Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ছে ব্যস্ততা! কিন্তু তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগের দাপট। সুস্থ জীবন যাপনের প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত যোগাভ্যাস। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের মোকাবিলা করবে নিয়মিত শারীরিক কসরত। কিন্তু নিয়মিত এই ওয়ার্ক আউটের আগে জরুরি শরীরকে প্রস্তুত করা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যেকোনও ধরনের শারীরিক কসরত করার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা জরুরি। তবেই ক্যালোরি ক্ষয় হওয়া এবং এনার্জি ধরে রাখা যাবে। কাজ করতে অসুবিধা হবে না। পাশপাশি ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই ওয়ার্ক আউট করার আগে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    নিয়মিত একটি কলা খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ওয়ার্ক আউটের আগে অন্তত একটি কলা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ক আউটের আগে সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জি পৌঁছয়। ফলে, শারীরিক কসরত করলে বাড়তি ক্লান্তিবোধ হয় না। আবার সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমেও অসুবিধা তৈরি করে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হিসাবে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো কলা। শারীরিক কসরতের আগে এই ফল খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। আবার কলায় থাকে আয়রন এবং পটাশিয়াম। এই খনিজ পদার্থ একাধিক রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতার মতো সমস্যাও রুখতে সাহায্য করে। তাই কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পোরিজ জাতীয় খাবার জরুরি!

    সকালে জিম বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ শুরু করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে কখনই শারীরিক কসরত করা উচিত নয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় না। বরং পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হয়। তাই সকালে শারীরিক কসরত করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, পেস্তা, খেজুর, বেদানা আর কয়েক টুকরো আপেলের মতো ফল যেকোনও দানাশস্য জাতীয় খাবার যেমন মিলেট, বাজরা বা সাধারণ মুসুর বা ছোলার ডালের সঙ্গে মিশিয়ে পোরিজ জাতীয় খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এই সব উপকরণগুলো শরীরে এনার্জি জোগাবে। পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাই ক্যালোরি বার্ন হলেও শরীর দূর্বল হবে না। বরং সারাদিনের কাজের বাড়তি এনার্জি পাওয়া যাবে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবারে নজরদারি!

    ওয়ার্ক আউট শুরুর অন্তত আধ ঘন্টা আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকেল, যেকোনও সময় ওয়ার্ক আউট শুরু করার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশি সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত শারীরিক কসরত করলে পেশিতে বাড়তি চাপ পড়ে। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো না পৌঁছলে হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হবে। আবার পেশি অসাড় হয়ে যেতে পারে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে তবেই শারীরিক কসরত শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে শারীরিক কসরত করলে, তার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে ফ্লেক্স সীড, চিয়া সীড কিংবা তিলের বীজ জাতীয় বীজ মিশিয়ে ডিমের পোচ খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। বিকেল বা সন্ধ্যায় ওয়ার্ক আউট করলে দুপুরের মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, চিকেন স্টু, সোয়াবিন বা পনীর জাতীয় খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখা জরুরি। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো পৌঁছলে তবেই ওয়ার্ক আউট ফলপ্রসূ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা! ডিমলায় বাড়িতে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা! ডিমলায় বাড়িতে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অরাজকতা চলছেই। পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। চারদিকে লুটপাট চলছে। বিশেষ করে, হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবিবার ফের বাংলাদেশের নিলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলায় একদল দুষ্কৃতী হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়ির মন্দিরে।

    কী ঘটেছিল

    বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশী দেশটির জায়গায় জায়গায় অরাজকতা ছড়িয়েছে। হাসিনা-বিরোধিতার নামে লুটপাট, ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। চলছে হিন্দু-নিধন যজ্ঞও। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক হিন্দু নারী কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, “আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। আমাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। আমাদের মন্দির ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পুলিশকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু তারা আসেনি। ওরা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে দিয়েছে।” ভিডিওতে একটি ঘর দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায় এবং পিছনে কান্নার শব্দ শোনা যায়।

    দোষীদের শাস্তির দাবি

    গত অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis) পতনের পর থেকে বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। ভাঙচুর চলেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতেও। সত্যজিত রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও প্রতিদিন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তবুও বারবার চুপ থেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। রবিবারের ঘটনায় ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, “এটা ছাত্রদলের কাজ, ওরা বিএনপির লোক।” স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সদস্যরাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

  • Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার কাজ চলছিল একেবারে জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর ধাঁচে (Islamic Conversion)। ফান্ডিং করত লস্কর জঙ্গি সংগঠন। এমনই একটি বড় ধর্মান্তরণ চক্রের মুখোশ খুলে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ‘অপারেশন অস্মিতা’ নামক এই অভিযানে উঠে এসেছে কলকাতার যোগসূত্রও। আগ্রার দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিঁখোজ হয়ে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয় কলকাতা থেকে (Islam)। গোটা সিন্ডিকেটটি পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে আগ্রার আবদুর রহমান কুরেশি এবং কলকাতার ওসামা নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, কুরেশি ‘দ্য সুন্নাহ চ্যানেল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের মগজধোলাই করত। আগ্রা পুলিশ ইতিমধ্যেই আবদুর রহমান কুরেশিকে গ্রেফতার করেছে। সে একটি জুতার দোকানে একজন সামান্য কর্মচারী। স্থানীয়দের মতে, সে খুবই শান্ত স্বভাবের এবং কম কথা বলত। তার পরিবারও জানিয়েছে, সে খুব একটা বাইরে যেত না বা বাইরের লোকদের সঙ্গে বেশি মিশত না।

    নিখোঁজ দুই বোন, কলকাতা থেকে উদ্ধার (Islamic Conversion)

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আগ্রার সদরবাজার থানায় দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিখোঁজ হন। কয়েকদিন পরে তাঁদের কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বড় বোনটি আগে কাশ্মীরের সায়মা নামে এক মহিলার সংস্পর্শে আসে। সায়মা তাঁর মগজধোলাই করে (Islamic Conversion)। ওই হিন্দু মেয়ে এরপর নিজ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরতে যান এবং পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরিবার তাঁকে ফেরত আনলেও ততদিনে তিনি হিজাব পরা শুরু করেন এবং নামাজ পড়তেন। ২০২৫ সালের মার্চে তিনি আবার নিখোঁজ হন এবং এবার তাঁর ১৯ বছর বয়সি ছোট বোনও নিখোঁজ হয়। পরে দুই বোনকেই কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, তাঁরা আলাদা ঘরে থাকতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বড় মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার পর ছোট বোনকেও টার্গেট করে জেহাদিরা (Islam)।

    ফান্ডিং করত লস্কর-ই-তৈবা (Islamic Conversion)

    পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, বড় মেয়েটি কাশ্মীর থেকে ফিরে আসার পর নিয়মিত নামাজ পড়ার অনুমতি চাইতেন। পরিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, এই জেহাদি সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য ছিল দুই মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তাঁদের নিকাহ (বিয়ে) দিয়ে জিহাদি উদ্দেশ্য পূরণ। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের পেছনে অর্থায়ন করত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। আন্তর্জাতিক কিছু চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ এবং প্রচার চালানো হত।

    কীভাবে চলত ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া?

    আগ্রা পুলিশের দাবি, গোয়ার আয়েশা ওরফে এসবি কৃষ্ণা কানাডাস্থিত সৈয়দ দাউদ আহমেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ভারতে বিতরণ করত। আয়েশার স্বামী শেখর রাই ওরফে হাসান আলি, কলকাতা থেকে সিন্ডিকেটের আইনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত, ধর্মান্তরের জন্য নথিপত্রের ব্যবস্থা করত। আগ্রার আবদুর রেহমান কুরেশি এবং কলকাতার হাসানের মতো ব্যক্তিরা মৌলবাদ পরিচালনা করেছিল। অন্যদিকে, দিল্লির মুস্তাফা ওরফে মনোজ মেয়েদের জন্য নতুন ফোন এবং জাল সিম কার্ড সরবরাহ করত, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। একবার উগ্রপন্থী হয়ে উঠলে, ধরা এড়াতে মেয়েদের গোপনে বাসে করে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হত।

  • Shravan Somvar: আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার, কোন কোন নিয়ম মেনে শিবের পুজো করবেন?

    Shravan Somvar: আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার, কোন কোন নিয়ম মেনে শিবের পুজো করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয় মাস হল শ্রাবণ (Shravan Somvar)। এই মাসেই শিবভক্তরা উপোস করে প্রতি সোমবার ভগবানের উদ্দেশে পুজো নিবেদন করেন। মহাদেবের মাথায় জল ঢালা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, শিবের মাথায় সোমবার জল ঢাললে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। জীবনে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বিশেষ কিছু রীতি মেনে চললে তুষ্ট হন মহাদেব, সে নিয়েই আজকে জানব আমরা।

    শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের পুজো (Lord Shiva) করার বিশেষ কিছু নিয়ম

    ১) সোমবার সকালে স্নান করার পরে শিবের মন্দিরে যান। এক্ষেত্রে খালি পায়ে মন্দিরে যেতে পারলে ভালো হয়। জল ভর্তি পাত্র বাড়ি থেকে নিয়ে যান। মন্দিরের শিবলিঙ্গে তা অর্পণ করুন। ১০৮ বার শিব মন্ত্র জপ করুন। দিনে অন্ন গ্রহণ না করাই ভালো, শুধু ফল খান। সন্ধ্যায় (Shravan Somvar) আবার দেবাদিবের মন্ত্রগুলি জপ করুন।

