Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানিদের এদেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। তথ্য বলছে, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে এই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬২৯ জন নাগরিক। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক এবং আধিকারিক রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছেড়েছেন ১৯১ জন পাকিস্তানি। অন্যদিকে শনিবার ওই পথে ভারত ছেড়েছেন আরও ৮১ জন। আবার শুক্রবার ওই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ফিরেছেন ২৮৭ জন ভারতীয়। শনিবারে দেশে ফিরেছেন ৩৪২ জন ভারতীয় (India)।

    সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি (Pakistan) মহারাষ্ট্রে

    জানা যাচ্ছে, স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ছিলেন মহারাষ্ট্রে। এই সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। জানা যাচ্ছে, এমনিতে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন প্রায় ৫,০৫০ পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক। এঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন। এর ফলে তাঁদের ভিসা বাতিল হয়নি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার পুলিশ প্রধান জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, সে রাজ্যে পাকিস্তানির সংখ্যা ২০৮। তাঁদের মধ্যে ১৫৬ জন দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন।সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু পাকিস্তানি বিমানবন্দর দিয়েও ভারত ছেড়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু নেই। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তাঁরা পাকিস্তানে ফিরতে পারেন।

    গুজরাটে থাকা পাকিস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু

    অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের পাকিস্তানির (Pakistan) সংখ্যা ২২৮। সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, বেশিরভাগই পাক নাগরিকই বর্তমানে চলে গিয়েছেন নিজেদের দেশে। ওড়িশায় রয়েছেন ১২ জন পাকিস্তানি। সরকারি তথ্য বলছে, গোয়ায় রয়েছেন তিন জন পাকিস্তানি নাগরিক।অন্যদিকে গুজরাটে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় রয়েছে সাত জন পাকিস্তানি নাগরিক। দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন ৪৩৮ জন। তবে গুজরাটে থাকা পাকস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগজনই হিন্দু (India) বলেই জানা গিয়েছে। যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন।

  • Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    Rajnath Singh: বাড়বে প্রত্যাঘাত? প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশের সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান তথা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় প্রত্যাঘাতের খবর কি সামনে আসতে চলেছে? এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে। কারণ রবিবার বিকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাড়িতে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন দেশের সিডিএস অনিল চৌহান। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর উপত্যকায় ‘অ্যাকশনে’ নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রশাসন শুরু করেছে অভিযান। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ জঙ্গি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। এবার এই আবহেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সিডিএস অনিল চৌহান (CDS Anil Chauhan)।

    কোন কোন ইস্যুতে বৈঠক জানা যায়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ শুরু হয় এই বিশেষ বৈঠক। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Rajnath Singh) তরফে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মূলত কোন লাইনে এগোবে ভারত সে নিয়েই আলোচনা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনের হামলার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনি তল্লাশি। একাধিক লস্কর জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, তো কোনও জঙ্গির বাড়িতে চালানো হয় বুলডোজার।

    শনিবার মধ্যরাতেও নিয়্ন্ত্রণ রেখায় গুলি চালায় পাকিস্তান, পাল্টা জবাব দেয় ভারত

    শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা  জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’

  • Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিজের বেঙ্গালুরুর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম।’’ কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কস্তুরীরঙ্গন শুক্রবার সকাল ১০.৪৩ টায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাধারণ মানুষদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ এদিন ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রাখা হয়।

    মহাকাশ গবেষণাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছিলেন, সমাজমাধ্যমে লেখেন মোদি

    তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি শোক প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘তাঁর (Kasturirangan) দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরোর সেবা করেছেন। ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পেয়েছি।’’

    ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

    প্রসঙ্গত, ডঃ কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা যায়। ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরোর মহাকাশ কমিশন এবং মহাকাশ বিভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও কস্তুরীরঙ্গন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং কর্নাটক জ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan)।এছাড়াও, ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি । ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি উপগ্রহ এবং অন্যান্য উপগ্রহ তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে দিল্লিতে আজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ‘আক্রোশ যাত্রা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে আজ রবিবার দিল্লিতে আক্রোশ যাত্রার ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা বিনোদ বনসল জানিয়েছেন আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে দিল্লির পূর্ব কৈলাসে অবস্থিত ইসকন মন্দির থেকে। অন্যদিকে, আরও একটি আক্রোশ যাত্রা (Pahalgam Attack) শুরু হবে দিল্লির বদরপুর থেকে। ইসকন মন্দিরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল পাঁচটা থেকে। বদরপুরের আক্রোশ যাত্রা শুরু হবে বিকাল ৫টা ৪৫ থেকে।

    দিল্লির সন্ত নগরে হবে যজ্ঞ (Pahalgam Attack)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক এখন সমস্ত কিছু ভুলে গিয়েছেন এবং তাঁরা এ দেশ থেকে দেশদ্রোহীদের বিতারণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে আর্য সমাজ মন্দিরে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লির সন্ত নগরে হওয়া ওই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করবেন পহেলগাঁও হামলার ক্ষতিগ্রস্তদের (Pahalgam Attack) বেশ কয়েকটি পরিবার। এদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই নেতা।

    পহেলগাঁও হামলা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল থেকে কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই সময়ই তারা পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। যারা হিন্দু বলে শনাক্ত হন, তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের স্কেচ এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীরা এই আক্রমণকারীদের আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা নামে চিহ্নিত করেছে। নিজেদের বয়ানে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করে জঙ্গিরা। আরও দাবি ছিল, নিম্নাঙ্গের পোশাক পর্যন্ত খোলা হয় ধর্ম যাচাই করতে। এমন বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য। অর্থাৎ, জঙ্গিরা নির্দিষ্ট করেই হিন্দু পুরুষদের হত্যা করতেই এসেছিল। সেটাই ছিল হামলার মূল ছক। তদন্তে উঠে এসেছে ২০জন পর্যটকের প্যান্টের চেইন খোলা হয় শুধুমাত্র ধর্ম যাচাই করতে।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিল দিল এফবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরে ভারতকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সমাজ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক কাশ প্যাটেল। ওই পোস্টে এফবিআই পরিচালক লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সকল ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি এফবিআই সমবেদনা জানাচ্ছে। ভারত সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’’ সন্ত্রাসবাদের কুফলের কারণে বিশ্ব যে ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, এই ঘটনা তাও স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    আগেই ভারতকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় (Pahalgam Attack)। এখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। অভিযোগ বেছে বেছে হিন্দুদের হত্য়া করা হয়। ওই হামলার পরেই ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়াতে একথা জানানোর পাশাপাশি তিনি টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে। তখনই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Pahalgam Attack) ভারতকে সব রকমের সাহায্য করার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    আগেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    প্রসঙ্গত , শুক্রবারই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ান মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড ।জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড  নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • Pahalgam: ভারতবাসী দেশপ্রেমকে পরম ধর্ম না মানলে পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা চলতেই থাকবে, মত গোয়েলের

    Pahalgam: ভারতবাসী দেশপ্রেমকে পরম ধর্ম না মানলে পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা চলতেই থাকবে, মত গোয়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত ১৪০ কোটি ভারতবাসী দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদকে তাঁদের পরম ধর্ম হিসেবে বিবেচনা না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ের মতো হামলা ঘটতেই থাকবে।’’ একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি আরও বলেন, পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam) মতো হামলার ঘটনা কখনও ভারতের চেতনাকে ভাঙতে পারবে না। ভারতবাসী বিশ্বাস করে যে কাশ্মীরে পর্যটন পুনরায় চালু হবে। তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ যাত্রা চালিয়ে যাবেন।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, ‘‘ভারতবর্ষ সারা বিশ্বে এক মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই সহ্য হচ্ছে না অনেকের। যে ধরনের ঘটনাগুলি ঘটছে তাতে এই অপশক্তি শেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের মর্যাদাকে বিনষ্ট করার। তবে কেউ ছাড় পাবে না। যারা এ ধরনের কাজ করছে।’’

