Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে থাকা জঙ্গি-নেতা হাফিজ রউফকে ‘সাধারণ মানুষ’ বলে দাবি পাকিস্তানের

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে থাকা জঙ্গি-নেতা হাফিজ রউফকে ‘সাধারণ মানুষ’ বলে দাবি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) খতম হওয়া জঙ্গিদের শহিদের মর্যাদা দেয় পাকিস্তান সেনা। আমেরিকা ঘোষিত জঙ্গি তালিকায় নাম থাকা হাফিজ আব্দুর রউফের (Hafiz Abdur Rauf) সঙ্গে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা যায় পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্তাদের। এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হয় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতেই চলে সন্ত্রাসবাদ। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ছবি। এরপরই পাকিস্তানের সেনা দাবি করে যে সে (হাফিজ আব্দুর রউফ) নাকি একজন সাধারণ মানুষ। একজন নাগরিক হিসেবেই নাকি সে হাজির ছিল (Operation Sindoor)  শেষকৃত্যে। পাকিস্তানি সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) লেফট্যানেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী মানতেই চাননি হাফিজ একজন সন্ত্রাসবাদী তিনি হাফিজ রউফকে একজন নিরীহ সাধারণ মানুষ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।

    বর্তমানে ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের প্রধান হাফিজ

    সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের সেনা দাবি করে আব্দুর রউফ যে কিনা হাজির রয়েছে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে। সে একজন সাধারণ মানুষ। তার রয়েছে তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। সেনা আরও জানায়, হাফিজ আব্দুর ১৯৭৩ সালে মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করে। এরপরই ভারত এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় এবং উল্লেখ করে যে পাকিস্তানের সেনা এবং জঙ্গিরা একে অপরের পরিপূরক। পাকিস্তানি সেনা হাফিজ আব্দুর রউফের (Hafiz Abdur Rauf) যে বিবরণ দিচ্ছে সে ১৯৯৯ সাল থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের নেতা। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসীদের তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। জানা যাচ্ছে, রউফ বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) এর প্রধান।

    জঙ্গি নেতার ঠিকানাও সামনে এসেছে (Operation Sindoor)

    এই জঙ্গি নেতার সম্পর্কে অনেক তথ্যও সামনে এসেছে। তার দুটি ঠিকানাও সামনে আনা হয়েছে। একটি ঠিকানা হল, ৪ লেক রোড; বাড়ি নং ৭, চোবুরজি দোলা খুর্দ; ১২৯ জিন্না ব্লক; ৫-চেম্বারলেইন রোড। এটি অবস্থিত পাকিস্তানের লাহোরে। অন্যদিকে আওয়ান টাউন, মুলতান রোড, স্ট্রিট নং ৩, খানেওয়াল জেলাতেও তার বাড়ি রয়েছে। পাকিস্তানের ভোটার তালিকায় তার ভোটার নং সামনে এসেছে। এটি হল NIC 277-93-113495.

  • CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    CBSE Results: প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল, পাশের হারে এগিয়ে মেয়েরা, কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল সিবিএসই (Central Board of Secondary Education) দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল। চলতি বছর, পাশের হার ৮৮.৩৯ শতাংশ , যা গত বছরের তুলনায় ০.৪১% বেশি। ২০২৪-এ ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ। পরীক্ষা শেষের ৩৯ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা করল বোর্ড (CBSE) । এ বার পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৯১.৬৪ শতাংশ, ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৭০ শতাংশ।

    জোন ভিত্তিক পাশের হার

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সান্যম ভরদ্বাজ বলেন, চলতি বছর মোট ১৭,০৪,৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এর পর মোট ১৬,৯২,৭৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১৪,৯৬,৩০৭ জন। পাশের হারের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া। পাশের হার ৯৯.৬০ শতাংশ। যেখানে তিরুবনন্তপুরম ৯৯.৩২% পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই। সেখানে পাসের হার ৯৭.৩৯%। জওহর নবোদয় বিদ্যালয় (JNVs) ৯৯.২৯% পাসের হার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, এরপর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (KVs) ৯৯.০৫% এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় তিব্বতি স্কুল (STSS) যেখানে পাসের হার ৯৮.৯৬%। অঞ্চল-ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে পূর্ব ভারত বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ ভারত এগিয়ে কয়েক কদম।