    ২) ভগবান শিবকে (Shravan Somvar) খুশি করতে শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী নিবেদন করুন। গঙ্গাজল, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, ভাঙ, কর্পূর, দুধ, রুদ্রাক্ষ, ভস্ম নিবেদন করুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই জিনিসগুলি অর্পণ করলে ব্যক্তির সৌভাগ্য জাগ্রত হয়।

    ৩) শিবের (Lord Shiva) মাথায় জল ঢালার পর প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে আরতি। পুজো শেষে উপোস ভাঙতে পারেন ফল খেয়ে। ভক্তি দিয়ে পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।

    ৪) শাস্ত্রবিদদের মতে, শিবের পুজোতে চন্দন, অখন্ড চাল, ধুতুরা ফুল, আকন্দ, বেলপাতা, দুধ ও গঙ্গাজল অর্পণ করলে প্রসন্ন হন মহাদেব।

    ৫) শ্রাবণ মাসের ব্রত পালন করার সময় ঠাকুরঘরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। পুজোর সময় ঘর অন্ধকার রাখবেন না।

    ৬) সন্ধ্যাবেলার চেয়ে শ্রাবণ মাসের (Shravan Somvar) পুজো সকালে করে নেওয়াই ভালো।

    ৭) শাস্ত্রবিদদের মতে, ফল খেয়ে এই পুজো করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই দিন খাবারের তালিকায় আলু, লাউ এবং কুমড়ো অবশ্যই রাখুন।

    ৮) ব্রত পালনের দিনটি যতটা সৎ জীবনযাপন করুন।

    ৯) শিবপুজোর সময় অবশ্যই ঘি, মধু, সিদ্ধি, দুধ এবং গঙ্গাজল দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করুন।

    ১০) বেলপাতা, ধুতুরা এবং আকন্দ ফুল শিবের সবচেয়ে প্রিয়। এই জিনিসগুলো পুজোয় অর্পণ করতে কখনও ভুলবেন না।

    ১১) শিবপুজোর সময় শিবলিঙ্গে আতপ চাল এবং যব অর্পণ করলে মিলবে শুভ ফল।

    ১২) শিবপুজো করার আগে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করেন শাস্ত্রবিদরা।

    শিবের পুজো করার সময় যা করতে নেই (Shravan Somvar)

    ১) মহাদেবকে কখনও কেতকী ফুল অর্পণ করতে নেই বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    ২) তুলসীপাতা শিবের পুজোয় কখনও ব্যবহার করবেন না।

    ৩) শিবের পুজোয় সব কিছু সাদা রঙের জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, এমনটাই মত শাস্ত্রবিশারদদের।

    ৪) শিবলিঙ্গে কখনই হলুদ, সিঁদুর, তুলসী, ডাল, কুমকুম, তিল, চাল, লাল ফুল, শঙ্খ সহ গঙ্গাজল অর্পণ করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ৫) শিবলিঙ্গ কখনও প্রদক্ষিণ করবেন না। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাদেব তাঁকে প্রদক্ষিণ করা পছন্দ করেন না। তাই শিবলিঙ্গ বা মহাদেবের মূর্তিকে ভুলেও প্রদক্ষিণ করবেন না।

    ৬) মহাদেবের আরাধনায় বেলপাতা জরুরি হলেও সোমবার ভুলেও বেলপাতা ছিঁড়বেন না। আপনি সোমবার পুজো করলে আগের দিন বেলপাতা গাছ থেকে তুলে রাখুন।

    ৭) শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে জল এবং দুধ ঢালতে হয়। কিন্তু তার জন্য ভুলেও স্টিল বা তামার পাত্র থেকে শিবলিঙ্গে জল দেবেন না। কেবলমাত্র পেতলের পাত্র থেকেই শিবলিঙ্গে জল ঢালুন।

    ৮) উপবাসের সময় ভুলেও দুধ খাবেন না। শ্রাবণ মাসে মহাদেবকে দুধ নিবেদন করুন, শিবলিঙ্গে দুধ ঢালুন। এর ফলে কোষ্ঠী থেকে চন্দ্র দোষ দূর হবে এবং মনের অশান্তি কমবে।

  • Daily Horoscope 21 July 2025: দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 July 2025: দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কোনও সমস্যা থাকলে ভাইদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে সংবেদনশীলতা বজায় রাখুন, তা না-হলে সমস্যা উৎপন্ন হবে।

    বৃষ

    ১) নতুন কাজ শুরুর সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) আর্থিক বিষয়ে সহজ ভাবে অগ্রসর হন।

    ৩) ব্যাঙ্ক, ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ সহজেই পেয়ে যাবেন।

    মিথুন

    ১)  দামী বস্তুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন।

    ২) নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা করবেন, যা আপনার কাজকে প্রভাবিত করবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা ভালো মুনাফা অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    কর্কট

    ১) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন করবেন না, তা না-হলে তাঁরা বড়সড় লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন।