    অবৈধভাবে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না 

    দেশের অভ্যন্তরে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যেমন দ্রুত নকশালবাদকে নির্মূল করছি। তেমন একইভাবে আমরা সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করব। এক্ষেত্রে ভারতের শক্তি এবং সংকল্প দুটোই আমাদের অটল রয়েছে।’’ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে এ দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেছি। এখানে অবৈধভাবে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না (Pahalgam)।’’

    কেউ থামাতে পারবেন না কাশ্মীরের উন্নয়ন

    অন্যদিকে পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলা কাশ্মীরের পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে নাকি, এ বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের জনগণের শক্তি রয়েছে, সাহস রয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস রয়েছে। পর্যটন শীঘ্রই আবার শুরু হবে। তীর্থযাত্রীরাও অমরনাথ যাত্রা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং কাশ্মীরের উন্নয়নও এর পাশাপাশি চলতে থাকবে। কেউ থামাতে পারবে না।’’ প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। পর্যটকদের হিন্দু পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়।

  • Daily Horoscope 27 April 2025: রক্তচাপ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 April 2025: রক্তচাপ বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) সামাজিক সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তির থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শরীরে কষ্ট হওয়ার জন্য কাজের সময় নষ্ট।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) ব্যয় অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    Modi Government Success: মোদি সরকারের সাফল্য, ১৭ কোটি ভারতবাসী দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government Success) ভাল কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ১৭ কোটি (১৭১ মিলিয়ন) মানুষকে চরম দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল তারা। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত “প্রভার্টি এন্ড ইক্যুয়িটি ব্রিফ অফ ইন্ডিয়া (Poverty and Equity Brief for India” রিপোর্টে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, চরম দারিদ্র্য (প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের নিচে আয়) ২০১১-১২ সালের ১৬.২ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে কমে এসেছে মাত্র ২.৩ শতাংশে। বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে এই পতন ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য—সেখানে চরম দারিদ্র্য কমেছে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে। অন্যদিকে শহরে এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১.১ শতাংশে। ফলে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে দারিদ্র্যের ফারাক ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে—যা বার্ষিক ১৬ শতাংশ হারে কমেছে।

    বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank) জানিয়েছে, “গ্রামীণ চরম দারিদ্র্য ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে এবং শহুরে চরম দারিদ্র্য ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নেমে এসেছে—ফলে গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ফারাক বছরে ১৬ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে।” ভারত এখন নিম্ন-মধ্য আয়ের (Lower Middle Income Country) তালিকায় প্রবেশ করেছে। ৩.৬৫ ডলার দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে এলএমটিসি (LMIC) দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ৬১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২৮.১ শতাংশ হয়েছে, যার ফলে ৩৭.৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে এসেছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য সেখানে ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৩২.৫ শতাংশ হয়েছে, আর শহরাঞ্চলে তা ৪৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ১৭.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    কমেছে বহু মাত্রিক দারিদ্র

    বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল পাঁচটি রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ—২০১১-১২ সালে দেশের ৬৫ শতাংশ চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করত। তারা ২০২২-২৩ সালে এই চরম দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে। তবে এই রাজ্যগুলো এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ চরম দরিদ্র এবং ৫১ শতাংশ বহু-মাত্রিক দারিদ্র্যের (২০১৯-২১) প্রতিনিধিত্ব করে। বহু-মাত্রিক দারিদ্র্য (MPI) ২০০৫-০৬ সালে যেখানে ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, তা ২০১৯-২১ সালে কমে হয়েছে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে।