    কীভাবে দেখবেন ফলাফল

    পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের (CBSE) ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in এবং results.cbse.nic.in -এ গিয়ে তাঁদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ফল দেখা যাবে ডিজিলকার এবং উমং অ্যাপের মাধ্যমে। পরীক্ষার্থীদের প্রথমে সিবিএসই-র ওয়েবসাইট cbseresults.nic.in বা results.cbse.nic.in-এ যেতে হবে। এর পর ‘হোমপেজ’ থেকে রেজাল্ট লেখা লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিজেদের রোল নম্বর, স্কুল নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ড আইডি লিখে ক্লিক করলে রেজাল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পর সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখতে হবে তাঁদের। ডিজিলকার থেকেও জানা যাবে রেজাল্ট। তাদের ওয়েবসাইট results.digilocker.gov.in। এই প্রথমবার সিবিএসই পরীক্ষার্থীদের জন্য আনল ৬ সংখ্যার অ্যাক্সেস কোড। এর মাধ্যমে চালু করা যাবে পড়ুয়াদের ডিজিলকার অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হওয়ার পর ওখানে একটি সেকশন দেখতে পাওয়া যাবে, নাম ‘ইস্যুড ডকুমেন্টস’। সেখানে গিয়ে ক্লিক করলে অ্যাকাডেমিক রেকর্ডের ডিজিটাল ভার্সন দেখতে পাবেন পড়ুয়ারা।

  • IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    IPL 2025: ফাইনাল হচ্ছে না ইডেনে! কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়েই ফের শুরু আইপিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরে আবার শুরু হতে চলেছে আইপিএল (IPL 2025)। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ। তবে আইপিএল শুরু হলেও মন ভার কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের। আইপিএল ফাইনাল হচ্ছে না ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে। হচ্ছে না কোয়ালিফায়ার ম্যাচও। পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী অবশ্য ইডেনেই ওই দুটো ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত নতুন সূচিতে ইডেনে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। অনেকের মতে, ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টির ভালোরকম পূর্বাভাস রয়েছে, তাই বোর্ড কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি।

    কবে থেকে শুরু খেলা

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জানিয়েছে, ১৭ মে, শনিবার থেকে আবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল ৩ জুন, মঙ্গলবার। প্রথম কোয়ালিফায়ার হবে ২৯ মে, বৃহস্পতিবার। এলিমিনেটর ৩০ মে, শুক্রবার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১ জুন, রবিবার। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলির মাঠ জানালেও, প্লে-অফের খেলা কোথায় হবে তা জানায়নি বোর্ড। আইপিএল বন্ধ হওয়ার সময়ই বোর্ড ১০ দলকে জানিয়ে দিয়েছিল, যে সব ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ দেশে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা যেন ভারতে ফিরে আসার জন্য তৈরি থাকেন। বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পেলেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাঁদের। সেই নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই আশাবাদী বিদেশি ক্রিকেটাররাও নিশ্চিন্তে দ্রুতই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

    কোথায় কোথায় হবে ম্যাচ

    সোমবার ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে টুর্নামেন্টের বাকি ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করা হয়। সেখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়, ফাইনাল-সহ টুর্নামেন্টের বাকি সতেরো ম্যাচ হবে ছ’টা শহরে। সেই তালিকায় নেই ইডেন। যে ছ’টা শহরে ম্যাচ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যথাক্রমে- বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই আর আমেদাবাদ। গ্রুপ পর্বে কেকেআরের আর কোনও ম্যাচ নেই ইডেনে। ফলে কলকাতায় এবারের মতো আইপিএল যজ্ঞ শেষই বলা যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, কেকেআর ১৭ মে খেলবে আরসিবির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে। অজিঙ্ক রাহানের টিমের গ্রুপের শেষ ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে দেওয়া হয়নি। তা হবে দিল্লিতে।