    ২) বাজেট তৈরি করে ব্যয় করুন।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজে বেশি মনোনিবেশ করবেন, যার ফলে আপনার সমস্যা হতে পারে।

    সিংহ

    ১) ব্যস্ত জীবন কাটান যাঁরা, তাঁরা সঙ্গীর কথা বোঝার চেষ্টা করুন, তা না-হলে বিবাদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ীদের জন্য দিন ভালো।

    ৩) সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান করতে হবে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে আপনাদের চেষ্টা সফল হবে।

    ২) সমস্যা থাকলে তা আজ দূর হবে।

    ৩) সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা আজ নতুন কোনও কাজ করার সুযোগ পাবেন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় বড় মুনাফা অর্জনের লোভে ছোটখাট লাভ হাতছাড়া করবেন না।

    ২) সন্তানের নতুন চাকরি পাওয়ায় এবার কেরিয়ার সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।

    ৩) বন্ধু আপনার সাহায্য প্রার্থনা করতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারের সদস্যদের জন্য সময় বের করতে হবে।

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করায় একাধিক সমস্যার সমাধান হবে।

    ৩) আইনি কাজে নিয়ম-নীতি মেনে চলুন, তা না-হলে ভুল হতে পারে।

    ধনু

    ১) দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ায় আনন্দিত হবেন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত কাটাবেন।

    ৩) যে কোনও কাজে ধৈর্য ধরুন ও সাহসী থাকুন।

    মকর

    ১) স্বাস্থ্য-সমস্যা উপেক্ষা করবেন না, তা না-হলে বড়সড় রোগ দেখা দিতে পারে।

    ২) ব্যবসায়িক বিষয়ে ভালো ফলাফল পাবেন।

    ৩) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে তা শোধ করতে সফল হবেন।

    কুম্ভ

    ১) পড়াশোনায় রুচি বাড়বে।

    ২) কাজের সন্ধানে থাকলে সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) আত্মীয়ের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    মীন

    ১) ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে চিন্তিত করে থাকলে তা আজ পুনরায় শুরু করতে পারেন।

    ২) কোনও কাজের জন্য জেদ করবেন না।

    ৩) বিলাসিতার বস্তু কেনাকাটায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Hindu Students: দেশের একাধিক স্কুলে হিন্দু ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ! কয়েকটি সাম্প্রতিক ঘটনা

    Hindu Students: দেশের একাধিক স্কুলে হিন্দু ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ! কয়েকটি সাম্প্রতিক ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন স্কুলে এমন কিছু ঘটনা ধরা পড়ছে যেগুলো প্রথাগত হিন্দু মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সনাতন রীতিগুলিকে ক্ষুণ্ন করছে। সরাসরি অভিযোগ, হিন্দু পড়ুয়াদের জোর করে ইসলামিক আচরণে বাধ্য করা হচ্ছে — নামাজ, কলমা, হিজাব-পুরস্কৃত পোশাক ইত্যাদি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে (Hindu Students), যা শিক্ষার মান ও পরিবেশকে নষ্ট করছে। সেরকমই সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনাকে তুলে ধরা হল (Anti Hindu Activities)।

    কোটা — বকশী স্প্রিংডেলস স্কুল

    কোটার বকশী স্প্রিংডেলস স্কুলে হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের (Hindu Students) জোর করে ইসলামের আয়াত পড়ানো এবং সকালের প্রার্থনায় কলমা মুখস্ত করানো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে হিন্দু সংগঠনগুলি ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং দাবি করে, যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে দ্রুত তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    হায়দ্রাবাদ — কৃষ্ণবেনী স্কুল (আসিফ নগর)

    হায়দ্রাবাদের আসিফ নগরে অবস্থিত কৃষ্ণবেনী স্কুলে নিয়মিতভাবে ইসলামিক দর্শন শিক্ষার প্রচার ও শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ছাত্র‑ছাত্রীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যায় শুধুমাত্র ইসলামের শিক্ষণমূলক ক্রিয়াকলাপ পরিচালিত হচ্ছে।

    হরিয়ানা — সরকারি বিদ্যালয়, বাধাউলি গ্রাম (Hindu Students)

    হরিয়ানার সোনিপথে অবস্থিত বাধাউলি গ্রামের সরকারি স্কুলে এক হিন্দু ছাত্রীকে জোরপূর্বক হিজাব ও বোরখা পড়ানো হয় ও ইদ আয়োজন করানো হয়। অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্কুলের প্রধান ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

    নতুন দিল্লি — জয় মাতা দি কোচিং সেন্টার

    নয়া দিল্লির জয় মাতা দি কোচিং সেন্টারে মনোজ কুমার নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, তাঁর তেরো বছর বয়সী সন্তানকে জোর করে কোরান পাঠ ও কলমা আবৃত্তি করানো হয় (Hindu Students)। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন রিজওয়ান ও ইরফান। তাঁরা হিন্দু আচার–অনুষ্ঠান নিন্দা করেন জানিয়ে আদালতে এফআইআর করা হয়।