    কর্মসংস্থানে অভাবনীয় অগ্রগতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১-২২ সাল থেকে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধির হার কর্মক্ষম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শহুরে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশ, যা ২০১৭-১৮ সালের পর সর্বনিম্ন। পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বাড়ছে, অন্যদিকে, গ্রামীণ নারীদের কৃষিখাতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। যদিও যুব বেকারত্বের হার ১৩.৩ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে তা ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া, অ-কৃষিখাতে বেতনের চাকরির মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ চাকরি ফরমাল এবং অধিকাংশ কৃষিভিত্তিক কর্মসংস্থান এখনও অনানুষ্ঠানিক রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, স্বনির্ভরতা গ্রামীণ নারীদের মধ্যে বাড়ছে। তবে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য প্রকট—২৩৪ মিলিয়ন বেশি পুরুষ অর্থপূর্ণ কর্মে নিযুক্ত।

    সরকারি তথ্যের সাথে মিল

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই পর্যবেক্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের বাইরে এসেছে। সরকারের হাউসহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুযায়ী, ১.৯০ ডলার পিপিপি-র দারিদ্র্যসীমার নিরিখে ভারতের চরম দারিদ্র্য ২০২৩-২৪ সালে ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এলএমআইসি ৩.৬৫ ডলার পিপিপি দারিদ্র্যসীমায় দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ৫২ শতাংশ ছিল, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে হয়েছে ১৫.১ শতাংশ। এসবিআই বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য কমে হয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ (২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ছিল ২৫.৭ শতাংশ), এবং শহুরে দারিদ্র্য নেমেছে ৪.০৯ শতাংশে। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, নগরায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, কৃষি সংস্কার ও সামাজিক কল্যাণমূলক নীতির সফল বাস্তবায়নের ফলে ভারত দারিদ্র্য হ্রাসে এক বিশাল সাফল্যের নজির গড়েছে। নারীশক্তির অংশগ্রহণ বেড়েছে। আত্মনির্ভর হচ্ছে দেশ।

  • Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    Hypersonic Cruise Missile: স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় সাফল্য, হাইপারসনিক মিসাইলের নতুন যুগে প্রবেশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) হাইপারসোনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করল। শুক্রবার ডিআরডিও জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের হাইপারসোনিক মিসাইল (Hypersonic Cruise Missile) সিস্টেমের জন্য তৈরি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষায় ইঞ্জিনটি একটানা ১০০০ সেকেন্ড (প্রায় ১৭ মিনিট) চালানো হয়। যা পূর্বে জানুয়ারি ২০২৫-এর পরীক্ষায় মাত্র ১২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারত এখন হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল প্রযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

    কী এই হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল?

    হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল (HCM) এমন একধরনের অস্ত্র যা ন্যূনতম মাক ৬ বা শব্দের গতি থেকে ছয়গুণেরও বেশি বেগে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে সক্ষম। এই মিসাইলে ব্যবহৃত হয় এয়ার ব্রিদিং স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন, যার মাধ্যমে বায়ুর মধ্যেই ইঞ্জিন জ্বালানী পায় এবং উচ্চ গতিতে জ্বলন (combustion) সম্পন্ন হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্ষমতা ও টেস্ট ফ্যাসিলিটির ডিজাইন সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, এই পরীক্ষার ফলে এখন পুরোপুরি ফ্লাইট-যোগ্য কমবাস্টার টেস্টিংয়ের পথ খুলে গেল।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই পরীক্ষা?

    বিশ্বের যেখানে আজও স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি সীমিত কয়েক মিনিটের পরীক্ষায় আবদ্ধ, সেখানে ভারত ১০০০ সেকেন্ডের এক বিরাট মাইলফলক স্পর্শ করল। ডিআরডিও-র ল্যাবে এই দীর্ঘসময় ধরে সফলভাবে অ্যাকটিভ কুলড্ স্ক্র্যামজেট কমবাস্টর গ্রাউন্ড টেস্ট করে এমন একটি রেকর্ড স্থাপন করল, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন অপারেশন হিসেবেই ধরা হচ্ছে। এই সাফল্য শুধু একটি ইঞ্জিন টেস্ট নয়, বরং এটি হতে চলেছে ভারতের হাইপারসনিক প্রপালশনের পরবর্তী বড় প্রকল্প— প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র মূল ভিত্তি।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র গুরুত্ব কোথায়?