  • India Pakistan War: ভারতের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানের ছোড়া চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোন, ধ্বংসাবশেষ দেখাল সেনা

    India Pakistan War: ভারতের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানের ছোড়া চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোন, ধ্বংসাবশেষ দেখাল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক বিমানবাহিনীর ব্যবহার করা চিনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র পিএল-১৫ ধ্বংস করেছে ভারত (India Pakistan War)। একইসঙ্গে তুরস্কের তৈরি বয়কর ইহ-৩ কামিকাজে (আত্মঘাতী) এবং Songar ড্রোনও ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সোমবারই সাংবাদিক বৈঠকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ধ্বংসাবশেষ দেখায় ভারতীয় সেনা। জানা যাচ্ছে, বেজিঙের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার। তবে পাকিস্তানকে বিক্রি করা চিনের তৈরি পিএল-১৫ গুলি সর্বোচ্চ ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ছিল (Indian Army)। কিন্তু তা মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে। অনেকেই তাই মজার ছলে বলছেন, ‘চায়নার জিনিসের সত্যিই গ্যারান্টি নেই’! অন্যদিকে, সোনগার ড্রোনের বিশেষত্ব হল, এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, ছোট-ক্ষেপণাস্ত্র বা ৮১ মিলিমিটারের মর্টার রাউন্ড। যা পছন্দমতো সাজিয়ে নেওয়া যায়। যা সাধারণ মানুষ, যানবাহনের পাশাপাশি ছোট জায়গায় হামলা চালাতে অত্যন্ত দক্ষ। তবে, ভারত সহজেই এগুলিকে ভূপতিত করে।

    উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (India Pakistan War)

    প্রসঙ্গত ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধান টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করেন সোমবারই (India Pakistan War)। সেখানেই ভারতের অপারেশনের সাফল্যগাথা তুলে ধরেন তাঁরা। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী উল্লেখ করেন যে, দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী। যে কোনও ধরনের হামলা রুখতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এমন সাফল্যের জন্য তিনি সাম্প্রতিক বাজেটে বরাদ্দ এবং সরকারের নীতিগত সহায়তাগুলিকেও উল্লেখ করেন (Indian Army)।

    কী বললেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই?

    ওই সাংবাদিক বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেন যে, ‘‘নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলায় পাকিস্তানের পাপের ঘড়াকে পূর্ণ করেছিল। বোঝা গিয়েছিল নৃশংসতার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছে (India Pakistan War)। তাই এর পাল্টা প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।’’ অন্যদিকে, নৌবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস এডমিরাল এ এন প্রমোদ বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমাদের সমন্বয়। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। ধর্ম বেছে বেছে হত্যা করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এরপরেই গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত।

  • ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    ISRO: ‘‘দেশের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ’’, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই জানালেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ ২৪ ঘণ্টা ভারত এবং ভারতবাসীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের (Indo-Pak Conflicts) আবহে এমনটাই জানালেন ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ (ISRO chairman V Narayanan)। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-এর (ISRO) প্রধান জানান, এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কৌশলগত উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজের প্রথম মহকাশ স্টেশনও পেয়ে যাবে বলে প্রত্যয়ী নারায়ণ।

    ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর

    সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ইসরো চেয়ারম্যান জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ ভারত থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। ইসরো প্রধান বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমাদের তা পূরণ করতে হবে। আমাদের ৭০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলের উপর নজর রাখতে হবে। সমগ্র উত্তর ভাগের উপর আমাদের লাগাতার নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে।” ইসরো প্রধানের মতে, দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের ভূমিকা