    গুজরাট — সরকারী বিদ্যালয়, বরোদা এলাকায়

    গুজরাটের বরোদা এলাকায় এক সরকারী বিদ্যালয়ে একটি হিন্দু ছাত্রকে জোর করে নামাজ পড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। স্থানীয় বিধায়ক এই ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

    গুরগাঁও — দিল্লি পাবলিক স্কুল

    গুরগাঁওয়ের দিল্লি পাবলিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদেরকে দরগা (Sufi shrine) ভ্রমণের জন্য বাধ্য করা হয়েছে, যাতে তারা ‘ইদের মাহাত্ম্য’ বুঝতে পারে। হিন্দু পরিবারগুলো এতে আপত্তি তুলেছে, মন্তব্য করেছে এটি শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    মধ্যপ্রদেশ — রেওয়াত, জ্ঞানতশালী পাবলিক স্কুল

    মধ্যপ্রদেশের রেওয়াতে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ইসলামিক রীতিতে পড়াসোনা করানো হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু ছাত্র ও ছাত্রী বিক্ষোভ করে।

    গুজরাট — কেলোরেক্স প্রাইভেট স্কুল

    গুজরাট সরকার কেলোরেক্স স্কুলকে তদন্তের আওতায় এনেছে কারণ অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জোর করে নামাজ পড়ানো হয়। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে (Hindu Students) বিক্ষোভ গড়ে তোলোন।

    মধ্যপ্রদেশ — গুনা, প্রিন্স গ্লোবাল প্রাইভেট স্কুল

    গুনা জেলায় অবস্থিত এই স্কুলে হিন্দু অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রীদেরকে জোর করে হিজাব পরানো ও ইসলামিক গান গাওয়ানো হয়েছে ইদ অনুষ্ঠানে। এতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।

    নতুন দিল্লি — সঙ্গম বিহার কোচিং সেন্টার

    নয়া দিল্লির সঙ্গম বিহারে এক ছাত্রীকে হিন্দু ধর্ম থেকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত এবং নামাজ পড়তে বাধ্য করার অভিযোগে কোচিং সেন্টারের মালিক ‘মুসির’ নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গুজরাট — কচ্ছের পাল্ড স্কুল

    কচ্ছের পাল্ড স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ইদের সময় হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের ইসলামের পোশাক পরার জন্য বাধ্য করেছেন। এমন ঘটনা স্কুল ক্যাম্পাসের ফুটেজে ধরা পড়েছে।

    গুজরাট — রাজকোট

    রাজকোটে এক মুসলিম শিক্ষককে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইতিহাস নিজের মতো করে সাজানোর অভিযোগে। নির্দিষ্টভাবে হিন্দু রাজাদের বরখেলাফ উপস্থাপনা এবং ভুল ওভারস্টেটমেন্ট দেওয়া দাবি করা হয়েছে। অভিভাবকরা স্কুল বোর্ডে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

    দেরাদুন

    দেরাদুনে এক ছাত্রকে জোর করে নামাজ পড়ানো হয়—এই অভিযোগে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ওই ছাত্রের অভিভাবক শিক্ষা বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    উত্তরপ্রদেশ — হাথরস, BLS ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

    হাথরসে BLS ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অভিযোগ ওঠে, ছাত্রছাত্রীদের নামাজ পড়তে ও ছাত্রীদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয় হিন্দু নেতা দীপক শর্মার নেতৃত্বে বিক্ষোভ গড়ে ওঠে (Anti Hindu Activities)।

    উত্তরপ্রদেশ — মুরাদাবাদ

    মুরাদাবাদের একটি প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষক ‘সাহেব আলী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রয়াগরাজ — ঝুলি নয়ানগর পাবলিক স্কুল

    ঝুলি নয়ানগর স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে, ছাত্রছাত্রীদেরকে ২০ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করতে ও ‘হ্যাপি ইদ’ লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। এই বিষয়েও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশ — খান্দাওয়াত, মিশনারি স্কুল

    খান্দাওয়াতে একটি মিশনারি স্কুলে হিন্দু ধর্মের তিলক পরিধান নিষিদ্ধ করা হয় এবং কলমা ও নামাজ পড়ানো হয়। হিন্দু সংগঠনগুলো বিক্ষোভ শুরু করে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে।

    হরিয়ানা — মেওয়া মডেল স্কুল

    হরিয়ানার মেওয়া মডেল স্কুলে অভিযোগ ওঠে, ছাত্রছাত্রীদের জোর করে নামাজ পড়ানো হয়েছে। এক অভিভাবিকা, পুষ্পা ভারতদ্বাজ, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন।

  • Syria: সিরিয়ার হিংসাতে মৃত ৯৪০, বেশিরভাগই সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের, সংবাদমাধ্যমকে কী বলছেন তাঁরা?