    এই ১০০০ সেকেন্ডের স্ক্র্যামজেট টেস্টের ফলস্বরূপ ভারত যা পেতে চলেছে তা সত্যিই বৈপ্লবিক—

    ● বিশাল হাইপারসনিক রেঞ্জ:
    ভারত এখন ২০০০–৩০০০ কিমি রেঞ্জের হাইপারসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে, যেগুলো কয়েক মিনিটেই লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ● বিমানবাহী রণতরী ধ্বংসের ক্ষমতা:
    এতদূর থেকে ছোঁড়া হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সহজেই বিমানবাহী রণতরী সহ গোটা ব্যাটল গ্রুপকে ধ্বংস করতে পারবে — শত্রুপক্ষ প্রতিরোধ করার আগেই লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস।

    ● ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে টেক্কা:
    এত উচ্চ গতিতে (মাক ৬-৮), এই মিসাইলগুলো পাশ্চাত্য দেশগুলির থাড, এস-৪০০ বা এইজিসের মতো শীর্ষস্থানীয় ডিফেন্স সিস্টেমও অতিক্রম করে ফেলতে পারবে — প্রতিরোধ কার্যত অসম্ভব।

    ● প্রতিক্রিয়ার সময় পাবে না শত্রু:
    স্যাটেলাইট বা রেডারে ডিটেকশন হলেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পাওয়া যাবে না, কারণ এই গতি ও রেঞ্জে প্রতিক্রিয়ার সময় খুবই কম।

    ● যুদ্ধে গেমচেঞ্জার:
    এতদূর থেকে, এত দ্রুত, এত শক্তিশালী আঘাত ভারতের কাছে থাকলে — যেকোনও যুদ্ধক্ষেত্রে বা জলসীমায় ভারত গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে।

    প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র সম্ভাব্য রেঞ্জ

    যদি আমরা প্রোজেক্ট বিষ্ণু-র জন্য মাক ৬ গতি ধরি (যা স্ক্র্যামজেটের বেসিক ন্যূনতম), তাহলে ১০০০ সেকেন্ড ধরে এই গতি ধরে রাখলে দাঁড়ায় সেকেন্ড প্রতি ২.০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, ১০০০ সেকেন্ড ধরে ইঞ্জিন চললে, এর পাল্লা দাঁড়াবে ২০৫৮ কিমি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র স্ক্র্যামজেট ফেজেই এর সম্ভাব্য কার্যক্ষমতা হতে পারে ২০০০ কিমি পার করে দেবে ক্ষেপণাস্ত্র। আর যদি মাক ৭ বা মাক ৮ হয়, তাহলে এই পাল্লা বেড়ে হবে ২৫০০-৩০০০ কিমি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিনন্দন

    এই পরীক্ষাটি হায়দরাবাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) পরীক্ষাগার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিতে (ডিআরডিএল)সম্পন্ন হয়েছে। এটি ডিআরডিও, বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের হাইপারসোনিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মজবুত ভিত গড়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য ডিআরডিও, শিল্প অংশীদার এবং শিক্ষাবিদদের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাইপারসনিক অস্ত্র প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফল। এই পরীক্ষাটি দীর্ঘমেয়াদী স্ক্র্যামজেট কম্বাস্টারের নকশার পাশাপাশি পরীক্ষার সুবিধার বৈধতা দেয়। এটি শিল্প ও একাডেমিয়ার সাথে ডিআরডিও ল্যাবগুলির দ্বারা প্রদত্ত একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলাফল। এই সাফল্য দেশের হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (Hypersonic Cruise Missile) উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

LinkedIn
Share