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে পাকিস্তানের (Indo-Pak Conflicts) তাবড় জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সেনার স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দিয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ছবি। ভারতীয় সেনার তরফেও বিভিন্ন স্যাটেলাইট-মাধ্যমের ছবি তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন সশস্ত্র সংঘাত পর্বে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় প্রযুক্তি বিজ্ঞান, নতুন নতুন অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষার জন্যই শুধু ১০টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই উপগ্রহগুলি সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজর রাখছে। যাতে শত্রুপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকতে পারে।’’ যেমন- সীমান্তের ছাউনিতে পাক সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি বা যুদ্ধাস্ত্রের পজিশন পরিবর্তন তাও জানা সম্ভব স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’-সহ পাকিস্তানের প্রতি প্রত্যাঘাতের প্রতিটি পদক্ষেপ ও তার অভিঘাতের প্রমাণ স্বরূপ স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এমনকী, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ যে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিকেই টার্গেট করা হয়েছিল সে প্রমাণও ভারত স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমেই গোটা বিশ্বকে দিয়েছে।

    জাতীয় নিরাপত্তায় উপগ্রহ

    নারায়ণ জানান, ইসরোর (ISRO) বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। যেমন কৃষি টেলি মেডিসিন, টেলি এডুকেশন ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের স্যাটেলাইট। এছাড়াও পরিবেশে নজরদারি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিভিশন সম্প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের জন্য ভারতের স্যাটেলাইটগুলি রয়েছে। তিনি বলছেন, স্যাটেলাইটের ভূমিকা দেশকে বহু স্তরে সুবিধা এনে দিয়েছে। নারায়ণের কথায়, “দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের স্যাটেলাইটকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে। স্যাটেলাইট আর ড্রোন টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব।” ইসরো সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ইসরো ১২৭টি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে কেবল সরকার পরিচালিত মিশনই নয়, বরং বেসরকারি কোম্পানি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি উপগ্রহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি উপগ্রহ লো আর্থ অরবিটে (LEO) এবং ২৯টি জিওসিনক্রোনাস আর্থ অরবিটে (GEO) অবস্থিত। এই উপগ্রহগুলির অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ নজরদারিও। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জায়গায় আকাশপথে নজর রাখতে পারে ইসরো। এই ১২৭টি উপগ্রহের রয়েছে কার্টোস্যাট (CARTOSAT) এবং রিস্যাট (RISAT) সিরিজের মতো শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে এমিস্যাট (EMISAT) এবং মাইক্রোস্যাট (MICROSAT) সিরিজও রয়েছে। এগুলি পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও নানা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়।

    পাঁচ বছরে আরও ৫২টি উপগ্রহ আসছে

    ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) এর চেয়ারম্যান পবন কুমার গোয়েঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছেন আরও উন্নত ৫২টি নতুন উপগ্রহ শীঘ্রই আসছে। মহাকাশ-ভিত্তিক নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী পাঁচ বছরে এগুলি কক্ষপথে ছাড়া হবে। নতুন উপগ্রহগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে সীমান্তে পর্যবেক্ষণ ও সামরিক অভিযানেও কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে ভারত।

  • PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    PM Modi: বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ, প্রতিফলিত হল মোদির ভাষণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে ব্যাপকভাবে প্রত্যাঘাত করার পরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণে নয়া দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট হল গোটা পৃথিবীর সামনে। পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং যে তাদের সন্ত্রাস তোষণকে কোনওভাবেই বাঁচাতে পারবে না তাও স্পষ্ট হয়ে উঠল। সোমবারের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাক ভূখণ্ডের এতটা অভ্যন্তরে গিয়ে এই ব্যাপক সামরিক অভিযান স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমন দুঃসাহসিক অভিযান মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারতকেই বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠিত করল। ভারতীয় সেনা সাংবাদিক সম্মেলনে আগেই জানিয়েছে মাত্র ৯০ মিনিটেরও কম সময়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১১টি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয় তারা। দেশের সামরিক ইতিহাসে অত্যন্ত অভূতপূর্ব এই ঘটনা।

    পরমাণু হুমকি ফাঁকা আওয়াজ

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাষণেও উঠে এল সেই নতুন ও শক্তিশালী ভারতের কথাই। অপারেশন সিঁদুরের হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এতেই বোঝা গিয়েছিল ভারত এখন পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেইলকে একেবারেই পাত্তা দেয় না। মোদির ভাষণেও ধরা পড়ল সেই একই কথা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই ব্ল্যাকমেলিং বিগত কয়েক দশক ধরে সফল হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) আমলে তা একেবারেই ভেঙে গিয়েছে। তাদের পরমাণু বোমা যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয় তা প্রমাণিত হয়েছে। ঠিক এই কারণে রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে ভারতীয় সেনার গর্জন।

