্টেম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি নিজের বুকের মত জায়গায় গুলি করার পর তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় গুলি চালানোর আর সুযোগ থাকে না। ব্রিটিশ পুলিশের দাবি ছিল প্রফুল্লর কাছে গুলি ভর্তি বন্দুক ছিল। যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত তাহলে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে সন্দেহের বশে পাকড়াও করেন তখন ওই পুলিশকেই গুলি মেরে পালানোর চেষ্টা করতে পারতেন প্রফুল্ল। কিংবা অন্য পুলিশকে গুলি করে পালাতেন। তবে প্রফুল্লর দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি। দেহ পরিবারকে ফেরত না দেওয়ায় তখনও প্রশ্ন তুলেছিল বিপ্লবীরা।
    ঐতিহাসিকদের মত

    সমসাময়িক অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রথমে প্রফুল্লর (Prafulla Chaki) উপর নিদারুর অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে খতম করা হয়। মুজাফফরপুর স্টেশনে আনা হয় দেহ। শনাক্ত করেন ক্ষুদিরাম বোস। এর পর তাঁর মাথা কেটে কেরোসিন কিংবা স্পিরিটে চুবিয়ে আনা হয় কলকাতায়। দেহ মুজাফফরপুরের শ্মশানে অজ্ঞাতপরিচয়য় লাশ হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

    প্রফুল্লের (Prafulla Chaki) খুনের বদলা

    ব্রিটিশ পুলিশ যা করেছিল সেই তথ্য যদি প্রকাশ হত তাহলে আরও অনেক ব্রিটিশ ও পুলিশের কর্মচারী ভারতীয়ের প্রাণ যেত। এই ভয়েই ‘আত্মঘাতী’ তত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক নির্মল কুমার নাগ একমত যে প্রফুল্লকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের থামানো যায়নি। ১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করে প্রফুল্ল চাকির(Prafulla Chaki) মৃত্যুর বদলা নিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী শিরিশ চন্দ্র পাল ও রণেন গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) শিবশক্তি পয়েন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সামনে এসেছে চাঁদের প্রাথমিক বিববর্তনের অনেক কিছুই। প্রজ্ঞান রোভারে থাকা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS) যে তথ্য পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে , চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই অংশে অস্বাভাবিকভাবে কম রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। কিন্তু এখানে সালফালের ঘনত্ব খুবই বেশি রয়েছে। এ নিয়ে আমেদাবাদের ভৌত গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের এই স্থানে সালফারে মাত্রা খুবই বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আজ থেকে প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন বছর আগে এই উপাদানগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠে উন্মোচিত হয়। অর্থাৎ লাভা রূপে বেরিয়ে আসে চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিতর থেকে।

    অ্যাপোলো, লুনা যে তথ্য দিতে পারেনি তাই দিচ্ছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে যে লাভা বা ম্যাগমা উঠে আসে তা পরবর্তীকালে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে যায়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বিভিন্ন দেশ যে ধরনের মহাকাশযানগুলি পাঠিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে (Shiv Shakti Point), তা অ্যাপোলো হোক কিংবা লুনা- এই সমস্ত চন্দ্রযানগুলি যে তথ্য দিয়েছে, তার থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা তথ্য দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩।

    চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কারে এগিয়ে ভারত (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সালফার সমৃদ্ধ যে উপাদানগুলি চাঁদে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠ তৈরির একটি অন্যতম বিল্ডিং ব্লক। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) থেকে পাঠানো তথ্যগুলির সামনে আসার ফলে শিবশক্তি পয়েন্টের গুরুত্ব আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। চাঁদ কীভাবে তৈরি হল, তার প্রাথমিক বিবর্তন কোন পথে হল, যে সময় লাভা নির্গত হল, সেই তথ্যগুলি এখন পাঠাচ্ছে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর এই আবিষ্কারগুলি মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিকেই সামনে আনছে। চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কার (Shiv Shakti Point) করার যে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা, সেখানে আমাদের দেশ ভারতবর্ষের অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল চন্দ্রযান ৩।

  • Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে

    বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যান অমিত শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরানে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীনগরে ছুটে যান। ঠিক পরের দিন ২৩ এপ্রিল তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’’ সম্প্রতি, মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।’’

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

  • India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict) পশ্চিম সীমান্তে অত্যাধুনিক জ্যামার বসাল ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে। উপগ্রহ-নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেমগুলো ব্যাহত হওয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ভারতের সর্বাধুনিক জ্যামিং প্রযুক্তি, বেকায়দায় পাকিস্তান

    নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই তিন প্রযুক্তিকেই মাত দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু পর্যটক। এরপরই ভারত ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, যার মাধ্যমে জিপিএস, গ্লোনাস এবং ভারতীয় ‘নাবিক’-সহ বিশ্বব্যাপী ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিগন্যালকে ব্যাহত করা হচ্ছে।

    জ্যামারের কাজ কী

    ভারত-পাক সীমান্তে পাক খাচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানকেই আকাশ প্রতিরক্ষায় পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এফ-১৬ সহ একাধিক পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকেও পাক খেতে দেখা গিয়েছে। ভারত হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। সীমান্তে পাকিস্তানের জারিজুরি কৌশলকে আটকে দিতে এবং যুদ্ধবিমানে থাকা ফ্রিকোয়েন্সি যাতে সমস্যায় পড়ে, তার জন্য ভারতীয় সীমানায় মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার সিস্টেম। জ্যামারের কাজই হল, বিমানের ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকে দেওয়া। জ্যামার থাকলে বিমান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়বে, আকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পাক খেতে হবে। সীমান্তে এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার নিয়ে যাওয়ায় পাক বায়ুসেনা আকাশপথে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম

    জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।

    ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই আসল

    এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এলওসি বরাবর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, কুপওয়ারায় সংঘর্ষ এবং গুজরাটের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা—এই সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতের যুদ্ধে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই নির্ধারণ করবে বিজয়ী পক্ষ।” ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে ‘সম্যুক্তা’ ইডব্লিউ সিস্টেম (রেঞ্জ ২০০ কিমি), ‘হিমশক্তি’ হিমালয় ও উচ্চ-অঞ্চলে, রাফাল জেটে সংযুক্ত ‘স্পেকট্রা’ ইডব্লিউ স্যুট, নৌবাহিনীর ইডব্লিউ সিস্টেম, ‘কালী-৫০০০’ এবং ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র (ডিইডব্লু) ব্যবস্থা।

    চিনের সহায়তার আশায় পাকিস্তান

    অন্যদিকে পাকিস্তান চিনের সহায়তায় গঠিত ‘জারব’ উপকূলীয় ইডব্লিউ সিস্টেম, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে যুক্ত ইডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম এবং বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চিনা জ্যামার ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) তাদের ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মধ্যে অর্ধেকই সরিয়ে নিয়েছে আরব সাগরের উত্তর উপকূলের পাসনি এয়ারবেসে, যাতে ভারতের রুশ-উৎপাদিত অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের রাডার কভারেজ থেকে দূরে রাখা যায়। সাউথ ব্লকের এক আধিকারিকের কথায়, “ভারতের সমন্বিত নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিমানসম্পদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।” জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

LinkedIn
Share