    Syria: সিরিয়ার হিংসাতে মৃত ৯৪০, বেশিরভাগই সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের, সংবাদমাধ্যমকে কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria) দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল-সুয়াইদা প্রদেশে সম্প্রতি ব্যাপক হিংসাত্মক হামলার শিকার (Suwayda Province) হয়েছেন দ্রুজ সম্প্রদায়ের মানুষজন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যই এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই হামলাগুলো নিছক সংঘর্ষ নয়—এগুলো মূলত গণহত্যার অংশ। গত সপ্তাহেই এই এলাকায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুজ সম্প্রদায়ের ২১ বছর বয়সি সদস্য মাজদ আল শায়ের বলেন, “আমাদের প্রবীণদের অপমান করা হচ্ছে, নারী ও শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। পুরুষদের আলাদা করে হত্যা করা হচ্ছে—আমাদের নিশ্চিহ্ন করতেই এই অভিযান।”

    সামান্য সংঘর্ষ থেকেই শুরু ভয়াবহ হিংসা (Syria)

    প্রসঙ্গত, এই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সূত্রপাত হয় যখন একজন সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তি এক দ্রুজ সবজি বিক্রেতাকে মারধর করেন। ওই ঘটনা থেকেই দ্রুত আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে হিংসা, যা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণ সিরিয়ায়। সংঘর্ষ ক্রমেই রূপ নেয় ধর্মীয় বিদ্বেষে, যার পরিণতিতে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে। ব্রিটেনের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা Syrian Observatory for Human Rights জানিয়েছে, শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই আল-সুয়াইদা প্রদেশে ৯৪০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২৬ জন অসামরিক দ্রুজ নাগরিক, যাঁদের মধ্যে ১৬৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। একই সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন (Syria) ৩১২ জন সরকারি নিরাপত্তারক্ষী এবং ২১ জন সুন্নি ধর্মাবলম্বী নাগরিক। জানা যাচ্ছে, যে সবজি বিক্রেতার উপর হামলা হয়েছিল, তাঁকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই হিংসা দমনহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

    দ্রুজদের লক্ষ্য করে সংগঠিত আক্রমণ

    দ্রুজ সম্প্রদায় একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী, যাঁদের বিশ্বাসে ইসলামিক, গ্রিক ও অন্যান্য প্রাচীন দর্শনের প্রভাব রয়েছে। মূলত সিরিয়ার জাবাল আল-আরব ও সুয়াইদা অঞ্চলে তাঁদের বসবাস। ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়ার শাসকদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক জটিল এবং প্রায়শই উত্তেজনাপূর্ণ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় আসেন আহমেদ আল-জারা, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী নেতা আবু মোহাম্মদ আল-ঝুলানির নাম। তাঁর উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। সেই ভয় যে অমূলক ছিল না, তা আজকের হামলাগুলি প্রমাণ করে দিয়েছে। আজও তাঁরা সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে (Suwayda Province) একজন সন্ত্রাসবাদীর নেতৃত্বাধীন আক্রমণাত্মক প্রশাসন হিসেবে দেখেন। একাধিক দ্রুজ নাগরিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন (Syria), সরকার সরাসরি এই হামলাগুলিকে সমর্থন করছে এবং পরিকল্পনা করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের গোঁফ জোর করে কামিয়ে ভিডিও করা হচ্ছে অপমানের উদ্দেশ্যে। এই কর্মকাণ্ড তাঁদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

    গণহত্যার প্রতিবাদে সামরিক সংগঠনের ডাক

    ক্রমবর্ধমান হিংসা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার্থে সম্প্রতি দ্রুজ সম্প্রদায় ঘোষণা করেছে “সুয়াইদা পরিষদ” গঠনের, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সম্পত্তি, সংস্কৃতি এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে সিরিয়ার ভবিষ্যত সুরক্ষা করা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, যখন তারা মনে করতে শুরু করে—সিরিয়াতে আর তাঁরা নিরাপদ নয়। তাঁরা দাবি করেন, বাশার আল-আসাদের শাসনকালে অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও এই মাত্রার আক্রমণ কখনো ঘটেনি। তবে নতুন সরকারের অধীনে সংগঠিতভাবে দ্রুজদের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। যদিও এই সামরিক পরিষদ সার্বজনীন সমর্থন পায়নি; ধর্মীয় নেতা শেখ হিকমত আল হাজরি এই গোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করেছেন।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ইজরায়েলের হস্তক্ষেপ

    আন্তর্জাতিক মহলেও এই সংঘর্ষ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইজরায়েল এই বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে। গণহত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইজরায়েলি বিমানবাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন সরকারি পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, দ্রুজ অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা ইজরায়েল সহ্য করবে না।

  • China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    China: ব্রহ্মপুত্রের ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কেন ভারতের কাছে আশঙ্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সীমান্তঘেঁষা তিব্বতের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল চিন (China)। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো (যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) নদীর নিম্নভূমিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা বা ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।

    কেন ভারতের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে?