    আগে এমন হুমকি দিয়ে সফল হলেও, মোদি জমানায় বদলাল চিত্র

    বিগত দশকগুলিতেও এদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলেছে। পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে এবং সেদেশের প্রত্যক্ষ মদতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হয় এদেশে ২০০৮ সালে মুম্বইতে। ভয়ঙ্কর সেই সন্ত্রাসী হামলায় ১৭১ জন মানুষের মৃত্যু হলেও কোনও রকমের পাল্টা প্রত্যাঘাত থেকে বিরত থাকে মনমোহন সরকার। কারণ ছিল একটাই, পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিং। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মোদি (PM Modi) জমানায় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানের পরমাণু বোমের ব্ল্যাকমেলিংকে একেবারে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। অনেকেই তাই বলছেন, পরমাণু ব্ল্যাকমেলিং নয়, পাকিস্তানের এই ফাঁকা আওয়াজ আসলে পরমাণু বোকামি।

  • Daily Horoscope 13 May 2025: ভাগ্য সঙ্গে থাকবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 May 2025: ভাগ্য সঙ্গে থাকবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাণী ও ব্যবহার দিয়ে সকলকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করবেন।

    ২) ভেবেচিন্তে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিন।

    ৩) জীবনসঙ্গীকে আশ্চর্যচকিত করবেন।

    বৃষ

    ১) বাণীতে বিনম্রতা বজায় রাখতে হবে।

    ২)  লগ্নির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

    ৩) কোনও সরকারি কাজে আধিকারিকদের সঙ্গে জটিলতায় জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি পদ ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি করবে।

    ২) লাভের কোনও সুযোগই হাতছাড়া করবেন না।

    ৩) আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে পুরনো ভুল প্রকাশ্যে আসবে।

    কর্কট

    ১) নেতৃত্ব ক্ষমতার দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) জীবনযাপন প্রণালীতে পরিবর্তন হলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    ৩) আইনি মামলায় কোনও বিলম্ব করবেন না, তা না-হলে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি ইতিবাচক থাকবে।

    ২) ভাগ্য সঙ্গে থাকবে।

    ৩) সহকর্মীদের সঙ্গে বিতর্ক হতে পারে।

    কন্যা

    ১) আজ কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) পরিশ্রম ও বিশ্বাসের সুফল পাবেন।

    ৩) সন্তানের সঙ্গে তর্ক করবেন না।

    তুলা

    ১) লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ভুল কাজে মনোনিবেশ করলে লোকসান হতে পারে।

    ৩) কাউকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

    বৃশ্চিক

    ১) উৎসাহের সঙ্গে কোনও কাজ করবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করে সুনাম অর্জন করবেন।

    ৩)  সহকর্মীদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ধনু

    ১) গোপন শত্রুর থেকে সতর্ক থাকুন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ৩) ব্যবসায় সাফল্য।

    মকর

    ১) অতিথি আগমনের ফলে আনন্দিত হবেন।

    ২) বড়দের আদর ও সম্মান বজায় রাখুন, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

    কুম্ভ

    ১) আর্থিকভাবে লোকসানে হবে আজ।

    ২) আগে থেকে কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে, তাঁরা সেটি ফেরৎ চাইতে পারেন।

    ৩) ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি আনন্দদায়ক থাকবে।

    ২) সম্পর্কে কোনও বিভেদ থাকলে তা সমাপ্ত হবে।

    ৩) সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চকলেট, আইসক্রিম বা ঘরের তৈরি ডাল-ভাত, যে কোনও খাবারেই হতে পারে দাঁতের ক্ষয়রোগ। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে এমন নানান জিনিস খাবারের তালিকায় যোগ হচ্ছে, যাতে দাঁতের ক্ষয়রোগের (Tooth decay) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে এক-দুবার দাঁত ব্রাশ করলেই সেই ঝুঁকি কমবে না। বরং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দাঁত পরিষ্কার না করলে, বিপদ বাড়তে পারে। শিশুদের প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে দাঁত ও মুখের ভিতর পরিষ্কার করার অভ্যাস রপ্ত করানো জরুরি। তাহলে তাদের দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি কমবে। মুখের ভিতরে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের কোন পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি?

    কখন দাঁত ব্রাশ করতে হবে? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই ব্রাশ করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রাশ করার সময় অত্যন্ত জরুরি। রাতে খাবার খাওয়ার পরেই ব্রাশ করলে অনেক সময়েই তা ক্ষতি হতে পারে। কারণ, খাবার খাওয়ার পরে প্রায় এক ঘণ্টা মুখের ভিতরে নানান ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড সক্রিয় থাকে। সেই সময়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষলে কার্যত ব্যাকটেরিয়া ঘষা হয়। তাছাড়া ওই অ্যাসিড আর টুথপেস্ট একসঙ্গে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। আর কিছুই উপকার হয় না। তাই খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা পরে ব্রাশ করা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট পনেরো পরেই ব্রাশ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শুধু ব্রাশ করলেই জীবাণুমুক্ত হয় না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু ব্রাশ করলেই মুখ জীবাণুমুক্ত হয় না‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখের ভিতরে এমন নানান জায়গা থাকে, যেখানে ব্রাশ করলেও জীবাণু থেকে যায়। মুখের ভিতরের সব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছতে পারে না। তাই ব্রাশ করার পাশপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু দাঁত ব্রাশ যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্লাগ বা ক্ষতিকারক উপাদান জমে থাকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে। তাই ব্রাশ করার সময়ে সেই জায়গা পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে মুখের ভিতর জীবাণুমুক্ত হবে না।‌ দাঁতের নানান সমস্যাও (Tooth decay) দেখা দিতে পারে।

    কতক্ষণ ব্রাশ করা উচিত? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করতে কত সময় লাগবে, এই নিয়ে নানান সংশয় রয়েছে‌। দাঁত ব্রাশ করতে মিনিট তিনেক সময় লাগে। তবে দাঁত ব্রাশ করার নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জোরে জোরে উপর-নীচে ব্রাশ চালিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। দাঁত ব্রাশ করতে হবে গোল গোল করে। অর্থাৎ, একসঙ্গে দুই বা তিনটি দাঁতের উপরে ব্রাশ রেখে, গোল গোল করে দাঁত ঘষতে হবে। তাহলেই দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার হবে। দাঁতও ভালো থাকবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করার পাশপাশি মুখ ধোয়ার অভ্যাস জরুরি। বিশেষত শিশুরা অনেক সময়েই দিনে একাধিকবার মিষ্টিজাতীয় খাবার খায়। বারবার তাদের ব্রাশ করা হয় না। কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরে ভালো করে জল দিয়ে ধোওয়া জরুরি। এতে দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো‌ যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    Pakistan: সেনা ব্যর্থ হলে রয়েছে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথাতেই সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-রাজনীতিতে পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সংকটজনক অবস্থা উঠে আসছে। তা সে আর্থিক সংকট হোক কিংবা সেদেশের অন্দরের রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু পাকিস্তান বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার মাদ্রাসা (Pakistans Madrasa) শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সে দেশে উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে মাদ্রাসাগুলি সদা ব্যস্ত। সাধারণভাবে মাদ্রাসাগুলিতে হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই মাদ্রাসাগুলিতেই জন্ম নেয় উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সেদেশের সংদসদে দাঁড়িয়ে জানান, সেনা ব্যর্থ হলে পাকিস্তান রক্ষা করবে মাদ্রাসা ছাত্ররা! পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস তোষণের ইঙ্গিত।

    জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর! পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সামনে আসে। এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে,পাকিস্তানে বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মাদ্রাসা চলছে। এই মাদ্রাসাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তকমা দিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করার জন্য সে দেশের দরিদ্র পড়ুয়াদের বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। তাদেরকে খাবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। গরিব দেশ পাকিস্তানের বেশিরভাগ দরিদ্র পড়ুয়া তাই এভাবেই পাকিস্তানের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। মাদ্রাসাগুলি একটি বিকল্প বিদ্যালয়ের আকার নিয়ে নিয়েছে সেখানে। এই ভাবেই যে সরকারি স্কুল ব্যবস্থার বিকল্প হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। এখানেই গড়ে উঠছে জেহাদি কার্যকলাপ। শিশুমনে বপন করা হচ্ছে মৌলবাদের বীজ। শুধু তাই নয়, জেহাদি হিসেবে নিয়োগ করার অন্যতম কারখানা হয়ে উঠেছে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করতে যারা আসছে তাদেরকে এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে তারা একজন জেহাদি হয়ে উঠছে, সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠছে। ২৬/১১-এর মুম্বই হামলাতে অন্যতম দোষী ছিল আজমল কাসভ। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির হাতে খড়ি হয় মাদ্রাসা থেকেই। তার প্রাথমিক হাতে খড়ি সম্পূর্ণ হয় করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসা।

    সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলির নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে

    সমস্ত মাদ্রাসাকে নিয়ে যে সমস্যা এমনটা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই চলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। এখান থেকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা জেহাদি হওয়ার জন্য প্রথম খড়ি নেয়। এই মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামিক ব্যবস্থায় শিক্ষাদান করা হয়। এখানেই শেখানো হয় ভেদাভেদ। সংজ্ঞায়িত করা হয় ইসলামের শিয়া, সুফি, সুন্নি। পাশাপাশি এখানে শেখানো হয় অমুসলিমদের কাফের কেন বলা হয়। পাকিস্তানের (Pakistan) এই মাদ্রাসাগুলি থেকেই জন্ম নেয় ভারত বিরোধিতা। হিন্দু প্রধান দেশ ভারতবর্ষ তাদের কাছে কাফের। এখানেই জন্ম নেয় জঙ্গি মতাদর্শ। তাই একথা বলাই যায়, মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবা কিংবা জইশ-মহম্মদ অথবা তালিবান- এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলোর কাছে একটি নার্সারি স্কুল হিসেবে কাজ করছে। রিপোর্ট বলছে, মাদ্রাসাগুলি থেকে জেহাদি তৈরির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাব অংশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

    অসংখ্য মাদ্রাসা চালায় মাসুদ আজাহার

    মাদ্রাসাগুলিতে (Pakistans Madrasa) ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এরকম অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। যেমন, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজাহার। এই জঙ্গি নেতা ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদ ভবনে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা মাসুদ আজহার ঘটিয়েছিল বলে জানা যায়। পাকিস্তানে বহু মাদ্রাসা মাসুদ আজাহার চালায় বলে জানা যায়। যেগুলি থেকে জঙ্গি তৈরি হয় এবং এগুলিই পাকিস্তানের কাছে সম্পদ হয়ে উঠেছে। জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেনা ব্যর্থ হলে মাদ্রাসা ছাত্ররা যুদ্ধ করবে, এমন বয়ানে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলিই জঙ্গি তৈরির আতুঁড়ঘর। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এমন বিবৃতি আদতে পৃথিবীর কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আড়ালে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি।

    বিশ্ব শান্তির পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাক মাদ্রাসাগুলি

    প্রসঙ্গত, এভাবেই পাকিস্তানের জেহাদি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরা তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণটা মাদ্রাসা থেকেই নেয়। আজকের দিনে তাই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানে যেভাবে মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি তৈরি আঁতুড়ঘর করে ফেলেছে, সেই সমস্যা কি শুধু একা পাকিস্তানের নাকি সমগ্র পৃথিবীর? বিশেষত ভারতবর্ষকে একথা গ্রহণ মানতেই হবে যে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা নয় এটা। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার দিকটিও উঠে আসছে। পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলি যেভাবে জঙ্গি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন এবিষয়ে ভারতবর্ষের পদক্ষেপ করাও প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ, অঞ্চল ভিত্তিক পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি তোলা এবং কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।

LinkedIn
Share