    তিব্বতের এই ইয়ার্লুং সাংপো নদ ভারতে প্রবেশ করে অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত হয় এবং এরপর অসমে এসে ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra River) নাম ধারণ করে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে চিন একাধিক পর্যায়ে নদীর উপর নির্মাণকাজ চালিয়ে আসছে। এতে নদীর জলের স্তর হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই বাঁধের কারণে অসম, অরুণাচল সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে জলসংকট দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করেছেন, তিব্বতে চিনের (China) এই বাঁধ ভারতের জন্য এক গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, এই বাঁধ কার্যত একটি বিস্ফোরক সময়বোমার মতো।

    প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও

    চিনের (China) এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। যদিও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবু নয়াদিল্লি পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের একটি বাঁক বরাবর, যার ফলে নদীর জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চিনের হাতে চলে যেতে পারে। বর্ষাকালে নদীতে অতিরিক্ত জল ছেড়ে নিচের দিকের এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং শুষ্ক মৌসুমে জলধারণ কমিয়ে দিয়ে তীব্র জলাভাব তৈরি করার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, ফলে এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। নদীর স্বাভাবিক গতি কৃত্রিমভাবে বাঁধা দিলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নির্মিত বাঁধ পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং (China)।

  • Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    Rani Abbakka Chowta: মধ্যযুগে নারীরাও শিখতেন যুদ্ধ বিদ্যা, জানুন কর্নাটকের যোদ্ধা রানি আবাক্কা চৌতার কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি আবাক্কা চৌতা (Rani Abbakka Chowta)। ষোড়শ শতকের এই রানি, চৌতা রাজবংশের শাসক ছিলেন এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, যা তুলুনাড়ু (Tulu Nadu) নামে পরিচিত ছিল। জানা যায়, তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। এই চৌতা রাজবংশ কর্নাটকে দ্বাদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত শাসন করে ছিল।

    মহিলারাও পেতেন যুদ্ধ বিদ্যার প্রশিক্ষণ (Rani Abbakka Chowta)

    এই সময়ে তারা একটি বিশেষ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার নাম ছিল আলিয়াসনাতন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি হিন্দু পরিবারের পুরুষ সদস্যরা যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হতেন, তেমনি মহিলারাও ঘর সামলানোর পাশাপাশি সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতেন। এই সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো ছিল এমন এক ভিত্তি, যেখানে মহিলারা মিলিটারি প্রশিক্ষণ পেতেন এবং রাজ্যশাসন সম্পর্কেও পারদর্শিতা অর্জন করতেন। এই আলিয়াসনাতন ব্যবস্থা ভারতবর্ষে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে—যেখানে মহিলারা যুদ্ধবিদ্যার প্রশিক্ষণ পেতেন, মার্শাল আর্ট শিখতেন এবং রাজনীতি ও প্রশাসন চালাতে সক্ষম হতেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই রানি আবাক্কা চৌতা-র উত্থান হয় এবং তাঁকে একজন যোদ্ধা রানি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাচীন ভারতের এই সমাজব্যবস্থা নারীর ক্ষমতায়নকেই প্রতিফলিত করে। পাশ্চাত্যের থেকেও প্রাচীন ভারতে নারীরা এগিয়ে ছিলেন বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    কাকা তিরুমালা রায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেন আবাক্কা (Rani Abbakka Chowta)

    জানা যায়, আবাক্কা চৌতা-র (Rani Abbakka Chowta) কাকা তিরুমালা রায় কর্ণাটকের উলাল অঞ্চলের শাসক ছিলেন (১৫১০ থেকে ১৫৪৪ সাল পর্যন্ত)। তিনিই আবাক্কাকে মার্শাল আর্ট, মিলিটারি কৌশল, এবং রাজ্যশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিরুমালা রায়ের পরেই আবাক্কা চৌতা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কেউ কেউ বলেন, তাঁর শাসনকাল শুরু হয় ১৫২৫ সালে, আবার অনেকে বলেন ১৫৪৪ সাল থেকে। ঐতিহাসিকদের মতে, আবাক্কা চৌতা-র শাসনকাল ছিল সুশাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর রাজত্বে জৈন, হিন্দু ও মুসলিম — সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকারভোগী ছিলেন এবং তাঁর দরবারে স্বাধীনভাবে উপস্থিত হতে পারতেন। তাঁর প্রশাসনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ পেতেন। এমনকি তাঁর সেনাবাহিনীও ছিল বহুধর্মীয় ও বহুজাতিক। এইভাবেই আবাক্কা চৌতা ইতিহাসে একজন প্রগতিশীল, সাহসী এবং দক্ষ শাসক ও যোদ্ধা রানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

  • Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    Malati Murmu: অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে বিনা পয়সার স্কুল গড়েছেন মালতী মুর্মু, পড়ছে আদিবাসী শিশুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের (Ayodhya Hills) কোলে ছোট্ট গ্রাম। নাম জিলিং সেরেং। পাহাড়ের হিলটপ থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে। নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। নেই বিদ্যুৎ, নেই রাস্তা। নেই সুযোগ-সুবিধা। তাতে কি! জনজাতি গ্রামের এক গৃহবধূ, এক মা নিজেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন শিক্ষার মশাল। নাম মালতী মুর্মু (Malati Murmu)। দুই মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে প্রায় ৪৫ জন শিশুকে পড়াচ্ছেন তিনি। না, কোনও বেতন নেই। নেই সরকারি সার্টিফিকেট। নেই মিড-ডে মিলের সাহায্য। আছে জনজাতি মায়ের এক অদম্য এক ইচ্ছাশক্তি। আছে ভালোবাসা। রয়েছে সংকল্প। সমাজকে বদলাতে হবে। সকাল হলেই মালতী দিদিমণির স্কুল শুরু হয়। একটা নামমাত্র ঘর রয়েছে। আছে কিছু খাতা-কলম, আর অনেকগুলো খুদে মুখ। যাদের চোখে রয়েছে স্বপ্ন। আর দিদিমণির কাছে শেখার আগ্রহ।

    করোনার ঢেউয়ে থেমে গিয়েছিল পৃথিবী, তখনই শুরু হয়েছিল মালতীদেবীর পথচলা

    ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হয়, কিন্তু সেই সময় গ্রামের অধিকাংশ ছেলেমেয়ের কাছেই স্মার্টফোন ছিল না। তখনই মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজে একটি স্কুল গড়ার কথা ভাবেন। তিন-চারজন শিশুকে নিয়ে শুরু পথচলা। এই গ্রামে মোট পরিবার রয়েছে ৯৫টি। তবে অধিকাংশ লোকজনই জানেনা পড়াশোনা। শিক্ষার আলো হাতে মালতীদেবীর এগিয়ে চলা মুছে দিচ্ছে গ্রামের অশিক্ষার আলো।

    দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মালতীদেবী

    জানা যায়, মালতি মুর্মুর (Malati Murmu) বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তারপর তিনি জিলিং সেরেং গ্রামের এক বাড়িতে আসেন। তখন তাঁর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না শিক্ষক হওয়ার। অন্যান্য মহিলাদের মতো তিনিও বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন যে, গ্রামে একটি স্কুল আছে বটে, তবে শুধুমাত্র তার পরিকাঠামোই আছে—সেখানে কেউ পড়াতে আসেন না। এরপরেই তিনি নিজের একটি ঘরে স্কুল শুরু করেন। জানা যায়, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

    কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়?

    বর্তমানে ৪৫ জন পড়ুয়া প্রতিদিন মাটিতে বসে মালতি মুর্মুর কাছে ক্লাস নেন। তারা পড়েন ও লেখেন সাঁওতালি ভাষায় এবং অলচিকি অক্ষরে। এর পাশাপাশি সেখানে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞানও পড়ানো হয়। জানা যাচ্ছে, মালতি মুর্মু (Malati Murmu) নিজেই বলেন, শিক্ষা শুধুমাত্র পরীক্ষা পাশ করার জন্য নয়—শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে, শ্রদ্ধাবোধ আনে এবং সমাজে সমতা গড়ে তোলে। প্রথমে যখন মালতি এই স্কুল খুলেছিলেন, তখন অনেকেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই তাঁকে বিশ্বাস করেন এবং নিজেদের সন্তানদের তাঁর কাছে পড়তে পাঠান ভবিষ্যৎ নির্মাণের আশায়।

    নিজের সংকল্পে অটুট ছিলেন মালতী, শিক্ষিত করতেই হবে শিশুদের

    এমন উদ্যোগের কথা মালতীদেবী প্রথম তাঁর স্বামীকে জানান। পেশায় কৃষিজীবী স্বামী প্রথমে সায় দেননি (Ayodhya Hills)। সংসার, সন্তান, খেতের কাজ সব সামলে আবার পড়ানো! কীভাবে সম্ভব! কিন্তু মালতী মুর্মুর অদম্য মনোবলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনও কিছুই। অবশেষে স্বামীও বুঝলেন। পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রীর। একজন গৃহবধূ, একজন মা, নিজে হাতে গড়ছেন ভারতের ভবিষ্যৎ। মালতী মুর্মু যেন এক জীবন্ত প্রতিমা। যিনি আমাদের শেখাচ্ছেন, সমাজ বদলাতে লাগে মনের ইচ্ছা আর সংকল্প। এর সামনে টিকতে পারেনা কোনও বাধা।

LinkedIn
Share